Revenge #last_part_10

0
1478

#Revenge
#last_part_10
#sabiha_kh

আজ অনেক বড় করে গল্প দিয়েছি।।??পরতে পরতে আপনারা হাপিয়ে যাবেন?।

সুরভি,নিউজ দেখার পর থেকে কি করবে বুঝছে না,,তার মনে হচ্ছে এই কাজ রোহিতের যে প্রতিশোধ নিচ্ছে সেই করছে,, ,, সুরভি ছিল এক হোটেলে,, নিজের বাড়িতেও সে সিকিউর ফিল করছিল না। আর মমি,লাইলার সাথেও সে কোনো যোগাযোগ রাখার সাহস পাইনি। সে হোটেলের যে রুমে ছিল তার দড়জা জানালা সব বন্ধ করে নিজেকে ঘর বন্ধি করে রাখে ১০ দিন যাবত সে এমন অবস্থায় আছে হোটেল বয় খাবার দিয়ে চলে গেলে সে খাবার ভিতরে নিয়ে আসে এবং খাবার খেয়ে আবার সেটা বাইরে রেখে আসে,একমুহুর্তের জন্য সে দড়জা জানালা খুলে না।কতদিন যাবত সে দিনের আলো দেখেনি,, সুরভি নিজেও জানে না। দড়জাই নক আসতেই তার ভেতর টা হুহু করে উঠে,, যেন মৃত্যু তাকে ডাকছে,, যখন বলে রুম সার্ভিস ম্যাম সুরভি শান্ত হয়ে যাই।

আজ সকালে খবর টা দেখার পর থেকে সুরভির ভিতরটা যেন মোচড় দিয়ে উঠছে বার বার,,। সে কাদছে অনবরত। কারন সে জানে যদি একবার সে ছেলে তার খোজ পাই তার মৃত্যু নিশ্চিত,, সুরভি ভেবে পাইনা সে কি করবে,, সুরভি কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরে হঠাৎ দড়জা ধাক্কানোর শব্দ,,

সুরভি লাফ দিয়ে বিছানায় আটোসাটো হয়ে বসে ভিতু চোখে দড়জার দিকে তাকাই,( আবারো নক করার শব্দ সুরভির ভিতর টা কেপে উঠছিল ঢোক চিপে বিছানা থেকে নেমে একপা দুপা করে এগিয়ে আসলে আর কেউ বলে উঠল)

– রুম সার্ভিস ম্যাম,আপনার খাবার!!( সুরভি বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছু সময় পর দড়জা খুলে ধীরে মাথা বের করে দেখে কেউ নাই তাড়াতাড়ি খাবার ভিতরে নিয়ে দড়জা বন্ধ করে দেয়,,আর অঝরে কাদতে লাগে)

সুরভি- উফফ এইটা কেমন জীবন আমি আর এই ভয় সহ্য করতে পারছি না( বলে খাবার প্লেট টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে কাদতে লাগে নিজের উপর রাগ হচ্ছিল যেন নিজের চুল নিজে ছিড়বে। সুরভি বড়লোকের মেয়ে ছিল কিন্তু আজ সে টাকাও তার ভয়কে কমাতে পারছে না।)

সে মনে মনে ভাবে মমি কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করবে তারা কেমন আছে।যে চিন্তা সে কাজ,,

এদিকে পুলিশরা মমির ফোন থেকে তাদের জাইগা গুলো খুজে বের করার জন্য চেষ্টা করে এর ভিতর সুরভির ফোন আসে,,

– স্যার সুরভির ফোন আসছে,,

এসআই- গুড ওর লোকেশান ট্রেক কর,,ফোন আমাকে দাও( ফোন ধরলে)

সুরভি- হ্যালো মমি,,!! মমি!! মমি,,

– স্যার এই যে ওর লোকেশান… ২০ সেকেন্ডে স্যার আমরা ইকজেক লোকেশান ট্রেক করতে পারবো,,

সুরভি- তুই কথা বলছিস না কেন,,?

এসআই বলে- হ্যালো আমি #### থানার থেকে বলছি,,( বলতেই সুরভি ফোন কেটে দিল)

– স্যার আর ১০ সেকেন্ডে হলেও আমারা ইকজেক লোকেশান পেতাম,,

সুরভি ফোন অফ করে দেয় আর ভাবে – মমির ফোন পুলিশ পেল কি করে? তাহলে কি, মমিকে পুলিশ ধরে ফেলেছে,,উফফফফ মমি,, ( ভাবতে ভাবতে সে নিজে নিজে বলছে) পুলিশ আমাকেও ধরে ফেলবে,এর থেকে ভাল আমিই ধরা দেয় ওই লোকের হাতে পরার আগে আমি পুলিশকে ধরা দিয়ে সব সত্যি বললে আমাকে অন্তত জানে মেরে ফেলবে না,, মমি লাইলার মত আমি বেচে যাবো।। এমন ভাবে ভয়ে দিন কাটানোর থেকে পুলিশ কে বলাই ঠিক হবে,,

সুরভি ফোন খুলতেই ফোন বেজে উঠে,,সুরভি দেখে নাম্বার, আননোন নাম্বার দেখেই সুরভির জান শুখাই যাই,,ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিভ করে,,

এসআই বলে- মিস. সুরভি!! মিস. সুরভি আপনি ফোন কাটবেন না আমি ### থানা থেকে বলছি,,( সুরভি কেদে ফেলে)

সুরভি কান্না গলাই- আমি সব স্বীকার করব প্লিজ আমাকে নিয়ে যান,,

এসআই- আপনি কোথায় আছেন বলুন আমরা আপনাকে এখনি নিয়ে আসবো।

সুরভি- না না আপনাদের আসতে হবে না আমি আসছি,,,( বলেই ফোন কেটে দিল এবং ফোন অফ করে দিল)

এসআই- শিট এই মেয়ে বাইরে বের হলেই বিপদ।। কথায় তো শুনলো না,,

– স্যার আমরা লোকেশান ট্রেক করেছি,,

এসআই – কোথায়,,?

– স্যার উনি ##### হোটেলে আছে,,

এসআই- তাড়াতাড়ি গাড়ি বের কর,,ফাস্ট ফাস্ট,,

রাত-৮ টা,,,

সুরভি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে হোটেলে বিল পরিশোধ করে পার্কিং লবে যাই,, নিজে গাড়ি নিতে,,

সুরভি চারপাশ তাকাচ্ছে ভয়ে শরীর কেপে যাচ্ছে পায়ে জোর পাচ্ছে না,, হঠাৎ দেখে মেঝেতে রক্তের ছিটাফোঁটা,, সুরভি থমকে দাঁড়ায় নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে,, রক্তের ফোটার দাগ দেখে সেদিকে এগিয়ে যাই গিয়ে দেখে তার গাড়ির পাশে ওয়াচম্যানের পোষাকে একজন পরে আছে,,ওর মাথা দিয়ে রক্ত পরছে,, সুরভি ভিত চোখে এদিক ওদিক তাকাই,, মুখে হাত দিয়ে কাপতে কাপতে নিজের গাড়িতে বসে এবং গাড়ির গ্লাস তুলে দিতে দেখে গ্লাসে রক্ত দিয়ে লিখা আছে ” ডেথ ” সুরভি চিৎকার দিয়ে আরেক দড়জা দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয় সে ওয়াচ ম্যানের সাথে পা বেধে পরে যাই,,

সুরভি দেখে সে লোকের রক্ত তার গায়ে হাতে লেগে গেছে সুরভি চিৎকার দিয়ে ছিচড়িয়ে পিছনে সরে যাই,,, হাত থ্রিপিস সে মুছে এবং সেখান থেকে উঠে দৌড় দেই,,

হঠাৎ পার্কিং লবের সব লাইট অফ হয়ে যাই সুরভি দাঁড়িয়ে পরে,, সে ভয়ে কাদতে লাগে,, হঠাৎ তার সামনে একটা গাড়ির হেড লাইট জ্বলে উঠে সুরভি চোখে হাত দেই। সুরভি আঙ্গুলের ফাক দিয়ে আবছা আবছা দেখে গাড়ির ভিতর কেউ বসে আছে সুরভি গাড়ির চালকের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে গাড়ির গিয়ারিং এ স্প্রিড দেয় সুরভি আবার থেমে যাই সুরভি বুঝে ফেলে সে মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে,, সুরভি পিছন দিকে দৌড় দেয়,আর গাড়িও চলতে লাগে সুরভি দৌড়াতে দৌড়াতে ধুপ করে কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যাই মাটিতে,,

সুরভি পিছনে তাকিয়ে দেখে গাড়ি থেমে গেছে সুরভি উঠে পিছনে সে গাড়ির দিকে তাকিয়ে বলে,,

সুরভি- প্লিজ আমাকে বাচান প্লিজ,,( লোকের কোনো সাড়া না পেয়ে সুরভি সামনে তাকাই দেখে কালো মাক্স কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে একজন,, সুরভি দূরে সরে যেতেই সে সুরভির হাত ধরে। সুরভি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পিছন থেকে মিরা ওর মাথায় আঘাত করে সুরভি জ্ঞান হারায়।

আকাশ সুরভিকে বাধে এবং গাড়ির ডিক্কিতে বন্ধ করে গাড়ি নিয়ে চলে যাই।

ওরা যাওয়ার ১৫ মিনিট পর পুলিশ সেখানে আসে,,

পুলিশ রিসিভশানে গিয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করতে তারা বলে উনি বের হয়ে গেছে,,, পুলিশ সুরভির রুমে গিয়ে দেখে সে নাই।

পুলিশ হোটেলের কন্ট্রোল রুমে গিয়ে দেখে সুরভি বের হয়ে পার্কিং লবে যাই সুরভি ভয়ে গাড়ি থেকে নামা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল হঠাৎ সিসিটিভি ঝির ঝির করে,এসআই টেবিলে বারি মেরে বলে,,

এসআই- উফফ ওরেও নিয়ে গেছে এই কিলার খুব চালাক,,( উনারা পার্কিং লবে গিয়ে দেখে সেখানে কিছুই নাই খুব স্বাভাবিক সেখানে সুরভির গাড়ি আছে গাড়িটাও খুব স্বাভাবিক,, পুলিশ বুঝেনা সুরভি গ্লাস তুলে এমন কি দেখল যে এত ভয় পেল।আর তার গায়ে রক্তের দাগ আসলো কই থেকে,,) আমার মনে হয় মেয়েটার জীবন সংকটে আছে উফফ আমাদের খুজতে হবে।

এদিকে সুরভি নিজেকে পাই চেয়ারে বাধা আশেপাশে তাকিয়ে দেখে চারপাশ টা কেমন যেন ভুতুরে ভুতুরে সুরভির ভয় লাগে সে চিৎকার করে,,

সুরভি- কে আছেন আমাকে সাহায্য করুন,, প্লিজ সাহায্য করুন কেউ কি আছে( বলে লাফালাফি করে হাত খুলার চেষ্টা করে) প্লিজ কেউ বাচান আমাকে,,

হঠাৎ দড়জা খুলার শব্দ সুরভি চুপ হয়ে যাই আকাশ হেটে আসে ভিতরে,, লাইটের আলোর ভিতর আসতে সুরভি ভিত চোখে তাকিয়ে থাকে চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পরে,,

আকাশ- এইখানে কেউ তোকে শুনবে না।তোর চিৎকার এই চারদেয়ালের মাঝে গুমরে থাকবে,, সাহায্য তো দুরের কথা,,

সুরভি- দেখুন আমি কিছু করিনি আমাকে ছেড়ে দিন,,

আকাশ- এই কথা শুনলেই আমার মাথা খারাপ হয়ে যাই,, ওকে তোকে একটা সুযোগ দেয় ভালই ভালই বল কি হয়েছিল সেদিন,,

সুরভি- কিছুই হয়নি,,,সে দিন আমরা জাস্ট গল্প করছিলাম,,আমি রোহিত কে মারিনি বিশ্বাস করুন,,

আকাশ- বিশ্বাস!! ( বলে সজোরে থাপ্পড় দেয় সুরভি চোখে শসরিষা ফুল দেখে আকাশ সুরভির মুখের উপর থেকে চুল সরিয়ে দিল এবং পিছনে হাত দিয়ে চুল মুঠ করে নিজের মুখের কাছে আনে সুরভি কাদতে থাকে) বিশ্বাস আর তোকে ( বলে ছুড়ি পিছন থেকে বের করে সুরভির চোখের মনির কাছে নিয়ে যাই সুরভির কান্না থেমে যাই সে ছুড়ির ছুচালো মাথার দিকে তাকিয়ে আছে চোখের পলক ফেলছে না) মাথা থেকে পা পর্যন্ত চিড়ে ফেলবো তোর,,

সুরভি- প্লিজ না,, না না প্লিজ,,( আকাশ ছেড়ে দেয়)

আকাশ শান্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে- সে পার্টির সব কথা আমাকে বল,,

সুরভি- রোহিত ড্রিংক করেছিল আমরা সবাই একসাথে বসে ড্রিংক করেছিলাম। তারপর রোহিত আমাকে কিস করতে চাই আমি মানা করি। রোহিত শুনে না আমার কাছে এসে আমার কাপড় ছিড়ে ফেলে আমি রোহিত কে থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেয় রুম থেকে( মিরা এই সব কিছু বসে বসে দেখে পাশের রুমে সিসিটিভি ক্যামেরাতে)

মিরার এমন কথা শুনে খুব রাগ হয় সে সুরভিকে মারার জন্য উঠে আসতেই এক চিৎকার। মিরা পিছনে ফিরে দেখে আকাশ ওর হাতে এপার ওপার করে ছুড়ি বসিয়ে দিয়েছে,, ( মিরা নিজের চোখে হাত দেয়)

আকাশ- এইটা মিথ্যা কথা( শান্ত ভাবে বলে) সত্যি টা বল

সুরভি- আমি সত্যি বলছি,,( আকাশ উঠে সুরভির হাতে বসিয়ে দিয়া ছুড়ি টেনে তুলে সুরভি চিৎকার করে,, আকাশ সুরভির বাধন খুলে দেয়)

মিরা- আকাশ কি করছে ওরে খুলে দিচ্ছে কেন? (অবাক হয়ে)

সুরভি বসে থাকে চিয়ারে আর কাদে,,

আকাশ- রোহিতকে তুই রক্তের কান্না কাদিয়েছিস। এর মুল্য তো তোকে দিতেই হবে।।।

সুরভি উঠে দড়জার দিকে দৌড় দেয়,, আকাশ তার টর্চার বক্স খুলে ভিতর থেকে একটা চাবুক বের করে যার সাথে কাটা লাগানো ছিল,, সুরভি দড়জা খুলার চেষ্টা করে কিন্তু খুলে না দড়জা ধাক্কা দেয় পিছনে তাকিয়ে দেখে আকাশ আসছে,,

সুরভি- সাহায্য করুন( চিল্লাই চিল্লাই বলে)

আর তখনি আকাশ চাবুক দিয়ে সুরভির গায়ে প্রথম আঘাত করে সাথে সাথে চাবুকের সাথে লাগানো কাটা গুলো সুরভির পিঠে গেথে যাই,, আকাশ সাথে সাথে সে চাবুক টান দেয়। সুরভির মাংস ছিড়ে সে কাটা বের হয়ে আসে। সুরভি জান ছেড়ে চিৎকার দেয় চাবুকের কাটা বেয়ে রক্ত মাটিতে পরছে টপ টপ করে। সুরভির পিঠ থেকে গল গল করে রক্ত পরছে,, সুরভি হাত জোড় করে বলতে থাকে

সুরভি- আমাকে ছেড়ে দিন,,( বলতেই আকাশ আবার এক ঘা দেয় সেটা সুরভির মুখের গাল হয়ে কাধে ঢুকে যাই আকাশ সুরভির কাছে আসে)

আকাশ- কষ্ট হচ্ছে এর থেকে বেশি কষ্ট রহিত পেয়েছে( বলে চাবুক টেনে বের করে গালের মাংস ছিড়ে কাধের মাংস ছিড়ে চাবুক বের হয়ে আসে সুরভি গাল ধরে বসে পরে আর নিজের রক্ত দেখে নিজেই কাদছে চিল্লায়,, আকাশ ওর চুল ধরে ছিচড়ে ছিচড়ে টেনে লাইটের আলোতে নিয়ে গেল মিরার সুরভি কে দেখেই অবস্থা খারাপ। আকাশ ওরে তুলে চিয়ারে বসায়)

সুরভি- আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্লিজ আমাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান,

আকাশ- এখানে যে একবার ঢুকে সে আর বের হতে পারেনা,,।।। তো,, বল রোহিত কে রেপ করেছিস কেন তুই( এই কথা শুনে সুরভি চমকে গেল)

সুরভি- না না এমন কিছু না কে বলেছে আপনাকে,,

আকাশ সে বক্স থেকে একটা জাঁতা বের করে এবং সুরভির হাতের ৩ আঙ্গুল সেটার ভিতরে রাখে সুরভি মাথা নাড়িয়ে না বলে এবং বলতে বলতেই আকাশ চাপ দেয় সাথে সাথে তিন আঙ্গুল কেটে পরে যাই সুরভি চিৎকার দিয়ে উঠে ওর হাত দিয়ে গল গল করে রক্ত পরছে। সুরভি সাথে সাথে নিজের জ্ঞান হারাই,,

আকাশ সুরভির জ্ঞান ফিরালো। সুরভির চোখ ঘোলাটে হয়ে গেছে,, আবছা আবছা চোখে তাকিয়ে দেখে আকাশ এখনো ওর সামনে বসা,, সামনে একটা টেবিল টেবিলের উপর পানি রাখা। পানি থেকে হালকা ধোয়া উঠছে, আকাশ সুরভির চুল ধরে গরম পানির ভিতর মুখ চুবিয়ে ধরে। গরম পানির ভিতর ছিল লবন মিশানো সুরভির গালের ক্ষততে পানি লাগতে সুরভি দাফাদাদি শুরু করে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলে আকাশ ওরে ছেড়ে দেয়,, সুরভি পানি থেকে উঠে বাম হাত দিয়ে গাল ধরে চিৎকার করতে থাকে,,

আকাশ- ( ছুড়ি নিয়ে সুরভির ঠোটে লাগিয়ে বলল) সিহহহ!! কি বলবি,, আসলে কি হয়েছিলো,,?

সুরভি – বলছি সব বলছি,, রোহিত কে আমি একদিন কলেজ ক্যান্টিনে দেখি। ও খুব লাজুক আর খুব চুপচাপ,,, যেদিন ওর র‍্যাগিং হয় সেদিন কিছু ছেলে মিলে ওর শার্টের বোতাম খুলে। আমি ওরে দেখে ফিদা হয়ে যাই। এমন আগে কখনো কাউকে দেখে হয়নি।।। তখন থেকে রোহিত কে পাবার একটা ইচ্ছা আমার ভিতর জাগে আমি ওর সাথে কথা বলতে চেয়েও পারিনি। আমার বয়ফ্রেন্ড ব্যাপার টা জানতে পারে। সে বুঝে রহিত কে আমি কেন চাই। সে আমার সাথে খুব ঝগড়া করে আমি ওর সাথে ব্রেকাপ করি,, তার কয়দিন পরে রহিতের সাথে আমি কথা বলি। আমি ওরে বলি ওরে আমার ভাল লাগে। আমি ওর সাথে রিলেশনে জড়াতে চাই কিন্তু ও আমাকে বলে,

“””রোহিত- আপু আপনি আমার বড়,, ভাল লাগা পর্যন্ত ঠিক আছে কাউকে ভাল লাগতেই পারে কিন্তু আপনি রিলেশনের কথা বলছেন এইটা হয় না””

সুরভি- আমার কাছে খারাপ লাগে আমি এইবার সত্যি তাকে বললাম আমি তার কাছে কি চাই,,,আমি বলেছি যে আমি চাই ও আমার সাথে সেক্সুয়াল রিলেশন করুক আমার সাথে প্রেম করতে হবে না।( সে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে বলল-)

“”””” রোহিত- আমি আপনাকে ভাল ভেবেছিলাম আর আপনি ছি,, আপনি না মেয়ে মানুষ আমি আপনার ৩ বছরের জুনিয়ার।।। আপনি আমাকে এত বেহায়া ভাবে এমন এক টা প্রোপজাল দিলেন। আপনার ভিতরে কোনো লজ্জা নাই?? কেমন মেয়ে আপনি।।

সুরভি- তুমি যদি এর বদলে টাকা চাও আমি সেটাও দিতে রাজি আছি।।

রোহিত- দয়া করে আপনি আমার সামনে আসবেন না। না হয় আমি প্রিন্সিপাল কে বলতে বাধ্য হব,( বলে চলে যাই)”””””

সুরভি- আমার খুব রাগ হয় যে আমার মত মেয়েকে সে না বলল কলেজের বেশি ভাগ ছেলেই আমার সাথে রিলেশনে জোড়াতে চাই অথচ সে আমাকে মুখের উপর না বলল এই টা আমি সহ্য করতে পারিনি। আমি ঠিক করি আস্তে আস্তে ওরে নিজের কাছে টানবো নিজের প্রতি আকৃষ্ট করবো। তাই ফুটবল খেলার দিন তাকে আমি জোড়িয়ে ধরেছিলাম।।

আকাশ- তোর বাবা বিজনেস ম্যান তাই না,, খাওয়াই পড়াই তোকে তো অনেক সুন্দর বানিয়েছে। প্রতিদিন পার্লার গিয়ে নিজেকে আরো সুন্দর করিস যাতে ছেলেরা তোকে দেখে আরো কাছে আসতে চাই তাই না!! নিজেকে নিয়ে অনেক বড়ায় করিস তুই,,, এই বড়ায় আর করতে পারবি না( বলে পাশ থেকে গরম আইরোন তার পায়ে রানে চেপে ধরে এবং ডলে। পাজামা পুরে চামড়া উঠে মাংস বের হয়ে যাই সুরভির এত জোড়ে চিৎকার করে যে গলার রগ যেন ছিড়ে যাবে)

কাদতে কাদতে ফিকরি উঠে যাই,,

সুরভি- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন( আকুতিভরা কন্ঠে বলতে থাকে,,)

আকাশ- এত কিছু করার পর ছেড়ে দিব( বলে সুরভির পায়ের বাধন খুলে টেনে নিয়ে গিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।। সুরভির শরীর তখন এলিয়ে পরছে সে পায়ে শক্তি পাচ্ছে না হাতে জোড় পাচ্ছে না নিজেকে বাচানোর মত কোনো ক্ষমতা তার ভিতর বাকি নাই,, )

আকাশ- দাড়াতে পারছিস না কষ্ট হচ্ছে হুম,,( বলে বাম হাত দিয়ালের সাথে চেপে ধরে একটা মোটা তারকাটা ওর হাতে হাতুড়ি দিয়ে বারি মেরে মেরে দেয়ালের সাথে আটকিয়ে দেয় সুরভি চিল্লায় চিল্লায় কাদে)

দেয়ালের ওপাশে থাকা মিরা এমন দেখে কাদতে থাকে আর রাগ ও হয় সুরভির উপর।

সুরভির হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে শরীরের ভিতর প্রবেশ করে,, সুরভি আবার জ্ঞান হারাই। আকাশ আবার ওর জ্ঞান ফিরায় আধো আধো করে সে আকাশের দিকে তাকাই,,

আকাশ ছুড়ি দিয়ে সুরভির থুতির নিচে ধরে মুখ উঠাই,,,সুরভির নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়,, আকাশ ছুড়ি দিয়ে সুরভির মুখের ভিজা চুল গুলো সরাই এবং কপালের সাইডে ছুড়ি চালিয়ে দেয় সাথে সাথে সেখানটা হা হয়ে গেল,,, রক্ত গরিয়ে মুখ বেয়ে গলা দিয়ে নিচে নামছে,,

আকাশ- তুই দেখতে চাসনা তোর এই সুন্দর চেহারা টা কেমন লাগছে,, ওয়েট তোকে দেখায় (বলে সামনে থেকে সরে গেল চেয়ারের সাথে আয়না ঠেকনা দিয়ে রেখেছিল আকাশ। সুরভি নিজের চেহারা দেখে চিৎকার করতে থাকে এত বিভৎস দেখাচ্ছে তাকে। আকাশ কানের কাছে এসে বলে) তোকে একটা জিনিস দেখায়,,

বলে মমি আর লাইলার ভিডিও দেখায় তাদের সাথে যা হয়েছে সব দেখছে তারা যা বলছে সব দেখেছে।। সুরভি ভয়ে কাদতে থাকে,,

আকাশ- ওকে,,, তোকে শেষ একটা সুযোগ দেয় ।। বল সে পার্টিতে কি করেছিস,,

সুরভি- সেদিনের পর আমি মমি আর লাইলাকা কে রহিতের ব্যাপারে বলি। তারা আমাকে বলে যে রহিত কে পেতে তারা আমাকে সাহায্য করবে। সে দিন আমরা ৩ জন সে পার্টিতে ইনভাইট ছিলাম জানতাম না রহিত সেখানে আসবে,,যখন আমি তাকে দেখি তখনি মনের ভিতর আমার সে ইচ্ছাটা আবার জেগে উঠে,, আমি মমি আর লাইলাকে তখনি বলি যে যা করবো আজকেই,,,, ওকে আমার চায়।।

আমরা বারের একটা প্রাইভেট রুম নেয় এবং সব প্লেন করি,,মমি কে আমি রহিতের কাছে পাঠায় সে রহিত কে নিয়ে রুমে ঢুকতেই আমি দড়জা বন্ধ করে দেয়,,

১৫.৮.২০২১

রহিত রুমের ভিতর আসতেই সুরভি দড়জা বন্ধ করে দিল,রহিত পিছন দিকে তাকিয়ে সুরভিকে দেখে চমকে যাই,,

সুরভি – এত চমকে যাওয়ার কি আছে আসো বস( বলে হাত ধরতে গেলে রহিত হাত সরিয়ে নেয়। মমি রহিতে হাত ধরে সোফায় নিয়ে গিয়ে বসায়।।

মমি রহিতের পিছনে গিয়ে রোহিতের গলা জোড়িয়ে ধরে- তুমি খুব কিউট রহিত,

রোহিত- কি করছেন ছাড়ুন,

সুরভি- এই ছাড় কি করছিস পিচ্চি ভয় পাচ্ছে তো,,( সুরভি ড্রিংক এগিয়ে দিল) নাও রহিত

রোহিত- আমি ড্রিংক করিনা( রাগি গলায়)

লাইলা- আরে রহিত ছেলে মানুষ ড্রিংক করে না এইটা শুনলে কেমন যেন লাগে এক সিপ খাও( বলে গ্লাস এগিয়ে ধরল রহিত মুখ সরিয়ে নিলো).

রোহিত বিরক্তি নিয়ে উঠে রুম থেকে বের হলে

সুরভি- কি করছিস ওরে ধর,,( মমি লাইলা গিয়ে রহিতে হাত চেপে ধরলো

রহিত- আমাকে ছাড়ুন বলছি।।

মমি- না কেন ছাড়বো আমাদের সাথে।।( বলে জোর করে টেনে নিয়ে আসে আবার)

রোহিত কে সোফায় বসিয়ে সুরভি ওর চিবুক ধরে বলে

সুরভি- তুমি রাগ করলেও কিউট লাগে নাও এইটা খেয়ে নাও,,( রোহিত সুরভির হাত ঝাটকা মেরে ফেলে দেয়)

মমি -আরে খাও তো( বলে মুখ চেপে ধরলে লাইলা গ্লাসে সব ড্রিংক ঢেলে দিল তার মুখে রোহিত কিছুটা গিলে ফেলে কিছুটা ফেলে দেয় এবং কাশি উঠে যাই)

সুরভি- ( রোহিতের পিঠে হাত বুলিয়ে) আহা রে তোরা কিরে ছেলেটার কাশি উঠে গেল,, ( রোহিত রাগি চোখে তাকাই) রহিত তোমাকে আমি চাই এইটা তুমি জানো না,,?

রোহিত- (উঠে দাঁড়ায়) আমাকে কেন এইখানে নিয়ে এসেছেন,,

লাইলা- তোমার সাথে ফান করার জন্য,( রোহিত যেতে লাগলো হঠাৎ তার মাথা ঘুরে উঠে পরে যেতে লাগলে লাইলা এসে ধরে)

সুরভি- সরি এইটার ভিতর আমি কিছু মিশিয়েছি,

রোহিত- আমাকে যেতে দেন,,,

মমি- এত কষ্টে তোমাকে পেয়েছি এত তাড়াতাড়ি যেতে দিব,,( সুরভি রহিতের ঠোটের কাছে আসলে রহিত থাপ্পড় মেরে দেয়)

রোহিত উঠে যেতে লাগে এবং আবারো সোফার উপর পরে যাই,,

সুরভি- এইটুকু একটা ছেলে তুমি আমাকে থাপ্পড় মারলে,,( রেগে বলে।এবং উঠে রহিতের শার্ট টান দিয়ে সব বোতাম ছিড়ে ফেলে,,মমি রোহিতের কাছে এসে গলাই কিস করে।। লাইলা রহিতে কানে কিস করে ) রহিত লাইলা কে সরিয়ে দিতে লাগলে লাইলা রহিতের হাত ধরে। লাইলা এক আঙ্গুল দিয়ে রহিতের গালে আস্তে আস্তে স্পর্শ করে বলে- ছেলেটা তো আসলেই জোস দোস্ত।। ওরে দেখলে যেকোনো মেয়ে পাগল হবে।( হেসে বলে)

সুরভি হেসে বলে- নজর দিস না কুত্তিরা সর এখন।।( বলে সুরভি রোহিতের ঠোটে কিস করে রোহিত মুখ সরিয়ে নিলে সুরভি রেগে যাই)

সুরভি- তোরা বাইরে যা আর আমার জন্য ওয়েট কর,,( মমি লাইলা হাসতে হাসতে বাইরে চলে যাই)

সুরভি রোহিতকে জোর করে সুইয়ে দেয়।

রহিত- আপনি কিন্তু ভুল করছেন ছাড়ুন আমাকে( রোহিত কে। তারা যে কি খায়ছে সে শরীরে শক্তি পাচ্ছে আর সেক্সুয়াল চাহিদা যেন বারছে) আমাকে যেতে দেন প্লিজ আপু,,

সুরভি- তুমি এমন কেন ( বলে নিজের শার্টের বোতাম খুলে) আমি কোন দিয়ে অসুন্দর বলতো যে আমাকে তুমি এই ভাবে না বলেছো।

রোহিত অন্য দিকে তাকাই- প্লিজ আমি হাত জোড় করছি আমাকে ছেড়ে দেন,,( চিৎকার করে,,)

সুরভি- সরি কিন্তু তোমাকে আমার চাই( বলে কিস করতে থাকে প্রতিটা ছেলের একটা চাহিদা থাকে আর্কষন বিকর্ষন থাকে। সুরভি এমন ভাবে সব কিছু করে রোহিত নিজেকে আর সামলাতে পারেনা তার ড্রিংকে এমন নেশা মিশিয়ে দিয়া হয়েছিল যে সে না চেয়েও এমন একটা কাজ করে ফেলেছে।। সুরভির চাহিদা মিটে গেলে সে রহিত কে ফেলে দেয় তখন রহিত একটু একটু করে তাকাই।। সুরভি রহিতের কাছে এসে বলে) এখন থেকে আমি যখন তোমাকে চাইবো তুমি আসতে বাধ্য না হয় আমি সবাইকে বলে দিব যে তুমি আমার সাথে কি করেছো।

রোহিত মাথা ধরে উঠে বসলে সুরভি তার মুখে পানি ছুড়ে দেয়। রহিত আধো আধো চোখে তার দিকে তাকাই,,

সুরভি- আমি ফ্রীতে কারো উপকার নেয় না ( বলে ব্যাগ থেকে ১০০০ টাকার বান্ডিল বের করে ছুড়ে মারে এবং রহিতকে তার কাপড় চোপড় ঠিক করে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেয়। )

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

সুরভি- আমি একা কিছুই করিনি সেও করেছে,,,

আকাশ জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছিল সে সুরভির মুখে ঘুসি মারতে থাকে,,আর বলে,

আকাশ- তুই করিয়েছিস,, তুই করিয়েছিস এইগুলো। তোর জন্য রহিতের জীবন নষ্ট হয়েছে। তোর জন্য সে ছেলে নিজের ভিতর গুমরে গুমরে মরেছে।তোর জন্য সে ছেলে আত্মহত্যা করেছে( বলছে আর মারছে)

সুরভির মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে একদম মেখে গেছে। মিরা এইটা শুনে অঝরে কাদছে রহিতের সাথে কত বড় অন্যায় করেছে যার জন্য রহিত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে,,

আকাশ সুরভির নিচের ঠোট টেনে ধরে,, আর বলে

আকাশ-এই ঠোট দিয়ে তুই ওরে কিস করেছিস তাই না ( বলেই পকেট থেকে স্টাপ লার বের করে ওর ঠোটে মারতে থাকে সুরভি ছটফট করে আর চিল্লায়)

কিছু সময়ের ভিতর সে আবারো জ্ঞান হারাই,,আকাশ ওর হাত থেকে পেরেক বের না করে ওভাবেই টান দেয় পেরেক হাতের এইপার ওপার হয়ে হাত বের হয়ে আসে তাকে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসায়,,,, ১৫ মিনিট পর সুরভির জ্ঞান ফিরে,, সে তাকিয়ে দেখে মেঝেতে কালো রক্ত পায়ের শক্তি নাই পা নরাতে পারছে না আঙ্গুল গুলো থিতলে দিয়েছে। ঠোট ফুলে ডাবল হয়ে ঝুলে গেছে কথা বলার শক্তি নাই হাত গুলো চেয়ার থেকে ঝুলছে হাত থেকে টপ টপ করে রক্ত পরছে শরীরের যেন সব রক্ত ফুরিয়ে এসেছে,,, পিছন থেকে কারো হাটার আওয়াজ পাচ্ছে কিন্তু তাকানোর ক্ষমতা নাই,,

আকাশ পিছন থেকে সামনে এসে চেয়ারে বসে,,,সুরভি আকাশের দিকে তাকিয়ে আধো আধো ভাবে বলে,,

সুরভি- আর সহ্য করার ক্ষমতা নাই আমাকে মেরে ফেলো,,

আকাশ- এত সহযে মৃত্যু চাইছিস। কিন্তু সেটা তো আমি তোকে দিব না,,

সুরভি- আমার আর কিছু করার ক্ষমতা নাই, মৃত্যু দাও আমাকে,, প্লিজ দয়া কর,,

আকাশ- ইসসস যখন কেউ আমার কাছে মৃত্যু ভিক্ষা চাই আমার কি যে শান্তি লাগে,, ( নিশ্বাস নিয়ে) এই রক্তের কান্না রোহিতকে শান্তি দিবে,,

সুরভি- আপনি সবাইকে মেরেছেন সবাই নিশ্চয় আপনাকে প্রশ্ন করেছে কে আপনি? হয়তো আপনি বলেন নি।আজ একি প্রশ্ন আমি করছি।” রোহিতের কে আপনি”???

আকাশ সিসিটিভির দিকে তাকাই মিরা ভাবে সে এইভাবে কেন দেখলো??

আকাশ- মুখ থেকে মাক্স সরিয়ে সুরভির চুল টেনে পিছন দিকে নিয়ে যাই আর বলে

আকাশ- আমি রহিতের বড় ভাই রনি,,রহিত আমার ভাই একমাত্র ভাই( মিরা শুনে স্তব্ধ হয়ে যাই সে যেন আকাশ থেকে পরলো)

সুরভি দেখে তার চোখ গুলো রক্তের মত লাল হয়ে আছে চোখে পানি ছল ছল করছে ভিতরে আগুন দাও দাও করে জ্বলছে বুঝা যাচ্ছে।

রনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে,,- হ্যা আমি রহিতের ভাই।। আমি রহিতে কনো বন্ধু না।। এইটা আমার ভাইয়ের প্রতিশোধ আর আমি কাউকে ছাড়বো না কাউকে না,,( মিরার মাথা ঘুরে উঠে)

রনি দেয়ালের কাছ থেকে পেট্রোল এর ক্যান টা হাতে তুলে নিয়ে সুরভির গায়ে ছিটিয়ে দেয়,,

সুরভি- প্লিজ না, আমাকে সুট করুন জ্বালিয়ে দিবেন না।।

রনি- যে কষ্ট আমার ভাই পেয়েছে সে কষ্টের দিগুণ কষ্ট তুই পাবি,,( বলে লাইটারে আগুন জ্বালিয়ে রুমের ভিতর ফেলে দিয়ে বের হয় যাই)

সুরভির উঠার ক্ষমতা নাই সে চিৎকার করে আর বলে আমাকে সুট কর প্লিজ আমাকে সুট কর, রনি দড়জা বন্ধ করে দেয়। মিরা পাশের রুম থেকে দৌড়ে আসে,, সে বাকরুদ্ধ কি বলবে সে।
মিরা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে,,

রনি সুরভির ফোন অন করে সেখানে ফেলে দিয়ে চলে যাই,,,,

মিরা রনির সাথে গাড়িতে উঠে বসে রনি ফোন দেয় একজাগায়,,

রনি- আমার বাসায় আসো সবাই,,

মিরা রনির সাথে সাড়া গাড়িতে একটা কথাও বলেনি,, গাড়ি গিয়ে এক বিশাল বাঙলোর সামনে দাড়াল,,

মিরা ভাবে এইটা রহিতের ভায়ের বাড়ি,, বাড়ির ভিতর ঢুকতে মিরা আরো অবেক যেন রাজ প্রাসাদ,, ভিতরে অনেক ছেলে ছিল সবার হাতে পিস্তল আর সবাই কালো পোশাকে,,

রনি সিড়ি দিয়ে উপরে গেল পিছন পিছন মিরা গেল। রনি একটা রুমের দড়জা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে মিরা ভিতরে ঢুকেই খুব ঠান্ডা অনুভব করে,,চার পাশে তাকিয়ে দেখে সে আস্ত একটা ফ্রিজারের ভিতর আছে মিরার ভয় ভয় করে। সামনে তাকাতে দেখে রহিতের লাশ মিরা আতকে উঠে একটা কাচের বক্সে রাখা।

রনি বক্সটা খুলে রহিতের গালে আলতো করে হাত দেয়,,

এবং কান্নায় ভেঙ্গে পরে যা দেখে মিরাও কাদতে লাগে,,

রনি- আমি তোর সব খুনির প্রতিশোধ নিয়েছি ভাই। সবাই কে আমি এই হাতে মেরেছি। তুই খুশি হসনি।।রহিত একবার শুধু একবার ভাইয়া বলে ডাক না ভাই!! কত বছর তোর মুখে আমি ভাইয়া ডাক শুনিনি। রোহিত,,,,,( বলে রহিতের মাথার কাছে মাথা দিয়ে কাদে)

মিরা কাদছিল আবার ভয় পাচ্ছিল তাও সাহস করে জিজ্ঞাসা করে- তুমি আসলে কে?? রহিত কখনো তোমার কথা বলেনি। আর আমরা সবাই জানি রহিত অনাথ,,

রনি- না!! আমার ভাই অনাথ না( চিল্লায় উঠে মিরা চমকে যাই) আর আমি সাধারন কেউ না আমি একজন মাফিয়া,, এইখানকার সবচেয়ে বড় মাফিয়া,,( মিরা যেন বেহুশ হয়ে যাবে এই কথা শুনে। সে এত দিন এমন একজনের সাথে কাজ করছিল যে কিনা একজন মাফিয়া)

মিরা কাপা কাপা গলাই বলল- তাহলে রহিত কেন?? মানে,,

বলতেই রনি বললো-

রনি- আমার ১৫ বছর বয়সে আমার বাবা মা আমাদের রেখে এক এক্সিডেন্ট এ মারা যাই রহিত তখন ৮ বছরের,,আমারাও আর ১০টা সাধারন ফ্যামেলির মতই ছিলাম। আমার বাবা বড় বিজনেস ম্যান ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের ম্যানেজার সব হাতিয়ে নিয়ে আমাদের রাস্তাই নামায় দেয়।। আমার বাবা আমাদের দুই ভায়ের জন্য টাকা রেখেছিল যা নাওয়ার খুব চেষ্টা করে ম্যানেজার।আর এই কথা আমরা জানতাম না।। আমরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে পালিয়ে যাই।আমি ছোট ছিলাম কি করবো কি ভাবে ভাইকে খাওয়াবো আমি বুঝতে পারছিলাম। আমি কাজের খোজে বাড়ির বাইরে থাকতাম এক রাতে আমি একজনের জান বাচাই তাকে কারা যেন মারতে আসছিল সে লোক কে আমি লুকিয়ে রাখি,, উনি আমাকে বলে তার সাথে কাজ করতে আমি আমার ভাইয়ের কথা বলি উনি আমাকে কিছু টাকা দেয় আর বলে এখন থেকে তুই আমার সাথে কাজ করবি।।

আমি চোখের সামনে অনেক জন কে মরতে দেখেছি।কিন্তু কোনো দিন আমি পিস্তল ছুয়েও দেখিনি অনেকটা বছর চলে যাই রোহিত বড় হতে লাগে।সে জানতো না আমি কি করি।আমি একদিন জানতে পারি বাবা আমাদের জন্য টাকা রেখে গেছে আমি রোহিতের জন্য সব কিছু করতে রাজি ছিলাম৷ আমি ম্যানেজারের কাছে নিজেদের ভাগ চাইতে গেলে উনি দূর দূর করে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।আমি সেদিন প্রথম কাউকে খুন করি আমি সে ম্যানেজার কে খুন করি,,এবং কাগজ পত্র গুলো নিয়ে আসি আমি সে সময় প্রাপ্ত বয়সক ছিলাম। আমি আমার সব টাকা রহিতের ব্যাংকে জমা দিয়ে দেয়।

রোহিত তখন ক্লাস 7এ পরে।। সে প্রথম আমাকে কাউকে খুন করতে দেখে ফেলে,, সে আমাকে খুব ভয় পাচ্ছিল যা দেখে আমার নিজের ভিতর টা খুব খারাপ লাগে সেদিন আমার জন্ম দিন ছিল রহিত আমাকে বলেছিল৷ ভাইয়া তুমি এইগুলো ছেড়ে দাও আমরা একসাথে থাকি চল।। আমি তোমাকে ভালবাসি ভাইয়া। আমি তোমাকে দেখে ভয় পেতে চাই না। চল ভাইয়া আমরা সাধরন জীবন যাবপ করি,,

সেদিন আমি আমার ভাই কে ফিরিয়ে দিয়েছি ওর হাতে আমি ব্যাংকের কাগজ দিয়ে দেয়,, আমার ভাই কাদতে কাদতে বলেছিল।আমি আর তোমাকে দেখতে চাইনা তোমার সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না তুমি আমার ভাই না।আজ থেকে আমি অনাথ।।( আমি সেদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। আর কখনো রহিতের সামনে আসিনি। আর রহিত ও আমার খোজ নেইনি।। কিন্তু আমি রহিতের সামনে না আসলেও ওর সব খোজ আমি রাখতাম। কিন্তু এখন আমি কার খোজ রাখবো আমার প্রিয় ভাই আমার কলিজার ছোট ভাইটা তো মারা গেল।(বলে হুহু করে কান্নায় ভেঙ্গে পরল এবং সে রুম থেকে চলে গেল)

মিরা এগিয়ে আসে এবং রহিতের কাছে এসে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে একটা চুমু দেয়।।।

মিরা- রোহিত তুমি শুধু আমি তোমাকে দেখেছি।। হ্যা আমি সাহস করতে পারিনি তেমাকে বলতে পারিনি নিজের মনের কথা।। জানি আজ বললেও তুমি শুনবে না। তবুও আমি আজ আমার মনের কথা তোমাকে বলতে চায়।।,I love you,, রহিত তোমাকে অনেক ভালোবাসি।।( বলে মিরা রহিতে গালে আসতে করে চুমু দিয়ে কাদতে কাদতে সেখান থেকে বের হয়ে যাই)

এদিকে পুলিশ সুরভির ফোন খুলা পেয়ে লোকেশান ট্রেক করে এবং এসে দেখে একটা বাড়ি আর বাড়িটা দাও দাও করে জ্বলছে ফায়ারসার্ভিস থেকে লোক এসে আগুন নিভায় দেয়।পুলিশ সেখানে লাশের কোন চিহ্ন পাওয়া পাইনি সব ছায় হয়ে গেছে,, পোড়া ক্যামেরা পেয়েছে কিন্তু কোনো প্রুভ পাই নি।

সাড়া রাত পুলিশ সেখানে তদন্দ করতে থাকে,,

পরদিন সকালে রোহিত কে কবর দিয়া হয়,,রনি দুপুরের ফ্লাইটে লন্ডনে পারি দিল।

১০ দিন পর
প্রন্সিপাল কলেজে বসে ভাবে এমন কে আছে যে রহিতের প্রতিশোধ নিতে চাই আর কেন নিতে চাই এইটা তো একটা সুইসাইড ছিল কেউ তো আর তাকে খুন করেনি,,( ভাবতে ভাবতে ফোনটা বেজে উঠে দেখে একটা এমএম এস আসছে ওপেন করতেই দেখে ভিডিও কলেজের সেই চার ছেলে যারা হাসপালে এখনো আছে ফাস্ট ইয়ারের সেই ৩ ছেলে যারা বলে তারা রহিত কে সেক্সুয়ালি হেরেজ করেছে এরপর অনার্সের সেই দুই মেয়ে মমি লাইলা যাদের পুলিশ এখনো খুজছে এরপর দেখে সুরভি। সে বলে কিভাবে সে রহিতের সাথে এত খারাপ একটা কাজ করেছে)

প্রিন্সিপালের তো মাথায় হাত কি বিভৎস তাদের চেহারা,, ওরা এত কিছু করেছে বলেই রোহিত আজ নেয় এইটা প্রমান হয়ে গেছে। এই এমএম এস সাড়া কলেজের সব স্টুডেন্টদের ফোনে আসে,,

মিরা খেয়াল দেখে

রনি- আমার ভাই কেন সুইসাইড করেছে সেটা সবার জানা উচিত।সেটা সবাইকে জানিয়ে দিয়ো।,,

মিরা- ওকে,,

মিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে- রহিত এখন সবাই জানে তুমি এমনি এমনি নিজের জান দাওনি। তোমাকে জান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। দোষী রা তাদের শাস্তি পেয়েছে তুমি খুশি তো রহিত??।(ভাবতে ভাবতে কেদে ফেলে)

পুলিশ এখনো পর্যন্ত সেই কিলার কে খুজে পাইনি না তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমান পাইনি।

কন্সটেবল- স্যার আমরা তো জানতে পারলাম কেন রোহিত মরে গিয়েছে আর কেনই বা এই দোষীদের মারা হয়েছে কিন্তু আমরা দোষীদের শাস্তি দাতাকে খুজে পেলাম না।

এসআই- সে খুব চালাক একজন কিলার।।।একটা প্রমান ও রাখেনি আমরা জানিও না সে কেমন দেখতে,, যাই হোক রোহিত ছেলেটার সাথে আসলেই খুব খারাপ হয়েছে।

লন্ডনে,,,,,,

রনি নিজের কাজ কর্ম শেষ করে রুমে এসে বিছানায় শুয়ে রহিতের কথা ভাবে-
রহিত- ভাইয়া সব ছেড়ে দাও না। চলো আমরা সাধারণ জীবন যাপন করি।। ভাইয়া আমি তোমাকে খুব ভালো বাসি।।।

রনির চোখের কোনায় জল চলে আসে। রনি চোখ বন্ধ করে একটা জোরে শ্বাস ছাড়ে।।।

কিছুখন পর,,,,,,,

রনি দেখলো জানালা দিয়ে খুব আলো আসছে। রনি উঠে বসলো।। সে ঠিক মতো তাকাতে পারছিলো না। সেই আলোর ভিতর থেকে রহিত বের হয়ে আসে এবং রনির দিকে তাকিয়ে হেসে বলে-

রহিত- thank you ভাইয়া।।

রনি রহিত কে দেখে খুশিও হয় এবং কান্না ভেঙেও পরে

রনি- ভাই আমার।। আমার কাছে আয় ভাই।। ( দুই হাত বারিয়ে বললো)

রহিত রনির দিকে তাকিয়ে শুধু হেসেই যাচ্ছিলো।

রনি বিছানা থেকে উঠে আসতে আসতে এগিয়ে যেতে যেতে বললো- আয় ভাই।। আমার কাছে আয়।।
বলে রহিত কে ধরতে গেলে রহিত হাওয়ায় মিশে যাই।। রনি রহিত বলে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে লাগে এমন সময় মোবাইলের এ্যার্লাম বেজে উঠে। রনি চমকে উঠে চোখ খুলে দেখে সকালে মিষ্টি আলো তার রুমের জানালা দিয়ে উকি দিচ্ছে।। রনি চোখে হাত দেয় দেখে চোখের কোনায় পানি।। রনি উঠে বারান্দায় গিয়ে রোদের মিষ্টি আলোতে চোখ বন্ধ করে দাড়ায়।। এমন সময় রনির ফোনে কল আসে।

রনি ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।

রনি- হমম লোকটা কথায় যাচ্ছে পিছু নাও।। আমি আসছি।।

বলে ফোন কেটে দিলো। এবং ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে গাড়ি তৈরি রাখতে বললো।।

রনি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে তৈরি হলো এবং ডয়ের থেকে তার পিস্তল ব্রিপকেস এ ঢুকিয়ে বের হয়ে গেলো।।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
?
আমরা সবাই জানি মেয়েরা রেপ হয়।। ছেলেরাও রেপ হয়!! হাস্য কর মনে হচ্ছে তাইনা!! আসলে কি জানেন ছেলেদের রেপ হলে সেটা প্রকাশ পাইনা।। কারণ এটা মানুষ হাস্যকর হিসেবেই নেই।। কেও বিশ্বাস করতে চায় না।। কিন্তু এটা বাস্তব,,, পৃথিবীতে অনেক ছেলে আছে সেক্সচুয়াল হ্যারেজ হয়।। অনেক ছেলেই আবার রেপ হয়।। কিন্তু তারা বলে না নিজের ভিতর রাখে এবং একটু একটু করে গুমরে গুমরে মরে। অনেকেই সহ্য করতে পারেনা।।। তখন তারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।। আর যারা বলে দেয় তাদেরকে হাসির পাত্র বানিয়ে দেওয়া হয়।।
কারণ মানুষ ভাবে একটা ছেলের যদি মর্জি না থাকে তাহলে কখনোই এমন কিছুই সম্ভব না।। হমম এটা ঠিক তবে পুরাপুরি না বলে আমি মনে করি।। একটা ছেলের মর্জি না থাকলেও তাকে সেভাবেই রাজি করানো হয়। শুনতে আজব লাগলেও এটাই সত্যি।।।

যাই হোক,,,, প্রিয় পাঠক পাঠিকার আপনাদের গল্প কেমন লাগলো আপানের মতামত জানাবেন অবশ্যই।।।?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here