গল্পঃ- রুম নাম্বার ১০১,পর্বঃ- ১১ শেষ পর্ব
লেখা:- Rafsan Sydul
শায়লার বয়স তখন ১১। এত ছোট্ট মেয়ের উপর বাহাদুর শাহ্ এর নির্মম অত্যাচার বাকি ১০০ জন মেয়ের চোখে জ্বল এনে দিয়েছে। শায়লার উলঙ্গ শরীর রক্তে ভেজা। এক টুকরো কাপড় দিয়ে হালকা করে শরীর মুছে দেই আমি। মেয়েটা শক্ত ছিল খুব। উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার দিয়ে বললে “জালিম পাপি তোর এমন অত্যাচারের ফল ভয়ানক হবে। পোকামাকড় ও তোর মৃত্যুর পরে তোর লাশকে ভয় পাবে, চেয়ে থাকবি তুই তখন মানবদেহের বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক ধোঁয়া হয়ে।”
এতটুকু বলেই চুপ হয়ে যায় সে ছায়াটা। মহিমার চোখ ছলছল করছে। কাঁপা কণ্ঠে বললো তারপর কি হয়েছিল?
ছায়াটা আবার বলতে শুরু করবে এমন সময় ধুপের সাথে মেশাল আতরের গন্ধ সমস্ত মহল ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক সমস্ত মহল নিস্তব্ধ। সে ছায়াটাও অন্ধকারে মিলিয়ে গেছে।
নিঃশব্দে দেয়ালে হেটে চলা টিকটিকির পায়ের শব্দ ও খচখচ করে উঠছে। মহিমার গলা তখন শুকনো কাঠ প্রায়। চারদিকে সব অলৌকিক ঘটনা নিজেই সাক্ষী, এগুলো নরজ আন্দাজ কীভাবে করবে সে? আতরের তীব্র গন্ধে মহিমার বমি চলে আসছে, ঠিক তখনি প্রবেশ করে অন্তু। ঝাপিয়ে ওর গলা ধরে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিল মহিমা।
“কি হয়েছে মহিমা? এত উত্তেজিত কেনো তুমি? শরীরটাও বেশ ঠান্ডা দেখছি। কি হয়েছে বলো?”
মহিমা চুপ করে রইছে। মাথাটা অন্তুর বুকে লুকিয়ে রেখেছে। ভয় পেয়েছে অনেক। এতটা ভয় আজ পর্যন্ত পায়নি ও। যখন সে অন্ধকার ছায়ার নির্মম অত্যাচারের কথা শুনে, তখন নিজের মৃত্যুর ভয়ানক চিত্র নিজ মস্তিষ্কে গেঁথে ফেলে। ভয়ানক সে চিত্র। কিছুদিন আগেও এ ছায়ার মিলনে লিপ্ত ছিল মহিমা। অন্ধকারে বেশ উপভোগ করেছে সে। আজ ভয়ে তার হৃদপিণ্ড কাঁপছে যথারীতি। বারবার অন্তুর বুকে মুখ লুকাচ্ছে। অন্তু বলছে.
“কী হয়েছে মহিমা? এমন ঘাবড়ে আছো কেনো?”
“কোথায় ঘাবড়ে আছি? আমিতো তোমার বুকে মুখ লুকাচ্ছি একটু আড়াল হতে।”
“তা অসময়ে কেন। আজ বড্ড বিরক্ত লাগছে।”
আতরের গন্ধ মহিমার দম বন্ধ হয়ে আসছে, অন্তুর বুকে কিল মেরে বললো,
“আতরের গন্ধে তো পেট ব্যথা শুরু করছে, কি গন্ধ। ” বলেই নাক ধরে মহিমা। ‘নামাজে যাওয়ার সময় একটু দিলে হয় তাই বলে এত গাঢ় করে।”
অন্তু হাসছে মহিমার নাক বাঁকা করে রাখার ভঙ্গি দেখে। সে বললো
“আরে বাবা একজনার কবর দিয়ে এসেছি তো, একটা যুবতী মেয়ের। যান স্তন কাটা ছিল মেয়েটির, যৌনাঙ্গের কয়েক যায়গায় ছিদ্র। কেউ ইচ্ছে করেই এ ছিদ্র করেছে জানো?”
মহিমা চুপসে গেছে অন্তুর কথা শুনে, ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে ওর। মনে করিয়ে দিচ্ছে বাহাদুর শাহ এর অত্যাচারের কথা। মুহূর্তেই অন্তুকে চুপ করিয়ে দিতে নিজের ঠোঁট দুটো অন্তুর জোড়া ঠোঁট আঁটকে দেয়। চুপ হয়ে যায় সে, অন্তুকে যদি জিগ্যেগ করা হয় “পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল কিছুর নাম বলতে” অন্তু ওর ঠোঁট দুটোকেই ঠাই দিবে সেখানে।
এবার নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে ওর কাছ থেকে, সমস্ত চিন্তা ভয় নিমিষেই শেষ, মুখটা নিচু করে মহিমা বললো ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসো, আমি খাবার দিচ্ছি। বলেই চলে আসে মহিমা, আজ অন্যরকম মনে হচ্ছে অন্তুকে।
অনেকক্ষণ হয়ে গেছে সোহেল মহলের চারপাশে ঘুরঘুর করছে, না জানি কখন কি হয় সে ভয়ে। মহিমা তো জানে না অন্তুর আড়ালে লুকানো এক রক্তচোষার কথা।
রমিজ মিয়াকে আর দেখা যাচ্ছে না এ মহলে। বলে গেছিলো বাড়ি যাচ্ছি। আদৌও তা সম্ভব নয়। এ মহলের বাহিরে যেতেই, পুড়ে ছাই হয়ে উড়ে গেছে বাতাসে। অদ্ভুত এক শক্তি আর ছায়ার আহার যোগানে বেঁচে ছিলো রমিজ, বয়সের কোন হিসাব নেই। কত হয়েছে। মুক্তি মিলেছে তার।
অন্তু ঘুমিয়ে আছে, মহিমা ওর বুকের উপর মাথা রেখে নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে। হঠাৎ করেই দেয়ালের পাশের গুপ্ত ঘরের দরজা খুলে যায়। বন্ধ চোখে হাঁটতে থাকে মহিমা। মহিমাকে কন্ট্রোল করছে কোন অলৌকিক শক্তি। ওকে নিয়ে যাচ্ছে ওর গন্তব্যে। অন্তু ঘুমিয়ে, ক’বছর হয়ে গেছে এমন ঘুম ঘুমায় না সে। মিহিমা গুপ্ত ঘরের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে। অন্ধকার সে জায়গায় মহিমার পায়ের স্পর্শে আলোকিত হয়ে উঠে চারপাশ। চিকচিক করতে থাকে চারপাশের দেয়াল গুলো, দরজার উপরে খোদাই করে লেখা একেকটি রুমের নাম্বার, ১০০ টি রুম এ গুপ্ত ঘরে উপরে ১০১ নাম্বার রুম। সকল রুমের প্রান কেন্দ্র ওটাই। আস্তে আস্তে পা বাড়ায় মহিমা। সবগুলো রুম ফাঁকা কফিনে ভরা রুমের সামনে দাঁড়িতেই দমকা হাওয়ায় চোখ মেলে মহিমা।
চিৎকার দিয়ে ওঠে সে। যে চিৎকার শুধু মহিমার কান পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
উজ্জ্বল আলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে ছায়াটা। যে ছায়াটা ওর সাথে দেখা দিয়েছিল। পিছনে আরও ৯৯ টি ছায়া। অপরুপ সৌন্দর্য তাদের দেহ। মসৃণ দেহে সুগঠন ফিগার দেখে স্তব্ধ মহিমা। সে ভাবত তার ফিগার মগ্ন পুরুষ। তার ভাবনা ক্রমশঃ ভুল হচ্ছে। অন্ধকার ছায়ার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে মহিমা। নেশা লাগছে মনে, ছুয়ে দেখার আকাঙ্খা। ছায়াটা বললো,
“চলে আয় আমাদের জগতে। সবকিছু উপভোগ করতে পারবি, যখন খুশি তখন।”
“আমি এখন ছুঁতে চাই”
বেখেয়ালে কি বললো নিজেই বুঝতে পারেনি মহিমা। কঠিন সে মেয়েটা ক্রমশই দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। বলছে,
“আমাকে তো এখানে হওয়ার কথা নয়”
সে মুক্তি কামী অন্ধকার ছায়া গুলো গুমরিয়ে ওঠে।
“তোর নিথর দেহটা আমাদের।”
মহিমা চুপ করে আছে। চারদিক খুব সুন্দর করেই সাজানো। দেয়ালের কারুকাজগুলো একটু অদ্ভুত। মিলিত হওয়া দুজন মানুষ, মাঝারি বয়সের একজন পুরুষ ছোট্ট একটি মেয়ের সাথে মিলন ঘটিয়েছে, জোর করে। দেয়ালের চিত্র গুলো সেটার ঈঙ্গিত করছে। চারদিকেই একটি মেয়ে। শেষের একটি পাথরে একটা মেয়ে! নগ্ন দেহে ছুটে চলছে কোথাও পিছে সৈন্য দল।
তার নিচেই একটি কফিন।
ছায়াটা বললো “ওটা শায়লার জন্য বানানো ছিলো, মেয়েটাকে মুক্ত করে বাহাদুরের অমরত্ব লাভের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিয়েছিলাম আমরা”
মহিমা কেনো যেন হো হো করে হেসে ফেলছে।
“আমাকে কি বোকা মনে হয়? একটি ১১ বছরের মেয়ের সাথে মিলন ঘটিয়েছে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ। অমরত্ব লাভের স্বপ্ন নিয়ে অত্যাচারি এক পুরুষ। মানলাম আগে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে নিজের অমরত্ব লাভের চিন্তা করে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। আমি এটাও মানছি আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো। কিন্তু ১১ বছর বয়সে যদি শায়লা বাহাদুরের সাথে মিলন হয় তাহলে তো সোহেল আর সামাপ্রুর বয়স এখন দেড়শো পেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা? এক পূর্ণ যুবক যুবতী। এ কাহিনি কি আদৌও বাহাদুর শাহ এর নাকি সোহেল এর? আজও নিজের অমরত্ব লাভ করার লোভে আপনাদের কাছে আমার বলি দিচ্ছে?”
বলেই চুপ হয়ে গেছে মহিমা। কি বলছে এগুলো সে? চোখ তো সব দেখছে। উপভোগ করেছে। চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে সব অলৌকিক ঘটনা। তবুও মনের ভিতর এত প্রশ্ন কেনো জমছে?
ছায়াটা মহিমার নিশ্বাস গুনছে এতটা কাছে চলে আসছে। শক্ত পাথরের মত হয়ে আছে মহিমা। ছায়াটি নিঃশব্দে বলে চলছে। “তুমি যা দেখছো তা তোমার ভ্রম হতে পারে না। সব তোমার সামনেই ঘটছে। আর একটা সত্য তোমার জানতে হবে, সেটা পরে বলব। তোমাকে প্রস্তুত হতে হবে।”
“কী করতে হবে আমায়?” সংকোচ ছাড়াই কথাটি বললো মহিমা।
ছায়াটি বললো “তোমার শরীরের বাকি কাপড় গুলো খুলে ফেলতে হবে। স্বর্ণালংকার সব।”
মহিমা নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে আছে দু টুকরো কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। স্বর্ণালংকার খুলে পাশেই রাখে। বসে পড়ে ১০১ নাম্বার কফিনের পাশে।
ছায়াটি আবার বলতে শুরু করে।
“সেদিন! যেদিন শায়লার শরীরটা নিক্ষেপ করা হয় আমাদের মাঝে খুব মায়া জন্মেছিল ওর উপর। নিস্পাপ মেয়েটার উপর এমন অত্যাচার। ১১ বছর বয়স শরীরে তেমন কিছুই নেই। শুকনো মেয়েটার যখন দ্বিতীয়বার জ্ঞান ফিরে তখন আবার নিয়ে যায় বাহাদুরের পোষা লোক গুলো। তিনদিন ওর কোনো খোঁজ নেই। চিৎকারের কোনো শব্দ ও পাইনি আমরা। খুব চিন্তা হচ্ছিলো, চতুর্থ দিনের শেষ সন্ধ্যায় শায়লার শুকনো দেহটা নিয়ে আসে এ গুপ্ত ঘরে। চারদিন ধরে নির্যাতন করছে মেয়েটার উপরে। সারাদিন তাদের যৌনতার খিদে মিটিয়ে রাতের বেলায় কড়া ঔষধ দিত যাতে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে পারে, মৃত্যু যেন তার কাছে ঘেষতে না পারে। মানবিক দৈহিক অত্যাচার শুধুই অমরত্বের জন্য। পাষাণ বাহাদুর। শায়লার কাছ থেকে যখন তার অত্যাচারের কথা শুনি তখন দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকরে গেছি শুধু। গোসল করানো হয় শেষবারের মত আমাদের। একশো একজন চাকর আমাদের ক্ষত স্তন গুলো নিগড়ে ধুয়ে দিচ্ছে। শেষ সেদিন বাহিরের আলো দেখেছিলাম। আমাদের ফেলে রাখে গুপ্ত ঘরে, এমন কতদিন ছিলাম জানি না। একটা সময় খেয়াল করলাম পিছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে আলো আসছে সে রুমে। আমাদের সুগঠন দেহ তা দিয়ে বাহির হতে পারবে না। শেষে শায়লা বের হয়েছিল। ছেড়া ফাটা দেহ নিয়ে পালিয়ে গেছে শায়লা। সে রাতেই বাহাদুরের আমাদের বলি দেবার কথা ছিল। পারেনি সে ১০১ টি মেয়ের জীবন দিতে, আমরা তো ১০০ জন হয়ে গেছি, সমস্ত গ্রাম খুঁজেও পূর্ণ সতী মেয়ে পায়নি। ক্রুদ্ধ হয়ে বাহাদুর আমাদের জীবন্ত কফিনে পুরে রাখে। মৃত্যুটা সবার এ বদ্ধ কফিনেই হয়েছে। আর শায়লা তার জমজ বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল তার ২২ বছর বয়সে। কোনো পুরুষের মিলন ঘটেনি এ ১১ বছরে। আলৌকিক শক্তি বলতে আমি বা আমরা কিছুই বুঝি না। তবে অসম্ভব ছিলো এটা। বাহাদুর শাহ নিজের আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেও এ বদ্ধ রুমে কফিনের ভিতর জ্যান্ত প্রবেশ করেছিল। সে সফল। জীবিত থাকতেও আমাদের ভোগ করেছে, মৃত্যুর পরেও সেটাই করছে। কিন্তু কিছু যুগ ধরে সেটা আর পারছে না। সে বাহিরের জগতটাতে চলে গেছে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেনেছি শায়লা নামের এক মেয়ের হাতে আমাদের মুক্তি। আমরা নিজের শক্তি নিজেদের মুক্তি জন্য ব্যবহার করতে পারছি না। আমরা যে বন্দী।”
মহিমা নিস্তব্ধ। কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না। পিছনে কফিনের মুখটা খুলে গেছে আপনাআপনি। বাহিরের আকাশে মেঘ জমেছে। কালো অন্ধকার ছেয়ে আসছে এ শহরে। বাহিরে অপেক্ষারত সোহেল বুঝতে পেরেছে শেষ সময় চলে এসেছে। মন্ত্রপুত সুতো সম্পূর্ণ মহলের চারপাশে ঘিরে বেঁধে দিয়েছে। সময় এখন ভিতরে প্রবেশ করার।
মহিমা কফিনের একপাশে বসে, বলছে “এখন আপনাদের মুক্তি কীভাবে দেই?”
ছায়াটি হো হো করে হেসে বললো,
“তোর মৃত্যু”
বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে মহিমা। চমকে উঠেছে ও। ছায়াটি আবার বলতে থাকে।
“জ্যান্ত মৃত্যু”
মহিমা ছুটে পালাতে চায়। পারছে না সে। চারদিকে ঘিরে ধরেছে অতৃপ্ত আত্মারা। যারা অন্ধকার ছায়ার রূপে আটকে আছে এ বদ্ধ রুমে। ছায়াটা হো হো করে হেসে বলে।
“শেষ সত্য তোকে বলব বলছিলাম, তাহলে শোন, অন্তুর বেশে যার মিলনে সুখ খুঁজিস। সে মৃত। মানুষের খোলসে বাহাদুরের আত্মা।”
বলেই আবারও হো হো করে হেসে ফেলছে তারা। মহিমার বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের কথা। মুহূর্তে সবাই চুপসে যায়, পিছনেই অন্তু। তার ভিতরে শক্তিশালী সে আত্মা। কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই অন্তু সে আত্মার গলা টিপে ধরে। এক হাত ছায়া আবৃত কোমড়ে খামচে ধরেছে। মহিমা মুখ চেপে গুজে বসেছে। কি বলবে সে? বলার কিছুই নেই। অন্তু একা মানব দেহে ১০০ টি ছায়া আত্মার সাথে পেরে উঠছে না। একে একে সামনে পিছন থেকে ঘায়েল করতে থাকে অন্তুকে, ছাই হয়ে উড়তে থাকে অন্তুর দেহ।
সোহেল এসেই মহিমার পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে। চুলের ভিতর নিজের নাক ডুবিয়ে বলে, “বলছিলাম সেদিন, এভাবে যেন সামনে না আসতে।”
মহিমার ঘিনঘিন করছে সমস্ত দেহ। ছুটতে চাইছে তার হাত থেকে, পারছে না সে, বাহুবলে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ওর। সহ্য করতে পারছে না এ কষ্ট। দেহ চাহিদা মিটিয়েই মহিমার শ্বাসরুদ্ধ করে অর্ধ মৃত করে ফেলে। অন্তুর দেহ ছাই হয়ে বাতাসে মিসছে মহিমার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার সময়ও তাকে দেখছে এক নজরে।
মহিমার দেহটা কফিনে রাখে ঢাকনা আটকে মন্ত্র পড়তেই সম্পূর্ণ মহল ধসে পড়ে মাটির নিচে। চাপা পড়ে সোহেল।
সাতদিন পর একটি নিশ্বাস ফিরে পায় সোহেল।
তিনমাস পরে যখন চোখ খুলে সে, হাসপাতালের বেডে নিজেকে পায় সে। তার প্রাক্তন প্রেমিকা তার সামনে বসে হালকা হাসি মুখ করে বলে,
“এখন কেমন আছো সোহেল?”
সে উত্তর দেয়। “আমার নাম সোহেল না, মহিমা”
{ সোহেল শুরু থেকেই বাহাদুর শাহ এর আত্মার বিনাশের কাজেই ছিল তাই সব মন্ত্রপুত সুতো মহলে ঘিরে রেখেছে। আর অন্তুর দেহে বাহাদুর শাহ এর আত্মা থাকায় সহজেই ধংস করে ফেলতে পেরেছে বন্দি আত্মা গুলো। বাহাদুর শাহ এর আত্মার বিনাশ হওয়ার সাথে সাথে বাকি একশ আত্মার মুক্তি ঘটলেও ঘটেনি মহিমার আত্মার।
সমস্ত মহল ধংস হয়ে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে সোহেলের। আর সে সুযোগে সোহেলের শরীরে প্রবেশ করে মহিমার আত্মা।}
“সমাপ্তি”
আসলে কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা
সবকিছু গোলমাল লাগছ….
দয়া করে আমার একটা অনুরোধ রাখবেন
এটা শেষ হলো এই গল্পের জন্য দ্বিতীয় সিজন আসে