রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :06,07
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :06
তাহলে কি লোভা এটা মানতে নারাজ তার ছেলে যে অন্যায় করেছে????
তার কি ধারণা তার ছেলে নির্দোষ?
প্রিন্স হঠাৎ করে শুনতে পেল কিছু মানুষ কথা বলছে।
তারা বলছে, এই মাছটা বহুত বড় আছে। তই মেলা দামে বেচবার পারোম!
অন্য একজন বলে উঠেঃতুই মিয়া এক্কান কাম কর! এই মাছডা লইয়া, রাজ বাড়িত তুইয়া আই।মেলা ভালো দাম দিবো।
প্রিন্স এর মনে আশার আলো জ্বলে উঠে। তাহলে কি অতি শিগগির মুক্তি পেতে চলছে প্রিন্স(ইনতিয়াজ)???
হঠাৎ করে কিসের জানি পানি এসে পড়েছে রিনির মুখে। অস্পষ্ট স্বরে বলেঃ মা,একটু ঘুমায়। ডিস্টার্ব করো না।
কিন্তু আবার হালকা কিছু পানি এসে রিনির মুখে পড়ে। রিনি রাগী মোড নিয়ে চোখ জোড়া খুলে।
কিন্তু একি এটা কোথায়?
সে তো তার বাসায় ছিল এখানে কেমনে?
পাশে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এতক্ষণ তার মুখে বৃষ্টির পানি পড়ছিল।
এমন সময়,
রিনি কার জানি পায়ের শব্দ পেল।সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে দেয় রিনি।রিনি আলতো করে চোখ জোড়া খুলে দেখে, একটা মাঝ বয়সী মহিলা রুমে প্রবেশ করে। রিনি দিকে তাকিয়ে আছে।রিনির দিকে তাকানোর,
সাথে সাথে ভয়ে চুপসে যায় মহিলা ।
মহিলা বলছেঃ হায় হায়। আইজ আমার কি হয়বো।
সাহেব যদি জানতে পারে,রিনি ম্যাডামের মুখে পানি পড়ছে। আমি জানালা বন্ধ করি নাই।আজ আমার চাকরি যাবে।ইয়া আল্লাহ বাঁচাও।
মহিলা টি জানালা বন্ধ করে দেয়। রিনির মুখ আলতো করে টিস্যু দিয়ে মুছে দেয়।
যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে দেয় আবার।
রিনি চোখ জোড়া খুলে।
রিনি বলেঃকোথায় আমি? কে এই মহিলা?
কোন সাহেব এর কথা বলছে???
সুমি ও জান্নাত ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। রাবেয়া তাদের হন্য হয়ে খুঁজে যাচ্ছে।
সুমি বলেঃজান্নাত,আজকেই মনে হচ্ছে আমাদের শেষ দিন?ইশ,তোর জিজুর সাথে শেষ দেখা ও হলো না!
জান্নাত বলেঃ হুহ্। মনে হচ্ছে। তুই ঠিক বলছিস।রাবেয়া আমাদের দেখতে পেলে।আমাদের খরগোশ টার মতো করে খেয়ে নিবে।সাথে মানুষের গোশত খাওয়া
উপভোগ করবে।
দুজনের মুখ দিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসে।
হঠাৎ, জান্নাত তার কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করল।
জান্নাত আলতো করে বলেঃ
কে?
দুজনে পিছনে ফিরে দেখতে পেল, মুগ্ধ।
জান্নাত বলেঃ আপনি এখানে কি?
আর এই সময় কেমনে?
আসলে কি আপনি মুগ্ধ?
জান্নাতের কথার যেন ফুলঝুরি ছুটছে।একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে। কথা বন্ধ ই হচ্ছে না।সেই মূহুর্তে, মুগ্ধ আস্তে করে জান্নাতের মুখ টা চেপে ধরে।
মুগ্ধ বলেঃ
“প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছা মরে যায়,
অনিচ্ছাকৃত মরে যেতে হয়
অযত্নে মরে যায়।
প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছেরা
নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়,
নির্বাসিত হয়।।।
কবিতা টা শুনে জান্নাত গোঙ্গিয়ে উঠে।
মুগ্ধ আবার বলেঃ পৃথিবীতে কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না,জায়গা করে নিতে হয়।মিস জান্নাত ।
আর একদিন সেই জায়গাটা আমি করে নিবো।সেদিন থেকে
তোমার প্রত্যকটা হার্টবিটে আমার নাম ধ্বনিত হবে।
এখন চুপ থাকো।শব্দ করলে রাবেয়া তোমাকে খেয়ে নিবে।সাথে সুমি ও আমাকেও খাবে।
জান্নাত , মুগ্ধের হাতে কামড়ে দেয়। তাও মুগ্ধ হাত সরাই নি।
তখন মুগ্ধ বলেঃ
” হাসাতে পারোনা যখন
কাঁদাতে এসোনা তখন
মন বুঝতে না পারলে
ভুল বুঝাটা ও বারণ””
ভুল বুঝো না আমাকে। তবে এই মূহুর্তে কোন ভাবেই আমি হাত সরাচ্ছি না।
সুমি বলেঃ আমাদের এখন কি করা উচিত?
মুগ্ধ বলেঃ একটু অপেক্ষা কর। রাবেয়া বাসায় প্রবেশ করলে,আমরা কিছু করতে পারবো।ততক্ষণ এইখানে মশার কামড় খেয়ে অপেক্ষা করি।
একটু পর রাবেয়া বাসায় প্রবেশ করে।মুগ্ধ, জান্নাত ,সুমি চুপচাপ বাসায় প্রবেশ করে।
মুগ্ধ বলেঃ এই জান্নাত একদম চুপ থাকবে। অন্যথায় শাস্তি পাবে।
জান্নাত মনে মনে বলছে, অরে আল্লাহ তুই যে সাইকো,মুগ্ধের বাচ্চা, বলা যায় না, কি শাস্তি দিয়ে বসিস।তবে তুরে আমি দেখে নিবো।।।
জান্নাত চুপ হয়ে আছে। সুমি ও পাশে আছে।
মুগ্ধ বলেঃওজু করে নেন। তারপর আপনারা জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়েন।সাথে কুরআন শরীফ রাখবেন। অবশ্যই,আয়াতের কুরছি পড়বেন।আমি আসছি।
তারা দুজনেই ঠিক বাধ্য মেয়ের মতো তাই করলো।
মুগ্ধ বেশ কিছু বড়োই পাতা আনে।ভালো করে সিদ্ধ করে।রাবেয়া তখন ক্লান্ত হয়ে শরীর টা এলিয়ে দেয় শুবার ঘরে।
মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত এই দিকে আস।রাবেয়ার পাশে গিয়ে আগে অল্প করে পানি ঢেলে দিবে।তোমাকে যখন পিছু করবে তখন ওয়াশরুমের দিকে যাবে।আমরা থাকবো ওয়াশরুম এ।
ঠিক তাই করলো জান্নাত ।রাবেয়া ওয়াশরুমের মধ্যে প্রবেশ করে।মুগ্ধ বরই পাতা দিয়ে সিদ্ধ করা সব পানি রাবেয়ার শরীরে ঢেলে দেয়। রাবেয়া মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সবাই ধরাধরি করে রুমে আনে।ভোরের আলো ফুটে উঠেছে।
জান্নাত বলেঃ আমি গাড়ি বের করতে বলছি।সুমি কাপড় ঘুছিয়ে নে।কামাল কে ও রেডি হতে বল।আমরা একটু পর-ই রওনা দিবো।এই ভাবে থাকা সম্ভব না।
সুমি বলেঃ ওকে।
মুগ্ধ বলেঃ আমাকে ও নিয়ে যাওয়া যাবে?
জান্নাত বলেঃ একদম ই নিবো না।
সুমি বলেঃ নিয়ে যায়। কারণ ওনি না থাকলে , আমরা এতক্ষণে রাবেয়ার পেটে হজম হয়ে যেতাম।মুগ্ধ ভাইয়া,আপনি ড্রেস নিয়ে আসেন।
মুগ্ধ বলেঃ বোন যেতে দিচ্ছ এটাই অনেক। আমি ড্রস ওইখানের শপিং মলের থেকে কিনে নিবো।
সবাই রেডি। রাবেয়া কে মুগ্ধ ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে।সবাই গাড়ি তে উঠে পড়ে।
মাঝ পথে কামালকে তুলে নেই। সুমি সব খুলে বলে কি কি হয়েছে!!আর মুগ্ধের সাহায্যের কথা ও বলে।কামাল কৃতজ্ঞতা জানাই।
কামাল বলেঃ আমরা চাইলে, হাবিব কে ও সাথে নিতে পারি??
সবাই সম্মতি জানায়। গাড়ি ড্রাইভ করছে মুগ্ধ। ড্রাইভারের নাকি কি সমস্যা হয়ছে। তাই জান্নাত মুগ্ধ কে ড্রাইভার বানায়।
মুগ্ধ গাড়ি তে গান চালিয়ে দিয়েছে।
গান চলছে,,,
মাঝে মাঝে তোর কাছে জেনে শুনে হেরে যায়,
কিছু কথা বলে পেলি, কিছু কথা ছেড়ে যায়।
অচেনা সকাল হোক,উদাসী বিকেল হোক।
বারে বারে মনে হয় তোর হাতে মরে যায়।।।।
গাড়ি চলছে হাবিবের বাসার উদ্দেশ্যে।।তবে জান্নাতের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে। মনের মধ্যে এসব প্রশ্ন ছোট একটা ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।।
আচ্ছা, মুগ্ধ রাতে কেমনে আমার বাসায় আসে?
আমি যে বিপদে কেমনে জানলো?
আর কেমনে জানলো, আমরা যে ঝোপঝাডে় আছি?
মুগ্ধ আসলে মানুষ তো?নাকি!!!!!!
হাবিবের মা তার চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে।দরজা ভেঙ্গে বের করে হাবিবরকে।নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ডাক্তার এসে চিকিৎসা করে।হাবিব এখন অনেক টা সুস্থ।
বসে আছে নিজের রুমে। এমন সময়….
চলবে…….
রাত_যখন_গভীর
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Season:02
Part :07
************
হাবিব এখন অনেক টা সুস্থ।
বসে আছে নিজের রুমে। এমন সময়,তার মা।
তার জন্য নাস্তা আনে।আর বলে, অর্কের বাসায় গিয়ে সমস্যা টা সমাধান করে ফেল।আমার মনে হচ্ছে, তুর সাথে যা হচ্ছে, সব রিনির ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছিস বলে।
হাবিব বলেঃ মা,একটু পর বেরিয়ে পড়বো।আমার ও তাই মনে হচ্ছে। যেদিন, রিনিকে স্ফটিকে দেখেছি। সেদিন থেকে এসব হচ্ছে। বুঝতে পারছি না।কেন আমাকে রিনির বিষয়ে খুঁজতে বাঁধা দিচ্ছে। তবে মা মনে হচ্ছে, সেটা যে হবে হোক,অনেক শক্তিশালী।
।
হাবিব এর মা সব জিনিস পত্র ঘুছিয়ে দেয়। ঘুছাতে ঘুচাতে বলেঃ বাপু আর পারিনা।এবার তো বউ ঘরে তোল?একা হাতে আরোও কদিন এঘর সামলাবো???
হাবিব মিষ্টি একটা হাসি দেয়।। এই হাসি যেন অন্য কিছু বুঝাতে চাইছে.?????
জান্নাত, সুমি,মুগ্ধ, রাবেয়া, কামাল গাড়ী তে বসে ছিল প্রকৃতি দেখছিল। কিন্তু একটু পর কামার ড্রাইভ করছে। এমন সময় মাঝ পথে, গিয়ে কামাল জোরে ব্রেক কষলো।
সবাই ভয় পাই।
মুগ্ধ বলেঃ ভাই,কোন কি সমস্যা?
কামার বলেঃ একটা খরগোশ দেখলাম গাড়ীর সামনে। সেটাকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক কষলাম।
সবাই গাড়ি থেকে নেমে যাই। দেখে কিছু নেই। রাবেয়ার মুখে একটা রহস্য মাখা হাসি। অতচ সে ঘুমের মধ্যে।
ব্রেক কষার ফলে, জান্নাত ও সুমির
গাড়িটা মাঝ পথে এসে নষ্ট হয়ে গেছে।
কামাল বলেঃ আমি গাড়ি ঠিক করে আনি।তোরা বরং বাস নিয়ে চলে যা।মুগ্ধ ভাই,আপনি তো আছেন।
মুগ্ধ বলেঃ নিশ্চিতে থাকেন।বাস নিয়ে যাবো সবাই রাজি তো?কেউ বমি করিও না আবার।চোখ গুলো জান্নাত এর দিকে তাকিয়ে একথা বলে।
সবাই রাজি হয়ে যাই। বাসে উঠে। তবে বাসটা বড্ড অদ্ভুত। একদম কম মানুষ। কেমন কেমন করে সবাই তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।
রাবেয়া কে একটা সিটে শুয়ে দেয়। পাশে সুমি বসে যাই। এখন জান্নাত এর বাধ্য হয়ে বসতে হলো মুগ্ধ এর পাশে।
মুগ্ধ তো মহা খুশি। এমন সময়, জান্নাত তার সাইটে কেউ একজন কে দেখলো।সমস্ত শরীর ঢেকে রেখেছে।শুধু চোখ জোড়া দেখা যাচ্ছে। চোখ গুলো অসম্ভব ভয়ংকর ছিল। তবে মুগ্ধ সেটা দিয়ে তাকাতেই গায়েব হয়ে গেছে।।।
এই প্রথম জান্নাত মুগ্ধ এর এতো কাছে বসে আছে। বাহুতে বাহুতে স্পর্শ করছে।
এমন সময় মুগ্ধ বলেঃ “ভালোবাসার বিনিময়ে অবহেলা পেয়ে ও যে ভালোবাসছে,সেই মূলত ভালোবাসছে,হয়তো সে বোকা হয়েছে কিন্তু জেনে রেখো,বোকারাই একমাত্র ভালোবাসাতে জানে”
শুনো জান্নাত,
যেটা একবার হারায় ওটা ফিরে আসলে ও আগের মতো পূর্ণতার স্বাদটা পাওয়া যায় না।
তাই এভাবে হারিয়ে যেতে বাধ্য কর না জান্নাত।
জান্নাত কিছু না বলে তাকিয়ে আছে জানালার বাইরে। একসময় ঘুমিয়ে পড়লো। বেশ কিছুক্ষণ পরে,গাড়ি থেকে গেল।জান্নাত চোখ জোড়া খুলে দেখে। সে নিজেকে মুগ্ধের বুকের মধ্যে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় পেল।
জান্নাত বলেঃ আপনি আমাকে জাগিয়ে তুলতে পারতেন?এই ভাবে এতক্ষণ আপনার বুকে মাথা দিয়ে ছিলাম।কষ্ট হয়েছে নিশ্চয়ই দুঃখীত আমি।আসলে, বাসে উঠলেই আমার ঘুম চলে আসে।
মুগ্ধ বলেঃ sleeping is nice
Unitil,you wake up
And realize You’re
Still sad….
তুমি জেগে থাকলে দুশ্চিন্তা করতে।তাছাড়া, মানুষ ঘুমিয়ে থাকলে,মনের দুঃখ, কষ্ট ভুলে থাকে।ঘুমের মধ্যে তাদের মনে হয়। everything is ok…
তাছাড়া ঘুমন্ত মানুষ কে জাগাতে নেই।কষ্ট হলো এ কথা কে বলছে?
এই কষ্ট দেখলে মনের মধ্যে যে হৃদয় টা দুই টুকরো হয়ে যাচ্ছে সেটা দেখলে না!
জান্নাত কিছু বললো না।জান্নাত জানে তার এই কথার কোন উত্তর জান্নাত এর কাছে নেই।
আসলে, এই মুগ্ধ নামেন মানুষ টার প্রতিটি কথা মনে বাধছে। আবার,কিছু কথা একদম সুজা হৃদয়ে গিয়ে তীরের মতো আঘাত করছে।
সুমি বলেঃ
তাড়াতাড়ি উঠ জান্নাত ।আমরা পৌঁছে গেছি।বসে থাকবি নাকি গাড়ি তে?
জান্নাত বলেঃ আসছি তো।
সবাই গাড়ি থেকে নেমে যাই। কামাল গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। সবাই হাবিবের বাসার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে,,হাবিবের বাসার আসে পাশে আসতেই, সুমির একটা নেগেটিভ সিগনাল পাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তারা অর্কের কাছে যেতে পারবে তো???
রিনি চোখ জোড়া আবার বন্ধ করে দেয়। কারণ সেই রুমের সামনে কে যেন এসে দাঁড়িয় আছে মনে হলো তার।
রিনি স্পষ্ট শুনতে চেষ্টা করলো।২ টা বিড়াল এর শব্দ শুনতে পাচ্ছে।মেউ মেউ।।
একটু পর মহিলাটার গলা শুনতে পেল। মহিলা বলছেঃস্যার কেমন আছেন?আপনাদের জন্য দুধ আনি?
হঠাৎ করে কে যেন একটা ছেলে কন্ঠে বলেঃনা।ওর জন্য আনলে আন।
মহিলা বলেঃ আফা আপনি খাইবেন?
মেয়ে কন্ঠ বলেঃ হুম আনো।
মেয়ে কন্ঠ বলেঃ রিনি কে তো ১ মাস ধরে ঘুম পাড়িয়ে রাখলি।ও তো মানুষ, ওর খাবার খাওয়ার দরকার। না হয়,শরীর খারাপ হবে।
ছেলে কন্ঠে বলেঃ আজ তাহলে, ওকে জাগিয়ে রাখবো।
মেয়ে কন্ঠ বলেঃআমার চাই,প্রিন্স কে।কিন্তু আমার প্রিন্স এর কোন খুঁজ ই পাচ্ছি না।পাঁজি মেয়ে টার পরিবার এতো কঠোর কেন??এমন অমানবিক শাস্তি টা কেন দিতে হলো?
ছেলে কন্ঠ বলেঃ মুখ সামলে।।রিনির ব্যাপারে একদম বাজে কথা বলবি না।অনেক কষ্টে পেয়েছি। সেদিন যদি, বিদ্যুৎ যাওয়ার সাথে সাথে না নিয়ে আসতাম তাহলে তো আমার রিনি কে পেতাম না।অনেক ভালোবাসি।
“রিনি তুমি সেই কবিতা,
যা প্রতিদিন ভাবি,
লিখতে পারি না,,,
রিনি সেই ছবি।।
যা কল্পনা করতে পারি,,
আঁকতে পারি না”।।।।।
আরেকটা কথা হচ্ছে, হাতের রেখা মানুষের ভাগ্যে থাকে না,মানুষের ভাগ্য থাকে তার কর্মে।চেষ্টা করলে সব সম্ভব। আজ চেষ্টার ফলে রিনি আমার কাছে।।।
তাছাড়া,
।পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল শালার প্রিন্স। হা হা হা।এমন জাল বিছিয়ে ছিলাম।শালা,মাইকার চিপায় পড়ে গেছে।হা হা।।।।
রিনির সারা শরীর ভয়ে চুপসে গেছে। কে এরা??তাহলে, কি রিনি আবার কোন বিপদে পরতে যাচ্ছে?????
প্রিন্স এর মনে আশার আলো জ্বলে উঠে। প্রিন্স (ইনতিয়াজ)স্পষ্ট বুঝতে পারছে সে এখন পানির বাইরে। তাকে কোন এক জায়গা তে নিয়ে যাচ্ছে। আর একটু ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। অতি তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে।এটা ভাবতেই, প্রিন্স এর মন খুশীতে ভরে গেল।
বিপদে আল্লাহ পাক এর প্রতি অটুট বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, বিপদ থেকে বাঁচানোর মালিক তিনি।
বিপদে ধৈর্য হারানো উচিত নই।
প্রিন্স পেরেছে,ধৈর্য রাখতে।তাই সে একটু পর মুক্তি পেতে চলছে।।।
এক লোক বলছেঃ মাছ নিবানি মাছ।টাটকা মাছ।কোন ভেজাল নাইকা!লইবানি।।।।
এইভাবে বলতে বলতে রাজবাড়ীর সামনে চলে আসে। তখনই, একজন মহিলা বেরিয়ে আসে।
মহিলা বলেঃ মাছ দেখি।
লোকটা মাছ দেখায়।
মহিলা বলেঃ আবে এটা তো দেহি মেলা বড় মাছ। আইজকা স্যার ও আপা মনি দুজনে আচে।মাছটা মজা কইরা জুল দি রান্দবার পারোম।দাম কত?
দরদাম করে মাছ নিয়ে বাসায় ফিরে আসে।মহিলা টা।মাছটা রান্না ঘরে রাখে।
মহিলা দা নিয়ে আস্তে আস্তে কেটে ফেলছে।।।।।
মুক্তি পাচ্ছ প্রিন্স (ইনতিয়াজ)। তবে মাছ থেকে মুক্তি পেলে ও।বোতল থেকে কেমনে মুক্তি পাবে????
জিন শাম্মি, মা জিন লোভা কে রুম থেকে বের করে আনে।অবশ্য, অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে এ-ই কাজ করতে। রশিদ জিন(রাজা মশাই) অনেক খুশি হয়েছে।
তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।কাল,পরশু করে।তারা সবাই রিনির বাসায় যাবে।রিনির সাথে দেখা করে আসবে।
ওইদিন চলে আসার পর আর যাওয়া হয়নি।তাছাড়া জান্নাত এর কাছ থেকে কয়েক বার ডাক পড়েছিল। রাজ্যের কাজের চাপে সাড়া দিতে পারিনি।
আরেকটা দুশ্চিন্তা ছিল,শক্তি শালি শয়তান জিনের উৎপাত বেড়ে গেছিলো। প্রিন্স এসব দিক দেখতো।সে না থাকাতেই, আমার সব দেখতে হচ্ছিল। তবে,আল্লাহ এর রহমতে তাদের উৎপাত কমে গেছে।।।
পর মূহুর্তে।,,
জিন রাজা মশাই বলেঃ শাম্মি, পৃথিবীতে যাবি!!!!
চলবে…….