অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 21

0
2706

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 21
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
ইমরান- বসে আছিস কেন?
নাফিসা মনে সাহস নিয়ে চোখ বন্ধ করে দ্রুত বলে ফেললো,
নাফিসা- কালকের মতো তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দিবে?
ইমরান হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে! এই অদ্ভুত মেয়ের কথা শুনে এখন সে হাসবে নাকি কাদবে, তার নিজেরই জানা নেই। এ কেমন প্রশ্ন! একজন স্ত্রী হিসেবে ইমরানের উপর তার অধিকারটুকু কি সে বুঝে না! এমনিতে তো আবার সব কিছুতে জোর খাটায়! নিজের প্রাপ্যটুকু নিতে পারছে না কেন! ইমরান তো তার অপেক্ষায়ই আছে।
ইমরানের কোন সাড়া না পেয়ে নাফিসা একটা চোখ খুলে দেখলো ইমরান কোন প্রতিক্রিয়া ছাড়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। তাই দুচোখ খুলে ব্রু কুচকে বললো,
নাফিসা- এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? হয়তো হ্যাঁ বলবে আর না হয় না বলবে! কিছু তো একটা বলো!
ইমরান- কেন আমার শরীরে না গোবরের গন্ধ!
নাফিসা- হিহিহি….. এখন নেই!
ইমরান- নাহ, আছে।
নাফিসা- নাহ, নেই।
ইমরান- আমি পাচ্ছি তো।
নাফিসা কোলবালিশ দিয়ে একটা মেরে,
নাফিসা- আমি পাচ্ছি না তো! দিবে না?
ইমরান- আয়..
নাফিসা মুচকি একটা হাসি দিয়ে কোলবালিশটা অন্যপাশে রেখে এক হাতে ঝাপটে ধরে ইমরানের বুকে মাথা রাখলো। ইমরান একটা হাত নাফিসার উপর রাখতেই নাফিসা সরিয়ে দিয়ে বললো,
নাফিসা- হিহিহি…. ওফ্ফ! তুমি ধরবা না। সুড়সুড়ি লাগে!
ইচ্ছে করে কাছে এসেছে, আবার ঝাপটেও ধরে রেখেছে অথচ ইমরান স্পর্শ করতে পারবে না! ইমরান আবার হাত সরিয়ে নিলো। দুজনেই চোখের পাতা বন্ধ করে রেখেছে।
কালকের মতো আরাম পাচ্ছে না তাই নাফিসা একটু পর পর ইমরানের বুকে মাথা এদিক ওদিক নাড়াচ্ছে।
ইমরান- আহ! এমন ছটফট করলে ঘুমাবো কিভাবে!
নাফিসা- সকালের মতো আরাম লাগে না কেন!
ইমরান- এখন তো সকাল না।
নাফিসা- কি আযব কথা বলো তুমি! সকালে তো তোমার বুকেই শুয়েছিলাম!
ইমরান মুচকি হাসলো নাফিসার কথা শুনে। নাফিসাকে একটু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে বসলো। নাফিসা ভেবেছে ইমরান বুঝি রেগে গেছে! কিন্তু তার ভাবনা ভুল! ইমরান টিশার্ট খুলে বালিশের পাশে রাখলো। খালি গায়ে আবার শুয়ে কাত হয়ে নাফিসার মাথাটা বুকে টেনে নিলো এবং দু’হাতে বন্দী করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। ইমরানের স্পর্শে নাফিসা একটু কেপে উঠলেও এখন আর তেমন সুড়সুড়ি লাগছে না। বরং খুব ভালো লাগছে। হ্যাঁ, সকালে এমনটাই লেগেছিলো।
ইমরান- এখন সকালের মতো আরাম লাগছে?
নাফিসা নিজেও ইমরানের শরীর স্পর্শ করে আরো জড়ো হয়ে জবাব দিলো,
নাফিসা- হুম।
ইমরান- সুড়সুড়ি লাগছে না?
নাফিসা- উহুম…
ইমরান- হাহাহা….
ইমরান শরীর কাপিয়ে হাহাহোহো করে হাসায় নাফিসা লজ্জা পেল। একটু আগে তো সে ই স্পর্শ করতে নিষেধ করেছিলো আবার এখন বলছে আরাম লাগছে! নাফিসা চুপটি করে আবার ইমরানের ধুকপুকানির শব্দ শুনতে লাগলো। এই শব্দ যেন তার চোখে ঘুম এনে দেয়!
সকালে বুকে গরম নিশ্বাস অনুভব করে ইমরানের ঘুম ভাঙলো। চোখ খুলেই নাফিসার মাথায় চুলের উপরে একটা চুমু খেলো। খুব ভালো লাগছে তার রানীকে বুকে এভাবে বেধে রাখতে। ইমরান বালিশের দিকে একটা হাত বুলিয়ে ফোনটা হাতে নিলো। স্ক্রিনটা জ্বালিয়ে সময়টা দেখলো। আযান দিতে কয়েক মিনিট বাকি। নাফিসা বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। ফোনটা আগের জায়গায় রেখে ইমরান নাফিসাকে একটু উপরে টেনে তুলে তার মুখোমুখি করলো। ড্রিমলাইটের আলোয় নাফিসার ঘুমন্ত মুখটা দেখলো। মনে মনে বললো,
“কবে আমাকে সম্পূর্ণভাবে অনুভব করতে পারবি তুই? কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবো না আমি, সবটা তোর ইচ্ছায় হবে। আমি সারাজীবন কাটিয়ে দিবো তোর অপেক্ষায়। ভালো লাগে রে অদ্ভুত মেয়ে, খুব ভালো লাগে তোর এই মিষ্টিমাখা দুষ্টুমি।”
ইমরানের মুখে মুহুর্তেই মিষ্টি একটা হাসি ফুটে উঠলো। মিষ্টি হাসির সাথেই নাফিসার কপালে খুব সাবধানে গভীরভাবে একটা মিষ্টি ঠোঁটের ছোয়া দিলো। এরপর মাথাটা টেনে আবার তার বুকের বামপাশে রেখে চোখ বুজে রইলো।
একটু পর নাফিসার ডাকতে লাগলো,
নাফিসা- ভাইয়া….
ইমরান- হুম?
নাফিসা- মেরে ফেলবা নাকি!
ইমরান- উহুম।
নাফিসা খুব ভালো বুঝতে পারছে ইমরানের ঘুম এখনো ভাঙেনি। তাই খুব জোরে ধাক্কা দিয়ে তাকে সরিয়ে উঠে বসলো। ধাক্কা খেয়ে ইমরানও তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলো। নাফিসা জোরে জোরে নিশ্বাস ছাড়তে লাগলো।
ইমরান- কি হয়েছে?
নাফিসা- হয়নি তবে আরেকটু হলে হয়ে যেতো।
ইমরান- কি হতো?
নাফিসা- আমি মরে যেতাম।
সকাল সকাল এমন কিছু শুনবে ইমরান আশা করেনি। বিরক্ত হয়ে চোখ মুখ কুচকে তাকালো।
নাফিসা- এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? এভাবে কেউ মাথা চেপে ধরে! আমারতো দমই বন্ধ হয়ে আসছিলো! আবার ডেকে বললাম মেরে ফেলবা নাকি, উহুম বলে আরো জোরে চেপে ধরেছে।
এবার ইমরান বুঝতে পারলো ঘুমের মধ্যে নাফিসাকে দু’হাতে ঝাপটে ধরে বুকে মাথা চেপে রেখেছে। তাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। ইমরান হাসতে হাসতে আবার শুয়ে পড়েছে। নাফিসা বালিশ দিয়ে ইমরানকে একটা মেরে বিছানা ছেড়ে নেমে পড়লো। চুলে খোপা করে ওয়াশরুমের দিকে যেতে যেতে বললো,
– আযান দিয়েছে, উঠো।
নামাজ পড়ে হিমা হিয়া ও রেহানকে ডেকে তুলে নাফিসা কুরআন পড়েছে। উপরের সবগুলো রুম ঝাড়ু দিয়ে নিচে এসেছে। মামিরা আরো আগেই রান্না বসিয়ে দিয়েছে। আজ আবার মামাদের অফিস আছে। ছোট মামি ঝাড়ু নিয়ে বেরিয়েছে।
নাফিসা- মামি আমাকে দাও।
ছোট মামি- না, আমিই করি।
নাফিসা- কাজ করতে দাও না কেন আমাকে?
ছোট মামি- হাহাহা…. তাহলে উপরের রুম ঝাড়ু দাও তুমি।
নাফিসা- ওটা করেই এসেছি। দাও, তুমি কিচেনে হেল্প করো। যাও…
নাফিসা মামীর হাত থেকে ঝাড়ু নিয়ে নিলো। কাজ শেষ হলে কিচেনে এলো। ইমরানও এলো। নিজে হাতেই বক্স থেকে বিস্কুট নিতে লাগলো।
নাফিসা- মামি কি করতে হবে বলো।
বড় মামি- কিছু করতে হবে না।
নাফিসা- তোমরা কোন কাজ করতে দাও না কেন আমাকে! তোমরা এ বাড়ির বউ হলে আমিও তো এ বাড়ির বউ। তাহলে আমি কাজ করবো না কেন?
নাফিসার কথা শুনে ইমরান বিস্কুট খেতে খেতে বিষম খেলো। মামিরা ইমরানের কাণ্ডে মৃদু হাসলো। আর নাফিসা রেগে তাকালো ইমরানের দিকে। ইমরান পানি খেয়ে উপরে চলে গেলো।
বড় মামি- কি কাজ করবি তুই? রান্নাবান্না এইটুকু আমরাই সামলাতে পারি। তাছাড়া এতো লোকের প্রয়োজনও হয় না।
নাফিসা- তোমরা তো করেছোই। এবার রেস্ট নাও আমি করি।
বড় মামি- পড়াশোনা শেষ কর আগে। এখন সংসারের কাজ করলে সংসারে মনযোগ বসে যাবে। পড়াশোনা আর ভালো লাগবে না তখন।
নাফিসা- তাই বলে একটুও করতে দিবে না? মানুষ শখের বসেও তো মাঝে মাঝে কিছু করে।
মেঝ মামি- তুমিও তো করো কতো কিছুই!
নাফিসা- যেমন?
মেঝ মামি- যেমন ঘর ঝেড়ে মুছে গুছিয়ে রাখো।
ছোট মামি- যেমন আমরা কাজ করার সময় বাচ্চাদের সামলে রাখো।
নাফিসা- এগুলো কাজ হলো?
বড় মামি- আর বাকি থাকে রান্না। এটাতে আমরা তিনজন লেগে থাকি!
নাফিসা- হয়েছে, অনেক বলছো। আমার ক্ষুধা লাগছে। দেখি কি রান্না করছো? এগুলো কি রাতের ভাত বেশি হয়েছে?
বড় মামি- হুম।
নাফিসা- কাচা মরিচ আছে না?
মেঝ মামি- আছে। কিন্তু সকালে পান্তা ভাত খেলে ঠান্ডা লাগবে। গরম ভাত খাও।
নাফিসা- মাঝে মাঝে দু একদিন খেলে কিছু হবে না।

নাফিসা প্লেটে ভাত নিয়ে একটা পেয়াজ আর একটা কাচা মরিচ নিলো। ড্রয়িংরুমের দিকে যেতে নিলে হিমা কিচেনে প্রবেশ করতে নিলো,
নাফিসা- হিমা পান্তাভাত খেতে চাইলে আমার সাথে চলে আয়।
হিমা উৎসাহ নিয়ে বাকি ভাত প্লেটে তুলে লবণ, একটা কাচামরিচ আর একটা পেয়াজ নিয়ে নাফিসার কাছে চলে এলো। বড় মামি এসে সাথে গরুর মাংস দিয়ে গেলো। খাবারের মজা আরো বেড়ে গেলো। হাতে বিস্কুট নিয়ে সাথে হিমেল বসে আছে। রিয়াদ ঘুমায়। রেহান এসে তাদের পান্তা ভাত খেতে দেখে দৌড়ে কিচেনে চলে এলো।
রেহান- পান্তা ভাত কই?
ছোট মামি- বাবারে! আজ দেখি পান্তা ভাত খাওয়ার ধুম লেগেছে! এমনিতে তো মাইর দিয়েও খাওয়ানো যায় না কাউকে!
বড় মামি- আজ, নাফিসার দেখাদেখি।
রেহান- দূর! ভাত দাও তো। ক্ষুধা লাগছে।
মেঝ মামি- পান্তা ভাত নেই, গরম ভাত খা।
রেহান- না, পান্তা ভাত খাবো।
হিয়া- পাতিলে ভাত থাকতে তুই পান্তা ভাত খুঁজে পাছনা!
হঠাৎ হিয়া এসে প্লেট ধুয়ে গরম ভাত নিলো। ভেসিনের কল চালু দিয়ে ভাতে পানি ঢেলে পান্তা ভাত বানিয়ে নিলো।
হিয়া- এই দেখ পান্তা ভাত। হিহিহি….
মেঝ মামি- দেখছোস মাইয়ার কারবার!
হিয়া ভাত নিয়ে বেরিয়ে গেলো। রেহানও একই কাজ করলো। ইমরান গোসল করে এসে দেখলো ড্রইং রুমে বসে সবাই ভাত খাচ্ছে।
ইমরান- এতো সকালে আজ সবার একসাথে ভাত খাওয়া! ব্যাপার কি!
নাফিসা- পান্তা ভাত তো সকালেই খায়।
ইমরান- পান্তা ভাত! হিমা হিয়া পান্তা ভাত খাচ্ছে!
নাফিসা- হুম।
ইমরান- এটা কি আদোও সম্ভব! মা… আজ বাংলা মাসের কত তারিখ? পহেলা বৈশাখ কি এসে পড়ছে?
ছোট মামি কিচেন থেকে চেচিয়ে জবাব দিলো,
ছোট মামি- তুমিও খাবে নাকি, ইমরান?
ইমরান- এতোজন বসেছে, এখনো পান্তাভাত বাকি আছে! কতো ভাত রান্না করেছো রাতে?
রেহান- হাহা… আমি আর হিয়া আপু গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা ভাত বানিয়ে নিয়েছি।
ইমরান- বাহ! খুব ভালো। তবে ইলিশ ভাজা কই?
নাফিসা- পান্তা ভাত আর গরুর মাংস দারুণ মজা। লাগবে না আর ইলিশ ভাজা। হিহিহি….
ইমরান- নাফিসা আমার জামাকাপড় গুলো রেখে এসেছি বাথরুমে, ধুয়ে দিস।
নাফিসা- ইইইই…. শখ কতো। পারবো না আমি। নিজের কাজ নিজে করা ভালো।
ইমরান- তুই না বললি, তোকে কেউ কাজ দেয় না। এখন আমি দিলাম।
নাফিসা- ট্যাক্স দিতে হবে।
ইমরান- ওকে কাজ শেষ করে বিকেলে বাসায় ফিরতে পারলে গিফট আনবো।
নাফিসা- ওকে।
হিয়া- ভাইয়া আমার জন্যও গিফট আনবে।
ইমরান- নাফিসা তো আমার জামাকাপড় ধুয়ে দিবে। তোকে গিফট কেন দিবো?
রেহান- আমি রাতে তোমার পা টিপে দিবো।
নাফিসা- এহহ! কামলা! হিহিহি….
ইমরান- আচ্ছা রেহানও গিফট পাবে।
হিয়া- তুমিই বলো আমি কি করলে গিফট দিবা?
ইমরান- তুই আজ বাসার সবগুলো বাথরুম ধুয়ে দিবি।
সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো!
হিয়া- কিইইই! আমি পারবো না। আমি স্কুলে যাবো।
ইমরান- তাহলে তোর গিফটও নাই। হিমা কি ভাবছোস?
হিমা- তোমার কাজ খোজতাছি।
ইমরান- খুজতে থাক। আমার লেট হয়ে যাচ্ছে।
ইমরান খাওয়ার জন্য চলে গেলো। আর হিমা হিয়া স্কুলের জন্য রেডি হতে হতে ভাবতে লাগলো কি করা যায়! ইমরান চলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলে হিমা হিয়া বলে এলো অগ্রিম গিফট দিতে। পরে কাজ কিরে দিবে। ইমরান রাজি হলো। সবাই যার যার গন্তব্যে চলে গেলো। নাফিসা মামীদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালো তারপর রিয়াদ আর হিমেলকে সাথে নিয়ে দুষ্টুমি করলো, তাদের গোসল করিয়ে দিলো। দুপুরে নিজে খেয়ে আবার তাদেরও খায়িয়ে দিলো। ইমরান কল দিতেই তার সাথে একটু কথা বলে কল কেটে দিলো। মায়ের সাথে একটু কথা বলে হিমেল রিয়াদকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। বিকেলে হিমা হিয়া ও রেহান ফিরলে কতোক্ষন আড্ডা দিলো। সন্ধ্যায় আজ বই নিয়ে নানুর রুমে চলে এসেছে। ইমরান বাসায় ফিরলে সবাইকে নানুর রুমে পেলো। ইমরান রুমে ঢুকতেই সবাই হা হয়ে আছে! রেপিং পেপারে মোড়ানো এতোবড় একটা বাক্স ইমরানের হাতে।
নাফিসা- এটা কি?
ইমরান- তোদের গিফট।
নাফিসা- এতো বড়!
রেহান- আমার গিফট কই?
ইমরান- সবারটাই এখানে আছে।
নাফিসা- কি আছে এটাতে?
ইমরান- খুলে দেখ।
ইমরান নাফিসার হাতে বাক্স দিলো। নাফিসা খাটে রাখলো। ডিনারসেট গিফট করলে এতো বড় বাক্স দেয়। ইমরান কি এনেছে! তারা অতি আগ্রহ নিয়ে বাক্স খুলে দেখলো আরেক বাক্স! সবার মুখের হাসি একটু মলিন হলো। তারপর ওটাও খুলে দেখলো আরেক বাক্স! ইমরান এতোক্ষণে দরজার পাশে চলে গেছে। রেগে ইমরানের দিকে তাকিয়ে বললো,
নাফিসা- বোকা বানাতে চাইছো বাক্সের ভেতরে বাক্স দিয়ে?
ইমরান- খুলে দেখ। শুধু বাক্স হলে কি আর এতো ভারি হতো?
নাফিসা- বাদাইমার মতো আবার ইট ভরে দাওনি তো ভেতরে?
ইমরান- ইট হলে নিশ্চয়ই আরো ভারি হতো। ফাজিলের দল। আমার গিফট আমাকেই দে। দিবো না কাউকে।
চারদিক থেকে চারজন বাক্স ঘিরে ধরে বললো, “নাআয়ায়ায়া”।
ইমরান- ওকে। তোরা খুলে দেখ আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

ইমরান বেরিয়ে আস্তে করে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে তার রুমে চলে গেলো। দরজা আটকানো কেউই লক্ষ্য করেনি। তারা বাক্স খুলে আরেকটা বাক্স পেল। সেটা খুলে এবার একটা মোড়ানো পলিথিন পেল। পিলিথিনে কি হতে পারে! পলিথিনটা ভয়ে ভয়ে খুলে দেখলো ভেতরে গোবর!!!
ইমরান রেপিং পেপারে এতো সুন্দর প্যাকেট করে গোবর এনেছে তাদের জন্য!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here