বজ্জাত বউ,পর্ব ৪০,৪১

0
1081

বজ্জাত বউ,পর্ব ৪০,৪১
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৪০

অথৈ: না অথৈ তুই দুর্বল হবি না। আমার মধ্য কেনো এমন হচ্ছে আমি জানি না শুধু এটুকু যে ওনার কষ্ট মানে আমার কষ্ট ওনাকে সুস্থ্য করতেই হবে ( বলে অথৈ পরশের বুকে উপর হাত রেখে শার্টেট বোতাম গুলো খুললো।) ইশ কিরকম ফুলে গিয়েছে অথৈ তুই কাজটা ভালো করিস না। কতোটা ফুলে গেছে আর গাটাও খুব পুড়ে যাচ্ছে( বলে তোয়ালে ভিজেয়ে পরশের গাটা মুছে দিলো) ওনার কতো কষ্ট হচ্ছে। জ্বরে এসে মুখটা একদম বাচ্চাদের মতো লাগছে। শুধু বাচ্চাদের মুখে দাড়ি নেই আর এর মুখে জঙ্গলের মতো মুখ ভরা দাড়ি। আচ্ছা দাড়ি যদি না থাকে তাহলে। না না এ আমি কি ভাবছি ওনার দাড়ি কাটলে আমাকে বকবে। বকলে বকবে ওনি এমতেই আমাকে বকে। বাবা তো দাড়ি সেভ করে তারমনে বাবা রুমে দাড়ি সেভ করার যন্র থাকবে যাই নিয়ে আসি ( বলে বাবার রুমে গিয়ে দাড়ি সেভ করার যন্র টা নিয়ে আসলো) হে আল্লাহ তোমার নামে শুরু করছি ( বলে বিছানায় ওঠে পরশের পাশে বসে দাড়ি কাটতে লাগলো) অথৈ তুই যেটা করছিস এটার জন্য তোর কপালে যে কি আছে সেটা আল্লাহ আর এই পঁচা কুমড়ো জানে। বাহ্ ওনাকে একদম সালমান খানের মতো লাগছে। এখন একটা গান গাইতে ইচ্ছা করছে কি দারুন দেখতে তুমি এখন নেই তো তোমার মুখের দাড়ি। অথৈ তুই না সত্যি একটা পাগলি। যাই ওনার জন্য কি খাবার তৈরি করতে হবে ( বলে রান্না ঘরে আসলো) আম্মু বলতো জ্বর আসলে তাকে ভারি খাবার দিতে নেই। এখন কি বানাবো আমি। সুপ বানাবো হ্যা তাই বানাই। কিন্তু কি করে বানাবো সুপ। ইউটিউব আছে তো ( বলে রুম থেকে ফোন টা নিয়ে আসলো তারপর ইউটিউব দেখে সুপ বানানো শুরু করলো) প্রথমে সবজি কাটতে হবে তারপর রান্না। সবজি সবজি এই তো সবজি আর চাকু এখন কাটতে হবে ( বলে সবজি কাটতে লাগলো) আঃ রক্ত আঃ রক্ত বের হচ্ছে আমার কি ব্যাথা করছে আঃ( বলে কান্না করতে লাগলো)
পরশ: অ্যা মাথাটা খুব ভারি লাগছে আমার গাটাও ব্যাথা ( বলে শুয়া থেকে ওঠে বসলো) ৬ টা বাজে তারমানে এখন সন্ধ্য। যতোদুর মনে আছে গতো শেষ রাতে ব্যাথা জ্বর এসেছিলো তারপর কি হয়েছে কিছু তো মনে পড়ছে না ( বলে বিছানার থেকে নামতেই কান্না আওয়াজ পেলো) কে কাঁদছে অথৈ। কি হলো আবার ওর ( বলে পরশ নিচে গেলো) অথৈ অথৈ কোথায় তুমি অথৈ। কান্না আওয়াজ রান্না ঘর থেকে আসছে ( বলে রান্না ঘরে গিয়ে বললো) অথৈ কি হয়েছে আর রক্ত কিসে দেখি হাতটা( বলে হাতটা টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসলে) কি করে কাটলো অনেকটা কেটে গেছে দেখছি।
অথৈ: সবজি কাটতে লেগে ( ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো)
পরশ: চুপ একদম চুপ ( ধমক দিয়ে) এখানে থাকো আমি আসছি ( বলে উঠতে যাবে) আহ্ মাথাটা এতো ব্যাথা
অথৈ: কি হলো আপনার জ্বর কমেনি বুঝি
পরশ: তোমাকে না বলেছি চুপ থাকতে ( বলে পরশ দিশার রুম থেকে মেডিকেল বক্স টা নিয়ে আসলো) দেখি হাতটা
অথৈ: এই যে হাত ( বলে হাতটা সামনে ধরলো)
পরশ: দাও ( বলে হাতটা নিজের কাছে এনে হাতে ব্যান্ডেজ করতে করতে বললো) কে বলেছিলো সবজি কাটতে আর আম্মু কোথায়।
অথৈ: মামনি আপনার খালা বাড়িতে গিয়েছে। আর হাত আপনার জন্য কেটেছে
পরশ: আমার জন্য মানে
অথৈ:হ্যা আপনার জন্য সুপ বানানোর জন্য সবজি কাটতে বসে হাতটা কেটে গেলো।
পরশ: সুপ আমার জন্য
অথৈ: হ্যা আম্মু বলতো জ্বর আসলে ভারি খাবার খেতে নেই। তাই সুপ বানাতে
পরশ: বুঝেছি আমার জন্য সুপ বানাতেই নিজের হাতটা কেটে ফেললে এখন যাও আমি আমার সুপটা বানিয়ে নেবো।
অথৈ: না না আপনার এখনো সুস্থ্য নয় আর আগুনের কাছে থাকলে আপনি আরো অসুস্থ্য হয়ে যাবেন। না আপনি যান আমি বানাতে পারবো।
পরশ: আমি এখন সুস্থ্য আছি আর জ্বরটাও নেই আমি পারবো তুমি যাও ( বলে পরশ সবজি কাটতে লাগলো)
অথৈ : আমি আপনাকে help করি।
পরশ: help করবে ঠিক আছে তুমি বরং ওখান থেকে দুটো সুপের জন্য বাটি নিয়ে আসো যাও।
অথৈ: ok ( বলে বাটিনিয়ে আসলো) আপনি দেখছি খুব ভালো রান্নাও করেন ( বলতে কলিং বেল বাজতে লাগলো) আমি দেখছি কে এসেছে ( বলে দরজা খুলে দিলো) দিশা আপু মামনি
মামনি: কিরে মা তোর হাত কাটলো কি করে
পরশ: রান্না করতে বসে ( পেছন থেকে বললো)
দিশা: ভাইয়া এ আমি কি দেখছি নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না আম্মু তুমিও দেখছো।
পরশ: কি হয়েছে তোর আর এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো।
দিশা: একমিনিট ( বলে ব্যাগ থেকে একটা আয়না বের করে পরশের সামনে ধরলো)
পরশ: আমার দাড়ি কেই। কে কাটলো ( বলে অথৈর দিকে তাকালো)
অথৈ: মামনি বাচাও আমাকে ( বলে মামনি পেছনে গিয়ে লুকালো)
পরশ: অথৈ বের হও বলছি ( রাগী গলায়)
অথৈ: না মামনি তুমি সরো না তুমি সরলে ওনি আমাকে অস্তো খেয়ে ফেলবে।
পরশ: আম্মু সরো তো ( বলে পরশ অথৈকে ধরতে য়াবে তখনি অথৈ মামনি পেছন থেকে দৌড় দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে খাটে পেছনে লুকিয়ে পড়লো) অথৈ লুকিয়ে লাভ হবে না বের হও বলছি
অথৈ: না আমি কিছুতে বের হবো না।
পরশ: কোথাও লুকিয়েছে বলে খুজতে লাগলো)
অথৈ: হ্যাচি
পরশ: বুঝতে পেরেছি ( বলে খাটে পেছনে গিয়ে দাড়ালো)
অথৈ: এই কান ধরছি আর দাড়ি কাটবো না। এবারে মতো মাফ করেদিন। please মারবেন না আপনি যদি আবার থাপ্পার মারেন তাহলে আমার দাঁতগুলো পড়ে যাবে তখন সবাই আমাকে নিজে মজা করবে। ( চোখ বুঝে বললো)
পরশ: কি এই মেয়েটা ( বলে হাসতে লাগলো)
অথৈ: ওনি হাসছেন কেনো ( চোখ খুলে বললো) বাহ্ ওনার হাসিটা অনেক সুন্দর তো। ওনার হাসি থেমে গেলো আমাকে বকবে অথৈ তুই ভাগ ( বলে অথৈ রুম থেকে চলে গেলো)
পরশ : এই মেয়ে চলে গেলো পাগলি কোথাকর ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো)
১ দিন পর
অথৈ: কয়টা বাজে ( চোখ খুলে বললো) ৫:৪৫ মিনিট ও একি ওনি কোথায়। ওনি সকালে ওঠেন তাই বলে এতো সকালে ওঠেন না তো ওয়াশরুমে কিন্তু ওয়াশরুমে মনে কেউ নেই তাহলে কোথায় ( বলে অথৈ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখলো এখনি কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি) সবাই তো ঘুমাচ্ছে তাহলে ( বলতে মামনি এসে বললো) কি রে মা তুই এতো সকালে ওঠেছিস।
অথৈ: মামনি ওনি কোথায়।
মামনি: পরশ
অথৈ: হ্যা
মামনি: আজকে ওকে পাবি না। আজ ওর মিষ্টির জম্মদিন।
অথৈ: আজ মিষ্টি আপু জম্মদিন। তাহলে মামনি আজ আমরা মিষ্টির আপু জম্মদিন পালন করবো।
মামনি: না খবদার ভুলে এটা করিস না। মিষ্টি চলে যাওয়ার পর থেকে এ বাড়িতে কারো জম্মদিন পালন হয় না। পরশ চাই না এর জন্য।
অথৈ: কিন্তু মামনি আজ তো জম্মদিন পালন হবে ( মনে মনে বললো)
রাত ১২: ১ মিনিট
পরশ: happy birth day to you happy birthday to youমিষ্টি। ( মিষ্টির ছবি সামনে দাড়িয়ে বললো) মিষ্টি আজ তোমার জম্মদিন। আমি আর তুমি মিলে আজ জম্মদিন পালন করবো প্রতিবছরে মতো ( বলে মদের বোতল খুলে মিষ্টির সামনে ধরে ) চিয়ার্স মিষ্টি ( বলে বোতালে পুরা মদ খেয়ে ফেললো) কি হলো মিষ্টি তোমার gift নেবে না। এই যে আমি নিজে গিয়ে তোমার জন্য gift কিনেছি ( বলে আরো একটা বোতলে মদ খেয়ে নিলো) অানন্দ করো মিষ্টি ( বলতে হঠ্যৎ দরজায় দিকে পরশের চোখ যেতেই পরশ বললো) তুমি ……….

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৪১
পরশ: তু তুৃমি ( দরজায় দিকে চোখ যেতেই বললো) চোখটা ঝাপসা লাগছে কেনো।
অথৈ: ওনি বকবে নাতো
পরশ: আহ্ ( বলে দরজায় দিকে আবার তাকালো তারপর চোখ বন্ধ করতেই নুপুরে শব্দ কানে আসতে লাহলো পরশের। ) মিষ্টি আমার মিষ্টি ( চোখ খুলে অথৈর দিকে এগিয়ে বললো) তুমি এসোছো মিষ্টি। আজ
অথৈ: ওনি আমাকে মিষ্টি ভাবছেন ( মনে মনে বললো) আ আপ আপনি ভুল করছে( বলাতে যাবে তখন পরশ অথৈর ঠোটে হাত দিয়ে বলো)
পরশ: চুপ আজ কেনো কথা নয়। তো তোমার মনে আ আমি তোমাকে এই শাড়িটার ক কথা। যেদিন আমি আর তুমি দুজন এক হয়ে গিয়েছিলাম সেইদিন আমি তো তোমাকে এই শাড়িটা দিয়েছিলাম। আজ তোমাকে সেই দিনের মতো লাগছে। তুমি জানো আমি তোমার পর খুব রাগ করে করে( বলতে পড়ে যেতে লাগলো তখনি অথৈ পরশকে ধরে ফেললো) আজ আমরা আবার এক হবে ( বলে পরশ অথৈকে জরিয়ে ধরলো)
অথৈ: ওনি কি করতে চাইছেন ( মনে মনে বললো) আপনি ভুল করছেন আমি মিষ্টি না অথৈ)
পরশ: শিস চুপ একদম চুপ। সেই মিষ্টি গন্ধ।
অথৈ: না না ওনি মদ খেয়ে মাতাল হয়েছেন তাই ভুল ভাবছেন আমাকে এখান থেকে যেতেই হবে। আপনি শুনোন আমার কথা ( বলায় আগে পরশ অথৈ কে কোলে তুলে নেয় তারপর বিছানাতে শুয়ে দেয়িয়ে অথৈর ঠোটে নিজের ঠোটটা মিশিয়ে দেই হারিয়ে নিয়ে যাই অথৈকে আজানা ভালোবাসার দেশে)
সকালে
অথৈ: কেনো হলো এটা আমার সাথে কেনো হলো( মেজেতে বসে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো) ওনার তো কিছুই মনে নেই। ( বলতে দরজায় ওপাশ থেকে দিশা গলায় আওয়াজ পেলো) দিশা আপু ডাকছে ( চোখ মুছে বললো) এই অবস্থায় সামনে যাওয়া যাবে না বলে ( তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে দরজায় খুলে দিলো)
দিশা: কিরে এতো সময় লাগে দরজা খুলতে। তোর মুখটা এমন লাগছে কেনো। মনে হচ্ছে তুই প্রচুর কেদেছিস। তুই তো কাল মিষ্টির ভাবির জম্মদিনেপালন করার জন্য মিষ্টির ভাবি মতো করে সেজেছিলি নিশ্চয় ভাইয়া বকেছে)
অথৈ: না দিশা আপু ( বলে দিশাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলে)
দিশা: কি হয়েছেে তুই এভাবে কাঁদছিস কেনো। ভাইয়া আবার তোর গায়ে হাত তুলেছে
অথৈ: না
দিশা: তাহলে কি হয়েছে বল আমাকে
অথৈ: ও ওনি
দিশা:ওনি কি
অথৈ: ওনি রাতে আমাকে মিষ্টি ভেবে ( বলতে কান্না ভেঙে পরলো)
দিশা: কি বলছিস তুই। ভাইয়া তোকে। আচ্ছা ভাইয়া তখন নিজের মধ্য ছিলো তো
অথৈ: না ওনি তো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গিয়েছিলেন। ওনি মদ খান কিন্তু এভাবে মাতাল হননি কিন্তু গতোরাতে
দিশা: সবর্নাশ তারমানে ভাইয়া তো গতো রাতে কি হয়েছে তা কিছুই মনে থাকবে না কি হবে এখন। শোন তুই আমার রুমে চল আমি দেখছি ( বলে দিশা অথৈকে নিজের রুমে নিয়ে গেলো)
পরশ: অনেক সকাল হয়ে গেছে মনে গচ্ছে ( ঘুড়ি দিকে তাকিয়ে) ৯:৩০ টা বাজে রাতে মদটা একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম। যাই হোক আজ এতো সকাল হয়ে গেছে অথচ অথৈ আমাকে ডাকলো না কেনো একটু দেরি হলেতো আমাকে ডেকে দেই তাহলে আজ ডাকলো না কেনো য়াই হোক আফিসে যেতে হবে ( বলে ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলো। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখে সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে।
পরশ: good morning .
দিশা: good morning ভাইয়া
পরশ: আম্মু আজ বাড়ি এতো শান্ত লাগছে কেনো। কোনো ঝড় তুফান বয়ছে না প্রতিদিন আইলা সাইক্লোন ইত্যাদি বাড়িতে হয় কিন্তু আজ কারোকি মন খারাপ। ( বলতে পরশের ফোন বেজে ওঠলো। ফোন রিসিভ করো বললো) আসলাম সাহবে আমি এক্ষনি আফিসে আসছি। আম্মু আমি আসছি ( বলে চলে গেলো)
আম্মু : আরে খাবার তো খেয়ে যা।
পরশ: আফিসে খেয়ে নেবো।
অথৈ: মামনি আমিও আসছি
মামনি : সাবধানে যাস
অথৈ: ঠিক আছে ( বলে চলে গেলো)
আসলাম সাহেব: এ আমি কি দেখছি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা স্যার। কতোদিন পর আপনাকে আবার এই লুকে দেখছি স্যার। সেই সালমান খানে মতো ওয়াও আমি আজ দুটো বেশি মিষ্টি খাবে যে আমার সালমান খান স্যার ফিরে এসেছে বলে।
পরশ: আসলাম সাহেব হয়েছে আপনার।
আসলাম সাহেব: না মানে একটা কথা বললো এ ক্রেডিট না কি অথৈ মায়ে।
পরশ: আপনি এবার বসুন আর এই ফাইল দেখুন।
আসলাম সাহেব: স্যার বললেন না এই ক্রেডিট টা কি অথৈর মায়ে
পরশ: অথৈ হ্যা আমি তো ভুলে ই গিয়েছিলাম। কি হয়েছে অথৈ আজ খাবার টেবিলে একটা কথাও বলেনি অথচ প্রতিদিন খাবার টেবিলে এতো কথা বলে যে ওর কথায় কান ব্যাথা হয়ে যাই। কি হয়েছে ওর মন খারাপ কিন্তু কিসের জন্য।
একবার ফোন করবো ওকে না এখন তো ক্লাসের সময় পরে ফোন করবো ( বলতে দরজায় সামনে একজন লোক এসে বললো)
লোক: স্যার আপনাকে বড় স্যার ডেকেছে একবার।
পরশ: তুমি যাও আমি আসছি ( বলে াথৈর মামু রুমে সামনে গিয়ে বললো) may I come in স্যার।
মামু: পরশ এসো
পরশ: স্যার ডেকেছিলেন
মামু: হ্যা আসলে আমি তো কয়দিনে জন্য দেশের বাইরেযাবো তুমি এই gift টা অথৈকে দিয়ে দিও।
পরশ: gift
মামু:আমার ভাগ্নী তার জম্মূদিনে gift না দিলে আমাকে আস্তো রাখবেনা। আসলে তিন দিন পরেgift না থাকার কারনে তিনদিন আগে দিতে হচ্ছে।
পরশ: অথৈর birth day তিনপর আমার বাড়িতে birth day পালন হয়না বলে ওর মন খারাপ ( মনে মনে বললো)
মামু: পরশ
পরশ: জি স্যার
মামু: তুমি ওকে দিয়ে দিও আমি আসি আর আফিসে বাকি কাজ তোমার উপর রইলো আমি আসি ( বলে চলপ গেলো)
পরশ: birth day ( বলে মুচকি হাসলো) একটা ফোন করে দেখি ( বলে পকেট ফোনটা বের করে কল দিলো) অপর দিকে অথৈ ক্লাস শেষ করে একা একা একটা গাছের নিচে বসে আছে হঠ্যৎ করে পেছন থেকে ছোটো একটা ছেলে এসে বললো
ছোটো ছেলে: আপু আপু এটা তোমার ( একটা gift বক্স সামনে ধরে বললো)
অথৈ: আমার কে দিলো
ছোটো ছেলে: বলতে মানা করেছে ( বলে ছেলে দৌড়ে পালিয়ে গেলো)
অথৈ: কে দিলো বক্সটা খুলে দেখিতো ( বলে বক্স টা খুললো) এতোগুলো চকলেট একটা চিরকুট দেখছি ( বলে চিরকুট টা খুলে পড়তে লাগলো) তোমার মন খারাপ তাই না। সত্য বলছি মন খারাপ করে থাকলে তোমাকে পেঁচা মতো লাগে আর হাসলে একদম স্বর্গের………. আজ বলবে অন্যদিন বলনো) আজবতো কে সেদিন ফুলের গাছ আজ চকলেট ( বলতে পেছন রিয়া এসে অথৈর কাছে এসে বসলো)
রিয়া: কিরে অথৈ তোকে মন খারাপ
অথৈ: না ( বলতে অথৈ ফোনটা বেজে ওঠলো। ফোনটা ব্যাগ থেকে করেতে রিয়া বললো)
রিয়া: কে ফোন করেছে দেখিতো ( বলে ফোনটা কেড়ে নিলো) পঁচা কুমড়ো এটা আবার কে
অথৈ: তুই ফোনদে
রিয়া: আগে বল পঁচা কুমড়ো ও বুঝতে পঁচা কুমড়ো মানে আমাদের দুলাভাই
অথৈ: ফোনটা দে বলছি ( বলে ফোনটা রিয়াথেকে কেড়ে নিয়ে রিসিভ করলো বললো) হ্যালো
পরশ: অনেক সময় রিংহচ্ছে ফোনধরছিলে না কেনো।
অথৈ: ফোন বাজছিলো বুঝতে পারিনি।
পরশ: বুঝতে পারোনি না ইচ্ছে করে ধরোনি। আর হ্যা তুমি ভার্সিটিতে থাকো আমি আসছি তোমাকে রিসিভ করতে ( বলে ফোনটা কোটে দিলো)
অথৈ: আরে হ্যালো কেটে দিলো
রিয়া: কি বললো আমাদের দুলাভাই
অথৈ: রিয়া তুই বরং চলে যা আমি একটু পরে যাবো
রিয়া: ok. আসছি ( বলে চলে গেলো) এতোসময় ধরে গাছে আড়াল থেকে সব দেখছিলো রাফান পেছন থেকে রাফানের কাধে হাত রেখে আকাশ বললো
আকাশ: রাফান তুই দুর থেকে না দেখে সামনে গিয়ে মনে কথা বলেদে।
রাফান : আজ আমার লালপরি মনটা খুব খারাপ বলতো
আকাশ: আমি কি করে জানবো তুই গিয়ে তোর লালপরিকে জিঙ্গাসা কর
রাফান: যাবো ( বলে পা বাড়াতে রাফান দেখলো অথৈ গাছের নিচে বসা থেকে ওঠে গেটের সামনে গিয়ে দাড়াতে একটা গাড়ি আসলো আর গাড়িতে অথৈ ওঠে বসলো) চলে গেলো কিন্তু কারগাড়িতে কে ছিলো গাড়িতে
আকাশ: পরিচিত কেউবহবে
রাফান: তাই যেনো হয়
পরশ: কি ব্যাপার আজ আবোওয়া এতো ঠান্ডা কেনো।
অথৈ:….. চুপ
পরশ: মনে হচ্ছে বরফে কন্ঠশিরা জমেগেছে
অথৈ: আরে বাড়ির রাস্তা বাদিকে আপনি ডানদিকে যাচ্ছে কেনো গাড়ি থামান আমি বাড়ি যাবো ( বলতে পরশ গাড়ি থামালো)
পরশ: নামো গাড়ি থেকে( পরশ নিজেও গাড়ি থেকে নামলো) কি হলো নামতে বলছি তো
অথৈ: আমি বাড়ি যাবে
পরশ: যাবে আগে নামে ( বলে অথৈর হাতধরে গাড়ি থেকে নামালো তারপর একটা কফি হাউজের ভেতরে গিয়ে একটা টেবিলে বসলো। ওয়েন্টার দুকাপ কফি। অথৈ কি হয়েছে তোমার মন খারাপ কেনো
অথৈ: আমার মন খারাপ না
পরশ: না কিছুএকটা হয়েছে আমাকে বলতে পারে
অথৈ: বললাম তো আমার কিছু হয়নি ( চিৎকার করে বললো)
পরশ: অথৈ এভাবে চিৎকার করে কথা বলছো কেনো
অথৈ: আমার ইচ্ছা তাই চিৎকার করে বলছি ( বলে অথৈ হাউজ থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠে বসলো
পরশ: কি এমন হয়েছে যে এতোটা রেগে আছে ( বলে পরশ গাড়িতে ওঠে গাড়ি চালাতে কিছুসময় বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামতে অথৈ গাড়ি থেকে নেমে নিজের রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলো।
পরশ: কি হতে পারে ( বলে রুমে ঢুকে দেখে অথৈ কাঁদছে) অথৈ ( বলতে অথৈ ওয়াশরুমে চলে গেলো এভাবে অথৈ দুদিন কারোসাথে তেমন কথা বলেনি চুপচাপ মন খারাপ করে বসে থাকে। খাওয়া সময় খাওয়া আর পড়া সময় ছাড়া বাকি সময় একাএকা কাটিয়ে দেই।
অথৈ: কি ব্যাপার বাড়ি সবাই কোথায়। মামনি দিশা আপু সবাই। ওইতো মামনি মামনি আমার না
দিশা: আম্মু এদিকে একবার আসবে
আম্মু : আসছি ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: কেউ আমার সাথে কথা বলছে না এমন কি আজ আমার birthday একবার happy birth day বললো না এমন নয়তো কেউ জানে না। বলে নিজে রুমে চলে সারাদিন বের হলো না ভার্সিটিতেই গেলো না চুপ চাপ রুমে মধ্য বসে কাটালো। রাত ৮ দিকে অথৈ মনে হলো কেউ একজন তার কাধে হাত রাখলো অথৈ পেছন ফিরে তাকাতেই জরিয়ে ধরলো……..

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here