রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :08,09

0
1220

রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :08,09
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :08

রিনির সারা শরীর ভয়ে চুপসে গেছে।রিনির মনে হাজারো প্রশ্ন তবে নেই কোন উত্তর। এক মনে ভেবেই চলেছে।

রিনি মনে মনে বলেঃ আমি এক মাস ধরে এখানে আছি। হায় আল্লাহ। মা বাবা তো পাগল প্রায় মনে হয়।আমার কিছু একটা করতে হবে। না হয় সারাজীবন এখানে থাকতে হবে।

রিনির রুমের দরজা তে কে যেন কড়া নাড়ে।রিনি তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে দেয়। একটা কালো অবয়ব আস্তে আস্তে রিনির দিকে আসছে। রিনি হালকা চোখ জোড়া খুলে দেখে, একটা কালো বিড়াল খুবই ভয়ংকর দেখতে। চোখ জোড়া নীল, বিড়াল টার সম্পূর্ণ শরীর কালো বলতে একদম কুচকুচে কালো। বিড়ালটা রিনির মুখের কাছে চলে আসে। এক নজরে তাকিয়ে আছে রিনির দিকে।

বিড়াল টা বলেঃ মেউ মেউ করে। এরপর ব’লে,

kaash ki tum meri
Maut hoti
Toh ek din mil hi
Jaati

Rini you don’t have any idea about my feelings for you.because, you donot try to understand my feeling anytime. Love u rini.
রিনি তোমাকে প্রথম দেখে মনের সুপ্ত আসনে বসিয়ে ছিলাম।এখন আমার প্রতি নিশ্বাসে তুমি আছো শুধু তুমি।

এমন সময় বিড়াল টার পেছন থেকে কেউ একজন রহমান ভাইয়া বলে ডাক দেয়।
আরে তাসনিয়া এটা তো তাসনিয়া।রহমান এর একমাত্র বোন।

দুজনে বিড়াল থেকে মানুষ রুপ নিয়ে নে। দুজনে জিন।।তাই তারা তাদের রুপ সহজে পরিবর্তন করতে পারে।জিনদের মধ্যে অনেক জিন পশু পাখির রুপ ধরে থাকতে পছন্দ করে।

রহমান ও তাসনিয়া,
।দুজনের চোখ নীল রঙের। অসম্ভব ফর্সা দু’জনই।দুজন কে দেখে বুঝার উপায় নেই তারা যে রিনি কে সবার চোখ এর আড়ালে নিয়ে এসেছে। আর ১ মাস ধরে রেখেছে। দুজন এর চেহারা একদম নিষ্পাপ লাগছে হুহ।।তারাই এমন ব্যবস্হা করেছে কেউ যেন রিনির খবর না পাই।যে চেষ্টা করবে, তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর কিছু।।।

তাসনিয়া বলেঃ কি করস এখানে? ১মাস ধরে তো দেখছিস।আরোও দেখার কি আছে। বলতো?আর আমি আমার প্রিন্স (ইনতিয়াজ) কে দেখি না কত দিন হলো!!!

রহমান(বিড়াল এবং প্রিন্সের বন্ধু) বলেঃজানিস একটা কথা। সৃষ্টি কর্তা কারো উপর অবিচার করে না।কাউকে রুপ ঢেলে দিয়েছেন তো কাউকে দিয়েছেন মায়া।মেয়ে টার মুখে অনেক মায়া।যতো দেখি মন ভরে না রে।আল্লাহ ওর মুখে যে কি পরিমাণ মায়া দিয়েছে যা দেখে এক মূহুর্তের মধ্যে যে কেউ ঘায়েল হয়ে যাবে।আমিও ব্যাতিক্রম নই।

তাসনিয়া(বিড়াল এবং রহমানের বোন) বলেঃতুই ওর জন্য এত কিছু করছস?
ও যদি তুকে ভালো না বাসে তাহলে?

তুই ওকে এত ভালোবাসিস কেন?

রহমান জিন বলেঃভালোবাসা হলো ঠিক জ্বলন্ত আগুন এর মতো। তুই যদি কোন ভাবেই আগুন জ্বালিয়ে ফেলিস,এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবি না যে তা জ্বলতেই থাকবে। এজন্য রিনি কে প্রতিটি দেখি, আর জ্বালানি দেয়।অবশ্য, জ্বালানি দিয়েই যেতে হবে।

ঠিক তেমনই,তুই যদি চাস যে তুর ভালোবাসার মানুষ টি চিরকাল তুর সাথে থাকুক তবে অবহেলা নয়,তাকে ও প্রতিদিন নতুন করে ভালোবাসা তে হয়।নতুন করে উপলব্ধি করতে হয়।

তাসনিয়া বলেঃ বাহ বাহ ভাই লা জাবাব।আমিও চাই প্রিন্স কে!!তাকে ওভালবাসা দিবো।রিনির কথা ভুলিয়ে দিবো।।।

রহমান বলেঃ খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবি।

দু’জন ই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। রিনি চোখ জোড়া খুলে। তার মন বড্ড খারাপ হয়ে যায়। রিনির চোখ দিয়ে অশ্রু টলটল করে ঝরছে।

রিনি বলেঃমেয়ে হয়ে জন্মানো সহজ,কিন্তু মেয়ে হয়ে বেঁচে থাকা টা অনেক কষ্টের। হাসতে গেলে ও ভাবতে হয়।আর কাঁদতে গেলে ও ভাবতে হয়। কোথায় যেতে গেলেও ভাবতে হয় ।হাই আল্লাহ বড্ড ভুল হয়ে গেছে, সেদিন কেন যে বেরিয়ে ছিলাম।আমার জীবন টা নষ্ট হয়ে গেল এটা বলে ডুকরে কেঁদে দেয়।

রিনি আবার বলেঃ আমার কি দোষ? প্রথমে প্রিন্স নিজের প্রতিশোধ নিয়েছে। এখন, অন্য জন ১ মাস ধরে আমাকে আটকে রেখেছে। এরা জিন এদের চোখ ফাকি দিবো কেমনে। রিনি প্রচুর কান্না করছে।

এমন সময়, রিনি কেউ একজন এর পায়ের শব্দ শুনতে পেল। কে যেন আসছে। তবে কে আসছে?
তার রুমে আবার!!!!

মহিলা দা নিয়ে আস্তে আস্তে মাছটা কেটে ফেলছে।হঠাৎ দাঁ টা মাছের পেট বরাবর এসে, কিছু একটাতে গিয়ে আটকে যায়। মহিলা দেখে পেট টা ভালো ভাবে দেখে। তারপর ,সে একটা খুব সুন্দর কাচের বোতল। অনেক রঙিন দেখতে।মহিলার এটা পছন্দ হয়েছে।বোতল টা একদম আনকমন। তাই ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিজের রুমে রেখে দেয়।

মহিলা মাছটা রান্না করে নেই। পুরো ঘরে রান্নার সুগন্ধি তে মু মু করছে।মহিলা মাছের টুকরো গুলো সাজিয়ে নে।টেবিলে রেখে দেয়।এরপর নিজে খেতে যায়।

প্রিন্স আল্লাহ পাক এর কাছে শুকরিয়া আদায় করে।

প্রিন্স বলেঃ তবে এখন এইভাবে বোতল বন্দী হয়ে কারো রুমের সৌন্দর্য বাড়ালে হবে না।বের হতে হবে।

প্রিন্স চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। কেমনে বের হবে????

জান্নাত(মহু),মুগ্ধ, সুমি,কামাল,রাবেয়া। গাড়ি তে আছে। তারা যখনই, হাবিবের বাসার গলির মধ্যে প্রবেশ করে। তখনই, দেখে একটা মহিলা হাবিবের বাসার সামনে বসে আছে। মহিলাটা আস্তে আস্তে তাদের গাড়ির সামনে চলে আসে।
কামাল গাড়ি চালাচ্ছিল।মুগ্ধ বলেঃ গাড়ি সোজা চালিয়ে যাও।একদম হাবিবের বাসার দরজায় গিয়ে থামাবে।

কামাল ঠিক তাই করলো।রাবেয়া এখন ও ঘুম। এর মধ্যে মুগ্ধ আবার ঘুমের ইনজেকশন পুস করে দিয়ে ছিল রাবেয়া কে।যদি জেগে ওঠে, তাহলে মারাত্মক কান্ড করবে।

সবাই গাড়ির থেকে নেমে যাচ্ছে। সবার শেষে জান্নাত বেরিয়ে আসতেই হুঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলো।এমন সময় মুগ্ধ ধরে ফেলে।
জান্নাত তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। কেউ লক্ষ্য করার আগে। অতঃপর,

হাবিবের বাসায় কলিং বেল টিপ দেয় সুমি।একটু পর হাবিবের মা আসে। সবাই কে দেখে খুশি হয়।তবে জিজ্ঞেসো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ এর দিকে।

কামাল বলেঃ আন্টি এটা আমাদের নতুন বন্ধু। তবে নিচু স্বরে বলে, ভবিষ্যতে দোলাভাই হবে।

হাবিবের মা বলেঃ ওহ নতুন বন্ধু। ছেলে তো দেখতে মাশাল্লাহ হিরার টুকরোর মতো। আসো আসো সবাই ভেতরে আস।রাবেয়া কই?

কামাল বলেঃ ও ঘুমাচ্ছে। গাড়ি তে আছে।

হাবিবের মা বলেঃ হাবিব কই তুই?দেখ কারা আসছে?

হাবিব সবাই কে দেখে খুশি হয়ে যাই। কারণ এ কদিন যে ঝামেলা গেছে। আল্লাহ পাক বাচিয়ে রাখছে এটাই অনেক।

একটু পর হাবিবের মা সবার জন্য বিরিয়ানি নিয়ে আসে। অবশ্য রান্না করাই ছিল। হাবিবের জন্য রান্না করেছিল। কেন জানি আজকে একটু বেশি রান্না করে ছিল।সবাই খেতে বসে। হাবিবের মা ও সাথে বসে খাচ্ছে। এমন সময়,হাবিবের মা হাবিবের সাথে যা যা ঘটেছে সব খুলে বলে। সবাই তো তব্দ হয়ে গেছে।
হাবিব বলেঃ জানিস আমি রিনি কে দেখছি।ও বেচে আছে।

সবাই খুশি হয়।এরপর খাওয়া শেষ করে। হাবিবের মা কে সবাই সালাম করে।হাবিবের মা লক্ষ্য করে, জান্নাত এর সাথে মুগ্ধ কে বেশ মানিয়েছে।
সবাই অর্কের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।

এমন সময়, হাবিবের মা জান্নাত এর কানে কানে বলেঃ মা শুন,ছেলে টার পাশে তুকে ভালই লাগে দেখতে, শীঘ্রই যেন সুখবর পাই।নিজের তো মেয়ে নেই। তুই ও আমার মেয়ের মতো, তুর বিয়ে তে গিয়ে শখ মেটাবো।
জান্নাত একটা ম্লান হাসি দেয়। সবাইকে হাবিবের মা বিদায় দেয়। হাবিব যাওয়ার সাথে সাথে একটা ঠান্ডা বাতাস ঘরের বাইরে চলে গেল। হাবিবের মা এই বিষয় টা লক্ষ্য করলো।

সবাই গাড়ি তে উঠে পড়ে। গাড়ি চালাচ্ছে হাবিব। মেইন রোড এ উঠে পড়ে।একটু পর…….

পর মূহুর্তে।,,
জিন রাজা মশাই বলেঃ শাম্মি, পৃথিবীতে যাবি!!!!

শাম্মি বলেঃ হুম বাবা যাবো।মাকে বলছি আমি। রেডি হতে। তবে বাবা ভাই কে খুব মিস করছি।

শাম্মি রেডি হতে লাগলো। আজকে সে খয়েরী রঙের শাড়ি পড়ে।পায়ে নুপুর দিল।হাতে আলতা। চোখে কাজল।চুল গুলো হালকা খোপা করেছে।রাজার মেয়ে বলে কথা। এইটুকু সাজগোছ তো চলেই।

শাম্মির মা ( লোভা) এবং বাবা (রশিদ) সবাই এখন রেডি।একটু পর সবাই বেরিয়ে পড়বে।রাজা রশিদ ঠিক করে, প্রথমে অর্কের বাসায় যাবে।তারপর, রিনির পরিবার কে আসতে বলবে।

অর্ক,লাবু,রাহাত হুজুর, রেশমী একসাথে বসে আছে। জান্নাত, সুমি,রাবেয়া ও বন্ধু দের জন্য অপেক্ষা করছে। তাছাড়া, লাবু ও রেশমী কে একা কিছু করতে দিতে গেলে বিপদ। সেদিন, রেশমি।ড্রইং রুমে ব্রেসিনটা পরিষ্কার করছিল।হঠাৎ কি যেনো অদৃশ্য শক্তি এসে।রেশমী কে পানির মধ্যে মাথা টা ঢুকিয়ে চেপে ধরে। রেশমির গুঙিয়ে উঠে। রাহাত হুজুর এর মা শব্দ টা শুনে দৌড়ে আসে।না হয়।রেশমী কে আর পাওয়া যেতো না।পরপারে চলে যেতো। তবে,
মিনিট পাঁচেক পর,অর্ক, লাবু,রেশমি, রাহাত হুজুর লক্ষ্য করে। তাদের রুমের লাইট অন এন্ড অফ হচ্ছে। একটু পর দেখে………

চলবে…….

রাত_যখন_গভীর
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Season:02
Part :09

লাবু,রেশমি, রাহাত হুজুর লক্ষ্য করে। তাদের রুমের লাইট অন এন্ড অফ হচ্ছে। একটু পর দেখে,
জিন রাজা (রশিদ),রানী(লোভা),সাথে রাজকন্যা শাম্মি আছে। কৌশল বিনিময় করার পর।সবাই বসে।লাবু কিছু মিষ্টি আনে।সবাই কে সার্ব করে দেয়। এমন সময়,

অর্ক বলেঃ হঠাৎ কি মনে করে আসলেন?

জিন রাজা বলেঃ আপনাদের সাথে দেখা করতে। সাথে রিনি মার সাথে একটু দেখা খরবো
।ওই দিন পর থেকে আর খুঁজ খবর নেয়া হয়নি।সেদিন যে গেলাম আর তো দেখা করিনি।তাই ভাবলাম বেড়িয়ে আসি।

রাহাত হুজুর বলেঃ হুহ রিনি।রিনি তো বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ।তারপর, বলে
মেয়ে টা ওই দিনই গায়েব হয়ে গেছে রাতের সময়।আমরা কোন রহস্য উদ্ধার করতে পারিনি।

শাম্মি, রশিদ,লোভা ৩ জনই চমকে উঠে। কথা টা তাদের বড্ড কষ্ট দিয়েছে। মেয়ে টা কে দেখতে আসলো,আর কি যে মর্মাহত হওয়া কথা শুনলো।

শাম্মি বলেঃ আমাদের জানাননি কেন?

রাহাত হুজুর বলেঃ রাজা মশাই কে জান্নাত ঢেকেছিল। কিন্তু সারা দেইনি।

আজ প্রায় ১ মাস হয়ে গেছে। তাছাড়া, বন্ধু রা সবাই আসছে আজকে। আরও অনেক কিছু অদ্ভুত ঘটনার সামনে পড়ছি আমরা।তাই, রিনির রহস্য উদ্ধার করেই ছাড়বো।

রাজা রশিদ বলেঃ আচ্ছা সবাই আসুক।আমরা ও থাকি। সবাই মিলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে দেখবো।ইনশাআল্লাহ খুঁজে ও পাবো।

লোভার ও খারাপ লাগলো। আহারে,মেয়ে টা যে কই আছে, আল্লাহ ওকে দেখে রেখো।

লোভা বলেঃ আচ্ছা, আমার ছেলে কি মুক্তি পাবে না?সারাজীবন কি সাগরে ভেসে বেড়াবে?

অর্ক বলেঃ ভাগ্য ঠিকই আপনার ছেলে কে মুক্তি দিবে।সঠিক সময়ে সব কিছু হবে।সো চিন্তা করবেন না।

সবার মন খারাপ।তাছাড়া, কখন যে ওরা এসে পৌছাবো আল্লাহ জানে।অপেক্ষা করছে ওদের আসার জন্য।

গাড়ি চালাচ্ছে হাবিব। মেইন রোড এ উঠে পড়ে।একটু পর,বড় একটা ট্রাক তাদের দিকে ছুটে আসছে। হাবিব ঘাবড়ে গিয়েছে।এমন সময় ট্রাক সামনা সামনি আসতেই, মুগ্ধ হাবিবের হাতের উপর হাত দিয়ে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এতে করে একটা পাথরের সাথে গাড়ি ধাক্কা খেয়ে একটা বট গাছের গিয়ে আবার ধাক্কা খেল গাড়ি ।সবাই সুরক্ষিত ছিল তবে জান্নাত পিছনের দিকে বসাতে ধাক্কা লেগে, একটু ব্যথা পেয়েছে।সামনে সিট বেল পড়ে ছিল তাই ওদের কিছু হয়নি। মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে। মুগ্ধ পিছনের সিটে চলে আসে।সুমি কে সামনে পাঠিয়ে দেয়।হাবিব গাড়ি টাকে খুব সতর্কতার সঙ্গে আবার রাস্তায় তুলে।হাবিব গাড়ি চালাচ্ছে।

মুগ্ধ জান্নাত এর মাথা থেকে রক্ত মুছে দিচ্ছে।জান্নাত রক্ত দেখে বেহুশ হয়ে যায় । মুগ্ধের রুমাল টা বেধে দেয় ক্ষত স্থানে। সবার চোখ এর আড়ালে ক্ষত স্থানে একটা চুমু দেয়। মুগ্ধ হালকা পানি দেয় জান্নাত এর সেন্স ফেরানোর জন্য। অবশেষে, সেন্স ফিরে আসে। জান্নাত মাথা তে হাত দিয়ে দেখে ব্যথা নেই। কপালে জাস্ট একটা রুমাল বাধা।

জান্নাতএর বসে থাকতে থাকতে ঘুম পাচ্ছি লো।তাই ঘুমিয়ে পড়লো। আস্তে করে,জান্নাত এর মাথা টা গিয়ে পড়ে মুগ্ধের কাঁধে।

মুগ্ধ বলেঃ
খুঁজি তোমায় অদৃশ্য শহরে,
কাটেনা সময় তোমারও
প্রহরে।
খুঁজি তোমায় এসে ফিরে
যাওয়া ঢেউয়ের মাঝে,
খুঁজি তোমায় অথিতি
পাখির মাঝে।
তোমায় দেখি নতুন ভোরের
কুয়াশায়,
তাই তো থাকি তোমার এক
পলক চাহনির আশায়।।
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি
তোমায় জান্নাত….. (কবিতা লেখকঃবিজয়)

হঠাৎ, জান্নাত এর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। নিজেকে মুগ্ধের বুকে দেখে লজ্জা পেল।

গাড়ি চলছে। সবাই দোয়া পড়ছে যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছাতে হবে।আর মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে আছে সবাই। এমন সময়, গাড়ির আয়নার মধ্যে কার যেন বিবৎস চেহারা দেখে। সবাই ভয়ে চুপসে গেছে।

তখনই, মুগ্ধ বলেঃ আয়নার মধ্যে না তাকিয়ে সামনে গাড়ি চালিয়ে যাও।

আর একটু পর সবাই অবশেষে অর্কের বাসায় পৌঁছে যায়। একটু গাড়ি তে রেস্ট নিয়ে।রাবেয়া কে সহ নিয়ে অর্কের বাসায় প্রবেশ করে।

কিন্তু অর্কের বাসায় প্রবেশ করতেই, রাজা,লোভা এবং শাম্মি কে দেখে অবাক হয়ে যাই সবাই।

সবার মনে একটাই প্রশ্ন, ওরা কেন এসেছে? আসছে,তবে আমরা যেদিন আসলাম সেদিন কেন আসলো????

তবে সবাই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করলেও হাবিবর তাকিয়ে আছে শাম্মির দিকে।শাড়ি টাতে বেশ লাগছে।একদম পরী র মতো। বাস্তব,পরী লাগতো,যদি পেছনে দুটো ডানা থাকতো।তখনই,

প্রিন্স বোতল এর ভিতর থেকে মহিলার গতিবিধি লক্ষ্য করছে।কোন ভাবে যদি বের হতে পারে তাহলেই হলো।বের হয়ে, সবার প্রথমে রিনির কাছে যাবে।রিনি যে কেমন আছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে প্রিন্স এর।মেয়ে টার পাগলামি গুলো বড্ড মিস করছে প্রিন্স।

তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রিন্স জানে না এখন কার বাসায় আছে?তাছাড়া, রিনিও যে এই ঘরে আছে তাও জানে না।অবশ্য, বোতলের ভিতরে, প্রিন্স এর শক্তি কাজ করে না।আধু মিল হবে তো রিনি ও প্রিন্স এর?

এমন সময়, রিনি কেউ একজন এর পায়ের শব্দ শুনতে পেল। রিনি চোখ বন্ধ করে দেয়। দরজা খুলে রহমান প্রবেশ করলো।

আবার রিনি কাছে চলে আসে। কপালে একটা চুমু দিতে গিয়ে ও দিল না।রহমান আবার বলেঃ
jindegi mey sabkuc
Malum nehi hota,kuc
Baat or paal hudko bana
Lena cahie.
কিন্তু বিবেক বাঁধা দিল রিনি।তোমাকে স্পর্শ করতে পারিনি।তোমাকে যখন দেখি দেখে দেখে থাকতে মন চাই। যদি সাধ্য থাকতো তাহলে তোমাকে ২৪ ঘন্টা আমার সামনে রাখতাম।আমার সামনে তোমাকে রেখে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকতাম। আসলে,
tomko jab dektahu na,
Tab mere dilmey kuc
Hota hey.
Apko jab dektahu na tab
Marke pir ekbar jineki
Dil karta hey…

রহমান একটা জোরে নিশ্বাস নেই। তারপর, আলতো স্বরে বলে ঃ রিনি ও রিনি।

রিনির কোন সাড়া শব্দ শুনতে পেল না। আবারও ডাক দেই। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। রহমান জিন কিছু পানি নেই। পানি গুলো রিনির উপর ফেলে দেয়। সাথে সাথে রিনি হুর মোর করে উঠে পড়ে। রিনি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে রহমান এর দিকে।

রহমান বলেঃ কেমন আছো? ফ্রেশ হয়ে আস।তারপর কিছু খাবে।

রিনি এক চুল পরিমাণ ও নড়ে নি।রিনি বলেঃ আমি বাসায় যাবো!আমাকে যেতে দিন প্লিজ। আপনার তো কোন ক্ষতি করিনি তাহলে আমাকে এখানে রাখছেন কেন???

রহমান অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে। চটরপটর৷ করে কথা বলা অপসারীর দিকে। কথা বলার সময় রিনির চোখ জোড়া ছোট বড় হচ্ছিল বেশ লাগছিল।
মনে মনে বলছে, মানুষ যতই শক্তি শালী হোক না কেন, প্রিয় মানুষ টির কাছে সবসময় দুর্বল।

রহমান ও দুর্বল হয়ে গেছে রিনির প্রতি। আজকাল স্বপ্ন তে ও আসে রিনি নামক মেয়ে টা।

রহমান বলেঃ সরি এটা সম্ভব হচ্ছে না। যা বলছি তাই কর।

রিনি তো রহমানের কথা তে কর্ন পাত ও করেনি এখনো বসে আছে একেই ভাবে।

রহমান বলেঃ শেষ বার বলছি। অন্যতাই সারাদিন কিছু দিবো না।না খেয়ে থাকতে হবে।

রিনি এবার ও নিস্তব্ধ হয়ে আছে।

রহমান রুম থেকে বেরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সারাদিন রিনি কে কিছু দেয় নি।খিদের জ্বালায় রিনির নাজে হাল অবস্হা।

রাতের দিকে রহমান আবার আসে রুমে।রিনির ম্লান মুখ সাথে এলোমেলো চুলে বেশ লাগছে।রাহমানের একটা কবিতা বলতে ইচ্ছে করছে, তাই মৃদু স্বরে বলে,
” ভালবেসে এই মন, তোকে চাই সারাক্ষণ
আছিস তুই মনের মাঝে, পাশে থাকিস সাঝে।
কি করে তুকে ভুলবে এই মন,
তুইই যে আমার জীবন।
তোকে অনেক ভালোবাসি।।

রহমান রিনির পাশে বসে।
রহমান বলেঃ খিদা পাইছে না অনেক? এই নাও বড় মাছ দিয়ে ভাত এনেছি খেয়ে নাও।

রিনি মনে মনে বলছেঃহুম ছুতো মেরে গরু দান করতে এসেছে। সারাদিন না খাইয়ে রেখে এখন এসেছে।

রহমান বলেঃ কই চুপ কেন? নাকি এখন ও খাবে না।অনেকটা রেগে।

রিনি বলেঃ খাবো না খিদে নেই।

রহমান রিনির কোন কথাই শুনেনি।জোর করে চামচ দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে। অবশ্য, রিনি প্রথমে না খেতে চাইলে ও এখন চুপচাপ খাচ্ছে। খিদে যে পেয়েছিল।

তাছাড়া না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে রিনি।তা একদম চাইনা রহমান।

রিনিকে খাওয়া শেষ করে। রহমার পানি টা এগিয়ে দেয়। তারপর রহমান বলেঃরিনি,আমি তোমাকে……

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here