“কাজের বেটি রহিমা” পর্ব- ৫

0
1121

“কাজের বেটি রহিমা”
পর্ব- ৫
(নূর নাফিসা)
.
.
ঘটনা শুনে ফারহানা হক বিস্ময়ের সাথে বললেন,
“এতো বড় এক কান্ড ঘটে গেলো, বাড়ির লোকজন কোথায় ছিলো?”
রহিমা চোখ মুছে স্বাভাবিক গলায় বললো,
“বাড়ির মালিক আর মালকিন ছিলো। এই অবস্থা দেইখা মালকিন কিচেন থেকে খুন্তি নিয়ে দৌড়াইয়া আসছে আর মালিক আমার চিৎকার শুনে খালি হাতেই দৌড়ে আসছে।”
ফারহানা ভয়ার্ত কণ্ঠে বললো,
“তারপর মালকিন কি খুন্তি নিয়ে দৌড়ে এসে তোকে আবার মেরেছে?”
তার মায়ের এমন উক্তিতে সায়মা কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার আগেই রহিমা বললো,
“আম্মার যে কথা! খুন্তি কি আমারে মারার জন্য আনছে! উনার পোলা যে চিরিয়াখানার এক নম্বর বান্দর, সেইটা কি তাগো অজানা! পোলারেই মারতে আইছে।”
“তারপর কি হলো? মেরেছে তো অনেকগুলো?”
“আরে না! কইলাম না, এক নম্বর বান্দর পোলা! আমার হাতে কোপ মাইরা সাথে সাথে দৌড়াইয়া নিজের রুমে ঢুকছে তো ঢুকছেই! খালু আমার হাতে রুমাল প্যাচাইয়া ডাক্তারের কাছে নিয়া গেলো, ব্যান্ডেজ করাইয়া আনলো তারপর বাড়ি ফিরা দেখলাম আম্মায় হাতে খুন্তি নিয়াই চেয়ারে বইসা আছে। তারপর একসাথে খাইতে বইলাম। আমার হাত তো ব্যান্ডেজ করা, তাই আম্মা চামচ দিয়া খাওয়ায় দিলো। তারপর আমার সেবাযত্ন করলো। কয়েকদিনের ছুটি দিলো, কিছু টাকা দিলো, উনার পোলারে বকলো৷ দুপুর হইলো, আমি চইলা আইলাম, এখনো সেই বান্দর রুমের ভেতর বন্দী। ডি জে গান ছাইড়া মনেহয় আবার ঘুমায় রইছে৷”
ফারহানা হক রাগান্বিত হয়ে বললেন,
“সাংঘাতিক ছেলে! একে তো পুলিশে দেওয়া দরকার!”
রহিমা চোখ বড় করে বললো,
“আয় হায়! না আম্মা। এইডা কি কন! পুলিশে দিলে ছেলের তো কিছু হইবো না! যা যাওয়ার সব যাইবো বাপের! মানসম্মানও যাইবো, ছেলেকে হাজত থেকে বাহির করতে টাকাকড়িও যাইবো। মাঝখানে বইসা বইসা পুলিশ হাত মোটা করবো। আর এই বান্দর তখন আবার আমারে চান্দের দেশে পাঠায় দিবো। দরকার নাই এইসবের! আমি আমার টিনের ঘরেই ভালা আছি। চালে দুইতিনটা ফুটা আছে, চাঁদ উঠলে ঘরে শুইয়া শুইয়াই দেখা যায়। কি কাম করা লাগবো কন আমারে। কইরা দিয়া তারাতাড়ি বাড়ি ফিরা যাই।”
হাতের এই অবস্থার জন্য রহিমাকে আর তেমন কোনো কাজ করতে দেওয়া হলো না এ বাড়িতেও। সায়মা যখন বাগানে পানি দিতে যাচ্ছিলো তখন রহিমা এক হাতে শুধু পানির পাত্র এগিয়ে দিচ্ছিলো আর এক হাতে ঘর ঝাড়ু দিয়েছিলো। বাকি সময়টুকু বসে বসে বকবক করেই কেটেছে তার! তবে আজ সায়মাকে ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছে রহিমা। তার বকবকে তেমন বিরক্ত বোধ করেনি। বিকেলে বাগানে পানি দিয়ে ছাদ থেকে এসে যখন হাতমুখ ধুয়ে সায়মার কাছে যাচ্ছিলো তখন দেখলো দরজা ভেতর থেকে লক করা। তবে সায়মার রাগী কণ্ঠ শুনতে পেয়েছে রহিমা। সে কান পেতে শুনার চেষ্টা করলো সায়মার কথাবার্তা। পরক্ষণে বুঝতে পারলো সায়মা তার ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করছে। এটা শুধু ঝগড়া মনে হয়নি তার কাছে। এটা তুমুল ঝগড়া!
রহিমা দৌড়ে ফারহানার রুমে এলো। ফারহানার বদলে পেয়ে গেলো আবু সালেহ হককে। তিনি রহিমার উদ্দেশ্যে বললো,
“কি রে?”
“খালু, আম্মা কই?”
“রান্নাঘরে দেখ।”
রহিমা দৌড়ে কিচেনে এসে বললো,
“আম্মাগো! সর্বনাশ হইয়া গেছে!”
তারা এতোক্ষণ ছাদে ছিলো বিধায় রহিমার কথায় ফারহানা চমকে উঠেছেন! এক মুহুর্তের জন্য তিনি ভেবে ফেলেছেন ছাদ থেকে বুঝি কোনো অঘটন ঘটে গেছে! তাই তিনি ভয়ার্ত কণ্ঠে বললেন,
“কি হয়েছে?”
“চুলাচুলি লাগছে!”
“চুলাচুলি!”
“হু, আপায় মনে হয় চুলাচুলি লাগছে!”
“কি বলছিস এসব! সায়মা চুলাচুলি লাগছে! কার সাথে?”
“বান্ধবীর সাথে।”
ফারহানা কিচেন থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন,
“বান্ধবী! কোথায়?”
“ফোনে।”
ফারহানা পথচলা থামিয়ে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালেন রহিমার দিকে! রহিমা ভেজা বিড়াল ন্যায় বললো,
“এমনে তাকান ক্যা? মিছা কথা কই নাই তো। আপায় রুমের ভেতর থেকে ঝগড়া করতাছে। শুধুমাত্র আপার গলাই শোনা যায় তাই ভাবছি ফোনে। বিশ্বাস না হইলে দেইখা আসেন।”
“তাই বলে তুই এসব বলবি!”
“ক্যা আম্মা, ফোনে কথা বলা যায়, ছবি তোলা যায়, সরাসরি দেখা যায় তাইলে চুলাচুলি করা যায় না?”
ফারহানা রাগান্বিত গলায় বললেন,
“বেরিয়ে যা। এই মুহূর্তে বেরিয়ে যা বাড়ি থেকে। আগামী তিনদিন তুই কাজে আসবি না। তিনদিনেও যদি সুস্থ না হোস তো চারদিন পর আসবি। আর সবার আগে মাথা ঠিক করবি। আমার তো মনে হচ্ছে কাটা চামচ তোর হাতের পিঠে না পড়ে মাথার মগজে দেবে গেছে! নতুবা এমন আলতু ফালতু কথা আসে কোত্থেকে!”
“আম্মা, ওই বাড়ির আম্মা কইতো পেট থেকে কথা আসে! আর আপনে বলেন মাথা থেকে কথা আসে! দুইজনই শিক্ষিত জননী। কার কথা বিশ্বাস করমু আপনারাই বলেন?”
“রহিমা, তুই যাবি এখান থেকে!”
ফারহানা ধমক দেওয়ায় রহিমা বিড়বিড় করতে করতে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসছিলো। এমনি সায়মা রুম থেকে বেরিয়ে এলো। তার চোখেমুখেও রাগ স্পষ্ট। কিন্তু সে স্বাভাবিক গলায় রহিমাকে বললো,
“চলে যাচ্ছিস?”
রহিমা চ্যাটাং চ্যাটাং জবাব দিলো,
“হু, যাইগা। কারো মুখের বিষ হইয়া বেশিক্ষণ থাকতে পারতাম না। এই কাজের বেটি রহিমা বইলা শুধুমাত্র আপনাগো দিকে তাকাইয়া আপনাগো বাড়িতে এখনো কাজ কইরা যায়। তবুও বুঝেন না আপনারা।”
বলতে বলতে রহিমা বেরিয়ে গেছে। সায়মা তার মাকে বললো,
“আবার কি বললে যে এতো রেগে গেলো?”
“তোর পরিচিত কেউ থাকলে বল এই মেয়ের জন্য পাবনা মানসিক হসপিটালে একটা সিট বুকিং করতে। নয়তো দেখবি, আমিই পাগল হয়ে গেছি।”
সায়মা মৃদু হেসে বললো,
“মাথা ঠান্ডা করে এক গ্লাস পানি পান করো আগে। আর রাতের জন্য রান্না আজ আমি করি। ভূনা খিচুড়ি খাবে?”
“তোর বাবাকে জিজ্ঞেস করে আয়।”
“আচ্ছা।”
“এই শোন?”
“হুম?”
“কি হয়েছে তোর?”
“কোথায় কি হলো!”
“চেহারা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে আছে! রহিমাও আমাকে ভয় পায়িয়ে দিলো কি আজগুবি খবর দিয়ে!”
“কিসের খবর?”
“তুই নাকি চুলাচুলি লেগেছিস ফোনে!”
“মা, তুমি কি বলছো এসব!”
“রহিমা বললো এসব। আর এজন্যই তো বকা দিলাম তাকে! তা হয়েছে কি শুনি? ফোনে কথা বলছিলি কার সাথে?”
“ফ্রেন্ডের সাথে।”
“ঝগড়া করেছিস?”
“হুম, করেছি একটু।”
“মীমাংসা হয়েছে?”
সায়মা আবারও মৃদু হেসে বললো,
“মাত্র তো ঝগড়া করলাম৷ হয়ে যাবে মীমাংসা। যাও, আগে তুমি পানি পান করো।”
.
তিনদিন পর রহিমা হক মঞ্জিলে এসে দেখলো বাড়িতে কাজকর্ম জমে ঘন হয়ে আছে! রুমের আসবাবপত্র এলোমেলো। বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে উত্তরপশ্চিমের রুমটা ঠিকঠাক করার জন্য। কিছু নতুন আসবাব আনা হয়েছে আর পূর্বে যা ছিলো তার সবটা স্থানান্তর করে সজ্জিত করা হচ্ছে। রহিমা এতোসব দেখতে দেখতে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। রহিমাকে দেখে সায়মা এগিয়ে এসে বললো,
“কি রে, কেমন আছিস তুই। সুস্থ হয়েছিস? হাতের ক্ষত কমেছে?”
“হেইডা আমি জানি না। ডাক্তার বলতে পারবো আমি কেমন আছি।”
“সবসময় তোর মুখে এমন উল্টাপাল্টা কথা কেন আসে, আমি বুঝি না সেটা!”
” আইচ্ছা, বুঝলে ভালা না বুঝলে আরও ভালা! তা আপনে আমারে বলেন তো আপা, বাড়ি উল্টাপাল্টা হইতাছে ক্যা? নিজের বাড়ি কি ছাইড়া দিতাছেন নাকি? আসবাবপত্র এমন ঠেলাঠেলি লাগছে ক্যা?”
“না, ভাইয়া আসবে দুদিন পর। ভাইয়ার রুমটা ডেকোরেট করছি।”
“ওহ! আবার চইলা যাইবো নাকি বিয়া সাদি কইরা থাইকা যাইবো?”
সায়মা কিছুটা নিচু স্বরে বললো,
“চলেই যাবে। বিয়ে সাদি যা করার করেই ফেলেছে। বাচ্চাও আছে।”
“ও মা! কয় কি! বিদেশি বেডি বিয়া করছে?”
সায়মা তার উপর কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো,
“আগে তুই মুখের ভাষা ঠিক কর। তারপর আমার সাথে কথা বলতে আসবি।”
“আরে আপা! শুনেন শুনেন!”
সায়মা আর তার কথা শোনার জন্য বসে নেই। ভুলভাল বলার কারণে রহিমা নিজের মাথায় নিজেই ঠুসি দিয়ে ফারহানার সাথে দেখা করলো। অত:পর লোকগুলো আসবাব ঠিক করে চলে গেলে রহিমা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে দিলো পুরো বাড়ি। হাত ক্ষত হওয়ায় কাইয়ুম ভিলা থেকে সপ্তাহখানেক ছুটি পেয়েছে বিধায় সায়মা রহিমাকে বলে দিলো কাল যেন একটু তারাতাড়ি আসে। কারণ কাল সে শপিং করতে যাবে।
সায়মার কথামতো রহিমা সকালে চলে এসেছে হক মঞ্জিলে। নাস্তা করে এসেছে তবুও সায়মা তাকে নাস্তা করতে বাধ্য করলো। অত:পর চলে গেলো বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে। ঘুরেফিরে কেনাকাটা করে লাঞ্চ করেছে রেস্টুরেন্টে। আরও কিছু কেনাকাটা বাকি থাকায় লাঞ্চের পর আবারও শোরুমে প্রবেশ করলো। রহিমাকে এক সেট পোশাক কিনে দিয়েছে সায়মা। অত:পর তারা বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়ে আসছিলো। লিফটে চড়ে নামার সময় সায়মা সিড়িতে উঠে গেছে আর হাত থেকে একটা ব্যাগ পড়ে যাওয়ায় রহিমা একটু পেছনে পড়ে গেছে। যার ফলে সায়মা তার থেকে সিড়ির চার ধাপ এগিয়ে। আজও রহিমা আয়ানকে দেখতে পেল এখানে! তারা নামছে আর আয়ান পাশের লিফটে চড়ে উপরে উঠছে। আজ সে একা। আয়ান লিফটের রেলিংয়ে কনুই ভর করে গালে হাত রেখে সায়মার দিকে একমনে তাকিয়ে ছিলো যতক্ষণ পর্যন্ত না সায়মা তাকে অতিক্রম করে নিচে নেমেছে! কিন্তু সায়মার এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। পেছনে থেকে রহিমা লক্ষ্য করেছে সম্পূর্ণ বিষয়টি। সায়মা নিচে নেমে যেতেই আয়ান যখনই রহিমাকে দেখতে পেল তখনই যেন চমকে সোজা হয়ে দাড়ালো এবং মাথা চুলকাতে চুলকাতে এদিকসেদিক তাকিয়ে উপরে উঠে গেলো। রাস্তাঘাটে মেয়েদের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রহিমা আজও আয়ানের দিকে রেগেমেগে তাকিয়েছিলো! আর রহিমার কাছে ধরা পড়ে যেতেই আয়ানের এমন আচরণ! তবে রহিমা আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে! আয়ানের নামে এই বিচারটা দিবেই মারিয়া কাইয়ুমের কাছে!
.
পাঁচদিন ছুটি কাটানোর পর আজ ষষ্ঠ দিনে ভাবলো, সে যেহেতু কাজকর্ম করতেই পারে সেহেতু অযথা ছুটি কেন কাটাবে! বরং কাজে যাওয়া যাক। যেই ভাবা, সেই কাজ৷ সকাল সকাল রহিমা চলে এলো কাইয়ুম ভিলায়। তবে দোতলায় উঠতে পারেনি ঠিকমতো! অর্ধেক সিড়ি অতিক্রম করে আসতেই দেখলো মেইন দরজার সামনে আয়ান দাড়িয়ে আছে! তার হাতে দিয়াশলাই! রহিমাকে দেখে আয়ান ইতরমার্কা হাসি দিয়ে একটা কাঠি জ্বালিয়ে আবার ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে বললো,
“ওয়েলকাম, সকিনার মা রহিমা! আসুন আসুন, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তো আপনার জন্যই ওয়েট করছিলাম! কাল যেহেতু ওবাড়িতে কাজে গেছেন সেহেতু আমি নিশ্চিত ছিলাম এবাড়িতেও আজ আসবেন। তাই তো আপনার জন্য বাতি নিয়ে দাড়িয়ে আছি। কি হলো? সেখানে দাড়িয়ে গেলেন কেন? উপরে আসুন।”
রহিমা ভয়ে তড়িঘড়ি করে আবার নিচে নামতে গেলে আয়ান ধমকে বললো,
“একধাপ নিচে নেমে দেখ, সিড়ি থেকে ধাক্কা মেরে পা ভেঙে দিবো।”
রহিমা কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে বললো,
“এমন করতাছেন ক্যা? আমি কি করছি?”
আয়ান আবারও ইতরমার্কা হাসি দিয়ে বললো,
“কিছু করিসনি এখনো। তবে যাতে না করতে পারিস সেজন্যই সাবধান করতে এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে দাড়িয়ে আছি! আমি রাস্তায় রাস্তায় লুইচ্চামি করি তাই না?”
রহিমা মাথা নেড়ে না করলে আয়ান বললো,
“উঠে আয় চুপচাপ। আর মুখ একদম লক করা থাকবে। আমার নামে আব্বু আম্মুর কাছে কোনো নালিশ জমা পড়লে তোর চৌদ্দটা বাজিয়ে ছাড়বো। মনে থাকে যেন। ভেতরে যা। কি হলো, দাড়িয়ে আছিস কেন? উপরে আয়!”
“আপনার সাথে বিশ্বাস নাই।”
“এখন না এলে বিশ্বাস নতুন করে হারাবি! চুপচাপ উঠে আয়। কিছু করবো না, আয়।”
রহিমা গোমড়া মুখু হয়ে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে এলে আয়ান আরেকটা কাঠি জ্বালাতেই রহিমা ভয়ে থেমে গেছে। আয়ান তাকে দরজা ঠেলে ভেতরে যেতে ইশারা করলে সে আবার চলতে লাগলো। আয়ান কাঠির আগুন ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে তার পিছু পিছু ঘরে যেতে যেতে “বড় লোকের বেটিলো” গানের সুর টেনে গান ধরলো,
“কাজের বেটি রহিমা,
ঝাকড়া মাথার চু…ল!
আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিবো,
আবার করলে ভু…ল!”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here