#Mr_Devil
#Part_34,35
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)
Part_34
.
–এই পিচ্চি শোন,,,এইযে তোর হাত টা যে ধরলাম এটা কিন্তু আর কখনোই ছাড়বো না আর তুইও ছাড়ানোর চেষ্টা করিস না,,,,,,,
–কেন ছাড়ানোর চেস্টা করলে কি হবে? (তুতলিয়ে)
— চেষ্টা করলে কি হবে,,,,,উমম (কিছুটা চিন্তায় পড়ে)
হ্যা,,,যদি এই হাত কখনো ছাড়ানোর চেষ্টা করিস তাহলে তোর একটা শরীরে একটা হাড্ডিও থাকবে না,,
— কেন ওলা কোতায় দাবে?
— আরে বুঝিস নি? মানে মেরে শরীরের সব হাড্ডি গুড্ডি গুঁড়া করে দিব
ওর কথা শুনে বাচ্ছা মেয়েটা যেন খুব ভয় পেল
— পিলিত তুমি আমাকে মেলো না,,,আমি ককোনো তুমাল হাত তালবো না পমিজ,,,,
— সত্যি তো?
— এ্যা ওয়াতরুমে(ওয়াশরুম) গেলেও তুমাল হাত ধলেই দাবো?
ওর কথা শুনে যেন ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল ছেলেটা
— এই না না ওয়াশ রুম বাদে এমনে সবসময় আমার হাত ধরে রাখবি,,,,
–মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো
তারপর পিচ্চি মেয়েটাকে কোলে নিয়ে তারপর উঠে পড়ল বাচ্চা ছেলেটি
— তুই সবসময় দুই লাইন বেশি বুঝিস কেন বলতো (মেয়েটার মাথায় গাট্টা মেরে)
মেয়েটা মাথা ঘষতে ঘষতে
বললো– কেন তুমিই তো বলো,,,আমি ভুল তরলে নাকি তবতময় তিক করে দিবে,,,,দেমন পেনচিল ভুল তরলে রাবার তিক করে দেয়
–হয়েছে থাক আর বেশি পাকামী করতে হবে না
এরপর মেয়েটা আহ্লাবি হয়ে ছেলেটার গলা জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খেলো
.
রশ্নি বারান্দায় বসে চোখ বন্ধ করে এসব আওড়াচ্ছিলো
সত্যিই কত মধুর ছিল দিন গুলো
এখন আফসোস হচ্ছে যদি সেদিন মামার কথা শুনে বাসায় না থেকে যেত
তাহলে রশ্নিও ওদের সাথে যেতে পারতো
আর এক্সিডেন্টে ঐও মারা যেত
অন্তত ওর ভালোবাসার মানুষ গুলোকে ছাড়া বাঁচতে তো হতো না
এই বাঁচাটা যেন তাকে মরণের থেকেও বেশি যন্ত্রনা দিচ্ছে
ভেবেই চোখের কোনে দিয়ে আপনে ইচ্ছে পানি গড়িয়ে পড়ল
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখের পানি গুলো মুছে নিলো
তারপর উঠে রুমে গেল
বিছানায় বেঘোরে ঘুমন্ত ইয়াশের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো
এই অবস্থায় ইয়াশকে খুব ইনোসেন্ট লাগছে একদম বাচ্ছাদের মতো
পৃথিবীর সব মায়া যেন ওর মুখে এসে ভর করেছে
কিন্তু এই লোকটা যে কারো জীবনে তুফান হিসেবে সৃষ্টি হতে পারে সেটা বুঝার কায়দা নেই এই মুখটা দেখে
রশ্নি ইয়াশকে দেখায় মগ্ন কিন্তু এখানে যে কেউ সেই কখন থেকে গেইটে নক করেই চলেছে সেদিকে কোনো খেয়াল নেই রশ্নির
গেইটে বাড়ি দেওয়ার শব্দে ইয়াশের ঘুমটা কিছুটা হালকা হয়ে এসেছে তা দেখে রশ্নি নিজের মাঝে ফিরে এলো
তখন ও বুঝতে পারলো যে কেউ গেইট নক করছে
রশ্নি তাড়াতাড়ি গিয়ে গেইটটা খুলে দিল
গেই খুলে দেখলো
জোস্না খালা দাঁড়িয়ে আছেন (ইয়াশদের বাড়ির একজন পুরোনো কাজের লোক)
রশ্নি– সরি গেইট খুলতে একটু লেইট হয়ে গেল
জোস্না খালা– ব্যপার না বিয়ার প্রথম প্রথম এমন দেরি হয়েই (দাঁত কেলিয়ে)
রশ্নি– ??
ওনার কথা শুনে ইয়াশের ঘুম যা একটু হালকা হয়ে এসেছিল তা এখন পুরোপুরিই ভেঙে গেল
রশ্নি– তো কোনো কাজ ছিল?
জোস্না– জি,আম্মা(অনিমা বেগম) আপনারে আর বড় সাহেবের ডাকতাছিলো
রশ্নি– আচ্ছা আপনি যান আমরা আসছি
জোস্না খালা “আচ্ছা” বলে সেখান থেকে চলে গেল
কিছুক্ষন পর ওরা অনিমা বেগম এর রুমে গেলেন
অনিমা বেগম নিউজ পেপার পড়ছিলেন
ওদের আসতে দেখে নিউজ পেপারটা রেখে
ওদের বসতে বলেন
অনিমা বেগম পায়ের উপর পা রেখে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছেন
আর ইয়াশ নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে
অনিমা বেগম কিছু বলবেন এমন আভাস পেয়ে ইয়াশ নিজেই বলা শুরু করলো
— দেখো মম আমি জানি কালকের পার্টিতে আমার করা কান্ডের জন্য তুমি ক্ষেপে আছো
আমার জন্য কালকের পার্টিটা স্পইল হয়েছে তার জন্য আই এ্যাম সরি বাট রনিত এর সাথে করা বিহেভিয়ারের জন্য আমি একটুও অনুতপ্ত নই
কজ, হি ডিসার্ভ দ্যাট
এগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে ইয়াশ নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো
ইয়াশের কথায় অনিমা বেগম হেসে দিলেন
অনিমা– আমি তার জন্য তোমাদের এখানে ডাকিনি,,
আর তুমি কাল যা করেছ তা একদম ঠিক করেছ,আই এ্যাম প্রাউড অফ ইউ মেরা বাচ্চা
(ইয়াশের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন)
ইয়াশ– তাহলে তুমি আমাদের কিসের জন্য ডেকেছো?
অনিমা– হ্যা,(বলে তার ব্যাগের থেকে কিছু একটা বের করলো) এটা দেওয়ার জন্য
ইয়াশের– প্লেইন টিকেট??
অনিমা– দেখো তোমাদের বিয়েতে আমি কিছু দিতে পারি নি তাই এটাকে এস এ গিফ্ট হিসেবে দিলাম,,,
সো পরশুদিনের পরের দিন তোমাদের থাইল্যান্ডের ফ্লাইট
ইয়াশ– এটা একটু বেশি বেশি হয়ে গেল না? ?
অনিমা– একদম ঢং করবে না,,৩ দিনের সময় আছে এর মধ্যে সব কাজ সামলে নাও আর তোমার বাবা আর রাফি তো আছেই ওরা অফিসের কাজটা ঠিক দেখে নিবে
ইয়াশ– ?
অনিমা– বাবাই,,,,,,,
ইয়াশ– ওকে মম?
বলেই ইয়াশ আর রশ্নি অনিমা বেগমের রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন
বেরিয়েই রাফির সাথে দেখা হয়
ইয়াশ– আমি তোর কাছেই যাচ্ছিলাম এখন,,তুই অফি,,
রাফি– আমি সব সামলে নিব (ইয়াশের কথা করে নিয়ে)
ইয়াশ– হুম
রাফি এবার গিয়ে ইয়াশের কানের কাছে বললো
— তোমার চিন্তা করার দরকার নেই,,তুমি শুধু আরামসে গিয়ে হানিমুন ইনজয় করো
ইয়াশ– হানিমুন না,,মম এর কথা রাখার জন্য আমরা ঘুরতে যাচ্ছি?
রাফি– সে যাই হোক বাট এটাকে বলে এক টির সে দো নিশানে
ইয়াশের– তোরে তো,,,
ইয়াশ ওকে কিছু বলবে তার আগেই রাফি ফুস?
রশ্নি– এদের পুরা ফ্যামিলিই পাগল? (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ আর রশ্নির সাথে কথা না বলে নিজের রুমে চলে গেল
কিছুক্ষন পর অনিমা বেগম এসে রান্না ঘরে গেলেন
তাকে দেখে রশ্নিও তার পিছনে গেল
রশ্নি– কি করছেন আন্টি?
অনিমা– রান্না করছি, ইয়াশ আর রাফি আমার হাতের রান্না ছাড়া খায় না
রশ্নি– ওহ
অনিমা– আর আমাকে আন্টি নয় মা বলে ডাকবে
রশ্নি– আচ্ছা
রশ্নি– আমি একটু হেল্প করি?
অনিমা– তুমি রান্না করতে পারো?
রশ্নি– না?
তখনই উপর থেকে ইয়াশের বাবা অনিমা বেগমকে ডেকে উঠেন
অনিমা– আছা তুমি এটা জাস্ট একটু নাড়তে থাকো তাহলেই হবে
রশ্নি– আচ্ছা
রশ্নির হাতে রান্না দিয়ে অনিমা বেগম উপরে চলে গেলেন
রশ্নি নিজের কাজে ব্যস্ত তখনই রান্নাঘরে নেহার আগমন ঘটে
নেহাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ও রশ্নিকে কিছু বলতে চাইছে
তা বুঝতে পেরেও রশ্নি কিছু বললো না
নেহা এবার রশ্নির অনেকটা কাছে এসে দাড়ালো
রশ্নির এবার অস্বস্তি আর বিরক্তি দোনোটাই হচ্ছে
তাই না পেরে জিজ্ঞেস করেই নিলো
রশ্নি– নেহা তোমার কি কিছু লাগবে?
নেহা– হ্যা মানে,,,
নেহার কথা শেষ হওয়ার আগেই রশ্নি আবার বললো
— যদি কিছু লাগে তাহলে নিজের দায়িত্বে সেটা নিয়ে এখান থেকে যেতে পারো (ডামি স্মাইল দিয়ে)
রশ্নির কথায় নেহা কিছু বলতে চেয়েও পারলো না কারন ও জানে এখন ওকে বলে লাভ নেই বুঝবে না
তাই ও সেখান থেকে চলে গেল
কিছুক্ষন পর অনিমা বেগম চলে আসলো
আর ওর হাত থেকে চামচ টা নিয়ে নিলো
.
টিং টং (ডোর বেল?)
ডোর বেলের আওয়াজ শুনে জোস্না খালা গিয়ে গেইটটা খুলে দিল
আর খোলার পর গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা বেক্তিকে দেখে রশ্নির চোখ তাল গাছে ?
কারন সামনে যে আর কেউ না নাহিদ দাঁড়িয়ে,,,
রশ্নি লক্ষ করলো ইয়াশও ওর কব্জির সাইডের বোতাম লাগাতে লাগাতে নিচে আসছে
ওর ধ্যান বোতামেই ছিল তাই নাহিদকে দেখে নি
আর রশ্নির এদিকে ভয় কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে
।
।
।
চলবে,
#Mr_Devil
#Part_35
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)
।
।
।
টিং টং (ডোর বেল?)
ডোর বেলের আওয়াজ শুনে জোস্না খালা গিয়ে গেইটটা খুলে দিল
আর খোলার পর গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা বেক্তিকে দেখে রশ্নির চোখ তাল গাছে ?
কারন সামনে যে আর কেউ না নাহিদ দাঁড়িয়ে,,,
রশ্নি লক্ষ করলো ইয়াশও ওর কব্জির সাইডের বোতাম লাগাতে লাগাতে নিচে আসছে
ওর ধ্যান বোতামেই ছিল তাই নাহিদকে দেখে নি
আর রশ্নির এদিকে ভয় কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে
।
।
।
ইয়াশ কথা বলতে বলতে নামছিল হঠাৎ সামনে নাহিদকে দেখে থেমে গেলো
রশ্নি খেয়াল করেনি যে সাথে ওর মামা মামীও এসেছে
ইয়াশ গিয়ে তাদের সালাম করলো
আর রশ্নিকে অবাক করে দিয়ে
নাহিদকেও জড়িয়ে ধরলো
ইয়াশ– তো কেমন আছেন শ্যালক বাবু
নাহিদ– মানে,,
ইয়াশ– আরেহ, বউ এর ভাইকে তো শ্যালকই বলে তাই না
আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে “শালা” (বাঁকা হেসে)
ইয়াশের কথা শুনে নাহিদের গা টা যেন জলে যাচ্ছে
শুধু মা বাবার কথা রাখতে আজ এখানে এসেছে
ইয়াশ এবার রশ্নিকে উদ্দেশ্য করে বললো
— তো কেমন লাগলো সারপ্রাইজ?
রশ্নি– মানে?
ইয়াশ– মানে কালকে মামা মামীদের ইনভাইত করেছিলাম পার্টিতে বাট কিছু কাজ পরে যাওয়াতে আসটে পারেনি তাই আজ আমার রিকুয়েস্টএ এসেছেন
আর বাসার সবাইও এই সারপ্রাইজটার ব্যপারে জানতো
রশ্নি– মানে মা আপনিও?
অনিমা বেগম– হ্যা আমরা সবাইই জানতাম
এরপর রশ্নি গিয়ে তার মামাকে জড়িয়ে ধরলো
মামীকে সালাম করেই সরে আসলো
তারপর ওর ভিতরে এসে বসলো
সবই ঠিকই ছিল কিন্তু বিপত্তি ঘটে খাবার টেবিলে
সবাই খাচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎই রাফির খাবার গলায় আটকে যায়
তাই ইয়াশ ওকে পানি দেয় কিন্তু গ্লাসটা রাখার সময় তা ভুলে নীচে পরে
তাই ইয়াশ নিচু হয়ে কাছ গুলো তুলতে যায় আর তখনই একটা কাচের টুকরো দিয়ে ওর হাতটা কেটে যায়
ইয়াশ কোনো রকম নিজের হাতটা ওয়াশ করে ব্যান্ডেজ করে নেয়
অনিমা– তোমাকে তুলতে কে বলেছিলে? হাতটা কেটে গেল তো
ইয়াশ– কাম ডাউন মম অমন কিছু হয়েনি
অনিমা– তা তো দেখতেই পাচ্ছি
ইয়াশ কিছু বললো না
অনিমা– তাহলে তুমি এখন খাবে কি করে?
দ্বারা আমি খাইয়ে দিচ্ছি
অনিমা বেগম উঠতে যাবেন তখনই রাফি বলে উঠে
— নো মম,, তুমি তো খাওয়াও শুরু করে দিয়েছো,সো মাঝখান থেকে উঠো না,,
ভাইয়াকে নাহয় ভাবিই খাইয়ে দাও
রশ্নি– আমি?
রাফি– আমার একটাই ভাবি আছে আর সেটা তুমিই সো তোমাকেই বলছি☺️
অনিমা বেগম বুঝতে পারলেন যে রশ্নি তাদের সামনে ইয়াশকে খাইয়ে দিতে লজ্জা পাচ্ছে
তাই একজন সার্ভেন্টকে ডেকে রশ্নি আর ইয়াশের খাবার উপরে দিয়ে আস্তে বললেন
.
রশ্নি ইয়াশকে খাইয়ে দিচ্ছে আর ইয়াশ এক ধ্যানে রশ্নিকে দেখছো
— হুহ কালকে এত্তগুলা কথা শুনানোর পরও কিভাবে আমার হাতে খাচ্ছে নির্লজ্জ্ব (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ– তোমারই তো
ইয়াশের কথায় রশ্নি বাঁকা চোখে ওর দিকে তাকালো
— Aise Na Mujhe Tum Dekho
Seene Se Laga Loonga
Tumko Main Chura Loonga Tumse
Dil Mein Chhupa Loonga
রশ্নির এবার নিজের চুল নিজেই ছিড়তে ইচ্ছে করছে
আর রশ্নির অবস্থা দেখে ইয়াশের হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ
রশ্নি– আপনি ইচ্ছে করে ওই কাঁচটা তুলার বাহানায় নিজের হাতটা কেটেছেন তাই না
ইয়াশ– ইন্টেনশন??
ইয়াশের কথায় রশ্নি থতমত খেয়ে গেল
ওর বলতে লজ্জা লাগছে যে
ইয়াশ এসব ওর হাতে খাওয়ার জন্যই করেছে
আর রশ্নিকে এরকম অবস্থায় ফেলার জন্যই যে ইয়াশ এমন প্রশ্ন করেছে তা বুঝতে রশ্নির আর বেগ পেতে হচ্ছে না
রশ্নির ফেইস এক্সপ্রেশন দেখে ইয়াশ হেসে দিলো
ইয়াশ– হ্যা তোমার হাতে খাওয়ার জন্যই আমি নিজের হাত কেটেছি
রশ্নি– হুহ জানতাম,,
ইয়াশ– আচ্ছা এবার বেশি কথা না বাড়িয়ে খাইয়ে দাও তো
রশ্নিও আর কিছু না বলে ওকে খাইয়ে দিতে লাগলো
কিন্তু একটা জায়গায় ওর খটকা লাগলো
যে ইয়াশ শুধু মাত্র ওর হাতে খাবে বলে নিজের হাত কেটে ফেললো?
খাওয়া শেষে রশ্নি উঠে যাচ্ছিল তখনই ইয়াশ ওর হাত ধরে ওকে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো
রশ্নি– দেখুন নিচে সবাই ওয়েট করছে সো প্লিজ ছাড়ুন
ইয়াশ রশ্নির কোনো কথা না শুনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো ?
হঠাৎ এমন কান্ডে রশ্নি ইয়াশের গলায় নিজের নক বসিয়ে দিল
আর ইয়াশ ওকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলো
— ইউ ডাইনি
— এহ এমনভাবে বলতাছে যেন নিজে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা
— এ্যানি ডাউটস?
— নাহলে আবার কি? আপনি তো একজন রক্ত চুষা তাল গাছের জম্বি
— তাহলে এই জোম্বিটা কি কি করতে পারে তা তুমি এখন দেখবে
বলেই রশ্নির দিকে এগোতে থাকে
তা দেখে রশ্নি দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়
.
নীচে সবাই বসে কথা বলছে কিন্তু
নাহিদের চোখে ইয়াশের গলার দাগটা ঠিকই পড়েছে
তা দেখে ওর অনেক রাগ লাগছে
কিছুক্ষন পর ওরা সেখান থেকে বেরিয়ে গেল
কিন্তু ইয়াশের একটা জিনিষ অবাক লাগছে যে
নাহিদ রশ্নির সাথে স্পেশালি কোনো কথা বললো না
অবশ্য যাওয়া আগে কথা বলতে চেয়েছিল
এমন অভ্যাস ইয়াশ পেয়েছিল
কিন্তু কোনো কারণে যেন নাহিদ তা পারেনি
।
।
।
চলবে,