রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,১৬পর্ব

0
803

#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,১৬পর্ব
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)

সবাই পিছনে ফেরে তাকিয়ে দেখতে পায় দরজার কাছে থাকা মানুষ টা হলো রাসেলের চাচ্চু মানে নিধির বাবা ডাক্তার সবুজ,মাত্র হাসপাতাল থেকে সোজা বাসাই এসেছে যা তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে,

সবুজ:-আমার ছেলের সাথে কে ঝগড়া করবে শুনি,কার এতো বড় সাহস আমার ছেলের সাথে ঝগড়া করতে চাই,আমি একটু তাকে দেখি,

নিধি:-লে বাবা,এতো সময় ধরে আম্মুর সাথেই পারছিনা এখন আবার আরেক জন আসলো,না তারছে বরং রুমে যায়,এখন রাসেলের সাথে ঝগড়া করে পারবোনা মনে মনে,

নিধি:-কিরে পেত্নি লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছিস কেন,
আই আমার সাথে লাগবিনা,আই আরো ঝগড়া কর,শাখচুন্নি আইছে আমার সাথে লাগতে,

রহিমা:-দেখ রাসেল আমার নিধি মামুনি টাকে এইভাবে একদম পচাবি না এই আমি কড়া গলাই বলে দিলাম,

সবুজ:-ভাবি তুমি এটা কি বলতেছ হুম,
নিধি আমার ছেলের সাথে কেনো লাগবে,ওকি বুঝতে পারেনা রাসেল ওর বড় ভাই হয়,

রহিমা:-সবুজ তুই চুপ থাক,আর বোন ভাইয়ের সাথে একটু দুষ্টুমি করবেনা তো কার সাথে করবে হুম,আর শোন আমি আমার মেয়ের পক্ষে আছি,

এইভাবে আরো অনেক কথা বলে রাতের খাবার জন্য টেবিলে বসে আছে,রহিমা চৌধুরী বলে দিচ্ছে কিভাবে খাবার পরিবেশন করবে,

রহিমা:-বউমা তুমি এইভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে বরং রাসেলের পাশে বসে খাবার খেয়ে নে,

জেরিন:-আম্মা সবাই খেয়ে উঠুক না,আমি বরং আপনার সাথে একসঙ্গেই বসে বউ শাশুড়ি মজা করে খাবো,

রহিমা:-না মা তুই বসেক সবার সাথে খেয়ে নে,আমি পরে কাজের লোকদের নিয়ে একসঙ্গে খাবো,আর তোর শশুর তো এখনো আসে নাই,

জেরিন:-আম্মা আপনে যদি কাজের লোকদের সাথে খেতে পারেন তাহলে আমি কেনো পারবো না বলেন,ওরা সবাই যেমন আমি ও তো তেমনি,
আমি হতে পারি একজন বিসিএস ক্যাডার কিন্তু তারছে বড় পরিচয় আমি একজন রাখালের স্ত্রী,এটা তো ভুলে গেলে চলবে না,

রাসেল:-বাববাহ যেই মেয়ে আগে রাখালের নাম গন্ধ শুনতে পারতো না আর সে এখন রাখালের জন্য পাগল,এইটা কি ভাবা যায় আপনেরাই বলেন মনে মনে,

রহিমা:-আচ্ছা মা তুই থাক আমার সাথেই খাবি তাও এইসব কথা এখন রাখেক,

এইভাবে আরো অনেক কথা বলে সবাই খাবার পর্ব শেষ করতে না করতেই মিস্টার রায়হান চৌধুরী ও বাসাই চলে আসে আর সেও খেয়ে নেয়,তারপর সবাই যার যার রুমে চলে যায় ঘুমানোর জন্য,
রাসেল গিয়ে ছোফায় বিছানা ঠিক করতেছে,
কারণ জেরিনের সাথে তো শোবে না,

জেরিন:-এই তুমি এইটা কি করতেছো হুম,
রুমের মাঝে এতো বড় একটা খাট থাকতে তুমি ছোফায় বিছানা কেনো করতেছো বুঝলাম না,

রাসেল:-তোর সাথে ঘুমানোর কোনো ইচ্ছা বা অধিকার কোনো টাই আমি নিজের মনে করিনা,

জেরিন:-এমন কেনো করছো,আমি তোমাকে এইভাবে ছোফায় রেখে খাটে ঘুমাবো সেটা আমি পারবো না,

রাসেল:-ঘুমাস না তোকে ঘুমাতে বলছে কে হুম,
তোর যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুমা আমার করার কিছুই নাই,আগে তো ঠিকই ঘুমিয়েছিস আমি মাটিতে ঘুমাইছি,তাহলে এখন আমার জন্য হটাৎ দরদ উতলে উঠছে কেনো হুম,

জেরিন:-দেখো আমি মানছি আগে তোমার সাথে যা করেছি তা ঠিক করনি,যা আমার জন্য কখনো ক্ষমার যোগ্য না,ঠিক আছে তুমি ছোফায় ঘুমাও আমি তাহলে ফ্লোরে ঘুমায়,এমনিতেই ফ্লোরটা আজ অনেক ঠান্ডা,

জেরিন খাট থেকে একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পরে আর নিরবে কান্না করতে থাকে,

রাসেল:-কি করি এখন এমনিতেই ফ্লোর যে ঠান্ডা,
আর তাতে জেরিনের যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে মা তো আমাকে মেরেই ফেলবে,এই জেরিন তুই এইভাবে ফ্লোরে শুইয়ে পরলি কেন,

জেরিন:-তুমি ছোফায় ঘুমাবে আর আমি খাটে ঘুমাবো এটা আমি পারবো না,আগে হয় তোমাকে সহ্য করতে পারিনি তাই থেকেছি,কিন্তু এখন আমি সব বুঝি তুমি আমার বেঁচে থাকার এক মাত্র উৎস,
তোমাকে ছাড়া যেন আমার জীবন টাই অচল,

রাসেল:-তোকে বলছিনা খাটে ঘুমাতে,
নাকি মাইর খাওয়ার খুব সক হয়েছে সেটা বল,
মা যদি যানতে পারে তুই বিছানা ছেড়ে ফ্লোরে ঘুমিয়েছিস তাহলে আমার আস্ত রাখবে না,

জেরিন:-তাহলে তুমিও আমার সাথে খাটে ঘুমাও,
নাহলে আমি এভাবেই ঘুমাবো তুমি যা খুসি করো না কেনো,

রাসেল পরে যায় মহা ঝামেলায়,কি করবে কিছুই বোঝেনা,এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে জেরিনের সাথে খাটে ঘুমাবে,

রাসেল:-শোন আমি তোর সাথে খাটে ঘুমাতে পারি তবে তুই যদি আমার শর্তে রাজি হস তাহলে,

জেরিন:-আমি তোমার একটা কেনো হাজার টা শর্ত মেনে নিতে রাজি আছি,তুমি শুধু বলো শর্তটা কি,

রাসেল:-শর্ত টা খুব বেশি বড় বা কঠিন না,
তুই মনটাকে শক্ত করলেই পালন করতে পারবি,

জেরিন:- এতো ঘুরিয়ে পেছিয়ে না বলে তারাতাড়ি শর্তটা বলে ফেলো তো আমার কিন্তু সহ্য হচ্ছে না,
প্লিজ তারাতাড়ি বলো,

রাসেল:-আমি তোর সাথে থাকবো কিন্তু বিছানার এক পাশে আমি এক পাশে তুই মাঝ খানে কোলবালিশ নামক তুলার দেওয়াল টা অবস্থান করবে,আর রাতে আমার এই দিকে আসতে পারবি না,

জেরিন:-আগে তো কাছে নিয়ে নেই তার পরে যা হবে দেখাই যাবে মনে মনে,শর্তটা কঠিন তবুও তোমার দেওয়া শর্ত আমি মেনে নিলাম,তবে শিত করলে মাঝে মাঝে তোমাকে জড়িয়ে ধরবো,

রাসেল:-যা শর্ত পরিবর্তন,
আমি তোর সাথে এক বিছানায় থাকার সিদ্ধান্ত নিছিলাম কিন্তু থাকবো না তোর মতলব বেশি সুবিধার না,

জেরিন:- এইনা আমি তোমার সাথে মজা করলাম,যাও আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরবো না তাও তুমি খাটে ঘুমাও প্লিজ,আমি স্ত্রী হয়ে তোমার কষ্ট কি করে দেখি বলো,তাহলে আল্লাহ যে আমাকে কিছুতেই ক্ষমা করবে না,

রাসেল:-বাহ বাহ এখন দেখে তোর ধর্মের সব কথা মনে পরতাছে,কিন্তু আমি বলিকি তোর এইসব মনোবাসনা আগে কোন ব্যাংকে জমা রেখেছিলি হুম,

জেরিন:- মনে হয় আমার সব মনোবাসনা তোমার মনের ব্যাংকে জমা ছিলো,এটা চুক্তি করে যে আমি প্রেগন্যান্ট না হলে আমার বুঝ আসবে না,তোমাকে আপন করে নিতে মন চাইবে না,এখন তো চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে আমার প্রেগন্যান্সির মাধ্যমে,
আমার মনে সকল বুঝও এসেছে,তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, তাই এখন আমি তোমাকে আপন করে পেতে চাই,

রাসেল:-হ আমার এই মনটা তো তেতুল গাছের তেতুল,তোর মন চাইলো আর আমি টুপ করে পেরে তোর হাতে দিয়ে দিলাম,এটা পাথরে গরা মন,

জেরিন:-এইসব কথা বাদ দাওনা প্লিজ,
আমি জানি তুমি আমাকে মনে প্রাণে ভালোবাসো,কিন্তু সেটা প্রকাশ করছো না,

রাসেল:-চুপ থাক তো আমার কান একদম ঝালাফেলা করে ফেলেছিস,এতো কথা কি করে বলিস এটাই বুঝিনা,আর একটা কথা বলবি তো থানায় রেখে আসবো,

জেরিন:-হাহাহা আমাকে কোন পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাবে শুনি,তবে তোমার মনের কারাগারে বন্ধি করতে চাইলে আমি এখনি যেতে চাই,

রাসেল:-দূর থাক আমি ঘুমাইলাম,
তুই বসে বসে আমার মনের কারাগারে কি কি আছে সেইটা দেখতে থাক,

কথাগুলো বলেই রাসেল ঠাসসসস করে খাটে গিয়ে ডাসসসস করে শুয়ে পরে,কারণ জেরিন আগেই কথা বলতে বলতে বিছানা ঠিক করে রেখেছে,তাই আর নতুন করে রাসেল কে বিছানা ঠিক করতে হলো না,এইদিকে জেরিন উপরে উপরে যতই হেসে হেসে রাসেলের সাথে কথা বলুক না কেনো,কিন্তু ভিতর টা তো কষ্টের আগুনে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে,এই আগুন দেখার মতো কেউ নেই,
নিরবে পুরেই যাচ্ছে,জেরিন ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে শুয়ে পরে,চোখে ঘুম নেই,এক ধ্যানে রাসেলের মায়া ভরা চোখের দিকেই তাকিয়ে আছে জেরিন,তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে সেইদিকে কোনো খেয়ালি নেই,আর রাসেল বেচারা তো ঝগড়া করে ক্লান্ত থাকার কারণে শোয়া মাত্রই ঘুমের দেশে পারি জমিয়েছে,সকালে জেরিনের আগেই রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,রাসেল একটু একটু করে চোখ খুলতেই দেখতে পায় জেরিন খুব যত্নে জড়িয়ে ধরে পরম শুখে ঘুমিয়ে আছে,যেনো মনের মাঝে কোনো কষ্টের ছিটাফোঁটা ও নেই,

রাসেল:-ইশশশশশ পাগলিটাকে এখন কতটা সুন্দর লাগতাছে,মনে হচ্ছে মনের মাজে কোনো কষ্ট লুকিয়ে নেই, একদম নিষ্পাপ একটা শিশুর মতো ঘুমিয়ে আছে,নেই কোনো চিন্তা নেই কোনো ভাবনা,থাকুক না এইভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে,
আমি বরং আর একটু ঘুমিয়ে নেই,

রাসেল আবারও ঘুমের রাজ্যে পারি জমায় জেরিনের কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে,এইদিকে জেরিনে ঘুম ভাঙ্গতেই দেখতে পারে সে রাসেলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,
কোলবালিশ কোথায় গেছে সেইটা আল্লাহ ভালো জানে,

জেরিন:-ইশশশশ মানুষ টা কতটা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে,আর জাগ্রত হলেই শুরু করে দিবে নানা রকম কথা,আর যদি বুঝতে পারে আমি এই ভাবে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছি,তাহলে আমাকে আর আস্ত রাখবে না,

জেরিন এইসব ভাবতে ভাবতেই রাসেলের ঠোঁটে ও কপালে একটা চুমু দিয়ে হাসতে হাসতে উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়,ফ্রেস হয়ে নিচে চলে যায়,
রহিমা চৌধুরী বসে বসে খবরের কাগজ পড়তেছিলো,জেরিন কে দেখেই বলে ওঠে,

রহিমা:-বউমা এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিস কেনো হুম,তুই জানিস না তোর শরীরটা এমনি তেই অনেকটা দুর্বল,আর কিছু সময় পরে উঠলে কি এমন ক্ষতি হতো,

জেরিন:-আম্মা বেলাতো অনেক হয়েছে,
আরো ঘুমালে সংসার করবো কখন শুনি,
আর রাত থেকে আপনাদের সাথে কথা বলি না,তাহলে ভালো থাকি কি করে সেইটা আগে বলেন,

রায়হান:-শুভ সকাল বউমা,
এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কেনো,
এমন সময়ে উঠবে না তাহলে আমার নাতি নাতনির ঠান্ডা লেগে যাবে তো,

জেরিন:-শুভ সকাল বাবা,
আর আপনাদের দোয়ায় আমার সন্তানের কিছুই হবে না ইনশাআল্লাহ্,

এইভাবে আরো অনেক কথা হয় তাদের মাঝে,
অনেক টা সময় পরে সবাই সকালের নাস্তা করে,
রাসেল ও জেরিন সবাই কে বলে বাসাই চলে আসে,বাসাই আসার পরে,

রাসেল:-আমার কাজ আছে,
আমি একটু বাইরে গেলাম,তুই গেট লাগিয়ে থাক কেমন,

জেরিন:-আমাকে রেখে যেওনা প্লিজ,
আর আমি একা একা অনেক ভয় পাই,
তুমি কি সেটা বোঝনা বলো,আগের থেকে কেনো জানি ভয় টাও একটু বেরেই গেছে,

রাসেল:- স্বামী হিসাবে না হলেও একই বাসাই যেহেতু থাকি তার জন্য তোর ভালো মন্দ দেখা আমার দায়িত্ব,তবুও আমাকে এখন বাইরে যেতেই হবে যাবো আর আসবো,

জেরিন:-আচ্ছা যাও আর সাবধানে গিয়ে তারাতাড়ি ফিরে আসবে কিন্তু না হলে আমি একা একা কিন্তু কান্না করতেই থাকবো এই আমি বলে দিলাম,অভিমানী শুরে বললাম,

রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে আমি খুব তারাতাড়ি চলে আসবো,

রাসেল বাসা থেকে বেরিয়ে পরে সোজা আদিল স্যারের কাছে চলে যায়,

রাসেল:- আসসালামুয়ালাইকুম স্যার,
কি অবস্থা,আপনার তো খবর বার্তাই আজ কাল পাওয়া যায় না,

আদিল:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আমার অবস্থা আর কেমন হবে ভালোই আছে,
আমার খবর ঠিকই আছে,আপনার খবরই পাওয়া যায়না,হাজার হলেও সুনাম ধন্য মানুষ,

রাসেল:-স্যার কি যে বলেন না,
আমার খবর তো সব আপনে যানেনি,আপনার তো কোনো কিছুই অজানা নই,

আদিল:-হুম সেইটা অবশ্য ঠিকই বলেছেন,
আচ্ছা যেটা বলার জন্য আপনাকে ডেকেছি সেইটা বলার আগেই আমি কি রকম কথা বলতে শুরু করেছি,এখন দেখা যাবে আসল কথাটাই পরে বলা হবে না,

রাসেল:-স্যার বলেন দেখি কি কথা বলার জন্য আমাকে এতো আর্জেন্ট আসতে বললেন,

আদিল:-এখন তো আপনাকে সবার সামনে আসতেই হবে,আর লুকিয়ে থাকতে পারবন না,

রাসেল:-কি বলেন এখনই সবার সামনে আসতে হবে এটা শুনেই তো আমার মাথা ঘুরতেছে,
এখন তো তাহলে সবাই জেনেই যাবে রাখাল ছেলের লুকানো বিসিএস ক্যাডারের গল্প,

আদিল:-হুম উপর মহল থেকে করা নির্দেশ দিছে,
অনুষ্ঠান করে আপনার উপহার আপনার হাতে তুলে দিতে,যেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকবে,
আবার এই দেশের নামকরা বিজনেসম্যান রায়হান চৌধুরী ও থাকবে,

রাসেল:-ওহহহহহ আচ্ছা ঠিক আছে কি আর করার,আর লুকিয়ে কতো দিন থাকবো,কর্ম করতে হলে সামনে আসতেই হবে এটাই সাভাবিক,

আদিল:-হুম বুঝতে পেরেছো,
তোমার মতো একজন কে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট পেয়ে সবাই খুবই গর্বিত,

রাসেল:- ধন্যবাদ স্যার,
আসসালামুয়ালাইকুম স্যার আমি এখন তাহলে আসি,ফের দেখা হবে কথা হবে সেই দিন সবার সামনে,

রাসেল উপরের কথাগুলো বলেই চলে আসে,
মনের মাঝে যেনো এক চিন্তার প্রতিচ্ছবি বার বার ভেসে উঠতেছে,আজ কে তাকে সামনে আসতেই হবে,এইসব ভাবতে ভাবতেই রাসেল বাসাই এসে পরে,বাসাই এসে দেখে জেরিন বাসাই নেই,
হয়তো থানায় গেছে এটা ভেবে রাসেল আর চিন্তা করে না,প্রায় অনেক টা সময় পরে জেরিন বাসাই চলে আসে,

জেরিন:-তুমি কখন এসেছো,
আর সরি আমি তোমাকে বলতে পারিনি বাইরে গেছিলাম সেটা,আসলে থানা থেকে আর্জেন্ট ডিআইজি স্যার ফোন করে যেতে বলে ছিলো,

রাসেল:-এটা আমাকে কেনো বলতেছিস হুম,
আগে যখন আমার থেকে কখনো কোথাও যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করোস নাই,তাহলে এইসব কেনো বলতেছিস,

জেরিন:-তুমি আমার স্বামী,আর স্ত্রীর এটা দায়িত্ব কোথাও গেলে তার থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর যাওয়া,আর আগে কি করেছি সেইটা ভুলে চলোনা আমরা আবার নতুন করে জিবনের গল্প রচনা করি,যেখানে থাকবেনা কোনো রাগ অভিমান,থাকবেনা কোনো অত্যাচার,থাকবে শুধু বুকভরা ভালোবাসা,

রাসেল:-এহহহহ আইছে বুকভরা ভালোবাসা নেওয়ার লাইগা,ভালবাসা কি কোনো ফল নাকি হ তুই চাইলি আর আমি টপ করে গাছ থেকে পেরে তোর হাতে দিয়ে দিলাম,

রাসেলের কথাটা শুনে জেরিনের চোখে পানি চলে আসে,কি করবে বলেন চোখের পানি তো আর কেনা লাগে না, তাই যখন ইচ্ছা চলে আসে,
আমি কি ভুল বললাম নাকি আপনেরাই বলেন,
আর এই মেয়ে হটাৎ করে এতো লক্ষি হয়ে উঠলো কি করে সেটাই তো আমার এই ছোট্ট মাথায় ঢুকছে না,কি করে হলো এইসব জানতে চাওয়া অবুঝ এই মন আমার,,,

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here