দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর,part:16,17

0
1360

দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর,part:16,17
writer:Nurzahan akter allo
part:16
❤❤
সাদনান নুরের ওড়না দিয়ে নিজের চোখ বেধে দিল,গুটি গুটি পায়ে নুরের দিকে এগিয়ে গেল,সাদনানের হাত খুব কাঁপছে, নিজের বিয়ের করা বউ,নিজের ভালবাসার মানুষ তাও কেন জানি একটা আনইজি ফিল করছে।
তারপর উল্টো ঘুরে ওই মহিলাটা ডেকে আনলো,মহিলাটি আর কিছু না বলে না,সাদনান ওখান থেকে বের হয়ে যাই,,,পকেট থেকে রুমাল বের করে মাথার চুলগুলো মুছে নেই।সাদনান মনে মনে এটাই বলে,,

সাদনানঃআমি সরি নুর,আমি তোমার অজান্তে তোমাকে টাচ করবো না,পরে তুমি আমাকে ভুল বুঝবে।আমি তোমার মনে এক বিন্দু পরিমাণ সন্দেহের বীজ বুনতে দিবো না,আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাসো আমিও বাসি তারপরেও আমি একটা ছেলে।আর এখানে একটা ভুলের জন্য তুমি আমাকে ভুল বুঝতে পারো,তুমি আমার বউ তারপরেও আমি বলবো আমি তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে টাচ করবো না,তোমার ভেজা শরীর,ঠোঁট, আমাকে কতটা টানছে শুধু আমি জানি,,,,।সেদিন লিপকিস করছি তাই তুমি আমার উপর অনেক অভিমান করছিলে বাট আর না,,,।তোমাকে বৈধ ভাবে পেয়েছি আর বৈধ ভাবেই তোমাকে কাছে টেনে নিবো,সেটা আজ বা কাল, তোমার মন চাই ভালবাসা চাই,,, কিন্ত আজ তোমাকে এভাবে ড্রেস বদলে দিলে,তুমি আমাকে ভুল বুঝবে,,আমি জানি।

সাদনান পাশে তাকিয়ে দেখে মহিলাটি নুরের ভেজা জামা কাপড় হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।সাদনান মহিলাটাকে ধন্যবাদ দিয়ে নুরের কাছে গেল,নুরকে একদম অন্য রকম লাগছে,বাইরের বৃষ্টিটা একটু কমছে,সাদনান ওর শার্ট খুলে পানি চিপে ফেললো,আবার ভেজা শার্টটা পড়ে নিল,তাছাড়া তো আর কোন উপায় নেই।সাদনান,নুরের কাছে গিয়ে বসতেই নুর সাদনানের দিকে চোখ তুলে তাকায়,সাদনান মুছকি হেসে বাইরে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টি কমে গেছে,,

সাদনান নুরকে কোলে তুলে নেয়,আর নুর সাদনানের গলা জড়িয়ে ধরে,সাদনান মহিলাটিক ধন্যবাদ দিয়ে গাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াই,আর নুর আমার ভাং খাওয়ার জন্য হাত পা ছোটাছুটি করা শুরু করে,সাদনান দ্রুত পায়ে নুরকে গাড়ির কাছে নিয়ে যাই, আর নুরকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নুরের পাশের গ্লাস লক করে দেই আর সাদনান গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,সাদনানের পাশে নুর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে আর শাড়ির আঁচল দিয়ে সাদনানেন মাথা মুছে দিচ্ছে আর দুষ্টু হাসি দিচ্ছে,সাদনান মুছকি হেসে নুরের দিকে তাকায়, আর নুর আরো কাছে এসে বসে সাদনানের,সাদনান এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে নুরকে,,,।নুর সাদনানের গলায় মুখ লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে,,,

নুরঃ আপনি এভাবে ভিজে আছেন কেন?(নেশা জড়ানো গলায়)

সাদনানঃখুব গরম লাগছিলো এজন্য ভাবলাম বৃষ্টিতে ভিজে,শরীর টা ঠান্ডা করে নেই।

নুরঃখুব ভালো করছেন, আমিও ভিজবো বৃষ্টিতে,,,
সাদনানঃহুমম বৃষ্টিতে ভিজবে আর আমাকে পাগল করবে,তার উপরে এভাবে আবার অত্যাচার করবে তাই তো,,

নুরঃআপনি তো এমনিতেই পাগল,আপনাকে আর কি পাগল করবো?

সাদনানঃএটা তুমি ঠিক বলছো?আমি এমনিতেই পাগল,নুর একটু সরে বসো,আমার ভেজা শার্টে তোমার চেয়ে আনা শাড়িটাও ভিজে যাচ্ছে,,,। তবে এই লুকে আর কারো সামনে যেও না নুর,এমন লুকে আমি শুধু তোমাকে দেখবো আর কেউ না।

সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে নুর ঘুমিয়ে গেছে,সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভিং শুরু করে আর সামনের একটা শপিং মল থেকে দুজনের ড্রেস কিনে নেই,

যদিও যাওয়ার সময় নুরকে গাড়িতে রেখে গাড়ির ডোর লক করে গিয়েছিলো,সাদনান ফিরে এসে দেখে নুর এখনো ঘুমিয়ে আছে,সাদনান একটা হোটেল উঠলো, কারন এভাবে বাসাতে যাওয়া টিক হবে না,সাদনানের বাসা এখনো দুই ঘন্টার রাস্তা, আর এভাবে না যাওয়াটাই বেটার হবে,সাদনান গিয়ে আগে রুম বুক করে তারপর চারপাশটা তাকিয়ে দেখে তেমন কেউ নেই,সাদনান নুরকে কোলে করে নিয়ে যাই আর রুমে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই,সাদনান ওর নিউ ড্রেস রেখে আগে ওয়াশরুমে যাই,একটা সাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুমে থেকে বের হয়, শুধু টাওয়াল পড়ে,,,
সাদনান রিসিপশনে ফোন দিয়ে লেমন জুস আর ওদের ডিনারের জন্য খাবার অডার্র করে,,,,নুর তো সেই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আছে,,

সাদনান আজ নুরের করা প্রতিটা কথা,মনে করে হাসছে,,সাদনানের বেশি হাসি পাচ্ছে,,
সাদনানঃমেয়ে বলে কি ঠোঁট খাবো?তারমানে আমার দুষ্টু বউটা এত পরিকল্পনা করে আমাকে নিয়ে,ওরে পাগলি রে তোর কথাটা যে,আমার বুকে ভেতর তোলপাল করা শুরু করে দিয়েছে,,,
নুরঃ??????

ওয়েটার এসে ওদের খাবার দিয়ে যাই,সাদনান নুরকে ডাকে কিন্ত নুরের কোন সাড়াশব্দ নেই।নুর কোন সাড়াশব্দ না দিয়ে সাদনানের কোলে মাথা দিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে,আর বার বার ভালবাসি ভালবাসি বলতে থাকে,সাদনান শুধু অবাক হয়ে দেখছে নুরকে,সাদনান নুরকে বার বার ডাকছে লেমন জুস টা খাওয়ানোর জন্য বাট নুর উঠছেই না,,,এভাবে কয়েকবার ডাকছে কিন্ত নুর উঠছেই না।

সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে একটান দিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই,তারপর নিজে লেমন জুস টা সাদনান মুখে নিয়ে,নুরের মুখে মুখ লাগাি নুরের উপর উঠে সাদনান নিজের ভর দেই হালকা করে আর অল্প অল্প করে লেমন জুস দিতে থাকে নুরের মুখে,এভাবে পুরো লেমন জুস টা নুরকে খাওয়াই,,,।

(আপনারা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন কেন??)

ওটা খাওয়ানোর পর সাদনান উঠতেই নুর বমি করে দেই,সাদনান দুই হাত বাড়িয়ে দেই,,সাদনানের শরীরেও যে বমি লেগেছে তাতেও তার কোন খেয়াল নেই,সাদনান নুরের মুখের দিকে তাকিয়ে,বুঝলো যে নুরের কতটা কষ্ট হচ্ছে,,,। সাদনান দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে আসে আর পানি নিয়ে আসে,,। নুর আবার বমি করে দেই,সাদনান নুরকে ধরে বেডের সাথে হেলান দিযে বসাই আর মুখ ধুয়ে দেই,আর নুরকে শুইয়ে দেই,সাদনান আবার সাওয়ার নেই,,,,

কতজন পার এভাবে বমি হাতে নিতে,,
(আমি জানি তোমরা অনেক ঘৃনা করে নাক ছিটকালে তবে একবার নিজের জায়গাতে দাড়িয়ে, নিজের মানুষ টাকে নিয়ে ফিল করো,তাহলে এর উওর পেয়ে যাবে,,।)

সাদনান নুরকে ঠেলে দেই নি,বরং নুরের কষ্ট টাকে ফিল করছে, নুরের খুব কষ্ট হচ্ছে সেজন্য নুরকে আর ডাকলো না সাদনান,নুরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো,সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আর নুরকে নিয়ে হাজারো সপ্ন বুনতে থাকে,,একটা সময় সাদনানও ঘুমিয়ে যাই,,,।

সত্যি কারের ভালবাসলে কেউ কখনো বমিকে ভয় পেয়ে, ভালবাসা মানুষটাকে সরিয়ে দেই না ,বিরক্ত চোখে তাকায় না।বরং সেই বমি করার মুহূতেই তাকে আরো আগলে রাখে,প্রিয় মানুষকে যদি বমি করতে দেখে সরে যাই কেউ,,,তাহলে সারাজীবন পাশে থাকাবে কেমন করে,মুখে তো হাজার হাজার বুলি সবাই দিতে পারে, বিপদে কতজন এগিয়ে আসে,,।

একটা সময় বিএফ/জিএফ এত এত ভালবাসে যে বাচার কথাও নাকি চিন্তা করতে পারে না,।
তার কিছুদিন পর দুজন দুজনের চোখের বিষ হয়ে যাই আর শেষ পযন্ত ব্রেকআপ,,আর হাস্যকর বিষয়টা হচ্ছে ব্রেকআপ বললে নাকি সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে হবে,,,তাহলে এসব রিলেশনের কি দরকার?বাট বৈধ রিলেশনটা দেখো,, সাদনান আর নুরের মত,,,

রাত দুইটাই নুরের ঝাকুনিতে সাদনানের ঘুম ভেঙে যাই,সাদনান ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে নুর ওকে ডাকছে,নুর সাদনানের দিকে তাকিয়ে বলছে,,

চলবে,,,
(আজ গল্প ইডিট করার সময় পাই নি,নিজ দায়িত্বে বানান ভুল হলে শুধরে নিও প্লিজ)

দুষ্টু বউয়ের ডেবিল বর
writer:Nurzahan akter allo
part:17
❤❤
রাত দুইটাই ঘুম ভেঙে যাই নুরের, আর সাদনানকে ডাক দেই,সাদনান ঘুম ঘুম চোখে নুরের দিকে তাকাই,নুর সাদনানের আরো কাছে এসে বলে,,

নুরঃআমার খুব খুদা লাগছে,আমাকে কিছু খেতে দিন,,,,

সাদনানঃহুমম দাড়াও বাট খাবার তো ঠান্ডা হয়ে গেছে,আমি আবার কিছু অডার্র করি,,

নুরঃনা এত রাতে আর আর কাউকে জাগানোর দরকার নাই,যা আছে তাই দিন, তারাতারি দিন আমাকে খেতে আর আমার মাথা এরকম ঘুরিং ঘুরিং করছে কেন?

সাদনানঃএকটু তো মাথা ভারী হবেই,আচ্ছা আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছে কেমন,তুমি গুড গার্লের মত খেয়ে আবার শুয়ে পড়ো কেমন,,,

নুরঃহুমম

সাদনান উঠে ঢেকে রাখা খাবার আনে,আর নুর সাদনানের বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসে,সাদনান খাবারটা বিচানার উপর রেখে নুরকে জড়িয়ে ধরে,নুরের কানে কানে বলে,,,

সাদনানঃআরে বোকা মেয়ে এভাবে বসলে তোমাকে আমি খাওয়াবো কি করে?এভাবে তো উল্টো হচ্ছে আমার,আমি তোমার মুখে ভাত না দিয়ে,নাকে দিবো তখন পুরো মুখে মেখে একাকার হবে,আগে খেয়ে নাও তারপর না হয় তুমি সারারাত এভাবে থেকো,,

নুরঃনা আমি এভাবেই খাবো,কোন কথা হবে না,,।
সাদনানঃ খাওয়ার সময় একটু শান্ত হয়ে থাকতে হয়,আগে খেয়ে নাও না,,

নুরঃযা আমি আর খাবোই না,??
সাদনানঃওকে ওকে নাও এভাবেই খাও, আমি আর কিছু বলছি না কেমন,,নাও হা করো,,

সাদনান নুরকে ওভাবেই খাওয়াতে থাকে,আর নুর খেতে থাকে,খেতে খেতে সাদনানের দিকে ঘুরে তাকিয়ে সাদনানের মুখে খাবার তুলে দেই,সাদনানে নুরের দিকে তাকাই আর মুছকি হেসে খেতে থাকে,,,,,

এভাবে দুজন দুজনাকে খাওয়াতে থাকে।সাদনান উঠে নুরকে পানি খাইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে দেই আর নিজেই হাত ধুয়ে আসে,নুরের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে এখনো,সাদনান নুরের পাশে শুয়ে পড়ে,সাদনান শুতেই নুর গুটিশুটি হয়ে সাদনানের বুকের মাঝে ঢুকে পড়ে,আর সাদনান নুরের কপালে ভালবাসার পরশ একে দেই,আর নুরকে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের সাথে,,,একটা সময় আবার দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে,,??

সকালবেলা নুরের ঘুম ভেঙে যাই,নুর উঠে বসে মাথা চেপে ধরে।তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে ও একটা শাড়ি পেচিয়ে পড়ে আছে,তারপর কোন কিছু না বলে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই দেখে,কয়েকটা শপিং ব্যাগ পড়ে আছে,একটা হাতে নিয়ে দেখে একটা ছেলের ড্রেস আর একটাতে মেয়েদের ড্রেস,নুর মেয়েদের ড্রেস টা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যাই,ফ্রেস হয়ে এসে দেখে সাদনান উপুর হয়ে শুয়ে আছে,,,।

নুর সাদনানের কাছে গিয়ে চুলে হাত বুলিয়ে দেই,সাদনানের কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দেই,আর নুর গিয়ে বারান্দায় এসে দাড়াই,,,

আজকের সকালটা খুব সুন্দর, আকাশটা মনে হচ্ছে, রং তুলি দিয়ে আকা,ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে, সাদনান এসে নুরকে জড়িয়ে ধরলো পেছন থেকে,নুর কিছু বললো না সেইরকম ভাবে দাড়িয়ে থাকলো,আকাশের দিকে তাকিয়ে। সাদনান নুরের কাধে মুখ রেখে বললো,,

সাদনানঃএখন কেমন লাগছে তোমার,,শরীর ঠিক আছে তো?

নুরঃহুমম আমি ঠিক আছি,আমার নাম বুকের বামপাশে ট্যটুটা কবে করছেন?ডিজাইন আর করে নামটা খুব সুন্দর হয়েছে আঁকানো,,,,

(মাঝারি আকারের S লিখে তার মাঝে নুর লিখা,,)

সাদনানঃতুমি কখন দেখলে ট্যটুটা ,তোমাকে যেদিন মন থেকে ফিল করা শিখছি,সেইদিনই এটা ট্যটু করে ফেলছি,,কারন আমি আমার মনে তোমার নাম লিখছি এটা তো কাউকে দেখাতে পারবো না এজন্য বুকের ট্যটু করে রেখেছি,যাতে কেউ এই বুক দখল করতে না আসে।এটা করার আসল কারণ, আমি তোমাকে বুকের কাছে সবসময় যাতে ফিল করতে পারি এজন্য বুঝলে,,,

নুরঃহুমম বুঝলাম,, আপনি যে বউ পাগল এটা সবাইকে বোঝান তাই তো,,☺☺

সাদনানঃসবাইকে বোঝানোর প্রয়োজন পড়বে না,যাকে বোঝাতে চাই সেই বুঝলেই এনাফ,,।আমি তো ভেবেছিলাম সকালে তোমার চিৎকারে ঘুম ভাংবে বাট কোন রিয়েক্ট নেই কেন?আচ্ছা নুর তুমি ঠিক আছো তো,,

নুরঃকেন?আমি বলতে চাইছেন যে সকালে ওইভাবে শাড়ি পড়াতে, আমি রিয়েক্ট করা উচিত ছিল তাই তো,আমার কালকের পুরো ঘটনা মনে নাই তবে কিছু একটা করছি এটা আমি সিওর,,।???

সাদনানঃ??? এভাবে শাড়ি কে পড়িয়ে দিয়েছে,এটাতেই কোন রিয়েক্ট নেই তোমার??,আগে জানলে তো,, ??

নুরঃআপনি পড়িয়ে দেন নি,এটা সিওর কারন এত নিখুঁত ভাবে কোন মেয়ে ছাড়া,এইভাবে কোন ছেলে পড়িয়ে দিতে পারবে না,আরে বুদ্ধু এসব বোঝার মত কমন সেন্স আমার আছে,আমাকে এতটাই বোকা ভাববেন না।

সাদনানঃযদি কোন ভুল করে ফেলতাম তখন কি এত শান্ত ভাবে থাকতে পারতে,,????,উফফ রে তাহলে কি মিস করে ফেললাম(নুরকে রাগানোর জন্য)

নুরঃআপনার উপর বিশ্বাস ছিল,আছে, আর থাকবেও,,।এভাবে আপনি কখনোই আমাকে কাছে টানবেন না,আমার সেন্স না থাকায় অবস্থায়।সত্যি কথা জানেন যার মধ্যে শয়তানি থাকে সে সেন্স থাকার আর না থাকার তার কাছে কিছুই পরোয়া করে না,,

সাদনানঃএত বিশ্বাস তাহলে সেইদিন কেন বললে?,আমি তোমার শরীর চাই,?,,জানো কথাটা আমাকে কত আঘাত করছিলো?আমি নিজের কাছে নিজেকেই কতটা ছোট লাগছিলো তুমি জানো?
,তুমি আমার মন চুরি করছো,,
তুমি আমার হার্টকে ডিসটাব করছো?(ঢং করে)

নুরঃওলে বাবা লে,,তাই নাকি?????
সবাইকে এক ভাবা ঠিক না,সব ছেলে এক না,এটা আমিও মানি,,,
সমস্যা হচ্ছে কোথায় জানেন?আমরা সব সময় খারাপ কিছু দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করি,আমরা যেমন সব মেয়েরা খারাপ না তেমনি আপনারা সব ছেলেরাও খারাপ না,,সব মেয়েরা লোভী না তেমনি সব ছেলেরা মেয়েদের শরীর বোঝেনা,,,, ?

সাদনান নুরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে, মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,নুর আবার বলতে শুরু করে,,

আমার মাঝে মাঝে খুব ঘৃনা লাগে ছেলেদের উপর,মন চাই ওদের ধরে মেরে ফেলি,ছেলেরা খুব খারাপ, আবার পরক্ষনে ভাবি আসলেই কি ছেলেরা খারাপ? আমরা ছোট থেকে এটাই দেখে আসছি ছেলেদের নামে,,, খারাপ,,,, এই পদবী টা, আমরা সব সময় খারাপ কিছু দেখেই তাদের বিচার করে ফেলি,আমরা এটাই মনে করি মেয়ে মানে নির্ভুল আর ছেলে মানে জঘন্য কীট,,,।

পৃথিবীটা ভাল কিছু জন্যই এখনো টিকে আছে,খারাপ বাদ দিয়ে একবার ভাল করে চারপাশটা তাকিয়ে দেখেন,এখনো ভাল ছেলে আছে,তারা মেযেদের শরীর টা না মন চাই,পার্কের চিপায় না তারা প্রিয় মানুষটার হাতটা ধরেই খুশি থাকে।

নিউজ পেপার খুললেই দেখবেন,,মেয়ে হবার অপরাধে বউকে খুন,মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলছে,রেপ,মেয়েদের টিজ করা,এসব সব যেমন সত্যি এটাও তেমন সত্যি সব ছেলেরা যেমন খারাপ না, তেমনি সব মেয়েরা যে সাধু তা কিন্ত নই,,।
একটা ছেলে পরিবারের জন্য যেমন সারাদিন কত কষ্ট করে, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কতকিছু ত্যাগ করে,এটা তো সংবাদ পএে দেওয়া হয় না,আর এগুলোও তুলে ধরাো হবে না, কারন সবাই হাসবে বলবে এটা সামান্য ব্যাপার,,

সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,নুরের চিন্তা ভাবনা গুলো এত ইউনিক,কতজন পারে এরকম ভাবে ভাবতে,সাদনান নুরের কপালে ঠোঁট ছোয়ালো আর কিছু না বলে,,,
সাদনান রিসিপশনে ফোন দিয়ে ব্রেক ফাস্ট অর্ডার করলো,ওরা ফ্রেস হয়ে ব্রেক ফাস্ট করে ওখান থেকে বেরিয়ে গেল,সাদনান ড্রাইভ করা শুরু করলো।নুর একমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে, নুরের হাঁচি দেওয়া শুরু হয়ে গেছে,মুখটা শুকিয়ে গেছে,সাদনান খুব দ্রুত ড্রাইভ করছে,,,

ওরা দেড় ঘন্টায় বাসায় পৌঁছে গেল,সাদনান নেমে নুরকে ডাকলো,দেখে নুর সিটের সাথে মাথা হেলান দিয়ে এভাবেই ঘুমিয়ে গেছে।সাদনান নুরকে কোলে করে নিয়ে বাসায় ঢুকতেই, সাদনানের মা দৌড় আসলো কিছু বলার আগেই সাদনান ইশারা করে চুপ করতে বললো,সাদনান নুরকে শুইয়ে দিল,নুরের খুব জর এসেছে।

সাদনান ল্যানলাইন থেকে ডাক্তারকে ফোন দিয়ে তারাতারি আসতে বললো,সাদনানের মা এসে নুরের কপালে হাত দিয়ে দেখে খুব জর,সাদনানের মুখটাও শুকিয়ে গেছে,আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে সাদনানের মা রুমাল ভিজিয়ে নুরের কপালে দিয়ে, সাদনানকে টাওয়াল ভিজিয়ে আনতে বললো,সাদনান টাওয়াল ভিজিয়ে আনতেই, সাদনানের মা নুর হাত, পা, মুখ গলা মুছে দিল যাতে জরটা না কমে,,,।

ডাক্তার এসে দেখে নুরের শরীরে টেম্পারেচার ১০২ ডিগ্রি জর,ডাক্তার নুরের জন্য কিছু ওষুধ দিয়ে চলে যাই,আর বলে যাই, রাতে জর বাড়তেও পারে।
সাদনান নুরের হাত ধরে বিছানার উপর বসে আছে,সাদনানের মা ওদের জন্য স্যুপ বানিয়ে আনে,সাদনান খেতে চাইছিলো না ওর মায়ের জোরাজুরি খেয়ে নিল,সাদনের মা সাদনানের দিকে তাকিয়ে নুরকে ডেকে খাইয়ে দিতে বলে চলে গেল।সাদনান নুরের কাছে গিয়ে ওকে ডাকছে,নুর টিপটিপ করে চোখ খুলে,ভ্য ভ্য করে কেঁদে দেই,,আর সাদনান ওর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে যে নুর কাঁদছে কেন?সাদনান নুরকে জিজ্ঞাসা করছে,,

সাদনানঃনুর কি হয়েছে?এভাবে কাদছো কেন?কি সমস্যা হচ্ছে বলো আমাকে,,? আচ্ছা তুমি সহজে মুখে কিছু বলো না কেন?

নুরঃবাপিপপপপপপপ, আমি বাপির কাছে যাবো,,??

সাদনানঃএভাবে না কেঁদে কি সমস্যা বলো?আমাকে কি তুমি পাগল বানিয়ে ছাড়বে নাকি?আর বাচ্চাদের মত করে এভাবে কাঁদছো কেন?

নুরঃআমার মাথা ব্যাথা করছে খুবববববব??

সাদনানঃএটা বলতে কি হচ্ছে তোমার?আচ্ছা স্যুপটা খেয়ে মেডিসিন খেয়ে নাও,আর আমি মাথা টিপে দিচ্ছি,,

সাদনান নুরকে খাইয়ে দিয়ে,নুরকে শুইয়ে দেই আর মাথা টিপে দিতে থাকে সাদনান।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here