Mr_Devil #Part_20,21,22

0
2896

#Mr_Devil
#Part_20,21,22
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)
Part_20

মায়াবতী কোম্পানি থেকে চিঠি এসেছে রশ্নির জন্য

চিঠিটা পরে রশ্নির কপাল যেন চোখে মানে চোখ যেন কপালে

রশ্নি সিদ্ধান্ত নিলো আজ ইয়াশের মুখমুখী হয়ে কোনো ভয় ছাড়া কথা বলবে

যেই ভাবা সেই কাজ

রশ্নি রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ল ইয়াশের অফিসের উদ্দেশে

.
রশ্নি ইয়াশের ক্যাবিনে ওর পারমিশন ছাড়াই দ্রুত কদমে ঢুকে গেলো

গিয়েই চিঠিটা ইয়াশের সামনে ঠাস করে রাখলো

আর ইয়াশ এমন ভাবে পায়ের উপর পা তুলে আর মাথার নীচে দুই হাত রেখে শীষ বাজাতে বাজাতে রিলেক্স হয়ে বসে আছে যেন কিছু হয়েইনি

ইয়াশ নিজের হাতের ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে তারপর আবার রশ্নির দিকে তাকিয়ে
বলল: আরেহ ওয়াহ তুমি এই টাইমে অফিসে? নিশ্চই আমাকে মিস করছিল রাইট? বাট তুমি এই অফিসের একজন কর্মচারী সো তোমার টাইম মেইনটেইন করা উচিত

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নির রাগ যেন আরো সাত আসমানে উঠে গেল

রশ্নি কিছুটা জোরেই বললো

রশ্নি: এইসব এর মানে কি মিস্টার আহমেদ??

ইয়াশ: কোন সব এর?? (হাই তুলে)

রশ্নি: এখানে কি লেখা?

ইয়াশ: কেন তুমি পড়তে পারো না?
একটা পড়া লেখা না জানা মেয়ে আমার পিএস হয় কিভাবে??

রশ্নি: আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন নাকি?

ইয়াশ: না কিন্তু করবে চাই (বাজে ভাবে তাকিয়ে বলল)

রশ্নি কথা কাটিয়ে
বললো: এই পেপারে মায়াবতী কোম্পানি আর আমার পাঁচ বছরের ডিলারশিপের কথা লিখা আছে যার দারা আমার পাঁচ বছর বাধ্যতা মূলক এই অফিসেই কাজ করতে হবে যেখানে আমি এমন কোনো পেপারে সাইন করিইনি

(এহহ আসছে আমার কাবিন নামার কাগজ ওয়ালারা??
আরেহ ভাই এত সহজেই যদি বিয়েটা করাই দেই তাহলে এত কিছুর মানেই কি?)

ইয়াশ: আপনি কি বলতে চাইছেন সাইন টা আপনার করা না? (বাঁকা হেসে)

রশ্নি: না সাইন তো আমারই বাট আমি তো কখনো এমন কোনো পেপারে সাইন করিই নি তাহলে এখানে আমার সাইন আসলো কিভাবে?

ইয়াশ এবার একটু জোরেই হেসে দিলো

ইয়াশ: বাহ বাহ,,, আপনি বলছেন এটা আপনার সাইন ঠিকই কিন্তু অপনি সাইন করেননি
কথাটা হাস্যকর না?

রশ্নি: শব্দের খেলা খেলছেন আমার সাথে?
কি ভেবেছেন আমি বুঝবো না যে এগুলা আপনিই করেছেন?

ইয়াশ: গুড,,,,,,তাহলে আবার কি জিজ্ঞেস করতে এসেছেন?

রশ্নি: ওহ দ্যাটস মিন আমার সন্দেহ ঠিক বের হলো,,,আপনিই করেছেন এটা

ইয়াশ: ?

রশ্নি: আমি জানি না আমি কখন এই পেপারটাতে সাইন করেছি কিন্তু একটা কথা শুনে রাখুন আমি আর কোনো ভাবেই এই অফিসে কাজ করবো না

ইয়াশ: আমাকে ক্ষমা করবেন কিন্তু আমার কিছু করার নেই,,,আপনার এই অফিসেই কাজ করতে হবে

আর আপনি যদি চান তাহলে আমার নতুন কোনো পিএ আসার পর রেজাইন করতে পারেন

রশ্নি: ??? এর আবার কি হইলো হঠাৎ
এতক্ষন তো ডেভিলের মতোই ছিল তো হঠাৎ এই ডেভিল এঞ্জেল হয়ে গেল কি করে (মনে মনে)

ইয়াশ: কি হলো?

রশ্নি: এটা আবার কোনো নতুন চাল না তো? না না আর কোনো ভাবেই এই ডেভিলের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না (মনে মনে)

রশ্নি: দেখুন মিস্টার আহমেদ আমি আর কোনো ভাবেই এই অফিসে কাজ করতে পারবো না

ইয়াশ: ওকে এ্যাস ইউর উইশ,,,,,বাট একর্ডিং টু দিস ডিলারশিপ,,,ইউ হ্যাভ টু ওয়ার্ক ফর আস ফর ফাইভ
আর যদি তা না হয় তাহলে আমাদের বাধ্যতামূলক আইনের সাহায্য নিতে হবে

রশ্নি: উরিম্মা এই দেখি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় (মনে মনে)

ইয়াশ: তো কি ভাবলেন?

রশ্নি: আআআমার একটু ভভাবার জজন্য টাইম লালাগবে (তুতলিয়ে)

ইয়াশ: হুম টেক ইউর টাইম

.
—————
পরের দিন ★
__________

নিজের মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে আজ অফিসে এসেছে রশ্নি

রশ্নি গিয়ে নিজের ক্যাবিনে বসে পরলো

আজকে অফিসে এসে পার্টির দিনের জন্য অনেকের অনেক কথা শুনতে হয়েছে ওর
সানা থাকলে হয়তো ওকে প্রটেক্ট করতে পারতো কিন্তু ওর জ্বর হয়েছে তাই কয়েকদিন অফিসে আসবে না

রশ্নি এসব ভাবছিল আর চোখের পানি ফেলছিল তখনই ক্যাবিনে একজন অফিস বয় এসে বললো স্যার ডাকছে

রশ্নি: একটু শান্তিতে থাকতেও দিবে না জানোয়ার কোথাকার

রশ্নি ইয়াশের ক্যাবিনে গিয়ে দরজায় নক করে ভিতরে প্রবেশ করলো

রশ্নি: স্যার,,,,,,(মুড নিয়ে)

ইয়াশ: হ্যা,,,,,,

তারপর ইয়াশ কিছু ফাইল রশ্নিকে দিয়ে
বললো: এগুলো কালকের মধ্যে কমপ্লিট করে রাখবেন

রশ্নি: হুম

তারপর ইয়াশ আবার নিজের কাজে লেগে গেলো

রশ্নি এটা দেখে ভীষন অবাক হলো

রশ্নি: স্যার তাহলে আমি আসি?

ইয়াশ: জী আসুন

রশ্নি অবাক হয়ে বেরিয়ে পড়ল

রশ্নির খুব অবাক লাগছে কারন ইয়াশ আজকে ওকে কিছু বলেনি

রশ্নি: হুহ নতুন কোনো ফন্দি আটতাছে মেবি,,,বাট এবার আর কোনো ভাবেই এর ফাঁদে পা দিবো না?অসভ্য লোক জানি কোথাকার

রশ্নি রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের ক্যাবিনে চলে গেল

.
১০ দিন পর
★————-★

এই দশ দিন ইয়াশ রশ্নির সাথে বেয়াদবি তো দূরের কথা ওর দিকে তাকায় পর্যন্ত নাই

কিন্তু ইয়াশের এই পরিবর্তন যেন রশ্নিকে আরো অশান্ত করে তুলেছে

কিন্তু ও কোনো ভাবেই এটা মেনে নিচ্ছে না

বার বার এটাকে ইয়াশের কোনো নতুন চাল বলে নিজের মনকে ধরে রাখছে

.
একটা কাজে রশ্নি ইয়াশের ক্যাবিনে এসেছে

কাজ শেষে সেখান থেকে চলে যাওয়ার বদলে ইয়াশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে

মিস খাআআআন,,,,,,,,,,,

রশ্নি: আআআআআআআ কি হয়েছে,,,,,,,,,,

ইয়াশ: আমি আপনাকে সেই কখন থেকে ডাকছি কিন্তু আপনি শুনছেনই না

রশ্নি: ওহ সরি সরি

ইয়াশ: হুম,,,,,আর আপনি আমার দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিলেন?

রশ্নি: ইয়ে মানে না না কিছু না

ইয়াশ: ??

রশ্নি: স্যার আমার একটু কাজ আছে সো আমি এখন আসছি

ইয়াশ: হুম

রশ্নি দৌড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল,,,,,

এটা প্রথম বার নয় এর আগেও রশ্নি অনেকবার এমনটা করেছে
আনমনা হয়ে কখন ইয়াশের দিকে তাকিয়ে থাকে তা
নিজেরও খেয়াল থাকে না

রশ্নি: রশ্নি কিযে করিসনা তুই
কেন যে ওই লোকটার দিকে তাকিয়ে থাকিস
কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সে আর আগের মতো নেই বদলে গিয়েছে
হোয়াটেভার হলেও কি না হলেও কি?

পরেরদিন ইয়াশ রশ্নিকে জানিয়ে দিল যে অফিসে নিউ পিএ জইন করছে তাই সে এখন রেজাইন করতে পারে

কথা টা শুনে রশ্নির খুশিও লাগছে কিন্তু মনে অন্য রকম একটা শূন্যতা অনুভব করছে

সন্ধ্যায় ছুটির পর সবাই চলে গিয়েছে রশ্নির কিছু কাজ পরে যাওয়ায় ও একটু লেইট করে বের হলো

রশ্নি রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে তখনই ও বুঝতে পারলো কয়েকটা ছেলে ওর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে

রশ্নি সেখান থেকে সরে অন্য জায়গায় রিকশার জন্য দাঁড়ালো

হঠাই ছেলে গুলা এসে ওকে ঘিরে দাঁড়ালো

ওদের মধ্যে একটা ছেলে
বললো: কিগো জান আমাদের দেখে পালাচ্ছ কেন
আমরা কি তোমার শত্রু নাকি

রশ্নি যে সেখান থেকে পালাবে তারও কোনো পথ নেই
কারন ছেলে গুলো ওকে গোল করে ঘিরে রেখে ঘুরছে
আর তাদের মধ্যে একটা ছেলে দেখে তাদের লিডার মনে হচ্ছে
সে মাঝখানে দাঁড়িয়ে রশ্নিকে বিভিন্ন বাজে কথা বলছে

রশ্নি: দেখুন আমাকে যেতে দিন,,,,,

ছেলেটা রশ্নির হাত ধরে ফেলল,,,,

//– যদি না দেই তো? (বিশ্রী ভাবে হেসে)

যেই না ছেলেটা রশ্নির ওড়নায় হাত দিবে তখনই ইয়াশ বাংলা ছবির হিরোর মতো এন্ট্রি মারলো ?

(এরপরেরটা সবাই জানে কি হতে পারে?)

ইয়াশ ছেলে গুলোকে সেই লেভেলের মারলো?

আর রশ্নি এখানে সিনেমার নায়িকার মতো এক কোনায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে কান্না করছে

ইয়াশ গিয়ে রশ্নির সামনে দাঁড়ালো

ইয়াশ: আজ এত লেট করে বের হলে কেন?

রশ্নি: একটু কাজ ছিল (মাথা নিচু করে)

ইয়াশ: যতই কাজ থাকুক কাল থেকে যেন বের হতে আর দেরি না হয়

রশ্নি মাথা নারালো

ইয়াশ: আর তোমার স্কুটির কি হয়েছে?

রশ্নি: স্কুটির চাবি যেই ড্রয়ারে রেখেছিলাম সেটার চাবি পাচ্ছি না

ইয়াশ: বাহ অসাধারণ?
এখন আমার সাথে চলো পৌঁছে দেই

রশ্নি ভাবছে যাবে কি যাবে না

ইয়াশ: তুমি না যাইতে চাইলে,,,,,,,,

রশ্নি: না আমি যাচ্ছি আপনি চলুন

তারপর ইয়াশ রশ্নিকে ওর বাসায় পৌঁছে দিলো

পুরো রাস্তায় ইয়াশ রশ্নির দিকে একবারো তাকায়নি

ইয়াশ: পৌঁছে গেছি,,,,,,,,

কিন্তু রশ্নি না নেমে এখনো ওভাবেই বসে আছে

ইয়াশ: কি হলো?

রশ্নি: স্যার,,,,,,

ইয়াশ: হুম

রশ্নি: আজকের আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ
(মাথা নিচু করে)

ইয়াশ: গ্রহণ করতে পারলেন না

রশ্নি: কেন

ইয়াশ: আপনি কি আমাকে ক্ষমা করেছেন?

ইয়াশের কথা রশ্নি জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো

ইয়াশ: দেখুন আমি জানি যে আমি অন্যায় করেছি আপনার সাথে শুধু অন্যায় না অনেক বড় অন্যায় যার ক্ষমা হয়তো হয় না কিন্তু তবুও আমি মাফ চাইছি আপনার কাছে
ইয়াশ হাত জোড় করে বললো

রশ্নি: আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি কিন্তু প্লিজ এভাবে হাত জোড় করবেন না

ইয়াশ: আপনি সত্যিই আমাকে মাফ করে দিয়েছেন?

রশ্নি: হুম?

ইয়াশ: আপনি জানেন না যে আপনি আমাকে কতটা শান্তি দিলেন

রশ্নি: ?

ইয়াশ ওর হাত বাড়িয়ে দিয়ে
বললো: ক্যান উই বি ফ্রেন্ডস?

রশ্নি কিছুক্ষন ভেবে ইয়াশের হাতটা ধরে
বললো: উই আর ফ্রেন্ডস নাও?

ইয়াশ: থ্যাংকস মিস খান

রশ্নি: আচ্ছা আপনি এবার বাসায় যান,,,বেশি লেট হলে আবার আপনার ফ্যামিলি চিন্তা করবে

ইয়াশ: হুম

তারপর রশ্নি ভিতরে চলে গেল

ইয়াশ কিছুক্ষন ওখানেই বসে রশ্নিদের বাড়িটা দেখে নিলো
তারপর কিছুক্ষন ওদের বাড়ির নেইম প্লেট টা দেখলো

দেন গাড়ির মিরর উঠিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পরলো

.
চলবে,

#Mr_Devil
#Part_21
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

.

— ১ সপ্তাহ পর

এই এক সপ্তাহে স্যার অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে
আগের মত আর অসভ্যতামি করে না

আগের মত আর ইচ্ছে করে বেশি কাজ আমার উপর চাপিয়ে দেয় না

যেই লোকগুলো আমাকে ওইদিন পার্টির ব্যপার নিয়ে কথা শুনিয়েছিলো তাদেরও অপমান করে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে

আমাদের বন্ডিংটাও আগের থেকে খুব ভালো হয়েছে
এখন খুব সম্মান করেন আমাকে

তার মধ্যে আরেকটা খুবই চমৎকার একটা জিনিষ লক্ষ্য করলাম

তিনি খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করেন
আর তিনি যখন হাসেন তখন তার চোখ গুলো একদম ছোট ছোট হয়ে যায় তখন তাকে খুবই মায়াবী লাগে

উফ কি যে ভাবছি আমি
পুরোই পাগল হয়ে গেলাম মনে হয়?

রশ্নি এতক্ষন বসে এগুলো ভাবছিল
আর লাস্ট লাইনটা ভেবেই জোরে হেসে দিলো আর তখনই সেখানে ইয়াশের আগমন ঘটলো

— কি হলো আপনি এভাবে হাসছেন কেন??

হঠাৎ ইয়াশকে দেখে আর ওর কথায় রশ্নি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো

— ইয়ে মানে স্যার,,,,,,,,,

— থাক থাক আপনাকে আর মানে ব্যাখ্যা করতে হবে না, আমারই নক করে আসা উচিত ছিল

রশ্নি– না না অমন কোনো ব্যাপার না,,,,আপনি বসুন না

ইয়াশ একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো

— তোমার সাথে কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা ছিল তাই আসলাম

রশ্নি– ওহ তো আপনি ডেকে দিতেন আমিই চলে আসতাম

ইয়াশ– না মানে কোনো অফিসিয়াল কথা না তাই আরকি আমিই আসলাম,,,,(আমতা আমতা করে)

রশ্নি: কোনো পার্সনাল প্রবলেম নাকি স্যার??

ইয়াশ– উম হ্যা,,,,,

রশ্নি– হুম বলুন

ইয়াশ– কিভাবে যে বলি,,,,

রশ্নি– আরেহ স্যার লজ্জার কিছু নেই বলে ফেলুন ??

ইয়াশ– আসলে আমার ভাবীর একটা বোন আছে ও,,,,

রশ্নি– ওকে পছন্দ করেন বাট বলতে পারছেন না তাই তো?,,জানেন তো আমি অনেক মুভিতেই দেখেছি যে নায়ক ভাবীর বোনকে ভালোবেসে ফেলে কিন্তু বলতে পারে না
হাহ দেখলেন তো আপনার বলার আগেই আমি কিভাবে বুঝে গেলাম
দ্যাটস কল্ড দা পাওয়ার অফ বাংলা সিনেমা ?

ইয়াশ: আমি আসি তাহলে,,,,,,?

রশ্নি: আচ্ছা আচ্ছা ঠিকাছে আপনিই বলুন?

ইয়াশ– হুম?

ইয়াশ: তো শুনো
আমার ভাবীর একটা বোন আছে নেহা
ও আমাকে খুব জ্বালাচ্ছে
আজ তো অফিসেও আসছে
এসেই আমার গায়ে পরে যাবে
প্লিজ হেল্প মি ???

রশ্নি: ভাভাগো ভাভা কি অদ্ভুত ঘটনা?

ইয়াশ: হেল্প করবে?

রশ্নি: আমি কিভাবে হেল্প করতে পারি??

ইয়াশ– বেশি কিছু না জাস্ট আমার জি এফ হওয়ার এক্টিং করতে হবে

রশ্নি– ইটস টু মাচ ?

ইয়াশ– ওকে ☹️

রশ্নি– এভাবে মন খারাপ করার কি আছে?
ওকে আই উইল ট্রাই?

ইয়াশ– জানতাম তুমি না করবে না??

রশ্নি– হুহ?

???ইয়াশের ফোন বেজে উঠলো???

ইয়াশ কিছুক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে তারপর রশ্নিকে বলল– নেহা এসে পড়েছে
নীচে আছে,,,আমি ওকে নিয়ে আসছি, সো,,,বি রেডি

রশ্নি: হুম

ইয়াশ নীচে গিয়ে নেহাকে নিয়ে আসলো

(আশা করি আর নতুন করে বলতে হবে না যে নেহা কতটা ন‍্যাকা?)

নেহা এসেই ইয়াশকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তার আগেই ইয়াশ ওকে থামিয়ে দিলো

এরপর রশ্নির কোমর পেঁচিয়ে ধরে ওকে টেনে এনে নিজের পাশে দার করলো???

ইয়াশ: উম নেহা,,,,মিট উইদ হার, শি ইস মাই গার্ল?

ইয়াশের কথায় নেহার মাথায় যেন বাজ পড়লো

নেহা: মানে?

ইয়াশ: মানে,,, মাই বেটার হাফ (রশ্নির দিকে নেশালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে)

নেহা– না এ হতে পারে না

বলেই নেহা টান দিয়ে রশ্নিকে ইয়াশের কাছ থেকে আলাদা করে দিলো

নেহা– এই মেয়ে কোনো ভাবেই তোমার গার্লফ্রেন্ড হতে পারে না,,,,তুমি নিশ্চই আমার সাথে মজা করছো তাই না ইশু বেইবি?

ইয়াশ– উহু তোমার সাথে মজা কিসের,,,আচ্ছা তুমি ওর মুখেই শুনো কেমন

ইয়াশ রশ্নির হাত ধরে
বলল– জান,, ওকে বলো তো তোমার আর আমার সম্পর্কটা কিসের

রশ্নি: এ্যা?? আমি কি জানি?

রশ্নির কোথায় ইয়াশ কিছুটা থতমত খেয়ে রশ্নিকে চোখ গরম দেখালে রশ্নি আমতা আমতা করে
বলে: হ্যা হ্যা উনি আমার বয়ফ্রেন্ড আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক?

ইয়াশ একটা প্রশান্তির হাসি দিয়ে বললো

— শুনেছ তো নেহা? এবার বিস্বাস হলো তো তোমার?

ওদের কথা শুনার পর নেহা ওখানে আর একটা মিনিটও না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল

রশ্নি: স্যার আমাকে ছাড়ুন

রশ্নির কথায় ইয়াশ ওকে ছেড়ে দিলো তারপর দুজনেই আবার একসাথে হো হো করে হেসে দিলো

রশ্নি: আপনি পারেনও বটে

ইয়াশ– কিন্তু তুমি পারো না

— মানে?

ইয়াশ– কিছু না, আচ্ছা শুনো কালকে আমাদের একটা মিটিং আছে তাই আমরা সিলেট যাচ্ছি

রশ্নি– তাতে আমার কি?

ইয়াশ– আমরা মানে তুমি আর আমি যাচ্ছি

রশ্নি– কিন্তু স্যার

ইয়াশ– নো এক্সকিউজস

রশ্নি– ওকে -_-

পরেরদিন, ইয়াশ আর রশ্নি বের হলো সিলেটের উদ্দেশে
কিন্তু মাঝ রাস্তায় ঘটলো বিপত্তি

মাঝ রাস্তায়ই ইয়াশের গাড়ির টায়ার পাঞ্চার হয়ে যায়
আর ওরা এখন যে জায়গাটাতে আছে
দেখে মনে হয় না কোনো গেরাজ পাওয়া যাবে

রশ্নি– এখন আমরা কি করবো??
আমাদের কি সারাজীবনের জন্য এখানেই থাকতে হবে??

ইয়াশ রশ্নিকে ভয় দেখানোর জন্য
বললো– হুম হয়তো থাকতে হবে

রশ্নি– না এ হতে পারে না
আমার জামাইটা তো তাহলে বিয়ের আগেই বিধবা হয় যাবে আর আমার বাচ্ছারা??
ওরা তো হওয়ার আগেই অনাথ হয়ে যাবে
না আল্লাহ এটা হতে পারে না??

রশ্নি হাত পা ছুড়ে কান্না করছে আর এসব বকছে
আর এদিকে ইয়াশের রশ্নির অবস্থা দেখে ভীষন হাসি পাচ্ছে
কিন্তু আবার টেনশন ও হচ্ছে
এখন কি করবে? আর মিটিংটাতে পৌঁছানোটাও তো অনেক ইম্পরট্যান্ট

.
— ১ ঘন্টা পর —

এই এক ঘন্টায় ইয়াশ অনেক চেষ্টা করেছে কোনো পথ বের করার কিন্তু পায় নি

হেল্প চাওয়ার জন্য কাউকে কল ও করতে পারছে না কজ এখানে বলতে গেলে নেটওয়ার্ক একেবারেই নেই

–*চলো

–*কোথায়?

–* দেখি সামনে কোনো হেল্প পাই কিনা

–* আর মিটিং এর কি হলো?

–* ক্যান্সেল?

সন্ধ্যা নেমে এসেছে রশ্নি আর ইয়াশ সেই কখন থেকে হেটেই চলেছে
হাটতে হাটতে কিছুটা গ্রামের সাইডে চলে এসেছে কিন্তু সাহায্যের জন্য কাউকেই পেলো না
হঠাৎ রশ্নি চিৎকার দিয়ে ইয়াশকে ঝাকিয়ে
বললো– স্যার স্যার দেখুন ঐখানে লাইটের মত কিছু একটা দেখা যাচ্ছে

ইয়াশ তাকিয়ে দেখল সত্যিই দূরে কিছু লাইটিং

তারা সেটার কাছে গিয়ে দেখলো
সেখানে গ্রামের মানুষদের একটা ফেস্টিভ্যাল চলছে

পরিবেশটা খুবই সুন্দর
চারপাশে কালারিং লাইটস, বিভিন্ন স্টল,আর ওখানে কিছু স্পেশাল সুইটস

কয়েকটা মেয়ে ওখানে আঞ্চলিক পোশাক পরে লোক নৃত্য করছে

মানে সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর

দুইজনই চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখছিল

–*জায়গা টা খুবই সুন্দর কিন্তু এখানে কার থেকে হেল্প চাওয়া যায়? ?
আপনার কি,,,,,,

হঠাৎ ইয়াশ পাশে তাকিয়ে দেখে রশ্নি তার সাথে নেই

–* আজব তো এই আবার কই গেল

তখনই ইয়াশের চোখ গেল সামনের একটা লোকের উপর
সে সাদা পানিও দ্রব্যের মত কি যেন একটা বানাচ্ছে
এক গ্লাস থেকে আরেক গ্লাসে নিয়ে সেটাকে মিক্স করছে

তারপর একটা মাটির গ্লাসের মত কিছুর মধ্যে সেটা নিয়ে সামনে থাকা একটা মেয়ের হাতে দিলো আর ওই মেয়েটা হলো রশ্নি

রশ্নি ওটা নিয়ে একেবারেই খেয়ে ফেলল
যা দেখে ইয়াশের চোখ যেন মাথায়

ইয়াশ দৌড়ে রশ্নির কাছে গেল

ইয়াশ যাওয়ার সাথে সাথেই রশ্নি ইয়াশের কোলে ঢলে পড়লো

–* কি খেলে তুমি এটা
এইযে আপনি (দোকানদারকে উদ্দেশ্য করে বললো)
কি খাওয়ালেন ওকে? কি ছিল ওটা??

–* আরেহ সাহেব চিন্তা করিয়েন না, শুধু একটু জুচ(জুস) ছিল (একটা বিশ্রী হাসি দিয়ে বললো)

লোকটার কথায় বুঝতে পারলো যে ওই জুসটার মধ্যে কোনো নেশার দ্রব্য ছিল

–* আপনাকে তো আমি পরে দেখছি? (দাঁতে দাঁত চেপে বললো)

এইযে মিস উঠুন (রশ্নির গালে হালকা চাপর দিয়ে বললো)

ইয়াশের কথায় রশ্নি যেন বিরক্ত হলো

ইয়াশকে অবাক করে দিয়ে ও ইয়াশের গালে ঠুস করে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিল

–* চুপ একদম চুপ, অনেক জালাইসস আমারে
এবার তোর পালা
তোরে তো আমি ইন্দুরের(ইঁদুরের) দৌড়ানি খাওয়াইয়া মারুম সালার দজ্জাল বস?

রশ্নি এগুলো নেশার ঘোরে বললেও
ইয়াশের মাথায় যেন রক্ত চড়ে গেল
ওর চোখ গুলো ভয়ঙ্কর লাল হয়ে আছে
ইয়াশ যেন পারে না এখনই রশ্নিকে খাইয়া ফেলে?
.

চলবে,

#Mr_Devil
#Part_22
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

ইয়াশকে অবাক করে দিয়ে রশ্নি ইয়াশের গালে ঠুস করে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিল

–* চুপ একদম চুপ, অনেক জালাইসস আমারে
এবার তোর পালা
তোরে তো আমি ইন্দুরের(ইঁদুরের) দৌড়ানি খাওয়াইয়া মারুম সালার দজ্জাল বস?

রশ্নি এগুলো নেশার ঘোরে বললেও
ইয়াশের মাথায় যেন রক্ত চড়ে গেল
ওর চোখ গুলো ভয়ঙ্কর লাল হয়ে আছে
ইয়াশ যেন পারে না এখনই রশ্নিকে খাইয়া ফেলে

রশ্নি– কিরে সালা এখন কি এমনই মূর্তি সং সাইজা দাঁড়ায় থাকবি?

ইয়াশ– হলি ফাক,,,,ইউউউউ,,,,,,,,

রশ্নিকে ধরতে যাবে তার আগেই রশ্নি ওকে ছাড়িয়ে দৌড় লাগায়

ইয়াশ– তোমাকে জাস্ট একবার পাই,,,তারপর দেখো তোমার অবস্থ্যা কি করি

রশ্নি দৌড়াতে দৌড়াতে
বললো– ওই আশা আর কইরো না সনু??
কিউকি রশ্নিকো পাকার পানা কিসিকে বাপকে বাসকি বাত নেহি হ্যা,,,,

রশ্নি হাসছে আর দৌড়াচ্ছে আর ইয়াশ ওর পিছে পিছে

রশ্নি দৌড়ানোর সময় ওর চুল গুলো উড়ছে যা দেখে ইয়াশ বার বার হারিয়ে যাচ্ছে,,,,

ইয়াশের পা যেন থেমে যেতে চায় বার বার
না আর পারছে না ইয়াশ
বার বার হেরে যাচ্ছে ওই রোদেলা চুল গুলোর কাছে

— ও ভাই সরেন রাস্তা থেকা,,,,,

লোকটার কথায় ইয়াশের ধ্যান ভাঙলো

আসে পাশে তাকিয়ে দেখে ও রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে আর ওর জন্য অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে
ইয়াশ এবার লক্ষ করে দেখল
সামনে রশ্নিকে দেখতে পাচ্ছে না
ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে

— ওহ শিট,, আমার ওর দিকে খেয়াল রাখা উচিত ছিল,, এখন কোথায় খুঁজবো ওকে,,,

না অনেক খোঁজার পরও কোথাও পাচ্ছে না,,,,এখন কি করবে ইয়াশ???

ইয়াশ একটা খালি জায়গায় পা ভাঁজ করে বসে পড়লো মাথায় হাত দিয়ে,,,নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে তার সাথে খুব কান্নাও পাচ্ছে

তখনই ওর কানে পূর্ব পরিচিত এক মন মুগ্ধ করা হাসির ধ্বনি ভেসে আসলো

ইয়াশ এক টুকরো আশার আলো নিয়ে সামনে তাকালো

আর দেখলো ওর রশ্নি কিছু মেয়েদের একসাথে হয়ে তাদের লোক সংগীতে তাল মিলিয়ে নাচছে

ইয়াশ দৌড়ে গিয়ে ওকে জাপটে ধরলো

সারা মুখে অসংখ চুমু দিল
পাগলের মতো রশ্নির মুখে নিজের হাত বুলাচ্ছে ইয়াশ যেন কোনো এক অমূল্য হারিয়ে যাওয়া জিনিষ ফিরে পাওয়ার খুশি উৎযাপন করছে ইয়াশের হাসি

–* কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি? জানো আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম

রশ্নি ইয়াশের ব্যবহারে কিছুটা অবাক হলো

রশ্নি ইয়াশকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে
বললো– আমি তো এখানেই ছিলাম ওদের সাথে,,কিন্তু আপনি আমাকে কিসি দিলেন কেনো? (রশ্নি ঠোঁট উল্টে জানতে চাইলো)

ইয়াশ কিছুটা থতমত খেয়ে গেল কিন্তু রশ্নির এমন কিউট কিউট এক্সপ্রেশন দেখে পরক্ষনেই ওর মাঝে হাসি ফুটে উঠলো

–* কি হলো,,,বলুন,,

–” কি বলবো?

–* কিসি দিলেন কেনো

–” কেন ভালো লাগে নি?

ইয়াশের এমন অদ্ভুত প্রশ্নে রশ্নি যেন লজ্জা পেয়ে গেল,,

–” কি হলো? লজ্জা পাচ্ছো কেন? এভাবে লজ্জা পেল কিন্তু আমার আরো কিছু করতে মন চাইবে,,,

–* হুহ আমি গেলাম?

রশ্নি আবার দৌড় লাগালো

–” এই আবার কোথায় যাচ্ছ,,,

ইয়াশও রশ্নির পিছে ছুটলো

এইবার রশ্নি হেলতে দুলতে যাচ্ছিল তাই ওকে ধরতে বেশি সময় লাগেনি,,,

রশ্নি ইয়াশের বাহুডোরে থেকেই জিজ্ঞেস
করলো– উম,,,কি হলো ছাড়ুন আমাকে,,,

ইয়াশ– হুশশশশশশ,,,,,,,,,,,,,,

রশ্নি– আপনি কান্না করছেন কেন?

ইয়াশ– আমি কখন কান্না করলাম?

রশ্নি– তো কিসের পানি পড়লো আমার মাথায়?

ইয়াশ- পা,,,,

ইয়াশের কথা শেষ হওয়ার আগে ওর মাথায়ও পানি পড়লো,,,,

ইয়াশ উপরে তাকিয়ে দেখে আকাশ পুরো অন্ধকার হয়ে এসেছে যে কোনো টাইমে বৃষ্টি শুরু হতে পারে আর ঝড় তুফানও হওয়ার আশঙ্কা আছে,,,,,

–* ওহ নো,,, এখন ঝড় শুরু হলে আমাদের বাসায় পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়বে,,,,
ইয়া আল্লাহ,,এক তো এই ম্যাডাম কিনা কি খেয়ে এখন পাগলামি করছে তার উপর এই ঝড়
কিভাবে যে সামলাব??

একটা লোক ওদের সামনে এসে বললো

::– সাহেব এখন খুব ঝড় তুফান হতে পারে আপনারা বাসায় চলে যান দেখেন আমরাও মেলা বন্ধ করে দিচ্ছি,,,

ইয়াশ কিছুটা চিন্তার স্বরে ওদের সাথে ঘটে যাওয়া সব বললো

রশ্নির মাতাল হওয়ার ব্যাপারেও লোকটাকে বললো

লোকটা কিছুটা ভেবে রশ্নির দিকে তাকালো,,রশ্নি ইয়াশের গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর অবল তাবল বকছে

–* মনে তো হয় না আজকে এখান থেকে বেরোতে পারবেন,,,বৃষ্টির জন্য রাস্তা হয়তো এতক্ষনে বন্ধ করেও দিয়েছে,,,আপনাদের আমাদের সাথে আজকের জন্য রাখতে পারি কিন্তু এই ম্যাডামকে আপনার সাথে,,,,
লোকটা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাস করলো

ইয়াশ ভাবছে
লোকটার এমন ব্যবহার স্বাভাবিকই কারন কেউই চাইবে না নিজের বাড়িতে কোনো অবিবাহিত ছেলে মেয়েকে এক সাথে রাখতে তার উপর আবার রশ্নি এভাবে ইয়াশের সাথে লেপ্টে দাঁড়িতে আছে তাই
এখন যদি রশ্নিকে পিএ বলে তাহলে এই মুহূর্তে ব্যাপারটা খারাপ দেখায়

তাই ও কিছুটা ভেবে বলে দিল যে এটা ওর ওয়াইফ

কথাটা শুনে লোকটার শঙ্কা যেন দূর হলো

–* আচ্ছা আপনারা আমার বাসায় থাকতে পারেন আজকে রাতের জন্য,,,আসেন আমার সাথে,,,,

লোকটা আগে হাটা শুরু করলো আর ইয়াশ রশ্নিকে নিয়ে তার পিছে

এর মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে
তুমুল ঝড়,,,,,রশ্নি আর ইয়াশ পুরো কাক ভেজা হয়ে গিয়েছে

রশ্নি ঠান্ডায় কাঁপছে দেখে ইয়াশ ওর ব্লেজারটা খুলে রশ্নির মাথার উপির দিয়ে ওকে জড়িয়ে নিলো যেন ওর ঠান্ডা না লাগে

কিছুক্ষন চলার পর ওরা লোকটার বাসায় গিয়ে পৌছালো

লোকটার বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে দরজা খুলে একটা ছোট্ট মেয়ে দৌড়ে এসে লোকটাকে জড়িয়ে ধরলো

–* বাপি,,, তুমি এত দেরি করে ফিরলে কেন,,,জানো আমি কত চিন্তা করছিলাম তোমার জন্য (আহ্লাদী কণ্ঠে বলে উঠলো)

#– এইতো আমি এসে গেছি মা,,,,আর দেখো আমার সাথে দুইজন মেহমান এসেছেন (ইয়াশ আর রশ্নির দিকে ইশারা করে বললো)

মেয়েটা হাসান মিঞার পিছন থেকে খরগোশের মত মুখ তুলে ওদের দিকে তাকালো

(বার বার লোকটা লোকটা বলতে বিরতকিকর লাগছিলো তাই একটা নাম দিয়ে দিলাম)

হাসান– আপনারা তাড়াতাড়ি ভিতরে চলুন এমনই অনেক ভিজে গেছেন

ইয়াশ দেখলো একটা ছোট কুঠিরের মত বাড়ি
কিন্তু কিছু করার নেই এখানেই থাকতে হবে
ইয়াশ রশ্নিকে কোলে তুলে ঘরের ভিতর নিয়ে গেল

ইয়াশ রশ্নিকে নিয়ে বসে ছিল তখনই লোকটা এসে কিছু কাপর আর একটা তোয়ালে দিয়ে গেল

ইয়াশ দেখলো তার মধ্যে একটা সাদা পাঞ্জাবি আর একটা সাদার মাঝে একদম চিকুন লাল পারের একটা শাড়ি

হাসান– আপনারা অনেক ভিজে গিয়েছেন তাই এটা পরে নিন আর ম্যাডামরে শাড়ি তা পড়াই দেন

ইয়াশ কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস
করলো– আমি পরিয়ে দিব??

হাসান– কেন কোনো সমস্যা?

ইয়াশ– না না,,,

হাসান– আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে আপনি পরিয়ে দেন আমি বাহিরটা একটু দেখে আসছি

বলেই লোকটা বেরিয়ে পড়ল

–* এখন আমি কি করি,,,

ইয়াশ এসব ভাবছিল আর তখনই ওর চোখ গেল বাহিরের দিকে ওখানে ওই ছোট্ট মেয়েটা বৃষ্টিতে খেলছে

ইয়াশ মেয়েটাকে ডাক দিল
মেয়েটা ওর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো

ইয়াশ– তোমার নাম কি বাবু?

–* ফার্স্ট অফ অল ডোন্ট কল মি বাবু কজ আমাকে বাবু শুধু আমার বিএফই ডাকে ওকে??
এন্ড মাই নেইম ইজ তানিয়া এন্ড সবাই আমাকে টর্নেডো বলে ডাকে বাট আপনি শুধু তানিয়াই বলে ডাকবেন ওকে??

পিচ্চির কথায় ইয়াশ যেন আকাশ থেকে পড়লো

এমন ভয়ানক পিচ্চিও ভাভাগো ভাভা?

ইয়াশ হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না
এর নাকি আবার বফ ও আছে

তানিয়া– কি হলো এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন? আমাদের এখানে কিন্তু অনেক মশা আছে একটা মুখে ঢুকে গেলে কিন্তু আপনার পাত্তা কাট?

ইয়াশ ওর মুখ বন্ধ করে বললো– না না কিছু না এমনি,,
আর সবাই তোমাকে টর্নেডো ঠিকই বলে (বিরবির করে)

তানিয়া– কি বললেন??

ইয়াশ– নাথিং নাথিং,,,,আচ্ছা তুমি কি শাড়ি পড়াতে পারো?

তানিয়া– কেন আপনি পড়বেন???

ইয়াশ– না?

তানিয়া– তাহলে???

ইয়াশ– ওকে পড়াতে হবে (রশ্নিকে দেখিয়ে)

তানিয়া– কেন ও পারে না পড়তে?

ইয়াশ– না

তানিয়া– তাহালে আপনি পরিয়ে দিন,,,,

ইয়াশ– আমার মাথা না খেয়ে তুমি পরিয়ে দিতে পারবে কিনা সেটা বলো?

তানিয়া– চেষ্টা করে দেখতে পারি ভালো হবে কিনা জানি না

ইয়াশ– আচ্ছা ঠিকাছে তুমি ওকে পরিয়ে দাও আমি বাহিরে যাচ্ছি

◆—- কিছুক্ষন পর —-◆

তানিয়ার ডাকে ইয়াশ ভিতরে গেল
আর যা দেখলো তাতে ইয়াশের মাথা ঘোড়ানো শুরু হয়ে গেছে??

.
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here