villain_Teacher,পর্ব_17,18(last)
Writer_Orthi_islam_israt
পর্ব_17
সানি-হ্যাঁ, তোমাকে আমি ভালোবাসি,বিয়ে করতে চাই।
আরিয়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই অর্থি বলে,,
অর্থি- চুপ বেটা ফাজিল,এক দেখায় কারো ভালোবাসা হয়, চাপা মারা কথা বলিস,,আর সব থেকে বড় কথা আমার জীবনটা এমনিতে তেচ পাতা এই ভিলেন টাকে বিয়ে করে আমার জীবটা পুরো শেষ, তার উপর তুই বলিস আমায় ভালোবাসিস,এক জিরাফ আমার জীবনটা ঘাসপাতা করে দিয়েছে,,
সানি- মানে কি?
অর্থি- মানে তোর মাথা,, এই দেক এই ভিলেনটা আমার ফাজিল বড় জীবনটা শেষ করে দিয়েছে।
সানি – তাহলে এই ভিলেনকে ডির্ভোস দিয়ে দাও,আর
আমাকে বিয়ে করো।
অর্থি- তোর এতো বড় সাহশ, তুই আমার বড় কে ভিলেন বলিস।ওকে আমি ভিলেন বলি শুধু।তুই দাড়া আজ তোর হচ্ছে।
এই কথা বলে অর্থি সানি কে মারা শুরু করে দেয়।
সানি- আরে কি করছ ছাড়ো,,কি মেয়েরে বাবা।
অর্থি- আমার বর ভিলেন হোক আর যায় হোক, ও আমার বর,আর আমার বরকে আমি খুব ভালোবাসি,আর আমার বর অনেক ভালো,আমি শয়তানি করি তাই আমায় বকে,তোর সাহশ কি করে হলো ওকে ডির্ভোস দেওয়ার কথা বলার।
অর্থি কি বলছে অর্থি নিজেও জারো নি, শুধু বলেই যাচ্ছে।
আর এই দিকে আরিয়ান তো হা করে তাকিয়ে আছে অর্থির দিকে,কারণ আরিয়ান ভাতে পারেনি অর্থি তাকে ভালোবাসে,আর এই কথা সবার সামনে বলে দেবে।
হঠাৎ%%
আরিয়ান- অর্থি ওকে ছারো,সবাই দেখছে।
অর্থি- না ছারবনা,,ফাজিল ছেলে আমি আমার ভিলেন টিচারকে খুব ভালোবাসি,ওকে কিছু বললে তোকে মেরে ফেলব।
সানি- আচ্ছা বাবা sorry…….
তারপর অর্থি সানি কে ছেরে দেয়।।
অর্থি খেয়াল করলো সবাই তাকিয়ে আছে তার দিকে।
হঠাৎ%%
ওনু- অর্থি তুই এতো সময় দরে কি বললি আবার বললি।
অর্থি- কেনো কি বলেছি।বলেছি আমি ভিলেনটা কে খুব ভালোবা,,,,,,,
,আর কিছু বলেনি অর্থি কারণ তার এতো সময় পর হুস আসলো যে,, সে তো সময় ধরে কি বলেছে।
ওনু- আমি বলছি, তুই আমটর ভাই টাকে খুব ভালোবাসিস।
অর্থি- না মানে হয়েছে কি।
ববি- অর্থি তুই অবশেষে কাউকে ভালোবাসলি।
অর্থি- না মানে শোন আমার কথা।
অর্থি আর কিছু না বলে দেয় দৌড়।।
আর এই দিকে ওনু আরিয়ান কে বলে।
ওনু- ভাই তোর অনেক বছরের কষ্ট আর অপেক্ষার আজ অবসান হয়েছে।
আরিয়ান- ঠিক বলেছিস ওনু,,,ওকে পাওয়ার জন্য
আমি কি না করেছি,,ওর কথা মনে করে নিরবে কেঁদেছি।
ওনু- থাক ভাই পুরানো কথা বাদ দে,তোর তো এখন খুশির দিন রে।
ববি- আমি কিছু বুঝলাম না,,,
ওনু- চল বলছি তোকে।
তারপর ওনু ববি কে নিয়ে চলে যায়
%%%আপনরা সবাই ভাবছেন ওনু আর আরিয়ান কিসের কথা বলছিলো,সবাই আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন,,তো গল্পে আসা যাক,,,,&&
&আরিয়ান সেই কখোন থেকে অর্থিকে খুজে যাচাছে কিন্তু পাচ্ছে না।।
আরিয়ান- এই পিচ্চিটা কোথায় গেলো, কখোন থেকে খুজছি পাচ্ছিই না।
আর দিকে অর্থি তো আরিয়ানের থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অর্থি- ইসসস, স্যারের সামনে যাব কি করে।
%তারপর সবাই বিয়ের কাজ শেষ করে বউ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।।
%সবাই বউ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো,আর অর্থি আর তারিনের তো ভালো একটা মিল
হয়ে গেছে(( আরে তারিন হলো আরিফের বউ)…
তারিন- অর্থি তুমি আজ সবার সামনে আমার দেবর কে ভালোবাসি বলেছ।
অর্থি- আর বলোনা ভাবি কি থেকে কি হয়ে গেলো বুঝতেই পারছি না।
তারিন- ভালোবাসো তাই বলে দিয়েছ।
অর্থি- জানো ভাবি ওনার সামনে যেতে আমার খুব লজ্জা করছে গো।
তারিন- ইস লজ্জা বতি রে।
অর্থি- ভাবি তুমিও না( লজ্জায় লাল হয়ে বললো অর্থি)।
তারিন- থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।
%তারপর সবাই অনেক গল্প করে অনেক মজা করে এক সাথে।।
%রাতে সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যায়।আর অর্থি ও ওনু তারিন কে রুমে দিয়ে চলে যায়।
অর্থি- আপু best. of luck..
তারিন-তোমার ও তো বাসার রাত হয়েছে তাই না।
অর্থি- কিহহহহ বাসর রাত আর আমার।
তারিন- কেনো কি হয়েছে।
অর্থি- যা ভিলেনের সাথে বিয়ে হয়েছে তার সাথে বাসর পাগল নাকি।
তারিন- হাহাহা তাই।
%$তারপর অর্থি চলে যায় তারিন কে দিয়ে চলে যায়।
আর এই দিকে অর্থি আরিয়ানের রুমের কাছে এসে চুপচাপ দারিয়ে আছে।
অর্থি- কি যে করি ভিলেনটার সামনে কি করে যাব,আর কিছু জিঙ্গেস করলে উওর কি দেবো।আগে হুকি মেরে দেখি রুমে আছে নাকি।
তারপর অর্থি হুকি মারে রুমের দিকে।
অর্থি- রুমে তো কেউ নেয়।মনে হয় রুমে এখনো আসেনি।আমি চুপচাপ গিয়ে ঘুমিয়ে পরি।
যেই কথা সেই কাজ।
অর্থি রুমে যায় আর চারপাশ দেখে নেয়।আর যেই না খাটে উঠতে যায়,আর পিছন থেকে আরিয়ান অর্থির হাত ধরে ফেলে।
আরিয়ান- চোরের মতো রুমে হুকি মারা,চুরি করে সুতে আসা,এটা আমার কারণে।
অর্থি- আপনার কারণে কেনো হবে।
আরিয়ান-তাহলে এই ভাবে কেনো আসছ।
অর্থি- এমনি।
আরিয়ান- আমার দিকে ঘুরে কথা বলো।
অর্থি- কেনো।
আরিয়ান- আমি বলেছি তাই।
অর্থি- আপনি বললেই সব কথা শুনতে হবে।
আরিয়ান- হ্যাঁ হবে।
অর্থি- কেনো শুনব।
আরিয়ান- কারণ আমায় ভালোবাস তাই।
অর্থি- কে বলল আপনাই এটা।
আরিয়ান-তুমি নিজে সবার সামনে বলেছ।
অর্থি- ওটা এমনি বলেছি যাতে ঐ ছেলে বিরক্ত না করে।
আরিয়ান- আমার দিকে তাকিয়ে কথাটা বলো।
অর্থি- না পারব না।
আরিয়ান- কেনো,তুমি তো আমায় ভালোবাস না, তো এটা তো তাকিয়ে বলতে পারবে।
অর্থি- জানি না কিছু আমি।
আরিয়ান-পিচ্চি বড় হয়ে গেছে।
অর্থি- আমি মেটেও পিচ্চি না,আরিয়ানের দিকে ঘুরে বললো অর্থি কথাটা।
আরিয়ান- আমি তো তোমায় পিচ্চি বলিনি।
অর্থি- আপনি মাএ বললেন।
%%%%হঠাৎ&&
আরিয়ান- I love u My lovely wife,,,,,
অর্থি-কিহহহ,(অনেক আবাক হয়ে)
আরিয়ান- ভালোবাসি তোমায়।
অর্থি- আপ,,আপ,,আপনি আমায় ভালোবাসেন।
আরিয়ান- হা খুব ভালোবাসি,তোমার জন্য কাল একটা বড় উপহার আছে।
অর্থি- কিহহ উপহার কি উপহার এখনি বলুন।
আরিয়ান- না এখন বলা যাবে না।এখন বউ কে বুকে নিয়ে ঘুমাব,বউ তো আমায় ভালোবেসে ফেলেছে।
অর্থি- মোটেও না।
আরিয়ান- তাই।
অর্থি- একদম কাছে আসবেন না।
তারপর অর্থি আর আরিয়ান শয়তানি + গল্প করে ঘুমিয়ে পরে কখন নিজেরাও জানে না।
%চলবে।
আপনারাও প্রিয় মানুষের সাথে গল্প করুন যান।
#villain_Teachers
#Writer_Orthi_islam_israt
#পর্ব_18_last
সকালে%%
আরিয়ান- অর্থি ওঠো,,,
অর্থি- না,একটু ঘুমাতে দিন।
আরিয়ান- বাড়ি তে আজ অনুষ্ঠান,আর তুমি পরে পরে ঘুসাচ্ছো,ওঠো বলছি।
অর্থি- আমি ঘুমাবো।
হঠাৎ%%%
আরিয়ান- অর্থি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(অনেক জরে ডাকলো অর্থিকে)।
অর্থি- জি জি জি জি,,,,,স্যার।
আরিয়ান- ওঠো ঘুম থেকে ভালো থাকতে আর ফ্রেশ হয়ে আসো।
অর্থি- জি জি স্যার( অনেক ভয়ে)।
তারপর অর্থি আরিয়ানকে বকতে বকতে চলে যায়,,,যা অর্থি প্রতিদিন করে আর কি।
অর্থি- পেয়েছেটা কি সবসময় বকে, কাল বললো ভালোবাসে, এই ভালোবাসার নমুনা,,,কথায় বলবনা আজ।
তারপর অর্থি ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়।
তারিন- এই যে মেডাস,স্বামীর আদর রেখে আসতে ইচ্ছা করছিলো না বুঝি।
ওনু- আরে ভাবি,অর্থি তো ভাই কে ছাড়া কিছুই বোঝে না,কাল দেখলে না কি করল।
অর্থি- তোমরা থামো তো,আমি মরছি নিজের জ্বালায়, আর ওনারা পরেছে আদর নিয়ে।
তারিন- কেনো গো মধু তোমার কি হয়েছে।
অর্থি- আর বলো না,,স্যার আজ সকালে( তারপর অর্থি সকালের ঘটনা সব বললো)।
ওনু- হাহাহা,,তোর আর বরের ভালোবাসা পাওয়া হলো না।
তারিন- ওনু তুই চুপ থাক,,অর্থি মন খারাপ করো না।
তারপর সবাই একসাথে খাবার সাজালো,,তরপর সবাই এক সাথে খাবার খেয়ে নেয়।
অর্থি তার রুমে যায় গিয়ে দেখে আরিয়ান খাটে শুয়ে ফোন টিপছে,,,
অর্থি-দেখো শুয়ে আছে যেনো, মনে হচ্ছে মহারাজ।,, বজ্জাতের লিডার,,,ফাজিল কোথাকার,নিহাত তোকে ভালোবেসে ফেলেছি,, না হলে তোর মতো শয়তানের সাথে কখনোই থাকতাম না আমি।
অর্থি আরিয়ানের গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে,, আলমারি থেকে তার জামা বের করতে যায়,,কারণ তাকে গোসল করে পাল্লারে যেতে হবে তারিনের সাথে,,,করণ আজ, (আরিফ+তারিন)ও(আরিয়ান+অর্থির) বিয়ের রিসেপশন,,,,,
হঠাৎ%
আরিয়ান অর্থিকে ডাক দেয়।
আরিয়ান- অর্থি কোথায় যাচ্ছ,
অর্থি-,,,,, নিশ্চুপ,,,,,
আরিয়ান- কিছু জিঙ্গেজ করেছি।
অর্থি-,, নিশ্চুপ,,,,
আরিয়ান- অর্থি,,,,,
অর্থি কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে যায়,,যাওয়ার আগে এমন ভাব করলো যেনো সে কিছু শোনেনি।
আরিয়ান- এর আবার কি হলো,,ডাক দিলাম কিছুই বললো না।আর এমন ভাব কললো যেনো কিছুই জানে না,,আজব তো।
তারপর অর্থি আর তারিন, ওনু মিলে পাল্লারে যায়,,,,,,
আর এই দিকে সবাই যার যার মতো রেডি হচ্ছে,,,
আরিয়ান- পিচ্চিটার কি হয়েছে কে যানে, কথাও বললো না আমার সাথে,,কিসের জন্য রাগ করে আছে তাও বললো না।
তারপর সবাই রেডি হয়ে নিচে যায়,,,,সব মেহমান আসতে শুরু করেছে,,আরিয়ানের বন্ধু,, অর্থির বন্ধু সবাই এসেছে।।সবার আসা হয়ে গেছে।
অর্থির মা- সবার তো আসা শেষ, তা এদের তো আসার কোনো খবর নেই।
আরিয়ানের মা- ঠিক বলেছো তুসি,কোথায় যে আটকে আছে কে জানে।।
আর এই দিকে আরিয়ান তার বন্ধুদের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছে।
আরিয়ান- কি রে তোদের যা বলেছি করেছিস।
রাসেল- হ্যাঁ রে বাবা সব করেছি।
আসিফ- আজ ৩ দিন ধরে, সে এক বিষয় নিয়ে বলেই যাচ্ছিস।
আরিয়ান- তোরা তো সব জানিস।
রাসেল- জানি বলেই তো, তোর কথা মতো সব করেছি।
তারপর সবার অপেক্ষার আবসান ঘটিয়ে, যাদের জন্য সব কিছু। তারা চলে এসেছে।
প্রথমে গাড়ি থেকে ওনু নামে।।।
তারপর আরিফ গিয়ে হাত বারিয়ে দেয় তারিনের প্রতি। আর তারিন মুচকি হেসে তার হাতটাও বারিয়ে দেয়।আরিফ তারিনকে নিয়ে তাদের জায়গায় চলে যায়।অনেক সুন্দর লাগছে তাদের দেখতে, অনেক মানিয়েছে ওদের
আর এই দিকে অর্থি,,,
অর্থি- ধুর, ভাবি টাও না,বসতে বলে চলে গেলো।আমি চলে যেতাম শুধু বসে আছি।
অর্থি এই সব একা একা বলছিলো,
হঠাৎ একটা হাত,,তার দিকে এগিয়ে আসে।অর্থিও দেখার জন্য চোখ তুলে তাকায়, যে কার হাত এটা।।তাকানোর পরে একটা বড় শোর ঝোটকা খায়।
কারণ আজ আরিয়ানকে দেখতে পুরো রাজপুএের মতো লাগছে।।
লাল সেরয়ানি,,মাথায় পাগরি,,সেরয়ানিতে একটা সুন্দর বেস লাগানো,,মুখে একটা মুচকি হাসি লেগে আছে। একদম যেমনটা অর্থি চেয়েছিলোম
অর্থিও আর রাগ করে থাককে পারল না।মুচকি এসে হাত বাড়িয়ে দিলো।।
আর এই দিকে আরিয়ান অর্থিকে দেখে পুরা crush,, কারণ অর্থিকে আজ রাজকুমারির মতো লাগছে।
লাল লেহেংগা,,লাল চুরি, just simple সাজ, তাও তাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
আরিয়ান যখন অর্থির হাত ধরে নিচে নামায় তখন চারপাশ থেকে ফুল ঝরতে থাকে।।
আর গান বাজতে থাকে,,,,
তোর হাতটি ধরেছি, ছাড়বোনা কখনো,,,,,,,,,,,
তোকে ভালোবাসব মরোনের আগেও,,,,
তোর হাতটি ধরেছি, ছাড়বোনা কখনো,,,,
তোকে ভালোবাসব মরোনের আগেও,,,,
হঠাৎ গান পালটে যায়,,
Dil keya kare jab kisi se,,,,,,,,,,,,,,
kisi ko peyar ho jaiye,,,,,
jate kaha kab kisi ko,,,,,
kisi se peyar ho jaite,,,
হঠাৎ গান ওফ হয়ে যায়,,,,
আরিয়ান অর্থিকে নিয়ে গিয়ে তার জায়গায় বসিয়ে দেয়।।
হঠাৎ লায়িট ওফ হয়ে যায়।আর কেউ কিছু বলতে থাকে।।
সেটা আর কেউ নয় আরিয়ান।
আরিয়ান- আপনাদের সবাই কে আজ একটা গল্প শোনায়, ভালোবাসার গল্প,,,
একটা পর্দায় অর্থির অনেক আগের ছবি দেখায়,,,
অর্থি তো শুধু হা করে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে এই সব।
আরিয়ান বলতে থাকে,,,,,
%%%%%
আমি যখন ইন্টারে পড়ি তখন বন্ধু + পরিবারের সাথে কক্সবাজার গিয়েছিলাম
বন্ধুদের সাথে বিচে ঘুড়ছিলাম হঠাৎ একটা বল রাগে খৃব জোরে
হঠাৎ একটা পিচ্চি আসে আর বল চাইলো ও,,, কিন্তু খুব রাগ হয়েছিলো ব্যাথ পেয়েছিলাম, তাই বলটা দেয়নি,,,
তারপর হঠাৎ
একটা পিচ্চি মেয়ে আসে,, মেয়েটা কে দেখে একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম,,কারণ মেয়েটা দেখহে একটা পুতুলের মতো,,, মনে 8 পড়ে
তারপর মেয়েটি এসে আমায় যা বললো।
মেয়েটি- এই যে লোম্বু বলটা দেন তো।
আমি- কিহহ,,
মেয়েটি- কানে কম শোনেন নাকি,,
আমি- কিহহ,,
মেয়েটি- এতো কি কি না করে বলটা দেন,,
আমি- যদি না দেয়,,
মেয়েটি- তুই দিবি তোর ঘার দেবে,,,
আমি তো অবাক পুচকো মেয়েটা কি বলে এইসব,,,
আমি তো আর কিছু বলতে পারিনি,, তার কথা বলা,,তার হাত নারিয়ে কথা বলা,,সব যেনো কেনো ভালো লেগে গেছিলো,,,,
তারপর আমাদের যাওয়ার দিন চলে আসে,,,
কিন্তু আমি তাকে আমার মন থেকে কেনো যেনো বের করতে পারিনি,,,
বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে বের হয়েছিলাম,,,,,
রাস্তায় আবার পিচ্চি টাকে দেখি,,এতটুকু একটা পিচ্চি,,,সে কি না একটা ছেলেকে রাস্তার পাশে ধরে মারছে,,আমি গাড়ি দাড় করিয়ে সব দেখতে থাকি,,,,,
পিচ্চিটা ছেলেটিকে মারছে আর তার বান্ধুবিরা দেখছে,,,ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে,,
সে পাশের দোকান থেকে, একটা পানির বতল কিনে খাওয়া শুরু করলো,দেখে মনে হচ্ছিলো কতো কাজ সে করে এসেছে,,
হঠাৎ কোনো কারণে সে হেসে ওঠে,,,ওর হাসিটায় চোখ দুটো আটকে যায় আমার,,,,হাসার সময় তার বেকা দাঁত গুলো বের হয় হালকা,,তার ঠোঁটের উপর তিলটা,,হাসার সময় তার চোখ গুলো ছোট হয়ে যায়,,,সব কিছু মিলে পুরো পিচ্চি লাগছিলো,,,
তারপর সে চলে যায়,,যাওয়ার সময় আমার মনটাও নিয়ে যায়,,,,,
তার ভাবনা মন থেকে বের করতে পারছিলাম না,,,এর মাঝে result দিলো,, A+ নিয়ে পাশ করেছি,,,,
কিন্তু আমার কোনো দিকে মনোযোগ নেয়,,শুধু তার চিন্তা,,, তার হাসি,কথা বলা সব কিছু,,,
কেনো জানি না তার কথা ভাবলে খুব কষ্ট হতো, মাঝে মাঝে কেঁদেও দিয়েছি।
একদিন ওনু কে নিয়ে ওর স্কুলে গেছিলাম,,ভাবতে পারিনি ও খানে পিচ্চি টা কে দেখব,,,পিচ্চিটা ছিলো ওনুর বন্ধু,,,,,
কিন্তু পিচ্চিটা আমায় দেখেনি,,,
বাড়ি চলে আসি,, যতো চাইতাম ওকে মনে করব না, তাও মনে হতো,,,না পেরে ওনুকে সব বলে দেই,,,
ওনু বলে ওর নাম অর্থি, ভালো মেয়ে তবে রাগ বেশি,,,
ওনু তারপর সব খবর দিতো আমায়,,,
এর মাঝে বাবা- মাকে ও বাড়ির সবাই কে বলে দেয়,কি করব, খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাকে।।।।
বাবা- মা রাজি হয়ে যায়,,,কারণ মেয়েটা বাবার বন্ধু ছিলো,,,বাবা সব বলে তাকে,,সেও রাজি হয়।
তবে তার জন্য অনেক কিছু মানতে হয়েছে,,নিজেকে প্রতিষ্ঠিতো করতে হবে আমায়,, তাই আমাকে 4 বছর দেশের বাইরে থাকতে হয়েছে,,
,খুব কষ্ট হতো,, বাবা- মা,,সবাই কে ছেড়ে থাকতে, , আর পিচ্চিটা কে দেখতে পারতাম না,কারণ দেশে থাকা কালিন প্রতিদিন দূর থেকে দেখতাম,,,,,এম একটা দিন যায়নি তার জন্য কাঁদিনি আমি।।
Because খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম থাকে খুব,,তার জন্য সব করতে পারি আমি সব।।
4বছর পর দেশে আসলাম।।পিচ্চিটা যেই কলেজে ভর্তি হয়েছে, সেখানেয় Teacher হয়ে গেলাম।।
প্রথম দিন দেখে অনেক অবাক হয়,, কারণ সেই ছোট পিচ্চিটা কতো বড় হয়ে গেছে।।।আর অনেক cute হয়েছে দেখতে।।।
তবে পিচ্চিটা পড়ায় পুরা ফাকিবাজ,,,,
তারপর তাকে মানুষ করার কথা ভাবি,,,ওকে খুব জালাতন করতাম,,এটা ওটা বলে।।তাই সে আমপর নাম দিয়েছে,, villain Teacher।।
সে যায় হোক, সব থেকে বড় কথা আমি তাকে খুব ভালোবাসি খুব,,নিজের থেকেও বেশি,,,,
আরিয়ান যখন কথা গুলো বলছিলো,, আরিয়ানের চোখ দিয়ে অঝরে পানি পরছিলো,,,,,,
আর আরিয়ান যত সময় ধরে এই গুলো বলেছে,,ততোসময় অর্থির 4 বছর আগের ছবি থেকে এখন কার সব ছবি ছিলো।
হঠাৎ সব লায়িট জ্বলে ওঠে,,,,,
আরিয়ান- অর্থি i love u, i love u very much,,
এই কথা বলে আরিয়ান অর্থির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়,,অর্থিও আর দেরি না করে।।আরিয়ান কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে,,তবে এটা খুশির।
আরিয়ান- এই পিচ্চি কাঁদছ কেনো হা।চুপ করো।
অর্থি- আপনি আমায় এতো ভালোবাসেন আর বলেন না।
আরিয়ান- বললে কি surprise দিতে পারতাম।।
হঠাৎ %%%%
সবাই হাত তালি দাতে থাকে,, আর অর্থি লজ্জায় আরিয়ান কে ছেড়ে দেয়।তবে আরিয়ান আবার অর্থি কে কাছে টেনে নেয়।
তারপর অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই চলে যায়।।।
পরিবারের সবাই নিচে বসে কথা বলতে থাকে।।তারা 4 জন কে হানিমুনে পাঠানোর কথা ভাবতে থাকে।
এর মাঝে অর্থি রুমে যায় সব চেন্জ করতে।কিন্তু রুমে গিয়ে অবাক সে।
কারণ রুমটা পুরো ফুল দিয়ে সাজানো।
হঠাৎ%%
আরিয়ান রুমে ঢোকে
অর্থি- এই গুলা কে করেছে।
আরিয়ান- আমার বন্ধুরা, কেনো তেমার পছন্দ হয়নি।
অর্থি- খুব হয়েছে।
আরিয়ান- তাই।
অর্থি- জি,,এখন আপনি বাইরে জান,আমি চেন্জ করব।
আরিয়ান- আমি help করছি।
অর্থি- কিহহহহহ।
আরিয়ান- হ্যাঁ আমি help করছি।
এই কথা বলে আরিয়ান অর্থির দিকে আগাতে থাকে।
অর্থি- আপনি এই ভাবে এগিয়ে আসছেন কেনো।
আরিয়ান – তুমি পিচ্ছো কেনো।
অর্থি পিছাতে পিছাতে দেওয়ালের সাথে লেগে যায়।আর আরিয়ান ও তাকে আটকিয়ে ফেলে।
আরিয়ান- ভালোবাসি তো খুব।
অর্থি- তো কি হয়ছে।
আরিয়ান- বউকে আদর করতে চাই।
অর্থি- তাই।
আরিয়ান- হ্যাঁ তো।
অর্থি- বউ কি মানা করেছে।
আরিয়ান- আচ্ছা তাই।।
তারপর আরিয়ান অর্থির কপালে একটা কিস করে,অর্থি তার চোখ গুলো বন্ধ করে ফেলে,,তার শরীর টা কেপে ওঠে।।
হঠাৎ আরিয়ান অর্থির ঠোঁট জোরা দখল কররে নেয়।।অনেক সময় পর আরিয়ান অর্থিকে কলে তুলে নেয়,,,
আর
আর কিছুনা।।
আজ থেকে শুরু তাদের নতুন জীবন নতুন একটা সকাল হবে কাল,,অনেক বছরের ভালোবাসা আজ পূর্নতা পাবে।
—–সমাপ্ত—-