অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 30

0
2671

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 30
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
এটা কি হলো! তার শখের জামার এ কি হাল হলো! তার এক সেকেন্ডও সময় লাগেনি বুঝতে, এটা ইমরাইন্নার কাজ! ব্যাস, চিৎকার করে সারাবাড়ি মাথায় তুলে ফেললো!!!
কান্না করতে করতে বড় মামিকে রুমে ডেকে ইমরানের বিচার বসালো! এই রুমে এখন তিনজন বিশেষ ব্যাক্তি আছে। বিচারক – বড় মামি, আসামি – ইমরান আর বিচারদাতা – নাফিসা! আর বাকিরা দর্শক!
বড় মামি- ইমরান, জামাটা কেটে ফেললি কেন?
ইমরান- নিষেধ করেছিলাম এটা পড়তে। জেদ করে বললো এটাই পড়বে তাই কেটে ফেলেছি।
বড় মামি- কেন, এটা পড়লে তোর সমস্যা কি?
ইমরান জামাটা হাতে নিয়ে বললো,
ইমরান- দেখো, জামার গলাটা কত বড়! হাতা শর্ট! এটা পড়ে বাইরে বেড়াতে যাবে! এটা পড়ে যাতে আর কোথাও না যেতে পারে তাই কেটে ফেলেছি।
বড় মামি- নাফিসা, ঠিকই তো! এটা পড়ে কিভাবে যাবি! তুই এসব জামা পড়ছ!
নাফিসা- মামি, খারাপ ভাবছো কেন! এটার উপর কটি আছে! এই দেখো, এখন বলো এটা খারাপ কি???
নাফিসা আলমারি থেকে একটা কটি বের করে দেখালো। কলারযুক্ত ফুল হাতার কটিটা! ইমরান সেটা দেখে জ্বিভে কামড় দিলো! এটা সাথে, সে তো জানতোই না!
বড় মামি- ঠিকই তো আছে। খারাপ কি?
ইমরান- আমি জানতাম নাকি এটা আছে সাথে!
নাফিসা- না জেনে অগ্রিম কাজ করছো কেন? আমি কিছু জানিনা, এখন আমার জামা এনে দিবা। না হয় আমি কোথাও যাবো না।
ইমরান- কেন আর জামা নেই! এটাই পড়তে হবে এখন!
নাফিসা- হ্যাঁ, এটাই পড়তে হবে। এখন আমার জামা না এনে দিলে তোমার সব ড্রেস কুচিকুচি করে ফেলবো!
ইমরান- মা দেখোতো! আমি এখন এই জামা কোথায় পাবো!
বড় মামি- নাফিসা, এখন অন্য জামা পড়ে নে। ইমরান পড়ে এনে দিবে।
নাফিসা- আমি তো এটাই ঠিক করেছি, এখন কি পড়বো!
ইমরান- এখন আবার অন্যটা ঠিক করবে।
নাফিসা- একটা কথাও বলবে না তুমি! একদম চুপ!
ইমরান- ওকে আমি চুপ!
ইমরান বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। সিএনজি রিজার্ভ করার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো।
বড় মামি- এই তোরা দাড়িয়ে আছিস কেন? রেডি হয়ে নে দ্রুত।
হিয়া- নাফিসা আপু সাজিয়ে দিবে।
বড় মামি- নাফিসা অন্যটা পড়ে রেডি হও মা। তা না হলে কিন্তু আমিও যাবো না।
নাফিসা- যাও তুমি রেডি হও, আমি রেডি হয়ে আসছি।
বড় মামি- এই তো লক্ষি মেয়ে। গহনা পড়বি কিন্তু আজ!
নাফিসা তার জামাকাপড় আর সাজুগুজুর আসবাবপত্র নিয়ে হিমাদের রুমে চলে গেলো। হিমা হিয়াকে রেডি করিয়ে সে নিজে রেডি হয়ে গেলো। এদিকে ইমরানসহ সবাই প্রস্তুত!
ইমরান সিড়ি দিয়ে দোতলায় উঠার সময় অবাক! নাফিসা থাইল্যান্ড থেকে আনা কালো শাড়িটা পড়েছে। চুলগুলো ছেড়ে কানের পাশ থেকে অল্প করে চুল নিয়ে পেছনে ছোট কাটায় আটকিয়েছে! গহনার মধ্যে কানের দুল, গলায় নেকলেস আর হাতে মোটা বালা দুইটা পড়েছে। কালো শাড়ি সাথে স্বর্ণের গহনা অসম্ভব সুন্দর লাগছে! একটু কমতি আছে, নাকফুল আর টিকলি! নাক তো ফুটায়নি কিন্তু টিকলিটা কেন পড়লো না! নাফিসা তাকে দেখেও না দেখার ভান করে নিচে নামার জন্য সিড়িতে পা দিতেই শাড়িতে পা আটকে পড়ে যেতে নিলো। ইমরান তৃতীয় সিড়িতে থাকায় ধরে ফেললো। বাকা থেকে সোজা করিয়ে দাড় করিয়ে বললো,
ইমরান- হাটতে পারো না যখন শাড়ি পড়েছো কেন!
নাফিসা কোন উত্তর না দিয়ে একটা ভেংচি কাটলো। নাফিসা ভেংচি কাটায় ইমরান রেলিংয়ে হেলান দিয়ে বুকের বাপাশে হাত রেখে বুকে তীর বিধার অভিনয় করলো! নাফিসা মুচকি হেসে শাড়ির কুচি ধরে নিচে নেমে এলো। মামিরাও সবাই শাড়ি পড়েছে! নাফিসাকে শাড়ি পড়তে দেখে সবাই খুব খুশি হলো। নাফিসা মোবাইল নেয়ার জন্য রিয়াদ আর হিমেলকে সাথে নিয়ে দোতলায় আসছিলো। রুমের সামনে থেকে ইমরান চেচিয়ে বললো,
ইমরান- হিমা হিয়া, ছবি তুলতে হলে এক মিনিটের মধ্যে ছাদে যা।
সাথে সাথে তারা দৌড়ে ছাদে চলে গেলো সাথে পিচ্চি দুইটাও। এদিকে নাফিসা রেগে আগুন, ছবি তোলার কথা তাকে বললো না কেন! সে মুখ ফুলিয়ে রুমে এলো। নাফিসার রাগ দেখে ইমরান মুচকি হাসলো। ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে ফোন নিয়ে সোজা হতেই পেছনে দাঁড়িয়ে ইমরান নাফিসার শাড়ির নিচে পেটে হাত রাখলো। নাফিসা রেগে সরাতে গিয়েও পারলো না, ইমরান আরও জোরে চেপে ধরেছে! কানে আলতো করে কামড় দিয়ে বললো,
ইমরান- এতো রাগ কেন হুম? হাসো একটু, মিস্টার এন্ড মিসেস দিয়ে ফটোশুট শুরু করি।
নাফিসা- ছাড়ো, লাগবে না তোমার ফটোশুট!
ইমরান নাফিসাকে এভাবে নিজের সাথে চেপে ধরেই ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় ছবি তুললো।
ইমরান- দেখো তো, আমাকে কতো সুন্দর লাগছে আর তোমার মুখটা কেমন পেচার মতো লাগছে!
নাফিসা- আমি পেচা?
ইমরান- না হাসলে তো এমনই মনে হয়! আচ্ছা, এবার দেখি কারটা বেশি সুন্দর হয়!
এবার নাফিসা মুখে হাসি ফুটিয়ে তুললো ছবি সুন্দর করার জন্য। দুজনকেই খুব সুন্দর লাগছে! ইমরানের সাদা শার্ট আর কালো জিন্সে নাফিসার সাথে মানিয়েছে খুব! নাফিসা আয়নায় ইমরানের দিকেই তাকিয়ে আছে। ইমরান কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
ইমরান- এক্সিউজমি, এখানে মিসেস সাঈফা ইমরান কে? ছাদে ফটোশুটের জন্য আপনার ডাক পড়েছে! নিজ পায়ে যেতে পারবেন নাকি আমার পায়ে যাবেন?
নাফিসা- হিহিহি… ছাড়ো!
নাফিসা ড্রেসিং টেবিল থেকে কালো বেল্টের হাত ঘড়িটা নিয়ে ইমরানের হাতে পড়িয়ে দিলো।
ইমরান- ওফ্ফ! ঘড়ি পড়ার কথা তো মনেই ছিলো না!
নাফিসা- মন কোথায় থাকে?
ইমরান হঠাৎ করেই নাফিসার গলায় চুমু দিয়ে বললো,
ইমরান- এখানে।
নাফিসা লজ্জা পেয়ে ফোন হাতে নিয়ে ইমরানের সাথে ছাদে এলো। ছাদের ছবি তোলা শেষ হলে নিচে এসে মা বাবা, চাচাচাচীর ছবি তুললো। শাড়ি পড়হিতা বাড়ির চার বউয়ের একসাথে ছবি তুললো। তারপর শান্তা আপুর বাসায় এলো। ইমা আপুরা তাদের আরও আগেই চলে এসেছে। ইমা ও শান্তা আপুও শাড়ি পড়েছে। অবশ্য যে কোনো প্রোগ্রামে তারা বরাবরই শাড়ি পড়ে। নাফিসা সবাইকে সেখানে পেয়ে খুব খুশি। আর নাফিসাকে শাড়ি পড়তে দেখে তারাও খুব খুশি।
খাওয়াদাওয়া মজা মাস্তি সবকিছুর পর বিকেলে বরযাত্রীদের আপ্যায়ন চলছে। নাফিসা তার মায়ের কাছে মাহিকে দিতে গেলে মাহিন ভাইয়ার ফুপির সাথে দেখা হলো। নাফিসা সালাম দিলো। তিনি জবাব নিয়ে মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
– এটা আপনার ছোট মেয়ে না?
মা- হ্যাঁ।
– মাশাল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে। বিয়ে দিবেন নাকি? আমার ভাসুরের ছেলের জন্য মেয়ে খুজছিলাম।
মা- আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি এক মাস হলো।
– কি বলছেন! বিয়ে হয়ে গেছে! দেখে তো মনে হয়না! নাকফুল কই তোমার? বিয়ে হলে আবার নাকফুল না পড়ে কেউ!
নাফিসা ও তার মায়ের, দুজনেরই মুখ মলিন হয়ে গেলো।
নাফিসা- আসলে আন্টি, আমি নাক ফুটাইনি তাই ফুল পড়া হয়নি।
– এটা কেমন কথা! নাক না ফুটালে অন্যের নজরে পড়ে যাবে। আমিই তো এখন আমার ভাসুরের ছেলের জন্য তোমাকে ঠিক করে ফেলতাম!
মা একটু রেগেই নাফিসার দিকে তাকালো। আর নাফিসা দ্রুত মাহিকে হাতে দিয়ে এখান থেকে কেটে পড়লো। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেছে কিন্তু নাফিসা ইমরানকে দেখতে পাচ্ছে না! ভাইয়ারাও সবাই এখানে কিন্তু ইমরান কোথায়! নাফিসা এদিক সেদিক তাকিয়ে খুজে আবার ইমা আপুর সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। হঠাৎই কোথা থেকে ইমরান এসে নাফিসাকে আপুর সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে! চোখে মুখে কেমন রাগ স্পষ্ট!
নাফিসা- কি হয়েছে? হাত টানছো কেন?
ইমা- কি হয়েছে ইমরান?
ইমরান- কিছু না আপু। তুমি এসো না প্লিজ!
ইমরান নাফিসাকে টেনে চুপচাপ শান্তার রুমে নিয়ে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো। নাফিসা কিছুই বুঝতে পারছে না! দেখলো এ রুমে একটা মেয়ে বসে আছে! ইমরান চেয়ারটা টেনে নাফিসাকে বসালো। নাফিসা শুধু ইমরানের দিকে তাকিয়ে আছে! ইমরান পকেট থেকে ছোট একটা বক্স মেয়েটির হাত দিলো। মেয়েটি বক্স খুলে নাকফুল বের করে হাতে একটা মেশিন নিলো! এই মেশিন তো পার্লারে দেখেছিলো নাফিসা! তার নাক ফুটাবে এখন! নাফিসা চোখ বড় বড় করে উঠে দাড়ালো।
নাফিসা- আমি নাক ফুটাবো না!
ইমরান- চুপচাপ বসো।
নাফিসা- না, আমি নাক ফুটাবো না!
নাফিসা দৌড়ে দরজার কাছে চলে যাচ্ছিলো ইমরান তাকে টেনে আবার চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
ইমরান- নাড়াচাড়া করবা মেরে ফেলবো একেবারে। বসো চুপচাপ!
ইমরান খুব রেগে ধমক দিলো নাফিসা খুব ভয় পেয়ে গেছে! চোখের পানি ঝরতে সময় নেয়নি! কান্না করতে করতে বলতে লাগলো,
নাফিসা- নাক ফুটাবো না! মামিইইই….!
এদিকে ইমরান নাফিসাকে চেয়ারে চেপে ধরে রাখলো আর মেয়েটি এসে মেশিন দিয়ে নাক ফুটিয়ে দিলো। বেশি সময় লাগেনি কিন্তু নাফিসা কান্না করতে করতে অর্ধেক শহীদ!
ইমরান- নাফিসা, চুপ বিয়ে বাড়ি এটা। এভাবে কান্না করছো কেন, ব্যথা পাচ্ছো তুমি!
নাফিসা- সর তুই আমাকে ধরবি না। একটা কথাও বলবি না! এএএএ….!
এদিকে ইমা আপু বলায় বড় মামি এসে বাইরে থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছে! মেয়েটি টাকা নিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো! নাফিসা চেয়ারে বসে বসে কান্না করেই যাচ্ছে ইমরান পাশেই ফ্লোরে হাটু ভেঙে বসেছে। মামি আর ইমা আপু ভেতরে এলো।
বড় মামি- কি হয়েছে? কান্না করছে কেন নাফিসা?
নাফিসা- মামি দেখো কি করছে! জোর করে নাক ফুটাইছে! আমি ব্যাথা পাচ্ছি খুব!
বড় মামি- ইমরান কে বলেছে এতো পন্ডিতি করতে! নাফিসা ভয় পায়, তুই জোর করে নাক ফুটাতে গেলি কেন!
এতোক্ষণে নাফিসার মা ও এসে পড়েছে! ইমরান রেগে উঠে দাড়ালো। আর চেচিয়ে বলতে লাগলো,
ইমরান- আমি কোনো কাজ করলেই পন্ডিতি হয়ে যায় না? আর আশেপাশের মানুষ এসে এটা সেটা বলে যায় এসব শুনতে খুব ভালো লাগে তাই না? নাকফুল না পড়লে ভাবে মেয়ে অবিবাহিত। আর জেনে আর না জেনে বিবাহিতা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে বসে থাকে! সেদিন বাসে এক মহিলা আমার কাছে এসে বলে তাকে বিয়ে দিবো কিনা! নাকফুল পড়া থাকলে কি বলার সাহস পেত! আজ আবার ফুপির কাছে একজন বলছিলো তাকে বিয়ে দিবে কিনা! কি ফুপি বলেনি? উনি এটাও বলেছেন নাকফুল না পড়লে যে কারো নজরে পড়বে। ভুল বলেনি তো কথাটা! নাক ফুটালে কি এমন ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে! কোন মেয়েটা নাক ফুটায় না দেখাও আমাকে! তারা কি এখনো কান্না করছে? তোমরাও তো ফুটাইছো, কই এখনো কান্না করছো? সকল ব্যাথা সহ্য হয় আর এইটুকু ব্যাথা সহ্য হয় না! রাত বারোটা পর্যন্ত ভুতের মুভি দেখে ভয় পায় না, আর নাক ফুটাতে এলে ভয় পায়! আর তোমাদের চোখে আমার কাজ পন্ডিতি মনে হয়! সবদিক থেকে এসব আদর দিতে দিতে বাদর বানিয়ে ফেলছো! সবকিছু তার মর্জিতে চলবে, যত্তসব!
ইমরান ভীষণ রেগেছে সবাই বুঝতে পেরেছে তাই আর কেউ তাকে কিছু বললো না! নাফিসাও নিরবে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে এতোক্ষণ ইমরানের কথা শুনেছে তাই বলে তার রাগ শেষ হয়নি!
মা- উচিত করেছে ইমরান। অতি পাজি হয়ে গেছে, কোন বুঝ নেয় না মাথায়!
মায়ের কথা শুনে আরও বেশি রেগে গেছে নাফিসা! কোন কিছু না বলে মায়ের হাত থেকে পার্স নিয়ে নিলো সে। পার্সে খুজাখুজি করে চাবিটা বের করে নিলো, সাথে পঞ্চাশ টাকার নোটটা নিয়ে সোজা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো! মা, মামি, ইমা আপু নাফিসাকে ডাকছে পেছন থেকে কিন্তু সে থামছে না, দ্রুত বেরিয়ে গেলো সবার সামনে দিয়ে! এখন যে তাকে থামানো যাবে না তা খুব ভালো করেই যানে ইমরান। তাই বললো,
ইমরান- যাক সে, চিন্তা করো না আমি যাচ্ছি সাথে। প্রোগ্রাম শেষ করেই ফিরো তোমরা।
ইমরান দ্রুত বেরিয়ে গেলো নাফিসার পিছু পিছু। কনে বিদায় হওয়ার আগেই নাফিসা বিদায় হলো বিয়ে বাড়ি থেকে! নাফিসা রাস্তায় এসে রিক্সা পেলো না! সিএনজি রিজার্ভ করতে গেলে ২০ টাকার রাস্তা ২০০ টাকা চাইবে! তাই সে বাসে উঠে পড়লো! ইমরানও দ্রুত পায়ে পিছু পিছু এসে এক লাফে বাসে উঠে পড়লো। উঠার আগে দোকান থেকে একটা চিপস নিয়েছিলো। নাফিসা জানালার পাশে সিট ফাকা পেয়ে সেখানে বসে পড়লো। ইমরানও তার পাশে বসে পড়লো। নাফিসা তাকে দেখে উঠতে গেলে সে উঠতে দিলো না! নাফিসা বাইরে তাকিয়ে আছে ইমরান তার পেছনে হাত রাখতেই সে চিমটি দিয়ে সরিয়ে দিলো। মুচকি হেসে ইমরান চিপসের প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললো,
ইমরান- চিপস খাইবা?
নাফিসা রেগে তাকিয়ে তার হাত থেকে চিপস নিয়ে ইমরানের মুখের দিকে মেরে বললো,
নাফিসা- তোর চিপস তুই খা বেশি করে!
ইমরান মুখ সরিয়ে নেয়ায় চিপস গিয়ে পড়লো পাশের সিটের এক মহিলার পায়ের কাছে! মহিলার কোলে চারপাচ বছরের এক বাচ্চা ছিলো। চিপস দেখে সে বললো,
– আম্মু, চিপস খাবো।
– আচ্ছা, গাড়ি থেকে নেমে কিনে দিবো।
মহিলাটি চিপস উঠিয়ে ইমরানের দিকে দিলো।
ইমরান- বাবুকে দিয়ে দিন।
– না, আমি পরে কিনে দিবো।
ইমরান হাত থেকে চিপস নিয়ে বাবুর হাতে ধরিয়ে দিলো।
ইমরান- সমস্যা নেই, বাবু এটা খেয়ে নেক।
– কে হয় আপনার?
ইমরান- ওয়াইফ।
– রাগ করেছে বোধহয়!
ইমরান- হুম।
– চিপসের জন্য?
ইমরান- না, চিপস এমনিতেই কিনেছি। বকেছিলাম তাই রেগে আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here