দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর,part:1

0
2919

দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর,part:1
writer:Nurzahan akter allo

❤❤
শালা কুওা জামাই তুই মেয়ে পাস নি আর বিয়ের জন্য, আমার মত ভদ্র মেয়েকেই তোর বিয়ে করতে হলো।এবার দেখ তোরে অামি এমন থেরাপি দিবো যে জীবনেও আর বিয়ের কথা বলবি না।ফাজিল পোলা তোর বিয়ের করার সাদ মিটিয়ে দিবো???।তোর জন্য বাপি আমাকে এত তারাতারি বিয়ে দিয়ে দিল,বারান্দা দিয়ে পালাতে গিয়ে দেখি ওখানেও লোক দাঁড় করিয়ে রাখছে,দাড়া তোরে আমি ভাবে থেরাপি দিয়ে সোজা করবো তুই কল্পনাও করতে পারবি না উগান্ডা, কালা কুমির,,

(উপরের কথা গুলো সদ্য বিয়ে করে আসা বউ রুহী চৌধুরি তার বর জুভরান মেহবুব মুগ্ধকে উদ্দেশ্য করে বললো।আর বেচারা বরটা বউ মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে আসলে কি হচ্ছে?)

রুহী খাটের উপর বসে থেকে কথাগুলো বলছিলো,মুগ্ধ হা করে রুহীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।রুহী এবার আরো রেগে গেছে মুগ্ধর চুপ করে থাকাতে, রুহি বিছানা থেকে উঠে মুগ্ধর সামনে দাঁড়ালো আর মুগ্ধর মাথার পাগড়ী টা নিয়ে এক আছাড় দিলো।

রুহীঃফাজিল পোলা আমার সাথে মসকরা করোস,কথা কি মুখে আসে না তো নাকি তেলাপোকা থেরাপি দিবো তোকে,,
মুগ্ধঃআপপপনি এসব কি বলছেন?আমম আমার তো মাথায় কিছু ঢুকছে না,আর এভা,,ভাবে কথা বলছেন কেন?
রুহীঃতোর মাথায় এখন থেকে এটা ঢুকিয়ে নে যে,,,,প্রথমত
১.আমাকে টাচ করা যাবে না
২.আমার কোন কাজে বাঁধা দেওয়া যাবে না
৩.আমার সব দুষ্টুমিতে আমাকে সাহায্য করতে হবে
৪.পড়াশোনা আমার মাথায় ঢোকে না,এটার আর করতেও চায় না আমি

এসব একটা কথা এদিক ওদিক করলে তুই বুঝবি রুহী চৌধুরী কি জিনিস?আমার এত সুন্দর দুষ্টুমি ভরা জীবনটাকে এভাবে বন্দী জীবন করবি ভেবেছিলি,,কিন্ত আমি সেটা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবো সেটা ভাবলি কি করে??
এসব কথা খুব সুন্দর করে তোর মাথায় ঢুকিয়ে নে,আর আমি ঘুমাতে খুব ভালবাসি।আমার ঘুমের ডিসটাব হলে তোরে আর বাঁচিয়ে রাখবো না আর।মুগ্ধ একগাল হেসে ওর জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।আর রুহী বিছানায় চার হাত পা ছাড়িয়ে ঠাস করে শুয়ে পড়লো,,।আর মুগ্ধ মনে মনে বলছে,,

মুগ্ধঃডেভিল রানী আপনি কত দুষ্টুমি করতে পারেন,আমিও দেখতে চায়।আপনার দুষ্টুমি যত বাড়বে আমার রোমান্টিকতার সেই লেভেলের হবে।আমিও দেখতে চায় আমার দুষ্টু বউটা কত রকমের দুষ্টুমি করতে পারে।তোমাকে এজন্য আমার কাছে নিয়ে আসা ডেবিল রানী এবার তুমিও বুঝবে তোমার একমাত্র হাজবেন্ড মুগ্ধ কি জিনিস???
এতক্ষণ কিছু বলি নি কারন আমি দেখতে চেয়েছিলাম,আমি দুষ্টু রানী টা কত স্পিডে কথা বলতে পারে সেটা দেখার জন্য।রুহী তোমার এই রাগী, আর দুষ্টুমি দেখেই আমি তোমার প্রেমে পড়ছি ম্যম,তোমাকে আমি আমার মনের রানী বানিয়েছি, সারাজীবন আমার বাহুডোরে তোমাকে বন্দী করে রাখবো।

মুগ্ধ রুম থেকে বের হয়ে রুহী ওভাবেই শুয়ে ঘুমিয়ে গেছে,মুগ্ধ রুহীকে একবার ডাকলো কিন্ত রুহীর কোন সাড়াশব্দ নেই দেখে আবার ডাকলো,এবার মুগ্ধ পাশের গ্লাস থেকে পানি নিয়ে রুহী মুখের উপর মারলো,,আর রুহী চিৎকার করে

রুহীঃইয়া খোদা ছাদ কি ফুটা হয়ে গেছে নাকি?আমাকে কেউ বাঁচাও,,,।আমি এত তারাতারি মরতে চায় না,বাপি আমাকে বাঁচাও,,,,

মুগ্ধঃআরে তোমার হাজবেন্ডের বাড়ি এত দূবল করে বানানো না যে ছাদ ফুটো হয়ে যাবে,নাও ওঠো ড্রেস টা change করে কিছু খেয়ে তারপর ঘুমাবো,,,নাও তারাতারি ওঠো,,
রুহীঃকুওা জামাই তোর এত বড় সাহস তুই আমার ঘুম নষ্ট করলি,তোকে তো আমি,,

রুহী নিজের রাগ কনট্রোল করতে না পেরে মুগ্ধর গলাতেই কামড় বসালো আর মুগ্ধ হুট করে কামড় বসাবে সেইটা কল্পনাও করে নি,মুগ্ধ চোখ বন্ধ করে নিলো রুহী খুব জোরে কামড়ে ধরছে,,।আর মুগ্ধ গলা কামড়ে ধরে থাকা অবস্থায় আবার ঘুমিয়ে গেছে,রুহী পড়ে যেতে নিলে মুগ্ধ রুহী ধরে ফেলে।রুহীকে সুন্দর করে শুইয়ে দিয়ে রুহীর শরীরের গয়না গুলো খুলে দিলো,মাথায থেকে ওড়নাটাও ফেলে দিল আর মুগ্ধ রুহীর দিকে তাকিয়ে হেসে দিল,,

মুগ্ধঃপাগলিটা শুধু মাথাতেই বড় হয়েছে,,বুদ্ধি বলতে কিছু নেই।তুমি যে আমার গলাতে কামড় বসালে এজন্য কালকেই ভাবিরা সবাই তোমাকেই লজ্জাতে ফেলবে,আর আমি তোমার সেই লজ্জা মাখা মুখটা দেখবো, এটা ভাবলেই আমার হাসি পাচ্ছে, হে খোদা আমার ডেবিল রানীর রাগটা একটু কমিয়ে দাও।ইসস রে দুষ্টু টাকে দেখতে কতটা মায়াবি,এখন এই মুখটা দেখলে কে বলবে এই মেয়েটা এত দুষ্টু,,

মুগ্ধ রুহীকে এক সাইডে শুইয়ে দিয়ে পাশেই মুগ্ধ শুয়ে পড়লো,আর রুহীর দিকে তাকিয়ে আছে,একটা সময় মুগ্ধ ঘুমিয়ে গেল।
রাত প্রায় দুইটার দিকে মুগ্ধ ঘুম ভেঙে গেল ওর নিজের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে যে মুগ্ধ আসলে কোন পজিশনে শুয়ে আসে,,,

মুগ্ধ রুহির দিকে তাকিয়ে দেখলো,রুহী মুগ্ধর গলায় মুখ রেখে আরামসে ঘুমাচ্ছে আর একটা হাত দিয়ে মুগ্ধর গলা জড়িয়ে ধরে আছে,রুহীর একটা পা মুগ্ধর পেটের উপর। মুগ্ধ এবার কোন রকমভাবেই নিজেকে ছাড়াতে পারেনি, আর কেউ শরীরে টাচ করলে মুগ্ধর ঘুম আসতো না বাট রুহী বেলাতে আলাদা একটা অনুভূতি ফিল করছে,রুহীর নিঃশ্বাস মুগ্ধকে শরীরে একটা কারেন্ট সৃষ্টি করছে।মুগ্ধ নিজেকে কনট্রোল করে রুহীকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে গেল।????।

সকালবেলা রুহীর চিৎকারে মুগ্ধর ঘুম ভাংলো,যদিও রুহীর ঘুম ভাংগার আগেই মুগ্ধ ওকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে মাঝখানে বালিশ রেখে দিয়েছিলো।কারন রুহী যে এটা নিয়েই তুলকালাম করবে মুগধ সেটা অজানা কিছু না।মুগ্ধ বিছানায় উঠে বসতেই রুহি এসে মুগ্ধ কলার চেপে ধরলো,,,
রুহীঃ আমার গয়নাগুলো তুই চুরি করে বেঁচে দিয়েছিস,,,??
মুগ্ধঃআরে ইয়ার তোমার গয়না ওই যে ড্রেসিং টেবিলে ড্রয়ারে আছে,রাতে তোমার ঘুমাতে সমস্যা এজন্য আমি খুলে রেখেছিলাম।আর মেয়ে মানুষের গয়না নিয়ে আমি করবো,,

রুহীঃখুলেছিস না ওগুলো চুরি করার মতলব, আমি বুঝি না মনে করেছিস, আমি সব বুঝি,,????।
বেশ কথা বললে আমার যে রকম চুরি করে গয়না খুলে দিয়েছিস,আমিও কিন্ত তোকে চুরি করে আমার গয়নাগুলো পরিয়ে নেটে ছেড়ে দিবো তখন বুঝবি মজা কাকে বলে,,,
একথা বলে রুহী হনহন করতে করতে চলে গেল।

মুগ্ধঃইয়া খোদা আমি এ কোন এলিয়েনের প্রেমে পড়ছি,,?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here