প্রিয়_অভিমান
পার্ট: ১
লেখা: নিশাত সিদ্দিকা
হঠাৎ করেই কাব্য ভাইয়া আমার শাড়ির কুচি গুলো টেনে খোলে দিলেন ।
উনার এমন আচরনের কোনো মানেই আমি বুঝতে পারলাম না ।হতবিহ্বল হয়ে অবাক চোখে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম ।
উনি রেগে চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে ,
দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগলেন,
তুই শাড়ি পরেছিস ছেলেদের তর সাদা পেট , পিট পার্টির ছেলেদের দেখানোর জন্য তাই না,
ছেলেদের দৃষ্টি তর প্রতি আকর্ষিত করার জন্য তাই না।
ঠোঁটে এতো কড়া লিপস্টিক দিয়েছিস কেন?
যাতে দূর থেকে ও সবার দৃষ্টি তর ঠোঁটের উপর পরে পরে তার জন্য তাই তো,
আজ তর এই শখ আমি মিটিয়ে দেব।বলেই উনি
আমার পেটের মাঝে পিটের মাঝে উনার নক দিয়ে ইচ্ছে মত আচর কাটতে লাগলেন,
ব্যাথায় আমি কুকড়িয়ে উঠলাম,উনার এমন আচরনের কোনো মানেই আমি বুঝতে পারলাম না।
আর উনি আমাকে এমন আজে বাজে নোংরা কথাই বলছে কেন?
আমি ভয়ে ব্যাথায় কেঁদে কেঁদে বলে উঠালাম,
-কি করছো কি ভাইয়া লাগছে আমার ছাড়োন আমাকে,
আমার কথাগুলো শুনে উনি আরো বেশী রেগে গেলেন,
রেগে গিয়ে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলতে লাগলেন।
-এখন তো লাগবেই যখন পার্টির সবাই চোখ দিয়ে তকে গিলে খাচ্ছিল তখন বেশ আনন্দ লাগছিল তাই না।
এ কথা বলেই উনি আমার খোঁপা করা চুলগুলো মুটি করে শক্ত করে ধরে বলতে লাগলেন
-চুল খোপা করে বেঁধেছিস যাতে পিটটা দেখতে কারো অসুবিধা না হয় ,
বলেই পাগলের মতো আমার খোপা খুলতে লাগলেন,
আর আমি ব্যাথায় নিজেকে উনার কাছ থেকে ছাড়ানো চেষ্টা করতে লাগলাম,
কিন্তু সে আমাকে কিছুতেই ছাড়ছে না আমার চুলগুলো টেনে খুলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে গেলেন।
এই অবস্তায় বাইরে যাব কি করে,
আমি বাথরুমের ফ্লোরে বসে কাঁদতে লাগলাম।
।
আমি সুহা,
শাড়ি পরতে ভীষন ভালবাসি আর শাড়ির সাথে চুল খোপা করে বাঁধা আমার খুব প্রিয়।
যে কোনো পার্টিতে আমি শাড়ি পরে যাই।
আজ আমার বোনের একমাএ মেয়ে স্নেহার জন্ম দিনছিল ,
সেজন্য তাদের বাসায় বার্থডে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে,
তারজন্য আমি ব্ল্যাক কালারের একটি জর্জেট শাড়ি পরে ,চুগুলোকে সুন্দর করে খোপা করে এখানে এসেছিলাম।
কাব্য ভাইয়া হচ্ছেন আমার বোনের একমাএ দেবর।
দেখতে ডেশিং,হ্যান্ডসাম আর অত্যন্ত সুন্দর একজন ছেলে।
আর সেই সাথে রাগী আর বদ মেজাজী।
এই সৌন্দর্যের কারনে কত মেয়ের সাথে যে উনার রিলেশন তার হিসেব নেই ।
উনার এই স্বভাবের জন্য আমি তাকে সহ্য করতে পারি না।
সবসময় উনাকে এড়িয়ে চলি ।
আমি পার্টিতে আসার পর থেকেই দেখছি এখানের সব ছেলেরা কেমন করে তাকাচ্ছে ,আমার ভীষন অস্বস্তি লাগছিল তাই এক কোনায় দাড়িয়ে ছিলাম।
,
আর কোথা থেকে হুট করে কাব্য ভাইয়া এসে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন,
তারপর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ,আমার সাথে এমন বাজে আচরন করে চলে গেলেন।
উনার করা সব আচরন আমার মাথার উপর দিয়ে গেল।
চোখের পানি মুছে কষ্ট করে দাঁড়াল ,পেটের মাঝে নকের আচরে দাগ বসে গেছে সেখান থেকে সামান্য রক্ত ও বের হচ্ছে।
শাড়িটা আর চুলগুলোকে কোনো রকমে
ঠিক করে বাইরে বের হলাম।
বাইরে এসে আমি অবাক।
(চলবে)