#ইস্ক_সুফিয়ানা
#পর্ব – ০১
#লেখনীতে : #Aloñe_Asha (ছদ্ম নাম)
#Kazi_Meherin_Nesa
“এই চাকরিটা করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয় স্যার..”
কথাটা বলেই টেবিলের ওপর রেজিগ্নেশন লেটারটা রেখে দিলাম..এতো ভালো আর সহজ চাকরি ছাড়ার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না আমার কিন্তু নিরুপায় হয়ে করতে হচ্ছে..আমার কথায় সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটার কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখতে পেলাম না..লোকটা এখনও ওদিকে ঘুরে গ্লাসের বাইরের দিকে তাকিয়ে কফি খাচ্ছে..কয়েক সেকেন্ড পর উনি ঐভাবে দাড়িয়েই বললেন…
“স্যালারি কম হয়ে গেছে সেটা মুখে বললেই হয়, অযথা এসব নাটকের কি প্রয়োজন..?”
উনি মাঝে মাঝে এরকম ঠ্যাটামি করে কথা বলেন,সেটা আমার অজানা নয়.. গত দেড় বছর ধরেই তো দেখছি ওনাকে..আমি কোনো দ্বিধা না করেই বললাম..
“আমি কোনো নাটক করছি না.. সত্যিই এই চাকরিটা আর করতে পারবো না আমি..আপনি বরং আমার জায়গায় অন্য কাউকে রেখে নিবেন আর আমাকে দেওয়া কোনো কাজ বাকি রাখিনি, বাকি রইলো আপনার নেক্সট মিউজিক ভিডিওর ব্যাপারটা, সেটার লেনদেনের ব্যাপারে আমি কথা বলে নিয়েছি ডিরেক্টরের সাথে.. টাকাও আপনার একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে গেছে, একটু দেখে নেবেন..”
“তারমানে তোমার কাজ শেষ..?”
“জ্বি..আমি আমার ভাগের সব কাজ করে দিয়েছি, আর কিছু বাকি নেই..”
উনি কফি কাপে আরেকবার চুমুক দিয়ে বলে ওঠেন…
“অ্যাজ ফার অ্যাজ আই রিমেম্বার, ২ বছরের কন্ট্রাক্ট হয়েছিলো আমাদের মধ্যে, যে এই দু বছরে তুমি জব ছাড়ার কথা বলতে পারবে না.. আর আমাদের কন্ট্রাক্ট শেষ হয়নি.. আই হোপ ইউ অলসো রিমেম্বার দ্যাট”
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললাম আমি..
“ইয়েস আই হ্যাভ রিমেম্বার এভরিথিং বাট আই হ্যাভ টু লিভ দিস জব.. তবে হ্যা আপনার সাথে কাজ করতে পেরে আমি অনেক খুশি হয়েছি..ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগটা দেবার জন্যে”
উনি কিছু বললেন না, এখনও আগের পজিশনেই দাড়িয়ে আছেন, যেনো আমার কথাগুলো উনি এক কানে ঢুকিয়ে আরেক কানে বের করে দিচ্ছেন..ওনাকে কিছু বলতে না দেখে আমি নিজেই বলে উঠলাম..
“যেহেতু আমি মাসের অর্ধেকে চাকরি ছাড়ছি তাই এ মাসের বেতন আর নেবো না..আসছি..!”
কথাটা বলেই চলে আসার জন্যে পা বাড়াতেই উনি বলে উঠলেন..
“ওয়েট মিস. রুহানি..! আমার কথা কিন্তু শেষ হয়নি..!”
থেমে গেলাম আমি, ঘুরে তাকালাম ওনার দিকে..উনিও এতক্ষণে আমার দিকে ঘুরেছেন..কফি কাপটা টেবিলের ওপর রেখে বলে উঠলেন..
” হঠাৎ এমন ডিসিশন নেবার রিজন টা কি জানতে পারি মিস. রুহানি?”
“কারণটা সম্পূর্ন আমার ব্যক্তিগত”
” ওহ রিয়েলি? তো এমন কি পার্সোনাল ম্যাটার যেটা আপনি শেয়ার করতে পারবেন না? এতটাও হেল্পলেস নিশ্চয়ই হয়ে যাওনি তুমি”
উনি কিছুটা ঝাঁঝালো স্বরেই কথাটা বললেন বিধায় আমি কিছুটা থতমত খেয়ে বললাম..
“আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আর আমার হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চায় না তাদের বাড়ির বউ কোনো প্রকার চাকরি করুক”
উনি কিছুটা অবাক হয়ে দেখলেন আমার দিকে, আমি চোখ সরিয়ে ফেললাম ওনার দিক থেকে..
” বিয়ে..? আর ইউ কিডিং উইথ মি?”
“বিয়ে কোনো মজা করার বিষয় নয়, যেটা সত্যি সেটাই বলছি..আর ২ দিন পরেই বিয়ে”
উনি এবার এগিয়ে এসে আমার মুখোমুখি দাড়ালেন, আমি আরো দু কদম পিছিয়ে গেলাম..চাকরির প্রথম দিনই উনি আমাকে বলে দিয়েছিলেন আমাদের মাঝে যেনো কথা বলার সময় দেড় থেকে দু হাত মতো দূরত্ব বজায় থাকে, এখন অব্দি সেই রুলস আমি ফলো করেছি..আজকেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না..উনি ওনার জ্যাকেটের পকেটে দু হাত গুজে বলে উঠলেন..
“বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো তোমার আর নিজের বসকে কিছুই ইনফর্ম করলে না? আজকে রেজিগনেশন লেটার সমেত এই খবর জানাতে এসেছো আমাকে?”
মুচকি হাসলাম আমি..
“এটা তো আমার পার্সোনাল ম্যাটার, প্রফেশনাল কোনো বিষয় নয় যে আপনাকে ইনফর্ম করবো..”
“ইনভাইট পর্যন্ত করলে না নিজের বসকে?”
“আমাদের বিয়ে আপনাদের মতো আলিশান ভাবে হয় না, সেখানে তো আর যাবেন না.. তাই ইনভাইট করিনি তাছাড়া চাকরি ছেড়ে দিয়েছি..আপনি না তো এখন আমার বস আছেন আর না আমি আপনার ম্যানেজার”
উনিও বাকা হাসলেন..
” তোমার নাকি টাকার খুব দরকার ছিলো তোমার ফ্যামিলির জন্যে, তোমার স্টাডিজের জন্যে..সেসব সলভ করে ফেললে এতো তাড়াতাড়ি?”
“না, সেই সমস্যাগুলো এখনও মেটাতে পারিনি..”
” তাহলে হঠাৎ বিয়ে করতে যাচ্ছো যে..? তোমার তো পড়াও শেষ হয়নি রাইট? তাহলে এই বিয়েটা কি ফ্যামিলি প্রেসার থেকে করছো নাকি কাওকে ভালোবাসো?”
“স্যার আপনি জানেন যে কোন সমস্যার মধ্যে আমি আছি, তারপরও এরকম প্রশ্ন করাটা কি বোকামি নয়?”
“ওহ, তারমানে ভালোবাসার চক্কর না”
“যাদের কাছে থাকি, তাদের একটা বড় সমস্যা লাঘব করার জন্যে করছি এটা..বলতে পারেন এই বিয়েটা একটা সমঝোতা”
“মানে..?”
কপালে ভাঁজ পড়েছে ওনার, উনি হয়তো আমার কথার মানেটা সেভাবে বুঝতে পারেনি..অবশ্য আমারও ইচ্ছে নেই ওনাকে এসব বোঝানোর..না সূচক মাথা নেড়ে মলিন একটা হাসি দিয়ে বললাম..
“কিছুনা..আমি আসছি..”
চলে এলাম ওখান থেকে..! উনি হয়তো আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, ওনার মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন ছিলো আমাকে করার মতো কিন্তু আমি সেসবের কোনো সুযোগই দেইনি..!
আমার নাম রুহানি, ২২ বছর বয়স এবং শ্যাম বর্ণের অধিকিকারিনী আমি.. লম্বায় ও আছি মোটামুটি ৫’২.. মা বাবা আর ভাইয়ের আদরের ছোটো মেয়ে ও বোন ছিলাম একসময়..কিন্তু ১০ বছর বয়সে এক অ্যাকসিডেন্টে নিজের মা বাবা ভাই সবাইকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাই আমি..তখন থেকে আমার ঠিকানা হয়েছিলো আমার চাচার বাড়ি..চাচার আর্থিক অবস্থা ততো ভালো নয় তবে উনি নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন আমাকে ভালোভাবে মানুষ করার..কমার্সের খুব ভালো ছাত্রী আমি, ভেবেছিলাম এমবিএ করে একটা ভালো চাকরি করবো কিন্তু সেটা আর করা হলো না..বিবিএ তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর চাচা অসুস্থ হয়ে গেলে চাচী কথা শোনাতে শুরু করেন আমাকে, আমার ছোটো চাচাতো ভাইবোনের পড়ালেখার খরচ যোগানো মুশকিল হয়ে যায়..তখন নিজের কথা ভুলে সংসারে হাল ধরার জন্যে চাকরি খুঁজতে শুরু করি কিন্তু পড়া শেষ না হওয়ায় দরুন কেউ চাকরি দিতে চায়নি.. পরে কোনো এক সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আরমান শাহ্ মানে আমার বসের কথা, এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছিলাম আমি..উনি তখন নতুন মডেলিং জগতে পা রেখেছেন, অল্প দিনের মধ্যেই বিশাল ফ্যান ফলোয়িং হয়ে যায় ওনার আর এখন তো উনি টপ মডেলের মধ্যে রয়েছেন.. পরে আরমান শাহ্ এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে, অনেক কষ্টে ওনার সাথে দেখা করে, রিকোয়েস্ট করে ওনার ম্যানেজার হিসেবে চাকরি পেয়েছিলাম আমি, যদিও আমাকে উনি নিতে চাননি কাজে পরে আমি নিজের সব সমস্যার কথা জানানোর পর উনি এক প্রকার দয়াই করেছিলেন আমাকে..প্রথমদিনই বলে দিয়েছিলেন কাজ পছন্দ না হলে রাখবেন না, কিন্তু সেই সুযোগ আমি দেইনি..কিছুদিন কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছিলাম নিজের যোগ্যতা, পরে উনি আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ২ বছরের কন্ট্রাক্ট করেন আমার সাথে..বেশ ভালোই চলছিলো সব, কাজটা ও সহজ ছিলো আর পরীক্ষার সময় চাইলেই আরমান আমাকে ছুটি দিয়ে দিতো..কিন্তু কদিন আগে চাচীর কাছ থেকে জানতে পারি আমরা যে বাড়িতে আছি সেটা নাকি কোন এক লোকের কাছে বন্ধক দিয়ে টাকা আনা হয়েছিলো কোনো এক কারণে..সেই টাকা এখন শোধ করতে পারবে না দেখে আমাকে ওই লোকটা তার ছেলের সাথে আমার বিয়ের কথা বলেছেন..আমার চাচীও আমার মতামত না নিয়েই নাচতে নাচতে রাজি হয়ে গেছে, ঐযে আমি তো বোঝা ওনাদের ঘাড়ে..সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার এর থেকে সহজ উপায় তো আর পাবেন না..আমার শত অনুরোধের পরও শুনলেন না কোনো কথা..একটাই কথা বললেন হয় পুরো টাকা শোধ করে দেবো নাহলে বিয়ে করতে হবে, আমি আগে এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না তখন মাত্র জেনেছিলাম..এই মুহূর্তে ২০ লাখ টাকা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব, চাচার সাথে কথা বলার পর বুঝলাম উনি নিজেই নিরুপায়.. ২ দিন ধরে অনেক ভাবলাম, যে বাড়িতে এতগুলো দিন থাকলাম, যারা আমাকে বড় করলো তাদের মাথার ওপর থেকে ছাদ চলে যাবে আর সেটা শুধু আমিই ঠেকাতে পারবো..অনেক ভাবার পর নিজের কথা ভুলে আমার বর্তমান পরিবারের জন্যে বিয়ের এই চরম সিদ্ধান্ত নিলাম..চাকরি করা যাবেনা, এই শর্তেও রাজি হয়ে আজ চাকরি ছেড়ে এলাম..বাড়ি ফিরতেই আমার চাচী কাছে এসে আহ্লাদের সুরে বলে উঠলেন..
“আরে এতক্ষণ লাগে নাকি আসতে তোর? কখন থেকে অপেক্ষা করছি..”
“কি হয়েছে চাচী?”
” তোর শাশুড়ি এসেছে, তোকে কিছু জিনিস দেবে বলে আর উনি অনেক খুশি হয়েছেন তুই বিয়েতে রাজি হওয়ায়..আচ্ছা তুই চাকরিটা..”
“আমি চাকরী ছেড়ে দিয়ে এসেছি..চিন্তা করো না..”
আমার কথা শুনে চাচি যেনো একটু বেশিই খুশি হয়ে গেলেন, আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন..আজ অব্দি ভালোবেসে কোনোদিন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেননি কিন্তু আজকে নিজের স্বার্থ হাসিল হচ্ছে বিধায় আদর উপচে পড়ছে..চুপ করে রইলাম আমি, ভাবলাম নিজের মা হলে এরকম জোড় কোনোদিন করতেন না.. আফসোস হলো নিজের ওপর..!
“এইতো লক্ষ্মী মেয়ে আমার, ভালো কাজ করেছিস..এবার সব ভুলে শুধু নিজের বিয়ের কথা ভাব..নতুন সংসার জীবনে যাবি সেটার কথা ভাব..”
যেখানে আমার সব ইচ্ছা স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে সেখানে অন্যকিছু ভাবার ইচ্ছেই নেই আমার..একটা কাঠের পুতুলের মতো সব করে যাচ্ছি আমি শুধু পরিস্থিতির শিকার হয়ে..চাচী আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন বসার ঘরে যেখানে আমার হবু শাশুড়ি বসে আছেন..ওদিকে নিজের বাড়িয়ে স্টাডি রুমের চেয়ারটায় চুপচাপ বসে আছে আরমান..সামনেই রুহির রেখে যাওয়া রেজিগ্নেসন পড়ে আছে, আরমান ছুয়েও দেখেনি ওটাকে..এক ধ্যানে বসে রুহির বলে যাওয়া কথাগুলো ভেবে যাচ্ছে আর ওই লেটারটা দেখছে..মেয়েটার কথাবার্তা আজ যেনো খুব অচেনা মনে হলো ওর কাছে..তখনই ওর বন্ধু সিফাতের আগমন ঘটে, হন্তদন্ত হয়ে এসে দাঁড়ায় আরমানের সামনে, কিন্তু ওর নজর এখনও ওই লেটারের দিকেই আটকে আছে..সিফাত আরমানের সামনের চেয়ারে বসে বলে..
” আরমান, তুই বাড়িতে..? আর আমি তোকে ফোন করে করে নিজের ফোনের ব্যাটারি শেষ করছি”
আরমান দায় সারা ভাবে উত্তর দেয়..
“আমার ফোন রুমে, চার্জে আছে”
“ওহ! কিন্তু তোর ম্যানেজার কোথায়? আমি কখন থেকে তো ওকেও ফোন করছি, কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে..”
“ওকে হঠাৎ এত ফোন করার মতো কি হলো?”
” তুই ফোন না ধরলে তো ওকেই জানাবো তাইনা? আসলে তোর মিউজিক ভিডিও শুট সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হবে..এই সপ্তাহে হবেনা সেটাই জানানোর ছিলো”
আরমান কোনো উত্তর দিলো না..অন্যমনস্ক হয়ে আছে কিছুটা..সিফাত কিছুটা অবাক হয় রুহিকে না দেখে কারণ সময়মতো রুহি রোজ এলেও আজকে ওর দেখা নেই..
“তোর ম্যানেজার কোথায়? এই সময় তো তোর সাথেই থাকে..কিন্তু আজকে তুই বাড়িতে বসে আছিস আর তোর ম্যানেজারের কোনো দেখা নেই, ফোন ধরছে না..”
“রুহি জবটা ছেড়ে দিয়েছে..”
আরমানের কথায় অবাক হয়ে যায় সিফাত..
“কিহ..! জব ছেড়ে দিয়েছে মানে? ও কি কন্ট্রাকের কথা ভুলে গেছে নাকি? এখন এতো আর্জেন্টলি তোর জন্যে ম্যানেজার পাবো কোত্থেকে?”
সিফাত টেবিলের ওপর পড়ে থাকা খামটা খুলে দেখল এবার, সত্যিই রুহি চাকরি ছেড়ে দিয়েছে..আরমান চেয়ার থেকে উঠে দাড়ায়, কিছুটা চিন্তিত স্বরে বলে ওঠে..
“আই থিঙ্ক.. ওর কোনো একটা প্রবলেম হয়েছে”
“তুই রুহানির প্রবলেমের কথা ভাবছিস? আমি ভাবছি তোর জন্যে ম্যানেজার আনবো কোত্থেকে এখন? রুহানি ওয়াজ ভেরি লয়াল, এখন এরকম কাওকে…
“সিফাত তুই অভার রিয়্যাক্ট করা বন্ধ কর, দরকার পড়লে তুই কিছুদিন না হয় আমার ম্যানেজারের কাজটা করে নিবি, এমনিতেও তো ওয়েস্ট করার মতো অনেক টাইম আছে তোর কাছে”
“কিন্তু আরমান, আমি কিভাবে করবো? রুহি যেভাবে যেকোনো বিষয় হ্যান্ডেল করতো সেটা আমি পারবো না তাছাড়া তুইও তো কতো ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গেছিলি ওর ওপর”
“আই নো..! আচ্ছা তুই কি বললি এই উইকে ভিডিও শ্যুট হবেনা তাইতো?”
“হ্যা..নেক্সট সপ্তাহের ডেট দিয়েছে..”
“গ্রেট..! তাহলে এক কর..রুহির বাড়ি যা, ইনভেজটিগেট কর..ওখানে কি চলছে সব জেনে তারপর আমাকে ইনফর্ম করবি.. আই ওয়ান্ট টু নো ইচ এন্ড এভরিথিং অ্যাবাউট হার ওয়েডিং”
” কিন্তু কেনো? এসব জেনে তোর কি লাভ হবে?”
“জাস্ট ডু হোয়াট আই সে..”
সিফাত আর কথা বাড়ালো না, আরমানের কথায় রাজি হয়ে গেলো, যদিও আরমানের এই কিউরিওসিটির কারণ সম্পর্কে এখন অব্দি অবগত নয় সিফাত, ও বেরিয়ে আসে ওখান থেকে..এই মুহূর্তে আরমান জানার জন্যে উদগ্রীব হয়ে আছে রুহি কেনো হুট করে বিয়ের জন্যে রাজি হলো?
চলবে