সিনিয়র বস #পার্ট: ২৪ (লাষ্ট)

0
2700

#নাম: সিনিয়র বস
#পার্ট: ২৪ (লাষ্ট)
#লেখক: Osman

সাদিয়া: অপারেশন ভালো হয়েছে। কিন্তু যদি তিনদিনের ভিতরে জ্ঞান না ফিরে । তাহলে আশা শেষ ‌।

আমি: ধুর তাহলে আপনারা কি অপারেশন করলেন?

সাদিয়া: আমরা যতোটুকু সম্ভব করছি। গুলি কোমড়ের এক অংশ বেধ করে মাংস নিয়ে চলে গেছে। তার কারনে প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। এখন বাকিটা আল্লাহর হাতে।

আমি: তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন মনিকে দেখতে পারবো।

সাদিয়া: নাহ আর কিছুক্ষন পর।

আমি: ওকে।

__দেখি মনির বাবা মা আসছে। মনির মা কাঁদতে কাঁদতে আসছে। মনির আব্বার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে আছে। আমাকে বাঁচানোর জন্য মনি নিজের জীবন উৎসর্গ দিয়েছে। তাহলে সব দোষ আমারই। সারা গিয়ে মনির বাবা-মাকে বুঝাতে লাগলো কি হয়েছে? সাদিয়া তাদের ভিতরে নিয়ে গেলো । আমিও পিছনে পিছনে ভিতরে গেলাম। দেখি মনির মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে রাখছে। মনিকে দেখে মনির মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। সারা তার মাকে ধরে বাইরে নিয়ে গেলো। আমিও মনির এ অবস্থায় দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। আমিও কেদে উঠলাম। নিজেকে খুব অসহায় মনে হলো। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি বাইরে এসে বসে রইলাম। রাত হয়ে গেলো এখনো মনির জ্ঞান ফিরেনি। আমি রাতে নাস্তা করলাম। মনির মা তখনো কেঁদে চলেছে। মনির বাবা আমার কাছে আসলো বললো।

মুফাজ্জল: তুমি কে বাবা? মনির ফ্রেন্ড?

আমি: আংকেল আমি মরহুম ইকবাল সাহেবের ছেলে।

মুফাজ্জল: আমাদের এলাকার ইকবাল সাহেবের ছেলে। দেখো আমি তোমাকে চিনতেই পারি নি। শুনেছিলাম নাকি তুমি মনির কোম্পানিতে চাকরি করো? তা বাবা আমরা আছি তুমি বাসায় চলে যাও।

আমি: না আংকেল আমার কারনেই মনির এ অবস্থা। আমাকে বাঁচাতেই মনি তার জীবন দিতে একটু কার্পন্য করেনি ‌। আমি যাবো না।

সারা: স্যার ও মনির বাগদত্তা।

মুফাজ্জল: সেটাতো খুশির সংবাদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি এখন হাসতে পারছি না। বলে মনির বাবার চোখ থেকেও পানি পড়ছে।

মুফাজ্জল সাহেব গিয়ে মনির মার কাঁধে মুখ গুজলো। সারা রাতে বাড়ি যাইনি কারণ রাহাত এখানে। পরদিন কোম্পানি থেকে অনেক মানুষ আসলো মনিকে দেখতে । সারা সবাইকে দরজা থেকেই বিদায় দিলো। দুইদিনের রাতে সাদিয়া এসে বললো ।

সাদিয়া: মনির জ্ঞান ফিরেছে।

মনির মা দৌড়ে ভিতরে গেলো। গিয়ে মনিকে হাত ধরে কাঁদতে লাগলো। বললো

মনির মা: আর একমুহুর্ত তুই এখানে থাকবি না। বাড়ি চল। তর বাবার কোম্পানি তর বাবাই চালাক।

মনি: মা এখনতো আমি আছি। আর কেঁদো না।

__সারা আমাকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো বললো।

সারা: তর জন্য মনির এ অবস্থা । মনি যদি তর উপর দোষ দেয়‌।

আমি: দিলে দিক। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

__দেখি মনির বাবা মা বেরিয়ে আসলো। তারা চলে গেলো। আমি ভিতরে ঢুকলাম। গিয়ে তার পাশে বসলাম। আমি বললাম

আমি: মনি আমি খুবই সরি।

মনি: তুই সরি বলছিস কেনো? আমার জন্যাইতো তুই এতো সমস্যায় পড়েছিস। এদিকে আয় আমার মুখের কাছে আয়।

__আমি মনির মুখের কাছে গেলাম। মনি বললো

মনি: I love you baby ?।

আমি: I love you too baby ?।

মনি: আমি শুধু তকেই চাই।

আমি: আমি জানি। আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি।

মনি: আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিস।

আমি: তোমাকে আমি ছেড়ে চলে যেতে পারি? আমি তোমার শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

মনি: কেনো? তুই সবসময় আমার পাশে থাকবি।

আমি: না এটা আমার যায়গা না।

__আমি মনির হাত ধরলাম। বললাম

আমি: এক কাজ করো তুমিও আমার সাথে বাড়িতে চলে আসো।

মনি: আচ্ছা তুই গিয়ে বাড়িটা সাজা। আমি দেখবি চলে আসবো।

আমি: আচ্ছা।

মনি: এখন আমাকে একটা চুমু দিয়ে যা।

__আমি মনির কপালে একটা চুমুর প্রলেপ এক দিলাম।

মনি: মন মতো হয়নি। মনের মতো চুমূ পেতে আমি আসছি। সারার কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যা। যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন পড়ে।

আমি: আচ্ছা।

__আমি মনির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাহাতকে বলে দিলাম। একটু সাবধানে থাকতে। বাড়িতে চলে আসলাম। এসে পুরো বাড়ি পরিস্কার করলাম। এক সপ্তাহ চলে গেলো মনি এখনো সুস্থ হয়নি। লাষ্ট কয়েকদিন মনির সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। রাহাতের মোবাইলে ফোন ঢুকছে না সারার ও না। ভাবছি ঢাকা যাবো কিনা। মনির ক্রেডিট কার্ড আমার কাছে। একদিন রাতে বের হলাম কেনো জানি মনে চাচ্ছে সিগারেট খাইতে। তাই দোকানে গিয়ে সিগারেট ধরাইলাম। রাহাতের পাল্লায় পড়ে দুই একবার টান দিয়েছিলাম। সারা আসার পর রাহাতো ছেড়ে দিয়েছে। আমি সিগারেট টেনে বাড়িতে ঢুকলাম। দরজা খুলা ভাবলাম চুর টুর আসলো নাকি। আমি গিয়ে লাইট জ্বালালাম। লাইট জ্বালিয়ে যেটা দেখলাম সেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি মনি বধু সাজে বসে আছে। সারা আর রাহাত সারপ্রাইজ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। আমার হাতে তখনো সিগারেট। রাহাত আমার হাত থেকে সিগারেট নিয়ে টানতে শুরু করলো ।
বললো

রাহাত: যাক ফাইনালি আমি সাকসেস।

__রাহাত হয়তো ভুলেই গিয়েছিলো এখানে সারা আছে। সারা রাহাতের হাত থেকে সিগারেট নিয়ে তার পেটে ঘুষি চালালো বললো।

সারা: তরে বলেছিলাম না সিগারেটের আশে পাশে যেতে।

মনি ও আমার পেটে ঘুষি চালালো বললো

মনি: তুই যে স্মোক করস। আমি জানতাম না। আর যদি কোনোদিন সিগারেটের আশে পাশে দেখি । দেখছত আমার হাত একটা দিবো । সারাজীবন আমাকে ভুলবি না।

আমি: তোমাকেতো আমি এমনিতেই ভুলবো না।

সারা: রাহাত কাজীকে ডেকে নিয়ে আসো।

রাহাত: মনির বাবা মা আর কাজী আসতাছে। আমি গিয়ে রাফিদের ঘর সাজাই।

__আমি মনির পাশে বসলাম। বললো

মনি: আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?

আমি: অনেক সুন্দরী।

রাহাত: রাফিদ নে তর পোশাক পড়ে নে।

আমি: এখানেই এখন বিয়ে করবে?

মনি: হুম ।

আমি: তুমি এতো বড় একটা কোম্পানির মালিক । কাওকে না জানিয়ে তুমি এভাবে বিয়ে করছো । এটা কেমন দেখায় না।

মনি: আমি তকে এক্ষুনি এই রাতে চাই। সবাইকে বলতে ডেকোরেশন কতো ঝামেলা সেখানে লাগবে আরো অনেক দিন। সেই ধৈর্য আমার নেই।

আমি: ওকে। সুইট হার্ট।

__একটু পর কাজী এবং মনির বাবা মা আসলো। মনির বাবা এখন এই থানার এমপি । নির্বাচনে মনির বাবা জিতেছে। ভালো ভাবেই আমাদের বিয়ে হলো। মনি প্রথমেই কবুল বলে ফেলেছে। মনি যেহেতু বলেছে তাহলে আমি না বলে থাকতে পারি। রাহাত সারাকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো। মনির বাবা মাও চলে গেলো। মনি বাসর ঘরে গিয়ে বসে রইলো। বাসর ঘর সাজানো হলো আমি যে রুমে থাকতাম। একটু পর আমি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলাম। দেখি মনি ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমি প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দিলাম। মনি ওঠে আসলো খাট থেকে। আমি কিছু বলতে যাবো । মনি আমার ঠোঁটে হাত দিয়ে না করলো। মনি এসেই আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো। আমার উপর ওঠে বসলো…..??। মনি আস্তে আস্তে নিজের মতো করে পুরো বাড়ি সাজালো। মনি এখন বাড়ি থেকেই কোম্পানিতে আশা যাওয়া করে। কিছুদিন পর সারা আর রাহাতের বিয়ে হয়‌। বিয়েটা ভেঙ্গে গিয়েছিলো পরে মনির বাবার কারণে আবার বিয়েটা হয়। মনি সপ্তাহে দুইদিন অফিসে যায়। কিন্তু আমি প্রতিদিন যাই। মনির অধিকাংশ কাজ আমি দেখাশোনা করি। মনির উপর বেশি প্রেশার দেই না। একদিন অফিসে প্রচুর কাজের চাপ যায়। আমি নয়তলায় যাই রেষ্ট নেওয়ার জন্য।একটু পর দেখি মনিও আসলো। এসে গোসল করলো। মনিও কিছুক্ষণ আমার সাথে শুয়ে থাকলো। উপরে যাওয়ার জন্য লিফটে চাপ দিলাম। কিন্তু আসছে না। অনেক বার ট্রাই করার পর উপরে সারাকে কল করলাম। সারা বললো

সারা: আরে উপরে পাওয়ারের সমস্যা হয়েছে। আর যেহেতু এটা গোপনীয় আমি রাহাতকে এনে এটা ঠিক করছি। সময় লাগবে অনেকক্ষন

আমি: কতক্ষন।

সারা: অর্ধেক দিন।

আমি: ওকে।

__এটা শুনে মনি আমার দিকে আড় চোখে তাকালো আমিও তাকালাম বললো।

মনি: এ আমার দিকে নজর দিস না। কাল রাতে তুই আমাকে যেই সুখ দিয়েছত। তাতেই আমি খুশি।

__আমি মনিকে কোলে তুলে বললাম।

আমি: চলো সুইটহার্ট তোমাকে আরেকটু সুখের সাগর থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।

__এটা বলার সাথে সাথেই মনি আমাকে কিস শুরু করলো। আমি তাকে কোলে নিয়ে নরম তুলতুলে বিছানায় নিয়ে ফেললাম।

#End?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here