বজ্জাত বউ,পর্ব ৩৮,৩৯

0
893

বজ্জাত বউ,পর্ব ৩৮,৩৯
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৩৮

অথৈ: না তুই ওসব বাদ দে। চল আগে ক্লাসে দিকে যাই ( বলে ক্লাসের দিকে চলে গেলো)
রিয়া: আরে অথৈ তুই এতো রাগ করছিস কেনো।
অথৈ: আমি কোনো রাগ করছি না। ও আমি আমার ডিপামেন্ট এসে গেছি। তুই তোর ডিপামেন্ট যাই আর হ্যা ক্লাস শেষে এখানে এসে দাঁড়াবি। ( বলে অথৈ নিজের ডিপামেন্টের নিজ ক্লাস রুমে গিয়ে বসলো। ক্লাস শেষ করে অথৈ রিয়া জন্য একটা গাছে নিচে একা একা দাঁড়িয়ে আছে। হঠ্যৎ করে পেছন থেকে কেউ একজন বলে ওঠলো hi লাল পরি। অথৈ কথা বলায় শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে পেছন দিকে তাকিয়ে বললো)
অথৈ: কে আপনি। আর এভাবে পেছন থেকে এসে কথা বলছেন কেনো। এটা কোন ধরনে অসভ্যতা।
রাফান : আমি রাফান রাফান চোধুরী। accounting ডিপার্টমেন্ট ফাইলাম year . ( বলে হাত টা বাড়িয়ে দিলো)
অথৈ: আপনি নাম ডিপার্টমেন্ট এগুলো আমি জানতে চেয়েছি। আর আমি কারো সাথে হাত মেলাই না।
রাফান: sorry ভুল হয়ে গেছে লাল পরি।
অথৈ: লাল পরি মানে। আর কে লাল পরি। ( রেগে গিয়ে বললো)
রাফান : তুমি।
অথৈ: what?
রাফান : আমার friends হতে পারি লাল পরি
অথৈ: friend . sorry আমার কোনো friend এর দরকার নেই। তাছাড়া আমি কেনো শুধু শুধু আপনার friend হতে যাবে আমরা এক year রে পরি না। আপনি তো আমার সিনিয়র । সিনিয়র রা ভাই হয় friend হয় না। আর হ্য আমি লাল পরি না আমার একটা নাম আছে ok.
রাফান : মানছি তোমার কথা। কিন্তু সব সিনিয়র কি শুধু ভাই ( বলায় আগে রিয়া পেছন থেকে ডাক দিলো)
রিয়া : অথৈ চল আমরা যাই
অথৈ: চল ( বলে বলে সামনে দিকে হাঁটতে শুরু করলো)
রাফান: তাহলে লাল পরি আসল নাম অথৈ। নাইচ নাম। তবে তোমাকে যে লাল পরি বলে ডাকবো। আর তুমি আমার হবে। এই রাফান চোধুরী তোমাকে নিজের করে নেবে যেভাবেই হক।
রিয়া: অথৈ তোর সাথে ওই ছেলেটা কে রে।
অথৈ: বললো তো রাফান চোধুরী। ফাইনাল year এ পড়ে। ইশ
রিয়া: কি হয়েছে
অথৈ: আর বলিস না তোর জন্য ওই গাছ টার নিচে দাড়িয়ে ছিলাম তখন কি যেনো কামুড় দিলে আর খুব জ্বালা করতে লাগলো আর এখন ফুলেও গেছে দেখ ( বলে হাত বাড়িয়ে রিয়াকে দেখালো)
রিয়া: তোকে তো ডাই কামড়ে দিয়েছে।
অথৈ: ডাই
রিয়া: হ্যা
অথৈ: ডাই কামড়ে দিলে এম হয়( বলে মুচকি হসলো) রিয়া এই ডাই কোথায় পাওয়া যাই।
রিয়া: গাছে
অথৈ : চল
রিয়া: কোথায় যাবো
অথৈ: গাছে ডাই আনতে
রিয়া: পাগল নাকি। তুই এখন গাছে ওঠে ডাই পারবি না বাবা তুই চল বাড়ি ফিরে যাই।
অথৈ: না আমি ডাই আনবো চল
রিয়া: আমার কথা শোন ডাই এভাবে ধরা যাই না। তুই বরং রাড়ি গিয়ে রাড়ির বাইরে কোথাও মিষ্টি রেখে দিস দেখবে সেখানে অনেক ডাই আসবে তখন ধরিস। এখন চল বাড়ি ফিরি।
অথৈ :আসবে তো ডাই।
রিয়া: আসবে চল এখন
অথৈ : চল ( বলে অথৈ আর রিয়া আটো ধরে যার যার বাড়ি ফিরে আসলো)
রাতে
মামনি: অথৈ আজ কেমন লাগলো ক্লাস।
অথৈ: খুব ভালো। যানো মামনি ভার্সিটিতে অনেক মানুষ আর অনেক বড়। আমার ডিপামেন্টও বেশ বড়। ( খেতে খেতে বললো)
দিশা: তাই অথৈ তুমি কি জানো তোমার বর মানে আমার ভাইয়া কিন্তু ওই ভার্সিটিতে পড়াশুনা করছে।
অথৈ: তাই কউ ওনি তো বলেনি।
দিশা: তুমি জানতে চাওনি তাই।
অথৈ: দুর এভাবে বসে টেলিভিশন দেখতে ভালো লাগে। আচ্ছা লুডু খেললে কেমন হয়। দিশা আপু চলো আমরা এখন লুডু খেলবো। ( বলে রুম থেকে লুডু নিয়ে আসলো)
দিশা: দুজনে লুডু খেলা হয়।
অথৈ: দুজন না তিন জন
দিশা: তিন আর একজন পাবো কোথাও।
অথৈ: বাবা থাকলে বেশ হতো কি এমন ব্যবসা করে শুধু বাইরে থাকে। আচ্ছা বাবা নেই তো কি হয়েছে বাবার ছেলে আছে তো।
দিশা: ভাইয়া আর লুডু অসম্ভাব। মামনি শুনছো
মামনি : শুনলাম। অথৈ আমার ছেলে খেলবে লুডু হবে না।
অথৈ: হবে আমি পাঁচ মিনিটের মধ্য পঁচা কুমড়েকে নিয়ে আসছি ( বলে রুমে চলে গেলে। রুমে গিয়ে অথৈ দেখলো পরশ আফিসে ফাইল নিয়ে কাজ করছে)
পরশ: কিছু বলবে
অথৈ: আপনি খুব ব্যস্তো
পরশ: কেনো।
অথৈ: না মানে ( বলে পরশের কাছ থেকে অথৈ ফাইলটা নিয়ে নিলো)
পরশ: অথৈ ফাইল দাও বলছি।
অথৈ: না দেবো না।
পরশ: অথৈ আমি কিন্তু খুব রেগে যাবো আর রেগে গিলে কিন্তু
অথৈ: কি করবেন মারবেন। আপনি ওটা ছাড়া কি পারেন।
পরশ: আমি সব পারি।
অথৈ: ok আপনি যে সব পারেন তার প্রমান দেখান।
পরশ: মানে
অথৈ: মানে হলো আপনে যে পারেন তার প্রমান দেখন
পরশ: কি করলে তুমি বিশ্বাস যাবে আমি সব পারি।
পরশ: কি করতে হবে আমাকে
অথৈ: লুডু খেলতে হবে এবার চলুন
পরশ: লুডু না অন্য কিছু বলো
অথৈ: না লুডু খেলতে হবে চলুন বলছি চলুন
পরশ: ঠিক আছে চলো( বলে পরশ আর অথৈ নিচে গেলো)
দিশা: আম্মু ভাইয়া
আম্মু: পরশ
অথৈ: দিশা আপু চারজন হয়ে গেছে এবার খেলা শুরু করি ( বলে খেলতে বসলো। একে একে দিশা মামনি আর পরশের সবার গুটি বের হয়ে গেছে কিন্তু অথৈ র একটা গুটি বের হয়নি। তাই অথৈ মন খারাপ করে বসে আছে)
মামনি: এবার দেখবি তোর ছক্কা উঠবে
অথৈ: বলছো
মামনি: হ্যা
অথৈ: এবার যেনো ছক্কা ওঠে ( বলে দান চাললো) এ ছক্কা ওঠেছে আমার এবার আর একটা ছক্কা দুর তিন। একছক্কা তিন। এই নিন আপনার
পরশ: দাও ( বলে দান চাললো) এই যে তিন
অথৈ: আ আপনি আমার গুটি টাই খেলেন কতো কষ্ট করে ছক্কা তুলে ছিলাম। আর আপনি ইচ্ছে করে আমার গুটি খেয়েছেন আমি খেলবো না ( বলে সব গুটি এলোমেলা করে দিলো)
পরশ: আরে কি করছো অথৈ
অথৈ: খেলবো না ( বলে নিজের রুমে চলে এলো)
পরশ: এই মেয়েটা পুরা পাগলি ( বলে হাসতে লাগলো)
দিশা: ভাইয়া তুই কিন্তু ইচ্ছে করে অথৈর গুটি খেয়েছিস। আমাটাও খেতে পারতি।
অথৈ: আমার গুটি খাওয়া না এবার তোকে আমি এই রে আমি ভুলে গিয়েছিলাম য়ে আমি ডাই ধরবো। এতো সময় ডাই চলে গেছে হয়তো তাও দেখি একবার ( বলে চলে গেলো)
পরশ: আম্মু আমি আসছি ( বলে রুমে চলে আসলো) কি ব্যাপার গেলো কোথাও না আবার খাতা কলমে আমাকে লুডু বানাচ্ছে। আমি বরং ঘুমিয়ে নেই ( বলে শুয়ে পড়লো)
অথৈ: আহ ডাই তো আছে। এখনো যাই নি ( বলে একটা কোটাতে ডাইগুলো ধরে কোটার ভেতরে রাখলো) আমার গুটি খাওয়া না এবার তোকে ডাই কামুড় খাওয়াবো( বলে রুমে চলে আসলো) দেখো কি শান্তিতে ঘুৃমাচ্ছে। ঘুমাও একটু পর আর ঘুমাতে পারবে না। ( বলে পরশের গায়ের থেকে কম্বলটা সরিয়ে ডাইগুলো গায়ে উপর ছেড়ে দিলো। এবার বুঝতে কি মজা।
রাত ১:২৫ মিনিট
পরশ: আহ্ কি কামড়ে দিলো। খুব জ্বালা করছে। আহ্ মনে একটা না অনেক গুলো কি বলে রুমে লাইট জালিয়ে দিলো। এই তো দেখছি ডাই। আহ্ সারা গায়ে ডাই কি করে আসলো আহ্ কামড়ে পর কামড়ে যাচ্ছে। ( বলে গায়ের জামাটা খুলে ডাই গুলো ফেলতে লাগলো) আহ্ খুব জ্বালা করছে
অথৈ: কি কেমন লাগছে ( এক চোখ খুলে মনে মনে বললো)
পরশ: এটা নিশ্চায় অথৈর কাজ। এই মেয়ে এতো পাজি কেনো। আহ্ আহ্ ( এভাবে জ্বালা মধ্য দিয়ে রাতটা কেটে গেলো)
সকালে
অথৈ: কি ব্যাপার ওনি এতো বেলা পযন্ত ঘুমাচ্ছে কেনো না ওনিতো এতো বেলা পযন্ত ঘুমাই না। তাহলে ( বলে পরশের কাছে গিয়ে পরশরে হাতের উপর হাত রেখে ডাকতে যাবে তখনি…………..

( চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৩৯
অথৈ:কি ব্যাপার ওনি এতো বেলা পযন্ত ঘুমাচ্ছেন কেনো। না ওনিতো এতো বেলা পযন্ত ঘুমাই না। তাহলে ( বলে পরশের হাতের উপর হাত রেখে ডাকতে যাবে তখনি মামনি অথৈকে ডাকতে লাগলো)
অথৈ: মামনি এখন ডাকছে কেনো। আগে মামনি কাছে যাই তারপর ওনাকে ডাকবো ( বলে নিচে চলে গেলো) মামনি ডাকছিলে কেনো।
মামনি: দরজায় খুলতেই এই ফুলের গাছগুলো বাড়ি দরজায় সামনে রয়েছে। আর তার সাথে একটা ছোটো চিরকুট। এতে শুধু লেখা আছে শুভ সকাল টা শুরু হক ফুল গাছের থেকে ফুলে সুবাস নিয়ে। কি দিয়েছে বলতো।
অথৈ: মনে হয় মামু দিয়েছি। আসলে আর এক সপ্তাহ পর আমার জম্মদিন না ছোটো বেলা থেকে মামু আমার জম্মিনে এক সপ্তাহ আগ থেকে এরকম gift পাঠাই।
মামনি: ও চল ভেতরে যাই।
অথৈ: মামনি তুমি যাও আমি গাছগুলেকে ওপাশে রেখে আসি। ( বলে গাছগুলো বাড়ির এক পাশে রেখে দিলো) হয়ে গেছে। এখন গিয়ে ওনাকে ডেকে দেই। ( বলে রুমে চলে এলো) কি হলো ওনি দেখছি আরো কম্বল জরিয়ে শুয়ে আছে। এই পঁচা কুমড়ো ওঠুন ( বলে হাতটা ধরতে) ওমাগো ওনার দেখছি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। মামনিকে ডাকবো না থাক ডাকলে মামনি টেনশন ককরবে কি করে জ্বর হলে এতে মামনি অসুস্থ্য হয়ে যাবে আমি বরং ওনার মাথা জলপটি দেই( বলে একটা পাএ করে পানি এনে ছোটো কাপুড় দিয়ে মাথা জলপটি দিতে লাগলো) না অনেকক্ষন ধরে জলপটি দিচ্ছি কিন্তু জ্বর কমছে না কেনো। দিশা আপু হ্যা ( বলে অথৈ দিশা রুমে চলে গেলো) না দিশা আপু রুমে নেই তো। মামনি তুমি দিশা আপ মামনি তুমি কেথাও যাচ্ছো
মামনি: হ্যা একটু পরশের ছোটো খালা বাড়ি যাবে। ওর খালা নাকি অসুস্থ্য। তুই কিছু বলছিলি।
অথৈ: না মামনি কিছু না তুমি যাও।
মামনি: হ্যারে পরশ ওঠেছে
অথৈ: না
মামনি: ও ওঠলে খাবাটা দিয়ে দিস আমি আসি ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: এখন কি করবো আমি। ওনার এতো জ্বর। মামু কে ফোন করবো না না থাক আমি বরং ডাক্তার আঙ্কেলকে ফোন করি এখানে আসতে বলি( বলে ফোনটা নিয়ে ফোন করলো)
ডাক্তার আঙ্কেল: অথৈ এতো দিন পর ফোন এই আঙ্কেলটাকে ভুলে গিয়েছিস।
অথৈ: আঙ্কেল তুমি একবার আমার শশুড় বাড়িতে আসতে পারবে।
ডাক্তার আঙ্কেল: কেনো সমস্য হয়েছে।
অথৈ: তুমি আগে আসো। তুমি ঠিকানা জানো তো আঙ্কেল।
ডাক্তার আঙ্কেল: হ্যা জানি তোর বিয়ে সময় গিয়েছিলাম। তুই একটু অপেক্ষা কর আমি আসছি।
৪০ মিনিট পর বাড়ি কলিং বেল বাজতেই
অথৈ: ডাক্তার আঙ্কেল তুমি এসেছো ( দরজা খুলে বললো)
ডাক্তার আঙ্কেল: কি হয়েছে
অথৈ: বলছি এসে তুমি আমার সাথে ( বলে ডাক্তার আঙ্কেলকে রুমে নিয়ে গেলো) ডাক্তার আঙ্কেল ওনাকে দেখো না ওনার খুব জ্বর( বলে কাঁদতে লাগলো)
ডাক্তার আঙ্কেল: কাঁন্না করিস না মা আমি দেখছি ( বলে ডাক্তার পরশকে দেখলো) কখন থেকে
জ্বর এসেছে।
অথৈ: জানি না। শুধু জানি জ্বর এসেছে।
ডাক্তার আঙ্কেল: আমি একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছে তুই ওকে হালকা পানি দিয়ে সারা গা মুছে দিবে।
অথৈ: হ্যা। আঙ্কেল ইনজেকশনটা আস্তে দিও ওনার ব্যাথা যেনো না লাগে।
ডাক্তার আঙ্কেল: দেবো আস্তে ইনজেকশন দেবো। তুই ওকে খুব ভালোবাসিস।
অথৈ: ভালোবাসা ভালোবাসা কি আমি জানি না কিন্তু আমি যখন ওনার কাছে আসি তখন আমার কেমন যেনো ভালো লাগে। ওনাকে ছুয়ে দিতে ইচ্ছা করে ওনাকে জ্বালাতে ইচ্ছা ওনার নিশ্বাস ছোয়া নিতে ইচ্ছা করে ওনার কষ্ট হলে আমার অনেক কষ্ট হয় কেনো হয়। এটা কি ভালোবাসা। জানি না ( মনে মনে বললো)
ডাক্তার আঙ্কেল: অথৈ
অথৈ: হ্যা
ডাক্তার আঙ্কেল: ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি এখন জ্ঞান না ফিরলেও সন্ধ্যায় মধ্য জ্ঞান ফিরে আসবে তুই গা টা মুছে দে আমি আসি আর এই অসুধগুলো এনে খাইয়ে দিস ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: ওষুধ পরে আনবো আগে ওনাকে মুছে দেই। ( বলে বালতি করে পানি এনে রাখলো ) ওনার শার্ট টা খুলতে হবে ( বলে বিছানায় উপর ওঠে পরশকে তুলা চেষ্টা করলো) না এতো ভারী মানুষকে আমার মতো বাচ্ছা মেয়ে তুলা তো দুরে থাক নড়াতে পারছিনা। কি ভারীরে বাবা। না পারবো না। এভাবে শুয়া াবস্থায় শার্ট খুলতে হবে ( বলে পরশের বুকে হাত রাখতেই) কেনো এমন হচ্ছে ওনার বুকে হাত রাখতে আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো কেনো। না অথৈ তুই দুবল হবি না আমার মধ্য কেনো এমন হচ্ছে আমি জানি না শুধু এটুকে ওনার কষ্ট মানে আমার কষ্ট ওনাকে সুস্থ্য করতেই হবে…………

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here