#শেষটা_সুন্দর,পর্ব_১
(শর্ট সিরিজ__১৮+)
ইভা রহমান
বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়ে আছি,,উনি হাতের ঘড়ি টা ঠিক করতে করতে গাড়ির সামনে যেতেই রমজান কাকু ড্রাইভিং সীটের দরজা টা খুলে দিলো,,বুঝলাম আজ রমজান কাকু ওনাকে চেম্বারে নিয়ে যাবেন না উনি নিজে ড্রাইভ করে টিউলিপে পৌঁছাবে,,গাড়ি স্টার্ট করে উনি ওনার গন্তব্যে রওনা দিলেন আর আমি ওনার পথের দিকে চেয়ে থাকলাম,,আচ্ছা আমি যে রোজ উপর থেকে ওনার যাবার শেষ ছায়া টা অবধি খেয়াল করি উনি কি সেটা কখনো আড় চোখে খেয়াল করেন না,,নাকি করেও আমাকে বুঝতে দেন না!!
গত আট মাসের বৈবাহিক সম্পর্ক ওনার সাথে আমার,,উনি শিশির শাহরিয়ার বিখ্যাত হার্ট স্পেশালিষ্ট,,২৯বছরের এই ক্যারিয়ারে যতো খ্যাতি অর্জন করা যায় তার অর্ধেকই এখন ওনার ঝুড়িতে,,অল্প বয়সে শুধু ডক্টরি করে নাম করেছেন তা না মেডিকেল ইকুইপমেন্টের এক বিশাল বিজনেস আছে তার,,এদিক দিয়ে উনি আবার টপ ফেমাস বিজনেস আইকনো বটে!!
ওনার সাথে আমার বয়সের ফারাক কতো জানেন পুরো দশ বছর,,শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য পুরো ১০ ১০টা বছরের ব্যবধান আমাদের মাঝে,,আমার বয়স যখন ১৯ তখন উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ওনার এই বিশাল বাড়িতে বউ হয়ে আসি আমি,,কিন্তু এতো বিশাল বাড়িতে আমি আর উনি ছাড়া কেউই থাকি না,,হ্যা থাকে কিন্তু ওরা সবাই ওনার কাজের স্টাফ কেউ রান্না করার কেউ ঘর মোছার কেউ বা খাবার সার্ভ করার,,তবে গ্রাম থেকে যখন করে ওনার মা আর ওনার ছোট বোন আসে সেই সময় টা আমার মনের আনন্দ রাখার জায়গা আমি ওনার এই বিশাল বাড়িতেও খুঁজে পাই না,মা আসলেই পুরো বাড়ি আমি আর মা মিলে মাতিয়ে রাখি তবে যতোক্ষণ উনি বাহিরে থাকে!! _____
খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে না ওনার সাথে আপনাদের এই মিষ্টি রোদেলার সম্পর্ক টা ঠিক কি রকম,,তাহলে শুনুন,,এই আট মাসের বৈবাহিক সম্পর্কে উনি আমাকে কখনো ওনার বিছানায় নিয়ে ঘুমোননি,,হ্যা তবে স্পর্শ করেছিলেন,,ঠিক স্পর্শ না বলতে পারেন ধর্ষন করেছিলেন উনি আমাকে!!কি অবাক লাগছে___হ্যা আমি প্রথম ওনার স্পর্শ পাই যখন উনি আমাকে একটা রাতের জন্য ওনার ভোগের বস্তু হিসাবে ভোগ করেন।এখন জানতে ইচ্ছে করছে না কি হয়েছিল একটা বছর আগে,,কাজের ফাঁকে একটু একটু করে তাহলে আজ বলি আপনাদের
______________________
হুইস্কির বোতলে লেগে থাকা শেষ নেশা টুকু ভক্ষণ করে আমার শাহরিয়ার সাহেব নিজের মদে ভেজা শার্টের উপরের কোর্ট টা খুলে ছুঁড়ে দিলেন মেঝেতে,শার্টের বোতাম গুলো এক এক করে খুলতে খুলতে আহির বলে চিৎকার করে ডাক দিয়ে উঠলো উনি,,সাথে সেই ডাকে ছিলো হালকা বিরক্তি খানিকটা রাগ
শিশিরঃ আহির,,আহি___আহি
আহির ভাইয়া হন্তদন্ত হয়ে ওনার কাছে এসে দাঁড়ালেন।
আহিরঃ ইয়েস স্যার
শিশিরঃ মেয়ে টাকে একটু চুপ করাতে পারছো না,,তখন থেকে চিৎকার করে করে মাথা টা পুরো নষ্ট করে দিলো
আহিরঃ অনেক চেষ্টা করছি স্যার মেয়ে টা ঠিক চুপ হচ্ছেই না____মেয়ে টার গলায় যা জোর দেখছি স্যার,,পারবেন তো ঠিক করে
শিশিরঃ গলায় জোর থাকবে এ-রকম মেয়ে কেই তো এই শিশির শাহরিয়ার এর বিছানায় বেশি দরকার আহির,,এতোদিনেও বসের এই ছোট খাটো ব্যাপার গুলো বুঝতে শিখলে না!!!!
বলেই উনি একটা ডেভিল হাসি দিলো,,তার সাথে মুচকি হেঁসে আহির ভাইয়া নিচে নেমে পড়লো,,ডাইনিং থেকে হেঁটে এসে উনি নিজের রুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে আসতেই বিছানায় বসে থাকা আমি এবার ডুকরে কেঁদে উঠলাম,,কিছুক্ষণ আগে উনার গাড়ি তে করে আমাকে তুলে আনা হয় উনার বাড়িতে উনার বিছানায়,,নিয়ে আসার কারণ আজ আমি হবে উনার রাতের ভোগের বস্তু!!
রোদেলাঃ আমাকে ছেড়ে দিন,,কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার যে আপনি আমাকে____আপনার তো অনেক টাকা চাইলেই তো আপনি এসব করার জন্য কতো মেয়ে কে নিয়ে আসতে পারেন____প্লিজ আমার এতো বড় ক্ষতি টা আপনি করবেন না
শিশিরঃ কামন সুইটহার্ট এতো নার্ভাস হলে হবে,,শিশির শাহরিয়ার এর ফার্মহাউস এ এসেছো একটু চিল করো,,কতো জন মেয়ের ভাগ্য হয় বলোতো শিশির শাহরিয়ার এর বেডে একটা রাতের জন্য ঘুমোনোর
রোদেলাঃ আমি আপনার পায়ে পড়ছি,,দয়া করুন আমাকে,,আপনি আমাকে প্লিজ ওসব মেয়ে দের মতো করে ভাববেন না,,আপনি আপনি দয়া করে আমাকে যেতে দিন,,এসব জানাজানি হলে আমি এই সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না একটু বুঝুন
শিশিরঃ সমাজকে জানাচ্ছে কে ডার্লিং,,ঘটনা তো ঘটবে শুধু এই চার দেওয়ালের মাঝে,,তোমার আর আমার মাঝে
রোদেলাঃ আপনি এরকম টা করবেন না,,দয়া করুন আমাকে,,আপনার কাছে হাত জোর করা ছাড়া আর কোনো ওয়ে আমার কাছে নেই কারণ আমি জানি বাহিরে আহির বলে লোকটা তার উপর আপনার গার্ডস আমি কারো থেকে লুকিয়ে পালাতে পারবো না,,তাই আমি আপনার কাছে ভিক্ষে চাইছি আমার এতো বড় একটা সর্বনাশ আপনি করবেন না
শিশিরঃ বলা শেষ,,এখন তৈরি হয়ে নেও____ও হ্যা একটা কথা করার সময় দয়া করে সেন্স হারিয়ে বসো না প্লিজ আমি তখন ঠিক ফিল টা নিয়ে আসতে পারি না
রোদেলাঃ আপনি এতো খারাপ কি করে হতে পারেন,,আপনি কি মানুষ
আমার কোনো কথা কানে না তুলে উনি হিংস্রতক ভাবে ঝাপিয়ে পড়লো আমার উপর,চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না আমি জানি তবুও একটু বাঁচার আশায় চিৎকার করতে থাকলাম,কিন্তু ওনার শরীরের সাথে পেরে উঠলাম না,উনি ইচ্ছে মতো আমার শরীর টাকে ওনার ক্ষুধা অনুযায়ী খেতে শুরু করলো,এক সময় আমি হাঁপিয়ে গিয়ে চুপ হয়ে গেলাম কিন্তু ওনার শরীরে কোনো ক্লান্তি নেই,উনি তখনো বেশ তৎপর আমাকে শেষ একবার ওনার করে নিতে!!
ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভেঙে চোখ খুলতেই নিজের জামাকাপড় হীন শরীর টাকে আবিষ্কার করলাম ওনার কম্বলের ভেতর ওনার দেহের উপরে,,জানি না কারণ টা সেদিন কি ছিলো কিন্তু মুখ তুলে বেশ খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম ওনার মুখের দিকে,,আর উদ্ভুত ভাবে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম মানুষ টা ঘুমিয়ে থাকলে তাকে কতো টা নিষ্পাপ অবুঝ আর পবিত্র দেখতে লাগে!!কিন্তু পর ক্ষনই কালকে রাতের সেই বিভীষিকাময় নির্যাতনের কথা স্মরণে আসতেই গা কাঁপা দিয়ে উঠলো আমার,,সাথে সাথেই ওনার উপর থেকে উঠে জামাকাপড় গুলো নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।
কিছুক্ষন আগের ভাবনা টা নিমিষে উধাও হয়ে গেলো,,পৃথিবীর সমস্ত ঘৃণা এসে ওনার জন্য জমা হতে থাকলো আমার মনে,,কোনোদিন এই লোকটাকে আমি ক্ষমা করবো না কোনোদিন না,,এনার চাইতে রাস্তার একটা পশুও অনেকগুন ভালো আছে,,কখনো এনার ভালো হবে না কখনো না,,
টানা এক ঘন্টার গোসল শেষে নিজের শরীর থেকে ওনার সেই অপবিএ পরশ মুছে দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলাম আমি,,এসে বেডের উপর চোখ পড়তেই দেখি উনি নেই,,একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে কোনো রকম বিছানার এক পাশে পড়ে থাকা আমার ব্যাগ টা উঠিয়ে আমি ওনার রুম ত্যাগ করলাম।
________________
সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি,,দেখি উনি একদম সিঁড়ির শেষ রেলিং এ দাঁড়িয়ে,,ওনার এক হাতে ছিলো একটা সিগারেট আর অন্য হাতে একটা ফাইল,,দেখেই বুঝতে পারছিলাম উনি হয়তো আহির ভাইয়ার সাথে দাঁড়িয়ে ওনার অফিস বা চেম্বারের কিছু নিয়ে ডিসকাস করছিলো,,ওনাকে দেখে থমকে গেলাম আমি,,রাগে ঘৃনায় শরীর পুরো ঘিনঘিন করতে শুরু করলো আমার।
আমার দিকে একবার তাকিয়ে উনি আবার ফাইলে চোখ দিয়ে আহির ভাইয়াকে কি যেনো একটা বুঝিয়ে দিলেন,আহির ভাইয়া চলে গেলো,উনি সিগারেট টানতে টানতে আমার কাছে এসে দাঁড়িয়ে আমারই মুখের উপর ধোঁয়া টা ছাড়লেন!!
শিশিরঃ আমার সব স্পর্শ মুছে দিতে এতোটা সময় নিয়ে ফেললা ডার্লিং।
রোদেলাঃ কি পেলেন আমার এতো বড় একটা সর্বনাশ করে।
শিশিরঃ কিছুই না শুধু একটা রাতের শান্তি।
রোদেলাঃ শান্তি!!তাই তো__তা আজকে কোন মেয়ে কে দিয়ে এই শান্তি টুকু মেটাবেন সেটা ঠিক করেছেন নিশ্চয়ই__লিসেন মিস্টার শাহরিয়ার আপনি যে এসব এই মেয়ে দের নিয়ে নোংরামো করে বের হোন একদিন এসবের জন্য আপনাকে অনেক পে করতে হবে অনেক অনেক।
শিশিরঃ তাই নাকি যা আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম
রোদেলাঃ শুনেছি এই শহরে একা থাকেন,,মা বাবা করোরি কোনো হুঁশ নেই,,বাবাও নাকি এরকম মেয়ে দের নিয়ে নোংরামো করতে গিয়ে আপনার মাকে ফেলে__তা আপনার মাও বুঝি আপনারই মতো,,না হলে তো আপনার শিক্ষা এতো টা নীচ হবার কথা ছিলো না।
আমার কথা শুনেই উনি রাগে পুরো আগুন হয়ে এক হাতে আমার চুল আর এক হাত দিয়ে আমার মুখ চিপে ধরলো,,ব্যাথায় হালকা আ বলে চিৎকার করে উঠলাম আমি,,আসলে উনি ওনার মা কে এই পৃথিবীতে সব চাইতে বেশি ভালোবাসে শ্রদ্ধা করে কিন্তু সেদিন এই কথা টা আমার জানা ছিলো না,,আর থাকলেও উনি কাল আমার সাথে যেই পশুর মতো আচরণ করলেন আমি হয়তো তারপরো ওনাকে এই কথা টাই বলে দিতাম।
শিশিরঃ হাউ ডেয়ার ইউ তোমার সাহস হয় কি করে আমার মা’কে নিয়ে এসব কথা বলার____লিসেন মিস,,কি যেনো নাম তোমার,,হোয়াট এভার___এখানে এসে থাকতে পারছো এটা না তোমার ভাগ্য,,ওখানে টেবিলে টাকা রাখা আছে নিয়ে জাস্ট সামন থেকে চলে যাও আমার,,তোমাদের মতো মেয়ে দের মুখে মা কে সম্মান করা কথা টা ঠিক মানায় না।
ওনার হাত থেকে অনেক কষ্টে ছাড়িয়ে নিলাম নিজেকে,,ওনার সাথে কথা বলতে এখন রুচিতে লাগছে আমার,,তাই আর কথা না বাড়িয়ে আমি সিঁড়ি দিয়ে এক পা ফেলতে ধরবো ওমনি উনি আমাকে আটকিয়ে একটা ডেভিল হাসি দিয়ে উঠলো।
শিশিরঃ কোমড়ের কাছের তিল টা কিন্তু তোমার জোস,,কাল পুরো আধা ঘণ্টা সেটাকে খেয়েছি কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই আর বেশি____
শুনেই চোখ বন্ধ করে একটা ঘৃনার দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লাম।গা টা ঘিনঘিন করতে শুরু করলো আমার আবার,,মন তো চাচ্ছিলো ওখানেই ওনার গালে পর পর দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দেই,,কিন্তু ওনাকে স্পর্শ করে হাত টা নষ্ট করার কোনো ইচ্ছে আর আসলো না মনে।
শিশিরঃ তবে আমার সিক্স সেন্স বলছে তোমাকে আবার আমি একদিন আমার বিছানায় নিয়ে আসবো__Gate ready for it baby____ও হ্যা বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তা দিয়ে কোনো ডিসপেনসারি থাকলে পিল টাইপ কিছু কিনে খেয়ে নিও প্লিজ নয়তো পরে কনসিভ করে বসলে ব্যাপারটা ঠিক ভালো হবে না।
ওনার কথায় চোখ খুললাম,,আমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো দু ফোটা জল,,জানি না আমার চোখের জল দেখে ওনার ঠিক কি অনুভূতি হচ্ছিলো তবে উনি কিছুটা অন্য রকম হয়ে গেলেন বেশ বুঝতে পারলাম।
রোদেলাঃ কেনো ভয় হয়?কনসিভ করলে যদি আপনার একটা পাপ আপনার অগোচরেই বড় হয়ে উঠে
শিশিরঃ না
রোদেলাঃ তাহলে এতো প্রভাবশালি শিশির শাহরিয়ার এর এতো ভয় কিসের??
শিশিরঃ বাবা হতে!!(অস্ফুটে)
রোদেলাঃ মানে??
শিশিরঃ কিছু না
বলেই উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে উপরে চলে গেলেন,,আমিও আর একটা মুহুর্ত ওনার বাড়িতে না থেকে সোজা চলে আসলাম আমার বাড়িতে।
__________________
আয়নায় দাঁড়িয়ে হাতে হাত ঘড়ি পড়ে কোটের বোতাম গুলো ঠিক ঠাক আছে কি না সেটা দেখায় ব্যস্ত উনি,,এমন সময় নীলি আপু এসে ওনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আদুরে স্বরে সম্বোধন করতেই হালকা রেগে গিয়ে নীলি আপুর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বিছানায় বসে উনি পায়ে শু পড়তে থাকলেন
নীলিমাঃ আজ তাহলে রাতে আমরা ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যাচ্ছি তাই তো
শিশিরঃ আজ আমি তোকে সময় দিতে পারবো কি না জানি না,,তবে পরশু ফ্রী আছি ওদিন তুই চাইলে
নীলিমাঃ পরশু করে করে তো গোটা উইক টাই কভার করলি,,আর কতো
শিশিরঃ আমি অনেক ব্যস্ত একটা পারসোন নীলি,,তোর এসব আবদার মেটানোর মতো ওতো সময় হাতে নেই আমার
নীলিমা আপু ওনাকে কিছু বলার আগে আপুর চোখ যায় বেডের উপর,,যেখানে সাদা বেডের এক সাইড আমার রক্ত দিয়ে মিশে গেছে একদম,,সাথে বালিশের এক পাশে স্থান পেয়েছে আমার হাতের চুড়ি যার কিছু ভাঙ্গা কিছু আবার অক্ষত!!
নীলিমাঃ তুই আবার কাল মেয়ে নিয়ে এসেছিলি শিশির??
শিশিরঃ হ্যা এনেছিলাম তো
এবার আর নীলি আপু নিজেকে আঁটকে রাখতে পারে না,,ডুকরে কেঁদে উঠে ওনার শার্টের কলার ধরে ওনার মনের দুঃখ টাকে প্রকাশ করতে থাকে।
নীলিমাঃ কেনো শিশির কেনো,,কতো কতো মেয়ে লাগবে তোর বল আমাকে__আমি থাকবো তোর সাথে
শিশিরঃ নীলি ছাড় আমাকে,,টিউলিপের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে আমার
নীলিমাঃ কেনো তুই এরকম শিশির,,আর কতো এভাবে মেয়ে দের নিয়ে খেলবি তুই
শিশিরঃ আমি তো মেয়ে দের নিয়ে খেলি না নীলি,,মেয়ে দের টাকার প্রয়োজনে তারা আমার ওফার এক্সসেপ্ট করে এই যা
শিশিরঃ তুই তাদের কে টাকার অফার দিবি বা কেনো,,তোর কি লাগবে শান্তি__আমি দেবো তোকে,,সারারাত লাগবে তোর আমি তোকে প্রয়োজন পড়লে সারাদিন দেবো কিন্তু তুই এবার এসব একটু বন্ধ কর
শিশিরঃ কেনো তোরো কি টাকা লাগবে নাকি নীলি!!
নীলিমাঃ আমার টাকা না আমার তোকে লাগবে শিশির!!তোর ভালোবাসা লাগবে,,তোর মায়া লাগবে,,তোর স্নেহ লাগবে,,তোর যত্ন লাগবে__বল না বল এসব দিতে পারবি না তুই আমাকে,,এই সামান্য কয়েকটা জিনিসই তো
শিশিরঃ তা হয় না নীলি,,আমি একটা খারাপ ছেলে,,তুই তো কতো ভালো একটা মেয়ে,,আমি তোর জন্য একটা প্রিন্স চার্মিং নিয়ে আসবো,,যে তোকে খুব ভালো রাখবে দেখিস
নীলিমাঃ আমার কোনো প্রিন্স চার্মিং লাগবে না,আমার শুধু তোকে চাই শিশির শুধু তোকে চাই
এবার উনি রেগে গিয়ে নীলি আপুর হাত ধরে আপুকে বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে দেন
শিশিরঃ জাস্ট স্টপ নীলি,,তোর এই প্রতিদিনের নাটক খুবই অসহ্য লাগে আমার,,কতো বার বলবো তোকে আমি একটা খারাপ ছেলে,,এসব ভালোবাসা বিয়ে এগুলোতে আমি বিশ্বাস করি না___লিসেন নীলি সারাজীবন আমার বন্ধু হয়ে পাশে থাকতে পারলে থাক নয়তো চলে যা,,ফিরে যা ইউকে,,আঙ্কেল তোর জন্য পারফেক্ট কাউকে ঠিক খুঁজে দেবে,,জাস্ট গো,,জাস্ট লীভ মি
বলেই উনি ওনার ফোন টা নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন,,উনি বেড়িয়ে পড়তেই নীলি আপু এবার আমার সেই রক্তমাখা বেড কভার টা তুলে মাটিতে ছুড়ে দিয়ে ডুকরে কেঁদে ভাসিয়ে দিলো
নীলিমাঃ সেদিনের ইন্সিডেন্ট টার জন্য তুই সব মেয়ে দের এক চোখে দেখতে পারিস না শিশির__সব মেয়েরা এক না__ভালোবাসি আমি তোকে আর কিভাবে বোঝাবো তোকে,,কিভাবে!!
চলবে