#revenge
#part_8
#sabiha_kh
মিরা- আমরা আমাদের লক্ষের অনেক কাছে চলে এসেছি আকাশ।
আকাশ- হমম।।
মিরা- চলো ভিডিও ফুটেজ টা দেখা যাক।।
”
”
”
”
মিরা ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করে ভিডিও ফুটেজ এর সিডি ল্যাপটপে ঢুকিয়ে চালু করে দেখতে লাগলো।। দুজনায় খুব মনযোগ দিয়ে দেখতে থাকে। আকাশ দেখতে দেখতে হঠাৎ তার চোখ তিনটা মেয়ের দিকে আটকে যায়।। আকাশ দেখলো মেয়ে গুলো রহিতেকেই দেখছে এবং নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।। কিছুখন পর মেয়ে গুলো পার্টি থেকে বের হয়ে অন্য দিকে গেলো।। আকাশ দেখলো মেয়েগুলো ইসারা করে নিজের মধ্যে কিছু কথা বলছে। এবং একসাথে একটা রুমে ঢুকে।। দুইমিনিট পর একজন ওয়েটার আসলো হাতে ট্রে ট্রের উপর দুইটা বড় বড় উসকির বোতল তিনটা গ্লাস।।।
মিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো – আমি তো পার্টিতে কনো অস্বাভাবিক কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।।
আকাশ গম্ভীর ভাবে বললো- আমি দেখতে পাচ্ছি।
বলে আকাশ ভিডিও রিভার্স করে পিছে নিয়ে গেলো।।
আকাশ- এই খানে দেখো তিনটা মেয়ে রহিতকে ফলো করছে।। ওরা রহিতকে দেখ হাসছে এবং নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।।
( ভিডিও একটু টেনে দিয়ে বললো- এই দেখো ওরা এক সাথেই তিনজন পার্টি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।। বাম পাশের ভিডিওটা দেখো। ওরা এইখানে এসেছে।।
মিরা কপাল কুচকে বললো- এগুলো তো প্রায়ভেট রুম মনে হচ্ছে।।।
আকাশ- হমম ঠিক বলেছো।। দেখো ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। এই দেখো তিনজনায় রুমে ঢুকে গেলো।।
দুইমিনিট টেনে দিয়ে বললো- এই দেখো ওয়েটার বয় ওদের জন্য দুইটা উসকির বড় বোতল নিয়ে যাচ্ছে।।।
ওকে মিরা তুমি এখন ভিডিওটা আসতে আসতে টানো।।।
মিরা ১৫ মিনিট ভিডিও টানলো।। দেখলো সেই রুম থেকে একটা মেয়ে বের হলো। নিজেকে ঠিক ঠাক করতে করতে৷৷ মেয়েটা পার্টিতে গিয়ে সজা রহিতের কাছে গিয়ে বসলো।। রহিত মেয়েটার কাছ থেকে একটু সরে বসলো।। মেয়েটা কিছু বলতে বলতে রহিতের কাঁধে হাত রাখলে রহিত মেয়েটার দিকে তাকালো।। মেয়েটা রহিতের কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে সজা হয়ে বসলো।। এবং রহিতের সাথে কথা বলতে থাকলো। কিছুখন পর মেয়েটা রহিতের হাত ধরে কিছু বলতে লাগলো।।। রহিত মেয়েটার হাতের উপর হাত রেখে কিছু একটা বলে হাত সরিয়ে নিলো।। দেখলো মাইশা ওদের কাছে যাচ্ছে৷।।
মিরা- এইতো মাইশা।৷
আকাশ- হমম ও সত্যি বলেছে৷ দেখতে থাকো।
বলে দুজন দেখতে থাকলো। দেখলো মেয়েটা রহিত কে নিয়ে চলে যাচ্ছে।৷ আর মাইশা দাড়িয়ে দেখছে।। মেয়েটা রহিতের হাত ধরে সেই রুমের সামনে নিয়ে আসলে রহিত মেয়েটাকে কিছু একটা বলে এবং রহিত চলে যেতে লাগে।। মেয়েটা এসে রহিতের রাস্তা আটকিয়ে ধোরে কিছু বলে। রহিত মাথা ঝুকিয়ে মেয়েটার সাথে সেই রুমের ভিতরে গেলো৷।।।
আকাশ গম্ভীর সুরে বললো- ভিডিও একটু টানো।।
মিরা আরো ৫ মিনিট ভিডিও টেনে দিলো। দেখলো রহিত একটু বিরক্তির চেহারা নিয়ে রুম থেকে বের হয়েছে পিছনে দুইটা মেয়ে রহিতের সাথে বের হয়েছে।। এবং তারা রহিতের দুইহাত চেপে ধরে কিছু একটা বলছে। ল রহিত ওদের থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।। মেয়ে দুইটা এক রকম জোর করে রহিত কে টেনে রুমের ভিতরে নিয়ে গেলো।৷
মিরা আসতে আসতে ভিডিও প্রাই ১ঘন্টা টেনে দিলো।। দেখলো মাইশা সেই রুমের দরজার কাছা কাছি এসে ফোন বের করে কথা বলছে। তারপর দ্রুত দৌড়ে চলে গেলো।।
মিরা আকাশের দিকে তাকালো।। দেখলো আকাশের চোখ লাল হয়ে গেছে।।।
আকাশ জোরে একটা শ্বাস ছেড়ে বললো- ভিডিও টানো।।
মিরা আসতে আসতে ভিডিও আরো দের ঘন্টা টেনে দিলো৷
তারা দেখলো রহিত রুম থেকে বের হচ্ছে। রহিতে চুল এলো মেলো বুকের বোতাম খুলা। রহিত টোলতে টোলতে হাটছে।।
মিরা- ওরা কি তাহলে রহিতকে জোর করে নেশা করিয়েছে?? (অবাক হয়ে)
আকাশ কনো কথা বললো না ধাম করে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলো।৷ আকাশের মুখ রাগে লাল হয়ে গেছে।। মিরা আকাশকে দেখে একটু ভয় পাচ্ছে।। আকাশ গাড়ির স্টিয়ারিং শক্ত ধরে বললো-
আকাশ- কাওকে ছাড়বো না।।। কাওকে না।। মিরা এরা কলেজেরই মেয়ে খোজ লাগাও।।।পুলিশ রা ওই মেয়ে গুলোর খোজ পাওয়ার আগে আমি ওদের ধরতে চায়।।
মিরা- ওকে আমি এখুনি কলেজে যাচ্ছি।।। আমি খুজে বের করে তোমাকে খবর দিবো।।।
আকাশ- ওকে।।।
মিরা ব্যাগের ভিতর ল্যাপটপ ঢুকিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।।।
এদিকে পুলিশ সব ওয়েটার বয়দের সাথে কথা বললো৷ একজন ওয়েটার বয় বললো যাদের রুমে উইসিক দিয়ে এসে ছিলো। তাদের মধ্যে একজন মেয়ের সাথে সে রহিত কে দেখেছে।।।
এসআই- ওরা তিনজন মেয়ে ছিলো???
ওয়েটার- জি স্যার।।
এসআই- তারপর কি আর এই ছেলেকে দেখেছো??
ওয়েটার- জি স্যার দেখেছিলাম৷ আমাদের বারের বাইরে। তখন রাত প্রায় ১০:৪৫ বাজে।। আমি বারের বাইরে দারিয়ে আমার র্গালফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম। তখনি দেখি ছেলেটা বারের ভিতর থেকে একদম মাতাল অবস্থাই বের হচ্ছে৷ সে ঠিক মতো হাটতে পারছিলো না।। পা বের লেগে ছেলেটা পরে যাই।। আমি ফোন কেটে দিয়ে দ্রুত ছেলেটার কাছে গিয়ে ছেলেটাকে ধরতে গেলে ছেলেটা চমকে উঠে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।।। আমি দেখি ছেলেটার নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আমি রুমাল বের করে ছেলেটার দিকে আগিয়ে দিলে ছেলেটা কনো রকম উঠে দৌড় দেয়।।।।
এসআই- আচ্ছা ওই তিন মেয়ের চেহারা তোমার মনে আছে?? তুমি দেখলে চিন্তে পারবে??
ওয়েটার- পরিষ্কার তো মনে নেই তবে দেখলে চিন্তে পারবো।।
এসআই- ওকে তুমি আমার সাথে চলো।।
ওয়েটার একটু ঘাবরে গেলো এসআই এর কথা শুনে।। এসআই ওয়েটারের কাঁধে হাত রেখে বললো- ভয়ের কিছু নেই তুমি শুধু মেয়ে গুলোকে চিনিয়ে দিবে।৷ চলো।
বলে পুলিশ ওয়েটারকে নিয়ে চলে গেলো কলেজে।। এদিকে মিরা কলেজে এসে কি ভাবে ওই দেরকে খুজে বের করবে সেটাই বসে ভাবছিলো।। এমন সময় পুলিশের গাড়ি আসতে দেখে। মিরা একটু ঘাবড়ে গেলো।। পুলিশ ওয়েটার কে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হলে মিরার আর বুঝতে দেরি হলো না যে পুলিশ ওই মেয়েদের খুজতে শুরু করেছে।।।
মিরা মনে মনে বললো- আমি তো পুলিশের সাহায্যেও মেয়েগুলো কে বের করতে পারি।।। ওকে এটা সহজ হবে।।
বলে মিরা পুলিশের পিছে পিছে গেলো।। পুলিশ প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকলো মিরা বাইরে সবার চোখের আড়াল হয়ে দারালো।
এসআই- হ্যালো প্রিন্সিপাল স্যার।। আমরা আপনার কলেজের তিনজন মেয়েকে খুজতে এসেছি।। ওদের জীবন এখন ঝুকির মধ্যে আছে।।।
প্রিন্সিপাল- এটা আপনি কি বলছেন স্যার।
এস আই- আমি সত্যি বলছি।। ১৫ তারিখে(,,,,,,,,, বারে) একটা পার্টি হয়েছিলো আপনাদের কলেজের ফুটবল খেলায় জিতার উপলক্ষে । সেই পার্টিতে এমন কিছু তো অবশ্যই হয়েছিলো। যার কারণে রহিত আত্মহত্যা করেছে।। আর রহিতের আত্মহত্যার সাথে সেই তিন মেয়ে জোরিত।
প্রিন্সিপাল- জি স্যার আমি শুনেছি সেই পার্টির কথা।। কিন্তু এমন কি হতে পারে??
এসআই- যানিনা। যাই হোক যে এই পার্টি দিয়েছিলো আমরা তার সাথে একটু কথা বললো।।
প্রিন্সিপাল কলেজের ফুটবল টিমের কোচ কে ডেকে পাঠালো।৷ কোচ আসলে এসআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।। কোচ মেরানের ভাই মানিকের কথা বললো যে সেই দিন সেই পার্টিটা দিয়েছিলো।৷ মেরানের ভাই মানিককে ডেকে পাঠানো হলো।।। মানিক আসলে এসআই তাকে বললো-
এসআই- মানিক পার্টিতে যাদের তুমি ইনভাইট করেছো তারা সবাইকি তোমার বন্ধু???
মানিক – জি না স্যার সবাই তো বন্ধু না আমি শুধু আমার ক্লাসের সবাইকে ইনভাইট করেছিলাম।।সেই পার্টিতে আমার ফুটবল টিম, আমাদের ক্লাসের সবাই আর আমার ছোট ভাই মেরান তার কিছু বন্ধুদের ইনভাইট করেছিলো।।।
এসআই প্রিন্সিপালের দিকে তাকিয়ে বললো- স্যার মানিকের ভাইকে ডেকে পাঠান।।
প্রিন্সিপাল মেরানকে ডেকে আনতে বললো।।। মেরান আসলে এসআই মেরানকে জিজ্ঞেস করলো। মেরান বললো সে শুধু, আবির, রোহিত, মাইশা, আর তার আরো দুই বন্ধু কে ইনভাইট করেছিলো।।
মিরা মেরানের মানিকের এর কথা শুনে বুঝতে পারলো মানিকের ক্লাসেরি সেই তিনটা মেয়ে হবে।।।
মিরা আর দেরি না করে দ্রুত কম্পিউটার রুমে গেলো দেখলো কম্পিউটারের অপারেটর বসে আছে।।। মিরার সাথে কম্পিউটারের অপারেটরের সম্পর্ক টা ভালো।।তাই মিরা ভিতরে গিয়ে বললো-
মিরা- ভাইয়া আমার একটু কাজ আছে। আমি কি এখানে কম্পিউটারে একটু কাজ করতে পারি??
স্যার – হমম অবশ্যই তুমি পাশের কম্পিউটারে কাজ করতে পারো।
মিরা মনে মনে বললো- ভাইয়াকে যদি এখান থেকে সরাতে না পারি তাহলে আমার কাজ হবে না।। আমার হাতে সময় ও বেশি নাই।।। এখন কি করি??
মিরা- ভাইয়া আ,,,, কলেজে আবার পুলিশ এসেছে আপনি জানেন???
স্যার- না তো?? কেন এসেছে??? (একটু বিভ্রান্ত হয়ে)
মিরা- উমম জানিনা দেখলাম একটা ছেলেকে নিয়ে এসেছে।। হয়তো কাওকে চেনানোর জন্য।।
স্যার- তাহলে তো গিয়ে দেখতে হচ্ছে। মিরা তুমি কাজ করো আমি একটু ঘুরে আসি তাহলে।
মিরা- জি আপনি যান সমস্যা নাই।।। (হেসে)
স্যারটা চলে গেলো।। মিরা তারাতারি বসে অপারেটরের কম্পিউটার হ্যাক করে অনার্সের ছেলেমেয়েদের লিস্ট বের করলো এবং সেই তিন মেয়েকে খুজে পেলো।।। মিরা তাদের সব ঠিকানা নিয়ে দ্রুত সব আবার ঠিক ঠাক করে কম্পিউটার রুম থেকে বের হয়ে গেলো।। এমন সময় পুলিশ সেই স্যারের সাথে কম্পিউটার রুমে আসলো।।
মিরা গভীর শ্বাস ছেড়ে বললো- ভ্যাগিস তারাতারি কাজটা করতে পেরেছি।।
মিরা সজা ক্যান্টিনে গিয়ে সবার পিছেনের টেবিলে বসলো এবং আকাশকে কল করলো।।।
আকাশ- হমম বলো??
মিরা- পেয়েছি ওদের ঠিকানা।। ওরা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের মেয়ে।। মেরানের ভাই মানিকের ক্লাস মেট ওরা।। ওদের নাম সুরভি, লাইলা, মমি।।
আকাশ- ওকে আমাকে ওদের ঠিকানা মেইল করে পাঠিয়ে দাও।।।
মিরা- আমার মনে হয় এই ঠিকানা দিয়ে কাজ হবে না।। কারণ ওরা অবশ্যই শর্তক হয়ে গেছে।।। ওদের বের করতে হলে ওদের ফোন নাম্বার লাগবে।।।
আকাশ- হমম তো???
মিরা- আমি জানি কি করতে হবে।। তুমি আর একটু সময় দাও আমাকে।।।
বলে ফোন কেটে দিলো।।। মিরা উঠতেই দেখে মেরানেরই ভাই মানিক ফোন টিপতে টিপতে আসছে।। মিরা মনে মনে বললো- এটাই সুযোগ ।।
ভেবে মিরা জোরে মানিক ভাইয়া বলে ডাক দেয় মানিক মিরার দিকে তাকায়।।
মিরা- ভাইয়া এখানে আসেন।। (হেসে জোরে বললো)
মানিক একটু অবাক হয়ে মিরার কাছে গেলো।।
মানিক- তুমি কে??
মিরা- আমি এই কলেজের ছাত্রী আর আপনার অনেক বড় ফ্যান।৷ আপনি আমাদের কলেজের ফুটবল টিমের অধিনায়ক।। আপনার খেলা এতো সুন্দর কি বলবো।। বসুন ভাইয়া। (হেসে ঢং করে বললো)
মানিক- না ঠিকাছে।।
মিরা মানিকের হত ধরে একটু ঢং করে বললো- বসুন না ভাইয়া প্লিজ৷ আমার খুব ভালো লাগবে।।। মানিক মুচকি হেসে বসলো এবং হাতের মোবাইলটা টেবিলের উপর রাখলো।।। মিরা মানিকের মোবাইলের দিকে তাকালো।।
মানিক- তোমার কি??
মিরা- আমার নাম মিরা।। বলুন ভাইয়া কি খাবেন আপনি??
মানিক- না আমি কিছু খাবো না। চলো তোমাকে কিছু খাওয়াই তুমি যেহেতু আমার ফ্যান।।
মিরা ঢং করে হাসলো।।
মানিক- তুমি বসো আমি কিছু নিয়ে আসছি।।।
মানিক ফোন রেখেই উঠে গেলো।। মিরা মানিকের দিকে তাকিয়ে তারাতারি মানিকের ফোনটা নিলো। এবং হ্যাক করার ডিভাইস তার ফোনের সাথে লাগিয়ে সব নাম্বার নিজের ফোনে নিয়ে নিলো।। এমন সময় দেখে মানিক আসছে।। মিরা কি ভাবে সেই জাগায় আবার ফোন রাখবে বুঝতে পারছিলো না। মিরার ভয় লাগতে লাগলো। এমন সময় মানিক বলে কেও ডাক দিলো মানিক পিছনে ঘুরে তাকালে মিরা তারাতারি মানিকের ফোন আবার সে জাগায় রেখে দিলো।।
মানিক মিরার কাছে এসে বললো- আমার এখন যেতে হবে।। কাজ পরেছে। তুমি খেয়ে নাও।।
মিরা- ওকে ভাইয়া তবে এর পর কিন্তু আমার সাথে কফি আপনাকে খেতেই হবে।।
মানিক মুচকি হেসে বললো- ঠিকাছে। বাই।।
বলে ফোন নিয়ে চলে গেলো।।
মিরা বুকে হাত রেখে একটা জোরে শ্বাস ছেরে বললো- আমি ফুটবল খেলায় পছন্দ করিনা আর তাকে। মাই ফোট।।।।( মুখ ভেংচিয়ে)
বলে মিরা উঠে চলে গেলো সোজা নিজের বাড়িতে।।।
রাত ১০ টা,,,,,,,
মমি, লাইলা একসাথে এক বাড়িতে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।।। খাওয়া ঘুম কিছু ঠিক নেই তাদের।। মমি মেঝেতে শুয়ে উপরে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে করুন সুরে বললো
মমি- আমরা বাচতে পারবো তো???
লাইলা – জানিনা।।।
মমি- সুরভি ফোন বন্ধ করে রেখেছে। যখন ওর কথা বলতে ইচ্ছা করে তখনি ফোন দেয়।।
লাইলা- ওর কথা বলিস না তো।।আজ ওর জন্য এই অবস্থা হচ্ছে আমাদের এই ভাবে আর কতোদিন নিজেদের বন্ধ করে রাখবো??? লাস্ট কলেজে গিয়ে সেই অনার্সের চারছেলের খবর শুনেছি।। এবং জেনেছি রহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে কেও।। তারপর থেকে আমার দুই জন এই বাড়িতে চলে আসি।।। আর সুরভি তো,,,,
বলতেই মমি বললো-
মমি- আমাদের ভুল হয়েছে রে।।।এখন মনে হচ্ছে নিজেই নিজেকে মেরে পেলি।।।। এভাবে আর পারছি না।।। (চোখে কান্না চলে আসে মমির)
বলতেই জোরে মেঘ বিকট গর্জন দিয়ে উঠে।। মমি লাইলা ভয়ে চমকে উঠলো।।
লাইলা- বৃষ্টি আসবে মনে হচ্ছে??
বলতেই ধুপ করে কারেন্ট চলে গেলো।।এবং ঝম ঝম করে বাইরে বৃষ্টি হতে লাগলো।।
মমি- লাইলা তারাতারি মোম জ্বালা আমার ভয় লাগছে।। মোবাইলটা ও তো কাছে রাখিনি।।
লাইলা- দাড়া আমার কাছে মোবাইল আছে। ( বলে সোফার উপর থেকে ফোন নিয়ে ফোনের লাইট অন করলো) তুই এখানে বস আমি মোম জ্বালিয়ে নিয়ে আসি।।
বলে লাইলা উঠে গেলো মমি অন্ধকারে ভয় পাচ্ছিলো তাই আটোসাটো হয়ে মাথা নিচু করে বসে চোখ বন্ধ করে রয়লো। এমন সময় ধাম করে জানালা খুলে গেলো। মমি ভয়ে চমকে উঠলো দেখলো বাতাসে জানালা খুলে গেছে। মমি উঠে আসতে আসতে জানালার কাছে গেলো জানালা লাগিয়ে দিতে।। যেই জানালা লাগাতে যাবে মমির চোখ বাইরে গেলো তার মনে হলো কেও দারিয়ে আছে।। মমি ভালো করে তাকালো সেই সময় আকাশের বিদ্যুৎ চমকে উঠলো বিদ্যুৎ এর আলোতে মমি রহিতকে দেখতে পেলো রক্ত মাখা শরীরে বড় বড় চোখ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মমি ভয়ে চিৎকার দিতে যাবে কিন্তু তার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিলো না।। মমি দুইচোখ থেকে জর ঝর করে পানি পরছে মমি এতো চেষ্টা করছে কিন্তু তার মুখ থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে।। মমি দেখলো রহিত আলোর গতিতে এসে তার সামনে দাড়ালো এবং তার গলা চিপে ধরলো।। মমি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে লাগে। এমন সময় লাইলা মমির কাধে হাত রাখে মমি চমকে উঠে লাইলার দিকে তাকিয়ে লাইলা কে ঝপটে ধরে কান্না করতে লাগে।।। লাইলা একদম অবাক হয়ে যাই।। সে দেকে মমি কাপছে।।।
লাইলা- কি হয়েছে তুই এমন কাপছিস কেন???
বলতেই দরজার ঠকঠক শব্দ।। মমি লাইলা চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালো। দুজানার ভিতরে ভয় কাজ করতে লাগলো।। মমি দরজার দিকে তাকিয়ে লাইলার হাত চেপে ধরলো।।।
লাইলা- এই সময় কে আসতে পারে??
মমি- যেই আসুক দরজা খুলবিনা।।( ভীত সুরে)
আবার ঠকঠক শব্দ।। লাইলা মমির বুকের ভিতর কেপে উঠলো।। দুইজনি ভয়ে চুপসে গেলো।। লাইলা ভীত সুরে বললো-
লাইলা- হতে পারে সুরভি এসেছে।। চল আসতে আসতে গিয়ে দেখি কে এসেছে।।
মমি- না লাইলা প্লিজ যাস না।। আমার খুব ভয় লাগছে।। (কান্না সুরে)
লাইলা মমির গালে হাত দিয়ে বললো- ভয় পাসনা আমি আছি তো।। চল আমার সাথে।।
মমি লাইলা এক সাথে আসতে আসতে পা টিপে টিপে দরজার কাছে গেলো লাইলা দরজায় লাগানো দুরবিন দিয়ে দেখলো একটা মেয়ে ঠান্ডায় কাপছে।। অন্ধকারে লাইলা চেহারা পরিষ্কার দেখতে পেলো না।।
মমি ফিসফিস করে বললো- কে লাইলা???
লাইলা- চিনি না একটা মেয়ে ঠান্ডায় কাপছে।।
বলতেই আবার দরজায় নক করলো।।
লাইলা কাপা সুরে বললো – কে???
– আমি আমাকে একটু সাহায্য করুন আমি শহরে যেতে,চেয়েছিলাম। রাত হয়ে গেছে এই জন্য কনো গাড়ি পাইনি হাটতে হাটতে এতো দুর এসেছি। একটু সাহায্য করুন ।। আমার খুব ঠান্ডা লাগছে।।
মমি- না আমরা পারবো না চলে যান আপনি।। (উত্তেজিত সুরে)
– প্লিজ দেখুন আমি সত্যি ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছি।। আমাকে একটু সাহায্য করুন।।।
লাইলা- মমি মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে আমাদের সাহায্য করা উচিত।।
মমি- আমার ভয় লাগছে লাইলা।।
লাইলা- বাচ্চা মেয়ে ওটা ভয়ের কি আছে।। কিচ্ছু হবে না। তুই শান্ত হয়ে যা।।
লাইলা মমিকে শান্ত করলেও নিজের মনের ভয় কাটছিলো না।। তবুও সাহস নিয়ে লাইলা আসতে করে দরজা খুলে মুখ টা বের করলো।।
রিমা- হ্যালো ম্যাডাম আমি রিমা।। এসেছিলাম একটু কাজে কিন্তু লেট হয়ে গেছে একটা গাড়িও পাইনি হাটতে হাটতে পাও ব্যাথা হয়ে গেছে।। আর তার মধ্যে বৃষ্টি।। খুব ঠান্ডা লাগছে।।
লাইলা এদিক ওদিক তাকালো কাওকে দেখলো না
লাইলা- আসো ভিতরে আসো।।
বলে লাইলা দরজা খুলে দিলো।। এবং মমি ধরে নিয়ে ভিতরে গেলো।।
লাইলা- মমি ভয়ের কিছু নেই।।
মমি ভীত চোখে লাইলার দিকে তাকাতেই ধাম করে দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। মমি লাইলা চমকে উঠে পিছনে ঘুরে তাকালো। তারা আপছা আপছা দেখলো মিরার পিছনে কেও দাড়িয়ে আছে।। লাইলা হাতের ফোন ছিলো সে ফোনের লাইট অন করে কাপা হাতে আসতে আসতে মিরার দিকে ধরলো দেখলো মিরা পিছনে সত্যিই কালো পোশাক পরে কেও দাড়িয়ে আছে।। মমি লাইলা দেখে ওদের ভিতর আর জান নেই।। মমি চিৎকার দিয়ে কান্না করে উত্তেজিত সুরে বললো- তোকে বলেছিলাম না দরজা না খুলতে।। এখন আমাদের কি হবে???
মিরা আসতে করে সরে গেলো লাইলা দেখলো লোকটির হাতে পিস্তল।। লাইলার হাত থেকে মোবাইল পরে গেলো।। লাইলস মমি ভয়ে পিছনে সরতে লাগলো।।
লাইলা ভীত সুরে বললো- আমরা কিছু করিনি।। আমাদের ছেড়ে দিন।
লাইলা মমি দেখলো লোকটি তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।।
বলে লাইলা মমি দুজন দুইজনার দিকে তাকিয়ে দুইজন এক সাথে ঘরের দিকে দৌড় দিতে লাগলে আকাশ মমির পায়ে গুলি করলো। মমি পরে গেলো মাটিতে। লাইলা পিছনে ঘুরে তাকালো।। মমি লাইলার দিকে তাকিয়ে কান্না করে জোরে বললো-
মমি- তুই পালা লাইলা তুই চলে যা।।
লাইলা না গিয়ে মমিকে ধরতে আসলে আকাশ লাইলার পায়ে গুলি করলো।।।। লাইলা মাটিতে পরে গেলো। দুই বান্ধবী দুইজনের দিকে তাকিয়ে কান্নাই ভেঙে পরলো।।।
লাইলা মমি আকাশের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে হাত জোর করে মিনতির সুরে বললো- আমাদের ছেড়ে দিন আমরা কিছুই করিনি।। প্লিজ আমাদের কিছু করবেন না।।
আকাশ – মিরা বাধো ওদের।।
মিরা গিয়ে ব্যাগ থেকে দড়ি বের করে দুইজনকে বাধলো।। এমন সময় পুলিশের গাড়ির শব্দ।। মিরা চমকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো- পুলিশ চলে এসেছে এখন!!!!!
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।।