বজ্জাত বউ,পর্ব ২৮,২৯

0
999

বজ্জাত বউ,পর্ব ২৮,২৯
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২৮

পরশ: আমি কাউকে বলিনি আমার জন্য চিন্তা করতে। আর হ্যা ভালো করে শুনে রাখো আমি বিয়ে করবো না মানে করবো না। ok ( বলে পরশ সিড়ি দিয়ে উপরে যেতেই দিশার চিৎকার শুনতে পাই)
দিশা: আম্মু কি হলো তোমার। কথা বলছো না কেনে ( কাঁদতে কাঁদতে বললো)
পরশ: আম্মুর কি হয়েছে ( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললো)
দিশা: ভাইয়া আম্মু কথা বলছে না
পরশ: আম্মু আম্মু কথা বলো। এই আম্মু। আম্মুের চোখে মুখে পানি দিতে হবে তুই আম্মু এখানে থাক আমি পানি নিয়ে আসি। ( বলে পরশ পানি আনতে গেলো)
দিশা: আম্মু আম্মু চোখ খুলো আম্মু।
পরশ: আম্মু চোখ খুলো বলে ( চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো)
দিশা: ভাইয়া আম্মু হাসপাতালে নিতে হবে। তুই গাড়ি বের কর।আমি হাসপাতালে ফোন করে একটা কেবিন বুক করছি।
পরশ: হ্যা বের করছি ( বলে পরশ গাড়ি বের করলো)
দিশা: ভাইয়া আমি হাসপাতালে ফোন করে দিয়েছি।
পরশ: তুই গাড়িতে ওঠ। আমি আম্মু কে গাড়িতে তুলছি ( বলে আম্মুকে কোলে তুলে
গাড়িতে নিয়ে দিশার কোলে উপর শুয়ে দিলো তারপর নিজের গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করলো)
দিশা’ : আম্মু চোখ খুলো। ভাইয়া তারাতারি গাড়ি চালা।
পরশ: তুই আম্মুকে ডাকতে থাক আমি ৫ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌছে যাবো।
দিশা: হ্যা ভাইয়া আম্মু আম্মু
৫ মিনিট পর
পরশ: এসে গেছি হাসপাতালে।(বলে পরশ আম্মু কে কোলে করে হাসপাতালে ভেতর ঢুকলো) ডাক্তার, নার্স আমার আম্মু
দিশা: ভাইয়া ৪২০ নাম্বার কেবিন আম্মুর জন্য বুক করা হয়েছে তুই ৪২০ নাম্বার আম্মুকে নিয়ে যা আমি ডাক্তার কে ডেকে আনছি। নার্স আপনি ভাইয়াকে সাহা্য্য করুন। বলে দিশা ডাক্তার ডাকতে চলে গেলো।
পরশ: নার্স চলুন
নার্স: আসুন আমার সাথে। আম্মু কথা বলো তোমার কিছু হতে দেবো না আমি আম্মু
দিশা: স্যার আম্মু( আহাদে রুমে ঢুকে বললো)
আহাদ: দিশা কি হয়েছে। এরকম করছো কেনো।
দিশা: আম্মু হঠ্যৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর আর কথা বলছে না স্যার। আমার আম্মু ( বলে কাঁদতে লাগলো)
আহাদ: দিশা আম্মুর কিছু হবে না আমি তো তুমি কান্না বন্ধ করো ( বলে চোখের পানি মুছে দিলো)
দিশা: আম্মুর ভালে হয়ে যাবে তো।
আহাদ: ইশ আল্লাহ। চলো আমার সাথে ( বলে আম্মুর কেবিনের দিকে যেতে লাগলো।
পরশ: আহাদ আমার আম্মুকে যে করে হক ভালো করে দাও।
আহাদ: ভাইয়া আপনি চিন্তা করবেন আমি দেখছি আম্মুর কি হয়েছে বলে ( কেবিনের ভেতর ঢুকলো)
পরশ: আজ আম্মু এই অব্যস্থায় জন্য আমি দায়ী। ( বলে পরশ কাঁদতে লাগলো)
অপর দিকে
অথৈ: আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না। আমি বাড়িতে থেকে পালিয়ে যাবে। কিন্তু পালিয়ে যাবে টা কোথায়। দুর ভালো লাগে না। কতো স্বপ্ন দেখছিলান যে সালমান কে বিয়ে করছে , কতো সাংবাদিক আমাদের ছবি তুলছে। কতো মানুষ আমাকে দেখছে আহ্ কিন্তু সব স্বপ্নের পানি ঢেলে দিলো। সালমান খান আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কারো হতে পারবো না কখনো না। তুমি সুপারম্যানের মতো উড়ে এই কারাগার থেকে নিয়ে যাও। আমি তুমি আর বল্টু এই তিনজন মিলে সুখের সাংসার পাতবো। এই চুড়ি আমাদের সমস্য চাই না এই চুড়ি । আমি শুধু তোমাকে চাই। ( বলে চুড়ি খুলে ফেললো) ।
আবির: আপি তোর স্বপ্নো স্বপ্ন থাকবে কোনো দিন পুরন হবে না।
অথৈ: তুই কখন আসলি আমার রুমে
আবির: অনেক ক্ষন এসেছি তুই খেয়াল করিস নাই। ভালো কথা আমি তোর ভাই একটা উপদেশ দেই। তুই না আজে বাজে চিন্তা মাথায় থেকে দুর করে আম্মু কাছ থেকে কিছু কাজকর্ম শেখ। তাতে তোর উপকার হবে।
অথৈ: আসলেন আমার উপকারী। তুই যা এখান থেকে যা।
আবির: ফ্রিতে উপদেশ ভালো লাগলো না তো শশুড় বাড়ি গেলে বুঝবি কতো ধানে কতো চাল।
অথৈ: তুই আমার ভাই।
আবির: হ্যা মায়ের পেটের ভাই।
অথৈ: তুই যা তো আমার রুম থেকে যা বলছি। যদি না যাস তাহলে থাপ্পার দিয়ে তোকে বাংলাদেশের বাইরে পাটিয়ে দেবো।
আবির: যাচ্ছি যাচ্ছি( বলে আবির চলে গেলো)
অথৈ: আমাকে কিছু একটা করতে হবে আর সেটা আজ রাতেই করতে হবে। তোমরা ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখবো। আমাকে না জানিয়ে আমার বিয়ে ঠিক করা না। দেখে কাল কি হয়।
এদিকে
পরশ: দিশা অনেক সময় হলো আহাদ বের হচ্ছে না কেনো। আম্মু জটিল কিছু হয়নি তো।
দিশা: এই তো স্যার। স্যার আম্মু
পরশ: আহাদ আম্মু ঠিক আছে তো। কোনো কথা বলছো না কেনো আম্মু ভালো হয়ে যাবে তো।
আহাদ: দেখো ভাইয়া আমি আম্মুকে দেখছি। দেখে য়া মনে হলো ওনি অনেক কষ্ট পাওয়া জন্য এ রকম হয়েছে। এই ধরনে রোগী ক্ষেএে এদের কোনো টেনশন, হার্ট করা যাবে না। এদের কে সবসময় হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি ইনজেকশন দিয়েছি কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে আসবে।
পরশ: আমি আম্মুকে দেখতে পারি।
আহাদ: পারো তবে কোনো কথা বলা যাবে না।
পরশ: ঠিক আছে। ( বলে পরশ কেবিনে ফিতরে ডুকলো ও আম্মু পাশে বসলো) আম্মু আমি তোমার কিছু হতে দেবো। আমি তোমাকে ছাড়া মরে যাবো আম্মু। ( বলে পরশ আম্মুর হাত ধরে কাঁদতে লাগলো)
আম্মু: পরশ
পরশ: আম্মু তোমার জ্ঞান ফিরেছে।
আম্মু : পরশ তুই এখানে কেনো এসেছিস। তুই বাড়ি যা। তোর আম্মু মরে গেলে তোর কি আসে যাই। তোর আম্মু তো সবসময় তোর খারাপ টাই চাই। উপর আল্লাহ আমাকে তুলে নিলেনা কেনো।
পরশ: না আম্মু এসব কথা ভুলেই মুখে আনবে না। তুমি ছাড়া আমি খুব একা। তুমি যা চাইবে আমি তাই করবো। তুমি চাওআমি বিয়ে করি ঠিক আছে আম্মু আমি প্রমিজ তুমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে বলবে আমি সেই মেয়েকে বিয়ে করবো শুধু তুমি ভালো হয়ে আম্মু (বলে হাতে চুমু খেলো) তারপর কেবিন থেকে বের হয়ে চলে গেলো।
দিশা: আম্মু তোমার জ্ঞান ফিরেছে। তুমি এখন কেমন লাগছে।
আম্মু: আমি ঠিক আছে তোর ভাইয়া কোথায় গেলো রে।
দিশা: জানি না ভাইয়া কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেলো।
আম্মু : দিশা একটা দারুন খবর আছে। তোর ভাইয়া বিয়েতে রাজি হয়ে গেছে।
দিশা: কি বলছো আম্মু
আম্মু: হ্যা আমি সত্যি বলছি। সামনের সোমবার তোর ভাইয়া বিয়ে তুই এক কাজ কর তোর ভাইয়া বসকে ফোন করে বলে দে।
দিশা: ঠিক আছে আম্মু এখনে বলছি বলে ফোন হাতে নিয়ে কেবিনে বাইরে চলে গেলো।
পরশ: আহ্ ( রাস্তায় মাঝখানে হাটু গেরে বসে চিৎকার করলো) আমি পরছি না মিষ্টি। আমি আর পারছি না। আমি কি করে পারবো তোমার জয়গায় অন্য একটা মেয়েকে বসাতে। আমি যে তোমাকে নিজের থেকে অনেক ভালোবাসি। তোমার প্রতিটা ছোয়া আজও আমাকে আকরে ধরে রাখে। আমাকে তুমি ভুল বুঝোনা মিষ্টি। আমি কি করবো তুমি বলে দাও। আমি আম্মুকে ছাড়া থাকতে পারবো তোমাকে ভুলতে পারবো না। এ কোন প্রশ্নের মুখে ফেললে তুমি খোদা। যা কেনো উওর পারছিনা। কেনো হচ্ছে এরকম আমার সাথে কেনো( বলে রাস্তায় মাঝখানে বসে কাঁদতে লাগলো। হঠ্যৎ করে কেউ একজন পরশের কাধের উপর হাত রাখতেই পরশ ঘুরে তাকাতেই বললো……….

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২৯
হঠ্যৎ করে পেছন থেকে পরশের কাধে কেউ হাত রাখতে পরশে পেছন ফিরে তাকিয়ে বললো
পরশ: বাবা তুমি ( চোখের পানি মুছে)
বাবা: হ্যা আমি
পরশ : বাবা তোমার তো ২ দিন পর লন্ডন থেকে ফেরার কথা ছিলো।
বাবা: ছিলো কাজ শেষ হওয়াতে আগে ফিরে আসলাম। এসে দেখি বাড়িতে কেউ নেই। পাশের বাড়ির থেকে জানতে পারলাম তোমরা সবাই হাসপাতালে। তাই হাসপাতালে গিয়ে তেমার আম্মু সাথে করে এখানে আসলাম।
পরশ: বাবা তুমি জানলে কি করে আমি এখানে।
বাবা: আমি তেমার বাবা। আর বাবা হয়ে আমি আমার ছেলেকে জানবো না। আমার ছেলে যে ভেতরে ভেতরে একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
পরশ: বাবা ( বলে জরিয়ে ধরলো) বাবা আমি আর পরছিনা। কেনো হচ্ছে আমার সাথে এসব কেনো হচ্ছে।
বাবা: আমি বলি কি বাবা তোমার বিয়ে টা না করলে করো না।
পরশ: না বাবা আমি আম্মু কথা দিয়েছি আমি বিয়ে করবো আর আম্মুর পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো।
বাবা: আমার সেই ছেলে আজকে ছেলে মধ্য আকাশ পাতাল তফাত।
পরশ: বাবা অনেক রাত হয়েছে তুমি বরং বাড়ি চলে যাও।
বাবা: তুমি কোথায় যাবে।
পরশ: আমার বাড়ি ফিরতে মন চাইছে না।
বাবা: আমি জানি তুমি এখন কোথায় যাবো। মনে কষ্টটা একটু হালকা করতে। চলো না বাবা আজ বাবা ছেলে মিলে মদ খাবো।
পরশ: কিন্তু বাবা
বাবা: কেনো কিন্তু বাবা ছেলের কষ্টের নয় আজ একটু ভাগ করে নেবো।
পরশ: ঠিক আছে চলো বাবা ( বলে বাবা ছেলে দুজন মিলে মদ খেলো)

পরে দিন সকালে

অথৈর আম্মু: অথৈ অথৈ সকাল হয়ে গেছে ঘুম থেকে ওঠো বলছি। ( অথৈর রুমে এসে বললো)
অথৈ:……..
অথৈর আম্মু: অথৈর দুষ্টমী করো না ওঠো বলছি। যদি না ওঠো তাহলে কিন্তু আমি বকা দেবো। ওঠো বলছি অথৈ অথৈ। কি ব্যাপার প্রতিদিন একটু ডাকাডাকি করলে উঠে যাই। আজ উঠছে কেনো। জ্বর টর আসেনি তো। অথৈ অথৈ ওঠ মা ( বলে অথৈর বিছানার থেকে কোম্বল টা সরাতে অথৈর আম্মু আবাক) এতো দেখছি কম্বলের নিচে কোলবালিশ। তাহলে অথৈর কোথায়। না সারা ঘরে তো অথৈ মেয়েটা নেই। গেলো কোথায়। ওগো শুনছো অথৈর রুমে নেই ( চিৎকার করে বললো)
আব্বু: এতো চিৎকার করছো কেনো।
আম্মু: চিৎকার করবো না তোমার বাদ্দর মেয়ে রুমে নেই।
আব্বু: নেই মানে দেখো হয়তো ছাদে আছে।
আবির: ছাদে আপি নেই। আমি ছাদ থেকে এইমাএ আসলাম।
অথৈর আম্মু: আমার মেয়েটা কোথায় গেলো ( বলে কাঁদতে লাগেলো)
আব্বু: কোথায় যেতে পারে মেয়েটা। না আর পারছিনা মেয়েকে নিয়ে।
আব্বু: সালমা তুমি একবার ভাইজানকে ফোন করে অথৈ ওখানে যেতে পারে।
আম্মু: হ্যা করছি ( বলে ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলো)
অথৈর মামু: হ্যালো সালমা আমি তোকে ফোন করতে চাইছিলাম। একটা ভালো খবর আছে ছেলের বাড়ির থেকে ফোনকরে বলেছে সামনে সোমবারে বিয়ে তারিখ ঠিক করেছে।
আম্মু: ভাইজান অথৈ তোমার ওখানে নেই
অথৈর মামু: না নেই কেনো কি হয়েছে
আম্মু: ভাইজান সকাল থেকে অথৈকে কোথাও খুজে পারছিনা ( বলে কাঁদতে লাগলো)
অথৈর মামু: কি বলছিস। তুই কান্না করছিস আমি দেখছি ( বলে ফোনটা কেটে দিলো)
আম্মু: এই মেয়েটা একদিনের জন্য শান্তি দেবে না। একবার পাই বিয়ে আগ পষন্ত ঘরে বন্দি করে রাখবো। টেনশন ছারা কিছুই দিতে পারে না।
আব্বু : সালমা তুমি বাড়িতে থাকো আমি রাস্তায় এগিয়ে দেখি ( বলে বের হয়ে গেলো)
আবির: আম্মু কেদো না দেখবে আপি ঠিক ফিরে আসবে।
ওয়েটার: স্যার স্যার উঠুন সকাল হয়ে গেছে। রাতে আপনারা এখানে ছিলেন। এখন বাড়ি যান বাড়ির সবাই চিন্তা করবে।
পরশ: বাবা বাবা ওঠো সকাল হয়ে গেছে । বাবা
বাবা: সকাল হয়ে গেছে ( ঘুম ঘুম চোখে বললো)
পরশ: হ্যা বাবা চলো
বাবা : চলো( বলে দুজন রাস্তায় এসে দাড়ালো) বাহ সকালটা অনেক সুন্দর। পরশ আমি আর তুমি অনেকদিন পর আবার একসাথে রাস্তায় হাটছি।
পরশ: হ্যা বাবা। বাবা তুমি সামনে দিকে হাটতে থাকো আমি একটা পানির বোতল নিয়ে আসি।
বাবা: ঠিক আছে ( বলে সামনে দিকে হাটতে লাগলো)
অথৈ: এতো সময় নিশ্চায় বাড়ির সবাই জেনে গেছে বাড়ি নেই। আমাকে না বলে আমার বিয়ে ঠিক করা না। আমি সালমান খানকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না । আচ্ছা বাড়িতে কি হচ্ছে কে জানে। যাই হোক আমার কি। আহ্ রাতে আম্মুর ব্যাগ থেকে টাকা নিতে বসে হাতে কি ব্যাথা লেগেছিলো। এখনো ব্যাথা করছে। ভাগিস বাড়ির দরজায় চাবিটা চুরি করে রেখেছিলাম তা না হলে তো আজ এতোভরে বাড়ি থেকে পালাতে পারতাম না। আহ্ পেটের মধ্য দেখছি ইদুর দৌড়াছে। আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে। পাবে না কেনো রাতেতো রাগ করে কিছু খাই নাই। আহ আশপাশে একটা খাবার দোকানে খোলা নেই। গাড়িও নেই। হাটতেও পারছিনা। সালমান তুমি দেখো তোমার জন্য আমি কতো কষ্ট করছি। আমার মতো কষ্ট ওই ক্যাটরিনা করবে না তুমি দেখে নিও। ( একা একা বলতে লাগলো আর রাস্তায় দিয়ে হাটতে লাগলো। হঠ্যৎ পরশের বাবার সাথে অথৈর এর ধাক্কা লাগতে অথৈ মাটিতে পড়ে যাই)
পরশের বাবা: sorry মা আমি আসলে দেখতে পাইনি। ওঠো মা ওঠো( বলে হাতটা বারিয়ে দিলো)
অথৈ: না আঙ্কেল sorry আপনি কেনো বলবেন। sorry তো আমার বলা উচিত। আমি আসলে চোখে কম দেখছি। আসলে আঙ্কেল হয়েছে টা আমার ক্ষিদে লাগলো মাথায় গরম হয় আর মাথা গরম হলে চোখের ও সমস্য হয়।
বাবা: সবতো বুঝলাম মা। কিন্তু মা তুমি এতো সকালে কোথায় যাচ্ছে। এতো সকালে একটা মেয়ে জন্য নিরাপদ নয়। তারপর তোমার মতো সুন্দর মেয়েদের জন্য তো নয়।
পরশ: কোথায় যাবে বাবা কারো প্যাকেট কাটতে যাচ্ছে।
অথৈ: এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা এখানোও। কেনো জানি আমি যেখানে যাই সেখানে এই আঙ্কেল টাও যাই। মনে পুরো শহরটা নিজে কিনে নিয়েছে।( বিড়বিড় করে বললো)
পরশ: কি আমি ঠিক বলছি তো।
অথৈ: আপনার সহস হয় কিভাবে আমাকে প্যাকেট চোর বলায়। আমি মোটেও প্যাকেট না। আঙ্কেল আপনে বলুন আমাকে দেখে মনে হয় আমি চোর।
পরশ: ও তুমি চোর নাও। চোরের মহারানী। চোর রা তো প্যাকেট থেকে পাঁচশতো বা হাজার টাকা নেয় আর তুমি পুরা ৪০০০০ টাকা কেটে নাও। বাবা তুমি এই মেয়েটাকে চেনেনা।
অথৈ: ওনি আপনার ছেলে আঙ্কেল। আপনি কতো ভালো আর আপনার ছেলেটা একটা চিতা বাঘ। পেলে ঘামছি ধরে।
বাবা: তোরা ঝগড়া করছিস কেনো।
পরশ: বাবা তুমি ওকে চেনো না। য়ানো এই মেয়েটা শপিং মলে আমাকে মিথ্যা স্বামী বানিয়ে ৪০০০০ টাকা শপিং করে নিয়ে গেয়েছিলো।
অথৈ: আপনি কিন্তু আমাকে আপমান করছেন।
পরশ: তোমার আপমান বোদ আছে বুঝি।
অথৈ: দেখুন আঙ্কেল সেদিন আমি শপিং মলে গিয়ে দেখি কতো কতো সুন্দর ড্রেস রাখা। আসলে ওই ড্রেসগুলো আমার জন্য বানানো হয়েছিলো। কি সুন্দর ড্রেস আর ড্রেস দেখলে আমি লোভ সামলাতে পারি না। তাছাড়া ড্রেসগুলো আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে মানাতো না। এর জন্য মিথ্যা বলে ড্রেস গুলো নিয়েছিলাম।বলুন আঙ্কেল আমি ঠিক করি নাই।
বাবা: একদম ঠিক করেছো মা। আমি তোমার সাথে একমত।
পরশ: বাবা
অথৈ: কি বাবা হ্য বাবা বাবা
পরশ: অসভ্য মেয়ে একটা।
অথৈ: খবদার আমাকে অসভ্য বলবেন না। যদি বলেন না তাহলে কিন্তু
পরশ: তাহলে কি ( বলে অথৈর দিকে এগিয়ে গেলো) একে আমার টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার মুরুদ নেই তারউপর বড় বড় কথা।
অথৈ: কি করবো এই ইট দিয়ে আপনার মাথা ফাটিয়ে দেবো।আর টাকা তো আমি আপনার গোষ্টীর দিব্যি কেটে বলছি আমি আপনার টাকা সুদ আসলে ফেরত দেবো।
পরশ: তা কবে দেবে
অথৈ: দেবো একটা সময়।
পরশ: দেবো একসময় কোন সময় ঠিক নেই। একমিনিট তোমার কাধে ব্যাগ কেনো। ও আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম তোমার তো গতো কাল কে দেখতে এসেছিলো শুনলাম তোমাকে পছন্দ হয়েছে। তা যার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার ঘাড় মটকাতে যাচ্ছো বুঝি ব্যাগ ট্যাগ কাধে নিয়ে। ওই ছেলেটার কপালি খারাপ যে তোমার মতো অসভ্য মেয়ে তার কপালে জুটবে।
অথৈ: বাহ্ এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা একটা দারুন কথা বলেছে। আমি তো ভেবে দেখেনি আমি ওনার থেকে টাকা নিয়ে ওনাকে ডির্ভাস দিয়ে সালমান খানকে বিয়ে করে নেবো। ( বিড় বির করে বললো)
পরশ: এই যে
অথৈ: thank you. আইডিয়াটা দেওয়ার জন্য আমি আসি আর হ্যা আপনার টাকাটা অচিরে ফেরত দেবো…..

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here