#উপসংহার
#পার্টঃ৩
#জান্নাতুল কুহু (ছদ্মনাম)
—অনেক তো পড়লি। আর পড়তে হবে না। তোর বিয়ের কথা ভাবছি আমরা। অনার্স পর্যন্ত পড়েছিস অতটুকুই যথেষ্ট। অতো পড়ে কি করবি? যদি তোর কোন পছন্দ থাকে তো বল। যদি কম খরচে যাতে সব মিটে যায়।
শ্রাবণী আকুতির স্বরে বলল,
— মা অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষাটা কেবল দিলাম। মাস্টার্সটা করতে দাও। নাহয় বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে দাও। যদি হয়ে যায় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আমি সরকারি চাকরি করবো। অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে
শরিফা অসন্তুষ্টির সাথে বলল,
— নিজের ভাবনাতে লাগাম দে। এতো দূর পর্যন্ত ভেবেছিস যে আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করেছিস একবারও? আর আমরা যে এখনো এতোদিন তোকে পড়াবো সেটাই বা ভেবে নিলি কিভাবে?
কান্নাগুলোকে নিজের ভিতরে জোর করে আটকে রেখে শ্রাবণী বলল,
—আমাকে আর পড়তে দিবা না তোমরা?
—না। এমনিতেই কম ঝামেলা করিসনি আমাদের জীবনে। আর ঝামেলা করিস না তো। তোকে এতোদিন যে তোর বাপ পড়িয়েছে সেটাই তো অনেক। আর ঝামেলা আনিস না আমাদের জীবনে। যদি কোন পছন্দ থাকে তো বলিস। যৌতুক টৌতুক ছাড়া হয়ে গেলে তো ভালোই।
শরিফা কথাগুলো শেষ করে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। শ্রাবণী অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। স্বপ্নগুলোর বিসর্জন এভাবে দিতে হবে? বিয়ের পরে যে পড়াশোনা আর হবে না সেটা একটা বাচ্চাও বুঝবে। সমাজের প্রেক্ষাপটে যদিও বা স্বামীর সহযোগিতা পাওয়া যায় কিন্তু শশুরবাড়িতে ঝামেলা করে কতদিন লড়াই করবে? আর শশুরবাড়িতে ঝামেলা করেওবা কি লাভ? দিনশেষে সেখানেই থাকতে হবে। শ্রাবণী কোন কূল-কিনারা খুঁজে পেলো না। ওড়না দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে পাশের ঘর থেকে মৃদু স্বরে মায়ের আক্ষেপ শুনতে পেলো।
— কত শখ ছিলো আমার আর হেমার বাপের! প্রথমটা একটা ছেলে হবে। আর পরেরটা একটা ফুটফুটে মেয়ে। কত তাবিজ-কবজ, তেল, পানি পড়া খেলাম ছেলের জন্য। কিন্তু পোড়া কপাল। মেয়ে হলো প্রথমটা। ছেলে হলে আমাদের জীবনে এতো কষ্ট হতো না। এতো দিনে মাথা গোজার মতো নিজেদের একটা ছাদ হতো। পায়ের উপর পা তুলে থাকতাম।
একটু থেমে আবার বলল,
—এখন ছোটটার সাথে সাথে বড়টার বিয়েতেও খরচ করা লাগবে! ছেলেটা থাকলে ছেলে ইনকাম করে খাওয়াতো। এখন যখন বিয়ের কথা বলা হচ্ছে তখন আরো পড়তে চায়! এতো পড়ে হবেটা কি? আমাদের ইনকাম করে খাওয়াবে? সব টাকা তো শশুরবাড়িতেই যাবে। পড়তে হলে শশুরবাড়ির টাকায় পড়ুক গা।
শ্রাবণী কথাগুলো শুনে মনের ভিতরে উঁকি দেয়া প্রতিবাদী সত্তাটাকে ওখানেই শেষ করে দিলো। আসলেই কি লাভ এতো পড়ে? শুধু চোখগুলো বারণ মানলো না।
—ম্যাডাম অঙ্ক শেষ।
শ্রাবণী আট বছরের পুরানো স্মৃতিচারণ বন্ধ করলো। সামনে তাকিয়ে দেখলো একটা ছেলে খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটার অঙ্কগুলো দেখে দিলো। আনমনে চোখের কোনে হাত দিয়ে দেখলো চোখ শুষ্কই আছে। ভেজেনি। ক্লাসের বাকিদের খাতা দেখে, বাড়ির কাজ দিয়ে ছেড়ে দিলো।
পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়েছে। বেলা অনেকটা ছোট হয়ে গিয়েছে। শীত আসছে। সব ছাত্র-ছাত্রী বের হয়ে গেলে শ্রাবণী ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো। টানা তিনটা ব্যাচ পড়িয়ে আর শক্তি অবশেষ থাকে না। ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে বাজারে আসলো। আব্বার জন্য ফলমূল কিনতে হবে। হাতে টাকা নিতান্তই কম। কিন্তু ডাক্তার বলেছিলো তাজা ফলমূল,ভিটামিন-সি খেতে। ব্যাগের ভিতর থেকে পার্সটা বের করতেই একরাশ চিন্তা ভর করলো। টাকার হিসাব মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সে। স্ট্রোক করে বাবার বাম পাশ অবশ। খানিক বল পায়। থেরাপি দেয়া লাগে প্রতি মাসে। এ মাসে থেরাপির খরচ, বাড়ির ঋণ, ডিপোজিটে জমা সব টাকার ব্যবস্থা হবে তো? মাস শেষে কি হবে সেই চিন্তা আপাতত ঝেড়ে ফেলে ফলের ভ্যানের দিকে মনোযোগ দিলো। কমলা,আপেল, আঙ্গুর এগুলোর দাম শুনে মাথায় হাত দেয়ার জোগাড়! তবুও একটু একটু করে সবগুলোই নিলো। টাকা দিয়ে চোখ জোড়া একটা ঝালমুড়িওয়ালার দিকে চলে গেলো। সেই সাথে মনের চোখের সামনে ভেসে উঠলো মেঘলা একটা দিনের কথা।
লাইব্রেরিতে বসে একটা ঝালমুড়ি দুজন মিলে ভাগ করে খাওয়া! আর তার খাওয়ার দিকে সেই মানুষটার মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকা….
— ওভাবে আমার খাওয়া দেখছো কেন? আচ্ছা লোভী ছেলে তো তুমি! ওভাবে তাকিয়ে থেকেও লাভ নেই। আমি দিবো না।
মুচকি হেসে বলেছিলো,
— লোভী তো বটেই। তবে ঝালমুড়ির উপর না। তোমার এই খাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য লোভী। সামান্য ঝালমুড়ি দেখে তোমার চোখে খুশি ঝিলিক দিয়ে ওঠে তা দেখার জন্য আমি বার বার এই লোভী বিশেষণে বিশেষায়িত হতে রাজী।
লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নেয় সে। তার সাহস হয়ে উঠে না এই মুগ্ধ চোখ জোড়ার দিকে তাকিয়ে থাকার। অপর দিকে ফিরে শুনতে থাকে তার কথাগুলো।
— জানো পারলে আমি একটা ঝালমুড়ির ঠেলা নিয়ে বসবো। বর্ষাকালের প্রতিটা দিন এক বর্ষণকন্যার জন্য আমি ঝালমুড়ি বানাবো। সে যতবার খেতে চাইবে আমি তত বারই বানিয়ে দিবো৷ কিন্তু শর্ত থাকবে আমার সামনে বসেই খেতে হবে।
আর কোন কথা না শুনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে শ্রাবণী দৌড় দেয়।
—আরে ঝালমুড়ি তো নিয়ে যাও!
উপেক্ষা করে পিছনের ডাককে।
—আপা এই যে ফল।
শ্রাবণী দোকানদারের কাছ থেকে ফলের প্যাকেটটা নিয়ে হাঁটা শুরু করে। কিন্তু এবার আর ঝালমুড়িওয়ালার ডাককে উপেক্ষা করতে পারে না। সামনে চলার পথের পথিক হয়েও দ্বিতীয়বার ঘুরে তাকায় ঝালমুড়িওয়ালার দিকে। অনেকদিন যাবত ঝালমুড়ি খায় না সে। রুচি হয় না আর!
,
,
,
?
হেমা বিছানায় উপুর হয়ে এক বান্ডিল কাগজ নিয়ে শুয়ে আছে। কাগজগুলো দামী। সাদা, মসৃণ। এই কাগজ সব কাজে ব্যবহার করে না। কেবল চিঠি লেখার কাজে ব্যবহার করে। আজকে তিনটা কাগজ সে নষ্ট করে ফেলেছে। কেন জানি যে চিঠিটা লিখছে সেটা মন মতো হচ্ছে না। মনটা হয়তো বিক্ষিপ্ত। কাগজের এক কোণে ৪৪১ লিখলো। এটা ৪৪১ নাম্বার চিঠি। অনেকগুলো বছর ধরে চিঠিগুলো লিখছে। কখনো সপ্তাহে একটা, কখনো দুইদিনে একটা। যখন যেভাবে মন চেয়েছে সেভাবে লিখেছে। কখনো দুই লাইনের চিঠি কখনো বা দুই পৃষ্ঠার।
হঠাৎ খেয়াল করলো মুখের একপাশে বিকালে রোদ এসে লাগছে। সামন্য বিরক্তি আসলেও একটু পরে বুঝলো একটা আরামদায়ক উষ্ণতাবোধ হচ্ছে। লেখায় মনোযোগ দিলো।
আমার শেষ বিকালের রোদ,
আচ্ছা তুমি জানো কেন আমি নামবিহীন চিঠি লিখি? তোমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিগুলোতে আমি কখনো তোমার নাম দিই না। নামবিহীন চিঠি লেখার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। কখনো প্রাপক বদলে গেলেও সে বুঝবে না এগুলো তার উদ্দেশ্যে না অন্য কারোর উদ্দেশ্যে লেখা। ধরো একটা মেয়ে দিনের পর দিন একটা ভুল ঠিকানায় তার চিঠিগুলো পাঠাচ্ছে। আর যে চিঠিগুলো পাচ্ছে সে ভাবছে চিঠিগুলো তার উদ্দেশ্যেই লেখা। সে মনে মনে খুশি হচ্ছে। কিন্তু সে জানে না আসলে এগুলো তার উদ্দেশ্যে না। এর মধ্যে খানিক নিষ্ঠুরতাও আছে। যখন প্রাপক জানবে এগুলো তাকে উদ্দেশ্য করে না তখন মন ভেঙে যাবে। তবে এতে আমার ততটা সমস্যা নেই। যদি পায়েসের মধ্যে এক চিমটি লবণ না থাকে তাহলে পায়েসের মিষ্টতা বসে না। একজনের কষ্টটা আমার মিষ্টি গল্পের লবণ হয়েই নাহয় থাকুক। কি আমাকে খুব খারাপ মেয়ে মনে হচ্ছে? মনে হলেও কিছু করার নেই। আমি আসলে এমনই।
আচ্ছা আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছো? আমি আজ “শেষ বিকালের রোদ” দিয়ে চিঠিটা শুরু করেছি। কারণটা বলতে পারবা? আমি তোমার উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো।
জানো আমার একটা ইচ্ছা আছে। গোপন ইচ্ছা। গোপন বলে আবার নিষিদ্ধ কিছু ভেবে নিও না। ইচ্ছাটা আমার একান্তই নিজের। তবে একজন সঙ্গী নিতে পারবো। যদি তুমি ভেবে থাকো তুমিই সেই সঙ্গী তাহলে তুমি ঠিক ভাবছো। বর্ষা আমার অনেক পছন্দের জানো? জানার কথা না। কারণ তোমাকে আগে কখনো বলিনি।
বৃষ্টি ভেজা একবিকালে নৌকায় বসে ভিজতে চাই। আলতা-রাঙা পা ডুবিয়ে রাখতে চাই হাওড়ের পানিতে আর সাথে একগুচ্ছ কদমফুল। নৌকাতে কেবল একজনেরই জায়গা আছে। সেই একজনটা? সেটা তুমিই বরং ভেবে নাও। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে সব অপ্রাপ্তিগুলোকে হাওড়ের পানিতে বিসর্জন দিবো। আর একগুচ্ছ কদমের মতো যা আমার প্রাপ্তি ছিলো আবার তা নিয়ে আমি বাড়ি ফিরবো।
আজব ইচ্ছা না? আমি মানুষটাই খানিক আজব। ইচ্ছাগুলো তো আজব হবেই। আর শুনো তোমার চুলগুলো এলোমেলোই ভালো।
ইতি
হেমা
চিঠিটা ভাজ করে হেমা আনমনে বাইরে তাকালো। হঠাৎ চমকে উঠলো। শেষের লাইনটা আনমনে লিখে ফেলেছে। চিঠিটা খুলে আবার পড়ার মনে হলো এই চিঠিটাও ভালো হয়নি। ছেড়ার আগে বাসার দরজায় ধাক্কা শুনতে পেলো। নিশ্চয়ই আপা এসেছে। হেমা তাড়াতাড়ি চিঠিটা খামে ভরে বাকি ৪৪০ টা চিঠির সাথে রেখে কাপড়ের ড্রয়ারে বক্সটা লুকিয়ে রাখলো।
মাথায় উড়নাটা টেনে নিয়ে বাইরে এসে দেখলো আপা এসেছে। পিছন পিছন রফিক এসেছে। রফিক এখন পাশের এলাকাতে থাকে কিন্তু একসময় তাদের বাসার চারটা বাসা পরে থাকতো। বেশিদিন না ছয়মাস মতো ছিলো। এরপর রফিকের আব্বা মোতাহার চাচা পাশের এলাকায় নিজের বাড়িতে উঠে যায়। রফিক এরপরও এদিকে আসতো। তাদের পাশের বাড়ির ছেলেটাকে প্রাইভেট পড়াতো। হেমার থেকে রফিক বয়সে বড় আর শ্রাবণীর থেকে ছোট। হেমা রফিক ভাই বলেই ডাকে। রফিককে এই সন্ধ্যাবেলাতে দেখে খানিক অবাক হয়েছে। রফিকের হাত থেকে প্যাকেটগুলো নিয়ে শ্রাবণী হেমার হাতে দিয়ে বলল,
—তুই রান্নাঘরে যা। রফিক তুমি বসো। চা না খেয়ে যাবা না।
হেমা রান্নাঘরে এসে চাপা গলায় জিজ্ঞেস করলো,
— রফিক ভাই কেন এসেছে এই সন্ধ্যাবেলা?
— আরে এই ফল আর এসব প্যাকেট অনেক ভারী। ঐ মোড় থেকে আসার সময় রফিকের সাথে দেখা হলো। ও জোর করে এগুলো আমার হাত থেকে নিয়ে আসলো।
হেমা বিরক্তির সুরে বলল,
— তুমি বসতে বললে আর ওমনি বসে গেলো?
শ্রাবণী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—ওমা বসতে বলবো আর ও বসবে না?
—এটাকে হ্যাংলামো বলে। সবাই তো আদবকেতা করে বসতে বলে। তাই বলে সবার বাসায় বসে এভাবে চা নাস্তা খাবে?
শ্রাবণী ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,
—এভাবে কথা বলছিস কেন? সবাই আর আমরা এক হলাম? আমাকে কত শ্রদ্ধা করে ছেলেটা।
হেমা কোন উত্তর দিলো না। নাস্তা নিয়ে রফিকের কাছে গেলো। রফিকের মুখটা দেখে হেমার বিরক্তিগুলো করুণাতে রূপান্তরিত হলো। মুখের রোদের দাগ স্পষ্ট। দেখে মনে হচ্ছে দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি। হেমা দাঁড়িয়ে থাকলো হয়তো রফিক তাকে কিছু বলবে সেই উদ্দেশ্যে। কিন্তু রফিক কিছুই বললো না। হেমা আবার বিরক্তি নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় রফিক ডেকে উঠলো। ব্যাগের ভিতর থেকে একটা প্যাকেট বের করে হেমার সামনে ধরলো।
বলল,
— তোমার কাগজ আর খাম। আগের দিন দোকানে গেছিলে। না টাকা ছিলো না বলে না কিনেই চলে এসেছিলে। তাই!
হেমার মেজাজ চট করে খারাপ হয়ে গেলো,
— আপনাকে মাতব্বরি করে কে আনতে বলেছে? আর দোকানের সব খবর আপনি রাখেন নাকি?
রফিক হালকা হাসলো। হাসি দেখেও হেমার মেজাজ ঠিক হলো না। বলল,
—দোকানটার অবস্থা করুন হলেও ওটা আমার বাবার দোকান৷ খোঁজ খবর রাখতে হয়। আর প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর তুমি কাগজ আর খাম কিনো। এবার অনেক দিন পার হয়ে গেছে।
— বাহ দিন তারিখের হিসাবও রাখছেন দেখছি! দেন প্যাকেট দেন। আমি টাকা নিয়ে আসছি।
হেমা চিড়বিড় করতে করতে ঘরে গেলো টাকা আনতে। রফিকের সাথে আজ প্রায় একমাস পরে দেখা হয়েছে। কেমন আছে না আছে সেটা জিজ্ঞেস না করে প্যাকেট এগিয়ে দিচ্ছে। হেমা টাকা নিয়ে বসার ঘরে গিয়ে দেখলো রফিক চলে গেছে। হেমার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো। কি মনে করে সে নিজেকে? টাকা না নিয়ে চলে গেলো কেন? টাকা না নিয়ে কি দয়া দেখিয়ে গেলো? হেমা আপন মনে কথাগুলো আওড়াতে আওড়াতে শ্রাবণী হাসি মুখে ঘরে ঢুকলো। হেসে বলল,
—এই রফিক ছেলেটাকে কতদিন ধরে দেখছি।আজও চুল আচড়ে রাখার অভ্যাসটা হলো না। এখনো ছোটবেলার অভ্যাসই আছে।
হেমা চমকে উঠলো শ্রাবণীর কথা শুনে।
(চলবে)