Mr_Devil #Part_11,12,13

0
3327

#Mr_Devil
#Part_11,12,13
#Writer_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
Part_11
.
রশ্নি আপন মনে নিজের কাজ করে যাচ্ছে আর ইয়াশ রশ্নিকে অপলক দেখেই চলেছে

ইয়াশ: দেখো তো কতটা ইনোসেন্ট লাগছে এই বাচ্ছা মেয়েটাকে দেখতে
কিন্তু আফসোস, তোমার মুখটাই শুধু সুন্দর ভাগ্য টা না

তুমি ভাবতেও পারছো না আগে তোমার সাথে কি কি হতে চলেছে (মনে মনে)

এইসব ভেবে নিজে নিজেই বাঁকা হাসলো ইয়াশ

.

আধা ঘন্টা পর:-

ইয়াশ: টাইম শেষ

রশ্নি: স্যার প্লিজ আর একটু ওয়েট করেন হয়ে গেছে

ইয়াশ: আমি আগেও বলেছি আবার বলছি
আমি তোমার স্কুলের স্যার না যে এক্সাম হলে আনসার পেপারে আরেকটু লিখা বাকি আছে তাই সময় চাইছো

রশ্নি: স্যার প্লিজ দেখুন এইটুকু টাইমে এত গুলা ফাইল কমপ্লিট করতে একটু টাইম তো লাগেই বলুন

ইয়াশ: নো মিন্স নো,,,,,,,,

ইয়াশ এর কথা শেষ হওয়ার আগেই রশ্নি “ডান” বলে চিৎকার করে উঠলো

রশ্নি: এই নিন স্যার শেষ (সব ফাইল গুলো ইয়াশ এর কাছে দিয়ে)

ইয়াশ কিছু না বলে নিজের চুল গুলো সেট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো রশ্নিকে ইগনোর করে

রশ্নি: স্যার ফাইল গুলো একবার দেখে নিন

ইয়াশ কিছু না বলে সেখান থেকে উঠে চলে যেতে নিচ্ছিল আর তখন রশ্নির মাথা গরম হয়ে যায়

রশ্নি: স্যার (চিৎকার করে)

ইয়াশ: কিপ ইওর ভইস ডাউন,,, কার সাথে কিভাবে কথা বলছেন আপনি?

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি চুপসে যায়

ঠিকই তো ওর মাথায় রাখা উচিত ছিল ও কার সাথে কিভাবে কথা বলছে

রশ্নি: সরি স্যার,,,, আসলে আমি,,
(কান্না কান্ট্রোল করার জন্য নিজের ঠোট কামড়ে ধরে রেখেছে রশ্নি
মা বাবা না থাকলেও মামার বেশ আদরে বড়ো হয়েছে ও,,,,কেও জোরে ধমক দিলে সহ্য করতে পারে না কান্না করে দেয়)

ইয়াশ: আই ডোন্ট ওয়ান্ট আ্যানি এক্সপ্লেইন

রশ্নি মাথা নিচু করে দুই ঘষতে ঘষতে দাঁড়িয়ে আছে

ইয়াশ রশ্নিকে এভাবে দেখে বুঝতে পারলো ও কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে ঠোট কামড়ে

এটা দেখে ওর বুকের ভিতরটা হাহাকার দিয়ে উঠলো

রশ্নিকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ করে গিয়ে ও রশ্নিকে জড়িয়ে ধরলো

খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছ

রশ্নি প্রথমে অবাক হলেও পরে কান্না করে দেয়

ও ইয়াশকে ছাড়ানোর জন্য কিল ঘুষি দিচ্ছে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে কিন্তু ছাড়াতে না পেরে কান্নার গতি টা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে

কিছুক্ষন পর ও শান্ত হয়ে ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে

ইয়াশের ছোয়াটা তাকে খুব আপন আপন একটা অনুভব দিচ্ছে

কিছুক্ষন পর ইয়াশ যখন দেখলো রশ্নি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তখন ও ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে আসে আর যাওয়ার আগে জাস্ট এইটুকু বলে যায়
*ফাইল গুলো টেবিলের উপর রেখে চলে যাও*
বলে ইয়াশ সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল

আর রশ্নি ওখানেই পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
চোখ দিয়ে অজস্র পানি গড়িয়ে পড়ছে

সানা রিকশা থেকে নেমে তার বাড়ির উদ্দেশে হেটে যাচ্ছে
কিন্তু প্রত্যেকদিনের মতো আজ ও তার বার বার মনে হচ্ছে যে কেউ তাকে ফলো করছে
কয়েকবার পিছনে ঘুরে দেখেছে কিন্তু কাওকে দেখতে পায়নি তাই মনের ভুল ভেবে সামনে হেটে যাচ্ছে

কিছুক্ষন পর আবার ফিল হলো যে কেউ তাকে ফলো করছে
এবার ও সত্যি সত্যিই ভয় পেয়ে গেল

সানা: না না এতবার তো মনের ভুল তো হতে পারে না
কিন্তু কাউকে দেখছিও তো না তাহলে কি কোনো ভুত টুত নাকি,,,,,,,

না আর ভাবতে পারছি না

থ্রি,,,,,,,,,টু,,,,,,,,,ওয়ান,,,,,,,,দে দৌড়,,,,,,,,,,

সানাকে আর পায় কে,,,,,

এখানে সানার এসব কান্ড দেখে একজন হাসতে হাসতে শেষ তার খবর

– হাহাহাহা দেখো পাগলিটা কিভাবে দৌড় দিলো ??

ভেবেছিলাম আজকেই তোমার সামনে আসবো কিন্তু তুমি যেভাবে দৌড় দিলে,,,,,,,??

ইয়াশ বাড়িতে প্রবেশ করা সাথে সাথেই একজন মহিলা এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো

ও জানে এটা কে,
ইয়াশও মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরলো

.
চলবে,

#Mr_Devil
#Part_12
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

.
ইয়াশ বাড়িতে প্রবেশ করা সাথে সাথেই একজন মহিলা এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো

ও জানে এটা কে,
ইয়াশও মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরলো

— এই মিস ইউ সো মাচ মেরা বাচ্চা

ইয়াশ: আই অলসো

ওদের দেখে রাফি ভেংচি কাটলো

ইয়াশ: কিরে তোর জ্বলছে নাকি

রাফি: ভাইয়া তুই কিন্তু,,,,,,,

ইয়াশ: কি হলো বল,,,

— আরে থামবে তোমরা দুইজন কি বাচ্ছাদের মতো ঝগড়া করছো

তখনই ইয়াশ আর রাফি অনিমা বেগমকে জড়িয়ে ধরলেন

(যে মহিলাটা ইয়াশকে জড়িয়ে ধরেছিল সে ছিল অনিমা বেগম, ইয়াশের বাবা মানে ইয়ানাফ আহমেদ এর দ্বিতীয় স্ত্রী, ইয়াশের মা মারা যাওয়ার পর অনিমা বেগমকে বিয়ে করেন, সৎ মা হলেও ইয়াশকে কখনো তা অনুভব করতে দেয় নি, নিজের ছেলের মতোই বড় করেছেন মায়ের অভাবটা কখনো ভুঝতেই দেননি, রাফিও ইয়াশকে নিজের আপন ভাই এর মতোই ভালোবাসে বলা যায় তার থেকেও বেশি)

ইয়াশের: তুমি কিভাবে আমাকে না বলে এভাবে চলে গেল

অনিমা: কি করতাম বলো তুমি তো অফিসে ছিল আর মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তাই না বলেই হঠাৎ করে যেতে হলো

ইয়াশ: হুম

অনিমা: কিন্তু এখন তো আমি এসে গেছি এবার আর কোথাও যাচ্ছি না

ইয়াশ মুচকি হাসলো

বারান্দায় বসে দোল খাচ্ছে আর বাহিরের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে রশ্নি

রশ্নিদের বাসাটা কবরস্থানের একদম সামনে
আর বারান্দাটা দিয়ে কবরস্থানটা খুব কাছ থেকে দেখা যায় একদম পাশাপাশি

এত রাতে দোলনায় বসে কবরস্থানের পাশে দোল খেতে যে কেওরই ভয় লাগবে

কিন্তু রশ্নির আর এসব ভয় লাগে না কারন ও অভ্যস্থ

কারন এই কবরস্থানেই ওর মা বাবার কবর আছে

তাই এখানে থাকলে মনে হয় ও ওর মা বাবার সাথেই আছে

হঠাৎ রশ্নি তার পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করলো

মাথা ঘুরিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখে নাহিদ এসে ওর পাশে বসলো

নাহিদ: মন খারাপ?

রশ্নি: উহু (মাথা দিয়ে না ইশারা করে)

নাহিদ: ফুপ্পা, ফুপ্পির কথা মনে পরছে?

রশ্নি এবার আর নিজেকে সামলাতে পারলো না নাহিদকে ধরে কেঁদেই দিলো

নাহিদ: প্লিজ কেঁদো না জান,, সবারই একদিন না একদিন তো এই পৃথিবীটা ছেড়ে যেতেই হবে তাই না
আমরা চাইলেও আটকাতে পারবো না কারন এটা যে প্রকৃতির নিয়ম

রশ্নি কেঁদেই চলেছে,,,,,

রশ্নি: আচ্ছা ওই কার একসিডেন্টে আম্মু আব্বুর সাথে আমি মারা গেলাম না কেন (ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বললো)

নাহিদ: প্লিজ রশ্নি এসব বলো না,,,,তুমি না থাকলে আমি কিভাবে বাচতাম বলতো

রশ্নি কিছু বলতে পারছে না শুধু নিহাদের টি শার্টটাকে খামচে ধরে কেঁদেই চলেছে

মা বাবা যাওয়ার পর নাহিদ আর মামা এই দুইটা মানুষই সবসময় ওর পাশে থেকেছে

নাহিদ: আচ্ছা শুনো এখন অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে হবে চলো

রশ্নি: হুম

ইয়াশ অনিনা বেগমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আর অনিমা বেগম ইয়াশের চুল গুলো টেনে দিচ্ছে

অনিমা: বাবাই শুনছো,,,,,,,,

ইয়াশ: হুম,,,,,

অনিমা: তোমার সাথে কিছু দরকারি ব্যাপারে কথা ছিল

ইয়াশ: বলো কান খোলা আছে (চোখ বন্ধ করে)

অনিমা: তুমি তো এখন দেশে এসেই পড়েছ আর এখানেই সেটেল হচ্ছো তাই তোমার বাবা তার এখানের বিজনেস এর সম্পুর্ন দায়িত্ব তোমার উপর দিয়ে দিতে চাইছেন কারন আর কয়েক মাস পিরেই তো তোমার বাবা আর আমি লন্ডন এ চলে যাচ্ছি আর ওখানেই সেটেল হচ্ছি

ইয়াশ: তুমি এগুলো আবার আমাকে বলছো কেন আমি তো সবটাই,,,,,,,,,

অনিমা: হ্যা সবটাই যানো কিন্তু ব্যাপার টা এটা না

ইয়াশ:,,,,,,,,,,,,,,,,,

অনিমা: আমি যাওয়ার আগে তোমার বিয়েটা দিয়ে যেতে চাইছি বলতে পারো এটাই আমার শেষ ইচ্ছা,,,,,,

অনিমা বেগমের কথা শুনে ইয়াশ উঠে অনিমা বেগমের বরাবর বসলো

ইয়াশ: ওহ মম প্লিজ বাংলা সিনেমার মুরুব্বিদের মতো কথা বলো না,,,,,,এসবের জন্য অনেক টাইম আছে তাই এখন এসব নিয়ে কিছু ভাবতে বা বলতে চাইছি না

অনিমা: কিন্তু,,,,,,,,

ইয়াশ: I don’t want to hear a single word about this matter

বলেই ইয়াশ উঠে সেখান থেকে নিজের রুমে চলে গেল

.
চলবে,

#Mr_Devil
#Part_13
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

পরের দিন অফিসে:-

রশ্নি অফিসে প্রবেশ করার সাথে সাথে আবার ঐদিনের মতো কিছু একটার সাথে বেজে পরে যেতে নেয় কিন্তু পাশের একটা টেবিল ধরে বেঁচে যায়

ও ভাবে ঐদিনের মতো ইয়াশই ওকে ফেলেছে আর ওর সন্দেহটা সত্যি হয়ে যায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াশকে দেখে,,,,,,,

রশ্নি: আপনি আবার,,,,,,,

রশ্নির কথা শেষ হওয়ার আগেই ইয়াশ ওর দিকে না তাকিয়ে একটা মুড নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়

রশ্নি: আশ্চর্য লোক তো ?

তখনই ওখানে একজন স্টাফ বয় এসে রশ্নিকে বলল যে বস ওকে ডাকছে

রশ্নি ok বলে ইয়াশের ক্যাবিনের দিকে গেল

নাহিদ ওর রুমে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিল আর তখনই ওর বাবা মানে রশ্নির মামা সাহিদ চৌধুরী গেইটে নক করেন

সাহিদ: আসতে পারি? (নক করে)

নাহিদ: আরেহ বাবা আমার রুমে আসতে তোমার আবার পারমিশন নিতে হয় নাকি,,,

সাহিদ চৌধুরী হালকা হেসে এসে ছেলের পাশে বসলেন

নাহিদ: বাবা তুমি কি কিছু বলবে?

সাহিদ: হুম কিছু দরকারি কথা ছিল,,

নাহিদ: হুম,,,

সাহিদ: তোমরা এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে সবই বুঝ এখন তো আর তোমরা বাচ্চা নেই তাই না

নাহিদ: তুমি কি বলতে চাইছো আমি বুঝতেছি না

সাহিদ: ওকে আমি স্ট্রিটলি বলছি

নাহিদ: হুম,,,,,,,

সাহিদ: আমি তোমার আর রশ্নির বিয়ের ব্যাপারে এগোতে চাচ্ছি,,,,,

নাহিদ এর কি বলা উচিত ও বুঝছে না,,,,,,

নাহিদ: বাবা দেখো আমার তো কোনো আপত্তি নেই কিন্তু রশ্নি,,,,,,,

সাহিদ: তোমার বাবা হতে পারি কিন্তু তোমার বন্ধুর মতোই আমি তাই বলছি
আমি জানি তুমি যেমন ওকে ভালোবাসো তেমন রশ্নিও তোমাকে ভালোবাসে

নাহিদ মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো,,,,,,,,,

নাহিদ: তাহলে তোমরা যা ভালো বুঝো তাই করো (নিচের দিকে তাকিয়ে)

তারপর সাহিদ চৌধুরী নাহিদের মাথা হাত বুলিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পরলেন

May I come in sir,,,,,,,,,,,,,(নক করে)

ইয়াশ হাতের দুই আঙুল দিয়ে ইশারা করে রশ্নিকে ভিতরে আসতে বললো

রশ্নি ভিতরে এসে অনেক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ইয়াশের যেন খেয়ালই নাই

ও নিজের মতো করে কাজ করেই যাচ্ছে আর এমন ভাবে করছে যেন এখানে কেউই নেই

প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছে রশ্নি
কিন্তু ইয়াশের এমন বিহেভে বেশ বিরক্তি লাগলো রশ্নির

রশ্নি: স্যার আপনার কি আমাকে দিয়ে কোনো কাজ ছিল? (বিরক্ত হয়ে)

ইইয়াশ: নো রেসপন্স,,,,,,,

রশ্নি: স্যার (হালকা জোরে)

কিন্তু তখনই রশ্নির কালকের কথা মনে পড়ে গেলো আর ও চুপসে গেল

কিন্তু ইয়াশ কোনো রিয়েক্ট না করেই শান্ত ভাবে রশ্নির দিকে তাকালো

রশ্নি: স্যার কোনো কাজ ছিল,,,,,

ইয়াশ: হুম

তারপর পাশের টেবিল থেকে এত্তগুলা ফাইল নিয়ে রশ্নির দিকে তাকালো

আর রশ্নি ওই ফাইল গুলোর দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে

রশ্নি: স্যার আবারো কি,,,,,,,,

ইয়াশ: না না কালকের মতো এসব ফাইল আর আপনাকে গোছাতে হবে না
আমি এগুলোর কাজ কমপ্লিট করে নিয়েছি আপনি চেক করে দেখুন ঠিক আছে কিনা (মুচকি হেসে)

রশ্নি: আপনার ভুল আমি কি করে ধরতে পারি???

ইয়াশ: ভুল ধরতে বলছি না সব ঠিক আছে কিনা সেটা চেক করতে বলছি (মিষ্টি হেসে)

রশ্নি: এই লুচ্ছা ডেভিলটার আবার কি হইলো? সকালেই তো ল্যাং মাইরা ফালায় দিতে নিছিলো আবার কোনো নতুন ফন্দি আটতাছে না তো (মনে মনে)??

ইয়াশ: কি হলো নিন,,,,,(ফাইল গুলো এগিয়ে দিয়ে)

রশ্নি: হুম (মিদ্রু হেসে)

কিছুক্ষন পর:—–

রশ্নি: স্যার সব ঠিক আছে,,,,,,(ইয়াশের হাতে ফাইল গুলো দিয়ে)

ইয়াশ: ওকে

রশ্নি চলে আসছিল তখনই ইয়াশ পিছন থেকে ডাকলো

ইয়াশ: মিস রশ্নি,,,,,,

রশ্নি: জি স্যার,,,,,,,

ইয়াশের পাশে যে টেবিলে কয়েকটা কাগজ এক সাথে স্টেপলার মারা ছিল ওগুলো নিয়ে রশ্নির কাছে দিয়ে বললো:

ইয়াশ: এই নিন এগুলো অফিসের কিছু দরকারি কাগজ পত্র এগুলোতে সাইন করে দিন

রশ্নির কিছুটা অদ্ভুত লাগলেও ও কাগজ গুলো নিয়ে নিল

যেই না সাইন করতে যাবে তখন ইয়াশ আবার বলে উঠলো: পেপার গুলো একবার পরে নিন

রশ্নি: হুম

রশ্নি: এত্তগুলা কাগজ পড়তে তো আমার পুরা বছর লাগবো, স্কুলেও কখনো এত পড়ি নাই আর দেইখা তো অফিসিয়াল পেপারই লাগছে সাইন কইরাই দেই ??
(মনে মনে)

রশ্নি তারপর এক দুই পৃষ্ঠার এমনিই ওলট পালট করে পড়ার অভিনয় করে সাইন করে দিলো

রশ্নি: এই নিন স্যার,,,,, সাইন করে দিয়েছি ??

ইয়াশ: ঠিক আছে (রহস্যময় এক হাসি দিয়ে)

রশ্নি: আচ্ছা তাহলে আসি

ইয়াশ: হুম

তারপর রশ্নি সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে

আর ইয়াশ নিজের সিটে বসে থুতনিতে হাত দিয়ে কিছু ভেবে বাঁকা হাসলো

ইয়াশ: যত উড়ার উড়ে নাও পাখি কারন তোমার খাঁচা তৈরি হচ্ছে (বাঁকা হেসে)

.
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here