পিচ্চি চাচাতো বোন (সিজন ২),পর্বঃ১
আবির হাসান নিলয়
বিয়ের রাতে বাসা থেকে বধূ উধাও..!
সেটাও বিয়ে করার পর।বেশ অবাক
করা কাহিনীও বটে।ভালোবেসে বিয়ে
কিন্তু বাসর ঘর থেকে বরকে বেহুশ
করে চুপিচুপি বাসা থেকে পালিয়ে
গেলো।আর সেটা কেউ টেরও
পেলো না।
মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।মাথার
পেছনটাতে হাত দিয়ে দেখলাম
কিছুটা ফুলে গেছে।কোনোরকম
বিছানা থেকে উঠে গিয়ে রুমের
লাইট অন করলাম।পুরোটা রুমে
সব কিছু অগোছালো ভাবে ছড়িয়ে
ছিটিয়ে আছে।সোফার উপর
কিছু সময় চোখ বন্ধ করে মাথাটা
নিচু করে বসে রইলাম।
কতোটা সময় বসে ছিলাম সঠিক
মনে নেই।আর বসে না থেকে উঠে
দরজা খুলে দিয়ে প্রথমেই ছাদে
গেলাম।সেখানে সব বন্ধুরা শুয়ে
আছে।রাফিকে লাথি দিয়ে জাগিয়ে
তুলতেই গালি দিলো।
রাফিঃসালা বাইন** বাসর ঘর
থেকে বের হয়ে এখানে কেন তুই?
আমিঃজান্নাত পালিয়ে গেছে
রাফিঃড্রিংক করলাম আমরা আর
মাতাল হয়েছিস তুই?
আমিঃকেনো করলো এমন?
ওর পাশে বসে পড়লাম।আমাকে
কিছু না বলে জয় রাহুলকে
জাগিয়ে তুললো।
রাফিঃকি বলে গেছে?
আমিঃকিছুই না।মাথার পেছনে
আঘাত করে বেহুশ করে পালিয়ে
গেছে।
জয়ঃআমি নিচে যাচ্ছি সবাইকে বলতে।
রাহুলঃযখন তোলে আঘাত করলো
তুই কি করছিলি,আদুভাইয়ের মতো
মার খেলি?
আমিঃরুমের লাইট বন্ধ ছিলো।
রাফিঃকিন্তু জান্নাত তো তোকে
ভালোবাসতো।
আমিঃআমিও কিছু বুঝতে পাড়ছি না।
কিছু সময়ের ব্যবধানে সবাই ছাদে
চলে আসলো।
আব্বুঃতুই জান্নাতকে তাড়িয়ে
দিয়েছিস নাকি ও নিজে থেকে
চলে গেছে?
আমিঃতারিয়ে দিলে আমাকে
আঘাত করার সাহস পেতো না।
চাচ্চুঃও তোকে কিছু বলে গেছে?
আমিঃনা
ভাইয়াঃকিন্তু তোরা তো একে
অপরকে ভালোবাসতি তাই না।
আমিঃভাইয়া আমি ভাসলেও
হয়তো জান্নাত আমাকে…..
আম্মুঃঅনেক হয়েছে,সবাই
রেডি হয়ে নাও।এখন বাসায়
চলে যাবো।
চাচ্চুঃভাবি তুমি আমাদের
একটা সুযোগ দাও।আমরা
আমার মেয়েকে খুঁজে নিয়ে
আসবো।
আম্মুঃখুজে আনার পর কি
শুনবো ওর থেকে?ওর পুড়ানো
কোনো।প্রেমিকের সাথে পালিয়ে
গেছে সেটা শোনার জন্য থাকবো?
ছোট মাঃভাবি জান্নাত এমন মেয়ে না।
আম্মুঃআমিও সেটাই ভাবতাম।
নিজের মেয়ে মনে করতাম,কিন্তু
কখনো ভাবতে পারিনি ও আমার
পরিবারের সাথে এমন নিকৃষ্ট কাজ
করবে।
চাচ্চুঃবড় ভাই তুমি একটু ভাবিকে
বোঝাও,জান্নাত এমন করতে
পাড়ে না।
আব্বুঃজানিনা ভাই আমি তোর
সাথে কবে দোষ করেছিলাম।কিন্তু
তোর মেয়ে আমাদের সাথে এমনটা
করলো আমি এখনো ভাবতে
পাড়ছি না।ভালো থাকিস।
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে
আমাকে নিয়ে নিচে চলে আসলো।
সবাই যার যার মতো নিজের
জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। আমি
বাইরে সোফার উপর বসে
মাথা নিচু করে ডান হাত দিয়ে
মাথার পেছনে ধরে আছি।
পাঁচ মিনিট পর আম্মু আব্বু
রুম থেকে বাইরে আসতেই
চাচ্চু আর ছোট মা অনেক
করে রিকুয়েস্ট করছে।আব্বু
চুপচাপ থাকলেও আম্মু অনেক
বেশি রেগে আছেন।কারো কথাই
জেনো তার কানে যাচ্ছে না।
ছোট মা অনেকবার আম্মুকে
জড়িয়ে ধরেও কাজ হয়নি।
আমার হাত ধরে টানতে টানতে
বাসার বাইরে নিয়ে আসলো।
কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না।
জান্নাতের জায়গা যেখানে আমার
থাকার কথা ছিলো সেখানে
পিচ্চি মেয়েটা উধাও….!
একটা গাড়িতে আমি,আম্মু
আব্বু,ভাবি আর প্রিয়া।অন্য
গাড়িতে বন্ধুদের সাথে ভাইয়া।
আম্মু অনেক বেশিই রেগে আছে।
মুখে যা আসছে তাই বলে চলেছে।
আমিঃআম্মু তুমি চুপ করবে?
আম্মুঃতুই একদম চুপ।ওকে আমি
নিজের মেয়ের মতো আদর স্নেহ
করেছি।আর আজ ঐ কিনা ছিঃ
আমার এসব ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।
যেখানেই যাক না কেনো,ও কখনো
সুখে থাকতে পাড়বে না।কাউকে
মুখ দেখাতে পাড়বে না।আমি তো
চাই ও রাতের….
আব্বুঃতুমি একটু বেশি বলে ফেলছো না?
আম্মুঃও এখন আমি বেশি বলছি তাই না..!
আব্বুঃহ্যা তুমি বেশি বলছো।
আম্মুঃনিজের ভাইয়ের মেয়ে তাই তো
গায়ে লাগছে।
ভাবিঃআম্মা একটু শান্ত হও।
আম্মুঃআজ থেকে ওদের সাথে
আমাদের সব সম্পর্ক শেষ।
আম্মু একা একাই কিছু সময়
কথা বলার পর থেমে গেলো।
আব্বুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম
চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।
কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না
দিয়ে আপন মনে ড্রাইভ করছে।
সিটেএ সাথে মাথাটা এলিয়ে
দিতেই পাগলিটার চেহারা চোখের
কোনে ভেসে উঠলো।কতোই না
মায়াবী চেহারা।বাসায় আসতে
আসতে ভোর হয়ে গেছে।গাড়ি
থেকে নেমে বাসায় এসে সোজা
রুমের মধ্যে চলে আসলাম।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখ দিয়ে
জল পড়ছে।বিছানার উপর
শরিরটা এলিয়ে দিতেই ঘুমের
রাজ্যে পারি জমালাম।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো
এক সপ্তাহ সময় লাগলো।আব্বু
যদিও চাচ্চুকে এসব নিয়ে কিছু
বলে না।তবে আম্মু উনাদের সাথে
একদম যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ
করে দিয়েছেন।সকালের নাস্তা
করার জন্য ডাইনিং টেবিলে
বসতেই আম্মু বললো…
আম্মুঃবাসায় বসে থেকে কি
করবি এখন?
আমিঃকি করবো?
আম্মুঃতুইও অফিসে যাবি।
ভাইয়াঃআম্মু এখনো ওর অনার্স
শেষ হয়নি।
আম্মুঃসেসব আমি শুনতে চেয়েছি?
আমিঃআমি অফিসে এখন যেতে
চাই না।অনার্স শেষ করে ভাববো।
আর আব্বু এখন আমার টাকা
লাগবে।
আম্মুঃটাকা দিয়ে কি করবি?
আমিঃকাজ আছে।
আব্বুঃকতো টাকা?
আমিঃঅনেক টাকা।
ভাইয়াঃকিন্তু টাকা দিয়ে তুই কি করবি?
কিছু না বলে চুপ করে রইলাম।
হয়তো আম্মু অনেক বেশিই
রেগে গেছেন।আব্বু বেশি কিছু
না বলে শুধু বললেন;
আব্বুঃটাকা কখন লাগবে?
আমিঃআজ আর এখন তবে
আমার কার্ডে লাগবে।ক্যাশ
নিয়ে বের হবো না।
আব্বুঃঠিক আছে।নাস্তা শেষ
করে আমার আর নিলের
সাথে বাইরে যাবি।
আমিঃহুম
আর কোনো কথা না বলে
নাস্তা শেষ করে উনাদের
সাথে আমি নিজেও বাসার
বাইরে চলে আসলাম।
আব্বুঃযাবি কোথায়?
আমিঃজান্নাতকে আনতে।
আব্বুঃতুই জানিস জান্নাত কোথায়?
আমিঃআছে তো বাংলাদেশেই।
ভাইয়াঃআম্মু জানলে কিন্তু একদম
হৈচৈ শুরু করে দিবে।
আমিঃজীবনটা আমার,তাই এখন
অন্তত আমার মতো করে চলতে দে।
আব্বুঃএকাই যাবি নাকি তোর বন্ধুরা
তোর সাথে যাবে?
আমিঃএকা যেতে চাই।
আব্বুঃবের হবি কখন?
আমিঃরুম থেকে ব্যাগটা নিয়েই
বের হবো বাইক নিয়ে।
ভাইয়াঃসমস্যা হলেই আমাদের
কল দিবি।
আমিঃজীবনের সব থেকে বড়
সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি।এর
থেকে আর কি সমস্যা হবে?
ভাইয়াঃখেয়াল রাখিস ভাই।(জড়িয়ে)
আমিঃহুম
আব্বুঃঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস।
আমিঃহুম,দোয়া করো।(জড়িয়ে ধরে)
আর কোনো কথা না বলে বাসায়
এসে রুমের মধ্যে থেকে ব্যাগটা
নিয়ে নিচে আসলাম।ভাবি আভাকে
কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আর
আম্মু চুপচাপ বসে আছে।আভাকে
চুমু খেয়ে ভাবিকে যত্ন নিতে বলে
আম্মুর সামনে গিয়ে বসলাম।
আমিঃজানি না তুমি কি ভাবছো
আমার এখন তোমাকে শুধুমাত্র
একটা কথা ছাড়া আর কিছু বলার
নেই।আর সেটা হলো আমাকে
ক্ষমা করে দিও।আম্মুর পা ছুঁয়ে
বাসার বাইরে এসে বাইক নিয়ে
রওনা দিলাম অজানা গন্তব্যে।
যার কোনো চেনা রাস্তা নেই,নেই
কোনো ঠিকানা।শুধুমাত্র একটাই
উদ্দেশ্য জান্নাতকে খুঁজে বের
করে ইচ্ছামতো মারা।জান্নাত
যেখানে যেখানে যেতে পাড়ে
তার মধ্যে অন্যতম জায়গা হলো
খুলনা।সেখানেই ওর নানু বাড়ি।
সারাদিনের যাত্রা শেষ করে
জান্নাতের নানু বাড়ি আসলাম।
বাসার সামনে বাইক রেখে ভিতরে
যেতেই কয়েকজন এগিয়ে আসলো।
জান্নাতের বড় মামা বললো;
—নিলয় তুমি এখানে?
আমিঃমামা আপমাদের এখানেই
জান্নাত আসছে আমি জানি।তাই
দয়া করে ওকে একটিবারের জন্য
ডেকে দিন।ওর সাথে আমার অনেক
কথা আছে।
—জান্নাত এখানে আসেনি।আর
আসলেও।পরেরদিন আমি নিজেই
ওকে সাথে নিয়ে তোমাদের বাসায়
গিয়ে রেখে আসতাম।
আমিঃপ্লিজ মিথ্যা বলবেন না
—সত্যি বলছি।চাইলে তুমি সারা
বাসা দেখতে পারো।
আমিঃআপনার চেনা জানা আত্মীয়
যেখানে ও যেতে পাড়ে।
—রফিকের বাসায় খোজ নিয়েছো?
আমিঃরফিক কে?
—আমার বড় বাবার ছেলে।ওদের
সাথে জান্নাতের অনেক ভালো সম্পর্ক।
জান্নাত নিজেও ওর পরিবারকে অনেক
বেশি সম্মান করে।
আমিঃবাসা কোথায়?
—চট্টগ্রাম।
আমিঃবাসা চিনবো কি করে?
—ওখানে একটা গ্রামের নাম ভাউলিয়া
আছে।সেখানেই থাকে।
আমিঃসাজেক পাওয়ার আগের গ্রাম?
—হ্যা তবে অনেকটা দূরে।ওখানে গিয়ে
ওর ছবি দেখালে মানুষজন দেখিয়ে দিবে।
আমিঃউনার কোনো ছবি আছে?
—হ্যা,শিমলা ছবিটা দেতো।
মেয়েটার থেকে ছবি নিয় আসতে
যাবো তখন আবার বললো;
—এখন তো সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
আমিঃসমস্যা নেই।
—আজ রাত এখানে থাকো।
আমিঃনা মামা,ভালো থাকবেন।
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে
বাইক নিয়ে রওনা দিলাম।
রাত ৮টার দিকে একটা হোটেলে
এক রাতের জন্য উঠলাম।
রাতের খাবার কোনো রকম শেষ
করে শুয়ে পড়লাম।
পরেরদিন,,,,,,,,,
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা
করে রওনা দিলাম।যেতে অনেক
সময় লাগবে,তার উপর জ্যাম
তো আছেই।
কতোই না পাগলিটা ভালোবাসি
ভালোবাসি বলে মাথা খেতো
আজ সেই সবার থেকে চলে
গেছে।হ্যা আগে আমি ওকে
সহ্য করতে পাড়তাম না।কিন্তু
এখন খুব করে যে ওকেই লাগবে।
SSC পাশ করেছি মাত্র,বন্ধুরা
সবাই সবার আত্মীয়দের বাসায়
ঘুরতে চলে গেছে।শুধুমাত্র আমি
ছাড়া।সোফার উপর বসে সবাই
কথা বলছিলো আমিও গিয়ে
তাদের সাথে বসলাম।অনেকটা
সময় তাদের কথা শুনে বললাম,,,
আমিঃআম্মু চলো ট্যুরে যায়।
আম্মুঃহঠাৎ ট্যুর কেনো?
আমিঃবন্ধুরা সবাই নিজেদের
আত্মীয়দের বাসায় এবং ট্যুরে
গেছে।শুধুমাত্র আমি পরে আছি।
ভাইয়াঃচাচ্চু কিংবা আন্টির বাসা
থেকে ঘুরে আয়।
আমিঃআমি ওসব বাসায় যাবো না।
ট্যুরে কোথাও যাবো।
আম্মুঃঠিক আছে যাবো।
আব্বুঃসাথে তোর চাচ্চুও যাবে।
আমিঃচাচ্চু কেনো?
আব্বুঃতোর চাচ্চুর অনেক দক্ষতা আছে।
আমিঃতাহলে যাবে কবে?
আব্বুঃপরশুদিন
আমিঃনা,কালকেই যাবো
আম্মুঃপরশুদিন নিলয়।
ভাইয়াঃআমি তোমাদের সাথে যেতে
পাড়বো না তাহলে?
আম্মুঃকেনো,তোর আবার কি হলো?
ভাইয়াঃদুদিন পর থেকে এক্সাম শুরু।
তোমরা যাও আমি পরে বন্ধুদের সাথে
কোথাও ঘুরতে যাবো।
আমিঃওকে,আমি এখন বাইরে গেলাম।
আম্মুঃনাস্তা করে যা
আমিঃনা এসে করবো
আর কোনো কথা না বলে মাঠে
চলে আসলাম।সবাই মিলে ক্রিকেট
খেলছি। ব্যাট করছি আমি তখন
অরিতা আপু(ভাবি)ডাকলো।কিন্তু
ওদিকে কান না দিয়ে খেলাতেই মনোযোগ
দিচ্ছি।হঠাৎ খেলার মাঝে তিনি
চলে আসায় বাধ্য হয়ে ব্যাট ছাড়তে
হলো।রাগও হচ্ছিলো অনেক।
আমিঃআপু আজ কিন্তু আমি
কারো সাথে বেয়াদবি করি নাই।
অরিতাঃতুই আগে আমার সাথে
চল।অনেক কথা আছে।
আমিঃএখানেই বলো।
অরিতাঃক্ষুধা লাগছে,তাই খেতে
খেতে বলবো।
আমিঃতুমি খেয়ে এসে আমাকে
ডাক দিও।আমি ব্যাট করি।
চলে আসতে যাবো ওমনি কান
ধরে তার সাথে নিয়ে গেলো।
অরিতা আপু এখন ইন্টার সেকেন্ড
ইয়ারে পড়াশোনা করে।আর ভাইয়া
অনার্স প্রথন বর্ষে।একটা রেস্টুরেন্টে
আমাকে নিয়ে বসলো।
অরিতাঃনাস্তা করিস নাই কেনো?
আমিঃতুমি জানলে কি করে?
অরিতাঃনিল বললো।
আমিঃভাইয়া তোমাকে কেনো বলবে?
অরিতাঃকারণ আমি তোর হবু ভাবি।
আমিঃআপু মজা না নিয়ে যা বলার
তাড়াতাড়ি বলেন।অনেকটা সময়
ফিল্ডিং দেয়ার পর ব্যাট পেয়েছি।
অরিতাঃতুই নাস্তা করলে যেতে দেবো।
আমিঃআমি কিন্তু বাসায় বলে দেবো।
অরিতাঃকি বলবি?
আমিঃএইযে তোমার আর ভাইয়ার
মধ্যে গভীর চক্কর চলছে।
অরিতাঃহাহাহা,চক্কর মানে কি?
আমিঃবাসায় বললে এমনিতেই
ভাইয়ার থেকে শুনবে।
চলবে…………..