#শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::9,10
#natasa_islam_muntaha
#part::9
আহাদ আহিবাকে তার সম্পূর্ন অধিকার দিয়েই রাখতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের তিন জন এর জীবনই “#শুকনো_ঘাস_ফুলের”মতো শুকিয়ে রয়েছে …
অন্যদিকে এনি ঐ বাসার রুমের বারান্দার গিরিল ধরে দারিয়ে আছে |তার দৃষ্টি সামনের একটা জামরুল গাছে| সেখানে একজোরা পাখি বসে আসে পাশাপাশি |
এনি :এই যে জোরা পাখি যানো আমার না এমন একটা জোরা ছিল …কিন্তু দেখো না …এখন সাথে নেই …ছোট বেলায় বাবাকে হাড়ালাম …তার পর মা ও চলে গেল ..আর স্বামী তাকে কি আমার স্বামী বলা সাঝে …কিন্তু তার আর আমার বিয়েটা সেভাবে হোক হয়েছে তো ….কিন্তু বিয়ে হলেই কি স্বামী স্ত্রী হয়ে যায় …আগে তো আমাদের মধ্যে কত মিল ছিল কিন্তু আহিবার সাথে তার বিয়ে হওয়ার পরই সে দূরে সরে যেতে থাকে …হয়তো এটা আহিবার কবুলের জোর ….আমার বিয়েটা না হয় থাক ঐ পাহাড় এর নিচে চাপা পরে কি দরকার আর এর কথা ভেবে কষ্ট পাওয়া …নিজের জীবন টাকে থামিয়ে রাখার কি আদো কোনো মানে হয় …কিন্তু মেয়েদের জীবনে বিয়ে তো একবারই হয় …এর পর তখনই ২য় বিয়ে হয় যখন সে পরিস্থীতির ফাদে পরে …স্বামী অত্যাচার করলে কিংবা শশুড় শাশুরী জালাতন করলে কিন্তু আমার বেলায় তো এমন কিছুই হয়নি ….আমি একাই আমার জীবনের পথটা পারি দিতে পারবো ..হুম পারতে যে আমায় হবেই
এনি কথা গুলো এক ধ্যানে বাহিরের দিকে তাকিয়ে বলছিল ওর পিছনে যে কেউ দাড়িয়ে আছে সেটা এনি গুনাক্ষরেও টের ও পায়নি
এনির কাধে হাত দেয় সে এনি এক লাফে পিছনে থাকা মানুষটার দিকে ঘুরে তাকায়
এনি:আন্টি তুমি ….তুমি কখন এলে
আন্টি(রাহুল এর মা ):তুই যখন একা একা কথা বলেছিলি তখন ?
এনি;আসলে আন্টি
আন্টি:থাক বলতে হবে না আমি সবটাই শুনেছি চল ঐ সোফাটায় গিয়ে বসি তারওর না হয় কথা বল্লাম
এনি:হুম
এনি আর রাহুল এর মা গিয়ে সোফায় বসে এনি তার পাশেই
আন্টি:মা …একা কখনও জীবন চলে না আার তোর বয়স টাই বা কত বল …কি করে পারবি তুই একা জীবন কাটাতে …কি তোর পরিচয় হবে …কার পরিচয়ে তুই বাচবি …নিজের পরিচয়ে …?আদো কি সম্ভব ….সে যাক গে …আতীতকে কখনও সামনে আসতে দিবি না ..সে আতীত তাকে আতীতের খাতায়ই পরে থাকতে দে …শুধু শুধু তাকে কেন ভবিষ্যতের সাথে জড়াবি..তুই ভুল কিছু করিসনি…. সে বিবাহিত তার বউ আছে সংসার আছে সেখানে তুই কেন গিয়ে পরে থাকবি …তুই চাইলেই নতুন করে সব কিছু শুরু করতে পারবি …তাকে বুঝিয়ে দে তুই দূর্বল নস …বরং তুই ও তার মতো সংসার করছিস…
এনি :কিন্তু আন্টি আতীত ভুলে যাওয়া এতোটাই সহজ
আন্টি:জানি সহজ না …কিন্তু মানুষের চেষ্টার কাছে কোনো কিছুই কঠিন না …নিজেকে ব্যাস্ত রাখ সারা দিন ..দেখবি ব্যাস্ততাটাই তোকে তার কথা ভাবা থেকে বিরত রাখবে ভালো থাকবি ..আর শোন কাল আমি রাহুল কে বলে ওর অফিসে তোকে জয়েন করানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি তারপর নিজেকে সারাদিন কাজে ডুবিয়ে রাখ
এনি:হুম
আহিবা সকাল ঘুম ভাগতেই আহাদ এর দিকে চোখ যায় …..আহাদ ঘুমের মধ্যেও তার কপালে স্পষ্ট ভাজ বিরাজমান …হয়তো ঘুমের মধ্যেও চিন্তার এক রাস নিয়ে বসে আছে
আহিবা : আপনি হয়তো আমায় নিয়ে চিন্তা করছেন তাইনা …আমি যানি আপনি আপুকে প্রচন্ড ভালোবাসেন …কিন্তু কি করে আমি জানবো কার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে যদি কবুল বলার এক মুহূর্ত আগেও জানতাম তাহলে ঐখানেই বিয়েটা ভেগে দিতাম …কিন্তু কপাল যে আমার সহায় ছিলনা ..তাই হয়তো এমন হয়েছে …কি করবো বলুন বাবার বাড়ি যাবো সেখানে যাওয়া যে সম্ভব না …মাফ করবেন …
আহাদ হঠাৎ নরে ওঠে আহিবা সাথে সাথে এক লাফে খাট থেকে নিচে নামে কিন্তু কপাল খারাপ হয়ে আর যা হয় চাদরের কোনায় পা বেজে সোজা ধপাস …
আহিবা :ওরেহহহহহহ
আহাদ হঠাৎ এমন চিৎকারে লাফিয়ে উঠে বসে চারিদিকে তাকায় কিন্তু কিছুই দেখতে পায় না তারপর যখন আহিবার আবার শব্দ শোনে তখন খাটের কোনায় গিয়ে উকি দিয়ে দেখে আহিবা নিচে পরে আছে
আহাদ:আরে এভাবে পরলে কি করে
আহিবা :চাদরে পেচিয়ে
আহাদ:তো উঠছো না কেন
আহিবা :চোর খুজছিলাম (মুখ ব্যকিয়ে বলে উঠে দাড়িয়ে জামা ঝারতে ঝারতে রুম থেকে বেরিয়ে যায় )
আহাদ :কি বলে গেল খাটের নিচে চোর খুজছিল …স্টের্জ খাটের নিচে চোর আসবে কোথা দিয়ে ..ধুর আমি ঘুমাই
বলেই আহাদ আবার সুয়ে পরে
দরজার আড়াল থেকে
রাফি: যা শান্তি করার করে নাও কারন এটা আর বেশী দিন পারবে না…..আমি হতে দিবো না ….কখনই না …
বলেই ওখান থেকে নিজের রুমে চলে যায়
আহিবা রান্না ঘরে সবার জন্য সকালের নাস্তা বানিয়ে ওর দাদীর রুমে যায় …
দাদী:আরে নাতবউ ভেতরে আয়
আহিবা:হুম
আহিবা গিশে ওর দাদীর পাশে বসে
দাদী:তোর জোরার টা কই রে ?
আহিবা:জোরারটা
দাদী:তোর সোয়ামী
আহিবা:ওহ….সে ঘুমায়
দাদী:সে কি রে এখন ও ঘুমায় উঠাস নি
আহিবা:তার সময় হলে এমনিই উঠে যাবে
দাদী:এটা কোনো কথা …একটু কাজ কর দাদু ভাইকে দেকে নিয়ে আসবি
আহিবা:আআআআমমি
দাদী:?তা নয় তো কে
আহিবা:দাদী না গেলে নয়
দাদী:নাহ তারাতারি যা
আহিবা বাধ্য হয়ে উঠে চবার আগাদ এর রুমে যায় গিয়ে দেখে আহাদ উঠে খাটের সাথে হেলান দিয়ে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে
আহিবা;আপনাকে দাদী ডাকছে
আহাদ শুনেও না শোনার ভান ধরে বসে আছে
আহিবা:শুনছপন আপনাকে দাদী.ডেকেছে
আহাদ এদিক ওদিক তাকিয়ে তারপর আহিবার দিকে তাকায়
আহাদ:আমায় বলছো
আহিবা:হুম দাদী ডাকছে
আহাদ:ওহ তুমি যাও আমি ফ্রেস.হয়ে আসছি
আহিবা:জ্বি
আহিবা আবার দাদীর রুমে চলে যায় আহাদ ও তার একটু পর গিয়ে হাজির হয়
আহাদ:দাদী ডাকছিলে
দাদী :হুম এদিকে আয় বস তো এখানে (টুল দেখিয়ে )
আহাদ ও গিয়ে বসে পরে আহাদ আশার সময় পানির একটা বোতল হাতে করে নিয়ে এসেছি খাবে তাই আহাদ বসে পানিটা কেবল মুখে দেয় তখনি
দাদী :কিরে দাদী ভাই আমার পুতির মুখ কি তোরা দেখাবি না …নাকি না দেখিয়েই মারতে চাস
আহিবার চোখ ছানা বড়া হয়ে গেছে আহাদ পানি মুখে দিয়ে এমন কথা শুনে পানি নাকে চলে যায় ..বেচারার বেষম চলে যায় আর কাশতে থাকে
দাদী:আরে আস্তে খা
আহিবা:ঠিক আছেন আপনি
আহাদ:হুম হুম
দাদী:ঐ ছুরী তুই ওকে আপনি বলিস কেন রে …ও কি তোর পর …শোন এর পর থেকে তুমি করে বলবি মনে থাকে যেন
আহিবা: আআআচচচচ্ছা
আহাদ মুচকি মুচকি হাসে
দাদী:শোন যা বলছিলাম
আহাদ:দাদী এখানেই থেমে যাও না
দাদী:তুই চুপ থাক ….আর শোন আমি মরার আগে আমার পুতি দেখতে চাই বুঝলি …আমি কি একটু পুতি নিয়াও খেলা করমু না …
আহাদ:দাদী কি যে বলো তুমি …
দাদী:ভুল কি বলছি আমি আজ আছি কাল নেই ..শোন তোদের কাছে এটা আমার আবদার ….আমায় পুতি এনে দেওয়ার ব্যবস্থা কর
আহিবা :এক কাজ করুন না মানে করো ..একটা পুতিঁ কিনে এনে দাদীকে দিয়ে দাও ..?
দাদী:ওরে বাদর মেয়ে ..আমি এই পুতিঁর কথা বলিনি ..তোর আর আহাদ এর বাচ্চার কথা বলছি
আহাদ:দাদী এটা পরেও ভাবা যাবে তাই না
দাদী:হুম আমি মরলে ?
আহাদ ওর দাদীকে বুঝিয়ে তারপর খেতে নিয়ে যায় …আহিবাও যায় …ওর কাকা কাকিরাও আসে সাথে রাফিও …
রাফি কারনে অকারনে খালি আহিবার হাত স্পর্শ করছে ..আহিবা বার বার ওর হাত সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর এক রাশ বিরক্ত নিয়ে রাফিকে খাবার সার্ফ করছে …আহাদ সবটা খেয়াল করছিল
আহাদ:আহিবা তুমি এই পাশে এসে খেতে বসো আমি খাবার দিয়ে দিচ্ছি
আহিবা :কিন্তু
আহাদ এক প্রকার টেনেই আহিবাকে ওর পাশে নিয়ে বসিয়ে দেয় …
আহিবা চুপ চাপ বসে আছে ..সবার খাওয়া শেষ হলে যে যার মতো করে চলে যায় …
আহাদ:আহিবা একটু রুমে আসো তো
আহিবা:হুম আসছি
দাদী পাশে ছিল ..আহাদ রুমের দিকে যেতেই সে আহিবাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে
দাদী:যাও যাও তোমার জামাই তোমায় খুজছে …অফিসে যাবে তো তার আগে বউকে একটু সোহাগ করতে হয় না ?
আহিবা:দাদী তুমি সব সময় বেশী বলো এমন কিছুই না
এর মধ্যে আহাদ আবার ডাক দেয় আহিবা হুমরী খেয়ে ওদের রুমে চলে যায় ..আর ওর দাদী ফোলকা দাতে ফিক করে হেসে দেয় …….
চলবে,,,, ,,
#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::10
ওর দাদী ফোলকা দাতে ফিক করে হেসে দেয় …….
আহিবা :হ্যা ডাকছিলেন
আহাদ:হুম …আমি অফিসে গেলে সাবধানে থেকো রাফি বাসায় আছে ….যদি কোনো গন্ডোগোল দেখো সাথে সাথে আমায় ফোন দিবে …
আহিবা:হুম আচ্ছা
আহাদ :আমার নাম্বার আছে তো
আহিবা মাথাটা একবার ডানে আর একবার বামে নারায় মানে তার কাছে আহাদ এর নম্বর নেই
আহাদ:তোমার ফোন টা দাও
আহিবা দিয়ে দিলো …আহাদ তার নম্বর টা আহিবার ফোনে সেভ করে দিয়ে চলে যায় অফিসের উদ্দেশ্যে … আহিবাও নিজের কাজ করতে চলে যায় ….সবার সাথে কিছু ক্ষন আড্ডা দিয়ে রান্না করতে চলে যায়…
হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে ওঠে আর সেখানে “husband ” লেখাটা ফুটে ওঠে আহিবার চোখ যেন বের হয়ে আশার উপক্রম
আহিবা :এটা তার নম্বর সে এই নামে সেভ করছে
আহিবা তারাতারি করে ফোনটা রিসিভ করে আর সাথে.সাথে আহাদ এর ঝাড়ি এতো সময় পর কেন ফোন ধরলো ..আহিবা ঝাড়ি খেয়ে চুপ হয়ে যায় ..তারপর আস্তে আাস্তে বলে ও রান্না করতে ছিল এই জন্য ধরতে একটু দেরী হয়েছে …আহাদ তাকে জানায় এর পর ফোন ধরতে যদি এক সেকেন্ড ও দেরী হয় তবে আহিবার খবর আছে …আহিবা শুকনো একটা ডোক গিলে …..আহাদ আর কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দেয় …আহিবা ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন দারিয়ে থাকে …
হঠাৎ চারিদিকে মেঘ গীরে যায় সাথে ঝুম বৃষ্টি আহিবা কোনো রকমের রান্না শেষ করে সোজা ছাদে চলে যায় ..রাফি বাসায় নেই এটাই আহিবার জন্য সুযগ তাই আর দেরী না করে সোজা ভিজতে নেমে পরে অনেক দিন পরে আবার সে বৃষ্টিতে ভেজার সুযগ পেলো সেটা হাত ছারা করে কিভাবে ….আহাদ আজ দুপুরেই বাসায় চলে আসে ..রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা ট্রাউজার আর কালো একটা টি সার্ট পরে নেয় …আহিবাকে খুজতে শুরু করে
আহাদ:থাকে কই এই মেয়ে…সারা বাড়ি খুজেও পেলাম না …গেলটা কই ..আমি যে বাসায় এসেছি তার কোনো খবর আছে আর সুমি টাও বা কই …
হঠাৎ ছাদে হাসার শব্দ শুনে
আহাদ:ছাদে এতো বৃষ্টিতে হাসে কে ..গিয়েই দেখি আহিবা নয় তো
আহাদ গিয়ে দেখে আহিবা দোলনায় বসে বৃষ্টির সাথে খেলছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজছে ..আর একা একাই হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে ..বৃষ্টির শাব্দের সাথে আহিবার পায়েল এর শব্দটাও যেনো মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে …চারিদিকে মেঘ ক্রমশ বেরেই চলেছে ..দিনএর বেলায় ও অন্ধকারে ভরে গেছে মনে হয় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ..আহাদ এক ধ্যানে আহিবার অবস্থা দেখছে তার ঘোর লেগে যাচ্ছে বার বার …নিজেকে শত চেষ্টা করেও এই ঘোর থেকে বার করতে পারছে না …আহাদ এক পা একপা করে আহিবার দিকে আহাতে থাকে ..বৃষ্টিতে ভিজে সেও একাকার ..
.আহিবা হঠাৎ কেউ সামনে চলে আসায় সাথে সাথে তার দিকে তাকায়
আহিবা অবাক.চোখে আহাদ এর দিকে তাকায়
আহাদ:হ্যাবলাম মতো তাকিয়ে আছো কেন
আহিবা:না মানে আপনি কখন এলেন
আহাদ:তার খবর রেখে তুমি কি করবে …তুমি তো বৃষ্টির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছো
আহিবা:এ বা বা না না …আসলে অনেক দিন ওর তো তাই …আপনি বৃষ্টিতে ভিজেন
আহাদ:নাহ আমার জ্বর হয় তুমি ভিজছো দেখে নামলাম …এই বৃষ্টিতে যে এতো ভিজছো জ্বর হলে কে দেখবে শুনি ..
আহিবা:আমার জ্বর হয় না …আর আপনি এখনই গিয়ে ফ্রেস হন ….আপনার নাকি জর হয়
আহাদ :সমস্যা নায়য়য় হাচ্ছো হাাাাাচি
আহিবা:আরে হাচি দিচ্ছেন তো রুমে চলুন গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিন চলুন
আহাদ :হুম
ওরা দুজনই পুরা কাক ভেজা হয়ে গেছে সিরি নেমে দিয়ে সোজা ওদের রুমে চলে যায়
আহিবা আহাদকে তার আগে ফ্রেস হতে পাঠিয়ে দেয় আহাদ বার হলে সে জামকাপড় পাল্টে নিয়ে বার হয় …তারপর সবাই মিলে এক বারে দুপুরের বার খায় তবে আহাদ এর অবস্থা খারাপ হাচি দিতে দিতে …আহিবা আহাদের জন্য আদা ,দারচিনি ,এলাচ,লবঙ্গ দিয়ে পানি ভালো করে জালিয়ে তার মধ্যে মধু দিয়ে খেদে দেয় …
আহাদ একটু খেয়েই পাশে রেখে দেয় আহুবা রুম দিয়ে সরতেই জানালা দিয়ে সব ফেলে দেয় …
সারাদিন বৃষ্টি এমন কি সন্ধ্যাও বৃষ্টি কমার কোনো নাম গন্ধ নেই ..আহিবা রাতে খাবার জন্য আহাদ কে ডাকতে আসে এসেই দেখে আহাদ গুটি শুটি মেরে শীত এ কাপছে …..আহিবা তারাতারি গিয়ে আহাদ এর কপালে চেক করে ..হুম জ্বরে আহাদ এর গা পুরে যাচ্ছে…আহিবা তারাতারি করে আরে দুটে কাথা এনে আহাদ এর গায়ে দিয়ে দেয় …আহিবা তারাতারি সুপ বানিয়ে সেটাকে দু চামচ কোনো রকমের আহাদ কে খাইয়ে ওষুধ খাওয়ায় …..
সবাইকে খাওয়াতে চলে যায় …সবাই কে খাইয়ে নিজেও সামান্য খেয়ে নেয় তারপর আবার ছোটে আহাদ এর কাছে …আহাদ এর জ্বরে কোনো হুস নেই ..
আহিবা গিয়ে লাইট অফ করে আহাদ এর পাশেই শুয়ে পরে তবে আজ আর কোনো প্রাচীর দেয় নি …আহাদ এর জ্বর বার বার দেখার দরকার হবে এই জন্য ……
??
আহিবা সুতেই কিছুক্ষন পর আহাদ আহিবাকে জড়িয়ে ধরে জ্বর এর ঘোরে কাপতে থাকে আহিবা একদম পাথর হয়ে যাচ্ছে ..আহিবা কি করবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না …আহাদ যেন তার শরীরে মিশে যেতে চাইছে ..আহিবার একদম কাছে চলে এসেছে …আহাদ এর জ্বর সবে মাএ একটু কমা শুরু করেছে …আহাদ আহিবার খুব কাছে চলে আসে …
আহিবাও এতে বাধা দেয় যতোই হোক না কেন সে তার স্বামী ..আর কোন মেয়েই বা চায় না স্বামীর ভালোবাসা …এটা কি তার জন্য অন্যায় কোনো চাওয়া …আহিবা ও আজ আর আহাদকে কোনো বাধা দেয় না ….যেভাবেই হোক না কেন তার স্বামী আজ তার কাছে এসেছে কি করে ফিরিয়ে দেয় তাকে ….
[পাঠক গন এখন আর এই খানে থেকে কাজ নাই …তাদেরকে তাদের মতো ছেরে দিন কেমন …??বেচারা গো লজ্জা দিয়া কাজ নাই …??]
অন্যদিকে
এনি চুপ করে তার রুমে বসে আছে এই পরিবারটা খুব ভালো আজ সে অফিসেও গিয়েছে ..খুব ভালো ভাবেই সারাদিন পার করেছে কিন্তু রাত ..রাতটা যে বার বার আহাদ কে তার মনে করিয়ে দেয় …চাইলেও ভুলতে পারে না ….
তখন হঠাৎ রাহুল দরজায় এসে নক দেয়
রাহুল:আসবো
এনি:ওহ ..আপনি আসুন আসুন
রাহুল :ঘুমান নি
এনি:নাহ ঘুম আসছিল না ….আপনি ঘুমান নি কেন
রাহুল :কাউকে মিস করছি ….সে বৃষ্টি খুব পছন্দ করতো …প্রতিবার এই বৃষ্টিই তাকে আমায় বার বার মনে করিয়ে দেয়া …আচ্ছা বাদ দেন তো …আপনি কি করছিলেন
এনি :ভাবছিল কি না মানুষের কপাল …কজনই বা প্রিয় মানুষটাকে আপন করে পায়
রাহুল:হুম তা ঠিক বলেছেন ..আর সব সৃতির পাতা ঘুলো রাতের বেলাই আমাদের কুড়ে কুড়ে খায় তাই না
এনি :হুম ….রাতেও যদি মানুষ ব্যাস্ত থাকবো তার কর্ম স্থলের কাজ নিয়ে তবে বেশ হতো …পুরনো সৃতির কথা হয়তো তাহলে আর মনে হতো না
রাহুল:এটা বেশ ভালো বলেছেন …
এনি:আমি সব সময় ভালোই বলি
রাহুল:হুম ঠিক ….আজ অফিস কেমন কাটালেন …আসলে আমি যে জিঙ্গাস করবো এর সময় টুকুও আমার ছিল না
এনি:হুম তা তো দেখতেই পেয়েছি …
রাহুল:কাল একটা মিটিং আছে আমি চাই ওটা আপনি হ্যান্ডেল করুন
এনি:কিন্তু আমি তো
রাহুল :আমি বুঝিয়ে দিবো
এনি:এখন বুঝাতে শুরু করে দিন যদি ঘুমাতে দপরী হয় …নাহলে কাল সকালে যদি সময় না পান
রাহুল:তা খারাপ বলেন নি
রাহুল এনিকে সব প্রেজেন্টেশন কি করে কি করতে হয় সব বুঝিয়ে দেয় ….
???
??
?
সকালে আহিবার ঘুম ভাগতেই নিজেকে আহাদ এর বাহু ডোরে আবিষ্কার করে …আহিবা নিজের দিকে তাকাতে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে ….আহিবা উঠতে নিলে আহাদ আরো শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরে …আহিবা ও তাই কিছুক্ষন চুপ করে যায় তারপর আহাদ এর হাত একটু হালকা হতেই আহিবা নিজেকে ছাড়িয়ে ফ্রেস হতে চলে যায় …আহিবা সরে যেতেই আহাদ চোখ মেলে তাকায় …আর একা একাই হাসতে থাকে …..
কিছুক্ষন পর আহিবা ফ্রেস হয়ে সাওয়ার নিয়ে বার হয়ে আয়নার সামনে চলে যায় …আহিবার আজ নিজেকে একদম নতুন মনে হচ্ছে … আহিবা নিজেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে ব্যস্ত আর আহাদ আহিবাকে …আহিবার আহাদ এর দিকে চোখ যেতেই লজ্জায় লাল নীল সবুজ হতে থাকে ..
আহাদ মুচকি হেসে:লজ্জা এখন ও পাও ?
আহিবা:আমমম
আহাদ :বুঝি বুঝি …আমার বউ লজ্জা ও পাচ্চছে এখন ও কিন্তু কেন …
আহিবা :আপপপনি বেশী কথা বলেন
বলেই দৌড়ে রুম দিয়ে চলে যায় ..আহাদ হাসতে হাসতে কুটি কুটি হয়ে যায় তারপর নিজেও ফ্রেস হতে চলে যায় …
এনি রেডী হয়ে বসে আছে রাহুল এর সাথেই সে অফিসে যাবে এই জন্য ..রাহুল আজ প্রচন্ড রকমের দেরী করছে ..এনি একা একা বসে বসে রাগে ফুসছে তখনই রাহুল আসে
রাহুল :আহ একটু দেরী হয়ে গেল
এনি :একটু
রাহুল:ঐ তো আর কি জোর করে হাসি দিয়ে
এনি রাহুল এর অবস্থা দেখে জোরেই হেসে দেয় ..রাহুল ও এনির হাসির মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দেয় …এনির কথায় রাহুল এর হুস আসে
এনি:যাবেন নাকি আরো দেরী করার ইচ্ছা আছে
রাহুল:এই না না চলো ..
এনি রাহুল বেড়িয়ে যেতেই রাহুল এর মা বাসার উপরে দাীিয়ে এতোক্ষন ওদের দেখছিল সে একটা সস্তির নিশ্বাস ফেলে
রাহুল এর মা :যাক এই দুটোকে এক করে দিতে পারলেই শান্তি …..দুটোকে বেশ মানাবে …..
আহিবা রান্না ঘরে কাজ করছে আহাদ এসে ওর পিছনে দারিয়ে ফল খাচ্ছে ..তখন রাফি এসে আহিবার সামনে বসে পরে আহিবা বেশ খানিকটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়
রাফি আহিবার হাত ধরে কান্না আর অনুতপ্ত হওয়ার ভান করে
রাফি:তুই আমার ছোট বোন এর মতো …আমি যা করেছি আমায় তুই মাফ করে দে বোন …আমি আর কখনও কারো সাথেই এমন করবে না বোন মাফ করে দে …..
আহিবা :হা করে একবার রাফির দিকে আর একবার আহাদ এর দিকে তাকাচ্ছে
রাফি আহাদ এর কাছে যায়
রাফি:ভাই ভাবিকে মাফ করে দিতে বল না
আহাদ:আহিবা
আহিবা:রাফি ভািয়া নিজের ভুল বুঝে যদি কেউ মাফ চায় তবে তাকে তো মাফ করেই দেওয়া উচিত তাই না …আমি আপনাকে মাফ করে দিয়েছি
রাফির মুখে বিজয়ী হাসি এনে
রাফি:tnq u বোন ….
আহিবা:হুম
রাফি রুম দিয়ে চলে যায় আহাদ এসে আহিবার পাশে দারায়
আহাদ:যাক ভালোই হয়েছে
আহিবা:হুম নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক
আহাদ কিছু বলতে নিবে তার আগেই ওর ফোনটা বেজে ওঠে
আহাদ :আব্বু কেমন আছো
ওপাশ থেকে :———
আহাদ:কি তোমরা আসবে কবে
ওপাশ থেকে :——-
আহাদ:আমি আসি তোমাদের পিক করতে
ওপাশ থেকে:______
আহাদ :তো গাড়ি তো পাঠাই
ওপাশ থেকে ________
আহাদ:আচ্ছা যা ভালো বুঝো …আর সাবধানে এসো
আহিবা:কে বাবা ফোন করছিল
আহাদ:হুম আব্বু আম্মু আর বোন বাসায় আসছে ওরা সব বিডি এয়ার্পোর্টেই আছে গাড়ি পাঠাতে চেয়েছি বললো লাগবে না
আহাদ:ওহ আচ্ছা …তো আমি তারাতারি করে.রান্না গুলো শেষ করে নেই
আহাদ আহিবাকে টেনে নিজের বুকে নিয়ে আশে ..
আহাদ:হুম তা তো করবেই কিন্তি তার আগে …বলই আহিবার কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে রান্না ঘর থেকে চলে যায় …আহিবা হা করে আহাদ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সুমির কথায় আহিবার ধ্যান ভাগে
সুমি:আফা মুই একটা জিনিস দেখছি কিন্তু
আহিবা বিষম থেকে :কককককি দেখচিস
সুমি:ঐ যে ছোডো সাহেবে আম্মেরে চুমা দিছে
আহিবা আকাশ থেকে পরে বলে কি এই মেয়ে
আহিবা:তুই তোর কাজ কর না বোন
সুমি:হিহিহি আচ্ছা
আহিবা রান্না বান্না শেষ করে সবাইকে সকালে খাওয়া জন্যডাকে ..সবাই এসে খেতে বসে …বেশ জমিয়েই খাচ্ছে সাথে মজাও করছে হঠাৎ করে আহাধ এর ফোনে কারো ফোন আশে অন্য নম্বর দিয়ে
আহাধ:হ্যালো কাকে চাই
ওপাশ থেকে :_____?
আহাধ:কিহহহহহহ
আহাধ পাথরের মতো বসে আছে খাবার টেবিলে সবাই এক দৃষ্টিতে আহাধ এর দিকে তাকিয়ে আছে
আহিবা উঠে গিয়ে আহাধ এর কাধে হাত রাখে
আহিবা :কি হয়েছে
আহাধ :আহিবা সব কিছু শেষ হয়ে গেছে সব কিছু বলেই যেমন অবস্থায় ছিল সেভাবেই বাডা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায় সাথে রাফি আর ওর কাকা ও ….
দাদী:কি হলো রে
কাকি:তুমি কিছু জানো ?
আহিবা :নাহ তো
২ ঘন্টা পরেই আহাধ এসে দরজায় নক করে আহিবা দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয় …আহাধ এর চোখ টক টকে লাল হয়ে গিয়েছে
আহিবা:কি হয়েছে
আহাধ কিছু না বলে বাসার ভিতরে ডুকে ধপ করে মাটিতে বসে পরে ….
আহিবা ও আহাধ এর কাছে দৌড়ে চলে যায় ….?এর মধ্যেই কিছু hospital এর মানুষ রাফি আর ওর বাবা লাস বাসায় ডুকাতে সুরু করে …
আহাধ এর দাদী ওখানেই ছিল সে লাশ দেখেই ঙ্গান হাড়িয়ে পরে যায় …
কাকি কোনো ভাবে তাকে সামলে নেয় …তারপর খাটে নিয়ে সুইয়ে দেয় সুমির সাহায্য নিয়ে ……
আহিবা কাপা কাপা গলায় :কককককি হয়েছে
আহাধ কিছু না বলেই আহিবাকে ধরে বাচ্চা দের মতো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে আহিবার চোখ থেকেও টপ টপ করে পানি পরছে
চলবে ,,,,,,,,
???
??
?