villain_Teacher,পর্ব_13,14

0
2138

villain_Teacher,পর্ব_13,14
writer_Orthi_islam_israt
পর্ব_13

সবাই পাগল করে ফেলছে,,গল্প চাই গল্প চাই।ইসস রে তাই আর থাকতে পারলাম না।।আসলে আমার ১ মাস পর exam..,আপনাদের বলছি দেড়ি করে দেয় বলে please রাগ করেন না।।

সবাই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে কারো চোখের পলক পড়ছে না।

আরিয়ান- এটা আমি কাকে দেখছি, এটাই কি সেই অর্থি। আজ তো পিচ্চি দেখে চোখ সড়ানো যাচ্ছে না।।

হ্যাঁ মেয়েটি আর কেউ নয় অর্থি,,,,

অর্থি আজ লাল লেহেংগা, গোল্ডেন কালারের ওড়না,চুলগুলো ছাড়া,বেশি সাজ নেই।।কিন্তু little princes এর মতো লাগছে।

হঠাৎ/

আরিয়ান- এই মেয়েটা আজ আমায় পাগল করে দেবে।।

আরিয়ান আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই অর্থির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান- এই মেয়েটার আজ কপালে দুঃখ আছে। এতো সাজতে কে বলেছে হ্যাঁ।।

হঠাৎ///

আরিয়ানের মা- বাবা কারো চোখ না লেগে যায়, আজ তো আমার আম্মুটা কে খুব সুন্দর লাগছে।
অর্থি- ও হো আন্টি তুমিও না।
আরিয়ানের মা- কি আমি হা।সবাই দেখ কি ভাবে দেখছে তোকে।
অর্থি- ইসস আন্টি দেখানোর জন্য সাজা।
আরিয়ানের মা- ও রে পাজি মেয়ে।।আচ্ছা যা ওনুকে গিয়ে ডেকে আন।
অর্থি- আচ্ছা।

তারপর অর্থি ওনুকে ডাকতে যায়।।।যেতে হঠাৎ কে জেনো অর্থির হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়।

অর্থি- এটা কি হলো হা।।
আরিয়ান- কি হলো।
অর্থি- এই ভাবে টানার মানে কি।
আরিয়ান- এতো সাজার মানে কি।
অর্থি- মানে।।
আরিয়ান – এতো সাজতে কে বলেছে।
অর্থি- আমার ইচ্ছা জয়েছে তাই সেজেছি।
আরিয়ান- তুমি এতো সাজতে পারো না। সবাই দেখছে তোমায়।
অর্থি- দেখছে তো।আপনার কি জ্বলছে।
আরিয়ান- আমার কেনো জ্বলবে।
অর্থি- তাহলে বেনো বলছেন।
আরিয়ান- জানি না।তবে এটা জানি তুমি এই ভাবে আর সাজবে না।
অর্থি- সাজব।আপনি জান আপনার জেরিনের কাছে।

বলে অর্থি চলে যেতে যায়।তখনি আরিয়ান অর্থির হাতটা টান দেয় আর অর্থি আরিয়ানের বুকে এসে পরে।

দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো তাদের ভালোবাসাটা চোখের মাঝেই আদান- প্রদান হচ্ছে।

হঠাৎ আরিয়ান অর্থির চোখের কোণা থেকে কাজল নিয়ে, অর্থির কানের কাছে দিয়ে দেয়।অর্থি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আরিয়ানের দিকে।

আরিয়ান- আমি চায়না আমার বৌ কে কেও দেখুক।
অর্থি- আমি এখনো আপনার বউ হয়নি।
আরিয়ান- হওনি হবে।তবে মনে রেখো তোমার কিছু জিনিস আমার হয়ে গেছে। যেমন তোমার ঠোঁট।

অর্থি তো লজ্জায় শেষ।

আরিয়ান- লজ্জা লাগলে তোমায় খুব ভালো লাগে।

অর্থি কোনো রকম নিচেকে ছাড়িয়ে চলে যেতে যায়।

হঠাৎ%%%

আরিয়ান- অর্থি শোনো,, আমি চাইনা আমার বউ কে কেউ দেখুক।

অর্থি আরিয়ানের দিকে তাকাই

হয়তো দুজনের চোখের মাঝেই অনেক কিছু বলে দেয়।সবসময় ভালোবাসা কথাটা বলতে হয়না। হয়তো অনেক কিছু থেকেই বোঝা যায়। যে দুজন দুজনকে ভালোবাসে।

আর এদের ভালোবাসা দেখে কেউ একজন রাগে ফুলছে।

সেটা আর কেউ নয় শাকচুন্নী জেরিন।।

জেরিন- আজ তোমাকে আমি আরিয়ানের জীবন থেকে বের করে ছাড়বই।।তার জন্য যদি নিজের ক্ষতি করতে হয় তাও করব।।

সবাই হলুদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।।সবাই অনেক মজা করছে।।

হঠাৎ

চলবে।

#Villain_Teacher
#writer_Orthi_islam_israt
#পর্ব_14

হঠাৎ সব লাইট বন্ধ হয়ে যায়।

হঠাৎ%

এক জায়গায় লাইট জলে ওঠে,,

(ap jo istarace tar payegge ase alam me pagal ho jayegge….

ap jo istarace tar payegge ase alam me pagal ho jayegge..

o mil gaya jicki hame kabce talas thi……………becani in casome janmo ki pias thi..

jicmice…ru hame ab sabar ne lage…

jicmice..ru hane ab sabar me lage…jis kadar…. apce hamko mohabbat hui…jis kadar apce hamko mohabbat hui…

tut k bajuyeme ab sabar ne lage….)

গানে অর্থি নাচতে থাকে সবাই তো অবাক, কাররণ কেউ জানে না যে অর্থি আজ নাচবে।।

আর আরিয়ান তো আরো অবাক।।

আরিয়ার- এই মেয়ে যে আর কতো রুপ দেখাবে।। কে জানে।

অর্থির নাচ শেষ হওয়ার পর সবাই ওকে অনেক কথা বলে।সবাই খুব প্রশংসা করে।।

আর অারিয়ান তো রাগগে ফুলছে।।

আরিয়ান- এই মেয়েটা কে, কে বলেছে নাচতে হ্যাঁ।আর ছেলেদের সাথে এতো কথা বলার দরকার কি।।

হঠাৎ আরিয়ান ওনু কে ডাক দেয়।

আরিয়ান- ওনু শোন তো।
ওনু- হ্যাঁ ভাইয়া বল।
আরিয়ান- অর্থিকে একটু ছাদে ডেকে নিয়ে আসবি।
ওনু- কেনো রে ভাইয়।
আরিয়ান- এই তুই হাসিছ কেনো হ্যাঁ। তোকে যা বলেছি কর।
ওনু- আচ্ছা।

তারপর ওনু চলে যায়।

আরিয়ান ও ছাদে চলে যায় আর অর্থির জন্য wait করতে থাকে।

ওনু- অর্থি শোন।
অর্থি- কি রে কি হয়েছে।
ওনু- আমার সাথে একটু ছাদে চল তো।
অর্থি- কেনো রে।
ওনু- আগে চলতো।

তারপর অর্থি আর ওনু ছাদে যায়।।

অর্থি- এই তুই আমাকে ছাদে কেনো আনলি।
ওনু- আরে চল তো,,,,,,,,,,

ওনু কথাটা শেষ করতে পারেনি।তার আগে সামনে তাকিয়ে হা করে আছে।

অর্থি- কি রে কি হয়েছে এমন করে আছিস কেনো।আরে শোন।

এই কথে বলে অর্থিও সামনে তাকায়।

সামনে তাকিয়ে অর্থির তো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে।

কারণ সামনে আরিয়ান আর জেরিন একে ওপর কে জড়িয়ে ধরে আছে।

হঠাৎ&

ওনু- ভাইয়া,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

হঠাৎ আরিয়ান সামনে তাকায়।।তাকিয়ে জেরিন কে ছেরে দেয়।

অর্থি- থাক স্যার ছাড়তে হবে না,ধরে রাখুন।
আরিয়ান- মানে,,,,,,

অর্থি- ওনু তুই আমাকে তোর ভাইয়ার প্রেমলিলা দেখাতে নিয়ে এসেছিস।
ওনু- অর্থি তুই ভুল বুলছিস।ভাইয়ে এমন না।
অর্থি- থাক আর বলতে হবে না রে।

হঠাৎ%

আরিয়ান- অর্থি তুমি ভুল বুঝছো,,আমি তো,,,,
অর্থি- থাক আর বলতে হবে না।
আরিয়ান- তুমি আমার কথাটা শোন।

অর্থি- আপনি চুপ করুন, আপনার মুখে এই সব মানায় না।ছি আপনার লজ্জা করে না,আমাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন আবার ওকে জরিয়ে ধরে আছেন।
আরিয়ান- তুমি কি বলছো এই সব।

অর্থি- ঠিক বলেছি।আপনি একটা চরিএহীন লমপট।আপনাকে আমি বিয়ে করব না।

এই বলে অর্থি চলে যেতে নেয়।।

হঠাৎ আরিয়ান অর্থির হাত ধরে ফেলে

আরিয়ার- আমাকে বিয়ে করবে না, তাই না।
অর্থি- হ্যাঁ, আপনি একটা বাজে লোক।
আরিয়ান- এই বাজে লোক কেই আপনায় বিয়ে করতে হবে।
অর্থি- মানে,,,,
আরিয়ান- আমি তো বাজে লমপট।তাই এই লমপট কেই বিয়ে করতে হবে।

এই কথা বলে আরিয়ান অর্থিকে নিয়ে নিচে চলে যায়,,,

ওনু- অর্থি তু তো আব গেয়েয়া কামছে,,,,

আর এই দিকে আরিয়ান,,

আরিয়ান- মা-বাবা,,,,,,,,,,,,,,,,,তোমরা সবাই কোথায়।

সবাই তাড়া হুড়ো করে আসে

আরিয়ানের বাবা-+অর্থির বাবা- কি হয়েছে বাবা।
আরিয়ান-আমি এই মুহর্তে অর্থি কে বিয়ে করতে চাই।

সবাই এক সাথে —মানে।

আরিয়ান- ওকে বিয়ে করতে চাই এখনো।আর কারো সমস্যা আছে।

সবাই আর কিছু বলেনি, কারণ সবাই অারিয়ানের রাগ আর জেদ সর্ম্পকে জানে।তাই সবাই মেনে নেয়।

আর বেচারি অর্থি তো মনে হয়ে ঘোড়ের মধ্যে আছে।

তারপর সেদিন রাতে আরিয়ান আর অর্থির বিয়ে হয়ে যায়।

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here