story- #প্রেম_নিবেদন Part- 3
Writer- #Nur_Nafisa
.
.
৩/৪ দিন পর,
নাফিসা- আমি আর দিনা ক্লাস শেষ করে গেইটের দিকে আসছিলাম। হটাৎ ১ ছেলে এসে দিনার সামনে ফুল এগিয়ে দিয়ে,
ছেলে – I love you.
দিনা- whatttt!
ছেলে – I love you
দিনা- But I Don’t love with you.
ছেলে – (আস্তে করে) Please, love করেন আর না করেন, আজকের জন্য এক্সেপ্ট করেন। না হলে আমার ১২টা বাজিয়ে ফেলবে।
নাফিসা- এসবের মানে কি!! প্রপোজ করছেন আবার ভয় পাচ্ছেন। কে আপনার ১২টা বাজিয়ে ফেলবে?
ছেলে- এতো কিছু বলার সময় নেই, প্লিজ ফুলটা ধরুন।
দিনা- এই ছেলে, আমি ফুল টুল নিতে পারবো না। আপনি যান এখান থেকে। ?
নাফিসা- আমি এতক্ষণে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম, পুকুর পাশে দাঁড়িয়ে আরাফ নামে ছেলের দল এদিকে তাকিয়ে হাসছে। বুঝতে আর বাকি রইল না ওদের কাজ। আমি ছেলের হাত থেকে ফুলগুলো নিলে নিলাম।- আপনি যান এখন।
ছেলেটা দৌড়ে চলে গেলো ওদের কাছে।
ছেলে – ভাই এবার আমার ফোনটা দিয়ে দিন।
শিহাব – কাজ তো শেষ হলো না, বললাম ১জনের কথা, প্রপোজ করলি অন্যজনকে।
আরাফ- ফোন দিয়ে দে।
ছেলেটা ফোন নিয়ে চলে গেলো।
নাফিসা- এতক্ষণে আমি আর দিনা ওদের কাছে চলে আসলাম।
আরাফ- কি ছেলেরে বাবা! পাঠালাম ১জনের কাছে, শেষমেশ গিয়ে মোটা চাশমিশকে গিয়ে পছন্দ হলো! তা মোটা চাশমিশ, এতোটাই ভালো লাগলো ছেলেটাকে, কেড়ে ফুল গুলো নিয়ে নিলে! ????
বাকিরা ও- হাহাহোহো ????
নাফিসা- ফুল গুলো আরাফের মুখে ছুড়ে মেরে, এতোটাই যখন পছন্দ হয়েছিলো, তো নিজে না গিয়ে অন্য ছেলেকে পাঠালেন কেন?
আরাফ- হাহাহা,,,,,,,,, কার পছন্দ হয়েছে? আর কাকে! তোমাদের মতো 3rd class মেয়েদের সাথে আমি প্রেম করবো! আশেপাশের সুন্দরী মেয়েদের আমার পিছনে লাইন ধরে যায়।
নাফিসা- তাহলে, আমাদের কাছে ফুলগুলো পাঠালেন কেন?
আরাফ- তোমাদের অবস্থান দেখার জন্য, আর তোমাদের দেখানোর জন্য। দেখলে তো ওই ছেলের কাছ থেকে কিভাবে ফুল কেড়ে নিলে। হাহাহা……আয়ায়ায়া……ধপাসসসসস!
সবাই হা করে আছে….. ??
নাফিসা- কথা গুলো বলার সাথে সাথে আমি আরাফকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দিলাম। – দেখলেন তো আমাদের অবস্থান কোথায়! ?
তারপর দিনাকে টেনে সেখান থেকে চলে এলাম।
দিনা- এটা তুই কি করলি! এখন যদি আবার ওরা উল্টাপাল্টা কিছু করে।
নাফিসা- তাদের অহংকার পানির সাথে মিশিয়ে দিলাম। পরেরটা পরে দেখা যাবে। হুহ!
.
শিহাব – এটা কি হলো! আরাফ তোকে পুকুরের পানিতে গোসল করিয়ে গেলো! ??
বাকিরা ও হাহাহা ????
আরাফ- পানি থেকে উঠতে উঠতে এই চুপ করবি তোরা! ? অই মেয়েকে তো আমি দেখে নিব! ? হুহ।
শিহাব – কেন এই গরমে তো ভালোই কাজ হলো। গোসল করতে খুব মজা লাগছিলো না রে! হাহাহা…… আয়ায়ায়া! ধপাসসসস…..
আরাফ- দিলাম ধাক্কা দিয়ে শিহাবকে ফেলে। হুম অনেক মজা লাগছে, এবার তুইও খুব মজা করে গোসল করে আয় ?
শিহাব- পানিতে পরেও আমি হাসতে হাসতে শেষ ?? তারপর নিলয়, জয়, ফাহিম কে ও ডাকলাম গোসল করার জন্য। ওরাও ফোন ঘড়ি ব্যাগে রেখে ঝাপিয়ে পড়লো।
ফাহিম – আরাফ, দোস্ত তুই ও আয়, ভালোই লাগছে ???
আরাফ- তোরা কর ইচ্ছে মতো, হুহ! ?, তারপর আমি সেখান থেকে ভিজে কাপড়ে বাইক নিয়ে চলে আসলাম।
বাসায়,
কলিং বেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিলো।
আম্মু – কিরে তুই এমন ভিজে কাপড়ে কেন? বাইরে তো বৃষ্টি ও নেই!
আরাফ- আমি ঘরে ঢুকতে ঢুকতে, আম্মু বন্ধুরা সবাই মিলে ভার্সিটির পুকুরে গোসল করে আসলাম।
নিসা সোফায় বসে ছিলো,
নিসা- হুহ! পুকুরে গোসল করে এসেছো, নাকি কোনো মেয়ে পটাতে গিয়ে পুকুরে নাকানিচুবানি খেয়ে এসেছো? ??
আরাফ- আমি তো থ… হয়ে তাকিয়ে আছি, এই মেয়ে এগুলো কি বলে!! সব মেয়েরা ই কি এক হয় নাকি! ?
আম্মু – হয়েছে, ফাজলামো রাখ। আরাফ রুমে গিয়ে পোশাক পাল্টে নে, ঠান্ডা লেগে যাবে।
আরাফ- তারপর আমি রুমে চলে আসলাম।
.
আরাফ- গোসল করে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখি নিসা সোফায় বসে আছে।
– কিরে তুই এখানে কেন?
নিসা- ভাইয়া সত্যি বলো তো কে তোমাকে চুবানি খাইয়েছে। কোন মেয়েকে দেখে শেষপর্যন্ত আমার ভাই পটে গেলো, আমিও দেখতে চাই তাকে ।
আরাফ- কিসব যা তা বলছিস! ? বলেছি না বন্ধুরা সবাই মিলে ভার্সিটির পুকুরে গোসল করে আসছি। বিশ্বাস না হলে ফাহিম, শিহাব, নিলয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস কর।
নিসা- ওই ভাইয়ারা যে সত্যি বলবে, তার কি গ্যারান্টি আছে! ?
আরাফ- তুই যাবি এখান থেকে, থাপ্পড় দিয়ে সব দাত ফেলে দিবো। বড্ড বেশি বেড়ে গেছোস। ?
নিসা- হুহ! যাচ্ছি ?
.
.
গল্প ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ 🙂