#এক_ফালি_চাঁদ
#পর্ব_৫
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
___________________
খালেদ রহমান ভীষণ রাগী মানুষ। নিশ্চুপ এবং গম্ভীর স্বভাবের। সামনেই মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনু। তিনি তিরিক্ষি মেজাজে বলেন,’সবসময় এত দৌঁড়াদৌঁড়ি কীসের? শান্তভাবে হাঁটা যায় না?’
‘সরি আব্বু।’ মাথা নত করেই বলল অনু। তিনি গললেন না। চেঁচিয়ে আমেনা বেগমকে ডাকেন। হন্তদন্ত হয়ে আমেনা বেগম রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। খালেদ রহমান বলেন,’মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষা কিছু দাওনি না? মেয়েরা মায়ের থেকে শিখবে না তো কার থেকে শিখবে?’
‘কী হয়েছে?’ নিচুস্বরে জিজ্ঞেস করলেন আমেনা বেগম।
‘কী হয়েছে সেটা তোমার মেয়েকেই জিজ্ঞেস করো। এমন দূরন্তপনা স্বভাব বাদ দিতে বলো। নম্রতা, ভদ্রতা কিছু শেখাও।’
তিনি অনলের দিকে একবার বিভাবসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে গেলেন বাইরে। এতক্ষণ এক পাশে অনলও চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি চলে যাওয়ার পর আমেনা বেগম জিজ্ঞেস করেন,’কী করেছিলি তোরা দুটোয়?’
অনল নিরপরাধীর মতো বলল,’আমার কোনো দোষ নেই আন্টি। তোমার মেয়েই তো আমায় দৌঁড়ানি দিয়েছে।’
‘এসব সত্যি অনু?’ জিজ্ঞেস করলেন মা। অনু দাঁত কটমট করে বলে,’হ্যাঁ সত্যি। কেন দৌঁড়ানি দিয়েছি সেই কারণটাও তার থেকে শুনে নিও।’
এরপর গটগট করে সে চলে যায় নিজের রুমে। দুজনের ঝগড়াঝাঁটি সম্পর্কে তিনি বেশ ভালো করেই অবগত। তাই আর ঘাঁটালেন না এই বিষয়ে। অনু ভীষণ রেগে আছে বলে আর রাগালো না অনল। এই রাগ যে আবার কোনভাবে প্রয়োগ করবে কে জানে!
পাঁচবার ফোন দিয়েছিল তাসিন। ফোন সাইলেন্ট থাকায় শুনতে পায়নি অনু। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দৃষ্টিতে পড়ে। কলব্যাক করে সে। কিন্তু তাসিন কেটে দিয়ে ব্যাক করে। মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে অনলের করা থ্রেডের কথা অনুকে জানায়। অগ্নিশিখা দাউদাউ করে জ্বলছে অনুর দু’চোখে। তৎক্ষণাৎ ফোন রেখে অনু অনলকে খুঁজতে যায়। আজকে তো ওর খবর আছেই!
.
.
চায়ের দোকানে বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে চা পান করছিল অনল এবং ওর বন্ধুরা। দূর থেকে অনুকে আসতে দেখে রাজীব বলল,’দোস্ত অনু আসতেছে। দেখে তো মনে হচ্ছে রেগে ফায়ার হয়ে আছে।’
রাজীবের কথায় ঘাড় বাঁকা করে পেছনে তাকায় অনল। ততক্ষণে অনু অনেকটা কাছে চলে এসেছে। পায়ের গতি বাড়িয়ে অনলের সামনে এসে দাঁড়ায়। অনল এবার ঘুরে অনুর মুখোমুখি বসে চায়ের কাপে চুমুক দেয়। কোমরে হাত রেখে বড়ো বড়ো করে শ্বাস নিচ্ছে অনু। কাপের চা টুকু শেষ করে অনল অনুর উদ্দেশ্যে বলে,’সাপের মতো হিসহিস করছিস কেন অনু? তুই কি সাপের দেবী?’
এমনিতেই অনলের ওপর তার রাগের সীমা নেই। তার ওপর এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছে। রাগের মাত্রা দ্বিগুণ থেকে চারগুণ হয়ে যায়। অনু কটমট করে তাকিয়ে থাকে অনলের দিকে। নাক ফুলিয়ে দাঁতে দাঁত পিষে বলে,’আপনি তাসিনকে কী বলেছেন?’
‘তাসিন কে? ওহ মনে পড়েছে। তোর সো কোল্ড বয়ফ্রেন্ডের কথা বলছিস? কী বলব ঐ বলদটাকে। কিছুই বলিনি।’ ঠোঁট উল্টে ভ্রুঁ নাচিয়ে বলল অনল। অনু নিচের ঠোঁট কামড়ে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। চায়ের দোকানদার আর অনলের বন্ধুরা অনুর দিকে তাকিয়ে আছে। এখানে বেশি কিছু বলা মানে সিনক্রিয়েট করা। এলাকার সবাই জানে অনু শান্তশিষ্ট, লক্ষী মেয়ে। এই খেতাবগুলো বজ্জাদ অনলের জন্য নষ্ট করতে চাচ্ছে না। তাছাড়া ওকে বলেও লাভ নেই। খাড়ার ওপর অস্বীকার করে বসে থাকে। যা বলার আন্টিকেই বলতে হবে। মনে মনে হিসাব কষিয়ে অনু চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়। কয়েক কদম এগোনোর পর অনল অনুর নাম ধরে ডাকে। ডাক শুনে পিছু ফিরে অনু অনলের দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে। তারপর হনহন করে আবারও হাঁটা শুরু করে। অনল দৌঁড়ে যায় অনুর কাছে। পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বলে,’এতদিন ভাবতাম ঐ বলদটাকে বলদ বললেও সত্যিকার অর্থে বলদ নয়। কিন্তু আজকে প্রমাণ হলো ঐ শালায় শুধু বলদই নয়; একটা রামছাগলও।’
অনু হাঁটার গতি কমিয়ে দিয়ে থেমে যায়। সঙ্গে অনলও থেমে যায়। অনু দাঁতমুখ খিঁচে বলে,’আপনি কিন্তু বেশিরকম বাড়াবাড়ি করছেন।’
‘বাড়াবাড়ির কী দেখলি তুই? তোর ঐ সো কোল্ড বলদ বিএফকে যদি আর দেখেছি এই এলাকায় তাহলে ঠ্যাং ভেঙে রেখে দেবো। তারপর একটা ভাঙা থালা হাতে দিয়ে চার রাস্তার মোড়ে বসিয়ে দেবো ভিক্ষা করতে। পাশে তুইও থাকিস। দুজন মিলে ভিক্ষা করবি।’
‘আপনি একটা নিকৃষ্ট, অসহ্য, বিরক্তিকর লোক।’ অনলের দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে এগিয়ে গিয়ে বলল অনু। অনল মুচকি হেসে অনুর থেকে পিছিয়ে যায়। নিজের চুলের মাঝে হাত বুলাতে বুলাতে অনুর দিকে কিছুটা ঝুঁকে দাঁড়ায়। চোখ দুটো ছোটো ছোটো করে বলে,’জানি।’
দু’হাতে ধাক্কা দিয়ে অনলকে সরিয়ে দিয়ে অনু বলে,’আপনাকে আর কিচ্ছু বলব না আমি। আমি তো এটাই বুঝি না আমাকে নিয়ে এত কীসের সমস্যা আপনার? থাকব না আর এই এলাকায়। মাকে বলে চলে যাব।’
‘তাই নাকি? চলে যাবি? আমিও দেখব তুই আন্টিকে কী করে রাজি করাস।’
রাগে চোখমুখ, গাল লাল হয়ে আছে অনুর। পারছে না শুধু অনলকে পানি ছাড়াই গিলে খেতে। অনল বেশ উপভোগ করছে অনুর এই রিয়াকশন। অনলকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখে আরও বেশি রাগ হয় অনুর। জিদ্দে বলে,’অসভ্যের মতো হাসবেন না।’
‘কেন রে অনু? তুই পেঁচিমুখি বলে কি আমিও পেঁচা? আমি তো হাসতে পারি।’
অনু আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটা শুরু করে। অনল শব্দ করে হাসতে হাসতে বলে,’রাগলে তোকে লাল টমেটোর মতো লাগে অনু।’
অনু দাঁড়িয়ে যায়। অনলের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,’আপনি কি আমায় ভালোবাসেন অনল ভাই?’
অনলের হাসি থেমে যায়। চুপ করে তাকিয়ে থাকে অনুর দিকে। উত্তরের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে অনু। শান্ত শীতল বাতাস দুজনকেই ছুঁয়ে দিচ্ছে। হঠাৎই অনল ফিক করে হেসে বলে,’তোকে ভালোবাসতে যাব আমি? তোর চাইতে তো রাস্তার কোনো পাগলীকে ভালোবাসাও উত্তম।’
এবার মনে হচ্ছে রাগে কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে অনুর। চারপাশে অনলকে মারার জন্য কিছু খুঁজছে। এদিকে পেটে হাত চেপে অনল হেসেই চলেছে। ইটের অর্ধেক টুকরো হাতে তুলে নিয়ে অনলের দিকে এগিয়ে আসে অনু। অনল পেছাতে পেছাতে বলে,’এটা দিয়ে মারিস না রে অনু। মাথা ফেঁটে যাবে। আর মাথা ফেঁটে গেলে রক্ত বের হবে। রক্ত বের হলে আমি মারা যাব। আর আমি মারা গেলে আমার হবু বউ বিধবা হবে। তুই এটা করতে পারিস না অনুউউউ।’
শেষের লাইনটা বলতে বলতেই অনু দৌঁড়ে আসতে শুরু করে। এবার অনলও দৌঁড় শুরু করে। জিদ্দে ইট ছুঁড়ে মেরে ক্ষান্ত হয় অনু। যদিও অনলের গায়ে লাগেনি। অনু হাঁপিয়ে উঠেছে। উরুতে দু’হাত রেখে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস নিতে নিতে স্বগতোক্তি করে বলে,’অসভ্য বানরের দল! জীবনটা তেজপাতা করে দিচ্ছে।’
______________________
এক সপ্তাহ্ প্রায় হয়ে গেছে ক্লাস শুরু হওয়ার। প্রথমদিনের পর থেকে কেউ আর কিছু বলেনি ওদের। কিন্তু ঐ ছেলেগুলোর সঙ্গে দেখা হলেই কেমন যেন আড়চোখে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতো। কী লজ্জা! কী লজ্জা! স্টাইল করে আজ শুধু শাল পরে এসেছিল অনু। তাও পাতলা একটা শাল। তবুও যদি গায়ে থাকত! জেসি আর শুভা ভাগ করে গায়ে দিয়ে বসে আছে। সকালে হালকা রোদ দেখে ভেবেছিল আজ ঠান্ডা তেমন পরবে না। তাই ওরা জামার ওপর পাতলা সোয়েটার পরেছিল। ভার্সিটিতে আসার পর হলো তার উল্টা। একটু দেখা রোদের আলো ঘন কুয়াশার মাঝে তলিয়ে গেল। অনু অনলকে ওদের ক্লাসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে ডাক দেয়। তারপর দৌঁড়ে ক্লাস থেকে বের হয়।
‘কী বলবি তাড়াতাড়ি বল। সময় নেই হাতে।’ বলল অনল।
অনু ঠোঁট বাঁকিয়ে একটু বিড়বিড় করল। তারপর বলল,’আপনার জ্যাকেটটা দেন না। ভেতরে তো সুয়েটার পরছেন।’
অনল ভ্রুঁ কুঁচকে বলে,’কোন দুঃখে? ভেতরে সুয়েটার পরি বা ল্যাপ,কম্বল সাথে করে নিয়ে আসি। তাতে তোর কী? তুই কেন আমার জ্যাকেটের দিকে নজর দিবি? স্টুপিড মেয়ে!’
‘দেন না! এমন করেন কেন? খুব শীত করছে।’
‘করুক শীত। শীত করাই উচিত। ঢং করে সুয়েটার পরিসনি কেন? এখন থাক। দেখ কেমন লাগে।’
অনল সত্যি সত্যিই জ্যাকেটটা দিল না। চলে গেল। নিষ্ঠুর লোক একটা!
অনুদের ক্লাসের কয়েকটা মেয়ে এবং ছেলে মিলে সাথীর চোখ চেপে ধরে ক্যান্টিনে নিয়ে যাচ্ছে। আজ সাথীর জন্মদিন। তাই ওরা সেলিব্রেট করবে। ওকে একটা চেয়ারের ওপর বসিয়ে তারপর চোখ ছাড়ে। সামনে চকোলেট কেক দেখে অবাক হয়ে যায় সাথী। সেই সাথে অনেক আনন্দিতও হয়। নতুন বন্ধুরা ওর বার্থডে সেলিব্রেট করবে এটা ভাবতেই পারেনি। ঐ সময়ে অনলও ক্যান্টিনেই ছিল। ওরা বার্থডে সেলিব্রেট করে চলে যায়। সাথী ওয়াশরুমে গিয়েছিল মুখ ধুতে। পুরো মুখে কেক দিয়ে মাখামাখি। ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার সময় কিছু ছেলেদের হাসাহাসি করে বলা কথা অনলের কানে আসে।
‘শালী এবার বুঝবে রিজেক্ট করার মজা! আমায় রিজেক্ট করে সাহস কত্ত বড়ো? ঐ শোন, সাথী আবার দেখেনি তো?’
তখন আরেকটি ছেলে বলল,’আরে না। মুন ওর চোখ ধরে নিয়ে আসছিল। ঐ সময়ে আমি চেয়ারে সস ঢেলে রাখছিলাম। দেখে নাই।’
‘গুড। এবার শুধু সবার সামনে দিয়ে ক্লাসে যাওয়ার পালা।’
ছেলেগুলোর কথোপকথন শুনে অনলের মাথায় রক্ত উঠে যায়। রিজেক্ট করেছে বলে প্রতিশোধ নিতে হবে? সে সামনে এসে দেখল তিনজন ছেলেকে। তিনটাকেই কষে থাপ্পড় দিল। ছেলেগুলো হকচকিয়ে যায়। অনল শাসিয়ে শাসিয়ে বলে,’কলেজে এগুলা করতে আসছিস? প্রপোজ করলেই মেয়েদের রাজি হতে হবে?’
ততক্ষণে মেয়েটাও ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে আসে। রাগারাগির করতে দেখে এদিকেই এগিয়ে আসে। ওদেরকে জিজ্ঞেস করে,’কী হয়েছে রে?’
‘মাফ চা ওর কাছে।’ ধমক দিয়ে বলল অনল। ছেলেগুলো মাথা নত করে মাফ চাইল। সাথী কিছুই বুঝতে পারছে না। অনল বলল,’আর যদি কখনো দেখেছি নোংরামি করতে তাহলে প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে যাব। যা এখন।’
ওরা চলে যাওয়ার পর অনল মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে,’মানুষ চিনতে শেখো আগে। তারপর বন্ধুত্ব করবে। নিজের সিটটা গিয়ে আগে দেখে আসো।’
‘মানে?’
‘মানে তুমি যেখানে বসেছিলে সেই চেয়ারে ওরা সস রেখেছিল। ওদের কাউকে রিজেক্ট করেছিলে মেবি। এজন্য রিভেঞ্জ নিয়েছে।’
সাথী আৎকে উঠে পেছনে তাকায়। জামায় দেখতে পায় সসের দাগ। কান্না এসে যায় তার। ভালোমানুষীর পেছনেও কত জঘন্য রূপ থাকে! অনল সান্ত্বনা দিয়ে বলল,’কেঁদো না। এক্সট্রা কোনো ওড়না থাকলে কোমরে বেঁধে নাও।’
‘নেই। আর সুয়েটারের ওপর দিয়ে হিজাব পরা। গেঞ্জি সিস্টেম সুয়েটার হওয়ায় খুলতেও পারব না। আবার এই অবস্থায় কলেজের ভেতর যেতেও পারব না।’
উপায়ান্তর না পেয়ে অনল নিজেই ওর জ্যাকেট খুলে সাথীকে দেয়। ওর থেকে ক্লাস আর শাখা জেনে নিয়ে এনামুলকে দিয়ে সাথীর ব্যাগ আনায়।
তিন তলা থেকে সাথী আর অনলকে কথা বলতে দেখেছে অনু, জেসি আর শুভা। জ্যাকেট দেওয়ার দৃশ্যটিও অগোচর হলো না। জেসি ক্ষেপে বলে,’অসভ্যটা তোকে জ্যাকেট দিল না; অথচ সাথীকে ঠিকই দিল।’
অনু কিছু না বলে নির্জীব হয়ে তাকিয়ে রইল শুধু। হুট করে অনলেরও চোখও সেখানে যায়।দ্রুত অনু সেখান থেকে চলে যায়। এরকম করার মানে বুঝতে পেরে অনুর কাছে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতেই সাথী বলল,’অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।’
‘ব্যাপার না।’
‘একটা রিকশা করে দিবেন প্লিজ?’
বিপদের সময় না করতে পারেনি অনল সাথীকে। তাই অনুর কাছে আর যাওয়া হলো না। মেয়েটিকে বলল,’আসো।’
কথা বলতে বলতে ওরা ভার্সিটির বাইরে যায়। কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে সাথী অনলের দিকে তাকায়। বোধ করি, খেয়াল করলে অন্য দৃষ্টিও নজরে আসবে ঐ দু’চোখে।
চলবে…