বলবো_না_ভালোবাসি,#পর্বঃ_৪(অন্তিম)

0
1379

#বলবো_না_ভালোবাসি,#পর্বঃ_৪(অন্তিম)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ

আমি পেছন ঘুরে আরশিকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিলাম। দেখি মেয়েটা কাঁদছে। তার চোখে টলমল করা পানি গড়িয়ে দুজনের মাঝখানে ফ্লোড়ে আছড়ে পরছে। আর নিচের দিয়ে চেয়ে আছে সে। এই এক জায়গাতেই সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় আমার। এটাকে সব চেয়ে বড় দুর্বলতাও বলা যায়। তবে আজ আর দুর্বলতা প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করছি না আমি। কাঁদুক না একটু,,
আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা ভালোবাসার মানুষটির থেকে একটা জিনিসই আসা করি, আর তা হলো কান্না।
কারণ জোর করে হাসতে পারলেও, জোড় করে ভালো থাকার অভিনয় করতে জানলেও, জোড় করে অশ্রু গড়িয়ে পড়া কান্নার অভিনয় টা কেউ করতে পারেনা। তাই কেউ যদি আমার জন্য কাঁদে তাহলে এটা সত্য যে সে সব চেয়ে বেশি আমাকেই ভালোবাসে।

আমি বুকে হাত গুজে আরশির দিকে তাকালাম। আরশির মায়াবি মুখটার দিকে তাকিয়ে একটা দির্ঘশ্বাস ফেললাম। তাকে স্বাভাবিক গলায় বললাম,
– কি হয়েছে তোর? হটাৎ এমন বকছিস কেন?
– আপনার কাছে এটা বকা মনে হচ্ছে,,
– হুম, তাই তো মনে হচ্ছে,, দেখি জ্বর টর হয়েছে কি না তোর। পরে দেখা যাবে আবার জ্বরের ঘোরে উল্টা পাল্টা বকছিস।
– আপনি এমন করছেন কেন? দেখেন মানুষ সব সহ্য করতে পারলেও কাছের মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
– বাহ্, সুন্দর সুন্দর কথাও শিখেছিস দেখছি। তো কে শিখালো এইসব? ওই ছেলেটা?
– আপনি বার বার ওকে কেন টেনে আনেন? আমি বলছিনা ও আমার কেউ না।
– আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম, তো এখন আমি তোর কি হ্যাল্প করতে পারি?
– কি হ্যাল্প মানে? দেখেন আমি এতো কিছু বুঝি না, আমি আপনাকে ভালোবাসি, আর আপনিও আমাকে ভালোবাসি, ফ্যামিলি না মানলে আমরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলবো। এর পর আমাদের যখন কিউট একটা বেবি হবে, তখন সবাই আমাদেরকে মেনে নিবে। আমরা সুন্দর করে সংসার করবো। ব্যাস এর বেশি আমি আর কিচ্ছু জানিনা।
– কি সাংঘাতিক ব্যাপার স্যাপার, তুই তো একেবারি ভবিষ্যৎ অব্দি ভেবে ফেললি। সুধু অল্পের জন্য নাতি নাতির বিয়ের কথাটা শুনতে পারলাম না।
– হবে হবে সব হবে,
– কিচ্ছু হবে না, কারণ পরশু তোকে পাত্র পক্ষ দেখতে আসবে। এর পর তুই অন্যের ঘরে পাগার পার। আর আমি মুক্ত হলাম।
– আমি চলে গেলে আপনি স্বাধিন?
– হুম, কেন নয়? এইসব প্যারা তো আর নিতে হবে না।
– আপনি আমায় ভালোবাসেন না? আমার বিয়ে হয়ে গেলে আপনার কষ্ট হবে না?
– ভালোই তো বাসিনা, কষ্ট হবে কেন?
– দেখেন আমি জানি আপনি আমায় ভালোবাসেন।
– আচ্ছা, আমি কি তোকে কখনো বলেছি, আমি তোকে ভালোবাসি?
– না,
– তাহলে?
– বলতে হবে কেন? আমি সব বুঝি,,
– কচু বুঝত তুই, তোর বিয়ে হয়ে গেলে তো আমি আরো খুশি, বাহ্ একটা মস্ত বড় প্যারা থেকে বাচলাম। এর পর আনিকা কে বিয়ে করে আমিও ঝুলে গেলাম। ব্যাস গল্পটা এখানেই ক্লোজ,
আরশি এবার একটু কাঁদু ভাব নিয়ে রাগি গলায় বললো,
– মিলবে না, গল্পের ইন্ডিং টা মিলবে না, আমিও দেখবো, আমি চলে গেলে আপনি কতোটা ভালো থাকেন? ভালোবাসার মানুষ হারানোর কষ্ট টা কেমন তখন বুঝবেন। আমাকে কেউ ভালোবাসতে হবে না। কেউ না।
চলে যাওয়ার জন্য হাটা ধরে আবার থেমে গেলো আরশি। পেছন ফিরে বললো,
– সরি, আমি ভেবেছিলাম আপনিও আমায় ভালোবাসেন। ভুল বুঝার জন্য মাফ করবেন।
– ইট্স ওকে,,
– বিয়ের পর আমি আর কক্ষোনো এই বাড়িতে আসবো না, আনিকা আপু কে নিয়ে ভালো থাকিয়েন আপনি।
– আচ্ছা,,
আমার এমন সোজা সাপ্টা উত্তরে আর কিছু না বলে চলে গেলো আরশি। আজ একটু ভালো লাগছে আমার, কারণ তার মনের ভেতর একটা কষ্ট পুষ করতে পারলাম। আমি একা কেন পাবো কষ্ট, সেও একটু পাক। তবে বেলা শেষে সে সুধুই আমার।
,
,
আজ আরশিকে দেখতে আসবে পাত্র পক্ষ। আম্মু ফুফি এরা কিচেনে রান্না করছে। সোফায় বসে ফোন গুতাতে ব্যস্ত আরশি। দেখে মনেই হচ্ছে না তার মুড অফ। যাই হোক ওকে একটু না জ্বালালে তো আর আমার পেটের ভাত হজম হয় না।
পেছন থেকে গিয়ে মাথায় একটা চাটি মারলাম। আরশি নরে উঠে আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকালো। আমি চলে গেলাম সেখান থেকে।
গতকাল আরশি আর আজকের আরশির মধ্যে খুবই তফাৎ। দেখে মনে হচ্ছে বিয়ের খবর শুনে খুশিতে উঠে পরে লেগেছে সে। নাকি এইসব আমাকে দেখানোর জন্য করছে ওটাও বুঝলাম না। তাতে আমার কি? কতো আয়োজন চলছে বাহ্, কিন্তু সবাই চাইলেই কি আমাদের আলাদা করতে পারবে? এতোই সহজ?

দুপুরে দেখলাম ফুফি রেগে ফায়ার হয়ে আছে। কারণ ছেলে পক্ষ ফোন দিয়ে বললো, তারা আসবে না। কারণ এই পাত্রি তারা চায় না। কারণ জানতে চাইলেও, বলতে ইচ্ছুক নই বলে ফোন কেটে দেয় পাত্র পক্ষ। আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের কান্ড দেখছি। ঝামেলা সব ওরা সামলাবে আমার কি? আড়ালে বসে গুটি চালাই তো হলো আমার কাজ।
ফুফির চোখে মুখে রাগ। আরশি ফুফিকে জমের মতো ভয় পায়। তাই আমার পেছনে এসে লুকিয়ে আছে।
– কোন যায়গায় কি আকাম করলি যে পাত্র পক্ষ তোকে রিজেক্ট করে দিলো?
রাগি ভাবে প্রশ্ন করলো ফুফি। সাথে আমার আম্মুও দেখছি তাল মিলাচ্ছে।
– আজকাল কার মেয়ে, বুঝা বড় মুশকিল। এদের মনে একটা, মুখে আরেকটা, আর বাইরে আরেকটা। নিশ্চই কোনো কারণ আছে রিজেক্ট করায়। আমার ভাইয়ের মেয়েটাকে দেখো, একটু দুষ্ট হলেও কতো লক্ষি একটা মেয়ে, মনে একধম প্যাচ নেই। সাদা মনে কাদাহিন একটা মেয়ে।
ফুফি আবার আরশির দিকে চেয়ে বললো,
– কি করেছিস তুই? তোর ব্যাপারে সব যেনেই ওরা আসতে চেয়েছিলো। বাট হুট করে না করার কারণ কি?
আরশি বরাবরই একটু ভিতু প্রকৃতির। আমার পেছনে লুকিয়ে বললো,
– সত্যিই আমি কিছু করিনি। আর আমার অমত থাকলে তো আমি তোমাদের মুখের উপরই না করে দিতাম। এভাবে ভাগিয়ে দেওয়ার কি দরকার?
– তর্ক শিখেছিস তর্ক?
আমি ফুফিকে উত্তেজিত দেখে বললাম,
– মাথা ঠান্ডা করেন ফুফি। সব কিছুতেই যে দোষটা আরশির এমনটা কিন্তু না। ছোট বেলা থেকেই খেয়াল করে আসছি আপনি যে ওর দোষ ধরে ও কোনো ভুল করলেই ঠাস ঠাস গালের মাঝে বসিয়ে দেন, কখনো ওকে একটু বুঝার চেষ্টা করেছেন? ওরা কেন আসেনি এটা ওরা যানে। বাট এটার সাথে আরশিকে মিলানো টা আমার মোটেও ভালো লাগে নি।
ফুফি আবারও বললো,
– এই মেয়েটাকে নিয়ে যত জ্বালা। ওর জন্যই এভাবে আছি আজও। না পারছি শান্তিতে থাকতে না পারছি বিষ খেয়ে মরতে। ওর কি হবে এটা ভেবে আজও পরে আছি এতোকিছুর পরও।
রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো আরশি।

সামনে আমার বিসিএস এক্সাম। সন্ধার পর পড়তে বসলাম আমি। আম্মু নাস্তা নিয়ে আমার সামনে এসে বসলো। শান্ত গলায় একটা উপদেশ দিয়ে গেলো সে,
– আরশির প্রতি যেনো তোর কোনো মায়া না জন্মে। আর আমি আনিকাকে বিয়ে করিয়েই বৌ বানিয়ে আনবো।
আম্মু চলে গেলো, আমি একটু হাসলাম। মায়া জন্মানোর আর বাকি আছে কই?

কয়েকদিন চলে গেলো। ফুফি আরশিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগলো। একটাকে পথ থেকে সরালেও কোন সময় কি ঘটে তা তো আর বলা যায় না।
আজ শুক্র বার। আরশিকে নিয়ে আজ একটু বের হলাম বাইরে। আরশি একটা নীল রঙের শাড়ি পড়লো। আর আমি পান্জাবি। মেয়েটা আসলেই খুব সুন্দর প্রতিদিনই নতুন নতুন ভাবে আমি তার প্রেমে পরি। তার প্রেমে পড়তে হলে স্পেশাল কিছু লাগে না, কারণ সে পুরো মানুষটাই আমার কাছে স্পেশাল। প্রতিটি সময়ের জন্য।

সন্ধায় বাসায় ফিরলাম দুজন। বাবাও বাড়িতে, ফুফিও বসে আছে সোফায়। আম্মু চা নিয়ে এসে দুজন মিলে টিভি দেখছে।
আমি আরশির হাত ধরে তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। আম্মুকে বললাম বাবাকে ডাকতে।
কিছুক্ষনের মাঝে বাবাও হাজির হলো সেখানে। সবার সামনে দাড়িয়ে আজ বুক ফুলিয়ে নির্লজ্জের মতো বলে ফেললাম,
– বাবা আমি বিয়ে করবো।
বলেই বাবার রি-একশান দেখতে প্রস্তুত হলাম। কিন্তু ওমা বাবা আমায় অবাক করে দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো,
– করবি প্রব্লেম কি? ছেলে হয়েছিস বিয়ে তো করতেই হবে। তো কাকে করবি সেটাও নিশ্চই ঠিক করে রেখেছিস?
– হুম,,,, আরশিকে,,,
– জানতাম, অনেক আগেই আমার নজরে এসেছে এটা। বাট কিছু বলিনি। চেয়েছিলাম তুই নিজেই কখনো মুখ ফুটে বলবি এটা। যাক ভালোই হয়েছে। ঘরের মেয়ে ঘরেই থাক। বাইরে যাওয়ার দরকার কি? আর বাইরে থেকে অন্য কাউকে আনলেও যদি সে খারাপ হয়? আমি যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট।

ফুফি হা হয়ে সব চেয়ে আছে। আর আম্মু তো রাগে ফায়ার। ফুলতে ফুলতে বললো,
– আমি ঠিকই আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। এই মেয়ে তোকে ফাসাবে। আমার সোনা ছেলেটার মাথায় আজ বিয়ের ভুত চাপলো কেন? জ্বর টর এসেছে নাকি?
– বাজে বকো না তো আম্মু। আরশি আমায় ফাসাবে কেন? আমি নিজেই তো ছোট বেলা থেকে আরশিকে চোখে চোখে রাখতাম। কারো সাথে মিশতে দিই নি তাকে। কারণ আমার লাইফে আমি আর কাউকে জড়াতে চাই না। জীবন সঙ্গি আমি অনেক আগেই খুজে রেখেছি। আর আমি ভুল কাউকে বেছে নিই নি। আমি সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে চাই, আরশিকেই আমি বিয়ে করবো, আর যত তারাতারি সম্ভব তোমরা তার ব্যাবস্থা করবে ব্যাস।
আব্বু আমার পিঠে একটা আস্তে করে থাপ্পর দিয়ে বললো,
– চিন্তা করিস না। তোদের বিষয় টা আমি অনেক আগে থেকেই ভেবে রেখেছি। শুধু তোদেরকে একটু বাজিয়ে দেখলাম। এখন গিয়ে পড়তে বস, সামনে না এক্সাম?
– হুম,,,,
– তো যা, নিশ্চিন্তে থাক, তোর আরশিকে আর কেউ নিতে আসবে না।
আমি মাথা নিচু করে লজ্জা ভঙ্গিতে সেখান থেকে চলে গেলাম। ধুর বাবা যেহেতু জানতোই, তাহলে আমি কেন নির্লজ্জের মতো বিয়ে বিয়ে করতে গেলাম?

– হ্যা তোমরা বাপ ছেলেই সব করবে, আমার কথার তো কোনো দাম নেই। আমার ভাইয়ের মেয়েটাকেই আমার ভালো লাগতো।
বাবা আম্মুর কথায় একটু হাসলেন। তার পাশে বসিয়ে শান্ত গলায় বললো,
– ঘরে এতো লক্ষি একটা মেয়ে থাকতে আমরা বাইরে কেন যাবো? আর আমাদের ছেলের হ্যাপিনেস টা ও তো আমাদের দেখতে হবে তাই না? তার মতের বাইরে তো আমরা জোড় করে কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না। আমাদের একটাই তো ছেলে। আর ছেলে সুখি হলেই তো আমরা সুখি তাই না?
আম্মু নিচের দিকে চেয়ে আছে চুপচাপ। বাবা বুঝতে পারলো এই চুপচাপ সম্মতির লক্ষন। তাই মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে গেলো।

আম্মু উঠে আরশির কাছে গেলো। ভয়ে মাথা নিচু করে আছে আরশি। কারণ আম্মু এবং ফুফি দুজনকেই খুব ভয় পায় আরশি।
আম্মু আরশির সামনে গিয়ে থুতনিটা ধরে মাথা উচু করলো আরশির।
– তুই আসলেই খুব সুন্দর ও লক্ষি একটা মেয়ে। আমি মনের চক্ষু দিয়ে কখনো তা দেখিনি বলেই উপলব্ধি করতে পারিনি। খুব মানিয়েছিলো তোদের দুজনকে এতোক্ষন। আমর ছেলেটাকে আমার থেকে নিয়ে যাবি তুই?
আরশি ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে, না সুচক সম্বতি জানালো। আরশিকে আম্মু জড়িয়ে ধরে বললো। আমার ছেলেটা হ্যাপি থাকলেই আমি হ্যাপি।
,
,
রাত তখন গভির। কম্বলের নিচে বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করতেই ঘুম ভেঙে গেলো আমার। দেখি আরশি আমায় জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আর মিট মিট করে মুচকি হাসছে।
– অবিবাহিত একটা ছেলের বুকে এসে শুয়ে থাকতে লজ্জা করেনা তোর?
– না, আমার লজ্জা থাকলেই তো লজ্জা করতো।
– তার মানে কি, তুই নির্লজ্জ? ছি ছি,,,
– বলতে পারেন, নির্লজ্জ দেখেই তো এতবার ভালোবাসি ভালোবাসি বলে কান্না করতাম। এতো অবহেলা করতেন তাও ছেরে দিই নি।
– কি! আমি তোকে অবহেলা করতাম?
– তা নয় তো কি? আচ্ছা যাই হোক, এখন তো বুঝলাম আপনি আমায় কতো ভালোবাসেন।
– তোকে ভালোবাসতে আমার বয়েই গেছে।
– আপনি না বললেও আমি জানি, আচ্ছা আজকে একবার হলেও বলেন না ‘ভালোবাসি’।
– কেন বলতে হবে?
– কারণ আপনার মুখ থেকে শুনার ইচ্ছেটা তীব্র আমার।
– আচ্ছা,
– বলেন না,,,
– ভালোবাসি, খুব বেশি ভালোবাসি।
– জীবনে এই প্রখন আপনার মুখ থেকে ‘ভালোবাসি’ শব্দটা শুনলাম। আর এর অনুভুতি কখনো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্লিজ আরেকবার বলেন না।
– পারবো না,,
– প্লিজ শুধু আর একবার,,
– না,,,
– কেন?
– কারণ শব্দটা খুব দামি, বার বার বললে বিপরিত মানুষটার কাছে এটা সস্থা হয়ে যায়। ভালোবাসা হোক গোপনে, তবে সাগরের চেয়েও গড়ির।

সমাপ্ত……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here