Mr_Devil #Part_40

0
1811

#Mr_Devil
#Part_40
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)



রশ্নি বসে বসে কাঁদছিলো তখনই একটা হাত তীব্র গতিতে এসে হঠাৎ রশ্নির গালে লাগে
যাকে সাধারণত আমরা থাপ্পর নামেই জানি

হঠাৎ এমন কিছুর জন্য রশ্নি প্রস্তুত ছিল না

রশ্নি অবাক হয়ে সামনে তাকালো
দেখলো অনিমা বেগম দাঁড়িয়ে আছে
আর তার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে

সে গিয়ে রশ্নিকে টেনে তুললো তারপর আরেকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলেন

তারপর ওর দুই বাহু ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বললেন
— কেন করলি এমনটা? কি দোষ করেছিল আমার ছেলেটা? কেন মেরে ফেললি ওকে?

আমার যে ছেলেকে বিয়ের কথা বললেই ভড়কে যেত সেই ছেলে তোকে আমাদের সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করলো
এত ভালোবাসলো,,তাহলে কেন করলি এমনটা?,

আমি তোকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসেছিলাম আর তুই তার প্রতিদানে আমার ছেলেটাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলি?

কেন কেন কেন…!!!

বলে হিচকি তুলে কাঁদতে লাগলেন

অনিমা বেগম পরে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই নিশা এসে তাকে সামলে নিলো
— মা প্লিজ নিজেকে সামলাও

শুধু ইয়াশ তোমাকে ভালোবাসতো বলে আমরা মুখ বুঝে তোমাকে মেনে নিয়েছিলাম

নাহলে আমার তো প্রথম দিনই তোমার উপর সন্দেহ হয়েছিল
কোথাকার কোন বস্তি থেকে উঠে আসা মেয়েকে ইয়াশ বিয়ে করে এনেছিল
আর তার ফলাফল তো এখন দেখাই যাচ্ছে

— আচ্ছা এত্তো ভালোবাসা পাওয়ার পরও কিভাবে করলে গো এই কাজ,,,,,,

নিশার কথা শেষ হওয়ার আগেই নেহাও এসে রশ্নির গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল

নেহা– আজ তুই আমার জীবনের থেকে খুব মূল্যবান একটা জিনিষ করে নিলি রে
জানিস সেই ছোট বেলা থেকে ইয়াশকে ভালোবেসে এসেছি
কিন্তু দুইদিনের মেয়ে কথাথেকে এসে আমার ইয়াশকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলি
কিন্তু তাও আমি মেনে নিয়েছিলাম কারন তাতে আমার ইয়াশের ভালো থাকা ছিল
কিন্তু আজ?
আজ তুই ওকে আমাদের সবার কাছ থেকেই ওকে ছিনিয়ে নিলি,,,,উত্তর দে কেন করলি এমনটা

নেহার কথায় রশ্নির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল
পুরো পৃথিবীটা যেন পরক্ষনেই উল্টে গেল

রশ্নি– নেহা তুমি এসব কি বলছো? আমি তো তোমা,,,

রশ্নির কথা শেষ হওয়ার আগেই নেহা ওকে আবার মারলো

নেহা– লজ্জা করে না, তাই না? এত্তো খারাপ একটা কাজ করার পরও উঁচু গলায় কথা বলতে একটুও বাধে না?

অনিমা বেগম– নিশা এই মেয়েটাকে(রশ্নিকে উদ্দেশ্য করে) আমার সামনে থেকে সরতে বল নাহলে কিন্তু আমি উল্টা পাল্টা কিছু করে বসবো

— মা আপনি শান্ত হোন,,বেশি হাইপার হলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না
আসুন বসবেন..!!

রশ্নির দিকে একবার ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে
তারপর ভেংচি দিয়ে
অনিমা বেগমকে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল

রশ্নি– নেহা মানে কি এসবের? কি বলছো এগুলা তুমি?
নেহা– যা শুনেছ তাই….!!
রশ্নি– কিন্তু তুমিই তো বলেছিলে,,,
নেহা– কি বলেছিলাম?

আসুন দেখে আসি,,কি এমন ঘটেছিল যার জন্য রশ্নির এই কাজটা করতে হলো—-★

রশ্নি নিজের রুমে বসে
ইয়াশের দেওয়া আংটি টা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছিল
আর এই কয়েকদিনে ইয়াশের সাথে কাটানো সময় গুলো মনে করেছিল
আর মুচকি মুচকি হাসছিল তখনই গেইটে কে যেন নক করে

রশ্নি– আমার কপালে মেবি শান্তি নাই?
জামাইটারে নিয়া একটু ভাবতাছিলাম আর এখনই কেওর আইতে হইলো?
লাইফ মে টানতে হো রাখে হ্যা?

রশ্নি গিয়ে দরজা টা খুলে দিল

দরজা খোলার সাথে সাথে নেহা এসে রশ্নিকে ঝাপটে ধরে জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করলো

হঠাৎ এমন কিছু ঘটায় রশ্নি অবকের শেষ চূড়ায় পৌঁছে গেল

রশ্নি নেহাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানায় বসালো

— কি হয়েছে তোমার,,কাঁদছো কেন

নেহার কান্না বেগ এতই বেশি যার জন্য ও কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না

রশ্নি ওকে পানি খাইয়ে দিলো তারপর ওর চোখ মুছার জন্য ওকে একটা টিস্যু দিলো

কিছুক্ষন পর নেহা নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো কিন্তু এখনো একটু একটু হাপাচ্ছে

রশ্নি– এবার বলো কি হয়েছে,,

নেহা– তুমি প্লিজ আগে দরজা টা বন্ধ করে নাও
নাহলে অন্য কেও শুনে ফেলবে

রশ্নি ওর কথামতো গিয়ে গেইটটা লাগিয়ে দিল

— এবার বলো কি হয়েছে

নেহা রশ্নির হাত ধরে মিনতির সুরে বললো
— প্লিজ আমাকে বাঁচাও,,নাহলে ওই আমার সর্বনাশ ওকে ফেলবে

রশ্নি– কে সর্বনাশ করে ফেলবে? আর কি বলছো এসব তুমি?
প্লিজ ক্লিয়ারলি বলো

নেহা– আমি সবকিছু প্রথম থেকে বলছি,,,

নেহা তারপর বলা শুরু করলো–

আমার বয়স তখন মাত্র ১৩ তখন থেকে একটা ছেলেকে ভালোবাসতাম
তখন অবশ্য ভালোবাসার মানেটাও জানতাম না শুধু কেন যেন তাকে ভালো লাগতো
কিন্তু যখন একটু বড় হলাম তখন বুঝতে পারলাম এটা ভালোবাসা
কিন্তু ছেলেটাকে কখনো বলার সাহস হয়ে উঠেনি।

যখন ক্লাস 9 এ পড়ি তখন ছেলেটার আচরণে বুঝতে পারি যে ঐও আমাকে পছন্দ করে
একদিন তো প্রপোজও করে বসে

আমি ওকে আগের থেকে ভালোবাসতাম তাই না করার কোনো প্রশ্নই আসে না
রাজি হয়ে গেলাম ওর প্রপোজালে

আমাদের মধ্যে সবকিছুই ভালো চলছিল দিন বা দিন আমাদের ভালোবাসা বেড়েই চলছিল

তারপর আমি যখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠি তখন ছেলেটার আচরণে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করি
যেমন,,বিশ্রী ভাবে আমার শরীরে তাকানো
মাঝে মধ্যে বাজে ভাবে আমাকে টাচ করা,,এমন আরো অনেক কিছু
একদিন তো আমাকে ফিজিক্যাল রিলেশনের জন্য প্রস্তাবও দিয়ে বসে
কিন্তু সেদিন আমি ওর প্রস্তাবে না করে দেই

তাই ও বলে, আমার সাথে আর রিলেশন রাখবে না

এতদিনের ভালোবাসাকে এক মুহূর্তেই ভেঙে যেতে দেখতে আমি মেনে নিতে পারিনি
তাই ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই আর সেটাই হয়ে আমার জীবনের সব থেকে বড় ভুল

নিজের পাওনা আদায়ে করে আমাকে ও ছুড়ে ফেলে দেয়
মুখে না বললেও ওর কাজে তা স্পষ্ট ছিল

আমার কল রিসিভ করতো না,,দেখলে ইগনোর করতো

এগুলো আর সহ্য করতে না পেরে ওকে জিজ্ঞেস করেই বসে ছিলাম আমার সাথে ও এমনটা কেন করছে

তার প্রতিউত্তরে জবাব দেয়
— তোমার মতো নষ্টা মেয়ের সাথে আমি আর কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না

ওর কথায় আমি সেদিন বেশ অবাক হয়ে ছিলাম

সেদিন ওকে একটা থাপ্পড় মেরেছিলাম আর বলেছিলাম
— ওহ তাই নাকি? তো আমাকে নষ্ট করেছে কে? তুমিই তো নাকি? আর এখন নিজের চাওয়া মিটে গেছে বলে ছুড়ে ফেলে দিলে,,বাহ

— শুনো একদম বেশি বাড়াবাড়ি করবে না,,নাহলে যে এই ভিডিওটা আছে না,,তা ভাইরাল করে দিতে আমার আর বেশি সময় লাগবে না

বলেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল
আর আমি ওখানেই বসে কাঁদতে লাগলাম

নেহার কথা শুনে রশ্নির চোখেও পানি চলে এসেছে

রশ্নি– তারপর,,,

নেহা– আমি তাও মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিলাম

ওর সাথে আর দেখা করিনি
কিন্তু কয়েকমাস পর জানতে পারি ও বিয়ে করে ফেলেছে
সেদিন কলিজা ফেটে কান্না আসছিল কিন্তু সেদিন
নিজের মনকে এটা বলে শান্তনা দিয়েছিলাম যে
–*যে এটাতে ওর ভালো থাকা আছে,
নিজের ভালোবাসার মানুষ যদি ভালোথাকে তার থেকে বেশি আর কি প্রাপ্তি আছে”

তারপর থেকে নিজের মতো করে চলতে শুরু করলাম
ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম নিজের জীবন নতুন করে সাজানো শুরু করলাম কিন্তু তাতেও যেন ওর শান্তি হলো না আবার চলে এসেছে আমার জীবনে
আর বলছে আবার ওর সাথে ফিজিকালী ইনভল্ভ হতে হবে, না হলে ওই ছবি আর ভিডিওটা নেটে ছেড়ে দিবে

এবার তুমিই বলো আমি কি করবো

বলেই নেহা মুখে দুই হাত গুঁজে আবার কাঁদতে শুরু করলো

রশ্নি– তুমি শুধু একবার ওর নাম বলো
আমি নিজের হাতে ওর মার্ডার করবো

নেহা– ছেলেটা আর কেউ না,,,,ইইই,,,

রশ্নি– কি হলো বলো,,,

নেহা একটা স্বাস নিয়ে বলে দিলে
— ইয়াশ আহমে…….

নেহা আর বলতে পারল না তার আগেই রশ্নি ঠাস করে নেহাকে একটা থাপ্পড় মারলো

রশ্নি– আমিও পাগল কার কথা শুনছিলাম এতক্ষন,,
প্রথম দিন থেকে লক্ষ করছি তুমি আমার হাসবেন্ডএর পিছনে আঠার মতো লেগে আছো
কিন্তু ইয়াশই বারবার বিরক্ত হচ্ছে

শুনো তুমি তোমার এসব রম্য শুনিয়ে অন্য কারো মনে গলাতে পারবে আমার না
আমার নিজের হাজবেন্ডের উপর পুরো বিস্বাস আছে ও কখনো এমন কিছু করবে না
তাই তুমি এখন আমার রুম থেকে বের হও

নেহা– আমি জানতাম তুমি বিশ্বাস করবে না তাই আমি সাথে করে প্রুভও নিয়ে এসেছি

রশ্নি– কেমন প্রুভ (ভ্রু কুঁচকে)

নেহা ওর ফোন থেকে ওই ছবিগুলো আর ভিডিওটা বের করে রশ্নির সামনে ধরলো

রশ্নি তীব্র গতিতে ওর মুখটা ঘুরিয়ে নিলো

— বন্ধ কর এসব,,আমি দেখতে চাই না এগুলো
আমি মানি না,,আমি মানি না, উনি আমার সাথে এতবড় বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারেন না

দেখো এই প্রুভ গুলো দেখেও যদি তোমার বিশ্বার না হয়ে তাহলে তো আমার আর কিছু করার নেই তাই না?

এ ছাড়াও ওই প্রতিবছর হাজার হাজার মেয়েদের
অন্য দেশে পাচার করে দেয় শুধু মাত্র টাকার জন্য

আচ্ছা তুমিও তো ইয়াশের জালে ফাঁসা একজন শিকার,,
তোমার সাথেও তো ওই খারাপ কাজ করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি বলে জেদে এসে তোমায় বিয়ে করেছে

রশ্নি ওকে মারার জন্য আবার হাত উঠালো
কিন্তু মারার আগেই নেহা আবার বলা শুরু করলো
— আমাকে মারবে? মারো যত খুশি মারো
কিন্তু তুমি নিজেই এই ব্যাপারটা মিলিয়ে দেখো

বিয়ের আগে যখন তুমি ওর অফিসের একজন ইম্পলই ছিল তখন কি ও তোমার সাথে অসভ্যতামি করে নি?

রশ্নি– কিন্তু তুমি সেসব জানো কি করে?

নেহা– বাড়ে,,যাকে ভালোবাসি, সে কাকে বিয়ে করছে সেটুক জানা কি বড়ো কোনো ব্যাপার?

আচ্ছা তারপরও যদি তুমি আমার কথায় বিশ্বার না করো তাহলে আরেকটা কাজ করতে পারো

রশ্নি– কি?
নেহা– আজকে ইয়াশ আমাকে একটা জায়গায় ডেকেছে
সেখানেই আমার ওকে জানাতে হবে
আমি ওর প্রস্তাবে রাজি আছি কিনা নেই
সো সেখানে তুমি চলে এসো
আর বাকিটা নিজের চোখেই দেখে নিও

রশ্নি নিজের চোখের কোনের পানি টা মুছে নিলো তারপর নিজে শক্ত রেখে বললো

রশ্নি– ঠিকাছে যদি তোমার কথা সত্যি হয় তাহলে প্রমিস করলাম মিস্টার ইয়াশ আহমেদকে নিজের হাতে শুট করবো
কিন্তু এখন তুমি এখান থেকে যাও প্লিজ
আমার ভালো লাগছে না

নেহা আর কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে গেল

আর রশ্নি দরজা লক করে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো
সাউন্ড প্রুভ হওয়ার কারনে তা বাহিরে পৌছালো না

রশ্নি ইয়াশের আগের করা সব বিহেভিয়ারের সাথে নেহার কথা গুলো মিলিয়ে দেখে
ঠিকই তো ইয়াশ তো রশ্নির সাথেও জোর জবরদস্তি কত্ত বাজে আচরণ করতো

সব কিছু মিলিয়ে জাস্ট একটা জিনিষই মাথায় আসছে
যা রশ্নি ভাবতে চাইছে না

— কেন আমার সাথেই এমনটা হয়? আমার প্রিয় জিনিষ গুলো কেন আমার কাছে বেশি দিন থাকে না
কেন কেন কেন
বলেই আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো

.

বিকালে—-◆

নেহা আগের থেকেই ইয়াশকে ফোন করে সেখানে আসতে বলে
এই বলে যে,,ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় কিছু লোক ওর পিছু নিচ্ছিলো আর তাই এখানে নেহা লুকিয়ে আছে
আর ইয়াশ কল করে আসতে বলছে যেন ও এসে নেহাকে বাঁচায়

ইয়াশ নেহাকে যতই অপছন্দ করুক কিন্তু যেখানে ও একটা মেয়ে বিপদে পড়েছে সেখানে পছন্দ অপছন্দটা ইয়াশ সাইডেই রাখলো,,আর ওকে বাঁচাতে গেল

সব কিছু নেহার প্ল্যান মতাবেকই হয়

ইয়াশ আসে
আর রশ্নি কিছুটা আড়ালে ছিল তাই ইয়াশ ওকে দেখতে পায় নি

নেহা রশ্নিকে শুনিয়ে শুনিয়ে জোরে বলতে থাকে

— না ইয়াশ প্লিজ আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি হতে পারবো না,,তুমি দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও আর ওই ছবি,ভিডিও গুলিও ডিলেট করে দাও

এক তো নিজের সব কাজ কর্ম ফেলে সেখানে এসেছিল সাথে আগের থেকেই ইয়াশের মেজাজ খারাপ ছিল
তার উপর আবার নেহার এসব আজাইরা কথা

সবকিছু একসাথে টলারেট করতে না পেরে ক্ষেপে গিয়ে নেহাকে একটা থাপ্পড় মারে

আর তখনই রশ্নি মনে করে যে
নেহা রাজি হচ্ছিল না বলে ইয়াশ ওকে থাপ্পড় মেরেছে

তাই রশ্নি ইয়াশকে শুট করে বসে

এর পরেরটা তো আপনারা জানেনই,,,

.

!★!…… বর্তমানে ……!★!

রশ্নি– তারমানে তুমি সব কিছু মিথ্যে বলেছিলে
নেহা– তা নয়, জাস্ট সত্যটা আড়াল করেছি
রশ্নি– কি আনন্দ পেলে অন্যের সংসার ভেঙে?
নেহা– জানো তো সব কিছু মিথ্যে হলেও এটা সত্যি যে আমি ইয়াশকে ভালোবাসতাম
পাগলের মতো ভালোবাসতাম কিন্তু ও আমাকে কিছুতেই পাত্তা দিত না

আর শেষে এসে তোমাকে বিয়ে করলো
কিন্তু তা আমি কি করে মেনে নেই?

ছোট থেকে যে জিনিষটা চেয়েছি তাই পেয়েছি সেখানে ওকে আমি ভালোবাসতাম

তাই যদি ও আমার না হয় তাহলে ওকে অন্য কারোও হতে দিব না

রশ্নি– তোমাকে আমি ছাড়বো না
নেহা– ধরতে পারলে তো (বাঁকা হেসে)
রশ্নি– মানে?
নেহা– লুক ব্যাক

নেহার কথামতো রশ্নি পিছনে তাকালো
আর দেখলো একটা পুলিশের গাড়ি আসছে

গাড়িটা থেমে সেখান থেকে কয়েকজন পুলিশ বেরিয়ে এসে রশ্নির সামনে দাঁড়ালো
— ইউ আর আন্ডার এরেস্ট

তৎক্ষণাৎ অনিমা বেগম এসে বলা শুরু করলো
— নিয়ে যান এই মার্ডারারকে

রশ্নি কিছু বলছে না শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে

বুঝতে পারছে যে
ও কত বড় একটা ভুল করেছে
মরে যেতে মন চাইছে

একজন লেডি ইন্সপেক্টর এসে রশ্নির হাতে হ্যান্ডসকাফ পরিয়ে দিলো

আজ নেহার মুখে বিজয়ের হাসি

তারপর ওরা রশ্নিকে জিপে বসিয়ে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল



চলবে,

আমি না আপনাদের কমেন্টস পরে পুরাই কনফিউজড?

আপনারাই বলেন ইয়াশের নাকি শাস্তি হওয়া উচিত আবার আপনারাই বলেন ওকে কেন শাস্তি দিলাম?

আর কিছু রিডার্স তো আমাকে হুমকি দেওয়াও শুরু করে দিয়েছে?

ইয়াশের চল্লিশার সাথে নাকি আমার চল্লিশার মিলাদও সেরে নিবে
কি সাংঘাতিক মাইরি?

মানে,,,,,,,, আচ্ছা ভাই তরাই ক মুই করুমডা কি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here