উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া পর্ব – ৪৫

0
2611

উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ৪৫
(নূর নাফিসা)
.
.
আম্মির হাতে জোরপূর্বক অল্প খাবার খেয়ে নাফিসা রুমে চলে এলো। মেঘ জানালার পাশে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছে মোহিনীর সাথে! সম্পূর্ণ ঘটনা বলেনি, শুধু এটা বলেছে নাফিসার সাথে তার ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছে এবং মেঘ বকেছে নাফিসাকে । তাই, তার সাথে রাগ করে চলে এসেছে নাফিসা! মেঘ এখন নাফিসাকে রুমে আসতে দেখে ফোন লাউড স্পিকারে দিয়ে বললো,
– মা, কথা বলো নাফিসার সাথে।
– না, আমি কারো সাথে কথা বলবো না! শুধু শুধু কথা বলতে যাবো কেন! কেউ কি আমাকে গণ্যমান্য করে নাকি! মরে গিয়েছিলাম আমি! ঝগড়া হয়েছে সে আমার কাছে বিচার দিতে পারলো না! শাসন করতাম কিনা দেখে নিতো! সাহস কি করে হলো একা একা সিলেট চলে যাওয়ার!
নাফিসা অপরাধী কণ্ঠে বললো,
– সরি মা!
ওপাশ থেকে মোহিনী বললো,
– আমি কারো মা না! আমাকে যেন কেউ মা না ডাকে! আমার সাথে কেউ যেন কথাও না বলে। যার যখন যেখানে ইচ্ছে চলে যাক! কিছু বলবো না আমি! আমি কে বলার!
– মা, সরি। আর কখনো হবে না এমন, প্রমিজ! আজকেই কি বাসায় ফিরে আসবো?
মোহিনীও যে রেগে আছে তার উপর খুব ভালো বুঝতে পেরেছে নাফিসা! তার চোখ দুটো ছলছল করছে! মেঘ নাফিসার দিকে তাকিয়ে আছে এবং বউ শাশুড়ির কথা শুনছে! ওদিক থেকে মোহিনী নাফিসার কথার জবাব দিলো,
– না, কাউকে আর বাসায় ফিরতে হবে না! যেখানে গেছে সেখানেই থাকুক! যে আমাকে গণ্য করে না, তার এ বাড়িতে জায়গা হবে না!
– আপনার নাতি-নাতনী যে আসছে, তাদেরও জায়গা হবে না?‌‌‌‍
– হোয়াট! নাতিনাতনি আসছে মানে!
নাফিসা জ্বিভ কামড়ে ধরলো! কি বলতে কি বলে ফেলেছে! মেঘ প্রথমে বড় বড় চোখ করে তাকালেও এখন ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে তাকিয়ে আছে নাফিসার দিকে! মোহিনী এদিকে বলছে,
– নাতিনাতনি আসছে মানে কি! মেঘ?
– তোমার মেডাম ফুলি মেয়েকে জিজ্ঞেস করো!
– নাফিসা? মানে কি?
নাফিসা দাতে দাত চেপে রেখেছে! সে রুম থেকে বের হওয়ার জন্য তারাতাড়ি বসা থেকে উঠতে গেলে মেঘ টেনে কোলে বসিয়ে দিলো! ফিসফিস করে বললো,
– পালাচ্ছো কোথায়? মায়ের প্রশ্নের জবাব দাও।
– আমি পারবো না বলতে, ছাড়ো!
– উহুম, শুরু করেছো এখন বলতে হবেই!
নাফিসা মেঘের গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
– তুমি বলে দাও না!
– আমি! আমি পারবো না!
নাফিসা মেঘের কানে আলতো কামড় দিয়ে বললো,
– প্লিজ! প্লিজ!
মেঘ শরীর কাপিয়ে নিশব্দে হেসে উঠলো! এদিকে তারা দুজন ফিসফিস করে কথা বলছে আর ওদিকে মোহিনী জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছে! কিন্তু কারো জবাব পাচ্ছে না!
– নাফিসা? মেঘ? আরে কেউ তো কিছু বলো!
নাফিসা শক্ত করে মেঘের গলা জড়িয়ে ধরে বসে আছে। এবার মেঘই জবাব দিলো,
– মা, ছোট্ট কদম ফেলে তোমার সাড়া বাড়িতে দৌড়ানোর মানুষ আসছে খুব শীঘ্রই!
– এসব কি শুনছি আমি! গাধা, নির্বোধ কোথাকার! তোর ধৈর্যশক্তি, জ্ঞানবুদ্ধি কি কিছু নেই! নাফিসার কি প্রাপ্ত বয়স হয়েছে! লাইফের খুটি না দাড়াতেই ভেঙে দিলি! অন্তত অনার্স কমপ্লিট পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতে পারতি! এই বয়সে কি সে এতোটা ধকল সহ্য করতে পারবে! অল্প বয়সে তার যে ক্ষতি হতে পারে সেই জ্ঞানটুকু কি তোর নেই! একটা মেয়ের বিশ বছরের আগে বাচ্চা নেয়া রিস্কের ব্যাপার! সে না হয় ছোট বিধায় বুঝেনি, তোর তো বুঝা উচিত ছিলো মেঘ! তোদের বয়স বাড়ছে আর দিন দিন জ্ঞান বুদ্ধি কমছে! আশেপাশের অবস্থাও কি তোদের চোখে পড়ে না!
মোহিনীর কথা শুনে দুজনের খুশিই উড়ে গেলো! নাফিসা মেঘের গলা ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে মেঘের দিকে তাকালো! মেঘ চিন্তিত হয়ে বিছানার দিকে তাকিয়ে আছে! মেঘের এই মলিন চেহারা তার একদম ভালো লাগছে না! সে কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছে, মেঘের ভেতরে কষ্ট হচ্ছে মায়ের কথায়! মোহিনীর বলা শেষ না হতেই, নাফিসা ফোন হাতে নিয়ে কল কেটে দিলো! মেঘ বিছানা থেকে চোখ সরিয়ে নাফিসার দিকে তাকিয়ে বললো,
– মেঘা, সেদিন তুমি নিজে থেকে কাছে না টানলে হয়তো এতো তারাতাড়ি এমনটা হতো না!
নাফিসা দু’হাতে মেঘের মুখখানা ধরে বললো,
– এই তুমি মন খারাপ করছো কেন! আমার বয়স তো উনিশ! ছোট না আমি! আমাদের বেবি আসছে, আমি খুশি, তুমি খুশি! আর কিছু লাগে না আমাদের! হুম!
মেঘ নাফিসাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো! গলায় মুখ লুকিয়ে বললো,
– মেঘা, তুমি কি ভয় পাচ্ছো? একদম ভয় পাবে না! আমি আছি তো তোমার সাথে! আমি আছি, আমাদের বাচ্চারা আছে! ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ ঠিক রাখবেন সবটা।
– মেঘ! ছাড়ো, সোজা হও! মেঘ!
মেঘের এ কন্ঠ স্বাভাবিক লাগছে না নাফিসার কাছে! খুব ভালো বুঝতে পারছে মায়ের কথায় মেঘ ভীষণ কষ্ট পেয়েছে এবং ভয়ও পেয়েছে ভীষণ! এদিকে মেঘকে ছাড়াতেও পারছে না! কল কেটে যাওয়ায় মোহিনী কল ব্যাক করছে! নাফিসা কোনোমতে হাতটা বাড়িয়ে ফোনটা রিসিভ করে বললো,
– মা, মেঘ কাদছে! ওর কোনো দোষ নেই!
– মেঘ! এই বোকা ছেলে! এমন খুশির খবর শুনে কেউ কাদে! আমিও অনেক খুশি হয়েছি, আমাকে দাদু বলে ডাকার মানুষ শীঘ্রই আসছে বলে! আমি তো শুধু বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম! কোনো ভয় পাবি না! সব ভালো হবে ইনশাল্লাহ! এই ছেলে, মায়ের সাথে কথা বল! বলবি না! আমি কিন্তু বেম্বো দিয়ে পেটাবো তোকে! আসবো এখন! এখন এলে কিন্তু জুতা রেখে মোজা দিয়ে পেটাবো!
মেঘ হেসে উঠলো নাফিসাকে জড়িয়ে ধরেই! মোহিনী জিজ্ঞেস করলো,
– নাফিসা, মেঘ হেসেছে?
– হ্যাঁ, মা।
– তোমার চোখে পানি কেন!
নাফিসা হেসে তার চোখের পানি মুছে বললো,
– কিভাবে বুঝলেন?
– মেঘ কাদবে আর মেঘা কি বসে থাকবে নাকি! ঝগড়া হবে, খুব বড় ঝগড়া হবে তোমার আম্মির সাথে আমার! আমিও আসছি সিলেট এবং খুব শীঘ্রই! ঝগড়া করার সব প্রস্তুতি নিয়ে আসবো, প্রস্তুত থাকতে বলো তোমার আম্মিকে! অনেক অভিমান জমা আছে, অনেক হিসাব নিকাশ বাকি আছে তোমার আম্মির সাথে!
– ফোন দিয়ে আসবো?
– না, ফোনে কি ঝগড়া করা যায় নাকি! শুধু শুধু আমার ব্যালেন্স নষ্ট! প্রত্যক্ষ যুদ্ধ হবে! আবারও বলছি, আমি কিন্তু একটুও রাগ করিনি! বরং অনেকের চেয়েও অনেক বেশি খুশি হয়েছি! এরপর যদি কেউ মন খারাপ করে তাহলে মোহিনী চৌধুরীর চেয়ে খারাপ কেউ হবে না বলে দিলাম!
মেঘ বললো,
– মোহিনী চৌধুরী খারাপ হোক তাতে আমার কিছু আসে যায়না! কিন্তু আমার মা কি সত্যি বলছে? আমার জননীকে কি সবসময় বাচ্চাদের নিয়ে খুশি দেখবো?
– পাক্কা!
– ওকে।
– হুম, আমার পরিবারের সব সদস্য যেন সবসময় সুখী থাকে আর যেখানেই থাকুক, নিজের খেয়াল রাখে! হুম!
– ইনশাআল্লাহ।
– রাখি এখন। তোর বাবাকে জানাই আগে!
মা ছেলের কথাবার্তা শুনে নাফিসার মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো! মেঘ কল কেটে নাফিসার মুখে হাসি দেখে ঠোঁটের ছোয়া দিলো ঠোঁটে! দুজনের মুখের সুখের ছায়া লেগে আছে এখন! নাফিসা পরম আবেশে মেঘের বুকে মাথা রেখে মিশে রইলো! মেঘ নাফিসার চোখে ঘুম দেখতে পাচ্ছে স্পষ্ট। তাই জিজ্ঞেস করলো,
– মেঘা, ঘুম পেয়েছে খুব?
– হুম।
– কারণ কি?
নাফিসা আর কিছু বললো না। চুপচাপ মিশে আছে মেঘের সাথে! মেঘ আবার বললো,
– বলো, এতো ঘুমের কারণ কি?
– জানিনা!
– আমি জানি।
– কি?
– কাল সারারাত তুমি ঘুমাওনি!
– কিভাবে বুঝলে?
– তোমার চেহারায় সব ভেসে উঠে আর সেই ভাষা আমার মুখস্ত! পরবর্তীতে যদি কখনো এমন কিছু দেখেছি তাহলে তোমাকে তো আর কিছু করতে পারবো না, তবে নিজের সাথে কি করবো ভেবে পাবে না তুমি!
নাফিসা চুপচাপ মিশে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন সে গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে গেছে! মেঘ বললো,
– হয়েছে, এখন আর ঘুমের নাটক করতে হবে না। বালিশে যাও, ঠিকভাবে শুয়ে ঘুমাও।
– তুমি ঘুমাবে?
– উহুম, কাজ আছে আমার। তোমার জন্য মিটিং ফেলে চলে এসেছি। এখন কনফারেন্সে এটেন্ড করতে হবে।
– কখন মিটিং?
– চারটার দিকে।
– অনেক দেড়ি! একটু ঘুমালে ফ্রেশ লাগবে।
মেঘ কিছু একটা ভেবে বললো,
– চলো, বালিশে যাও।
নাফিসা মেঘকে ছেড়ে বালিশে শুয়ে পড়লো পাশে মেঘও। মেঘের শরীরের মাতাল সুবাস না পেলে সহজে ঘুম আসে না তার! তাই আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে সে। মেঘ বললো,
– মেঘা?
– হুম?
– বেবির ব্যাপারে তুমি কি নিশ্চিত?
– হুম।
– কিভাবে নিশ্চিত হলে? হসপিটাল গিয়েছিলে?
– উহুম। সন্দেহ হয়েছিলো বিধায় প্রেগ্ন্যাসি টেস্ট স্টিক কিনেছিলাম সেদিন বৃষ্টির সাথে শপিংমলে গিয়ে।
– বৃষ্টি দেখেনি?
– উহুম।
– সে কোথায় ছিলো?
– সে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যস্ত ছিলো! সুযোগ বুঝে আমি কিনে নিয়েছি।
– একটু একটু চালাক হয়ে গেছো মনে হচ্ছে!
নাফিসা হিহি করে হেসে উঠলো! মেঘ আবার বললো,
– মা কিন্তু ঠিক বলেছে। এতো তারাতাড়ি বেবি নেওয়াটা ঠিক হয়নি আমাদের! তোমার পড়াশোনা আগে শেষ করার প্রয়োজন ছিলো। তাছাড়া তোমার বয়সও কম।
– মেঘ! তুমি আবার মন খারাপ করছো!
– উহুম, সত্যটা শুধু বললাম।
– চুপ একদম! এ নিয়ে আর কোনো কথা বলবে না। আর কোন দুশ্চিন্তাও করবে না।
মেঘ নাফিসার মাথার একপাশে আলতো চুমু একে বললো,
– ওকে। ঘুমাও।
.
বিকেলে মেঘ চালতা গাছের নিচে বেঞ্চে বসে কনফারেন্সে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলো। পরিবেশটা মন্দ না, পেছনে একের পর এক সবুজ গাছপালায় আচ্ছন্ন। বিকেলের পড়ন্ত রোদের সোনালী আলো উঁকি দিচ্ছে পাতার ফাকে ফাকে! মেঘ আলোচনায় বসলে হঠাৎ দেখলো অফিসে থাকা লোকগুলো অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে! অত:পর সবাই চিৎকার চেচামেচি করতে লাগলো, “মেঘ! সাপ! মেঘ, সাপ সাপ!” মেঘ তাদের কথা বুঝতে পারছে না! অফিসের ভেতর কি সাপ চলে গেলো! অফিসে সাপ আসবে কোথা থেকে! সে বুঝার চেষ্টা করছে আর অফিসের সবাই “সাপ! সাপ!” বলে চেচাচ্ছে আর তাকে সরে যেতে বলছে। এমন হৈ-হুল্লোড়ের শব্দ শুনে নাফিসা একটু এগিয়ে এলো, সাথে সাথেই খুব জোরে চিৎকার দিলো! মেঘ কারো আচরণই বুঝতে পারলো না! তবে নাফিসাকে চিৎকার করতে দেখে সে বেঞ্চে ল্যাপটপ রেখে দৌড়ে নাফিসার কাছে চলে এলো! নাফিসাকে ধরে বললো,
– মেঘা! এই, কি হয়েছে তোমার!
নাফিসা ছলছল চোখে তাকিয়ে মেঘকে দেখছে!
– আরে, কি হয়েছে? চিৎকার করলে কেন?
নাফিসা আঙুল দিয়ে দেখালে মেঘ দেখলো, সে যেখানে বসেছে মাথা বরাবর গাছে একটা সবুজ রঙের মোটামুটি বড়সড় সাপ ঝুলছে! সাপ দেখে তো তার মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে! এই সাপের নিচে বসে ছিলো সে! এই মুহুর্তে উঠে না এলে তো আজ তার ইন্তেকাল হয়ে যেতো! নাফিসাকে ধরে এখানে দাড়িয়েই ঢোক গিলছে মেঘ! সাপ এখনো ঝুলে আছে। মাথা একবার এদিকে নাড়াচ্ছে তো আবার অন্যদিকে! রোকসানা নাফিসার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। সাপ দেখে তিনিই লাঠি নিয়ে তাড়া করলেন। সাপটি লাফ দিয়ে পেছনে ঢালু জায়গায় নেমে ঝোপের আড়ালে চলে গেলো। মেঘ হাফ ছেড়ে বাচলো! নাফিসা একটু ধমকের সাথে বললো,
– এখানে এসে মিটিং করতে হবে! খোলা জায়গায় করা যায় না!
– আমি জানতাম নাকি, গাছে আবার সাপ ঝুলে!
রোকসানা বললো,
– শীতকালে সব প্রানীই কোমল জায়গা খুজে। সাপও গাছ পর্যন্ত উঠে গেছে। সাবধানে থেকো একটু। পাহাড়ি অঞ্চলে ঝোপঝাড় বেশি, সাপের উপদ্রবও বেশি।
এবার মেঘ ঘর থেকে চেয়ার এনে খোলা আকাশের নিচে উঠুনের মাঝামাঝিতে বসলো ল্যাপটপ নিয়ে। আকাশ থেকে তো আর সাপ নামবে না! রায়হান চৌধুরীসহ অফিসের লোকজন মিটিংয়ের আলোচনা না করে মেঘ ঠিক আছে কিনা আর সাপ নিয়ে নানান কথা বলছে। প্রয়োজনের থেকে অধিক সময় নিয়ে তারা মিটিং শেষ করলো।
রাতে বৃষ্টি কল করে নাফিসা ও মেঘের সাথে ঘন্টাব্যাপী গল্প করলো। মেঘ তার মা কে নিষেধ করলো এখন সিলেট আসতে। কিছুদিন পর তারা নতুন বাড়িতে উঠবে, তাই বলে দিলো তখন যেন আসে। আম্মির সাথেও দেখা হবে এবং বাড়িটাও দেখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here