অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 34

0
2586

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 34
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
ছেলেটা ছাড়া পেয়ে এক দৌড় দিলো! পেছন পেছন ইমরান আর রেহানও কফি শপ থেকে বেরিয়ে একটু ছোটখাটো দৌড়ানি দিলো! ছেলে তো মনে হচ্ছে রাস্তার গাড়ির সাথে দৌড় খেলা দিচ্ছে! একটুও থামছে না!
ইমরান আর রেহান হাসতে হাসতে আবার ফিরে এলো। ইমরান কফি অর্ডার করলো। সবাই কফি খেয়ে আশেপাশের জায়গা ঘুরলো। বিকেলের সময়টা বাইরে কাটিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলো।
রাতে একসাথে খাওয়ার সময়,
নাফিসা- মামি, ঈদ তো নিকটে। পিঠা বানাইবা না?
ছোট মামি- হ্যাঁ, নকশি পিঠা বানাতে হবে।
নাফিসা- আগেই করো, আমি ফ্রী আছি।
ইমরান- নাফিসা আবার পিঠাও বানাতে পারে!
নাফিসা- হুম, নাফিসা ইজ অলরাউন্ডার!
ইমরান- আমি তো জানতাম সাকিব আল হাসান ইজ অলরাউন্ডার!
নাফিসা- ভালোমন্দ যেমনই হোক, নাফিসা তো ক্রিকেটও খেলতে পারে! সাকিব আল হাসান কি নকশি পিঠা বানাতে পারে?
ইমরান- উম্মম্ম! তাই তো! জিজ্ঞেস করতে হবে!
সবাই হিহিহি করে হেসে উঠলো। কয়েকদিন পরই ইমরানের মামা আর মামাতো ভাই রাফসান এলো। নাফিসা মামাকে সালাম দিয়ে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করলো। শুক্রবার হওয়ায়, সবাই আজ বাসায়ই আছে। নাফিসা রুমে এসে দেখলো ইমরান ল্যাপটপে কিছু করছে। ড্রেসিং টেবিলের দিকে যেতে যেতে বললো,
নাফিসা- নিচে যাও, তোমার বন্ধু এসেছে।
ইমরান ব্রু কুচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
ইমরান- কে?
নাফিসা- নিজে গিয়ে দেখো।
ইমরান ল্যাপটপ পাশে রেখে নিচে চলে গেলো। চুল খোপা করে নাফিসা বের হতে যাবে এমন সময় ইমরান আবার তারাতাড়ি এসে নাফিসাকে টেনে রুমে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে আবার নিচে গেলো। নাফিসা কিছুই বুঝতে পারলো না! মামার সাথে কথা বলে একটু পর ইমরান আবার রুমে এলো। ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসলো।
নাফিসা- বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে গেলে কেন?
ইমরান- এমনি, বাইরে যাবে না।
নাফিসা- কেন?
ইমরান- আমি বললাম তাই।
নাফিসা- হুহ্! তুমি বললেই হবে! বাইরে আমার কাজ নাই!
ইমরান- যেতে নিষেধ করেছি কিন্তু!
নাফিসা- একশো বার যাবো।
ইমরান- যাওয়ার আগে খাটের নিচে কিছু আছে। সেটা দেখে যাও।
নাফিসা- কি?
ইমরান- দেখো কি আছে।
নাফিসা- বক্স খাটের নিচে আবার কি থাকবে!
ইমরান- এই কর্নারে নিচে হাত দাও।
নাফিসা- মিথ্যে বলছো!
ইমরান- হাত দিয়ে দেখো মিথ্যে না সত্য!
নাফিসা ইমরানের কথায় খাটের কোনা দিয়ে হাত দিতে গিয়েও থেমে গেলো। ঝাড়ু এনে ফাকা জায়গা দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলো। খটাখট শব্দ হয় কিসের! নাফিসা এবার হাত দিয়ে লাঠির মতো কিছু অনুভব করলো! আস্তে আস্তে টেনে দেখলো লাঠিই! এবার পুরোটা বের করে দেখলো তার চেয়েও বড় বাশ!
নাফিসা- এটা এখানে কেন? এটা দিয়ে কি করো?
ইমরান- কিছু করিনি এখনো। কথা না শুনলে কাজে লাগাবো।
নাফিসা- আমার কাজে বাধা দিলে আমিই কাজে লাগাবো মিস্টার। হি হি হি! লাঠি এখন আমার হাতে!
ইমরান ঠোঁটের এক কোনে হাসি ফুটিয়ে বিছানা থেকে নেমে এলো। নাফিসা লাঠি বাড়ানোর আগেই ইমরান তার কাছে এসে নাফিসাকে সুড়সুড়ি দিয়ে লাঠি নিয়ে নিলো।
ইমরান- লাঠি এখন কার হাতে মিসেস? চুপচাপ খাটে যাও। ঘুমাও গিয়ে। না হয় লাঠি পড়বে পিঠে।
নাফিসা- এমন করছো কেন!
ইমরান- হিমা হিয়া সবাই ঘুমাচ্ছে, তুমি জেগে আছো কেন!
নাফিসা- দুপুরে ঘুমাতে ভালো লাগে না।
ইমরান- না ভালো লাগলেও ঘুমাবে। ঘুমাও যাও!
নাফিসা- তুমি ঘুমাও না কেন! নিজে ঘুমায় না অন্যকে বলে!
ইমরান- চলো, আমিও ঘুমাবো।
নাফিসা মুখ ফুলিয়ে ইমরানের আগেই গিয়ে খাটে শুয়ে পড়লো। ইমরান মুচকি হেসে ল্যাপটপ সরিয়ে নাফিসার কাছে এসে শুয়ে পড়লো। নাফিসার উপর হাত রাখতেই সরিয়ে দিলো।
ইমরান বিরক্ত না করে উঠে নিজের কাজ করতে লাগলো। এখন রাগ ভাঙাতে গেলে আবার পাগলামি শুরু করবে। একটু পর ইমরান ওঠে বাথরুমে গেলে নাফিসা চোখ খুলে তাকালো। ইমরানের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার জন্য ল্যাপটপে টাচ করলো। স্ক্রিন জ্বলে ওঠার সাথে সাথে নাফিসার ছবি ভেসে উঠেছে স্ক্রিনে! এটা তো এনগেজমেন্ট এর ছবি যখন নাফিসা জানালার পাশে দাড়িয়ে ছিলো! কখন তুললো সে! নাফিসা তো টেরই পায়নি! জুসের গ্লাস নিয়ে যখন রুমে গিয়েছে তখন তার হাতে ফোন ছিলো! তাহলে তখনই তুলেছে! নাফিসা মাথাটা একটু উঠিয়ে এদিক সেদিক আরও ছবি দেখতে লাগলো। তার ছবিতে ভরপুর! ফোল্ডারের নাম মাই কুইন! নাফিসা মাহির সাথে তার ঘুমন্ত ছবি দেখে আরও বেশি অবাক হলো! ইমরান এতো ছবি তুলেছে তার অথচ টেরই পায়নি! দরজার শব্দ শুনে নাফিসা দ্রুত চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো।
ইমরান এসে দেখলো নাফিসা তার দিকে ঘুরে ঘুমিয়েছে। অত:পর ল্যাপটপে ছবি দেখেই বুঝতে পারলো সে ঘুমায়নি!
ইমরান ল্যাপটপ রেখে পাশে শুয়ে পড়লো। নাফিসার পেটে সুড়সুড়ি দিয়ে বললো,
ইমরান- এটাই ঘুমাচ্ছেন না?
নাফিসা- হিহিহি….. সরো!
ইমরান তার কাছে এসে আরও ঝাপটে ধরে রইলো। নাফিসাও ইমরানের উপর হাত রেখে বললো,
নাফিসা- চোর ফটোগ্রাফার! লুকিয়ে লুকিয়ে অন্যের ছবি তোলে!
ইমরান- আমার বউয়ের ছবি তুলেছি,অন্যের কোথায়?
নাফিসা- বিয়ের আগের ছবিই তো কতো! তুমি আমাকে নিচে যেতে দেওনি কেন?
ইমরান- ঘুমানোর জন্য।
নাফিসা- মামা এসেছে কেন?
ইমরান- রিমার বিয়ের দাওয়াত দিতে।
নাফিসা- রিমা আপুর বিয়ে! ওফ্ফ! আবার একটা বিয়ে খাবো! শান্তা আপুর বিয়ের পর থেকে শুধু মেয়েদের বিয়েই খেয়ে যাচ্ছি! একটাও ছেলের বিয়ের দাওয়াত পরেনি! আশা করেছিলাম তোমার বিয়েটা খাবো সেটাও খাওয়া হলো না!
ইমরান- হাহাহা…. আমার বিয়ে খাওনি?
নাফিসা- উহুম! তুমিই আরেকটা বিয়ে করো না! তোমার বিয়েটা খাই!
ইমরান নাফিসার কথায় হতবাক হয়ে আছে! এ কেমন মেয়ে যে নিজের বরকে আবার বিয়ে করতে বলে! ইমরান নাফিসার নাক টেনে বললো,
ইমরান- সতীনের ঘর করার এতো শখ হয়েছে কেন হুম?
নাফিসা- সমস্যা কি! ও থাকবে একদিকে আমি থাকবো আরেকদিকে! তোমারই তো ভালো, ডাবল সেবাযত্ন পাবে!
ইমরান- আচ্ছা? বিয়েটা বোধহয় তিশাকেই করা দরকার ছিলো। তিশা আর সতীন চাইতো না।
তিশার কথা শুনতেই নাফিসার মুড অফ হয়ে গেছে! সে তো দুষ্টুমি করে বলছিলো ইমরান সেটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিলো! ইমরানের মাথার চুলে বিলি কাটতে কাটতে বললো,
– আমার মামার বাড়ি তিশা আসবে কেন! আমি কি তোমার কম যত্ন করি বলো! ছেলেদের বিয়ে খেতে একটুও মজা না, আমি তো এমনি এমনি বলছিলাম।
ইমরান বেশ বুঝতে পারছে নাফিসার জেলাসি! নাফিসাকে ছেড়ে সোজা হয়ে শুয়ে বললো,
ইমরান- না, একটা বিয়ে করাই দরকার! তিশা আমার বউ হলে অনেক ভালো হতো! সে তো এখনো আমার কতো কেয়ার করে।
নাফিসা আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছে! সে ইমরানের বুকে মাথা রেখে কাদো কাদো গলায় বললো,
নাফিসা- আমি সত্যিই দুষ্টুমি করছিলাম! তুমি বিয়ে করলে আমি কোথায় যাবো? কাকে ধরে ঘুমাবো।
ইমরান মুচকি হেসে নাফিসার মাথায় বিলি কেটে বললো,
ইমরান- এসব আর কখনও বলবে না। হুম?
নাফিসা- আচ্ছা।
মামা চলে গেছে। সারাদিন ঘরে বসেই ইমরান ল্যাপটপে কাজ করেছে। শুধু নামাজের সময় মসজিদের জন্য বেরিয়েছে।
রাতে ডিনার করে আবারও কাজ নিয়ে বসেছে। নাফিসার ঘুম পেয়েছে প্রচুর। সে ইমরানের ল্যাপটপ টানা শুরু করলো।
নাফিসা- সারাদিন এতো কিসের কাজ নিয়ে পড়ে থাকো! ঘুমানোর সময় এখন। ঘুমাও।
ইমরান- আরেকটু বাকি আছে।
নাফিসা- থাকুক বাকি।
ইমরান লক্ষ্য করলো নাফিসার চোখে ঘুম এসে হানা দিচ্ছে। দিনে ঘুমাতে বলেছে অথচ ঘুমায়নি! এখন বেশ বুঝতে পারছে নাফিসা কাজ করতে দিবে না তাকে।
ইমরান- আচ্ছা ছাড়ো আমি অফ করে রাখছি।
ইমরান স্ক্রিনের পাওয়ার অফ করে খাটের একপাশে রাখলো। টিশার্ট খুলে নাফিসাকে জড়িয়ে নিয়ে শুয়ে পড়লো। দুতিন মিনিট পর ল্যাপটপটা আস্তে করে টেনে নাফিসার পেছনে বালিশে রেখে ইমরান একহাতে কাজ করতে লাগলো। এই কাজটা আজ সম্পূর্ণ শেষ করতেই হবে। না হয়, পরে আর সময় পাবে না। ইমরানের বুকে মুখ লুকিয়েই বললো,
নাফিসা- তুমি এখনো কাজ করছো, না?
ইমরান ধরা পড়ে মুচকি হেসে নাফিসার মাথায় চুমু দিয়ে বললো,
ইমরান- আজকে শেষ করতে হবে এটা।
নাফিসা আর কিছু বললো না। চুপটি মেরে ইমরানের বুকে পড়ে আছে।
কিন্তু ইমরানের কাজ তো এভাবে তেমন আগাচ্ছে না! ত্রিশ মিনিটের জায়গায় তিনঘণ্টা লেগে যাবে এভাবে করলে! কিছুক্ষণ পর যখন বুঝতে পারলো নাফিসা ঘুমিয়ে পড়েছে সে আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে ওঠে বসলো। পিঠের নিচে বালিশ রেখে নাফিসার পাশেই বসে কাজ করতে লাগলো। দশ পনেরো মিনিট পাড় হতেই নাফিসা হকচকিয়ে উঠে বসলো। বসে বারবার চোখের পাতা খুলছে আর বন্ধ করছে! ঘুম নিশ্চয়ই তার চোখে পুরোপুরি আসেনি! না হলে তাকে এখন ডেকেও ওঠানো যেত না! কাচা ঘুম ভেঙে গেছে!
ইমরান- কি হয়েছে? ওঠে বসলে কেন?
নাফিসা কিছু বলছে না! শুধু তাকাচ্ছে তার দিকে। ইমরান ব্রু নাচিয়ে আবার জিজ্ঞেস করতেই নাফিসা বললো,
নাফিসা- স্বপ্ন দেখেছি।
ইমরান- এইটুকু সময়ে স্বপ্নও দেখে ফেলেছো?
নাফিসা- হুম।
ইমরান হেসে ল্যাপটপে তাকিয়ে বললো,
ইমরান- হাহাহা! কি স্বপ্ন দেখেছো?
নাফিসা- বলবো?
ইমরান- দুস্বপ্ন হলে বলতে হবে না।
নাফিসা- বুঝতে পারছি না এটা কি স্বপ্ন!
ইমরান- আচ্ছা বলো শুনি।
নাফিসা- দেখলাম আমাদের দুইটা বাচ্চা!
ইমরান ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে বড় বড় চোখ করে তার দিকে তাকালো!
নাফিসা- এভাবে তাকাচ্ছো কেন? বাকিটা শুনবে না?
ইমরান- হ্যাঁ, বলো!
নাফিসা- দুইটা বাচ্চা। তুমি অফিসে। আমি বাসায় এই রুমে। একটা একেবারে ছোট, আমার কোলে শুয়ে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে যাচ্ছে! কোনোমতেই থামাতে পারছি না! আরেকটা রিয়াদের মতো। ফ্লোরে মলমূত্র ত্যাগ করে নিজের হাতে লেপাপোঁছা করছে আর ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে যাচ্ছে! এদিকে থাকবো না সেদিকেই যাবো কিছুই বুঝতে পারছি না! পিচ্ছিটাকে কোলে নিয়ে দুইটাকেই থামানোর চেষ্টা করছি তাদের ভ্যা ভ্যা আর বন্ধ হয়না! তারপর রেগে গিয়ে আমি খুব জোরে বললাম…!
ইমরান খুব আশ্চর্য হয়ে তার কথা শুনছিলো! নাফিসা থেমে যাওয়ায় বললো,
ইমরান- তারপর কি বলছো?
নাফিসা- না বলবো না।
ইমরান- না বলো।
নাফিসা- তুমি কিছু বলবা না তো!
ইমরান- না, কিছু বলবো না। বলো তুমি।
নাফিসা- তারপর রেগে গিয়ে আমি খুব জোরে বললাম, ইমরাইন্নার বাচ্চায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া!
ইমরান কান চেপে ধরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো! নাফিসা মুখ গম্ভীর করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। ইমরান হেসেই যাচ্ছে! নাফিসা বালিশ নিয়ে ইমরানকে মারতে মারতে বললো,
নাফিসা- আমার দুঃখ দেখলে তোর খুব হাসি পায় না? আমার কোলে দুইটা ধরিয়ে দিয়ে অফিস চলে গেছোস এখন আবার গল্প শুনে হাসোছ!
ইমরান হাসতে হাসতে নাফিসাকে কাছে টেনে বসালো। নাফিসা কাছে না বসে ল্যাপটপ সরিয়ে ইমরানের ছড়ানো দুই পায়ের উপর পা মেলে বসলো।
নাফিসা- আর কতোক্ষণ লাগবে?
ইমরান নাফিসার কাধে থুতনি রেখে নাফিসার কোলে ল্যাপটপ রেখে কাজ করতে করতে বললো,
ইমরান- এইতো শেষ। আমাদের বাচ্চাদের নাম কি ছিলো গো?
নাফিসা- বাচ্চারা কি নাম বলেছে? তারা তো ভ্যা ভ্যা করেই আমার কান ঝালাপালা বানিয়ে দিচ্ছিলো!
ইমরান- ওহ! বাচ্চারা ছেলে না মেয়ে?
নাফিসা- এতোকিছু দেখার সময় ছিলো! শান্ত করাতে করাতেই তো আমি আধমরা! তুমি সরে গেছো বলেই তো আমার ঘুম ভেঙে গেছে আর স্বপ্ন সাথে সাথে ফুড়ুৎ করে উড়াল দিছে!
ইমরান- হাহাহা…. চলো এবার বাকিটা দেখো।
নাফিসা- ভাঙা স্বপ্ন জোড়া লাগে না।
ইমরান- তাহলে আবার নতুন করে দেখো।
নাফিসা- এত্তো শখ কেন আমার স্বপ্ন শোনার! তুমি দেখো, হুহ্! শুভ রাত্রি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here