রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,৩পর্ব

0
722

#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,৩পর্ব
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)

রাসেল নামাজ পড়ে বাড়ির দিকে আসতেছে তখনই সামনে দেখতে পায় তানভীর দাঁড়িয়ে আছে,রাসেল তো ভুত দেখার মতো চমকে যায়,কেননা তানভীর এতো সকালে বাইরে দাঁড়িয়ে কি করে,

রাসেল:-এই তানভীর তুই নামাজ পড়তে ও যাসনাই, তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করিস,

তানভীর:-এইতো এমনি আজকে একটু সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো তাই একটু বিছানার মায়া ছেড়ে উঠে আসলাম,

রাসেল:-ওহহহ তাই বল আমি তো বলি ভাবি সকাল সকাল ঘর থেকে তারিয়ে দিছে,হাসি দিয়ে

তানভীর:-হ আমার বউ তো তোমার বউএর মতো যে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিবে,

রাসেল:-ঠিক বলেছিস,কি আর করবো আল্লাহ এমন বউ কপালে লিখে রাখছে সেটাতো মুছতে পারবোনা, তবে একদিন জেরিন ঠিকই আমার ভালোবাসা বুঝতে পারবে,

তানভীর:-হুম দোস্ত দোয়া করি সেটাই যেনো হয়,
আচ্ছা তাহলে বাড়িতে গিয়ে রান্না কর, তা না হলে আজকে ও না খেয়ে কাজে যেতে হবে,

রাসেল:-আচ্ছা তুই তাহলে থাক আমি গেলাম,
গিয়ে রান্না না করলে তো আর পেটে ভাত জুটবে না,

বলেই রাসেল বাড়ির দিকে রওনা দেয়,
একটু পরে বাড়িতে পৌঁছে যায়,জেরিন নামাজ পড়ে বই নিয়ে পড়তে বসেছে,

রাসেল:-জেরিন তোমাকে ভালো কিছু দেবার মতো যোগ্যতা হয়তো আমার নেই,
তবুও চেষ্টা করি তোমার ইচ্ছে গুলো পূরণ করার,
এই নাও এখানে এক হাজার টাকা আছে তোমার পছন্দ মতো একটা পোশাক কিনে নিয়ো,

জেরিন:-আচ্ছা ঠিক আছে,
কিন্তু এই একহাজার টাকা দিয়ে পরার মতো কি জামা হবে, মন খারাপ করে বললাম,

রাসেল:-দেখো জেরিন অনেক কষ্টে আমি এই টাকা জোগাড় করতে পেরেছি,যদি আমার সার্মথ্য হতো তাহলে বেশি দিতাম,

কথাগুলো বলেই রাসেল রান্না করার জন্য চলে যায়, কি বা বলবে তারও তো ইচ্ছা করে বউ কে ভালো কিছু দিতে কিন্তু অভাব মনের আশা কে পূরণ করতে দেয়না,

জেরিন:-কি দেখে যে বাবা আমার মতো সুন্দর আর শিক্ষিত মেয়েকে এর মতো রাখালের সাথে বিয়ে দিলো বুঝিনা,
না এইসব ভেবে কাজ নেই আমাকে ওর সাথে ভালো ব্যবহার করেই বিসিএস করতেই হবে,

দেখছেন নিজের বউএর স্বপ্ন পূরণ করতে দিন রাত খাটে, অথচ সে জানেনা তার বউ কি নিয়ে চিন্তা করে,রাসেল ভাত রান করে আর ভাবে,

রাসেল:- আজকে যদি বাবা মা থাকতো তাহলে এমন দিন কাটাতে হতোনা,
আজও জানিনা আমার বাবা মা কে বা এই দুনিয়ার বুকে আছে কিনা,

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে গাল বেয়ে পরে সেইটা বুঝতেই পারেনা রাসেল,এইভাবেই কেটে যায় অনেকগুলো দিন,একদিন রাতে

রাসেল:-তোমার তো কালকের দিন পরে পরীক্ষা,
কালকেই তো যেতে হবে তাইনা,

জেরিন রাসেলের কথা শুনে অবাকি হয়,আর মনে মনে ভাবে,

জেরিন:-আমি তো ওকে বলিনাই আমার পরীক্ষা কবে, আর কখন যেতে হবে, তাহলে এই রাখালের বাচ্চা জানলো কিভাবে,

রাসেল:-এই তুমি কি চিন্তা করতেছো হুম,
আমি যে কথাগুলো বললাম সেটা কি তুমি শুনেছো,

জেরিন:-আমার যে কালকের দিন পরে পরীক্ষা সেটা তুমি জানতে পারলে কি ভাবে,আর আমি ও তো তোমাকে বলিনি,

রাসেল:-আরে না আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় একটা লোকের মুখে শুনেছি যে কালকের দিন পরে নাকি বিসিএস পরীক্ষা,
তাই তোমাকে বললাম,

জেরিন:-ওহহহহ তাইতো বলি এই রাখালের বাচ্চা এটা কি ভাবে জানতে পারলো,মনে মনে,
হুম তুমি ঠিকই শুনেছো,

রাসেল:-তুমি কি একাই যাবে নাকি আমি তোমার সাথে যাবো,

ভাইরে ভাই এই কথাটা শুনে জেরিন তো রাগে বোম হয়ে যায়,
মনে হচ্ছে এখনি ফেটে যাবে,

জেরিন:-কি বলো তোমার মতো মূর্খ রাখাল কে সাথে নিয়ে যাবো আমি,
আমারে কি পাগলা কুকুরে কামড়ায়ছে নাকি,

রাসেল:-আমি রাখাল হলে কি হবে আমি তো তোমার স্বামী তাইনা,
এটাই তো সব থেকে বড় কথা তোমার কাছে,

জেরিন:- স্বামী, তোর লজ্জা করেনা নিজেকে আমার স্বামী দাবি করতে,
আর কখনো এই কথা বলবিনা,
আর মনে রাখিস তুই আমার বাবার কথা রাখতে আমার সব খরচ বহন করতেছিস তাই ভালো ব্যবহার করি তাই ভাবিস না আমি তোকে স্বামী হিসাবে মানি,রাগে চেচিয়ে বললাম,

রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
কখনো নিজেকে তোমার স্বামী হিসাবে দাবি করবোনা,তবুও এইভাবে বলিওনা,

জেরিন:-এখন দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে,

রাসেল চোখে জল নিয়ে বাইরে এসে জলচোকিতে বসে আনমনে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে,
আর কিছু একটা নিয়ে চিন্তা করে,এইদিকে

জেরিন:-কি ভেবেছিস তুই আমি তোকে স্বামী হিসেবে মেনে নিবো, কোনদিন না,
শুধু একবার আমার আশা টা পূরণ হতে দে তার পরে তোকে আমি ডিভোর্স দিবো,
রাখালের বাচ্চার সখ কতো আমার স্বামী হবে যার বাবা মায়ের পরিচয় নেই,

আসেলেই জেরিন তো ঠিকই বলছে তার তো কোনো বাবা মায়ের পরিচয় নেই,
আছে শুধু একটা পরিচয় আর সেটা হলো এতিম,
রাসেলের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরতেই থাকে,এইভাবে কখন যে ঘুমিয়ে যায় সেটা বুঝতে পারেনা,
সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না করে,

রাসেল:-জেরিন খেয়ে নাও
আমি রান্না করেছি,তুমি খেয়ে দেয়ে রেডি হও আমি গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আসি,

জেরিন:-তোর জেতে হবে না,
আমি একাই জেতে পারবো আর আমার সাথে আমার বান্ধবী যাবে,বুঝেছিস তুই,

রাসেল:-ওহহহ আচ্ছা এই টাকাগুলো রাখো তোমার কাজে লাগবে,
আমি তাহলে কাজে যাচ্ছি দেখে শুনে যাইও আর সাবধানে থাকবে, দোয়া করি আল্লাহ যেনো তোমার মনে সকল আশা পূরণ করে,

আর কিছু না বলেই রাসেল কাজে চলে যায়,
রাসেল কাজ করতেছে,
আর সবাই গুন গুন করে গান গাইছে,কিন্তু রাসেলের মুখে কোনো শব্দ নেই,

শাওন:-রাসেল তোর কি হয়েছে,
এমন মন মরা হয়ে আছিস কেনো,

তানভীর:-হুম রাসেল তোর কি হয়েছে,
নাকি ভাবি আজকে ও কিছু বলেছে,সবকিছু খুলে বল আমাদের,

রাসেল:-নারে কিছু না,
আজকে জেরিন ঢাকায় চলে যাবে তো তাই একটু মন খারাপ,

শাওন:-ভাই আমি না এই একটা জিনিস বুঝিনা যেই মেয়ে তোরে দুই চোখে সহ্য করতে পারেনা,
আর তুই তার জন্য এতো কিছু করতেছিস,

তানভীর:-তোর ভবিষ্যতে যে কি আছে আল্লাহ ভালো জানে, তুই ওকে কেনো পড়াইতাছোস বুঝিনা,

রাসেল:-দেখ তোরা এইভাবে বলিস না,
আমি ওর স্বপ্নকে পূরণ করবো ওর বাবাকে কথা দিয়েছি তাতে আমার যতই কষ্ট সহ্য করতে হোকনা কেনো,

শাওন:-তোর যা ভালো মনে হয় তুই তাই কর আমরা তো যেটাই বলমু সেটাই তোর কাছে বেশি হয়ে যাবে,

সিরাজ:-আচ্ছা ভাই আমি এটা বুঝিনা,
ভাবি ঢাকায় একা একা গেলো অথচ রাসেল কে কেনো নিলোনা,

তানভীর:-হ তারতো মানসম্মান নাই রাসেলের মতো একটা রাখাল কে সাথে নিয়ে সম্মান নষ্ট করবে কি যে বলস না তোরা বুঝিনা,

রাসেল:-এই তোরা চুপ করে মন দিয়ে কাজ কর,
তারাতাড়ি কাজ শেষ করে বাড়ি যেতে হবে,

তানভীর:-কেনোরে আবার কোথাও হারিয়ে যাবি নাকি, ছোট বেলা থেকেই তো দেকে আচ্ছি তুই থেকে থেকে কোথাও যেনো গায়েব হয়ে যাস,
কোথায় যাসরে,

রাসেল কিছু বলেনা, চুপ করে কাজ করতে থাকে,
কাজ করতে করতে বিকাল হয়ে যায়,
তাই কাজ শেষ করে বাড়িতে চলে আসে,
এসে দেখে জেরিন চলে গেছে,
রাসেল ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে রেডি হয়ে একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পরে বাস স্টান্ডের দিকে,
একটা ঢাকার টিকিট কেটে বাসে বসে থাকে,
বাস একটু পরেই ছাড়বে,
কি মামারা আপনাদের মনে প্রশ্নের জন্ম হচ্ছে রাসেল ঢাকায় কেনো যাচ্ছে তাইনা,
তাহলে চলেন,
একটু ক্লিয়ার করে দেই, রাসেল আসলে অশিক্ষিত না,রাসেল ও অনেক লেখাপড়া করেছে যেটা কেউ জানেনা, রাসেল রাতে জেরিন যখন ঘুমিয়ে যেতো তখন জেরিনের বই পরতো, আর রাসেল ও বিসিএস পরীক্ষা দিতেই ঢাকাতে যাচ্ছে,কি কনফিউশন দূর হলোতো নাকি,
আপনেরা আবার কাউকে বলিয়েন কিন্তু রাসেলের সম্পর্কে,
রাসেল জানালার সাথে মাথা হেলিয়ে আছে,বাস চলছে তার আপন গতিতে,পিছনে পরে যাচ্ছে সব কিছু এগিয়ে যাচ্ছে গাড়ি,

জেরিন:-এই বৃষ্টি আমি তো সিট প্লান দেখলাম,
আমার সিট আর তোর সিট একটা রুমেই পরেছে,
কিন্তু তোর সাথে হলে ভালো হতো তাইনা,

বৃষ্টি:-হুম সেই হতো,
কিন্তু আল্লাহ তো আমার ভাগ্যে তোর সাথে সিট মিলাই নি, কি আর করা,
আগে এটা বল দুলাভাই কে সাথে কেনো আনলিনা,

জেরিন:-ওরমতো রাখাল কে আমার সাথে এনে মানসম্মান যা আছে সেটা কি শেষ করবো নাকি,

বৃষ্টি:-দেখ জেরিন রাসেল ভাই রাখাল হলেও মানুষ টা কিন্তু খুবই ভালো আর তোর জন্য কতো কষ্ট করে,আমাদের দেখেই তো চোখে পানি এসে যায়,
আর তুই তাকে এইভাবে অবহেলা করিস,

জেরিন:-তোর যদি এতোটাই দরদ উতলে ওঠে ঐ রাখালের প্রতি তাহলে তুই নিয়েনে,
আমি তো বেঁচে যায়,

বৃষ্টি:-এখন না বুঝে বলতেছিস কিন্তু যখন বুঝবি তখন আর এই কথাটা বলবি না,
যায় হোক চল আপু খাবার জন্য অনেক আগেই ডেকেছে,

তারপর দুই বান্ধবী খাবার খেতে যায়,
আসলে বৃষ্টির বোন এইখানে থাকে,তাই তারা এখানে উঠেছে,আর এই দিকে রাসেল গাড়ি থেকে নেমে পরে কোথায় যাবে তার তো পরিচিত কেউ নেই, বা হোটেলে থাকবে সেই টাকাও নেই,
দেখতে দেখতে রাত হয়ে যায়,কোথায় যাবে কিছু ভেবে না পেয়ে কেন্দ্রের কাছেই একটা পার্কে আসে,

রাসেল:-দারোয়ান চাচা আমি কি এখানে একটু থাকতে পারি,

দারোয়ান:-বাবা এখন তো পার্কের গেট বন্ধ করা হয়েছে তুমি এখন তো যেতে পারবেনা,

রাসেল:-চাচা আমি আজকেই গ্রাম থেকে এসেছি আমার এখানে পরিচিত কেউ নেই,
তাই যদি একটু অনুমতি দিতেন আজকের রাতটা এইখানের একটা ব্রেঞ্চে সুয়ে কাটাতাম,

রাসেলের কথা শুনে কেন যানি দারোয়ান চাচার মনে মায়া আসে,
হয়তো এটাই মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা,

দারোয়ান:-বাবা তুমি এখানে তো থাকতে পারবে না,বরং আমি এইখানে একটা কাগজের ছাউনির নিচে থাকি তুমি চাইলে থাকতে পারো,

রাসেল:-চাচা আপনে যে আমাকে থাকার একটা জায়গা দিলেন এটাই অনেক বড় পাওয়া আমার কাছে হোক সেটা কাগজের ছাউনি,

তারপর রাসেল দারোয়ানের সাথে পাশের একটা দোকান থেকে কিছু খেয়ে এসে সুয়ে পরে,
বালিশ নেই একটাই বালিশ তাই রাসেল সাথে থাকা ব্যাগটাই মাথার নিচে দিয়ে সুয়ে পরে,

দারোয়ান:-আচ্ছা বাবা তোমার এখানে থাকতে কষ্ট হচ্ছে না, যেখানে একা থাকাই কষ্ট কর হয়ে যায়, কি করবো বলো একটা বাসা ভাড়া নিলে অনেক টাকা খরচ,কিন্তু এটাই খরচ নাই,

রাসেল:-চাচা বাইরে গাছের নিচে থাকতাম,
তারছে ভালো তো মাথার উপরে একটা কিছু আছে, এমনিতেই যেই শিত,

দারোয়ান:-হ বাবা সেটা জা বলেছো আজকে অনেক শিত পরেছে,
আমাদের মতো গরিবদের কপালে কষ্ট ছাড়া কিছুই নাই, আচ্ছা বাবা একটা কথা জিগ্গেস করবো কিছু মনে করবেনা তো,

রাসেল:-আরে না মনে করার কি আছে আপনে নিরভয়ে বলে ফেলেন তো,

দারোয়ান:-তুমি কি বিয়ে করেছো,
যদিও তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে না যে তুমি বিয়ে করেছো,

রাসেল অনেক টা সময় চুপ করে থেকে,
এক রাশ নিরবতা ভেঙে বলে,

রাসেল:-হুম চাচা আমি বিয়ে করেছি অনেক আগেই,

দারোয়ান চাচা আর কোনো কথা না বলে সোজা ঘুমিয়ে যায়, এইদিকে রাসেলের যে কিছুতেই ঘুম চোখে আসছে না শুধু জেরিনের কথাই মনে পরছে,

রাসেল:-জানিনা জেরিন কোথায় আছে,
কিভাবে আছে, খাবার ঠিক মতো খেয়েছে কিনা,
মোবাইল ও নেই যে তার থেকে খবর নিতে পারবো,

এইদিকে জেরিন ও একই কথা ভাবতাছে,
যতই বলুক না কেনো, সে রাসেল কে দেখতে পারেনা তবুও তো তার সাথেই এক ঘরেই থাকে,
এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়,
সকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,

রাসেল:-চাচা এখন তো আমাকে যেতে হবে,এমনিতেই বেলা অনেক হয়েছে,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আপনে না থাকলে আমার যে কি হতো,

দারোয়ান:-না বাবা এইভাবে বলিও না, আমি নিজে কে ধণ্য মনে করতেছি তোমার সাহায্য করতে পেরেছি বলে,
দেখে শুনে যাইও আর সাবধানে থাইকো এই শহরের মানুষ গুলো কিন্তু ভালো না,

রাসেল আচ্ছা চাচা আপনার কথা আমার মনে থাকবে, আপনেও সাবধানে থাকবেন আর দোয়া রাখিয়েন আমার জন্য,

বলেই রাসেল চলে আসে,
ফুটপাতের একটা টিউবয়েল থেকে ফ্রেস হয়ে পাশের একটা দোকান থেকে পারুটি কলা খেয়ে হাটতে শুরু করে,
কেন্দ্রের কাছে আসতেই রাসেলের চোখ ছানা বড় হয়ে যায় কেননা,,,,,,,,,,,

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here