অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 24

0
2568

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 24
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
মামিরা সব স্তব্ধ হয়ে গেছে। কি থেকে কি হয়ে গেলো, কারোই মাথাচাড়া দিচ্ছে না!
ইমরান দরজা নিয়ে ছাদে চলে এলো। ছাদের একপাশে ফেলে রেখে আবার দোতলায় এলো। তার রুমের দরজা চাপানো। ইমরান আস্তে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে রুমে চোখ বুলিয়ে দেখলো নাফিসা জানালার পাশে দাড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। জানালার গ্লাসে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে নাফিসার চোখ থেকে পানি পড়ছে, থাপ্পড় দেয়ায় গালটা লাল হয়ে আছে। ইমরানের ভেতরটা চিনচিন ব্যাথা করছে! তার নিজেরই ভাবনার বাইরে, সে কখনো নাফিসাকে এভাবে আঘাত করবে! মানাবে কিভাবে তাকে! তার কাছে যেতেও ইমরানের বিবেক বাধা দিচ্ছে! এক পা এগিয়েও আবার রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। দ্রুত পায়েই বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো।
মামারা বাসায় ফিরে সবটা শুনে আপসেট! বাসায় কেমন যেন নিরবতা কাজ করছে। মামামামিরা কয়েকবার নাফিসার কাছে এলো, কিন্তু নাফিসা কারো সাথেই কথা বলেনি। কেউ তাকে মানাতে পারেনি। রাতের খাবার খাওয়ার জন্যও কতোক্ষন টানাটানি করলো কিন্তু খাওয়াতে পারেনি। ইমরান সেই যে বাসা থেকে বেরিয়েছে আর বাসায় ফিরেনি। কারো ফোনও রিসিভ করছে না! রাত ন’টার পর ইমরান বাসায় ফিরেছে সাথে ফুপি অর্থাৎ নাফিসার মা কে নিয়ে। ইমরানের চোখমুখ ফোলা ফোলা লাগছে। বড় মামা বকেছে ইমরানকে কিন্তু ফুপি থামিয়ে দিয়েছে। ইমরান হাত মুঠিবদ্ধ করে নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ সোফায় বসে আছে। কাউকেই কিছু বলছে না, শুধু শুনছে। মা নাফিসার কথা জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো উপরে আছে, ঘটনার পর সারাদিনে রুম থেকেও বের হয়নি! মা উপরে এসে দেখলো নাফিসা ঘুমিয়ে আছে। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেও উঠাতে পারেনি। তাই আবার নিচে চলে এলো। ইমরানও না খেয়ে উপরে চলে এলো। রুমে এসে নাফিসাকে দেখতে পেল না। ওয়াশরুমেও নেই! রুম থেকে বেরিয়ে আবার নানুর রুমে উঁকি দিয়ে দেখলো নাফিসা এখানে ঘুমিয়ে আছে! ইমরান দৃঢ় পায়ে নাফিসার কাছে এলো। কান্না করেছে সারাদিন বুঝাই যাচ্ছে। চোখের ধারে পানি শুকিয়ে আছে! কাত হয়ে শুয়ে আছে তাই ইমরান মুখটা সোজা করলো। অপর গালটা দেখেই বুকের ভেতর মোচড় দিলো! পাচ আঙুলের ছাপ স্পষ্ট! ছাপগুলো নীল বর্ণ ধারণ করেছে! সাথে সাথে ইমরানের চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। ইমরান খুব সাবধানে ঘুমন্ত নাফিসাকে কোলে তুলে নিলো। নানুর রুম থেকে নাফিসাকে নিজের রুমে নিয়ে এলো। হাতমুখ ধুয়ে এসে শার্টটা খুলে ফেললো। দরজা লক করে নাফিসাকে নিয়ে এক বালিশে শুয়ে পড়লো। চোখের ধারে শুকিয়ে যাওয়া পানি মুছে দিয়ে থাপ্পড় দেয়া গালে অসংখ্য চুমু দিলো।
ইমরান- সরি, মাই কুইন! সো সরি! বিয়ের এক মাসও হলো না আমি হাত তুলেছি তোর গায়ে! খুব খারাপ আমি। মাফ করে দে! আর কখনো মারবো না, প্রমিজ!
ইমরানের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, মুখ দিয়ে ফিসফিস করে হাজারো বার উচ্চারিত হচ্ছে “সরি” শব্দটা। আর নাফিসার সারামুখে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে। নাফিসা ক্লান্ত শরীরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে!
সকালে নাফিসার ঘুম ভাঙতেই দেখলো ইমরান তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। নাফিসা ইমরানকে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে বসলো। হঠাৎ করেই ইমরানের ঘুমটা ভেঙে যায়। নাফিসা দ্রুত খাট থেকে নেমে ওয়াশরুমে চলে গেলো। দরজাটা সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঠাস করে লাগিয়ে দিলো। ইমরান শুধু তাকিয়ে আছে! নাফিসার রাগ স্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে। ইমরান একটা বড়সড় নিশ্বাস ছেড়ে উঠে বসলো। বিছানা ছেড়ে বাইরের ওয়াশরুমে গেলো। ওযু করে মসজিদে চলে গেলো। বাসায় এসে দেখলো নাফিসা রুমে নেই। দাদুর রুমে ধাক্কা দিতেই বুঝতে পারলো ভেতর থেকে লাগানো। ইমরান নিচে এলে ফুপি জিজ্ঞেস করলো নাফিসা উঠেছে কিনা। ইমরান উত্তরে হ্যাঁ জানালো। ফুপি উপরে চলে এলো।
নাফিসা জানালার পাশে দাড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ কাঠের দরজায় ঠকঠক শব্দ সাথে মায়ের ডাক শুনতে পেল নাফিসা! দৌড়ে এসে দরজা খুললো। মা ঘরে ঢুকতেই নাফিসা মাকে ধরে কান্না করতে লাগলো। কান্না করতে করতে মায়ের কাছে বিচার দিতে লাগলো ইমরানের নামে।
নাফিসা- দেখছো ভাইয়া কত জোরে থাপ্পড় দিছে! এখনো ছাপ রয়ে গেছে!
মা- আমি এখানে থকলে তো আরও দুইতিনটা লাগাতাম! দরজা বন্ধ করে কেউ রান্না করে! এমনিতে তো কোন কাজ করাতে পারি না! এতো কাজের হলি কবে থেকে!
নাফিসা- ওহ্! নিজের ভাইয়ের ছেলে, সাপোর্ট তো করবেই! মারো এখন, সবাই মিলে মারো! থাকবো না আমি এ বাড়িতে। চলে যাবো৷
মা- কোথায় যাবি?
নাফিসা- কেন, আমার বাপের বাড়ি নাই?
মা- আহ! বাপের বাড়ি নাই! কোথাও যাবি না। এখানেই থাকবি।
নাফিসা কিছু না বলে নিজের রুমে এসে ব্যাগ গুছাতে শুরু করলো। পিছু পিছু এসে মা ধমক দিয়ে নাফিসাকে টেনে এনে খাটে বসালো।
মা- ইমরান কাল বিকেলে আমার কাছে গেছে। সারাক্ষণ কান্না করতে করতে একটা কথাই বলছিলো, ” ফুপি আমার কাছে বিয়ে দিয়ে ভুল করেছো তোমরা! বিয়ের একমাসও হয়নি আমি তোমার মেয়েকে মেরেছি! খুব জোরে লেগেছে থাপ্পড়! আগুন দেখে রাগের মাথায় বুঝতে পারিনি কি করেছি! বিশ্বাস করো, আমি ইচ্ছে করে মারিনি!” এসব বলে বলে সারাক্ষণ কান্না করছিলো।
নাফিসা- কান্না করেছে কেন! আমি কি তাকে মেরেছি, নাকি সে আমাকে মেরেছে! ইচ্ছে করে মারেনি! তাহলে হাত কি এমনি এমনিই উঠে এসে পড়েছে আমার গালে! এই আঙুলের দাগ কি এমনিতেই বসে নীল হয়ে গেছে! ভালো অভিনয় করতে পারে! এসব অভিনয়ে এওয়ার্ড পাবে না, বলে দিও তোমার ভাতিজাকে!
মা- কি অদ্ভুত মেয়ে! তোর কাছে কি কেউ এওয়ার্ড চেয়েছে! সম্পূর্ণ ঘটনা শুনার পর তো বুঝলাম সব দোষ তোর। এমনি এমনি তোকে মেরেছে! আগুন ধরে গেলে কি হতো বুঝতে পারছিস না! তাও ছেলেটা বারবার নিজেকে অপরাধী মনে করছে!
নাফিসা- অপরাধ করলে তো অপরাধী মনে করবেই! কোন কথা বলবা না তুমি আমার সাথে। যাও তোমার ভাতিজার সাথে কথা বলো গিয়ে।
নাফিসা আবার নানুর রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বসে রইলো। মা হতাশ হয়ে নিচে চলে এলো। কিছুক্ষণ পর মামারা অফিস যাবে কিন্তু নাফিসা না খেয়ে আছে কাল থেকে! মেঝ মামা দোতলায় যেতে নিলে নাফিসার মা নিষেধ করলো। বললো তারা যেন খেয়ে অফিস চলে যায়, নাফিসাকে বুঝিয়ে খায়িয়ে নিবে। ইমরান বললো আজ যাবে না তাই মামারা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। নাফিসা জানালা দিয়ে দেখলো মামারা বেরিয়ে গেছে। এতোক্ষণ মামাদের যাওয়ার অপেক্ষায়ই ছিলো সে। নিজের রুমে এসে ব্যাগ গুছিয়ে নিলো। ইমরান রুমে এসে দেখলো নাফিসা বোরকা পড়ে হিজাব পড়ছে! খাটে লাগেজ! সে কি চলে যাবে! ইমরান বলতে গিয়েও বলতে পারছে না কিছু!
বাধা দিতে পারছে না সে! নাফিসার মুখের দিকে তাকালেই ভেতরটা ছ্যাত করে উঠে! সে নিচে এসে ফুপিকে বললো,
ইমরান- ফুপি নাফিসা চলে যাচ্ছে, আটকাও তাকে।
মা- ওফ্ফ! এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা যায় না!
ইমরানের কথায় মা সহ মামীরা উপরে এলো। বাচ্চারা সব আগেই স্কুলে চলে গেছে।
মা- নাফিসা, কি শুরু করেছিস এসব!
নাফিসা- যেতে হলে বোরকা পড়ে রেডি হও।
মা- মাইর দিবো কিন্তু এখন।
নাফিসা- হ্যাঁ দাও। সবাই মিলে আমাকে মাইর দাও, মেরে ফেলো একেবারে!
মা- বোরকা খুল! কোথাও যাবি না তুই।
নাফিসা- তোমার ইচ্ছে হলে তুমি থাকো। আমাকে বাধা দিচ্ছো কেন!
মামিরাও দুএক কথা বলে আটকানোর চেষ্টা করেছে আর ইমরান একটা গাছের মতো দাড়িয়ে আছে! নাফিসা সবাইকে উপেক্ষা করে চলে গেছে! নাফিসা যাওয়ার পর ইমরান বললো,
ইমরান- ফুপি, তুমি ওর সাথে যাও। একা ছেড়ো না।
ইমরান বেরিয়ে গেলো পিছু পিছু। নাফিসা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে গাড়ির জন্য। মা তারাতাড়ি বোরকা পড়ে বের হলো। ইমরান একটা সি এন জি রিজার্ভ করলো। মা উঠলেও নাফিসা উঠছে না!
মা- কি হলো, উঠছ না কেন?
নাফিসা- আমি নিজেও গাড়ি নিতে পারি। অন্যের টাকায় কেন যাবো!
ইমরান ড্রাইভারকে দেয়া টাকা ফিরিয়ে নিলো। এরপর নাফিসা গাড়িতে উঠে বসলো। মা গাড়িতে বসে বকে যাচ্ছে আর নাফিসা দুই কানে আঙুল দিয়ে রেখেছে। একঘন্টা পর সে বাবার বাড়ি ফিরলো৷
বিকেলে বাসায় এসে দেখলো নাফিসা নেই! আটকাতে পারলো না তাই সবাইকে বকাঝকা করলো। বড় মামা মেঝ মামাকে বললো, এখনই ঢাকা যাবে নাফিসাকে আনতে। ইমরান নিষেধ করলো।
ইমরান- যেও না শুধু শুধু, এখন আসবে না।
ইমরানের নিষেধ কেউই শুনলো না! বিকেলেই দুই মামা ঢাকায় এসে হাজির! নাফিসা মামাদের কন্ঠ শুনে বেরিয়ে এলো! মামারাও ভিন্ন জগতের মানুষ! সকালে মাত্র চলে এলো এখনই নিতে আসতে হবে!
মেঝ মামা- নাফিসা, ইমরানকে বকেছি তো! এবার তারাতাড়ি রেডি হয়ে নে।
নাফিসা- মামা, আমি এখন যাবো না।
বড় মামা- এতো বড় রাগ কেউ করে! তারাতাড়ি রেডি হও মামা।
নাফিসা- মামা, আমি রাগ করিনি। আমি এখনে বেড়াতে এসেছি। কিছুদিন পর যাবো।
বড় মামা- বেড়াতে! সেদিন না এখানে বেড়াতে এলি!
নাফিসা- সেদিন বেড়াতে আসিনি, পরীক্ষা দিতে এসেছি। এখন বেড়াবো।
মেঝ মামা- সবাই তো বললো রাগ করে চলে এসেছিস!
নাফিসা- সবাই তো বেশি বুঝে! খেয়েছো তোমরা অফিস থেকে ফিরে?
বড় মামা- না।
নাফিসা- মা, তুমি এখনো রান্না বসাও নি! মামারা কি না খেয়ে যাবে! আপ্যায়ন করতে একদম ভুলে গেছো তুমি!
মামারা হেসে উঠলো। মা কিচেনে যেতে যেতে বললো,
মা- নিজে আদবকায়দা ভুলে গেছে এখন আমাকে আপ্যায়ন শিখাতে আসছে!
বড় মামা- না, ঝামেলার দরকার নেই। চলে যাবো এখন। তুই থাক, যতদিন ইচ্ছা।
নাফিসা- খবরদার, না খেয়ে যাবে না।
নাফিসা মুড়ি মেখে মামাদের খেতে দিলো। বাবা ও মামারা মুড়ি খেতে খেতে গল্প করছে। এমনি রেহানকে নিয়ে ছোট মামা এসে হাজির! বোল থেকে এক মুঠ মুড়ি নিয়ে বললো,
ছোট মামা- খুব চালাক তোমরা! আমাকে রেখেই চলে এসেছো! আর এখানে বসে বসে মুড়ি খাচ্ছো! রাগ ভাঙাতে এসেছো নাকি খাওয়ার জন্য এসেছো!
সবাই হেসে উঠলো।
মেঝ মামা- খাওয়ার জন্য তো তোর আগমন! যখনই খাবার রেডি তখনই তুই হাজির! হাত ধুয়া নাই এসেই খাওয়া শুরু করছোস!
এবারও সবাই হেসে উঠলো। এখানে যেন এক গল্পের আসর জমে উঠেছে! আর রেহান সাঈদের সাথে দুষ্টুমিতে লেগে গেছে!
ছোট মামা- খুব সুন্দর গন্ধ! নাফিসা কি রান্না করে তোর মা! থাক আমিই যাই, আজ পেট ভরে খাওয়া হবে!
ছোট মামা মুড়ি খেতে খেতে কিচেনে চলে গেলো। নাফিসার কাছে অন্যরকম আনন্দ লাগছে মামাদের গল্প আর দুষ্টুমি দেখে! ইশার নামাজ পড়ে খাওয়াদাওয়া শেষ করে রেহানসহ মামারা নারায়ণগঞ্জ চলে গেলো। নাফিসা ঢাকাতেই রয়ে গেছে।
নাফিসাকে ছাড়া মামার বাসায় ফিরায় বড় মামি জিজ্ঞেস করলো,
বড় মামি- নাফিসা আসেনি?
ছোট মামা- না।
ইমরান- আগেই তো বলেছিলাম শুধু শুধু যেওনা। এখন আসবে না!
বড় মামা- চুপ থাক তুই। নাফিসা রাগ করে যায়নি। বেড়াতে গেছে!
ইমরান- হুহ্! বেড়াতে গেছে! এক বুঝ মাথায় ঢুকিয়ে দিলো আর তোমরাও ঢুকিয়ে নিলে! দেখি কতোদিন বেড়াতে পারে তোমাদের নাফিসা! মা আমি কাল ফুপির বাসায় যাবো।
ইমরান কথাগুলো বলতে বলতে সোফা থেকে উঠে ড্রয়িং রুম থেকে বেরিয়ে উপরে চলে এলো। কাউকে কিছু বলার সুযোগ দেয়নি।
সকালে বাবা চাচাদের সাথে অফিস গেলো ইমরান। কাজ শেষ করে সেখান থেকেই ঢাকা চলে এলো। বাসে থাকাকালে মাগরিবের আযান পড়েছে। নাফিসাদের বাসার পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলো। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর ফুপার সাথে দেখা হলো। সালাম দিয়ে কথা বলতে বলতে একসাথে বাসায় এলো।
নাফিসা আর সাঈদ বসে বসে পপন ভাজা খাচ্ছে। এমনসময় কলিং বেল বাজায়,
নাফিসা- সাঈদ দেখ তো কে এসেছে!
সাঈদ- মনে হয় বাবা।
নাফিসা- মনে হলে হবে! গিয়ে দেখ!
সাঈদ- তুমি যাও। তুমি কাছে আছো।
নাফিসা- আমি কাছে আছি মানে! তুই তো আমার পাশেই!
সাঈদ- তুমি আমার এক সিট আগে না! তুমি গেলে তারাতাড়ি হবে।
নাফিসা- আমি বাটি রাখবো, পা নামাবো, সোফা থেকে উঠবো। তারপর না যাবো! তার চেয়ে ভালো তুই পা ঝুলিয়ে বসে আছিস, এক দৌড়ে তুই ই যা।
সাঈদ- এসব করতে সময় লাগে নাকি! তুমি নামবে আর যাবে।
নাফিসা- ওই, তুই যাবি নাকি লাথি খাবি!
কখন থেকে কলিং বেল বেজে চলেছে আর এদিকে তারা ভাইবোন ঝগড়া করে যাচ্ছে! মা নামাজ পড়া শেষ করে নিজের রুম থেকে সাঈদের নাম ধরে ধমক দিলো। শেষ পর্যন্ত সাঈদই দরজা খুললো! দরজা খোলার পর বাবাও এক ধমক দিলো।
বাবা- এতোক্ষণ লাগে দরজা খুলতে!
সাঈদকে ধমক দেয়ায় নাফিসা হিহিহি করে হেসে উঠলো! সাঈদ রেগে তাকালো! বাবার পেছনে ইমরানকে ঢুকতে দেখে নাফিসার মুখের হাসি উড়ে গেলো!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here