পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ৬
আবির হাসান নিলয়
জান্নাতঃতুমি করে সম্বোধন আর বাবু,
সোনা,জান এসব বলবে।
আমিঃহাহাহাহা,তুই আমার gf নাকি
বিয়ে করা বউ।যার জন্য এসব বলবো।
জান্নাতঃআপনার বিয়ে করা বউ।
আমিঃকবে বিয়ে বলো?
জান্নাতঃআমি চাইলে বাসায় গিয়েই
আপনাকে বিয়ে করতে পাড়ি।
আমিঃতাই বুঝি?
জান্নাতঃহ্যা তাই
আমিঃকিভাবে শুনি?
জান্নাতঃবাসায় গিয়ে কিছু মিথ্যা
বলবো।যেগুলো নাতো আমাদের
মধ্যে হয়েছে বা কখনো হবে।
আমিঃকি হয়নি আমাদের মাঝে রে?
জান্নাতঃস্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক,এটাও
জানেন না?
আমিঃএগুলো বলে যদি আমাকে
বিয়েও করিস,কখনো আমার থেকে
স্ত্রীর মর্যাদা পাবি?
জান্নাতঃসেই জন্যই তো চুপচাপ
আপনার অবহেলা সহ্য করছি।
এখন না হলেও একদিন ঠিকিই
আমাকে ভালোবাসবেন।
আমিঃহয়তো,এখন তুই একটু
বস আমি ফ্রেস হয়ে নেয়।
জান্নাতঃওকে
কথা না বাড়িয়ে ওয়াশরুমে গেলাম।
মাথাটা হালকা ব্যথা করছে।ঘুম হয়নি
তাই।তবে এখন আর আগের মতো
রাত জাগলে অসুস্থ হয়ে পড়ি না।হ্যা
একটু খারাপ লাগে কিন্তু পারফেক্ট।
ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে জান্নাতকে
সাথে নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে
প্রথমেই “হ্যাঙ্গিং ব্রিজ-এ” গেলাম।
অনেকেই হয়তো ঝুলন্ত ব্রিজ নামে
চিনবেন।শীতের দিন তাই এখনো
সূর্য মামা উঠেনি।কিন্তু মানুষজন
ঠিকিই নিজ নিজ কাজ করতে
ব্যস্ত।গাড়িটা এক সাইট করে
জান্নাতকে বের হতে বললাম।
আমাকে কিছু না বলে ব্রিজের
রেলিং ধরে দীর্ঘ একটা নিশ্বাস
নিলো।
জান্নাতঃঅনেক অনেক ধন্যবাদ
এতো সুন্দর জায়গা উপহার
দেয়ার জন্য।?
আমিঃআগেও তো চাচ্চুর সাথে
এখানে আসছিস।
জান্নাতঃহ্যা,তবে কখনো মাঝ
রাস্তায় সেটাও এই ভোরবেলাতে
দাঁড়িয়ে প্রকৃতি দেখা হয়নি।
আমিঃআজ তোর বার্থডে,তবে
তোকে আলাদাভাবে কিছু দেয়ার
আমার কিছু নেই।শুধুমাত্র কয়েকটা
কথা বলা ছাড়া।
জান্নাতঃহ্যা বলো
আমিঃএকটু খাওয়া কমিয়ে দিস বোইন,
দিন দিন অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছিস?
জান্নাতঃআপনাকে আমি….
আমিঃদুজন রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছি
জান্নাতঃমুডটাই নষ্ট করে দিলে।
আমিঃআচ্ছা সরি।এখন এখান থেকে
যেতে হবে।
জান্নাতঃকোথায় যাবো এখন?
আমিঃপ্রথমে নাস্তা তারপর দুজনের
জন্য একটা করে ড্রেস কিনবো।
জান্নাতঃএই ড্রেসে সমস্যা কি?
আমিঃএমনি ভালো লাগছে না।
জান্নাতঃআমার সাথে দাঁড়ান তো।
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃএকটা সেলফি নিবো।
আমিঃসেলফি নিয়ে কি করবি আবার?
জান্নাতঃআপনি দাঁড়াবেন কিনা
সেটা বলুন?
আমিঃওকে দাঁড়ালাম,কিন্তু তুই
এতো লম্বা হলি কি করে?
জান্নাতঃপ্রতিদিন কমপ্লেইন খাই তাই,
সব সময় আজাইরা কথা বলে।
আমিঃআরে পাগলি সত্যি,আগে
এতোটুকু ছিলি কিন্তু এখন কতো
বড় হয়ে গেছিস।
জান্নাতঃতবুও আপনার কাছে পিচ্চি
আমিঃহুম পিচ্চি
জান্নাতঃবাংলা পাঁচ এর মতো মুখ
করে আছেন কেনো,স্মাইল দিন।
আমিঃওকে….
জান্নাতের সাথে একটু হাসার চেষ্টা
করলাম।দুজন মিলে কয়েকটা পিক
নিয়ে গাড়িতে উঠলাম।রেস্টুরেন্ট
থেকে নাস্তা করে বের হয়ে মলে
গেলাম।জান্নাতকে বার্থডে গিফট
হিসাবে একটা নীল শাড়ি দিলাম।
জান্নাত আগের মতো নেই,অনেকটা
বড় হয়ে গেছে।কিন্তু আমার কাছে
সেই ছোট্ট জান্নাত।ওকে দেখলেই
মনে পড়ে ছোট বেলার কথা।কেমন
করে মুখ দিয়ে লালা পড়ছে,আমি
তো ওকে কোলে নিলেই সারাটা
মুখ লালা দিয়ে ইয়াক….?
সেসব আর মনে করতে চাই না।
জান্নাতের জন্য সব কিছু কিনে
চেঞ্জ হয়ে আসতে বললাম।আমিও
একটা কালো পাঞ্জাবী নিতে যাবো
তখনি জান্নাত বললো আমাকেও
নাকি নীল পাঞ্জাবী কিনতে হবে।
কি আর করা,একটা নীল পাঞ্জাবী
কিনলাম।পাঞ্জাবী পড়ে জান্নাতের
জন্য অপেক্ষা করছি তখনি একটা
ব্রেসলেটের উপর চোখ পড়লো।
কাছে গিয়ে ভালো করে খেয়াল
করলাম।চেইনের ব্রেসলেটে
এক পাশে স্টার,অন্য পাশে হিরার
মতো একটা দানা এবং তাদের
মাঝে চেইন দিয়ে দোলনার মতো
করে রাখা একটা সুন্দর এবং
অনেকটা আকর্ষণীয় মেয়েদের
ব্রেসলেট।জান্নাত আসার আগেই
কিনে পকেটে তুলে নিয়ে বিল
দিয়ে দিলাম।
আনমনে মলের মধ্যে হাটছি
তখন পেছন থেকে জান্নাতের
ডাক শুনে এগিয়ে গেলাম।
জান্নাতঃকি করছিলেন?
আমিঃঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।
জান্নাতঃএখন চলুন
আমিঃঅন্য একটা জায়গা যেতে হবে।
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃছোট হয়ে বড়কে জিজ্ঞাস করছি
কেনো বেয়াদব মেয়ে।
জান্নাতঃঢং(মুখ দেখিয়ে)
আমিঃযাওয়া যাক?
জান্নাতঃকেমন লাগছে আমাকে?
আমিঃএকটা পেত্নীর মতো
জান্নাতঃধন্যবাদ
আমিঃধন্যবাদ..?
জান্নাতঃআপনি আমাকে যেটা বলেই
হ্যাপী থাকবেন আমিও সেটা শুনেই
হ্যাপী থাকবো।
আমিঃবড় মানুষ।চলেন।
জান্নাতের কাদে হাত রেখে দুজন
মলের বাইরে আসলাম।গাড়িতে
উঠে ড্রাইভ করছি তখন ভাইয়া
কল দিলো।
ভাইয়াঃকিরে কই তুই?
আমিঃরাঙামাটি,কেনো?
ভাইয়াঃচাচ্চুর বাসায় এসে তোকে
পাচ্ছিলাম না তাই।কিন্তু তুই ওখানে
কি করছিস?
আমিঃপিচ্চিটা চাইছিলো বাইরে
কোথাও বার্থডে পালন করবে।তাই
ওকে নিয়ে আসছি।
ভাইয়াঃরওনা দিবি কখন?
আমিঃ১ঘণ্টা পর।
ভাইয়াঃসাবধানে আসিস।
আমিঃহুম বাই
জান্নাতঃআপনি এবং ভাইয়া অনেক
ভালো বন্ধু তাই না?
আমিঃহুম অনেক
জান্নাতঃআপনার ফোনে অনেক
গুলো মেয়ের ছবি দেখলাম কিন্তু
একটাতে ভাইয়াকেও দেখলাম।
আমিঃকেমন পিক?
জান্নাতঃফোন দিন আমি দেখাচ্ছি
আমিঃওকে
জান্নাতঃএইযে পিক
আমিঃওহ,অরিতা আপু।
জান্নাতঃকেমন আপু?
আমিঃভাইয়ার ভালোবাসা।
জান্নাতঃসরি
আমিঃসরি কেনো?
জান্নাতঃএকটা পিক রেখে সব পিক
ডিলিট করে দিছি।
আমিঃWhat….?
জান্নাতঃসরি?
আমিঃতুই বুঝতে পাড়ছিস ওখানে
কাদের পিক ছিলো?
জান্নাতঃআপনাদের প্রেমিকদের।
আমিঃলাথি দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেবো।
ওখানে সব আমার ফ্রেন্ডদের পিক।
wait a minute,,, তুই প্রিয়ার পিকও
ডিলিট করে দিছিস?
জান্নাতঃসবার
আমিঃজান্নাত,,প্রিয়া আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।
জান্নাতঃসরি বললাম না,এতো ধমক
দেয়ার কি কথা আছে?
আমিঃকাজটা ঠিক করিস নাই।
জান্নাতঃজানি আমি
আমিঃমনটা চাইছে তোকে এখানে
নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
জান্নাতঃওকে যান
চোখ গরম করে গাড়ি থেকে নেমে
গেলো।মেজাজটা অনেক বেশি
খারাপ হয়ে গেলো।জান্নাতকে রেখেই
ড্রাইভ করে অনেকটা দূরে চলে এসে
গাড়ি থামালাম।বাইরের আয়না দিয়ে
দেখলাম জান্নাত কাচুমাচু হয়ে রাস্তার
এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু সময়
গাড়ির হর্নের উপর রাগ খাটিয়ে জান্নাতের
কাছে গেলাম।গাড়ি থেকে নেমে দরজা
খুলে দিয়ে জান্নাতের কাছে গেলাম।
আমিঃআমি সরি,তোকে এতোগুলো কথা
বলা ঠিক হয়নি।চল এখন।
জান্নাতঃযাবো না তোর সাথে
আমিঃহোয়াট ইজ তুই..?
জান্নাতঃলাথি দিয়ে গাড়ি থেকে
ফেলে দিবি তাই না।
আমিঃসরি বললাম না
জান্নাতঃতোর সরির ষষ্টি পিণ্ড
আমিঃতুই উঠবি গাড়িতে?
জান্নাতঃনা
আমিঃতুই উঠবি না মানে তোর
বাপসহ উঠবে।
জান্নাতকে কোলে নিয়ে দাঁড়াতেই
কলার শক্ত করে ধরলো।
আমিঃহাহা,এখন ভয় পাচ্ছিস কেনো?
জান্নাতঃআমার জায়গা থাকলে
বুঝতেন কেমন লাগে।
আমিঃহুম
গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে আমিও
বসতে যাবো তখনি একটা
ছেলে আসলো।দেখে অনেকটা
ফটোগ্রাফারের মতো লাগছিলো।
—হ্যালো ব্রো
আমিঃআমি?
—হ্যা,আপনাদের না চাইতেও
আপনাদের কাপল পিক তুলেছি।
Best picture of this year.
আমিঃভাই আমি আপনাকে বলছি
আমরা কাপল লাগি?
—দেখে মনে হচ্ছিলো তাই….
জান্নাতঃকি হয়েছে?
আমিঃউনি আমাদের কাপল ভেবে
তোকে কোলে নেয়া অবস্থায় পিক
তুলেছেন।
জান্নাতঃঠিকিই তো করেছন,কিছুদিন
পর তো বিয়ে হচ্ছেই।ভাইয়া দেখি পিক
—জ্বি আপু
জান্নাতঃওয়াও,পিকটা দিতে পারবেন?
—জ্বি তবে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
জান্নাতঃDon’t worry,আমরা করবো।
—ওকে
ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করে কিছু
একটা করতে লাগলো।মেজাজ খারাপ
হয়ে যাওয়াতে তাদের দুজনের থেকে
দূরে এসে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম।
মিনিট ১০ যাওয়ার পর আমাকে ডেকে
গাড়িতে বসতে বললো।গাড়িতে বসে
বার বার পিকগুলো দেখছে।অনেক
রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছি না।
একটু আগেই যে ত্যাড়ামো করছে।এখন
বললে কি না কি করবে।
আমিঃএইবার ফোনটা রাখ।
জান্নাতঃচুপচাপ গাড়ি চালান।
আমিঃফোনে চার্জ ফুরালে কি হবে?
জান্নাতঃগাড়ি থেকে চার্জ করবেন।
আমিঃইচ্ছা করছে গলা টিপে
মেরে ফেলে জলে ভাসিয়ে দেয়।
জান্নাতঃআইছে সাহসী বীর।এখন
ডিস্টার্ব কইরেন না তো।পিকগুলো
দেখতে দিন।অনেক কিউট হয়েছে।
কিছু না বলে চুপ করে রইলাম।এই
মেয়েকে যেটাই বলি না কেনো সব
সময় উল্টাপাল্টা ভেবে নেয়।প্রায়
আরো ১৫ মিনিট ড্রাইভ করে সোজা
পলওয়েল পার্কে চলে আসলাম।
অনেকটা প্রিয় এই স্থানটা।বন্ধুদের
সাথে কয়েকবার আসছি।সব থেকে
এখানে ভালো লাগে জলের উপর
তৈরি বিশ্রাম স্থান। সেখানে বসে
সন্ধ্যার সময় প্রকৃতি দেখার মজাই
অন্য রকম।জান্নাতকে সাথে নিয়ে
ওখানে গিয়ে বসলাম।হালকা
বাতাস হচ্ছে,তবুও কিছু সময়
বসে থাকার পর অনলাইনে অর্ডার
করা কেক নিয়ে হাজির হলো অর্ডার
বয়।আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল;
—মি. নিলয়?
আমিঃহুম
—স্যার এই যে আপনার কেক।
আমিঃওকে,আর এইযে তোমার ট্রিট।
—থ্যাংক ইউ স্যার এন্ড হ্যাপী ম্যারিড লাইফ
জান্নাতঃThank you so much
আমিঃতোর থ্যাংকস এর গুষ্টি(আস্তে বললাম)
—Have a good day ma’am
আমিঃহুম
আর কথা না বলে চলে গেলো।ইচ্ছা
মরছিলো সালাকে ধরে হাত-পা বেধে
দিয়ে জলে ফেলে দিতে।আজকের
পর থেকে এই পিচ্চিকে কোথাও
তো দূরে থাক বাসার বাইরেও নিয়ে
যাবো না।মান সম্মান সব শেষ কিরে
দিচ্ছে একের পর এক।
জান্নাতঃকি হলো মুখ গোমরা
করে বসে না থেকে কেক কি কাটবেন?
আমিঃতুই নিজেই কাট।
জান্নাতঃআমার উপর রাগ দেখিয়ে
কোনো লাভ আছে?সবাই যদি এখন
আমাদের দেখে কাপল ভাবে তাহলে
আমি কি করবো?আমি কি আগে
আগে তাদের বলতে যাচ্ছি আমরা
দুজন স্বামী স্ত্রী?
আমিঃকারো কি চোখ নেই,তুই একটা
পিচ্চি মেয়ে।এখনো তোর ৩২টা দাঁতও
ওঠেনি।আর সবাই,,,,সালা সব কপাল।
জান্নাতঃআমাদের বিয়ে হবে দেইখেন
আমিঃকখনো না
জান্নাতঃবেট লাগাবেন?
আমিঃহুম,তবে জোর করে না।
জান্নাতঃওকে,যদি আমাদের বিয়ে
হয় তাহলে কি পাবো?
আমিঃঅনেক বেশিই কেয়ার।আর
যদি না হয়?
জান্নাতঃহবে শিওর,তবে বিয়ের রাতে
আমাদের বাসর হবে না।
আমিঃহাহা,আমি এমনিতেও করবো না।
জান্নাতঃদেখা যাবে।
আমিঃহুম ভালো করে দেখবো কে জিতে।
তোকে বিয়ে করার চাইতে তো একটা
কালো কুত্তাকে বিয়ে করবো।
জান্নাতঃইয়াক,কি সব বলেন।
আমিঃওকে,অনেক হয়েছে।এখন
কেকটা কেটে উদ্ধার করেন আমাকে।
জান্নাতঃহুম
দুজন বসে না থেকে দাঁড়িয়ে গিয়ে
জান্নাতের হাতে কেক কাটার জন্য
ছুরি দিলাম।কেক কাটার পাশাপাশি
জান্নাতকে ভিডিও করছি।বাসায়
গিয়ে দেখালে হয়তো আমাকে মাফ
করতে পাড়ে। জান্নাত কেক কেটে
আমাকে খাইয়ে দেয়ার আগে পিচ্চিটাকে
আগে খাইয়ে দিলাম।
জান্নাতঃকি করছো তুমি মোবাইলে?
আমিঃভিডিও করছি,সবাইকে দেখাবো।
জান্নাতঃতাহলে এখন আমার কাছে
মোবাইল দাও।আমি তোমাকে খাইয়ে
দেবো সেটাও ভিডিওতে উঠবে।
আমিঃআমার খাওয়ার ইচ্ছা নেই।
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃএলার্জি আছে
জান্নাতঃতুমি খাবে??
আমিঃওকে খাচ্ছি….হা
জান্নাতের থেকে খাওয়ার পকেট
থেকে ব্রেসলেটটা বের করে বললাম;
আমিঃতোর বার্থডে গিফট।জানিনা
তোর কাছে কেমন লাগবে।তবে এটা
পড়লে তোকে অনেক সুন্দর লাগবে।
জান্নাতঃথ্যাংক ইউ (জড়িয়ে ধরে)
আমিঃআবার তো হাতের কেক লাগিয়ে দিলি?
জান্নাতঃসরি,আসলে…..
আমিঃতুই ক্যামেরা বন্ধ কর।
জান্নাতঃওকে
আমিঃএটা তোর জন্য উপহার
জান্নাতঃলাইফের সেকেন্ড গিফট।
আমিঃআর প্রথম কি?
জান্নাতঃএখনো আসেনি,তবে আসবে
আমিঃওহ।তো এখন চল
জান্নাতঃআর কেক?
আমিঃনিয়ে আয় সারা রাস্তা খেতে
খেতে যাবি।
জান্নাতঃগুড আইডিয়া।
আমিঃআজাইরা চল।
আর কোনো কথা না বলে গাড়িতে
উঠে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
বাসায় আসার সময় পিচ্চিটার
সাথে খুব বেশি কথা বলিনি।সব
সময় উল্টাপাল্টা কথা শুনতে ভালো
লাগে না।তাই চুপচাপ ড্রাইভ করতে লাগলাম।
চলবে……….