শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::4,5

0
1776

#শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::4,5
#natasa_islam_muntaha
#part::4

??
?

এনি:হুম এটা আগেই করা উচিত ছিল আহাদ শুধু আমার সে শুধু আমায় ভালোবাসে ,,,,,,তুই কিচ্ছু না
আহিবা এখনও ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে ..এনি কিছু না বলে নিজের রুমে চলে যায়

আহিবা খাটের উপর ধপ করে বসে পরে ,,,পাশে থাকা ফোনটা বেজে ওঠে প্রথম একবার বেজে সেটা অফ হয়ে যায় আবার পুনরায় বাজতে শুরু করে এক গাদা বিরক্ত নিয়ে আহিবা ফোন এর দিকে তাকায় তার মা ফোন দিয়েছে তাকে

আহিবা ফোনটা রিসিভ করে কানের কাছে নেয়

আহিবা :মা
মা:কি রে কি করছিলি
আহিবা:কিছু না আচ্ছা মা কোনো মেয়ে যদি বিয়ের পরই তার বাবার বাড়ি চলে আশে আর সেখানে যদি তার ছোট বোনরা থাকে তাহলে এলাকার মানুষ ঐ মেয়েটাকে কেমন চোখে দেখে ,,নিশ্চই ভালো ভাবে দেখে না কারন তখন সে অপয়া হয়ে যায় তখন ,,,কেমন মেয়ে সেই প্রশ্ন উঠায় সমাজ ,,তাইনা আর সেই পরিবারটা যদি নিত্যান্তই মধ্যবিত্ত হয় তবে ,,পরিবারের মানুষ গুলোকেও তার জন্য কষ্ট পেতে হয় মেয়েটা সম্পূর্ন তাদের কাছে বোঝা হয়ে দারায়,,ঠিক বল্লাম না মা
মা:তা ঠিক আছে কিন্তু কেন মা এমন কথা বলছিস তুই কি কষ্টে আছিস জামাই কি কিছু বলছে
আহিবা: আরে না না সে কিছু বলে নি আমাদের পাশের বাসায় একজন এর মেয়ে বিয়ের পর বাসায় চলে এসেছে তো তাই
মা:কেমন মেয়ে যে স্বামীর সংসার করতে পারে না .

আহিবা কিছু না বলে একটু চাপা হাসি হাসলো

আর কিছু কথা বলে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেয় সে

?
এটা হচ্ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ,,যেখানে বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি যা কিছুই হোক না কেন ,,মেয়েটা যদি বাবার বাড়ি চলে আসে তবে সমাজ তাকে কোন ঠাসা করে দেয় ,,একটা বার ও ভাবে না কেন হলো এমন কেন ঐ মেয়েটা স্বামী বাড়ি থেকে চলে এলে ,,,সবাই তো এটা বলে মেয়েটা অপয়া ,অশুভ ,তার মুখ দেখে কোনো কাজে গেলেও নাকি সেটা সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় না ,তার মুখ দেখলে নাকি সারাটাদিনই খারাপ কাটে ,,আবার এখানে আহিবা আর এনি দুই বোন কিন্তু তারা ফুপাতো ,,এমন অনেক জায়গাতেই আছে এক সংসারে আপন দুই বোন সেটা হতে পারলে এটা পারবে না কেন ,,আমি ছোট আমি জানি আমার ঙ্গান ও সীমিত ,,তাও জানি …আচ্ছা যাক এটা কথা না ,,,আসল কথা হলো একটা মেয়ের নামের আগে ডিভর্সী আনা কি এতো টাই সহজ ..আচ্ছা কজন মানুষ আছে যারা তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করে ,,এর থেকে হাজার কষ্ট পেয়েও স্বামীর বাড়ি পরে থাকলেও শান্তি আছে কেন জানেন সমাজ এর মানুষ আপনাকে অন্তত্য অবয়া অলক্ষি অপবাদ দিবে না ,,শারীরিক কষ্ট আর মানষিক কষ্ট অনেক কঠিন শরীরিক কষ্ট একটু হলেও সওয়া যায় কিন্তু মানষিক কষ্ট মানুষকে শেষ করে দেয়
?

আহিবা উঠে রান্না ঘরে চলে যায়

আহিবা:সুমি আপু কোথায় ?
সুমি:আম্মে হের কথা মোর ধারে কেন জিঙান ঐ তো একটা সয়তান এর সঙ্গি গেছে যানি কোম্মে নাচতে নাচতে কি জানি ,
আহিবা:তুই এমন কেন বলিস সে তো তোর ম্যাডাম হয়
সুমি:আম্মে কি মোরে ও আম্মের নাহান পাগল পাইছেন মুই ছোট হইতে পারি কিন্তু আম্মের নাহান না
আহিবা:কেন আমি কি করলাম
সুমি:আম্মে আম্মের জামাইরে হেরে বিয়া কইরা আনতে দিলেন কেন ….ঐ বেডিও বা কেন আইলো এই বাড়ি
আহিবা:আহ সুমি ছোট আছো তাই থাকো
সুমি :হয় হয় সত্যি কথা কইছি তো কেই লাইগাই রাগ লাগে মুই হইলে জামাইরে ঠ্যাগ বাইঙ্গা ঘটে হালাইয়া লাগলে পঙ্গু পালতাম তবুও হেরে ২য় বিয়া করতে দিতাম না .
আহিবা:যা গিয়ে নিজের কাজ করতো আমায় রান্না শেষ করতে দে

সুমি ভেগছি কেটে চলে যায় আহিবা ভাবে সুমি বেশী হয়ে ১১ কি ১২ বছরের একটা মেয়ে অথচ তার কত চিন্তা জামাই নিয়া …যদিও এক সময় তার ও ছিল কিন্তু এখন আর নেই যাক সে কথা ভেবে আর কষ্ট পেতে চায় না সে,,,
এর মধ্যে সুমি হাতে ফোন নিয়ে আসে

সুমি:আফা বড় ম্যাডামে ফোন দিছে (আহিবার শাশুরী )

আহিবা তারাতারি করে ফোনটা হাতে নে সালাম দিয়ে কথা বলা শুরু করে

আহিবা:আম্মু আপনারা ভালো আছেন আর আপু কেমন আছে
শাশুরী:——-
আহিবা:আম্মু তাহলে আপনাদের আসতে হবে না …আর চিন্তা করবেন না আমি সামলে নিবে সংসারটা তো এখন আমারই তাই না ,
শাশুরী:———
আহিবা:মা দোয়া করুন ,,আর আপুর দিকে খেয়াল রাখবেন আপনার ছেলে অফিসে এখনও আসে নি বাসায় আমি বাসায় এলে ফোন দিতে বলবো
শাশুরী:——–
আহিবা:আচ্ছা আম্মু আল্লাহ হাফেজ

আহিবা:সুমি ফোনটা নিয়ে রাখ তো

,,এর মধ্যে দরজার বেল বাজতেই আহিবা ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে গিয়ে দরজা খুলে দেয় …দেখে এনি দারিয়ে আছে তবে তার মুখ রাগে লাল হয়ে আছে আহাদ ও তার সাথেই আছে আহিবা সাইট দিতেই এনি গট গট করে নিজের রুমে চলে যায় আহাদ এসে সোফায় বসে নিজের জুতা খোলে আর সুমির কাছে পানি চায় আহিবা সেটা এনে দেয় সুমি কাজ করছিল এর জন্য

আহিবা:আপনননাকে একককটা কককথথথা বলললার ছছছিললল
আহাদ:কি বলবা ,,যাতে তোমায় নিয়েও আমি বাহিড়ে যাই নিয়ে ঘুড়ি শোনে এটা স্বপ্নেই দেখো বাস্তব হবে না কখনও আর আমি সুমির কাছে পানি চেয়েছি তুমি দিছো কেন ,,বউ সাজতে এসেছো তাই না
আহিবা:নননা ননননা আসসসললে
আহাদ:চুপ যাও সামনে থেকে

আহিবা আহাদ এর কথায় কেপে ওঠে তাই আর কথা না বাড়িয়ে রান্না ঘরের দিকে চলে যায়
আহাদ ও নিজের রুমে যায়
রুমে যেতেই

এনি:তুমি ওকে ডিভোর্শ দিচ্ছো কবে
আহাদ:এতো তারাতরি উকিল ডিভোর্সের জন্য কোনো এপলাই এক্সসেপ্ট করবে না আন্তত এক মাস লাগবে তার পর আরো ৩ মাস মোট চার নাস পর ডিভোর্স হবে
এনি আহাদ কে জড়িয়ে :আমার ভয় করছে যদি ও তোমায় আমার থেকে কেরে নেয়
আহাদ:হুহ বল্লেই হলো আমি তোমাকে ভালোবাসি ওকে না
এনি :হু জানি কিন্তু তবুও ভয় করে
আহাদ :আরে বাদ দাও তো আর তো ৪ মাস ওটা দেখতে দেখতে চলে যাবে
এনি:হুম

আহিবা রান্না শেষ করে টেবিল সাজিয়ে গোছল করতে চলে যায় সুমিকে বলে তাদোর ডেকে খাবার দিতে

সুমিও তাই করে

আহিবা গোসল শেষ করে নামায পরতে দারায় এর মধ্যে এনি একবার তাকে কিসের জন্য জানি ডাক দেয় কিন্তু এটা আহিবার অজানা কারন সে নামায পরছিল আহাদ এসে আহিবার রুমের সামনে থমকে যায় আহাদ এর মুখ আপনা আপনিই হা হয়ে যায় তার এই কয়দিনকে কখনই আহিবার দিকে ঠিক করে তাকানো হয়নি আহিবা সুন্দরী না হলেও উজ্জল শ্যামলা বর্নের একটা মেয়ে সাওয়ার নিয়েই নামাজে বসার জন্য মুখটা খুব সচ্চ দেখাচ্ছে প্রচুর গরম হয়তো তারাহুরার জন্য রুমের ফ্যান চালিয়ে নামাযে দারানোর কথা হয়তো মনে ছিল তা আহিবার নাকে ঠোটেঁর নিচে কপালে ঘাম স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যা আহাদকে টানছে খুব করে টানছে আহাদ আস্তে করে গিয়ে রুমের ফ্যানটা চালু করে দেয় ,,আহিবা সালাম ফিরিয়েই আহাদ দেখপ হকচকিয়ে ওঠে

আহিবা ;আপপনি কককিছছছু বললববেন
আহাদ:না মানে হ্যা আর তুমি আমার সাথে কথা বলতে গেলে এমন তোতলা মানুষপর মতো তুতলিয়ে কথা বলো কেন আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক
আহিবা:আসসলে তেমমন ককিছু না
আহাদ:next time যদি দেখি আর তুতলিয়েছো তাইলে ঠাঠিয়ে গালের চামড়া হাতে দিয়ে দিবো
আহিবা :এ্যা ?
আহাদ:এ্যা না হ্যা মাথায় ঠুকিয়ে নাও

আহাদে কিছু না বলে উল্টো দিকে ফিরে মুচকি হাসি দিয়ে রুমে চলে যায় যেটা আহিবার চোখ এড়ায় না

আহিবা :আপনি বাঘ ভাল্লুক না তার থেকেও অনেক ভয়ংকর আর আপনার থেকেও মারাত্নক ভয়ংকার আপনার ঐ ঠোটেঁ হাসি যেটা যে কাউকে মেরে দিতে পারে মনে মনে বলে তারপর আবার নিজেকেই নিজে বকে

আহিবা :ছিহ কি সব বলছিস সে তোর না ,না তোর ছিল ,,আর না থাক ,,, ,না না কি বলছি এটা সে আমার থাকবে তাকে আমি হাড়াতে চাই না সে আমার থাকবে …একার না থাক তবুও তার নামের সাথে তো আমার নামের অস্তিত্ব আছে এটাই অনেক এটা ভেবেই সারা জীবন পার করে দিতে পারবো

তারপর আর কথা না বাড়িয়ে নামাযের মোনাজাত শেষ করে উঠে সুমিকে নিয়ে খেয়ে নেয়

খাওয়া শেষ করে সব কিছু ঘুছিয়ে রুমে চলে আসে আর এসেই দেখে আহাদ আগেই রুমে বসে ছিল
আহিবা:আআপনি কিছু বলবেন
আহাদ:কেন রুম কি তোমার নাকি
আহিবা,:না মানে
আহাদ:চুপ করো ,আমি একটা কথা বলার জন্যই এখানে এসেছি নহলে এই রুমে আশার প্রয়জন ছিল না
আহিবা:জানি
আহাদ:ভালো আসলে আমি আজ উকিল এর কাছে গিয়েছিল আমাদের ডিভোর্শের জন্য
আহিবার বুকের ভিতর কেপে ওঠে পায়ের নিচ থেকে তার মাটি সরে যায়
আহিবা:মাননে কার ডিভোর্শ
আহাদ:তোমার আর আমারটা
আহিবার চোখ গড়িয়ে টুপ টুপ কটে পানি পরতে থাকে …
আহিবা:এটা না করলেই নয়
আহাদ:মানে কি বলতে চাও
আহিবা:আমি তো আপনার কাছে কোনো অধিকার চাইনি তবে কেন ,,,,,

চলবে,,,,,,

[আশা করি আজ যতেষ্ট খোলশা করতে পেরেছি আহিবাকে কেন সরাচ্ছি না ]

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::5

??
?
আহিবা:আমি তো আপনার কাছে কোনো অধিকার চাইনি তবে কেন ডিভোর্চ দিতে চাইছেন ,,,আপনি কি চান বলুন আপনার আর আমার সম্পর্ক বাবা জানুক ,,আমার বাবা হার্ডের রুগী হয়তো এটা জানলে সে আর বাচবেই না ,,আপনার বাড়িতে আমি তো বউ এর অধিকার চাইনি শুধু থাকতে চেয়েছি ..আমি তো আপনার আর আপুর কোনো কিছুতেই নাক গলাই না …তবে কেন …

আহাদ চুপ করে আহিবার কথা শুনছে এখানে তো আহিবার কোনো ভুল নেই সে তো সব কিছুই পরিস্থিতীর চাপেই করেছে

?

আহিবা:আমি চলে যাই এখান থেকে তখন আপনি আমার পরিবার আপনার পরিবারকে পারবেন তো সামাল দিতে ..কারন আমি এখন হাজার চাইলেও সবার সাথে মিলতে পারবো না কারন আমার নামের আগেই ডিভের্শি যোগ হয়ে যাবে ..প্রতিটা পদে পদে অপমান হতে হবে বাবা মা কে আর বোনকে বিয়ে দিতে গেলে সবাই আগে বলবে তার বড় বোন একজন ডিভোর্শি …সে সব সময় আমায় দোষ দিবে না …এক কাজ করতে পারতাম যদি না এতে আল্লাহ অখুশি হতেন তবে আত্তহত্যা করা যেতো কিন্তু এটা যে ঘোর পাপ ..এটাতে আমি না পাবো জানাজা আর না পাবো পরোকালে শান্তি …বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িই একটা মেয়ের জন্য সব থেকে মুল্যবান …স্বামীর আদেশ মূল্যবান আমি তো মেনেছি সব আদেশ মেনেছি তবে আপনাদের এতো সমস্যা কেন ,,বিয়ের রাতে একটা মেয়ে হাজার স্বপ্ন তার চোখে বুনে রাখে সেই সব কিছু বলি দিয়ে আপনার বলা সেই দিন দ্বিতীয় বিয়ের কথা কই তাও তো আমি মেনে নিয়েছি …একটা বার ও প্রতিবাদ করি নি আমি …একটা বার ও না এমন কি বিয়ে করে বউ নিয়ে এসেছেন তার জন্য যা যা দরকার সব করেছি তবুও কি এখানে থাকার অনুমতিটা আমার নেই ..কেন বলতে পারেন ….স্তযি বলতে এখানে যেমন ই থাকি না কেন আমি নিশ্চিন্ত আছি বাহিরে গেলে শিয়াল কুকুরের মতো মানুষ নামে নর পিচাশ গুলো ছিরে খাবে নয়তো শকুনি নজর দিয়ে গিলে খাবে …

আহিবা আহাদ এর সামনে বসে তার পা ধরে কেদে দেয় ?আহিবা:দয়া করে এতো বড় সাস্তি দিবেন না আমি কখনই আপনার কাজে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে যাবো না

আহাদ আস্তে করে আহিবার সামনে বসে পরে

আহাদ:পা ছারো আহিবা …তোমার কোথাও যেতে হবে না এখানেই থাকবে তুমি কাজের মানুষ হতে হবে না তুমি তোমার নিজের পরিচয় থাকবে ..আমাদের মধ্যে কি আছে না আছে সেটা না হয় আমরাই জানলাম …তবুও তোমার বাহিরে যেতে হবে না …আমি চাইনা কেউ তোমার দিকে কোনো শকুনী নজর দিক …সেটা কখনই আমার ভালো লাগবে না

বলেই আহাদ রুম থেকে বেরিয়ে যায়

আহিবার কানে শুধু আহাদ এর বলা শেষ কথা টুকু বাজতে থাকে আহিবার যানো এতেও শান্তি হুম পরম শান্তি

আহাদ রুমে যেতেই এনি বিছানায় বসে ছিল ..সেখান থেকে উঠে এসে আহাদ এর কাছে যায় ?

এনি:আহাদ আহিবাকে বলছো ডিভোর্শের কথা
আহাদ:হুম
এনি:কি বল্লো ও চলে যাবে ,,,না গেলেও ওকে এখানে রাখবে না তুমি দূরে পাঠিয়ে দিবে
আহাদ:সে কোথাও যাচ্ছে না
এনি:মানে
আহাদ:তুমিও এই বাড়ির বউ আর আহিবা ও তবে ও যাবে কেন আর কোনো ডিভোর্শ ও হচ্ছে না আহিবা তার অধিকার নিয়েই এই বাড়িতে থাকবে হ্য়া একজন স্তৃরীর মর্যাদা শে পাবে না ঠিকই
এনি:কি বলতে চাও ওর সাথে তোমার ডিভোর্শ হবে না তবে আমি সারা জীবন ওর নিচে পরে থাকবো ছোট বউ হয়ে সবাই আমায় এর জন্য সারা জীবন খোটা দিবে না ..তবে বিয়ে করলে কেন মরে যেতাম আমি
আহাদ:বিয়ে করতে তুমি বাধ্য করেছিলে কে বলেছিল সুইাাইড করতে যেতে …আর আহিবা যদি তোমার ছোট হয়ে সব মানতে পারে তবে তুমি পারবে না কেন
এনি : আমি মানতে পারবো না পারবো না ওর সাথে এক ঘরের নিচে সংসার করতে কিছুতেই পারবো না ?
আহাদ: কি বলতে চাও
এনি : ওকে বাড়ি থেকে তুমি বার করবে নাকি আমি ?
আহাদ; কি যাতা বলছো পাগল হয়ে গেছো তুমি
এনি : হ্যা হ্যা পাগল হয়ে গেছি ওকে আমি রাখতে দিবো না এখনই ওকে বার করবো

?

এনি এক প্রকার দৌড়েই আহিবার রুমে যায় আহিবা এখনও সেখানেই বসে আছে এনি গিয়ে হঠাৎ টেনে আহিবাকে তুলো টানতে টানতে রুমের সামনে নিয়ে আসে

আহিবা: আপু কি করছো ছারো আমার লাগছে
এনি : তুই এই বাড়ি থাকবিনা এখনই বার হয়ে যাবি
আহিবা: কি যাতা বলছো ছরো আমায়
আহাদ: এনি ওকে ছারো ছারতে বলছি আমি
এনি আহিবাকে ছেরে দেয়
এনি: এই তুই ওকে কি করেছিস এতো দরদ কেন হ্যা …

.বোনের বলিস আবার আমার সংসার ভাগার জন্য উঠে পরে লেগেছিস কেন …বলেই আহিবার গালে চর মারতে যায় কিন্তু তার আগেই আহাদ এনির হাত ধরে ফেলে ?

আহাদ: কি করছো কি ?
এনি : তুমি আমার হাত ধরলে আহাদ
আহাদ: হ্যা ধরলাম তুমি ওকে মারতে চাচ্ছো কেন
এনি : আহাদ এই কয়দিন কি এমন করলো যার জন্য তুমি ওর হয়ে কথা বলছো
আহাদ: কেন কি করবে আহিবা ?
এনি : আমার কাছে কি মনে হচ্ছে যানো তোমায় বিয়ে করাই আমার ভুল ছিল ?
আহাদ:এনি তুমি
এনি:হ্যা ঠিক বলেছি আমি ভুল করেছি মস্ত ভুল নাহ এই ভুল আমার শুধরাতে হবে …
আহাদ: মানে
এনি : থাকবো না আমি চলে যাবো
আহাদ: কি যাতা বলছো কি
এনি : ঠিকই বলছি

বলেই হন হন করে নিজের রুমে চলে যায় আহাদ রুমে না গিয়ে ড্রইং রুমের সোফায় গিয়ে বসে পরে এতো অশান্তি তার ভালো লাগছে না সুখের আশায়ই তো সে এনিকে বিয়ে করে এনেছিল কিন্তু এটা কি হলো সম্পূর্ন উল্টো

আহিবা তার রুমের দরজার সামনে বসে আছে কি করা,উচিত তা তার জানা নেই?

এর মধ্যেন এনি ব্যাগ নিয়ে নিচে নামে ?

আহাদ: কোথায় যাচ্ছো ব্যাগ নিয়ে
এনি : চলে যাবো তা নয়তো কি
আহাদ: কিন্তু কেন
এনি: এক ঘরে এই ভাবে সতিন নিয়ে আমি সংসার করতে পারবো না

বলেই হন হন করে বেড়িয়ে যায় আহাদ তার পিছু পিছু যেতে কিন্তু তার আগেই আহাদ এর দাদী কাকা কাকি আর তাদের ছেলে এসে ওদের বাড়ি ডোকে আহাদ চাইলেও আর বার হতে পারে না এনিকেও আটকাতে পারে না ,,,,

এনি গেটের কাছে গিয়ে আবার পিছন ফিরে তাকায় দেখে আহাদ আশে কি না কিন্তু না আহাদ আসে না

?

এনি : আহাদ তুমি পর হয়ে গেছো ভালোবাস না তুমি আর আমায় হয়তো আমি তোমার কাছে ভালো লাগা ছিলাম ,,তোমার মনে হয়তো কোথাও আহিবা আছে ,,,থাকো তুমি তাকে নি আমি আমার পথে বেচে থাকি বলেই গেট দিয়ে বাহিরে চলে যায়

আহাদ:দাদী তুমি আসবে জানাবে না তবে আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিতাম
দাদী:আরে দাদুভাই নতুন বিয়ে করেছো তাই বউ দেখতে চলে এবার এবার কিন্তু আমি নাতবউ এর কাছে অনেক দিন থাকবো
আহাদ ;আচ্ছা থেকো কাকা ..কাকি রাফি (চাচাতো ভাই আাহাদ এর থেকে ১ বছরের ছোট )বসো তোমরা

কাকা:আরে বসছি তুই বউমাকে ডেকে নিয়ে আয়
কাকি:বউমা তার সামনে ডেকো না এই দিনের মেয়ে রাগ করতে পারে (মুখ বেকিয়ে)?
দাদী:আহ বউমা আহাদ নাত বউ কোথায় রে ওকে নিয়ে আয় তো
আহাদ:হুম ,যাচ্ছি

আহাদ আহিবার রএমে যাওয়ার আহে সুমিকে বলে যায় সরবত নাস্তা রেডী করতে সবার সাথে হাসি মুখে কথা বল্লে রাফিকে আহাদের একদম পছদ না তবুও সেটা বাহিয়ে আর প্রকাশ করলো না সে ..লম্বা পায়ে আহিবার রুমের দিকে এগোয় দেখে আহিবা রুমের সামনেই বসে আসে

আহাদ:আহিবা রুমে চলো
আহিবা:আপু কোথায়
বহাদ:জানি না বাসায় গেছে সেটা পরে হবে …বাড়ি থেকে কাকা কাকি রাফি ওহ সরি তুমি ওকে চিনবে না ও আমার কাকাতো ভাই আর তাদের সাথে দাদী এসেছে তুমি ফ্রেস হয়ে রেডী হয়ে নিচে আসো তারা ওয়েট করছে
আহিবা :আচ্ছা.আপনি যান আমি আসছি

আহাদ আর অপেক্ষা না করে নিচে চলে যায় আর আহিবা ফ্রেস হতে ফ্রেস হয়ে শাড়ি পরে চুল গুলো হেয়ার ডেয়ার দিয়ে শুকিয়ে খোপা করে নেয় চোখে হালকা কজল দিয়ে রেডী হয়ে নিচে যায় গিয়ে সবাইকে সালাম করে ..নাস্তা সরবত খেতে দেয় রাফিকে সরবত দিতে নিলে রাফি ইচ্ছা করে আহিবার হাতের উপর হাত দেয় যেটা দেখে আহাদ তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে তবুও নিজেকে সামলে নেয় চুপ করে থাকে ,,আহিবা গিয়ে দাদীর কাছে বসে ..

দাদী আহিবার থুতনিতে হাত দিয়ে :বাহ নাত বউকে কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে …কি রে তোকে নাতবউ বল্লাম দেখে কষ্ট পেলি নাকি
আহিবা:দাদী কি যে বলো না ..তুমি আমায় নাতবউ বলবে না তো কে বলবে বলো তো …
দাদী:হুম ঠিক কথা
আহিবা:আপনারা কথা বলুন আমি রান্নার দিকটা দেখে আসি

আহিবা যখন ওখান থেকে চলে যাচ্ছিল রাফি খুব খারাপ ভাবে আহিবার দিকে তাকিয়ে ছিল ….আহাদ তার রাগ বার বার কন্টোল করে রাখছে

আহাদ:তোমরা বসে আমি একটু দেখে আসি কি রান্না হচ্ছে
রাফি:ভাই এতো বউ পাগল আর তা হবেই না কেন বউ তো খুব সুদর
আহাদ:ঠিক বলেছিস …আমার বউ তো তাই (দাতে দাত চেপে)
কাকা:আহ রাফি ও তো কাজেই যাচ্ছে

আহাদ আর কথা না বাড়িয়ে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ায় আহিবা কোমরে কাপড় গুজে কাজ করছে আর এর জন্য আহিবার বেশ খানিকটা কোমড়ের দিকের অংশ বিদ্যমান ..

আহাদ আপেল আর একটা ছুরি হাতে নিয়ে আপেল
কাটতে কাটতে

আহাদ :কোমর দেখিয়ে কাজ করার কি আছে ?

আহিবা আহাদ হঠাৎ পিছন থেকে কথা বলায় ভয়ে হাত থেকে খুন্তি পরে যায় তারাতারি করে আহাদ এর দিকে তাকায়

আহাদ:এতো ভয় পাওয়ার কি আছে
আহিবা:না হঠাৎ করে কথা বলে উঠলেন তো তাই
আহাদ:হুম কোমর বার করছো কেন …
আহিবা তারাতরি করে কোমরে গোজা আচল ছেরে দেয় ?
আহাদ:আর যদি কখনও দেখি তো ..

?

আপেল টা ছুরি দিয়ে এমন ভাবে কাটে যেন দেখে মনে হয় গরু জাবাই করছে আহিবা আপেল টার দিকে আর একবার আহাদ এর দিকে তাকিয়ে শুকনো টোক গিয়ে আহিবা মনে মনে আপেল টাকে নিজের মুন্ডো মানে মাথাটা ভাবতাছে আর মনে মনে ভাবছে সে যদি এমন ভুল করে তবে আহাদ তার ও গলা কেটে দেবে আহিবা আর ওদিক না তাকিয়ে তারাতারি খুন্তি উঠিয়ে উল্টো দিক ফিরে রান্না করতে থাকে

আহাদ আহিবার কান্ড দেখে হেসে দেয় তবে আহিবাকে বুঝতে দেয় না …

চলবে,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here