#প্রিয়_অভিমান
পার্ট :২৫
লেখা :নিশাত সিদ্দিকা
.
.
সেই রাতটা বলতে গেলে নি:সন্দেহে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালবাসাময় রাত ছিল ,সেদিন উনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ভালবাসার অন্য এক জগতের সাথে ,উনার ভালবাসায় পূর্ন হয়ে উঠেছিল সেদিনের সেই রাতটা ,সেই সাথে শুরু হয়েছিল আমাদের বিবাহিত জীবনের সুন্দরতম এক নতুন অধ্যায়,যে অধ্যায়ে ছিল ছোট কাটো মান অভিমান আর সীমাহীন ভালবাসায় পরিপূর্ন এক স্বপ্নময় জগত।উনার প্রতি থাকা সমস্ত ভয় সেদিনই কেটে গিয়েছিল,
আমার মাঝে উনার জন্য এখন আছে শুধু শ্রদ্ধা আর অপরিসীম ভালবাসা,
দেখতে দেখতে কেটে গেল ভালবাসাময় জীবনের দেড়টি বছর ,এই দেড়টি বছর কেটে আমার স্বপ্নের মতো, আজ আমি একা নই আমার সাথে রয়েছে আমাদের প্রিন্সেস আর মাএ কয়েকটা দিনের অপেক্ষা তারপর আমাদের ছোট্ট প্রিন্সেস দুনিয়ায় চলে আসবে,হ্যা উনার কথাই সত্যি হয়েছে আমাদের প্রথম সন্তান মেয়ে মানে উনার প্রিন্সেসই পৃথিবীতে আসছে,সে নিয়ে উনার আনন্দের শেষ নেই,যে দিন শুনে ছিলেন আমি প্রেগনেন্ট খুশিতে উনার চোঁখ দিয়ে জল চলে এসেছিল,পাগলের মতো আমাকে জরিয়ে ধরে বলেছিলেন ,-সুহা সৃষ্টি কর্তার কাছে এই পৃথিবীতে আমার আর চাওয়ার কিছুই নেই,আমার জীবন সম্পূর্ন পরিপূর্ন,আমি আজ অনেক অনেক বেশী খুশি ,আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার থেকে সুখী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই,
উনার এই পাগলামো আর খুশি দেখে ,আমাদের সবার চোঁখে জল চলে এসেছিল,
এই খবরটা শুনার পর আমার মনের মাঝে অদ্ভুত এক ফিলিস হলো ,মা হবার অনুভুতি মনে হয় অন্য সব অনুভুতির থেকে আলাদা ,ভাবতেই বুকের ভেতরটা কেমন করে ,নিজের ভিতর ছোট্ট আরেকটি প্রান যে আমার আর আমার ভালবাসার অংশ,
আমার প্রেগনেন্সির খবর শুনার পর দিন থেকে উনি অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন,আমি নাকি নিজের কোনো খেয়াল রাখবো না যে কোনো সময় নাকি অঘটন ঘটিয়ে ফেলবো তাই উনি বাসায় সব সময় আমার পাশে থাকবেন,
শাশুড়ী মা আর আপু মিলে অনেক করে বুঝালেন যে উনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন আমার কিচ্ছু হবে না কিন্তু উনি কারো কথাই শুনলেন না ,জেদ ধরে বসে থাকলেন ,অবশেষে বাধ্য হয়ে দুলাভাইকে দেশে আনা হলো এখানকার ব্যবসা দেখার জন্য,
উনার এমন পাগলামি দেখে আপু আর মার সেকি হাসি,আর আমি শুধু চোঁখ গরম করে উনার দিকে তাকিয়ে রয়েছিলাম,আর উনি অসহায়ের মতো বোকা বোকা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছিলেন,
আমার যখন চার মাস হলো উনি বাসায় দুজন নার্স নিয়ে এলেন ,এরা নাকি আমার কখন কি করতে হবে কখন কখন খেতে হবে কি কি খাবার দরকার,কি খাবার খেলে বেবি বেশি পুষ্টি পাবে সব দেখা শুনা করবে,
আমার একটু সমস্যা হলে , হঠাৎ পেটে ব্যাথা বা মাথা ব্যাথা হলে একটু মুড অফ করে রাখলে উনি ভয় পেয়ে দৌড়ে নার্সদের কে নিয়ে আসেন আমার কাছে আর উনি আশংকা আর ভয় নিয়ে শুকনো মুখ করে আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন,উনার মুখ দেখে মনে হয় কষ্ট আমার নয় উনার হচ্ছে,
উনার এমন কান্ড দেখে আমার খুব হাসি পায় ,নার্সরা ও উনার কান্ড দেখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসাহাসি করেন,
মানুষটা এতো পাগল কেন ,এতো ভালো কেউ কাউকে ভাসে,মনে পরে গেল মা আর শাশুড়ী মায়ের বলা সেই কথা গুলো উনারা বলেছিলেন,ওর সাথে তুই খুব সুখী হবি ,ও নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে তোকে ভাল রাখার চেষ্টা করবে,উনাদের বলা কথা হয়তো সেদিন বিশ্বাস করিনি ,কিন্তু এখন মনে প্রানে মানি এই কথা গুলো ,হ্যা আমি উনার সাথে আমি খুব খুব সুখে আছি,উনার মতো স্বামী পেয়ে আমি সৃষ্টি কর্তার কাছে কৃতজ্ঞ ,এক সময় উনাকে আমি আমার জীবনের অভিশাপ ভাবতাম কিন্তু আমি ভুল ছিলাম উনি আমার জীবনে সৃষ্টি কর্তার সেরা উপহার ,
প্রেগনেন্সির কয়েক মাস পর থেকে আমার আচরন অনেক খিটখিটে হয়ে গেল ,শুধু একটু পর পর খিদে পায় আর যখন তখন বিনা কারনেই ভীষন রাগ লাগে, মন খারাপ লাগে,আর উনি সর্বাধিক চেষ্টা করতে থাকেন আমাকে খুশি রাখার,
রাত্রিবেলা যখন তখন খিদে পায় এটা সেটা খেতে মন চায় আর উনি হাসি মুখে আমার সব আবদার পূর্ন করেন ,উনার মুখে কখনও বিরক্তি ছায়া দেখিনা,
এখন প্রায় রাত্রিবেলা আমার টিক মত ঘুম হয় না ভিতর ভিতর একটা অশান্তি হয়,সারারাতই বলতে গেলে জেগে থাকি,আমার সাথে উনি ও জেগে থাকেন একটুও ঘুমান না,কখনও রুমে নিয়ে বসে আবার কখনও বেলকুনিতে বসে বুকের সাথে আগলে রেখে ,মাথায় হাত বুলিয়ে আমাদের প্রিন্সেসকে নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত জীবনের উনার করা সুন্দর সুন্দর প্ল্যানিং গুলো শুনান,যেটা শুনলে প্রশান্তিতে আমার বুকটা ভরে উঠে,মাঝে মাঝে অজানা আশংকায় বুকটা কেঁপে উঠে তখন উনাকে জাপটে ধরে উনার বুকের সাথে মিশে থাকি।
.
বেলকুনিতে দাড়িয়ে ফেলে আসা ভালবাসাময় দিনগুলোর কথা ভাবছি ,আমাদের জীবনে নতুন ভালবাসার আরেক জন আসতে চলেছে যাকে ঘীরে রয়েছে আমাদের দুজনের হাজারো স্বপ্ন,এই জায়গাটা আমার সবচেয়ে প্রিয় ,এখানে উনার সাথে আমার অনেক অনেক দুষ্ট মিষ্ট,ভালবাসার হাজারো স্মৃতি রয়েছে ,কিছুদিন পর আমাদের প্রিন্সেসকে নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্বপ্নের জাল বুনবো,ভাবতেই আনন্দে ভেতরটা নেচে উঠে,
একা একা দাঁড়িয়ে রয়েছি উনি নিচে গিয়েছেন আমার জন্য খাবার আনতে ,এক মাস আগ থেকে আমার নিচে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ,সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে নাকি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবো তার জন্য ,
সবে মাত্র দুপুরে খেয়েছি বিকেল হওয়ার আগে আবার খিদে পেয়ে গেল,উনাকে বলা মাত্রই উনি দৌড়ে চলে গেলেন খাবার আনতে ,আর আমাকে কড়া আদেশে বলে উঠলেন,
-সুহা রানী এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে এক পা ও নড়বে না আমি শুধু যাবো আর আসবো বুঝতে পেরেছো,
উনার কথায় আমি মৃদু হেসে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম,
হঠাৎ মাথাটা কেমন ঘুরে উঠলো ভিতরে কেমন একটা অস্বস্তিবোধ করতে লাগলাম ,ভাবলাম হয়তো গরমের জন্য এমন হচ্ছে তাই বেলকুনি থেকে রুমে চলে আসলাম,তবুও অস্বস্তিটা কমছে না তাই ভাবলাম হাত মুখে পানি ছিটা দিলে হয়তো ভালো লাগবে ,তাই ওয়াশ রুমে চলে এলাম,ওয়াশ রুমে এসে আবার মাথাটা ঘুরে উঠলো দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসতে লাগলাম কিন্তু ব্যালেন্স
ঠিক রাখতে না পেরে পা পিছনে ওখানেই পরে গেলাম,নিচে পড়ে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথায় কুকড়ে উঠলাম,মনে হচ্ছিল যন্ত্রনায় পেট ছিড়ে যাচ্ছে,তাকিয়ে দেখলাম ওয়াশ রুম রক্তে ভেসে যাচ্ছে ,ভয়ে আমার বুক কেঁপে উঠলো আতংকে উঠে পেটে হাত দিলাম ,আমার বেবি !!!
ভয়ে আর তীব্র ব্যাথায় দিশেহারা হয়ে আমি চিৎকার দিয়ে কাব্য বলে ডেকে উঠলাম,এবং সাথে সাথে আমার মাথাটা ফ্লোরে নেতিয়ে পরলো।
কাব্যের নাম ধরে ডেকেই সুহা অজ্ঞান হয়ে গেল,
অন্যদিকে কাব্য খাবার নিয়ে রুমের কাছাকাছি এসে সুহার তীব্র চিৎকার শুনে ,সেটা শুনা মাত্রই ও ভয় পেয়ে এক ছোটে রুমের ভেতর এসে নাম ধরে ডেকে সুহাকে খুঁজতে লাগল,কিন্তু রুমের কোথাও না ওকে না পেয়ে ওয়াশ রুমে গেল সেখানে গিয়ে সুহাকে এই অবস্তায় দেখে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পরলো ,
ও ফ্লোরে বসে ওর গালে হাত দিয়ে পাগলের মতো চিৎকার সুহাকে ডাকতে লাগল,
-সুহাকি হয়েছে তোমার কথা বলো ,তুমি কথা বলছো না ,তোমাকে না আমি নিষেধ করেছিলাম একা একা কোথাও না যেতে ,একটু সময় অপেক্ষা করতে পারলে না,আমার কথা কি তুমি শুনতে পাচ্ছো সুহা প্লিজ কথা বলো,কিন্তু এতবার ডাকার পরও যখন সাড়া পেলো না তখন বুঝতে পারলো সুহা সেন্সে নেই ,
কাব্যের চিৎকার শুনে ওর মা আর সুহার বোন ও ওদের রুমে চলে এলো,সুহার এমন অবস্তা দেখে দুজনই আতংকে উঠল,
সুহার বোন ও ওর পাশে বসে ওর নাম ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো,
কাব্যের মা দুজনের এমন হিতাহিত জ্ঞান শূন্য অবস্তা দেখে বলে উঠলেন,
-এখন বসে বসে কাঁদার সময় না এক্ষুনি ওকে হসপিটালে নিতে হবে ,প্রচুর ব্লিডিং হয়ে গেছে ,কাব্য কিছু একটা কর বাবা তারাতাড়ি ,না হলে অনেক বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে ,
মায়ের কথা শুনে কাব্যের সম্মতি ফিরে ও পাগলের মতো বলে উঠল ,
-সুহা তোমার কিচ্ছু হবে না ,আমি আছি সাথে,আমি এক্ষুনি তেমাকে হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছি ,আমি তোমাদের কিচ্ছু হতে দিবো না,তোমাদের
ঠিক থাকতেই হবে আমার জন্য তোমাদের সুস্থ থাকতে হবে ,
বলেই সুহাকে পাজো কোলে তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগল,
সাথে সুহার বোন আর ওর শাশুড়ী ও চললেন।
.
সুহাকে হসপিটাল নিয়ে আসার পরই এমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো ,
সবাই চিন্তিত ভাবে বসে রয়েছে, সবার চোঁখে মুখে আতংক ভয় দুশ্চিন্তা ,সুহার মা ও হসপিটালে চলে এলেন আসার পর থেকে উনি মোনাজাতে বসে এক নাগাড়ে কেঁদেই চলছেন,
কাব্য অনুভুতি শূন্যহীন ভাবে অপারেশন থিয়েটারের সামনে পায়চারি করতে লাগল,কোনো কিছুই ভাবতে পারছে না ভালো খারাপ কোনো কিছুই না ,ওর চোঁখের সামনে শুধু সুহার পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহটা ভাসছে,আর ততবারই দু চোঁখ জাপসা হয়ে আসছে,
খবর পেয়ে কাব্যের ভাই স্নিগ্ধ ও চলে এলো হসপিটালে ,এসেই দ্রুত কাব্যের কাছে গেল কারন ও ভালো করে জানে কাব্য সুহাকে নিয়ে কতটা পজেসিভ ,এখন কাব্যের মনের উপর দিয়ে কতটা ঝড় যাচ্ছে সেটা ও আন্দাজ করতে পরছে,ও কাব্যের কাছে গিয়ে ওর কাঁধে হাত রেখে ভরসা দিয়ে শান্ত হতে বলল,
ভাইকে দেখেই কাব্য জরিয়ে ধরে উন্মাদের মতো বলতে থাকালো ,
-সব দোষ আমার ভাইয়া আমার জন্য আজ সুহাকে এতো কষ্ট পেতে হচ্ছে,আমি ওদের খেয়াল রাখতে পারিনি আমি
ঠিক মত আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি ওদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ আমি ,ভাইয়া আমার সুহা আর আমার বেবির কিছু হবে না তো ওরা ভালো থাকবে তো,ওদের কিছু হলে আমি বাঁচবো কি করে,আমার সুহারানীর নিশ্চই অনেক কষ্ট হচ্ছে এই টুকু একটা মেয়ে এতো কষ্ট সহ্য করবে কি করে ,আমার জন্যই ও এতো কষ্ট পাচ্ছে আমিই তো ওর কাছে বেবি চেয়েছিলাম,আমি ওর কাছে বেবি না চাইলে হয়তো আজ এমন হতো না,এত কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমার সুহারানী অভিমান করে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো,প্লিজ ভাইয়া ওকে বল আমি আর কোনো দিন ওর কাছে এমন কিছু চাইবো না।।
আদরের ছেলের এমন করুন অবস্তা দেখে আর সুহার কথা ভেবে কাব্যের মা আঁচলে মুখ চেপে হু হু করে কেঁদে উঠলেন,
স্নিগ্ধ কাব্যকে শান্তনা দিয়ে বলতে লাগল যে সুহা আর ওর বেবি কিচ্ছু হবে ওরা ঠিক হয়ে যাবে,আর এ ঘটনায় ওর কোনো দোষ নেই এটা শুধু একটা দুর্ঘটনা,কিন্তু নিজের মনের ভেতরটা অস্তির হয়েই রইল,সেটা প্রকাশ করতে পারলো না কারন ওকে এখন শক্ত থাকতেই হবে,নাহলে কাব্য আর বাকি সবাইকে সামলাবে কে,
ও কাব্যকে শান্ত করে বসিয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে রইল,
এক ঘন্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে একজন ডক্টর চিন্তিত মুখ নিয়ে বেরিয়ে এলেন,
তাকে দেখা মাত্রই দৌড়ে উনার কাছে গেলে পিছন পিছন স্নিগ্ধ ও গেল,
কাব্য গিয়ে অস্তির ভাবে উনাকে জিজ্ঞেস করতে লাগল,
-ডক্টর আমার ওয়াইফ আর আমার বেবি কেমন আছে ,কি হল কথা বলছেন কেন,ওরা ভালো আছে তো ,আরে চুপ করে আছেন কেন ,আপনি কি জানেন ওদের একটা খবর পাওয়ার জন্য আমার বুকের ভিতরটা কেমন তোলপাড় করছে ,শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমার ,আপনি বলবেন কিনা আমি অপারেশন থিয়েটারের ভেতর চলে যাবো ,
ওকে এমন উত্তেজিত হতে দেখে স্নিগ্ধ ওকে ধরে শান্ত হতে বলল,তারপর ডক্টরের দিকে তাকিয়ে করুন কন্ঠ বলে উঠল,
-প্লিজ এভাবে চুপ করে থাকবেন না কিছু বলুন ,আমারা যে কি পরিমান টেনশনে আছি আপনাকে বলে বুঝাতে পারবো না,
কাব্যের পাগলামো দেখে ডক্টর গম্ভীর মুখ নিয়ে কাব্যের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
-প্লিজ আপনি শান্ত হোন আর নিজেকে শক্ত করুন,
আপনার ওয়াইফ এবং বেবির অবস্তা ভীষন ক্রিটিক্যাল,যা অবস্তা তাতে দুজনের একজনকে বাঁচানো সম্ভব হবে হয়তো কিন্তু কাকে বাঁচানো যাবে সেটা এখনও আমরা বুঝতে পারছি না?বাট বেবি অবস্তা বেশী আশংকাজনক ,
আল্লাহকে স্মরন করুন,উনি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই,
ডক্টরের বলা কথাগুলো শুনে কাব্যের পায়ের তলার মাটি সরে গেল,বুকের ভেতর অস্বাভাবিক ব্যাথা করে উঠলো,মনে হলো কয়েক হাজার চুরি দিয়ে কেউ বুকের ভেতর আঘাত করছে।(চলবে )