ঘুণপোকা,পর্ব_২০ last

0
1851

ঘুণপোকা,পর্ব_২০ last
মিম

রুপুর কথাগুলো আমাকে ভীষণ ভাবাচ্ছিলো। নিজেকে দিয়ে রিয়েলাইজ করতে পারছিলাম। রুপুর সঙ্গে আগে কথা বলতে ইচ্ছে হত না, ও জোর করে কথা বলতে চাইতো। কতটা বিরক্ত হতাম! কত তিক্ততা জড়ো হতে থাকতো মনে।ঠিকই তো বলছিলো মেয়েটা, সম্পর্কে আর যাই হোক জোরাজোরি চলে না। জোর করলে হয়তো সম্পর্ক আরো খারাপ হতে পারে। এতগুলো বছরে কিইবা পেয়েছে সে! রুপুর সত্যিই একটু ছুটি দরকার। একবছরেরই তো ব্যাপার। কেটে যাবে কোনোভাবে। হয়তো আমার কষ্ট হবে কিন্তু রুপু তো ভালো থাকবে। কিছুদিন দূরে থেকে যদি একটুখানি সুখ পায় তো ক্ষতি কি? আমি অপেক্ষা করবো তার জন্য। দূরত্ব বাড়লে ভালোবাসার মানুষটার প্রতি অনুভূতি আরো গাঢ় হয়। রুপুর এখন আমার প্রতি খুব রাগ জমে আছে, দূরে গেলে রাগ কেটে যাবে। তখন নিজেই ছটফট করবে আমার কাছে ফিরে আসার জন্য।
এসব ভাবতে ভাবতেই রুপুকে বললাম, দূরে যেতে চাচ্ছো ভালো কথা। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তো? তোমার অবসর সময়গুলো থেকে একটু সময় আমাকে দিবে?
– তোমার কথা বলতে ইচ্ছে হলে কল দিও।
– তোমার ইচ্ছে হবে না?
– জানি না৷
– এত রাগ করতে জানো তুমি! সবাই তোমাকে এত টর্চার করলো অথচ এতগুলো বছর তুমি ওদের হাসিমুখে মেনে নিলে। আর আমি তোমাকে কি বললাম সেগুলোই তুমি মনে ধরে বসে আছো। স্যরি বলছি তবুও মাফ করতে চাচ্ছো না৷ কেন রুপন্তি?
– ভালো তো আমি ওদের চেয়ে কয়েকগুন বেশি তোমাকে বাসি৷ ওদের সঙ্গে কি নিজেকে তুলনা করতে চাচ্ছো?
-ভালোবাসা বেশি তাই রাগটাও আমার প্রতিই বেশি?
– ধরে নাও তেমনই কিছু।

সোফায় হেলান দিয়ে হতাশ ভঙ্গিতে দীর্ঘশ্বাস ফেললো সৈকত৷ গভীর মনোযোগে ইমরান তাকে দেখছে। তার চোখজোড়ায় বিষন্নতার গভীরতা স্পষ্ট। হাল্কা গোলগাল ধাঁচের মুখটাতে তীব্র অনুশোচনার উপস্থিতি। শেষটা জানার যে তীব্র আকাঙ্খা মনের মধ্যে একনাগাড়ে খুঁচিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎই সেই আকাঙ্খা কোথায় যেন হারিয়ে গেল! গল্পের এই পর্যায়ে এসে আর গল্পের শেষটা সৈকতের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে না। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বারবার জানান দিচ্ছে, ঐ সংসারে রুপন্তি নামক কেউ আর বিচরণ করে না।
ইমরান মনে প্রাণে চাচ্ছে এই ধারণা মিথ্যা হয়ে যাক। এমন কিছু শুনতে সে মোটেও আগ্রহী না। যদি এমন কিছু হয়েই থাকে তো গল্পটা এখনই থেমে যাক।

কিছু মুহূর্ত কেটে যায় নীরবতায়। রাতের অন্ধকার কেটে আকাশে আবছা আলোরা উঁকি দিচ্ছে। গ্লাসের ওপারের আকাশের দিকে তাকিয়ে সৈকত বললো,
– রাত পার হয়ে গেল!
– একটা কথা বলতে চাই। কিছু মনে করবেন না প্লিজ।
– কি?
– আমি এই গল্পের শেষটা শুনতে চাই না।
– কেন?
– গল্পের শেষে খারাপ কিছু আমি শুনতে চাচ্ছি না৷ যতটুকু শুনেছি অতটুকুই আমার জানা থাকুক।
– শেষটা জানানোর জন্যই পুরো গল্পটা শুনিয়েছি। তুমি না চাইলেও, আমি তোমাকে শোনাবো। তোমাকে শুনতে হবে৷

প্রচন্ড অনীহায় ডানপাশে ঘাড় কাত করে ইমরান সম্মতি জানালো। মুচকি হাসলো সৈকত। বললো,
– গল্পের শেষটা আমরা খুব করে চাই যেন সুন্দর হয়। কিন্তু ভাগ্য সবসময় আমাদের সঙ্গ দেয় না। আমাদের কর্মগুলো সুপ্রসন্ন ভাগ্য এবং আমাদের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
– তাহলে আমি যা ধারণা করছি সেটাই সঠিক?
– রুপু সাবিহার বিয়ের সময় তিনদিন ছিল এই বাসায়৷ সেই তিনদিন রুপুকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। সত্যি বলেছিলো মেয়েটা। ওর মন পড়ার ক্ষমতা কারো নেই। নিজেকে সামলে নেয়ার কি তীব্র ক্ষমতা তার! ওর মনে ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো অথচ মুখ দেখে বুঝার বিন্দুমাত্র উপায় ছিলো না৷ হাসি আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছিলো আমার ঘরে৷ সেই জোয়ার এনে দিচ্ছিলো রুপু। দুইদিন আগে থেকে কাছের আত্মীয়গুলো আসা শুরু করলো৷ ঐ দুইদিন নিজেও নেচেছে, বাসার সবাইকে নাচিয়েছে। ছোট বড় কেউ বাদ যায়নি। এমনকি আমার জাদরেল ফুফুও রুপুর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে সে কি নাচ! ঐ সময়গুলোই ছিল আমার বাসায় কাটানো রুপুর শেষ স্মৃতি। তারপর বিয়ের দিন রাতেই চলে গেল তার বাবার বাড়ি৷ ওখান থেকে বাকি গোছগাছ সেড়ে পরদিন অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমালো৷
– আপনি ভাবীকে একবারও আটকাননি?
– নাহ্।
– আটকাতে ইচ্ছে হয়নি?
– হুম হয়েছে। ভালোবাসার মানুষ দূরে চলে যাচ্ছে এই ব্যাপারটা কি মেনে নেয়া এতই সহজ? আমার কাছেও সহজ ছিল না। কষ্ট কতটুকু হয়েছে সে খবর শুধু আমি জানি।
– ভাবী? উনি কি আর ফিরে আসেনি?
– নাহ্৷ রুপু আর আমার কাছে ফিরে আসেনি। ঐ দেশে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে ভালো জব করছে। নিজের আলাদা জগত হয়েছে রুপুর। খুব ভালো আছে সে৷ ওখানে কথা শোনানোর মত কেউ নেই, মুখ লুকিয়ে বাঁচতে হয় না। নিজের খেয়াল খুশিমত ঘুরেফিরে, কথা বলে, হাসে। একগাদা বন্ধু বান্ধব হয়েছে রুপুর। বরাবরের মত সেখানেও ছোটবড় সবাইকে বন্ধু বানিয়ে নিয়েছে। প্রতিমাসে একবার ফ্রেন্ডসার্কেল নিয়ে থিয়েটারে গিয়ে মুভি দেখে, প্রায়ই বাহিরে ডিনার করে৷ রান্নায় এক্সপার্ট হয়েছে, প্রতিমাসে বন্ধু-বান্ধব দাওয়াত করে খাওয়ায়। আমার মা-বাবার সঙ্গে কল করে কথা বলছে। সাবিহাকে কল করে ঘন্টা পার করে দিচ্ছে। আমার কলিগ, রিলেটিভদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফোনে যোগাযোগ করছে। আমার মা বাবা তিনমাস আগে রুপুর কাছে গিয়েছিলো বেড়াতে৷ সেখানে ১৫ দিন থেকে এসেছে দুজন। ও আগের চেয়ে আরো বেশি সুন্দরী হয়েছে দেখতে। একটু মোটা হয়েছে। গালগুলো আরেকটু ভরাট হয়েছে। হাসলে এখন আরো বেশি আদুরে লাগে দেখতে। সুখে আছে রুপু, অনেক সুখ।
– আর আপনি? কথা হয় আপনার সঙ্গে?
– হুম প্রতিদিনই কথা হয়৷ তবে কথা আমি একাই বলি, রুপু শুধু হুম, হ্যাঁ আর না বলে উত্তর দেয়। সম্পর্কের সঙ্গে রুপুর কন্ঠও ভীষণ শীতল হয়ে গেছে। সেই শীতলতা শুধু আমার সঙ্গেই। অন্য সবার কাছে ঠিক আগের মতই আছে। রুপুর আমার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না আমি টের পাই। তবুও আমি নিয়ম করে প্রতিদিন কল করতে থাকি, যদি রুপুর একটু মায়া হয়! যদি রুপু আমার সঙ্গে ঠিক আগের মত একটুখানি কথা বলে! ভেবেছিলাম দূরত্ব বাড়লে ভালোবাসাও বাড়ে। ভুল ছিলাম আমি। সবসময় নিয়মগুলো একই থাকবে ব্যাপারটা তেমন না৷ ক্ষেত্রবিশেষে নিয়মগুলো বদলে যায়। আমাদের বেলায়ও তাই হলো। সম্পর্কে দূরত্ব আরো জোরালো হলো৷
– আপনি ভাবীকে আটকে রাখলেন না কেন ভাইয়া? কি হতো যদি আটকে রাখতেন? সম্পর্কটাকে তো বাঁচানো যেত!
– আমি চেয়েছিলাম রুপু ভালো থাকুক। কষ্ট ছাড়া আর কি দিয়েছি আমি রুপুকে? কিছুটা সময় দূরে থেকে যদি মেয়েটা ভালো থাকে তো থাকুক না! কিন্তু সেই দূরত্ব যে চিরস্থায়ী হবে তা তো আমি জানতাম না ইমরান।
– সম্পর্কটা শেষই হয়ে গেল!
– একের পর এক ভুল করে গিয়েছি আমি। রুপুর সরলতাকে ছ্যাঁচড়া উপাধি দিয়ে দিনরাত অবহেলা করে গিয়েছি। যখন নিজের ভুল বুঝলাম তখন ইগো ধরে বসে রইলাম। যখন মন খুলে অনুভূতিগুলো জানানোর প্রয়োজন ছিল আমি জানাইনি৷ ঘুণপোকা দেখেছো কখনো? একটু একটু করে কাঠ খেয়ে শেষ করে ফেলে৷ আমাদের সম্পর্কটা রোজ একটু একটু করে আমিও শেষ করে দিয়েছি। মন উজাড় করে ভালো সবাই বাসতে জানে না। রুপু জানতো কি করে ভালোবাসতে হয়। রুপু পৃথিবীতে ঐ একজনই৷ ওর মতন কেউ নেই। এমন মানুষের ভালোবাসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার৷ চমৎকার একটা জীবন কাটাতে পারতাম আমি। সেই জীবন আমি নিজেই শেষ করেছি। রুপু চলে গিয়েছে পাঁচবছর হয়ে গেল। জীবনটা আজও ঐ পাঁচবছর আগে এয়ারপোর্টেই থমকে আছে, যেখানে দাঁড়িয়ে রুপুকে আমি শেষবারের মত বিদায় দিয়েছিলাম। নিঃশ্বাস নেয়া আর বেঁচে থাকার মাঝে বিস্তর তফাৎ। আমি নিঃশ্বাস নিচ্ছি, বেঁচে নেই। কিভাবে এই পাঁচবছর ধরে দিনরাত কাটাচ্ছি সেই অনুভূতি প্রকাশ করা অসম্ভব। খুব ইচ্ছে হয় রুপুকে সামনে বসিয়ে সারারাত ধরে ওর আবোল-তাবোল কথা শুনি। কিছু না কিছু নিয়ে আমাকে বিরক্ত করতেই থাকতো। হুটহাট জড়িয়ে ধরে চুমু দেয়া ছিলো রুপুর বিরাট বদ অভ্যাস। আমি ইম্পরট্যান্ট কাজ করছি নাকি রুমের দরজা খোলা আছে সেসব দেখতো না, যখন ইচ্ছে তখনই এই এক অদ্ভুত কাজ করে বসতো। আমি বিরক্ত হতাম, বকতাম। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দিতাম। এখন খুব ইচ্ছে হয় রুপুকে বলি, আমাকে দিনরাত বিরক্ত করো। বিরক্ত করতে করতে পাগল বানিয়ে পাগলাগারদে পাঠিয়ে দাও। এতেই আমি খুশি। পাঁচবছর কেটে গেল অথচ রুপুর অভ্যাসগুলো থেকে মুক্তিই পাচ্ছি না৷ সময় যাচ্ছে, অভ্যাসগুলো যেন শিকড় গজিয়ে আমার মাঝে আরো বেশি শক্ত জায়গা করে নিচ্ছে।
– ভাবীকে কতটুকু মিস করেন সেটা উনাকে জানাচ্ছেন না কেন?
– কে বললো জানাইনি?
– তবুও ফিরে আসলো না?
– ও এখন এসব কথায় ইন্টারেস্টেড না৷ আমি বলতে চাইলে কোনো এক অযুহাতে কল কেটে দেয়। প্রতিটা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে, অনুভূতিতে পরিবর্তন আসে। প্রতিটা পরিবর্তন কোনো না কোনো মানুষ কিংবা ঘটনার প্রেক্ষিতে হয়৷ আমি আর রুপু দুজনই বদলে গিয়েছি অথবা বলতে পারো দুজন দুজনকে বদলে দিয়েছি।
এবার তোমার প্রসঙ্গে আসি। ছয়মাসে তোমার সঙ্গে আমি অনেকটা সময় কাটিয়েছি। এই ছয়মাসে অনন্যার সঙ্গে খুব কম সময়ই স্বাভাবিক কথা বলতে শুনেছি৷ মেয়েটার সঙ্গে খুব মিসবিহেভ করতে শুনি। তোমার মাঝে আমি আমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই ইমরান। তুমি কাউকে দূরে ঠেলে দেয়ার প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছো, তবুও মানুষটা তোমার কাছেই বারবার ছুটে আসে। ভালোবাসে তাই ছুটে আসে, তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না তাই ছুটে আসে। এখনো সময় আছে তাকে আঁকড়ে ধরো। অনন্যা মেয়েটা সহজ সরল। সরল মানুষগুলোকে যদি আমরা এত অবহেলা করতে করতে কঠিন বানিয়ে ফেলি তাহলে হয়তো এই পৃথিবীতে সরল মানুষ আর একজনও অবশিষ্ট থাকবে না। তোমার আমার মত কঠিন মনের মানুষগুলোকে মন উজাড় করে কেউ ভালোবাসবে না। এই মানুষগুলো বারবার আমাদের চিরতরে দূরে চলে যাওয়ার মিথ্যে ভয় দেখায়। ভাবে, আমরা ভয় পাবো৷ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলবো, কোত্থাও যেতে দিবো না।
অথচ আমরা তাদের ভাবনাগুলো মিথ্যে করে দেই। খুব অবহেলায় তাদের মিথ্যে হুমকিগুলো এক কানে ঢুকাই, অন্য কানে বের করি। তারপর একদিন এই মিথ্যে হুমকিগুলো সত্যি হয়ে যায়। মানুষগুলো হঠাৎ আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। একদিন হয়তো অনন্যাও হারিয়ে যাবে! যে যায়, সে চিরতরেই যায়। আর ফিরে আসে না। আমি পারিনি রুপুকে আঁকড়ে ধরতে৷ তোমার তো সময় আছে, মেয়েটা হারিয়ে যাওয়ার আগেই ওকে আঁকড়ে ধরো।

বুকে চিনচিন ব্যথা হচ্ছে ইমরানের। ঠিক কোন পাশটাতে ব্যথা হচ্ছে সেটা ঠিক বুঝা যাচ্ছে না৷ অনন্যার হাসিমুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে বারবার। গতকাল থেকে মেয়েটা কাঁদছে। একটা মানুষকে এভাবেও কাঁদাতে পারে সে! মেয়েটা তাকে ভালোবাসে বলেই কি এভাবে কাঁদাতে পারছে? নিজেকে জানোয়ার পর্যায়ের কিছু একটা মনে হচ্ছে ইমরানের। মোবাইলের স্ক্রিন অন করে একবার সময় দেখে নিলো৷ ঘড়িতে ভোর পৌনে ছয়টা বাজে৷ সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো ইমরান। বললো,
– অনন্যার বাসার সামনে যাচ্ছি। ওর সঙ্গে এক্ষুনি দেখা করব। ফিরে এসে কথা বলব আপনার সঙ্গে।

হুরমুরিয়ে কেবিন ছেড়ে বেরিয়ে গেলো ইমরান। সোফায় গুটিসুটি হয়ে সৈকত শুয়ে পড়লো৷ মোবাইলের স্ক্রিন অন করলো সে। আজ ১৩ই জুন, তাদের ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকী। ধীরগতিতে সৈকত ম্যাসেজ টাইপ করছে,
“তোমাকে ঘিরে আমার জীবনের ছয় বছর পেরিয়ে গেল, অথচ তুমি আমার পাশে নেই৷ অপেক্ষায় আছি রুপন্তি, কোনো এক ভোরে হয়তো তুমি ফিরে আসবে, চোখ টেনে ধরে আমার ঘুম ভাঙাবে৷”

-সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here