রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :43,44

0
1403

রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :43,44
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :43

রিনি বলেঃ আ,,,,,, আপনি?
আমার স্যার ওকে।আর কিছু না!!!!

ইনতিয়াজ বলেঃ তাই বুঝি!!!
এমন বলে,রিনির কোমরে আমার জড়িয়ে ধরে।

ইনতিয়াজ বলেঃ আমার প্রিয়তমা মনে হচ্ছে, কোন কারণে রেগে আছে। কি করছি বলো?
ভুল করে থাকলে মাফ করে দাও।

রিনি অভিমানী স্বরে বলেঃ এতো দিন একটু ও আমার খবর নেন নি।আমার সাথে দেখা করেন নি।
আজ মেয়ে গুলো আপনাকে কি ভাবে হা করে দেখছিলো।তারা তো পারছিলো না আপনাকে খেয়ে ফেলতে। তাছাড়া,
কি দরকার ছিলো এতো ড্রেস আপ করার?

ইনতিয়াজ বলেঃ আহা তাহলে এ ব্যাপার।আচ্ছা শোনো।আমি এ কদিন প্রতিদিনই তোমার রুমে প্রবেশ করেছি।আমার ঘুম কুমারী কে দেখে চলে আসতাম। একদম বাচ্চার মতো করে ঘুমাও এখনো।
তাছাড়া, একটা অনুষ্ঠানে আসলাম।একটু ভালো ভাবে কাপড় চোপড়া পড়াবো না নাকি?
আরেক টা কথা বলো তো,তুমি কেনো চুল গুলো খোলা রেখে আসছো?
আর শাড়ি কেনো পড়লে?

রিনি বলেঃ শাড়ি পরার পর আয়নার মধ্যে দেখলাম খোপা করার চেয়ে, খোলা চুলে বেশী ভালো লাগছিলো।

ইনতিয়াজ বলেঃ আর তোমার খোলা চুল আমাকে মাতাল করে দিচ্ছে। শাড়ি + খোলা চুল, আমার রিনির এরূপ আমাকে ঘায়েল করে দেয়।

রিনি বলেঃ দেখি আমার কোমরটা ছাড়েন। আর কতক্ষণ এভাবে দাড়িয়ে থাকবেন?

ইনতিয়াজ বলেঃ তাহলে একটা কিসমিস দাও?

রিনি বলেঃ একদম না।

ইনতিয়াজ বলেঃ তাহলে ছাড়ছি না।তোমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে থাকবো।

রিনি বলেঃ বাত্তামিজ কাহিকা।

এই বলে,রিনি প্রিন্স ইনতিয়াজ এর ঠোঁটের কাছাকাছি ঠোঁট জোড়া নিয়ে গেল। তারপর, চোখের পলকেই ঠোঁটের কাছ থেকে সরে গিয়ে ইনতিয়াজ এর গালে কিস করে। ইনতিয়াজ তো পুরাই বেকুব হয়ে গেল।

ইনতিয়াজ বলেঃ এটা কি হলো?
আমি তো মনে করছি।সিট।

রিনি বলেঃ ইস শখ কতো।
এবার ছাড়েন। চলেন অনুষ্ঠানে ফিরে যায়।

ইনতিয়াজ বলেঃ এখন তো জিতে গেলে।নেক্সট টাইম পারবা না।আচ্ছা চলো যায়।

রিনি তার মায়ের পাশে বসে আছে। ইনতিয়াজ, বরাবর রহমান কে এড়িয়ে যাচ্ছে।
রহমান হঠাৎ করে, ইনতিয়াজ এর হাত ধরে বলেঃ কি কথা বলবি না?
দেখ আমি সুমির সংসার করছি।আর অনেক সুখে আছি।তাছাড়া, রিনির সাথে যা করছি,সে সব এখন মনে পড়লে মনে হয় সব আমার পাগলামি। রিনি কে আমি এখন শুধু বন্ধুর বউ এর চোখে দেখি।ভুল তো হয়েছে মাফ কর?
আর কতো দূরে রাখবি।
আর জাদু যা শিখেছি।সব আমি কখনো প্রয়োগ করিনি।কারণ যার কাছ থেকে শিখেছি সেই কথা বলে না।তাই কখনো ব্যবহার করিনি এসব।

ইনতিয়াজ বলেঃ নিজের ভুল বুঝতে পারছিস এটা অনেক। আর জাদু প্রয়োগ করিস।সমস্যা নাই।
আর এদিকে আয় বুকে আয়।

ইনতিয়াজ ও রহমান জিন দুজন দুজনকে কোলাকুলি করেছে।আসলে বন্ধুত্ব অনেক মধুর সম্পর্ক।মানুষ মাত্র তো ভুল সে ভুলের শাস্তি সারা জীবন দেয়া টিক না।ইনতিয়াজ ও তাই তাদের মধুর সম্পর্ক টা আগের মতো করার জন্য অতীত কে ভুলিয়ে আবার আপন করে নিয়েছে রহমান কে।

ইনতিয়াজ বলেঃ তো বন্ধু, এবার আমার বিয়ের জন্য কিছু কর।

রহমান জিন বলেঃ আগে জান্নাত এর টা শেষ করি।চল তোর বাবা রাজা মশাই রশিদ কি জানি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন বলেছে।সবাই কে একত্রিত হতে বলেছে।

হাবিব,হাবিবের মা,রাজা,রানী লোভা,রাবেয়া, কামাল,রিনি,শাম্মি, রহমান,সুমি,ইনতিয়াজ, অর্ক,লাবু,রেশমি, রাহাত সবাই উপস্থিত আছে। জান্নাত এর মা বাবা ও আছে। অন্য দিকে, জান্নাত এর অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে। মেহমান চলে গেল সবাই। জান্নাত এবং মুগ্ধ ও তাই সবার সাথে উপস্থিত হয়েছে।

হাবিবের মা বলেঃ রশিদ সাহেব, আমি আপনার মেয়ে টা কে আমার ছেলে হাবিবের জন্য চাইছি।আপনি কি দিবেন?

রাজা মশাই রশিদ বলেঃ এটা তো আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আমি ইনশাআল্লাহ দিবো।আপনার হিরার মতো ছেলে কে আমার মেয়ে কে হস্তক্ষেপ করতে পেরে আমি চিন্তা মুক্ত হবো।

রানি লোভা বলেঃ আমার কোন আপত্তি নেই।

ইনতিয়াজ বলেঃ আমার ও কোন আপত্তি নেই।

জান্নাত বলেঃ যা শালা হাবিব তোর টিকিট ও কেটে গেছে।ওয়েলকাম তো মেরেজ লাইফ।

জান্নাত এর মা বলেঃ মাশাল্লাহ ভালো প্রস্তাব তবে।আমি চাইচি আগে জান্নাত এর বিয়ে টা হয়ে যাক তারপর না হয় শাম্মি ও হাবিবের বিয়ে হবে।সবাই কি বলেন?

সবাই বলেঃ হা টিক আছে। তাহলে কাল জান্নাত এর গায়ে হলুদ করি।পরদিন বিয়ে।

মুগ্ধে মা বাবা বলেঃ আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরা তো আরও খুশী ঘরের মেয়ে কে তাড়াতাড়ি ঘরে তুলতে পারবো।

সবাই যার যার মতো রেস্ট নিতে চলে গেল। জান্নাত ফ্রেশ হয়ে বসে আছে নিজের রুমে। চিন্তা করছে,কি অদ্ভুত যাকে মনে মনে চাইতো আজ তারই হয়ে গেছে।

জান্নাত বলেঃ মুগ্ধের দোয়া কবুল হয়েছে।আমি তো কল্পনা ও করিনি এমন কিছু হবে।

হঠাৎ করে, জান্নাত এর বেলকনিতে টুকা দেয় কেউ একজন। জান্নাত কিছু টা ভয় পেয়ে যায়। কে হতে পারে এতো রাতে? জান্নাত আস্তে আস্তে এগিয়ে গেছে। আর দেখতে পেল মুগ্ধ। মুগ্ধ তার ডানা গুলো মেলে ধরেছে।

মুগ্ধ বলেঃ মিস জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া চৌধুরী কি আমার সাথে একটা জায়গা তে যাবে?

জান্নাত কিছু বলে নি।জাস্ট সোজা গিয়ে মুগ্ধ কে জড়িয়ে ধরে। মুগ্ধ মুচকি হাসি দেয়।

মুগ্ধ, জান্নাত কে নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে অজানা জায়গার উদ্দেশ্যে।অবশেষে তারা একটা নির্জন সাগরের পাড়ে এসে পড়েছে।

জান্নাত দেখে,সাগরের তীরে অনেক গুলো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে।তার মধ্যে বড় বড় করে লেখা,will you marry me?

মুগ্ধ জান্নাত এর সামনে আসে।হাটু ঘেরে বসে। দু’হাতে তালি দিতেই। আকাশের মধ্যে বড় বড় করে লেখা উঠেছে, i love you jannatul Mawa mohoya.will you marry me?

জান্নাত একদম অবাক হয়ে যাই। মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত, তুমি শুধু আমার। বলেছিনা আমার হবে দিন শেষে।নিয়তি ও সঙ্গ দিয়েছে।জানো,
হঠাৎ করে, কাল ভোর বেলাতে সুমি কল দেয়। আর বলে তোমার সাথে যার engagement হওয়ার কথা ছিলো।তাদের পরিবার তোমাকে বউ করতে চাইছে না।তো সুমি আমাকে বলে,
আমি কি তোমার সাথে বিয়ের বাঁধনে বাধতে রাজি কি না?

তুমি তো জানো আমি তুমি বলতে পাগল। আর সুমি বলা কথা তো আমার স্বপ্ন পূরনের মতো।সাথে সাথে মা বাবা কে জানালাম।তারা তোমাকে আগে থেকে চিনে।এবং পছন্দ ও করে তারা ও রাজি। যার ফলে পরিণতি তুমি আবার হবু বউ।
তো এবার বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো নাকি?
পরশু সারাজীবনের সঙ্গী হতে রাজি তো?

জান্নাত বলেঃ আমি ও আপনাকে অনেক ভালোবাসি। মা বাবার দিকে তাকিয়ে সব কিছু এড়িয়ে গেছিলাম।
পরশু আমি আপনার সারাজীবনের সঙ্গী হতে রাজি।রাজী আমি মুগ্ধ। রাজি
জান্নাত চিৎকার করে বলে, i love youuu mogdhu.

জান্নাত এর বলা কথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বারবার।মুগ্ধ জান্নাত কে জড়িয়ে ধরে। জান্নাত মুগ্ধের চোয়ালের মধ্যে চুমু দেয়। মুগ্ধ অবাক হয়ে যাই। জান্নাত মুগ্ধ কে ধাক্কা দিয়ে সাগরের পানিতে চলে গেল।

মুগ্ধ ও পিছু নিলো জান্নাত এর।জান্নাত পানিতে নেমে যাই। মুগ্ধ ও নেমে যাই।
দুজন ই ভিজে টুইটুম্বুর হয়ে গেছে। মুগ্ধ জান্নাত এর গায়ে পানি দিচ্ছে, জান্নাত ও তাই করছে।

হঠাৎ করে, মুগ্ধ জান্নাত এর কোমর স্পর্শ করে। আর একটা টান দেয় জান্নাত একদম এক টানে মুগ্ধের বুকে এসে পড়েছে।

মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত তোমার মাঝে যে নেশা আছে। সে নেশা তে আসক্ত হয়ে যেতে চাই।

এটা বলে, মুগ্ধ, জান্নাত এর মুখ ধরে আর জান্নাত এর ঠোঁটের সাথে ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে দেয়। জান্নাত বারবার শিহরিত হচ্ছে।

মুগ্ধ বলেঃ আচ্ছা এতো মিষ্টি কেন?

জান্নাত বলেঃ যাহ।এই বলে,আবার পানি মারছে।
জান্নাত লজ্জা তে লাল হয়ে গেছে।
দুজন সুখী হবু দাম্পত্যর সুখের মহূর্তের সাক্ষী হয়েছে,এই বিশাল আকাশ সাথে আছে রোমাঞ্চকর সাগর। এই মুহূর্ত যে কেউ জান্নাত ও মুগ্ধ কে দেখলে মনে করবে,পৃথিবীতে তাদের চেয়ে সুখী আর কেউ নেই।

রিনির তো ঘুম ই আসছে না।কাল তার প্রিয় কালামনির গায়ে হলুদ। তারপর, প্রিয় আঙ্কেল টার বিয়ে।রিনি অনেক খুশি। রিনির এখন খুশী তে ইচ্ছে করছে চকলেট খেতে। রিনি জান্নাত দের
সারা ঘর খুঁজে দেখছে কোন চকলেট পাইনি।রিনি রা সবাই থেকে গেছে।কারণ কাল গায়ে হলুদ তারপর বিয়ে তাই।

রিনি মন খারাপ করে, ছাদের উপর গিয়ে বসেছিল। সবাই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেছে।তাই একদম নিস্তেজ হয়ে গেছে সারা বাড়ি। রিনি বলেঃ হুহ এখন কি হবে?
আমি চকলেট কই পাবো?
ধুর ভাল্লাগে না কিছু।

তখনই, কেউ একজন রিনির চুল গুলো সরিয়ে রিনির ঘাড়ে ঠোঁটের স্পর্শ দেয়। রিনি কিছু টা কেঁপে ওঠে। হঠাৎ কারো অপ্রত্যাশিত স্পর্শ পেয়ে।

রিনি বলেঃ প্রিন্স আপনি?

ইনতিয়াজ বলেঃ তো কে হবে?
আমার কলিজাটা?

রিনি বলেঃ কেমনে জানলেন?
আমি যে এখানে?

ইনতিয়াজ বলেঃ জাস্ট অনুভব করলাম।
নাও চকলেট। সাথে আইসক্রিম ও আছে। ফুচকা পাইনি।

রিনি বলেঃ কেমনে বুঝতে পারলেন?

ইনতিয়াজ বলেঃ ভালোবাসি তাই।

রিনি রাজ্যের গল্প করছে।আর ইনতিয়াজ মন দিয়ে সব কিছু শুনছে। আসলে প্রিয় মানুষ টার কাছে এমন কিছু কথা জমে থাকে যা শুধু ভালোবাসার মানুষ টা কে বলতে তারা পছন্দ করে। তবে,অনেকে আছে, এসব শুনে না।কিন্তু, ইনতিয়াজ সব শুনছে। কারণ, তারা প্রেমিক প্রেমিকা পরে, তাদের মধ্যে এমন একটা বন্ধন থাকতে হবে যেটা বন্ধুত্বের মতো। ছোট থেকে ছোট বিষয় ও একে অপরের সাথে শেয়ার করবে।

রিনি খাচ্ছে আর বকবক করছে।রিনি খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়লো, ইনতিয়াজ এর বুকে। ইনতিয়াজ রিনি চোখের সামনে কিছু চুল এসেছে সেগুলো পিছনে সরিয়ে দেয়। তারপর,

ইনতিয়াজ ঘুমন্ত রিনির দিকে তাকিয়ে বলেঃ

“আমার হৃদয়ে তোমার কোমল ছোঁয়া,
পালিয়ে যায় সব শূন্যতা।
সময়ের আবর্তে যেনো ভালোবাসা এমনই থাকে,
সারাটি সময় তুমি রবে,
রবে মোর হৃদয়ের গহীনে।”
(কবিতা লেখকঃজান্নাতুল মাওয়া মহুয়া)

ভালোবাসি রিনি।তুমি ঠিকই বলেছো,প্রত্যেকটা সম্পর্ক নির্ভর করে, অনেক ছোট বড় মান অভিমান ও স্মৃতির উপর। ভালোবাসা তখনই, গভীর হয় যখন একজন অন্য জনকে বুঝতে পারে ।

এরপর ইনতিয়াজ চুপচাপ বসে ছিলো।তার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে রিনি।আর ঘুমন্ত রিনি কে দেখছে ইনতিয়াজ।

বেশ কিছু সময় পর………

চলবে….

রাত_যখন_গভীর
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Season:02
Part :44
************
ইনতিয়াজ চুপচাপ বসে ছিলো।তার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে রিনি।আর ঘুমন্ত রিনি কে দেখছে ইনতিয়াজ।

বেশ কিছু সময় পর,ইনতিয়াজ আস্তে করে রিনি কে কোলে তুলে নেই। গুটি গুটি পায়ে হেটে যাচ্ছে রিনির ঘরে। ইনতিয়াজ আস্তে করে রিনি কে শোয়ে দেয়। রিনি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
ইনতিয়াজ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা রিনির গালটা স্পর্শ করে।

ইনতিয়াজ বলেঃ তুমি এতো মলিন কেনো?
তোমাকে সামলাতে হবে মোমেরপুতুল এর মতো করে।

অতঃপর, ইনতিয়াজ, রিনির গালে তার ভালোবাসার পরশ হিসেবে একটা চুমু একে দেয়। ইনতিয়াজ চলে গেল নিজের জন্য নির্ধারিত করা ঘরে।

সকাল থেকে হই হুল্লোড় হচ্ছে। গান, বাজনা হচ্ছে। সুমি ও রহমান একদম ব্যস্ত হয়ে গেছে। জান্নাত এর গায়ে হলুদ এর আয়োজন করতে।
জান্নাত ও অনেক খুশি। কিন্তু কাল রাতে দেরি করে ফিরে এসেছে তাই ঘুম কম হয়েছে। জান্নাত বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। সুমি রুমে প্রবেশ করে।

সুমি বলেঃ জান্নাত, কি করস?
এই নে চা আনলাম। কাল কি ঘুম হয়নি নাকি ভালো করে?

জান্নাত বলেঃ হুম রে।
কাল একটু বের হয়ছিলাম।

জান্নাত সব কিছু খুলে বলে।
সুমি বলেঃ বাহ তোর বর তো বেশ রোমান্টিক। তোই লাকি।
মুগ্ধ তোকে বেপানাহ চাই।

জান্নাত বলেঃ তোর জন্য সম্ভব হয়েছে। না হলে আমার সাথে এমন হতো না।
সুমি আই এম সো লাকি।তোর মতো বেস্ট ফ্রেন্ড পেয়ে।

সুমি বলেঃ পাগলি।
নে চা নে।এরপর তোর রেডি হতে হবে তো।

জান্নাত চা খেয়ে, কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিয়েছে। দুপুরে সাজতে চলে গেল। সুমি ও সাথে গিয়েছে। মুগ্ধ ও তার পরিবার এসেছে। জান্নাত ও পার্লার থেকে চলে এসেছে। জান্নাত হলুদ রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে। খুব সিম্পল একটা সাজ দিয়েছে। চুল গুলো খোলা রেখেছে।

রিনি এবং সুমি শাড়ি পড়েছে। শাম্মি ও শাড়ি পড়ে এসেছে। প্রিন্স রা সবাই চলে এসেছে। প্রিন্স তো হা হয়ে গেছে রিনি কে দেখে।
হাবিব আড় চোখে শাম্মি কে দেখছে। মুগ্ধ অনেক খুশি।

জান্নাত ও মুগ্ধ এক সাথে বসে আছে। পুরো বাড়িতে ঝিনুক লাইট দিয়ে সাজিয়েছে।পুরো স্টেজের মধ্যে হলুদ গাদা ফুল দিয়ে সাজিয়েছে।চারদিক থেকে ফুলের সুগন্ধী ভেসে আসছে।

গায়ে হলুদ দেযার পর্ব শুরু হয়ে গেছে।
জান্নাত এর মা এসে, জান্নাত ও মুগ্ধ কে হলুদ লাগিয়ে দেয়। অর্ক ও লাবু ও আসে। হলুদ লাগিয়ে দিতে। অর্ক এক মোট হলুদ নিয়ে মুগ্ধের গালে লাগিয়ে দেয়। জান্নাত তো হাসতে হাসতে হাসতে শেষ।

রাহাত ও রেশমী আসে। অল্প একটু হলুদ লাগিয়ে দেয়।
রাহাত বলেঃ সুখী হোক আপনার জীবন। ভালো কাটুক আপনাদের জীবন।সব সময় যেনো আপনাদের মাঝে ভালোবাসা থাকে।

রেশমি বলেঃ সুখী হও।

রাবেয়া ও কামাল বলেঃ সবাই তো হলুদ লাগিয়ে একদম অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আমরা জাস্ট একটু একটু লাগিয়ে দিবো।

হাবিব বলেঃ সুখে থাক তোই।তবে মুগ্ধ ভাই সুখে থাকবে না।তোই কাজ কাম জানস না।তা আমি জানি।ভালো থাক।
এমন সময়, শাম্মি হাবিবের পায়ে পারা দেয়। তখনই,
হাবিব আবার বলেঃ আরে মুগ্ধ ভাই আমি মজা করছিলাম।আপনারা অনেক সুখে থাকবেন।

শাম্মি বলেঃ আপু দোয়া রইলো।
এই বলে,হালকা করে হলুদ লাগিয়ে দেয়।

সবাই মজা করছে, ঠিক সে সময়। সব লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই পেনিক হয়ে যাই।সবাই চিন্তা করছে। কি হয়েছে?
এমন তো হওয়ার কথা না।
সবাই চিৎকার, চেচামেচি করতে যাচ্ছি লো। কিন্তু,
হঠাৎ করে, অল্প একটু লাইট অন হয়। সবাই দেখে, রিনি দাঁড়িয়ে আছে। তবে,রিনির
ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছে ইনতিয়াজ।
সাথে সাথে,

বেঁচে থেকে লাভ কি বল?
এই গানটা শুরু হয়।রিনি ও ইনতিয়াজ নাচতে শুরু করে। দুজনে খুব সুন্দর করে নাচ করেছে ।
সবাই বিস্ময় হয়ে গেছে নাচ দেখে।

নাচ শেষ করে,
রিনি বলেঃ জান্নাত খালামনি আপনার জন্য ও মুগ্ধ আংকেল এর জন্য এটা সারপ্রাইজ ছিলো।
আমাদের দুজনের পক্ষ থেকে ।

জান্নাত ও মুগ্ধ বলেঃ অসম্ভব সুন্দর ছিলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ।সত্যি এমন সারপ্রাইজ পাবো আমরা আশা করিনি।

সবাই স্টেজের মধ্যে উঠছে কেক ও মিষ্টি খাবার গুলো খাইয়ে দিচ্ছে। অন্য দিকে, হাবিব ও শাম্মি এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। হাবিব আস্তে করে, শাম্মির কোমরের মধ্যে হাতটা স্পর্শ করে। শাম্মি কিছু টা শিহরিত হয়ে যাই।

শাম্মি বলেঃ কি হচ্ছে?
হাত সরাও?
এমন করছেন কেন?

হাবিব বলেঃ কি করছি?

শাম্মি বলেঃ শাড়ি পড়ে যে ভুল করে ফেললাম। একদম এখন রাগ উঠবে।

হাবিব বলেঃ ওরে আমার হৃদয়ীস্বরি।এমন করে না।একটু দুষ্টমি কি করা যাবে না?

শাম্মি বলেঃ কিন্তু আমরা এখন যে কোন পাবলিক প্লেসে আছি সেটা তো লক্ষ্য করতে হবে। তা না তিনি আসছে দুষ্টমি করতে।

হাবিব বলেঃ তাহলে একটা কিস দাও।
আর একদম কিছু করবো না।

শাম্মি বলেঃ কিহহহহহহ!!!

হাবিব বলেঃ kiss যার অর্থ চুমু।ভালোবাসার পরশ।

শাম্মি বলেঃ এহে এক্কা।

হাবিব বলেঃ তাহলে ডিস্টার্ব করবো।

শাম্মি, সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে। আস্তে করে, হাবিবের গালে একটা চুমু দেয়। হাবিব মহা খুশি হয়ে গেছে।

সবাই অনুরোধ করে, জান্নাত ও মুগ্ধ কে নাচ করতে। মুগ্ধ তার হাতটা এগিয়ে দেয়।জান্নাত এর দিকে।

মুগ্ধ বলেঃ চলো,হাতটা এগিয়ে দাও।

জান্নাত বলেঃ চলেন।

মেহদি লাগাকে রাখনা,
ডুলি সাজাকে রাখনা।
গান শুরু হয়ে গেছে। তখনই,
মুগ্ধ তার হাত জান্নাত এর কোমরে রাখে।জান্নাত এর শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। মুগ্ধের স্পর্শের ফলে।
মুগ্ধ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জান্নাত এর দিকে। জান্নাত যেনো হারিয়ে যাচ্ছে। মুগ্ধের চোখের গভীরে। জান্নাত যেনো কোন এক মায়া তে হারিয়ে যাচ্ছে।
কখন যে দুজন নাচ শেষ করেছে তারা ও জানে না।অবশেষে,
দুজন খুব সুন্দর করে নাচ শেষ করেছে ।
নাচ শেষ হতেই,
হাবিব বলেঃ মুগ্ধ ভাই,একটা অনুরোধ। আমরা সবাই চাইছি।আমাদের ডাক্তার সাহেব, আমাদের সবার উদ্দেশ্যে। একটা গান গাইবে।তাহলে,
একটা গান হয়ে যাক।

মুগ্ধ বলেঃ এখন আবার গান?

কামাল,ইনতিয়াজ সবাই বলে উঠে, প্লিজ। একটা গান।আমাদের ডিমান্ড কিন্তু। মানতেই হবে।

মুগ্ধ বলেঃ তাহলে তো গাইতে হবে।যেহেতু আমার বউ এর বন্ধুদের আবদার। আপনাদের অনুরোধ মঞ্জুর করা হলো।

মুগ্ধ গান শুরু করে।
Chal, chal ve tu bandeya uss galiye
Jahaan koi kisi ko na jaane

Chal, chal ve tu bandeya uss galiye
Jahaan koi kisi ko na jaane
Kya rehna wahaan par sun bandeya
Jahaan apne hi na pehchaane

এই টুকুন বলে জান্নাত এর দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ। তখনই জান্নাত বলেঃ
Reh gaye hain jo tujhme
Mere lamhe lauta de
Meri aankhon mein aake
Mujhe thoda rula de…

আবার, মুগ্ধ বলেঃ
Chal, chal ve tu bandeya uss galiye
Jahaan koi kisi ko na jaane, hmm…

Khwab jo huey hain khandar
Khwab hi nahi thhe
Ik neend thi neem si… haaye
Kho diya hai tune jisko
Tera hi nahi tha
Ik haar thi jeet si…

Kitna rulayega ye toh bata
Rabba ve tujhe hai tere rab da waasta

আবার জান্নাত বলেঃ
Chal, chal ve tu bandeya uss galiye
Jahaan koi kisi ko na jaane
Kya rehna wahaan par sun bandeya
Jahaan apne hi na pehchaane…

Hmm….

সবাই হাত তালি দেয়।মুগ্ধ জান্নাত এর পাশে এসে বসে। জান্নাত বলেঃ অসাধারণ ছিলো।

মুগ্ধ বলেঃ তোমার টাও অপূর্ব ছিলো।

জান্নাত বলেঃ আপনার গানের সামনে আমার গান কিছুই না।

মুগ্ধ বলেঃ আমার জন্য আমার জান্নাত ই সেরা।

জান্নাতের মুখে একটা মুচকি হাসি।
রাত ৩ টার দিকে অনুষ্ঠান ও শেষ হয়ে যাই। মুগ্ধ রা ফিরে যাচ্ছে।
মুগ্ধের মা জান্নাত কে বলেঃআর একদিন। কালকে ই আমার মেয়ে কে ঘরে তোলে নিয়ে যাবো।আসি মা।
জান্নাত বলেঃ ইনশাআল্লাহ আন্টি।

মুগ্ধের মা বলেঃ আন্টি নাকি?
মা বলো মা।

জান্নাত বলেঃ আমি আম্মু কে আম্মু ডাকি।আপনাকে মা। বাহ।
মা কালকে দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।

মুগ্ধ ফিরে যাওয়ার সময়,
জান্নাত কে বলেঃ যাচ্ছি বউ।কালকে একদম সাথে করে নিয়ে যাবো।কালকে একদম আমরা এক বাঁধনে আবদ্ধ হয়ে যাবো।যে বাঁধন খুলে আমাকে ফেলে যাওয়া তোমার পক্ষে অসম্ভব। কাল সারপ্রাইজ আছে।

জান্নাত বলেঃ জি।আল্লাহ হাফেজ। সারপ্রাইজ এর অপেক্ষাই রইলাম। আর,ইনশাআল্লাহ
কালকে একদম বিয়ের আসরে দেখা হবে। শুভ রাত্রি।

সবাই চলে গেল। কিছু মেহমান আছে কিছু বাসায় ফিরে গেছে।
জান্নাত অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে। সুমি এসে জান্নাত কে চুলের খোপা খুলে দেয়। জান্নাত ফ্রেশ হয়ে বসে আছে।

তখনই, রিনি রুমে প্রবেশ করে।
রিনি বলেঃ জান্নাত খালামনি আপনার জন্য ভাত এনেছি।আমি খাইয়ে দেয়?

জান্নাত বলেঃ আসো দাও।আজকে তোমার হাত থেকে ভাত খাবো।তাছাড়া খিদা লাগলো অনেক।

রিনি ভাত খাইয়ে দিচ্ছে জান্নাত কে।
জান্নাত বলেঃ তা রিনি মামুনি,তোমার ও ইনতিয়াজ এর মধ্যে কি হচ্ছে?

রিনি বলেঃ কই কিছু তো না!

জান্নাত বলেঃ আমার চোখে সব ধরা পড়েছে।
সত্যি সত্যি সব বলো মামুনি।আমার থেকে লুকিয়ে রেখো না।

সুমি বলেঃ পিচ্চি মামুনিতা,আমাদের চোখ জোড়া ফাঁকি দেয়া একদম অসম্ভব। তাই লক্ষী মেয়ের মতো সব খুলে বলে দাও।

রিনি বলেঃ জান্নাত খালামনি,আসলে,
প্রিন্স ইনতিয়াজ হচ্ছে,
আমাদের ভার্সিটি এর স্যার।

সুমি বলেঃ হুম।তো?

রিনি বলেঃকখন কেমনে?
কি হলো জানি না।
যাকে আমি সহ্য করতে পারতাম না।কিন্তু আজ
সেই,
আমি ইনতিয়াজ মাহমুদ কে ভালোবেসে ফেলেছি।তাকে ছাড়া আর কিছু কল্পনা করতে পারি না।স্বপ্নে, আমার কল্পনা তে শুধু তার আনাগোনা। আমার সারা অস্তিত্ব জোড়ে মিশে আছে সে।

জান্নাত বলেঃ আলহামদুলিল্লাহ। এটা তো ভালো হয়েছে।সে কো তোমার জন্য পাগল।
অবশেষে, তোমার মনে ভালোবাসার উদয়ন হলো।
আচ্ছা মামুনি আমি তোমার সাথে প্রিন্সের সম্পর্ক টা স্থায়ী করতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। খুব শীঘ্রই তোমাদের ও অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে।

রিনি কিছু টা লজ্জা পেল। রিনি বলেঃ ইনশাআল্লাহ।

সাথে সাথে সুমি ও বলে উঠেঃ ইনশাআল্লাহ।
জান্নাত খাওয়া শেষ করে।রিনি নিজের রুমে চলে গেল। সবাই চলে যেতেই জান্নাত ঘুমিয়ে পড়লো। সুমি ও তার রুমে ফিরে গেল।

সুমি বলেঃ
কি করে মিস্টার?

রহমান বলেঃ সুমি আপনার তাহলে সময় হলো?
আমার কাছে আসার?কি আর করবো?
বউ কখন আসবে সেই প্রহর গুনছিলাম উদ্বিগ্নতার সাথে।

সুমি বলেঃ বাহ রে। আমি কি আসতাম না নাকি।

রহমান অভিমানী স্বরে বলেঃ আসতে না বললাম নাকি।
এই যে আসলে এতো সময় পর।
আমি তো কেউ না।তোমার জন্য জান্নাত ই সব।
জান্নাত বলতে তুমি পাগল। জান্নাত এর সেবা করছো শুধু। বর এর দিকে একটু নজর দাও।

সুমি বলেঃ আরে, জান্নাত আমার কি তাতো জানেন?
জান্নাত ওর জায়গায় আর আপনি আপনার জায়গায়। আপনি আমার জীবন সঙ্গী। আর জান্নাত আমার এমন একজন যাকে আমি বান্ধুবীর চেয়ে বেশি চিন্তা করি।

রহমান বলেঃ আমি জানি সোনা বউ। এমনি মজা করলাম।দেখি এদিকে আসো। বেশ লাগছে আজ দেখতে।
যে ঝামেলা ছিলো ভালো ভাবে তোমাকে দেখতে ও পারিনি।

সুমি,রহমানের সামনে এসে বসে পড়ে।

তখন,রহমান বলেঃ
আচ্ছা সুমি,
তুমি এতো সুন্দর কেনো?
তোমাকে কেনো এতো ভালোবাসি বলো তো?

সুমি বলেঃভালোবাসা তো আল্লাহ পাক সৃষ্টি করে দেয়। আর স্বামী এবং বউ এর মাঝে এমন ভালোবাসা থাকতে হয়।না হয় সংসার সুখের হয না।

রহমান বলেঃ হুম বউ।টা ঠিক বললে।
এই নাও।

সুমি বলেঃ এটা কি?বাক্স একটা কেনো!

রহমান বলেঃ খুলে দেখো।

সুমি, বাক্স টা খুলে দেখে। খুব সুন্দর একটা চাবি। সুমি কিছু টা কানফিউজ।
সুমি বলেঃ এটা কিসের?

রহমান বলেঃ জড়িয়ে ধরো আগে।

রহমান জড়িয়ে ধরতেই।তারা তাদের ঘরে চলে আসে। রহমান বলেঃ আমাদের শোয়ার ঘরের মধ্যে চলো।

দুজন শোয়ার ঘরের মধ্যে চলে গেল।

রহমান বলেঃ ওই যে একটা ছবি আছে। ওইটা সরাও।

সুমি সরালো।দেখলো একটা লক।

রহমান বলেঃ চাবি ঢুকিয়ে দাও।

সুমি তাই করলো।ধাম করে দেয়াল টা দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। সাথে সাথে রহমান সুমির চোখ জোড়া বন্ধ করে দেয়। এবং কোলে তুলে নেই।

রহমান বলেঃ সারপ্রাইজ।

সুমি চোখ জোড়া খুলে দেখে, একটা লাইব্রেরি। হাজার হাজার বই নিয়ে পরিপূর্ণ বই।সুমি তো খুশি তে লাফাচ্ছে। সুমি অনেক পছন্দ করে বই পড়তে। অনেক ইচ্ছে ছিলো এমন একটা লাইব্রেরি হবে। আজ রহমান সেই আশা পূর্ণ করেছে।

সুমি খুশী হয়ে হাজার খানেক চুমু দেয় রহমান কে।রহমান খুব আহ্লাদ করে চুমু গুলো নিচ্ছে।

সুমি এরপর বই দেখছে। সব লেখক, লেখিকার বই আছে। সুমি দেখে তার প্রিয় বান্ধুবির বই ও আছে। বইয়ের উপর বড় বড় করে লেখা,
জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া। সুমি অনেক খুশি।

রহমান বলেঃ চলো যায় এবার।

সুমি বলেঃ সকালে যাবো একদম।

রহমান সোফাতে বসে আছে। আর রহমানের হাটুর উপর মাথা দিয়ে শোয়ে আছে সুমি।গল্পের বই পড়ছে। সুমি তার প্রিয় বান্ধুবীর লেখা,রাত_যখন_গভীর।
লেখিকা,জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া বইটা পড়ছে।
সুমি গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লো। রহমান ও ঘুমিয়ে পড়লো।

ধীরে ধীরে পূর্ণতা পাচ্ছে ভালোবাসা গুলো। সবাই সবার প্রিয় জন কে পেয়ে যাচ্ছে। চারদিকে পূর্ণতার সুর বাজছে।

খুব ভোরে সুমির ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তাড়াতাড়ি রহমান জিন কে জাগিয়ে তোলে।তারা অতি স্বত্বর ফিরে আসে জান্নাত এর ঘরে।

আজ জান্নাত এর বিয়ে। খুব সকালে উঠে গোসল করে নেই জান্নাত। বাসার সবাই রেডি হয়ে গেছে। জান্নাত বসে আছে একটা ট্রিপিচ পড়ে। সামনে মুগ্ধ ও তার পরিবার। তবে তাদের মাঝে একটা পর্দা আছে।

হুজুর এসেছে।সামনে রাখা আছে মিষ্টি এবং খেজুর। সবাই অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। অতঃপর, হুজুর সাহেব বলেনঃ

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here