তারকারাজি দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ (২০ বর্ধিতাংশ)

0
779

তারকারাজি দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ (২০ বর্ধিতাংশ)
লেখনীতে- অহনা নুযহাত চৌধুরী

অতন্দ্র রাত্রির গহীনে বুকের মাঝ থেকে স্ত্রীর মস্তকের নড়ন অনুভূত হতেই আরাভের চোখ দুটোর নিদ্রালুতা কেটে গেল। সে প্রণয়ে ক্লান্ত, অবসন্ন নীলাশাকে ফের শুইয়ে দেয় নিজের বক্ষস্থলের মধ্যিখানে। এরপর নীলাশা বোধহয় একটু লাজুকমুখেই হাসল? আরাভও কি নিজ নারীটির লাজ বৃদ্ধির জন্যই তার কর্ণে ঠোঁট ছুঁয়ে দিল? হতে পারে! তাইতো নীলাশা মসলিন কাপড়ের মতো আরও গুটিয়ে নিল নিজেকে। ঘামে সিক্ত আরাভের লোমশ বুকে কতকিছুরই-না আঁকিবুঁকি তার! সে সেখানটায় মুখ লুকিয়েই মসৃণ কণ্ঠে প্রশ্ন করে,

“ আপনার না ঘুম পেয়েছে? ঘুমোচ্ছেন না কেন? ”

যতটা মসৃণতা ছিল নীলাশার কণ্ঠে ঠিক ততোধিক মসৃণতায় স্ত্রীর গালে আঙুল বুলিয়ে, আরাভ নির্বিকারে উত্তর দিল,

“ কাল শুক্রবার। ”

এই কথা শুনে চোখে কৃত্রিম বিস্ময় এঁটেই মাথা উঁচিয়ে তাকাল নীলাশা। আরাভের বদ্ধ চোখেই নিজের সন্ধানী চোখ দুটো রেখে বলল,

“ কে বানালো এই নিয়ম যে, বৃহস্পতিবার রাতে দেরি করে ঘুমোতে হয়? ”

আরাভ স্মিতহাস্যে ঠোঁট বাঁকিয়ে, চোখ রাখল নীলাশার চোখে। বদ্ধ জানালার কাঁচে আঁচড়ে পড়া দালানের এক বহিঃস্থ বাতির সফেদ আলোয় স্ত্রীর সুচারু মুখশ্রীটি দেখতে বেগ পেতে হলো না তার। নিশান-রিশানরা যাই বলুক, ওপারের বঙ্গীয় টানে নীলাশার কণ্ঠটা বেশ লাগে আরাভের। কী সুন্দর করে কথা বলে মেয়েটি! আরাভ নীলাশার প্রশ্নের উত্তর দিল,

“ কেউ এই নিয়ম বানিয়েছে কি-না জানি না। বাট হ্যাঁ, চাকরিজীবীদের শুক্রবারে একটু বেশিই ঘুমাতে হয়, বুঝলেন ম্যাডাম? ”

নীলাশা স্বামীর ঝাঁকড়া চুলে হাত বুলিয়ে হালকা হাসল। ফের আরাভের বুকে মাথা রাখতেই কিছু একটা মনে পড়ে গেল তার। সে সহসা প্রশ্ন করল,

“ গায়কবাবু? কালকে না ভাইয়া আর ভাবীর এখানে আসার কথা ছিল? আর তো কিছু শুনলাম-ই না। ”

আরাভ কিয়ৎক্ষণ স্তব্ধ থেকে উত্তর দিল, “ ওরা কালকে আসবে না, নীলা। আর কীভাবে আসবে, বলো? ভাবীর তো এখন পাঁচ মাস চলে। সেই চট্টগ্রাম থেকে এখানে আসাটা কি মুখের কথা? ”

নীলাশার মুখের হাসিটা মলিন হলো। মনের ভেতর এক সূক্ষ্ম অভিমানেই চুপ করে গেল মেয়েটি। শ্বশুরবাড়িতে এসে সব থেকে বেশি ভাব হয়েছিল তার ভাবী ফাবিহার সাথে। মানুষটা যেন পিহুর-ই এক প্রতিচ্ছবি! তাই হাজার অন্তর্মুখী হয়েও ফাবিহার বন্ধুসুলভ সঙ্গতে আকৃষ্ট হয়েছিল নীলাশা। সম্পর্কটা যখন গাঢ়র থেকেও গাঢ় হতে লেগেছিল ঠিক তখনই আহসান চৌধুরী বললেন যে, ওনাদের চট্টগ্রামের নিজস্ব বাড়িটির কাজ পুরোপুরিভাবে সমাপ্ত হয়েছে। টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়েও সাজানো হয়েছে বেশ। অভ্রর যেহেতু পেশাগতভাবে চট্টগ্রামে স্থানান্তর হওয়ার সুযোগ আছে, সেহেতু অভ্র এবং ফাবিহা যেন সেখানেই চলে যায়। অতো বড় বাড়ি করার পর তা ফাঁকা রাখতে কি মনে ধরে? আর অন্যদিকে আরাভের সেখানে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ভার্সিটির জন্য নীলাশা বা আহসান চৌধুরীর কেউ-ই সেখানে গিয়ে থাকতে পারবে না। এক প্রকার বাধ্য হয়েই অভ্রদের পাঠানো হয় সেখানে আর তার পরের দিন রাতেই রটে যায়— ফাবিহা গর্ভবতী। সেই সুখানুভবে ফাবিহাকে স্মরণ করতেই নীলাশা অনুভব করতে লাগল— ফাবিহা ছাড়া এই বাসায় তার মন টিকছে না, ভয়ঙ্কর বিষণ্নতা আঁকড়ে ধরছে তাকে। আর না সম্ভব হচ্ছে তাদের দেখা করাটা এবং এই নিয়েই নীলাশার মন খারাপ যেন সিলিং ছুঁইছুঁই। নিশ্চুপ নীলাশাকে দেখে আরাভ তার মাথায় হাত বুলিয়ে নিল,

“ এতো মন খারাপ করলে চলে, বলো তো? ভাবী তো আসতেই চেয়েছিল কিন্তু এখন আসাটা কি ঠিক হবে? তাই ভাইয়া-ই নিয়ে আসবে না বলেছে। ও তো ডক্টর; কী করলে ভালো হবে তার একটু হলেও তো ও বোঝে, বলো? তোমারও যাওয়া হচ্ছে না কারণ— সামনে তোমার এক্সাম আর তার আগেই তো মিশমিদের বিয়ের ডেট পড়ে যাবে, তাই না? আর তোমার মনে আছে— আমরা আবার কক্সবাজারে ঘুরতে যাব বলছিলাম? নেক্সট ইয়ারের মার্চেই একটা প্ল্যান করব ভাবছি। তারপর সেখানে গিয়ে আমরা একটা লম্বা ছুটি কাটিয়ে আসব, ওকে? আর তখন গেলে বেবির সাথেও অনেক সময় কাটাতে পারবে যা এখন পারবে না। সো মুড অফ করে থেকে আমার মুডটাও অফ করে দিও না তো। ”

নীলাশা ভাবল— এটা তো ইংরেজি বছরের মে মাস চলে। তার মানে আরও এক বছরের মতো সময় বাদে দেখা মিলবে তার প্রাণপ্রিয় ভাবীর সাথে? আজকের এই মেঘাচ্ছন্ন জৈষ্ঠ্যের আকাশের মতোই ধূসর রঙে ছেয়ে গেল নীলাশার অন্তঃস্থল। তার অভিমানী মনটা আরেকটু নড়েচড়ে উঠল। তবে সেই অনুভূতিটা চাপা পড়ল বান্ধবীর বিয়েতে অংশ নেওয়ার অজস্র খুশির স্তুপে। এই খুশিরা বাঁধাহীন, চঞ্চল পাখির মতো উড়ে বেড়াতে লাগল নীলাশার হৃদয়গগনে। সময় যে আর বেশিদিন নেই!

যখন হলের পথে এগিয়ে চলছিল পিহু, তখন ভার্সিটির কোলাহলপূর্ণ এক চঞ্চল বিকেলে অবস্থান করেছে সময়। সারাটা দিন এখানে-ওখানে ঘুরে মাথার শিরা-উপশিরাগুলো দপদপিয়ে উঠছে যেন! আজ সানামটাও থাকবে না হলে। প্রাণপ্রিয় ভাই রাহাত এসেছে বলে হুটহাট-ই সানাম তার চাচার বাসায় গিয়ে থাকার পরিকল্পনা করে বসছে আজকাল। এদিকে তার রুমমেট পিহুর যে তাকে ছাড়া চলে না সেই হুঁশ কি তার থাকে? পিহুর দীর্ঘশ্বাস…! তাদের বান্ধবীর মন তো নয় যেন ক্রিকেট খেলার মাঠ! এখানে কখন কী হয় তা বোঝা যেমন মুশকিল, তেমন সানামের মনটাও।
পশ্চিমে হেলে পড়া বুড়ো সূর্যটির দিকে তাকিয়ে বিরক্তিতে খাক হয়ে যায় পিহুর ভেতরটা। আর হবেই-বা না কেন? শুধুই কি সানামের জন্য তার এমন অনুভূতি? সেই দুপুরের অগ্রভাগে আদ্রাফকে ফোন করার পর তাকে জানানো হয়েছিল যে, তার জরুরি দরকার আছে অফিসে। অথচ চার ঘন্টা ফুরিয়ে গেলেও মানুষটার সময় মিললো না তাকে কল করার৷ গোধূলির আগমনে ঝিমিয়ে এসেছে প্রকৃতি। তবুও মেয়েটি প্রিয়র ডাকে সাড়া দিতে অপেক্ষা করে রয়৷ অধীর আগ্রহে ফোনটা মুঠোয় রেখে চলতে থাকে, যাতে প্রিয়র ডাকে সাড়া দিতে তার এক মুহূর্তও দেরি না হয়… এক মুহূর্তও না!

বেশ অনেকক্ষণ পর কাঙ্ক্ষিত নাম্বার থেকে কলটা আসতেই পিহুর চোখ দুটো যেন তারার মতোই ঝলমলিয়ে উঠল। অভিমানে ঠাসা হৃদয়ের রমণীটি হাজার চেষ্টা করেও ঠোঁটের হাসি লুকোতে পারল না। অভিমানী সাজার অভিনয়টির দক্ষতা আয়ত্তে রাখতে পারল না সে। তাই সহসাই ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরা হলো বেশ। গোধূলির পূর্ব লগ্নের মিহি রক্তিম ছটায় আঁকাবাঁকা দাঁতে হাসতে থাকা মেয়েটা প্রথমেই ধমকের সুরে বলে উঠল,

“ অ্যাই? তোমার কতক্ষণ ধরে মিটিং চলে, হ্যাঁ? ”

ওপাশের মানুষটি বোধহয় হেসে ফেলল। তাকে উল্লাসী স্বরে বলতে শোনা গেল,

“ কেন? আজকাল দেখি একটু বেশিই মিস করছো আমাকে। ”

পিহু দায়সারাভাবেই প্রশ্ন করল, “ মিস করলেই বোধহয় দৌড়ে চলে আসবা তুমি? অ্যাই, তুমি এমন কামপাগল হইছো কেন? তুমি জানো— দুইদিন পর তুমি থার্টি-টু প্লাস বুড়া হয়ে যাবা? মাঝে-মাঝে কাম-কাজ ফেলে, হুট করেই তো একটু আমার সাথে দেখা করে যেতে পারো। বুড়া হয়ে গেলে পরে প্রেম করবা না-কি? ”

আদ্রাফ উচ্চস্বরেই হাসতে লাগল এবার৷ সেই হাসির ঝংকারে পিহুর প্রণয়ী মনটা কি একটু লজ্জা পেল? প্রচুর অস্থিরতায় এলোমেলো দৃষ্টিতে আশেপাশে তাকাল? পরক্ষণেই আদ্রাফের মনে পড়ল যে, তার প্রেয়সী এতটা লাজুক না। তাকে দেখতে ইচ্ছে করলে মাঝ রাতেই কল করে ঢাকায় চলে আসার কথা বলে ফেলবে মেয়েটা। অবশ্য তা-ই হলো! পিহুকে ফের বলতে শোনা গেল,

“ হাসবা না। আমাদের প্রেমও করা হচ্ছে না, বিয়েটাও হচ্ছে না। সব শুধু গলায় দড়ি ঝুলিয়ে দৌড় করাচ্ছে তো করাচ্ছেই। আচ্ছা? তোমার দাদিটা আর একটা মাস পর সুস্থ হইলে কী হইতো? মাঝখান থেকে আগেই চাঙ্গা হয়ে গিয়ে, আমাদের প্রায় হয়ে যাওয়া বিয়েটাও আঁটকে দিল। হুশ! ”

আদ্রাফকে হাসি মুখেই প্রতিবাদ করতে শোনা গেল,

“ ওই, তুমি আমার দাদিকে আরও এক মাস অসুস্থ দেখতে চাচ্ছিলা শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্য? আচ্ছা বিয়ে-পাগল মেয়ে তো তুমি! কেন, তোমার হিটলার বাপকে বলতে পারতাছো না বিয়ের কথা? সেই কবে থেকে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। এতদিনে আমি বাচ্চার বাপও হয়ে যেতে পারতাম! ”

পিহু রাগলো না তার কথায়। বরং হেসে উড়িয়ে দিয়ে খুবই মনোযোগের সাথে বলল,

“ ও হ্যাঁ, বিয়ের কথা থেকে মনে পড়ে গেল! আচ্ছা শোনো, এক মাস পর মিশমি আর সায়ান ভাইয়ার বিয়ে। তুমিও দাওয়াত পাচ্ছো কিন্তু! সো আগেই বলে রাখলাম— তিন দিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছুটি নিয়ে চলে আসবা এখানে। তোমার বসটা তো সহজে ছুটিও দেয় না, তাই আগের থেকেই অনশন শুরু করে দিবা। আঙ্কেল, মানে মিশমির বাবার এক ফ্রেন্ডের রিসোর্টেই আয়োজন করা হইতেছে তিনটা প্রোগ্রামের। আঙ্কেল নিজে তোমাকে ফোন করবে বলছে আর তাই তোমাকে এখানে আসতেই হবে। অ্যাই, বুঝতে পারছো তো যা বললাম? ”

আদ্রাফ বোধহয় ভীষণ অবাক হলো এই কথা শুনে। আশ্চর্যান্বিত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা গেল,

“ কী বলো! কয়েকদিন আগেই-না বললা যে, ও ক্রাচ ছাড়া হাঁটতে পারতেছে? আবার এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন? এই পিহু? তুমি কি বললা যে, বিয়েটা ওই মজনুর সাথে ঠিক হইছে? কিন্তু ক্যামনে কী, আমি তো কিছুই বুঝতে পারতাছি না৷ ”

প্রিয়র এলোমেলো বুলিতে বলা কথাগুলো শুনে পিহু না হেসে পারল না৷ সে উত্তর দিল,

“ হ্যাঁ, ওই মজনুর সাথেই লায়লার বিয়ে ঠিক হইছে। আর তাও কে করছে জানো? আমাদের মিশমির মা স্বয়ং ঘষেটি বেগম নিজে। আন্টি কী বুঝে বিয়ে ঠিক করল তার কিছুই বুঝতে পারতেছি না, জানো? ”

“ কিন্তু এতো জলদিই বিয়ে…? সামনে তো এক্সাম! আর মিশমি কি সায়ানের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে? তিহামকেই ভুলতে পারল কি-না কে জানে। ”

পিহু উদাস চোখ দুটো ডুবো সূর্যের দিকে স্থির করে বলল,

“ কেন পারবে না মানিয়ে নিতে? তিহামকে ও জান-প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করেছে ঠিকি, তবে ভালোবাসেনি। ভালোবাসলে কি সত্যিই বিয়েতে হাসিমুখে রাজি হইতে পারতো? তিহাম ওকে মুগ্ধ করছে নিজের ভালো আচরণে। ওর আচরণ মিশ্শিকে আকর্ষণ করছে আর ও আকর্ষিত হইছে। যখন তিহাম নিজের খারাপ আচরণ ওর সামনে তুলে ধরছে ঠিক তখনই ওর অনুভূতি পাল্টে গেছে। এটা কখনোই ভালোবাসা হতে পারে না। আর কী জানো? সায়ান ভাইয়ের মতো ওকে কেউ ভালোবাসতে পারবে বলেও মনে হয় না! ”

“ হুম, যেমন আমার মতো করে তোমাকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না! ”

এইবার বোধহয় সত্যি-সত্যিই মেয়েটা লজ্জা পেয়ে হেসে ফেলল। আদ্রাফও হাসল এক অন্যরকম তৃপ্তিতে৷ অথচ একে-অপরের এই ভালোবাসাময় মিঠে হাসিটা কেউই দেখতে পেল না তারা। দূরে থেকেও কাউকে এভাবে ভালোবাসা যায় না-কি?
যাইহোক, আদ্রাফ ফের বলল,

“ তবে যাই বলো আর তাই বলো— মজনু তার লায়লাকে পাচ্ছে এটাই অনেক! আমি কিন্তু আগেই বলছিলাম যে, ওর মা মনে-মনে কোনো ফন্দি আঁটতেছে। কিন্তু হুট করেই যে এমন ডিসিশন নিবে তা ভাবি নাই। তোমরা কি সত্যিই কিছু জানো না? ”

এই একটা প্রশ্নে আঁটকে থেকেই নিজেদের হলে পৌঁছে গেল পিহু। কথা নেই বার্তা নেই, ঝুমুর বেগমের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানা গেল না কোনোমতেই। আর যাইহোক, ঝুমুর বেগম যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ ছাড়া হুটহাট সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানুষ না। তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানে অবশ্যই এটা ওনার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে এবং এই বিশ্বাসেই ছয়টি তারকার দিন চলতে লাগল। অত্যন্ত দুরন্তপনায় ছুটে এলো মিশমির গায়ে হলুদের দিন, বিয়ের দিন। ভাবনা ছিল— রিসোর্টেই হবে সায়ান-মিশমির যৌথভাবে আয়োজন করা গায়ে হলুদ। কিন্তু না, মিশমির বাবা-মায়ের মতে তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হতে পারে বলে, কনেপক্ষ ও বরপক্ষের গায়ে হলুদ আলাদাভাবেই করা হলো। অবশেষে যখন বিয়ের দিন এলো পটভূমিতে তখন তারকারাজির খেল-এ বরপক্ষের মাথায় হাত! আরাভ, সাইফ, সাহেলদের মতো এমন শক্ত স্তম্ভও স্তম্ভিত হয়ে দেখলো কনে পক্ষের সাংঘাতিক ডাকাতিয়া কাজকর্ম। হায় সর্বনাশ!

#চলবে ইন শা আল্লাহ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here