“রূপগঞ্জের রূপসী” পর্ব- ২

0
1485

.
“রূপগঞ্জের রূপসী”
পর্ব- ২
(নূর নাফিসা)
উৎসর্গে – Imran Mahmudul
.
.
বিকেলে রূপসী শাওনকে ডাকতে তাদের বাড়িতে এলো।
“শাওন তুই কইরে?”
শাওন ঘর থেকে বের হতে হতে বললো,
“আইতাছি….! কি?”
“আয়, নদীর পাড়ে যামু।”
“আইচ্ছা।”
ইমরান ঘরের ভেতর থেকেই জবাব দিলো,
” আমরাও যাবো। নিবে আমাদের?”
ইমরানের মুখে এমন কথা শুনে রূপসী বিদ্রুপ স্বরূপ বললো,
“আপনাগো কি মাথায় কইরা নিমু!”
ইমরান হেসে উঠলো এবং বললো,
” না, আমরা হেটেই যাবো। তোমাদের সাথে যাওয়ার সম্মতি আছে কি না সেটাই জানতে চাইছি?”
” হু, চলেন।”
ইমরান, রিসাদ, রূপসী সাথে ৪জন ছোট ছেলেমেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এলো। নদীতে অল্প ঢেউ খেলে যাচ্ছে, আর মন ছোয়া মৃদু বাতাস বইছে। উত্তর দিক থেকে আগত হিমেল হাওয়ায় স্রোত বইছে দক্ষিণে। নদীর ধারে দাড়িয়ে আছে সারি সারি সাদা কাশফুল। হেলেদুলে নেচে যাচ্ছে তারা, ঘেষছে একে অপরের সাথে। কোনোটা ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে আবার কোনোটা স্থির দাড়িয়ে আছে। যেন ঝড়ের কবলে পড়লেও মচকাবে তবুও ভাঙবে না! পরিবেশটা অসম্ভব সুন্দর যা ইমরানের কাছে খুব ভালো লাগছে। মনের অনুভুতি দিয়ে অনুভবের সাথে মুখেও উচ্চারণ করে ফেললো,
“রিসাদ, অসম্ভব সুন্দর জায়গা। প্রকৃত বাংলার রূপ দৃশ্যমান এখানে।”
রিসাদ তার কথায় সায় দিয়ে বললো,
“হুম।”
রূপসী একটু ভাব নিয়ে বললো,
“হু, দেখতে হইব না কাগো গেরাম!”
ইমরান তার ভাবের বিপরীতে হেসে বললো,
” হুম রূপসীদের রূপগঞ্জ।”
অত:পর নদীর দিকে তাকিয়ে রূপসী নিজের মন থেকে একটা ছন্দ উত্তোলন করে বললো,
“থইথই জল
করে টলমল
নাইতে যাই চল
দেহমন করি শীতল!”
রিসাদ সাথে সাথেই মন্তব্য করলো,
“এ তো দেখছি গেছো রূপসী মহিলা কবি!”
তার মন্তব্যের বিপরীতে রূপসী খিলখিলিয়ে হেসে বাচ্চাদের সাথে যোগ দিলো। ইমরান এই মেয়েকে যত দেখছে ততই বিস্মিত হচ্ছে আর ততই মুগ্ধ হচ্ছে! একদম বাচ্চামো পরিলক্ষিত তার মাঝে। আজকালকার মেয়েরা কি এরকম হয়! মোটেও খুঁজে পাওয়া যাবে না এমন সহজ সরল বাচ্চামো স্বভাবের স্বাধীন বাংলার স্বাধীন মেয়ে! রূপসী বাচ্চাদের সাথে কাশফুল নিচ্ছে। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ানো প্রজাতির ছোয়া নিচ্ছে। গ্রামের সকল পরিবেশের সাথে যেন মানিয়ে চলে সে। বয়স ১৭/১৮ হলেও আচার-আচরণ পুরো বাচ্চাদের মতো। চলাফেরাও বাচ্চাদের সাথে। অথচ এ বয়সে মেয়েরা এসব বাচ্চা এবং বাচ্চামোতে উভয়ক্ষেত্রেই বিরক্ত হয়! গালে তার টোলপড়া হাসি, এলোমেলো এবং হালকা কুকড়ানো চুলগুলো বাতাসে উড়ছে। যেন প্রকৃতি তার রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে যাবে! ইমরান প্রকৃতির প্রেম নিয়ে ভাবতে গিয়ে নিজেকেই প্রকৃতির জায়গায় দাড় করিয়ে এক মুহুর্তের জন্য ভাবতে বসেছিলো সে ও কি প্রেমে পড়ে গেলো নাকি! মনের সাথে কথা বলে আবার মনে মনেই হাসলো সে। কারণ কি থেকে কি ভাবছে সে! ইমরানকে এমন ভাবনায় বিলিন হতে দেখে রিসাদ বলে উঠলো,
“কিরে তুই এমন চুপ হয়ে গেলি কেন? ”
ইমরান মৃদু হেসে জবাব দিলো,
“প্রকৃতির প্রেম উপলব্ধি করছি।”
“আহা! গায়ক থেকে এবার তোরও কবি হওয়ার ইচ্ছা জাগলো নাকি!”
ইমরান শুধু হাসলো তার কথায়। তাদের হাসি দেখে রূপসী বললো,
“আপনারা এমন হাসতাছেন কে? কাশফুল নিবেন?”
ইমরান এগিয়ে গিয়ে বললো,
“হুম।”
রিসাদও এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
“আসলেই রূপগঞ্জের জায়গা গুলো অনেক সুন্দর।”
রূপসী তার সৌন্দর্যের বর্ননায় আরও মাধুর্য মিশিয়ে দিতে বলে উঠলো,
“রূপগঞ্জের জায়গা তো এহনও দেহেনই নাই। আরও অনেক সুন্দর জায়গা আছে।”
ইমরান উৎফুল্লতার সাথে বললো,
“তাহলে তো যেতে হবে! কোথায় সেটা? নিয়ে যাবে আমাদের?”
“আইচ্ছা।”
রিসাদ বলে উঠলো,
“কবে? কাল যাবে?”
” না, কাল যাইতে পারমু না। কাল ঝোলাবাতি খেলমু।”
ইমরান বিস্ময়ের সাথে বললো,
“সেটা আবার কি?”
“আপনারা জাইন্না কি করবেন! এহন বাড়িত যামু। গেলে আহেন, না গেলে থাকেন। রাতে শিয়ালের লগে সই পাইতেন।”
“না, এতো সাহস নেই। আমরা ও বাসায় যাবো। চলো..”
রূপসী বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বললো,
” অই পুলাপাইন, আয়…”
রাতে ইমরান ও রিসাদ স্থানীয় চায়ের দোকান, রাস্তাঘাট ও শীতলক্ষ্যা ব্রিজের পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করে রূপগঞ্জের রাতের দৃশ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করলো। পরদিন খুব সকালে ঘুম ভেঙে গেলো ইমরানের। রিসাদ পাশেই লেপ মুড়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। সে রিসাদকে ঠেলে বললো,
“এই রিসাদ, ওঠ। রিসাদ….”
রিসাদ চোখ কাচুমাচু করে বললো,
“ধুর, ঘুমাতে দে তো! এতো সকালে উঠে কি করবো!
ঘুমিয়ে থাক।”
” তুই ই ঘুমা।”
ইমরান উঠে বাইরে বেরিয়ে গেলো। সূর্যের আলো এখনো দেখা যাচ্ছে না। বাইরে কুয়াশা পড়েছে সাথে হালকা ঠান্ডা বাতাস। সে মুখ ধুয়ে জ্যাকেট পড়ে হাটতে লাগলো। কোনো এক ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কুরআন তিলোয়াতের সুর ভেসে এলো ইমরানের কানে। খুব মিষ্টি কন্ঠ! এতো সকালে উঠে কুরআন পড়া কেবল গ্রামের মেয়েদের দ্বারাই সম্ভব। শহরের মেয়েদের ঘুম ভাঙে দশটায়। আর স্টুডেন্ট হলে কোচিং-এর জন্য সাতটা কি আটটায়। নামাজী পরিবারের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যাপার। সকাল সকাল এমন মিষ্টি কন্ঠে কুরআন তিলোয়াত ইমরানকে খুব টানছে! অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঘরের ছোট জানালা দিয়ে উকি দিলো সে।
জানালার বিপরীতে রূপসীকে দেখে সে অবাক! এতো সুন্দর করে কুরআন পড়তে পারে সে! কে বলবে সে পাগল! সে তো একটু এলোমেলো শুধু! প্রায় সব কিছুতেই পারদর্শী। কিন্তু কুরআন তিলোয়াত বেশিক্ষণ শুনতে পারলো না ইমরান। হয়তো রূপসী আর পড়বে না তাই রেখে দিচ্ছে। আজকের মতো শেষ। ইমরান আবার সামনে পা বাড়ালো। হঠাৎ রূপসী অন্যদিক থেকে সামনে এসে হাজির। কোমড়ে হাত রেখে ব্রু কুচকে বললো,
“অন্যের ঘরে এমনে চুপি দেন ক্যা!”
ইমরান কিছুটা থতমত খেয়ে বললো,
” তোমার কুরআন পড়ার শব্দ শুনে দেখার ইচ্ছে হলো মানুষটাকে। তাই আরকি!”
“আইচ্ছা, আর কোনোদিন এমনে চুপি দিয়েন না কারো ঘরে। তহন চোরের মতো চ্যাং ধোলাই খাইবেন।”
ইমরান মৃদু হেসে বললো,
” আচ্ছা আর দিব না। এই ঠান্ডা বাতাসে হাটতে বের হয়েছিলাম। যাবে একটু সাথে?”
“আইচ্ছা, দাড়ান আমি আম্মার কাছে কইয়া লই।”
এক দৌড়ে রূপসী চলে গেলো আবার চলে এলো,
“চলেন।”
“আচ্ছা।”
তারপর শীতের সকালে হাটতে ফসলের মাঠে নামলো দুজন। সরিষা ফুলে পুরো মাঠ ছেয়ে আছে। মাঝে মাঝে দু’একটা ক্ষেত ফাকা। মাঠের চারিপাশে তাকালে বৃহৎ বৃক্ষ দ্বারা সবুজে আচ্ছন্ন প্রকৃতি আর মধ্যখানে মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ! সবুজের মাঝে হলুদ প্রকৃতি দেখে ইমরান মুগ্ধ! পুরনোদিনের সিনেমাতেই কেবল এমন দৃশ্য দৃশ্যমান। নতুবা খুব কম লোকেরই সৌভাগ্য আছে স্বচক্ষে এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হওয়ার! দেখবেই বা কি করে! সবাই টাকার পেছনে ছুটে! টাকার খুজে পাড়ি জমায় শহুরে জীবনের দিকে! ভুলেই যায় একসময় সে এতো সুন্দর প্রকৃতির রাজা ছিলো! নিশ্চুপ হাটছে দুজন। ইমরানও কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। রূপসীও অতিরিক্ত কথা বলে তার মুগ্ধতায় বিরক্ত করছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর ইমরানই বললো,
“রূপসী, খুব ভালো লাগছে হাটতে।”
রূপসী একটু গম্ভীরমুখেই বললো,
“জুতা খুলেন।”
হঠাৎ এমন উক্তিতে ইমরান বিস্মিত হয়ে উচ্চারণ করলো,
“কি!”
“জুতা খুলেন।”
“কেন?”
“খুলতে কইছি, খুলেন।”
ইমরান জুতা খুলে রেখে বললো,
“ওকে, খুললাম। এবার?”
“হাতে নেন।”
“কি বলো! জুতা হাতে নিবো!”
“ক্যা, জুতা হাতে নিলে কি হইবো! আপনে কি গোবর পাড়াইয়া আইছেন এতোক্ষণ! যে জুতা হাতে ধরতে পারবেন না! পায়ে রাখতে পারলে হাতে নিতে সমস্যা কি!”
“অযথা হাতে নিবো কেন, সেটা বলো! এই ঠান্ডার মধ্যে খালি পায়ে হাটবো!”
“হু, আমিও তো খালি পায়ে হাটতাছি। তো কি হইছে!”
ইমরান জুতা হাতে নিয়ে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাটতে লাগলো। এবার উপলব্ধি করতে পারলো রূপসী কেন তাকে খালি পায়ে হাটতে বললো! অসম্ভব ভালো লাগছে। তার অনুভূতিটা হয়তো কাউকে বলে বুঝাতে পারবে না ইমরান। এতো মধুর অনুভব উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রূপসীকে একটা উপহার দেওয়া উচিত মনে হলো ইমরানের। সে ছয়-সাতটা সরিষা ফুল তুলে রূপসীর সামনে দাড়িয়ে বললো,
“পরিয়ে দেই?”
তার এমন ইচ্ছা ও উৎফুল্লতা দেখে রূপসী খিলখিলিয়ে হেসে বললো,
” আইচ্ছা।”
ইমরান ফুলগুলো রূপসীর কানে গুজে দিলো। খুব সুন্দর লাগছে তাকে। এতোক্ষণ যেন এই ফুলগুলোর ই অভাব ছিলো তার সৌন্দর্যে। পড়নে শাড়ি, কোমড়ে আঁচল গোঁজা, মাথায় এলোমেলো চুল, শিশির ভেজা খালি পা! ইমরান তার রূপে মুগ্ধ! সে মিষ্টি হেসে বললো,
“ধন্যবাদ রূপসী।”
“ক্যা?”
“এতো সুন্দর সকালে, শিশির ভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাটার অনুভূতি মনের গহীনে জাগানোর জন্য।”
“ও, আইচ্ছা। আপনারে ধন্যযোগ ফুলের লাইগা।”
“ধন্যযোগ! হা হা হা! খুব মজা করতে পারো তুমি।”
“এহন চলেন বাড়ির দিকে। আমার কাম আছে।”
“আচ্ছা।”
খালার বাসায় ফিরে নাস্তা করে আবার ঘুমিয়ে পড়লো ইমরান। বেশ কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর হঠাৎ চেচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেলো। ফোনটা নিয়ে দেখলো ১২টা বেজে গেছে। বাইরে বেরিয়ে দেখলো শাওনের বন্ধুরা এবং রূপসী চুলার পাশে বসে আছে। রূপসী রান্না করছে। খালা ও সাথে বসে আছে। ইমরান তাদের কাছে গিয়ে বললো,
“এখানে কি করছো? এ সময়ে কিসের রান্না?
রূপসী হাসিমুখে জবাব দিলো,
“ঝোলাবাতি খেলি”
কালও শব্দটা শুনেছে ইমরান কিন্তু বুঝেনি কিছু। তাই জিজ্ঞেস করলো,
“সেটা কেমন খেলা?”
“সবাই নিজের বাড়ি থেইকা চাইল, ডাইল, আলু, পেয়াজ যা লাগে সব নিয়া আইবো, তারপর একলগে রান্না করমু। এইডাই ঝোলা বাতি। বুঝছেন?”
“হুম বুঝলাম। এখন তো আমার ও খেলার ইচ্ছে হচ্ছে।”
“খেলবেন নাকি আপনেও!
” হুম।কিন্তু আমার বাসা তো দূরে। এসব নিবো কিভাবে!”
“আইচ্ছা, তাইলে ৩০টাকা দেন।”
“৩০টাকা!”
” হু।”
“আচ্ছা। এই নাও।”
রূপসী টাকা নিয়ে একটা পিচ্ছির কাছে দিয়ে বললো,
“ইমন, এই টাকা দিয়া মতি কাকার দোকানতে চারটা ডিম লইয়া আয়।”
ইমন টাকা নিয়ে চলে গেলো ডিম আনতে। রূপসী রান্না শেষ করে সবাইকে গোসল করে আসতে বললো। সেও নিজের বাড়িতে চলে গেলো। শাওনের সাথে ইমরান আর রিসাদও গিয়েছিলো পুকুরে, কিন্তু বাচ্চারা পানি একদম ঘোলাটে বানিয়ে ফেলেছে তাই বাসায় ফিরে চাপকলের পানিতে গোসল করলো। শীতের দিনে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা গরম পানিতে বেশ জমেছে গোসল। তবে কলে চাপ দিতে বাধ্য করেছে রিসাদকে! বেচারা দুজনের জন্য চার বালতি পানি ভরতে ভরতে হাপিয়ে গেছে!
কিছুক্ষণ পর রূপসী শীতল পাটি বিছিয়ে খাবার সার্ভ করলো। অনেক মেনু উপস্থিত এখানে! ইমরান ফোন নিয়ে ভিডিও করতে করতে মেনুর নাম বলতে লাগলো,
“ডিম ভেঙে-পেয়াজ ভূনা, চার রকমের শাক দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে একটা কচু শাক। বাকি গুলো চিনতে পারছি না। দাড়ান, রূপসীর কাছেই জেনে নেই… রূপসী কি কি রান্না করেছ? নামগুলো বলো…”
অত:পর রূপসী বলতে লাগলো,
“ভাত, ডাল, আলুর ভর্তা, শুটকির ভর্তা, সিমের ভর্তা, কচু শাক, হেলেঞ্চা, মালঞ্চা, কলমি শাক, ডিম ভূনা আর পায়েশ।”
রিসাদ বলে উঠলো,
“এতো কিছু! আমার তো জিভে পানি এসে পড়েছে! তাড়াতাড়ি দাও।”
ইমরান ধমকে বললো,
“অই, তুই খাওয়া শুরু করলি কেন? তুই কিছু দিয়েছিস? কিছু না দিলে তোর জোলা বাতি হবে না।”
“আহ! আপনার টাকায় খাই না। আমিও টাকা দিয়েছি! হুহ্!
রূপসী হেসে বললো,
“হু, উনার টাকা দিয়া পায়েস আয়োজন করছি।”
“অহ, আচ্ছা। আয় পায়েস মালিক, আয়েশ করে খা। রূপসী, এবার খেতে দাও। পেট কখন থেকে খাবারকে ডাকছে।”
রূপসী তাদের খেতে দিলো। রূপসীর হাতের রান্না খুব মজা। পায়েসটা তো অসম্ভব টেস্টি হয়েছে। পারলে খাবারের টেস্টটাও ভিডিওর সাথে সেভ করে রাখতো ইমরান। কিন্তু তা সম্ভব নয়। মেয়েটা সব কাজেই পারদর্শী! খেতে খেতে সেটাই ভাবছে ইমরান।
দুপুরের খাবার শেষ হলে সবাই যার যার বাসায় চলে গেলো। খাবার বেশিই রান্না করেছিলো। কিছু আম্মার জন্য নিয়ে গেলো এবং কিছু শাওনের মাকে দিয়ে গেলো। ইমরান রিসাদও খেয়ে ক্লান্ত, মনে হচ্ছে ৩বেলার খাবার একসাথে খেয়েছে। তাই বিশ্রাম নেয়ার জন্য আবার ঘরে এসে চৌকিতে শুয়ে পড়লো। আর শাওনের তো সারাদিন খোঁজই থাকে না। বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here