রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন পর্বঃ ২,৩

0
2557

গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ২,৩
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
পর্বঃ ২

তারপর আমি আপুর কোমরে হাত রাখলাম আপু কেঁপে উঠলো।। আমি আপু কোমরে ঔষদ লাগিয়ে দিলাম।

আমিঃ অনেক ব্যথা পেয়েছ তাই না।
নিধীঃ তেমন একটা না।
আমিঃ স্যরি। ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম।।
নিধীঃ তর হাতের ছোঁয়া পেয়ে সব ব্যথা ঠিক হয়ে গেছে।
আমিঃ আজকে ত তাহলে তুমি কলেজে যাবে না।
নিধীঃ না।
আমিঃ তাহলে আপু তোমার রুমে গিয়ে রেস্ট করো, আমি ফ্রেশ হয়ে কলেজে যায়।।
নিধীঃ আজকে তুই ও কলেজে যেতে পারবি না।
আমিঃ কেনো?
নিধীঃ আমাকে ব্যথা দিছে কে?
আমিঃ আমি
নিধীঃ তাহলে আমার সেবা করবে কে?
আমিঃ আমি।
কি বলে ফেললাম রে।
নিধীঃ হুম আজকে সারাদিন তুই আমার সাথেই থাকবি।
আমিঃ আমার কলেজে একটা দরকারি কাজ আছে।
নিধীঃ তর দরকারি কাজ আমার জানা আছে। ।
তর কাজ ই ত মেয়েদের সাথে লুতুপুতু করা।
আমিঃ না আপু আজকে আমাকে কলেজে যেতে হবে।
নিধীঃ একবার না করছি ত না৷
আমিঃ ওকে।

জানিই আর হাজার বললেও কাজ হবে না,,,
তাই আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে
ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। দেখি আপু আমার ফোন চেক করছে করুক এটা তার নিত্যদিনের কাজ।
আমার ফেসবুকের পার্সওয়াড ও তার কাছে আছে তবুও বিশ্বাস করে না। আপু আমাকে দেখে ফোনটা রেখে দিলো, আমি দেখেও না দেখার ভাং করে রইলাম।

আমিঃ ব্রেকফাস্ট করছ?
নিধীঃ কখন করলাম, তকে ডাকতে এসে এখন এই অবস্থা।
আমিঃ ওকে শুয়ে থাকো তুমি আমি খেয়ে তোমার জন্য নিয়ে আসি।
নিধীঃ হুম যা।

তারপর আমি নিচে চলে আসলাম, নিচে এসে ড্রাইনিং টেবিলে বসলাম, বড় আম্মু এসে খাবার সার্ভ করে দিলো। আমি খেয়ে আপুর জন্য খাবার দিতে বললাম। বড় আম্মু খাবার দিলো, আমি খাবারের প্লেট নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে আপুকে বললাম খেয়ে নাও।।।

আপুঃ খাবো না৷
আমিঃ কেন?
নিধীঃ কেউ যদি খাইয়ে দিতো তাহলে খেতাম।
আমিঃ এতো ন্যকামো না করে ডিরেক্ট বললেই ত হয় খাইয়ে দিতে হবে।
নিধীঃ আমার বলতে হবে কেন? তুই বুজিস না।
আমিঃ না।

হাত দুয়ে আমি প্লেট হাতে নিলাম আপু এগিয়ে আমার দিকে এসে বসল।। আমি এক লোকমা আপুকে খাইয়ে দিলাম। তারপর আস্তে আস্তে সব গুলো খাবার শেষ করল আপু। খাওয়ার সময় ও তার দুষ্টুমি করতে হয়, প্রত্যোকটা আঙুলেই কামর দিছে শয়তান মাইয়া।

আমি প্লেট নিচে দিয়ে আসলাম। আবার রুমে আসলাম।

আমিঃ ঘুমাও এখন।
আপুঃ না
আমিঃ কি করবে এখন?
আপুঃ গল্প করব।।
আমিঃ তাহলে চলো বেলকনিতে যাই।
আপুঃ আমি কি একা যেতে পারব নাকি?
আমিঃ না আসো।।

তারপর নিধী আপুকে নিয়ে আমি বেলকনিতে চলে গেলাম। বেলকনিতে বসে আমি আর আপু গল্প করতে লাগলাম।। কথার মাঝখানে আপু হেঁসে উঠলো। আপুর গালে একটা টুল আছে এটা আমার ক্রাশ।। আমি আপু গালের টুলটা দেখতে লাগলাম।

আপুঃ কি দেখিস এমন করে?
আমিঃ কিছুনা।
আপুঃ বল বলছি।
আমিঃ তোমার টুলটা আমার অনেক ভালো লাগে।
নিধীঃ আমাকে ভালো লাগে না।।
আমিঃ তোমাকেও ভালো লাগে আপু হিসেবে।
নিধীঃ কুত্তা আমি কি বোন হিসেবে ভালোলাগতে বলছি।
আমিঃ তাহলে।
নিধীঃ বউ হিসেবে।
আমিঃ ওহ৷

আমাদের গল্প করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো।

আমিঃ আপু ব্যথা কমে নি?।
আপুঃ হ্য কমেছে।
আমিঃ যাও দুপুর হয়ে গেছে ফ্রেশ হও।
আপুঃ ওকে।

তারপর আপু চলে গেলো,, আমিও ওয়াশরুমে চলে গেলাম ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।
তারপর ড্রেস চেইঞ্জ করলাম। একটু পড়ে লাঞ্চ করার ডাক পড়ল আমি লাঞ্চ করতে চলে গেলাম।
যেয়ে দেখি আপু আসেনি,, আমি আবার আপুর রুমে গেলাম ডাকতে, দেখি আপু আয়নার সামনে বসে চুল গুলো সুকাচ্ছে।

আমিঃ এতোক্ষন লাগে তোমার।।
আপুঃ একটু বস।
আমিঃ ওকে।

আপুর মোবাইল খাটের উপড়ে,, আমি হাতে নিলাম ওয়েলপেপার ই আমার পিক দেওয়া,,,,, আমি গ্যলারি তে ডুকলাম বেশি পিক ই আমার আর আপুর। আর কারো তেমন কোনো পিক নেই।।

আপুঃ হয়ে গেছে চল
আমিঃ হুম চলো।

তারপর আমি আর নিধী আপু নিচে চলে গেলাম লাঞ্চ করতে।। লাঞ্চ করে এসে আমি আমার রুমে চলে আসালম রুমে এসে দেখি রানা কল দিছে তিনবার। রানা হলো আমার ফ্রেন্ড।। আমি কল ব্যক করলাম।।

আমিঃ হ্য রানা বল।
রানাঃ আজকে কলেজে আসলি না যে।
আমিঃ আপু আসতে দেয় নি।
রানাঃ ওহ। ওকে আজকে বিকেলে গুঁড়তে যাবো।
আমিঃ আচ্ছা।
রানাঃ মনে থাকে জানি।
আমিঃ হুম থাকবে।

তারপর আমি শুয়ে পড়লাম,, চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখন যে গুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না।।

বিকালে আপু আমার রুমে আসলো দেখল যে
আমি গুমিয়ে আছি।।

আপুঃ এই নীল উঠ না।
আমিঃ কেন?
আপুঃ বাসায় বোরিং লাগছে বাহিরে যাবো।
আমিঃ ত যাও
আপুঃ আমি কি একা যাবো নাকি????
আমিঃ ত।

তারপর আপু যা বলল তা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেলো । আল্লাহ উঠাইয়া নেও আমাকে,,, কিসের একটু ব্যথা পাইছে সেটা নিয়েই পড়ে আছে সারাটাদিন।

#চলবে

গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ৩
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল

আমিঃ হ্য রানা বল।
রানাঃ আজকে কলেজে আসলি না যে।
আমিঃ আপু আসতে দেয় নি।
রানাঃ ওহ। ওকে আজকে বিকেলে গুঁড়তে যাবো।
আমিঃ আচ্ছা।
রানাঃ মনে থাকে জানি।
আমিঃ হুম থাকবে।

তারপর আমি শুয়ে পড়লাম,, চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না।।

বিকালে আপু আমার রুমে আসলো দেখল যে
আমি ঘুমিয়ে আছি।।

আপুঃ এই নীল উঠ না।
আমিঃ কেন?
আপুঃ বাসায় বোরিং লাগছে বাহিরে যাবো।
আমিঃ ত যাও
আপুঃ আমি কি একা যাবো নাকি????
আমিঃ ত।
আপুঃ তুই ও আমার সাথে যাবি।
আমিঃ পারব না।
আপুঃ দেখ তর জন্য আজকে কলেজে যেতে পারি নি তাই আমাকে বাহিরে তুই ই নিয়ে যাবি।
আমিঃ আসলে আপু আজকে জয়দের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো।
আপুঃ আমার চাইতে ওরা তর কাছে বড় হলো।
আমিঃ ওদের সাথে না গেলে ওরা রাগ করবে আপু।।
আপুঃ করুক তাতে আমার কি।
আমিঃ আপু একটু বুঝতে চেষ্টা করো।
আপুঃ না তুই রেডি হ আমি রেডি হয়ে আসতেছি।।

এই বলেই নিধী আপু চলে গেলো,, এখন কিছু করার নাই আমাকে যেতেই হবে। না গেলে মাথা খারাপ করে দিবে। আমি বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসলাম। তারপর আমি কাপর চেঞ্জ করলাম।। আমার রেডি হওয়া শেষ আপুর জন্য ওয়েট করতে লাগলাম।। অনেক সময় ধরে আপুর জন্য ওয়েট করতেছি এখন ও আসার কোনো খবর নাই। আমি আপুর রুমে চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি নিধী আপু আয়নার সামনে বসে চোখে কাজল দিচ্ছে ।।

আমিঃ আপু চোখের কাজল টা একটু গারো করে দিও প্লিজ।

এই কথা শুনে আপু চোখের কাজল অনেকটা গারো করেই দিলো। তারপর আপু ঠোঁটে লিপস্টিক দিলো,, এই লিপস্টিক টা আমার একদম পছন্দ না। এমনিতে আপুর ঠোঁট জোড়া অনেক সুন্দর আর গোলাপি। লিপস্টিক দিলে আপুর ঠোঁটের সুন্দর টা নষ্ট হয়ে যায়।।।।

আপুঃ আমি রেডি ।
আমিঃ হয় নাই এখনো।
আপুঃ আর কি করতে হবে?
আমিঃ তোমার লিপের লিপস্টিক টা পরিষ্কার করো বাজে দেখা যায়৷।
আপুঃ তুই পরিষ্কার করে দিলেই ত হয়।
আমিঃ সবসময় শুধু ফাজলামো।
আপুঃ ওকে এতে রাগার কি আছে,,
এখনি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।।।
আমিঃ হুম।

আপু টিস্যু দিয়ে লিপস্টিক পরিষ্কার করে ফেলল।

আমিঃ এখন আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখো কতো সুন্দরী লাগতেছে,, এমনিতেই তোমার লিপ আমার ভালো লাগে আর কখনো লিপস্টিক দেওয়ার দরকার নাই।।।। আপু শুদু মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নাড়াল।।

আপুঃ এখন চল।
আমিঃ ওকে।

তারপর আমি আর আপু বাসার সবাইকে বলে বের হলাম। আমি গিয়ে গাড়িতে বসলাম।

আপুঃ দে না আমি ড্রাইভ করি।
আমিঃ আমি চাই না আমার বউ বিয়ের আগেই বিদবা হক।
আপুঃ মানে?
আমিঃ তুমি গাড়ি চালালে আমার মরন নিশ্চিত ।
আপুঃ কিসব ফালতু কথা বলিস।
এসব আর বলবি না প্লিজ
আমিঃ ওকে ওকে আর বলব না।।।
আমি ড্রাইভ করতে লাগলাম।
আমিঃ আপু জয়দের ও ডেকে নেই আমরা একসাথে ঘুরতে যাবো।
আপুঃ না দরকার নেই আমি তর সাথে একা সময় কাটাতে এসেছি।
আমিঃ ওকে কুল কুল এতো রেগে বলার কি আছে?
আপুঃ এমন কথা বলস যে রেগে কথা বলতেই হয়।
আমিঃ আচ্ছা এসব রাখো বলো কই যাবে।
আপুঃ মানুষ যেখানে গিয়ে প্রেম করে আমরা সেখানে যাবো।
আমিঃ আজব আমরা কি প্রেমিক প্রেমিকা
নাকি।
আপুঃ হ্য
আমিঃ কখনোই না আমরা ভাই-বোন।
আপুঃ দেখ এই কথা টা যদি আরেকবার বলিস তাহলে কিন্তুু খুব খারাপ হয়ে যাবে।
আমিঃ আচ্ছা আর বলব না।
চলো কফি শপে যায়।
আপুঃ ওকে।

তারপর আমরা কফিশপে চলে গেলাম।।
ওয়েটার আসলো।

ওয়েটারঃ স্যার কফি খাবেন?
আপুঃ দুইটা হট কফি দেন খেতে জানি এক ঘন্টা সময় লাগে।
ওয়েটারঃ ওকে ম্যম।
ওয়েটার চলে গেলো।

আপুঃ নীল একটা জিনিস খেয়াল করেছিস প্রেম করার জন্য কিন্তুু কফি শপ পারফেক্ট।
আমিঃ আমি কি কখনো করছি নাকি, জানব কি করে?
আপুঃ দেখস না সবাই সবাই গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত।
আমিঃ হ্য।

ওয়েটার এসে কফি দিয়ে গেলো,, আমরা খেতে লাগলাম আপু অনেক রোমাঞ্চকর চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর কফি খাচ্ছে।
তখনি আমার ফোনটা বেজে উঠলো, পকেট থেকে বের করে দেখি রানা কল দিছে।

রানাঃ হ্যলো কই তুই,?
আমিঃ একটু মার্কেটে আসছি।
রানাঃ আজকে না আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা।
আমিঃ আপুকে নিয়ে আসছি শপিং করবে আপু।
রানাঃ ওহ বুজতে পারছি।
আমিঃ কি বুজলি।
রানাঃ এই যে তরা দুজন শপিং করতে গেছিস।
আচ্ছা রাখি।
আমিঃ বাই।

আপুঃ কে কল দিছিলো ।
আমিঃ রানা।
আপুঃ ভালো কথা মনে করেছিস আমার শপিং এ যেতে হবে।।
আমিঃ মনে হয়ছে এখন।
আপুঃ হুম
আমিঃ আমি যাবো না তোমার সাথে শপিংয়ে গেলে আমি বিরক্ত হয়ে যায়।
আপুঃ আই আজকে আর বিরক্ত করব না।।
আমিঃ তোমার শপিং এর ব্যগ গুলো তোমার হাতেই রাখবে।
আপুঃ আচ্ছা চল এখন।

আমি আর আপু বিল মিটিয়ে কফি শপের বাহিরে আসলাম। বিলটা আপুই দিছে আমাকে কখনো
দিতে দেয় না।

আমি আর আপু শপিংমলে চলে গেলাম,, আপু কেনাকাটা করতে লাগলো। আমিও আপুর পিছনে পিছনে ঘুরতে লাগলাম। আপুর হাতে অনেক গুলা ব্যগ, ওটা দেখে আমার মায়া হলো তাই ব্যগ গুলো নিজের হাতে নিলাম, আপু মুচকি একটা হাসি দিলো।। আপু শপিং করা শেষ।

আমরা শপিংমল থেকে বের হতে যাবো তখন একটা মেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো। আমি ত শেষ আজকে আপুর হাত থেকে আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সাথে সাথে আপুর চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো।।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here