#revenge
#part_5
#sabiha_kh
২দিন পর,,,,,,
ঘড়িতে ঠিক রাত ৯ টা,,, জুবিন প্রাইভেট পরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। মনে একটা অদ্ভুত ভয় কাজ করছে যখন থেকে জানতে পেরেছে রোহিতের সুইসাইড এর কেউ প্রতিশোধ নিচ্ছে,, হঠাৎ ফোন টা বেজে উঠে জুবিন চমকে উঠে ভিতর টা ধাক করে উঠে। ফোন টা বের করে দেখে ওর গার্লফ্রেন্ড ফোন দিয়েছে,, জুবিন ফোন কেটে দিল এবং পা চালিয়ে হাটতে লাগল। চারপাশ আজ কেমন থমথমে চাদের আলো অন্ধকার টা কিছুটা দূর করলেও থমথমে পরিবেশ ভিতরের ভয়টাকে যেন বারিয়ে দিচ্ছে।
আজ মনে হচ্ছে বাড়ির টা অনেক দূরে হয়ে গেছে,,, গলা সুকিয়ে যাচ্ছে,, জুবিন ভাবে মারুফ কে ফোন দিয়ে কথা বলবে যাতে ভয় টা কম লাগে তাই আবার পকেট থেকে ফোন বের করে,,,
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ খুব জোড়ে বাইক নিয়ে আসে জুবিন ভাবে তার কাছে লিফট নিবে যাতে বাড়ি তাড়াতাড়ি পৌছে যাওয়া যাই। তাই পিছনে ঘুরে লিফটের জন্য হাত বারাতে। বাইকে বসে থাকা লোকটি জুবিনের হাতের আঙ্গুল ধরে মুচড়ে দেয় এবং রাস্তার সাথে ছিচড়াতে ছিচড়াতে নিয়ে যাই কিছু দূর।
জুবিন কিছু বুঝে উঠার আগে জুবিনের হাত গাছের সাথে বারি দেই। জুবিন হাত ধরে মাটিতে পরে থাকে,, লোক টি বাইক থামিয়ে হেটে আসে। বাইকের হেডলাইটের আলো জুবিনের মুখে পরে,, জুবিন মাথা উঠিয়ে দেখার চেষ্টা করে লোক টা কে? মাথা উঠিয়ে সবার আগে যেটা চোখে পরে সেটা হল তার বুড়ো আঙ্গুল টা ঝুলছে জুবিন সেটা দেখে চিৎকার দিতেই পিছন থেকে কেউ এসে মুখ চেপে ধরে।।
জুবিন আড়চোখে দেখার চেষ্টা করে। সে চেহারা দেখতে না পেলেও তার পরনে যে কালো কাপড় সেটা বুঝে। জুবিনের আত্মা সুকিয়ে যাই।
জুবিন- কে আপনি? প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমি কিছু করি নি,,, ( বলতেই মাথাটা গাছের সাথে সজোড়ে বারি দিল)
জুবিন মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হয় লোক টা জুবিনের কলার ধরে দাড়া করাই,,জুবিনের মাথা ঘুরছে সে ঠিক মত দাড়াতে পারছে না। লোকটা জুবিনকে গাছের সাথে ঠেসে ধরে।। জুবিনের কথা মুখের ভিতর জোড়িয়ে যাচ্ছিল,,
জুবিন- কে আপনি??
লোকটা পিছন থেকে একটা ছুড়ি বের করে জুবিনের গালে ধরে,,
জুবিন- আমি কিছু জানি না সত্যি বলছি,,( লোকটা সরে যাই এবং ধীরে জিজ্ঞাসা করে)
– রোহিতের সাথে এমন কেন করেছিস( জুবিনের বুঝার বাকি রয়ল না সে কত বড় বিপদের সামনে)
জুবিন – আ,,আম,,আমি,,( আর কিছু বলার আগেই লোক টা জুবিনের কানে ছুড়ি চালিয়ে দেয় কানের লতি কেটে পরে যাই সে চিৎকার দিতে লাগলে লোকটা জুবিনের মুখ চেপে ধরে কাছে এসে বলে)
– তোর বাকি বন্ধু কোথায়?( জুবিন মাথা নড়াই লোকটা সজোড়ে জুবিনের গালে কয়েকটা ঘুসি দেয়)আমাকে নিয়ে চল ( বলে হাত সরাতে জুবিন জান ছেড়ে দৌড়াতে লাগল)
লোক টাও পিছন পিছন যেতে লাগলো রাস্তাই জুবিনের পায়ের চটিটা ছিড়ে যাই কিন্তু সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেয় সে দৌড়াতেই আছে,,,
আর বারবার পিছনে তাকাচ্ছে,, অবশেষে জুবিন বাড়ি পৌছে গেল দড়জা খুলতে দেখে মারুফ আর রিফাত বসে বসে ড্রিংকস করছে আর টিভিতে গে পর্ন ভিডিও দেখছে,, এমন করে জুবিন দড়জা খুলাতে ওরা চমকে তাকালো।
জুবিন ভিতরে আসে,,ওর সাদা শার্ট রক্তে ভিজে গেছে। মারুফের মনে সবার আগে যে কথা আসে সেটা হল রোহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ। পরে ভাবে যে এই ঘটনা অনেক আগের জুবিন হয়তো সয়তানি করছে,,
মারুফ- এই গুলো কি ধরনের দুষ্টামি জুবিন( রাগি স্বরে)
বলে লাইট জ্বালাতেই দেখে জুবিনের কানের লতি নাই মারুফ পিছনে সরতেই মাটিতে পরে যাই।
রিফাত কিছু বলার আগে জুবিন কাপাকাপা গলায় বলে,,
জুবিন- রো,,,,রোহি,,রোহিত,,,( রিফাত চমকে উঠে সে জুবিনের কাছে এগিয়ে যেতেই ধুপ করে লাইট অফ যাই রুমের। মারুফ ভয়ে চুপসে যাই)
রিফাত- এই লাইটের কি হল,,( বলতে ধাম করে দড়জা বন্ধ হওয়ার শব্দ রিফাত মারুফ চমকে উঠে রিফাত তাড়াতাড়ি ওর ফোন খুজতে লাগে বিছানার উপর থেকে ফোন নিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখে জুবিনের পিছনে কালো পোশাকে কেউ দাঁড়িয়ে জুবিন কাদতে কাদতে মাটিতে পরেই জ্ঞান হারায়। রিফাতের ভিতরে যেন জান নাই মারুফ টেবিলের নিচে ঢুকে পরে।
রিফাত- কে আপনি?( বলতেই মনে হল লোকটা আলোর গতিতে রিফাতের মুখের সামনে এসে দাড়াল রিফাতের হাত থেকে ফোন পরে গেল,,লোকটা ফোন তুলে নিজের মুখের সামনে ধরে)
রিফাত দেখে লোকের মুখে কালো মাক্স চোখ গুলো লাল হয়ে আছে,,বুঝা যাচ্ছে এক প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে তার ভিতর,, রিফাত একপা করে পিছনে সরতে লাগে,, আর লোক এক ধাপ করে এগিয়ে আসে
রিফাত ধুপ করে বিছানাতে পরে যাই, লোকটা পিছন থেকে পিস্তল বের করে রিফাতের মাথায় ধরে,,রিফাত ঘেমে চুপসে যাই,,বুকের ভিতর হার্টবিট টা এত দ্রুত হয়ে যাই রিফাতের মুখদিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছিলনা।
এদিকে মারুফ ফাক বুঝে টেবিলের নিচ থেকে বের হয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গিয়ে দড়জা খুলতে লাগে আর লোকটা পিছনে ঘুরে মারুফের হাতে পাতায় গুলি চালিয়ে দেয় মারুফ হাত ধরে বসে পরে,, লোকটা রিফাতের দিকে ঘুরতে রিফাত ভয়ে লোকের দিকে বালিশ ছুড়ে, বিছানার ওপাশে পার হতে গেলে লোকটা রিফাতের পা ধরে টিটেবিলে রাখা ল্যাম্প নিয়ে রিফাতের মাথায় মারে।
রিফাত সাথে সাথে বেহুশ হয়ে যাই মারুফ ভয়ে দড়জার সাথে লেগে যাই লোকটা হেটে আসে,, এবং মারুফের কাছে বসে
মারুফ- প্লিজ আমাদের ছেড়ে দেন( লোকটা, পিস্তলের হাতল দিয়ে মারুফকে মাথায় আঘাত করতেই সেও জ্ঞান হারাল,)
প্রায় ২ ঘন্টা পর রিফাতের জ্ঞান ফিরে। কানে খুব জোড়ে চিৎকারের আওয়াজ আসে চোখ খুলে দেখে জুবিন চেয়ারে আধমরা অবস্থায় পরে আছে ওদের হাত টেবিলের উপরে লোহার খাচের ভিতরে আটকানো শরীর চিয়ারের সাথে দড়ি দিয়ে বাধা,,পা গুলোও বাধা অর্থ্যাৎ নড়ার কোনো উপায় নাই। মাথাটা একটু সামনে ঝুকিয়ে দেখে মারুফ এবং ওর সামনে সেই লোকটা বসা,,ওর হাতে একটা রেঞ্জ,, সে অই রেঞ্জ মারুফের আঙ্গুলের ভিতর ঢুকিয়ে সেটা টাইট করতে থাকে। মারুফ ব্যাথায় চিৎকার করছে।। মারুফের এমন চিৎকারে রিফাতের জানটা যেন গলার কাছে চলে আসে,,
– রোহিত কি ক্ষতি করেছিল তোদের,,
মারুফ- কিছু করেনি,,, কিছু করেনি,,( চিল্লাতে চিল্লাতে বলল)
– তাহলে ওর সাথে এমন কেন করলি( বলে রেঞ্জের ভিতর আটকানো আঙ্গুল টা উলটা দিকে ভাজ করলো মারুফ জান ছেড়ে চিৎকার দেয় ওর চিৎকারে সাড়া রুম যেন বাজছিল,,)
মারুফ- আমরা রোহিতের মৃত্যুর জন্য দায়ি না বিশ্বাস করেন,,
– এই হাত দিয়ে তুই ওর মুখ চেপে ধরেছিলিস তাই না( বলে টেবিল থেকে সুচালো একটা লোহা তার হাতে গেথে দেয় মারুফ এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছে না। তার যেন গলার রগ ছিড়ে যাবে।রিফাত এমন দেখে কাদতে শুরু করে।মারুফ নিজের জ্ঞান হারায়)
রিফাত দেখে লোকটা উঠে তার কাছে আসছে সে কোনো আজরাইল থেকে কম না। রিফাত নিজের মৃত্যু যেন সে লোকের চোখে দেখছে,,,, রিফাত সেখান থেকে উঠার চেষ্টা করে, লাফা লাফি করে,, হাত মোচড়ামুচড়ি করে টেবিল সে খাচ থেকে হাত বের করার জন্য,,
লোকটা রিফাতের কলার ধরে রিফাতের মুখের কাছে যাই,, রিফাত জোড়ে জোড়ে শ্বাস ছাড়ে,, লোকটি বললো-
– যন্ত্রনা বুঝিস?? আমি তোকে বুঝাবো যন্ত্রনা কি?( বলে রিফাতের শার্টের বোতাম খুলে,,,)
রিফাত- প্লিজ না!! প্লিজ,,( বলে আকুতি করে)
লোক টা হাতে ছুড়ি তুলে রিফাতের বুকে ধরে,,ছুড়ির সুচালো মাথা দিয়ে ওর বুক একটু একটু করে চিড়তে থাকে।। রিফাত চিৎকার করতে লাগে,,
– তোর চিৎকার৷ কেউ শুনবে না,( বুক দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হয় লোকটা ছুড়ি রেখে জিজ্ঞাসা করে) বল কেন রোহিতের সাথে এই কাজ করেছিস??
রিফাত- আমি সত্যি বলছি আমি রোহিতকে পছন্দ করতাম। ওরে আমার ভাল লাগতো কিন্তু সে কারো সাথে কথা বলতে চাইতো না। আমি কয়েক বার চেষ্টা করেছি কথা বলার কিন্তু সে কথা বলতেই চাইনি।
লোকটা চিয়ার থেকে উঠে নিজের মাথার চুল নিজেই টানে,,আর রাগে চিৎকার করে পকেট থেকে পিস্তল বের করে শুট করে, রিফাতের কানের এপার ওপার হয়ে যাই সেই বুলেট। রিফাত চিৎকার করে কাধের সাথে কান চেপে ধরে,,
লোকটা এসে রিফাতের গলা চেপে ধরে আর জোড়ালো কন্ঠে বলে- তাহলে তুই তাকে এই সেক্সচুয়াল হ্যারেজমেন্ট কেন করলি?
রিফাত চোখ উল্টিয়ে দেয়,, সাথে সাথে লোকটা রিফাতের গলা ছেড়ে দেয় এবং বোতলের পানি তার মুখে ঢালে,,রিফাতের শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগে,,
লোকটা নিজের চেয়ার উঠিয়ে আবার রিফাতের সামনে বসে শান্ত হয়ে তাকাই।
রিফাত- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন,,
– আমি তোদের ছেড়ে দিয়ার জন্য এইখানে নিয়ে আসিনি।( বলে পিছন থেকে প্লাস বের করে)
রিফাত- এমন ভুল আর কখনো হবে না ছেড়ে দিন আমাকে!!
– এইটা রহিতের শার্টের বোতাম খুলার আগে ভাবা দরকার ছিল( বলে প্লাস দিয়ে রিফাতের হাতের নখ উঠিয়ে ফেলে,,রিফাত এই অসহ্য কষ্ট আর নিতে পারছিল না)
লোকটা এক এক করে ওর সব নখ টান দিয়ে তুলে ফেলে,,
এর ভিতর জুবিনের জ্ঞান ফিরে,,,
জুবিন দেখে রিফাতের হাতের আঙ্গুল দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে,,রিফাতের জ্ঞান নাই,, লোকটা জুবিনের দিকে তাকাতে জুবিন যেন আর নিজের ভিতর নাই,,
লোকটা এসে জুবিনের সামনে বসে জুবিন লাফালাফি করে,,,হঠাৎ সে ফিল করে তার পায়ের নিচে কাটার মত কিছু বাধছে। নিচে তাকাতে দেখে একটা ট্রে।। সেটার উপরে অনেক গুলো কাটা খারা আছে।। যার উপরে জুবিনের পা বাধা আছে,, জুবিন ভীত চোখে লোকের দিকে তাকাই,,
লোকটা শান্ত ভাবে বলে- জীবনে এমন কোনো ভুল করা উচিত না যার মাসুশ জীবন দিয়েই দিতে হয়।আর সে ভুলের জন্য যদি কেউ জীবন দেয় সে ভুলের মাশুল যন্ত্রনার মৃত্যুদিয়ে দিতে হয়( বলে জুবিনের পায়ের উপর পা রেখে সজোড়ে চাপ দেয়)
জুবিন চিৎকার করে আর বলে- আর সহ্য করতে পারছি না,, আমাদের ছেড়ে দেন আর কখনো এমন হবে না,,
লোকটা ওদের মুখে এই কথা শুনে নিজের রাগ ধরে রাখতে পারছিল সে রিফাতের টেবিল থেকে ছুড়ি নিয়ে জুবিনের হাতে ঢুকিয়ে দেয় টেনে বের করে এবং আবার ঢুকিয়ে দেয় আবার বের করে এবং আবার ঢুকিয়ে দেয়। জুবিন চিৎকার করতে থাকে।
জুবিন আবার জ্ঞান হারাই,,অনেক ক্ষন পর তিন জনের জ্ঞান ফিরে ওরা দেখে ওদের সামনে বিশাল সমুদ্র সমুদ্রের কি শ্রোত,, মারুফ উঠতে যাই কিন্তু পারেনা শরীরে তেমন শক্তিও আর বাকি নাই যে জোড় খাটিয়ে উঠবে পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে পায়ের নখ গুলো থিতলানো জুবিন মারুফ রিফাত একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে কাদতে থাকে,,
আর জোড়ে জোড়ে বলে- কেউ আছে আমাদের সাহায্য করুন,, কিন্তু চারপাশ খুব স্তব্ধ,, ওদের আওয়াজ শুনার মত কেউ নাই।ওরাও আর চিল্লাতে পারছে না,, গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না শরীরে যন্ত্রনাই ওরা কাতর হয়ে যাচ্ছে,, হঠাৎ জুতার শব্দ!!! মাথা উঠিয়ে পিছন দিকে তাকাল রিফাত।। দেখলো ওদের পায়ের দিকে একটা বাইক রাখা ছিল সে আলোতে সে লোককে দেখা যাচ্ছে সে হেটে আসছে, তাদের দিকে
৩ জনের ভিতর একটুকু শক্তি ছিল না তারা শুধু কাদছে।
জুবিন- কত বড় ভুল করে ফেলেছি আমরা এর মাসুল হয়তো জিবন দিয়েই দিতে হবে।
রিফাত- ঠিক বলেছিস,, আর করার কিছু নাই আমাদের ।।
মারুফ কেদেয় চলেছে,, লোকটা ওদের সামনে এসে দাড়াল ওনার কপালে রক্তের ছিটা ফোটা লেগেছিল। এইটা বুঝতে বাকি ছিল এই রক্ত তাদেরি,,
সে রিফাতের কাছে আসে এবং রিফাতের হাতের বাধন খুলে দেয় মারুফ ভাবে হয়তো তাদের ছেড়ে দিবে জুবিনও আশার আলো দেখতে পায়,,
রিফাতকে উপর করে সুইয়ে দেয়,,বুকের কাটা ঘায়ের ভিতর সেখানকার বালু গুলো ঢুকছিল যা কাটার মত ফুটছে।। রিফাত দাতে দাত দিয়ে কামড়িয়ে ধরে আছে,, মারুফ জুবিন দেখে লোকটার আরেক হাতে হাতুরি আর সে পকেট থেকে মোটা কিছু তারকাটা বের করে যা দেখে মারুফের অবস্থা খারাপ হয়ে যাই।।
লোকটা রিফাতের হাত এক জাগায় করে কোমরের সাথে রেখে তারকাটা ঢুকিয়ে দেয় এবং হাতুড়ি দিয়ে জোড়ে জোড়ে পিটাতে লাগে তারকাটা হাতের রগ ভেদ করে কোমরে ঢুকে যাই,,রিফাত চিল্লাতে পারছে না তার ভিতর সেই শক্তিও ছিল না।
জুবিন এ মমর্মান্তিক টর্চার দেখে উঠার চেষ্টা করে,,তার আর সহ্য করার ক্ষমতায় ছিল না,,( লোকটা রিফাতের চুল ধরে টেনে নিয়ে একটা স্প্রীড বোডে উঠায়,, এবং একি কাজ বাকি দুইজনের সাথেও করে এবং তাদের বোর্ডে উঠায়)
রিফাত কথা বলতে পারছিল না চোখের সামনে রোহিতের সাথে যা করেছে সেটা খেয়াল দেখছিল।।। মারুফ খুব কাদে আর ছেড়ে দিয়ার জন্য মিনতি করতে থাকে,, জুবিন আধমরা অবস্থা,, সে নিজের মৃত্যুকে আলিংগন করতে চলেছে,,,, তাদের হাত কোমরের সাথে এমন তারকাটা মেরেছে সেখান থেকে বের করা কোনো ভাবে সম্ভব না।
স্প্রীড বোর্ড অনেকটা দূরে নিয়ে গিয়ে থামিয়ে দিয়ে লোকটা রিফাতেকে ধরে বলে- এইটাই হল যন্ত্রনা!!! এটাই অপরাধের শাস্তি।।।( বলে পানিতে ফেলে দেয়)
তারপর বাকি দুজন কে পানিতে ফেলে দিয়ে লোকটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে পারে ফিরে আসে।
ভোর ৪ টা,,,,,,
এসআই এর ফোনটা বেজে উঠলো।।। ফোনের রিংটোন এর শব্দে এসআই এর চমকে উঠে ঘুম ভাঙে।। এসআই ঘুম ঘুম চোখেই ফোন রিসিভ করে কানে ধরতেই ওসি চিৎকার দিয়ে বললো- পুলিশের চাকরি কেনো করতে এসেছো।।। ঘুমানোর জন্য!!
এসআই চমকে উঠে ফোনের দিকে তাকায় দেখে ওসির ফোন। এসআই তারাতরি উঠে সজা হয়ে বসে বললো-
এসআই- সরি স্যার আমার কি কনো ভুল হয়েছে?? (ভয়ের সুরে)
ওসি- আজকে ওই একি কলেজের তিনটা ছেলে বাড়ি ফিরেনি।। তাদের বাবা মা থানায় গিয়েছিলো তোমরা এখনো কনো পদক্ষেপ নাওনি জন্য তারা উপর লেভেলে কমপ্লেন করেছে।। আর উপর লেভেল থেকে আমাকে ফোন দিয়ে ইচ্ছা মতে ঝেড়েছে।।। ( রাগান্বিত সুরে)
এসআই- সরি স্যার।।। (আসতে)
ওসি রাগান্বিত সুরে বললো- রাখো তোমার সরি।।। ইমিডিয়েটলি থানায় আসো।। আমি আসছি।।।
বলে ফোন কেটে দিলো।। এসআই তারাতারি বিছানা ছেড়ে উঠে গেলো।।
৩০ মিনিট পর,,,,,,
পুলিশ স্টেশনে রিফাতের, জুবিনের, মারুফের বাবা মা কান্না কাটি চিল্লাচিল্লি করছে।। এসআই আসলো এবং কনস্টেবল কে রাগান্বিত সুরে বললো- এতো বড় একটা ঝামেলা হয়েছে আর আমাকে যানাও নি তোমার খবর আছে দাড়াও।।।
বলে এসআই রিফাত, মারুফ, জুবিনের বাবা মাকে শান্ত হতে বললো।।।
১০ মিনিট পর,,,, ওসি পুলিশ স্টেশন আসলো।। সবাই ওসিকে দেখে দাড়া হলো।। এসআই ওসিকে সেলুট জানিয়ে বললো- স্যার ওনাদের সব কথা শুনেছি।।।
ওসি ছেলেগুলোর বাবা মার দিকে তাকিয়ে বললো- আপনারা বাড়ি যান।। আমরা খুব দ্রুত তদন্ত করে আপনাদের ছেলেদের খুজে বের করবো।।।
তিন ছেলের বাবা মা চলে গেলো।। ওসি রেগে বললো-
ওসি- সারাদিন কি করো তোমরা।।। ৭/৮ দিন আগে রহিত নামের ছেলের লাশ আর সাথে ডায়েরি চুরি হয়ে গেলো।। কে নিলো কি হলো কনো খোজ পাওয়া গেলো না।। তারপর সেই কলেজের চারাজন ছাত্র কে অমানুষীক ভাবে পিটানো হয়েছে।। এখন তারা হসপিটালে। তারা বলেছে কেও রহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে। কিন্তু কে নিচ্ছে তার কনো খোজ নেই।। আর আজ ওই একি কলেজের আরো তিনটা ছেলে উধাও।।। এগুলো করছে কেন করছে কোন খবর নেই।।
এসআই- স্যার আমি কিছু বলতে চায়।।
ওসি- বলো!!! (গম্ভীর সুরে)
এসআই- স্যার আমার যত দুর মনে হচ্ছে এগুলো ঘটনা সব রহিতের ডায়েরির সাথে জোরিত।। আমার মনে হয় অবশ্যই সেই ডায়েরিতে এমন কিছু লিখা আছে যেটা পরে পরে প্রতিশোধ নিচ্ছে।। কিন্তু কে নিচ্ছে?? স্যার রহিতের ব্যাপারে আমি যেটুকু জেনেছি। রহিত খুবি ভালোএকটা ছেলে ছিলো।। তবে হ্যা রহিতের মৃত্যুর এক দিন আগে হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রহিত মাতাল অবস্থাই তার রুমে যাচ্ছে।। আমি এই ব্যাপারে রহিতের বন্ধুদের জিগেস করেছিলাম রহিত কি নেশা করে কিনা!!! ওরা বলেছে না স্যার আসলে সেদিন একটা পার্টি ছিলো।। সেখানে আমরা সবাই কম বেশি খেয়েছি। তবে রহিত খেতে চাচ্ছিলো না।। হয়তো পরে খেয়েছে।। আমি ওদের জিজ্ঞেস করলাম- পার্টিতে রহিতের সাথে কি কনো ঝামেলা হয়েছিলো কিনা!! ওরা বললো না স্যার কিছুই হয়নি। আমরা সবাই পার্টি এনজয় করেছি।।।
ওসি- ওকে আগুলো এখন রাখো আগে এই তিন জন ছেলেকে দ্রুত খুজে বের করো। আর হ্যা,,,, আজ কলেজে গিয়ে সব ছাত্র ছাত্রী কে এলার্ট করে দাও।।
এসআই- ওকে স্যার।।।।
,,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।