#তবু_ফিরে_আসা,পর্ব : (০৬)
লেখনীতে : তামান্না আক্তার তানু
(১৯)
শুভদিন আসতে আর বেশি দেরী নেই। বাড়ি সাজানো থেকে সব ধরনের আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে আদনান। কোথাও কোনো ধরনের ত্রুটি সে রাখবেই না, এমনভাবে দেখে দেখে ডেকোরেশনের আয়োজন সে করবে। সবাইকে এডভান্স টাকাও দিয়ে রেখেছে বিয়ের দু’দিন আগে থেকেই বাড়ি সাজানোর কাজ কমপ্লিট হবে। এজন্য আজ থেকেই সব কাজ শুরু। বিয়ে উপলক্ষে পনেরো দিনের ছুটি নিয়েছে আদনান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ঘরে-বাইরে দু’দিকের পুরো চাপ তার একার উপর। সব দায়িত্বই সে নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে। ছাদে বসে স্টেজের বিবরণ দিচ্ছিলো সে। নওরীনের পছন্দ অনুযায়ী স্টেজ সাজানো হবে। সে যেভাবে যেভাবে বলেছে আদনান প্রত্যেকটা আয়োজন সেভাবেই করছে। নওরীন খুশি থাকুক এটাই তার চাওয়া।
গত দশমিনিট ধরে ছাদে বসেই শ্রাবণের নাম্বারে ডায়াল করে যাচ্ছে অথচ স্টুপিডটা বার বার ফোন কেটে দিচ্ছে। কেন যে ফোনটা তুলছে না কে জানে! আদনানের মা এসে বেতের মোড়াতে বসলেন। ততক্ষণে তার কফি খাওয়া শেষ। কাপটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে আবারও পিছু ঘুরে বললেন,
“শ্রাবণকে জানিয়েছিস? কবে আসবে?”
“গর্দভটা ফোনই তুলছে না। যদি না আসে কী যে করবো আমি ওর, ভাবতেই পারবে না। ওর সামনে দিয়ে শেষে মেঘকে অন্যকারো হাতে তুলে দিব দেখো। ফাজিল ছেলে।”
“এভাবে বলছিস কেন? মেঘ তো বিয়ের জন্য রাজি নাও হতে পারে।”
“রাজি না হলে কার বাপের কী? যখন তার মা তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করবে তখন এমনিতেই রাজি হবে।”
“কিন্তু শ্রাবণের কী হবে?”
“ঘুরে মরুক ওই পাগলটা। ভালোবাসার মানুষকে বুঝতে না পারার শাস্তি তো ওকে পেতেই হবে। তুমি তো সব জানো মা। মেঘ কতটা কষ্ট পেয়েছে ওর আচরণে। তবুও যদি ওর সুবুদ্ধি উদয় হোক।”
“তোরাও তো ওর সঙ্গে অন্যায় করছিস। কই তাকে একটু সত্যটা জানিয়ে দু’জনের অভিমান সরানোর চেষ্টা করবি, তা না করে শ্রাবণকে ঘুরিয়ে মারছিস। এটা কি তোরা ঠিক করছিস?”
“মা প্লিজ। ওর হয়ে গুণগান গাইতে হবে না তোমার। আমার ওই গর্দভ বন্ধুকে আমার চাইতে বেশি তুমি চিনো না। মেঘকে ও নিজেই খুঁজে নিক। তবে হ্যাঁ, ওদের একসাথে করার জন্য আমার আর নওরীনের আলাদা প্ল্যান আছে। আপাতত ওর দৌড় দেখি। পরে সব বুঝেশুনে এগোবো।”
আদনান কথা বলতে বলতে আবারও শ্রাবণের নাম্বারে কল দিল। কিছু সময় পর শ্রাবণের নাম্বার থেকে একটা ম্যাসেজ এলো। তাতে লেখা, ‘জরুরী কাজে আছি, আধঘণ্টা পর কথা হচ্ছে।’ আদনান মুচকি হেসে ফোন রেখে আবারও কাজের দিকে মনোযোগ দিল। মা ততক্ষণে নিচে নেমে গেছেন।
(২০)
অনেকক্ষণ ধরেই চুপ মেরে বসে আছে মেঘ। পানির বোতলটা হাতে রেখে বার বার এদিক-সেদিক তাকিয়ে হাতঘড়িটা দেখে নিল। ভ্রু কুঁচকে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বলল,
“একঘণ্টার জায়গায় দু’ঘণ্টা হয়ে গেছে। তোমার দেয়া সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। আমি আসছি।”
বোতলটা শ্রাবণের হাতে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো মেঘ। শ্রাবণ ফ্যালফ্যাল করে কিছু সময় মেঘের দিকে তাকালো। কেন যেন খুব অস্বস্তি হচ্ছে তার! বুকের ভেতরটা কাঁপছে অনবরত। চাপা কষ্টটা বুঝি আর আটকানো যাবে না। এতক্ষণ ধরে মেঘের কাছাকাছি থেকেও মেঘকে সব বলার সাহস হলো না। অন্তত ক্ষমা তো চাওয়াই উচিত। মুখ ফসকে বলেই ফেললো,
“আমায় ক্ষমা করো মেঘ। আমি তোমাকে বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি।”
“আরে, ক্ষমা তো আমার চাওয়া উচিত। তোমার সাথে আমিই অন্যায় করেছি। তোমাকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ঠকিয়েছি। মিথ্যে পরিচয়ের মতো আমার ভালোবাসাটাও মিথ্যে, এটা তো তুমিই বলেছিলে না? যেখানে সব মিথ্যে সেখানে ভালোবাসা কীভাবে সত্য হয়? তুমি অযথা নিজেকে দোষ দিচ্ছো। আসল অপরাধী তো আমি। সে যাইহোক, ভালো থেকো। এরপর আর দেখা না হওয়াই ভালো।”
মেঘ দু’পা এগোতেই হাতের কবজিতে টান পড়লো। শ্রাবণ খুব শক্ত করেই হাতটা ধরেছে। মেঘ একবার শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে হাতের দিকে দৃষ্টি দিয়েই চমকে গেল। শ্রাবণের আঙুলে এখনও সেই আংটিটা শোভা পাচ্ছে, যেটা দু’বছর আগে এনগেজমেন্টের দিন মেঘ নিজে পরিয়েছিল। মেঘকে চমকে দিয়েই শ্রাবণ বলল,
“আমি তোমার স্পর্শে তোমাকে খুঁজে পেতে চাই মেঘ। প্লিজ ফিরে এসো। বিশ্বাস করো, তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে আমি ভালো নেই। একটুও ভালো নেই।”
মেঘ তাৎক্ষণিক কোনো জবাব খুঁজে পেল না। শ্রাবণ আবারও বলল,
“তুমিই তো বলেছিলে, আনিকার স্থানে নিজের জন্য জায়গা করে নিবে। তবে আজ কেন সেই শূণ্য জায়গাটা চিরদিনের জন্য শূণ্য করে ফিরে যাচ্ছো? নিজের আশ্রয়ে ঠাঁই নিতে চাও না?”
“নাহ্! অনেক দেরী হয়ে গেছে শ্রাবণ। এসব তুমি আরও আগে বললে হয়তো এই দুটো বছর আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যেত না। যখন সব হারিয়ে গেছে তখন আর সেসব ফিরে পেতে গিয়ে দ্বিতীয়বার নিজেকে ধোঁকা দিতে চাই না। আমি তোমাকে পুরোপুরি ভুলে গেছি। ভুলে গেছি পুরনো সব স্মৃতি।”
“মিথ্যে কথা। যদি সত্যিই তোমার মনে আমার জন্য অনুভূতি না থাকতো, তবে সেদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে না। ফোনে ওভাবে কেঁদে বলতে না, তুমি তোমার প্রিয় মানুষের কাছে ম্যাসেজ পাঠিয়েছো। সত্য কি জানো? আজও তুমি আমাকেই ভালোবাসো!”
“হাতটা ছাড়ো শ্রাবণ। যেতে হবে আমাকে।”
“যাবে, তার আগে আমার কথার জবাব দিয়ে যাও।”
“বললাম তো আমি সবকিছু ভুলে গেছি। কেন পুরনো কথা টেনে আনছো বার বার?”
“কারণ আমি আমার পুরনো মেঘকে ফিরে পেতে চাই। যে মেয়েটা কারণে অকারণে আমার উপর রাগ করে নিজেকে কষ্ট দিত, যার অস্তিত্বে একসময় আমি পুরোটা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ছিলাম। আমি আবারও চাই, তার অস্তিত্বে নিজেকে শামিল করতে। চাই তার ক্যানভাসে আঁকা রঙতুলিতে বেঁচে থাকতে। প্লিজ মেঘ ফিরে এসো। এত অভিমান করে থেকো না আর।”
মেঘ এবার হাসলো। চোখে আসা পানিটা আড়ালে মুছে নিয়ে জোর করে শ্রাবণের হাত থেকে নিজের ডানহাতটা ছাড়িয়ে সামনের দিকে হাঁটা দিল। পিছনে তাকিয়ে বলল,
“আমার অস্তিত্বে তুমি থাকলেও তোমার মাঝে আমি নেই শ্রাবণ। তাই আমি চাইলেও আর ফিরতে পারবো না। নিজেকে কতবার ঠকাবো? ভেঙে গেছি পুরোটা। আর তো ভাঙা সম্ভব না। তারচেয়ে তুমি এক কাজ করো, একটা মিথ্যেবাদীকে চিরদিনের জন্য ভুলে অন্যকাউকে মনে জায়গা দাও। দেখবে মেঘ সেখান থেকে সরে গেছে। সরে গেছে তার ভালোবাসাটাও।”
শ্রাবণ আবারও মেঘের পিছু হাঁটতে লাগলো। এই মেয়েটা কথায় কথায় এত রাগ করে যে, নিজেই জানে না সেই রাগে তার প্রিয় মানুষের প্রতি কতটা ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। অভিমান ভাঙাতে অনেক কাঠগড় পুড়াতে হবে তাকে, বুঝলো শ্রাবণ। তাই বাধ্য হয়ে মেঘের পিছন পিছন হেঁটে হেঁটে বলল,
“মেয়ে মানুষের এত রাগ অভিমান ভালো না বুঝলে। বেশি অভিমান জন্মালে একদিন না আবার সেই অভিমান করা মানুষটাকেই হারিয়ে ফেলো।”
“যে হারিয়েছে তাকে অনেক আগেই হারিয়ে যেতে দিয়েছি। নতুন করে আবারও হারাবো সেই সুযোগ নেই।”
“কিন্তু তবুও অনুভূতিকে চাপা দিতে পারোনি।”
“অনুভূতিকে চাপা দেয়া যায় না। অনুভবে মানুষ তার প্রিয়জনকে খুঁজে পায়। এজন্যই বার বার তাকে অনুভব করে কষ্ট পায়, আবার আনন্দও পায়।”
“তুমি কোনটা পাচ্ছো?”
“ঘৃণা!”
“হোয়াট?”
“হ্যাঁ, ঘুরতে যাচ্ছো যাও। তবে এটা জেনে যাও, মেঘ তোমাকে ঘৃণা করে। এটা ঠিক আমি অনুভব করি তোমায়। অনুভব করি আজও, তোমার দেয়া কষ্টগুলো। যখন আমি অন্ধকারে প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষায় থেকেছি, তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাবে, তখনও তুমি আসোনি। সিডনী যাওয়ার আগে এক মাসেরও বেশি সময় আমি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, তুমি ফিরবে এই বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তুমি ফিরলে না। যখন ওই ক্যানভাসগুলো আমি পুড়িয়েছি, তখন আমার হৃদয়টা পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা টের পেয়েছি তবুও তুমি ফিরোনি। আমার সমস্ত স্বপ্ন, সাধনা আর ভালোবাসাকে চেপে যেদিন সিডনী যাই, সেদিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি তোমার অপেক্ষা করেছি। তবুও তুমি ফিরোনি। অভিমান কি তোমার একার? অনুভবে কি তুমি একাই কষ্ট খুঁজে ফিরো? ভাগ্যিস বেঁচে থাকার জন্য সাহসের দরকার পড়ে নয়তো সব হারিয়ে বাঁচাটাও আমার জন্য মুশকিল হয়ে যেত। ওখানেই দাঁড়াও, আর এগিয়ো না।”
হাঁটতে হাঁটতেই মাঝ রাস্তায় জোর করে শ্রাবণকে থামিয়ে দিয়ে একটা ওভারে উঠে বসলো মেঘ। একপলক তাকিয়ে বলল,
“ভেবো না, আমি ওতটা দুর্বল নই। ভেঙে গুড়িয়ে গেলেও আত্মহত্যা আমাকে দিয়ে হবে না। ক্যানভাসে আঁকা মুখটা আমার বেঁচে থাকা, ওটাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। সব পুড়িয়ে ফেললেও এই হৃদয়ে যে ছবিটা এঁকেছি সেটা আজও ভুলিনি আর ভুলবোও না। সত্যি এটাও যে, বাস্তবে থাকা মানুষটাকে আর ফিরে পেতে চাই না। ড্রাইভার, উপশহর চলেন, এখানে আর কাজ নেই।”
মুখ ঘুরিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি দিল মেঘ। রাগে ক্ষোভে মাঝ রাস্তায় বসেই নিজের চুল টেনে ধরেছে শ্রাবণ। দাঁতে দাঁত চেপে চিবিয়ে চিবিয়ে বিড়বিড় করলো,
“এত জেদ তোমার। আমিও দেখে নিব, কতদিন পারো নিজের এই জেদ ধরে রাখতে। তোমাকে যে ফিরতেই হবে মেঘ। আমার কাছেই ফিরতে হবে।”
(২১)
বিছানার চারদিকে কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। সেইসাথে নিজের প্রয়োজনীয় সব জিনিস। মেঘ একটা একটা করে সবকিছু লাগেজে ভরছে। খালামনিও নিজের গোছগাছ কমপ্লিট করে নিয়েছেন। সবশেষে পাসপোর্টটা নিজের পারসোনাল ব্যাগে ঢুকিয়ে নিল। তখনই বাজলো ফোন। বিকেলবেলা টিকেট কনফার্ম করতে গিয়েই নতুন ফোন কিনতে হয়েছে তাকে। এই মুহূর্তে কার ফোন ভাবতেই স্ক্রিনে চোখ দিয়ে হাসলো মেঘ। কতদিন হলো ইরার সাথে কথা হয় না। জমিয়ে একটু আড্ডা দিতে পারলে মনটা হালকা হতো। ফোন রিসিভ করে বলল,
“কী রে, এত ব্যস্ত তোরা যে, আমাকে একটা ফোন করারও সময় তোদের হয় না! এদিকে আমি একা একা হাঁপিয়ে উঠছি। ভালো আছিস তো?”
“আমরা তো হেব্বি আছি। প্রতিদিন নিয়ম করে বাইরে ঘুরাঘুরি তো আছেই। সামি তো বড্ড পাগলামি করে আজকাল। তোর কী হয়েছে?”
“তেমন কিছু না। ব্যাগ গোছাচ্ছি। আগামীকাল ঢাকায় যাচ্ছি। বাবা-মাকে ছাড়া এভাবে থাকা আর হচ্ছে না আমার!”
“সত্যিই তুই বাড়ি যাচ্ছিস? থ্যাংক গড। অনেকদিন পর তোর সুবুদ্ধি উদয় হলো।”
“আর সুবুদ্ধি। বেশি বুদ্ধি দেখেই তো সব ছেড়ে পালিয়ে মরছি। তোরা দেশে আসবি কবে?”
“অনেক দেরী আছে। এখানে সব গুছিয়ে নিই তারপর একদিন হুট করে বাংলাদেশে আসবো।”
প্রায় ঘণ্টাখানেক ইরার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিল মেঘ। ফোন রেখে রাতের খাবারটা খেতে গেল। খালামনি এভাবে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি ফাঁকা করে যেতে চাইছেন না। কিন্তু মেঘের জেদের কাছে তিনিও আর মুখ খুলতে নারাজ। এভাবে মেঘকে একা পাঠাবেন এতেও সায় পাচ্ছেন না তিনি। তাই একরকম বাধ্য হয়েই মেঘের সঙ্গে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তাকে।
খুব ভোরেই এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেছে মেঘ। বাংলাদেশ বিমানে সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট লাগবে। মেঘের পাশাপাশি সিটে তার খালামনি বসলেও ওপরপাশের সিট ফাঁকাই ছিল। ফ্লাইটের কয়েক মিনিট আগেই লাগেজ নিয়ে বিমানে আরোহন করলো শ্রাবণ। মেঘের পিছনের যে সিট সেটাতেই বসলো সে। পাশের সিটে বসলে মেঘ রেগে বম হয়ে যাবে, এটা দিব্যি বুঝতে পারলো শ্রাবণ। আপাতত পিছনে বসেই জ্বালানো যাক। মেঘ শ্রাবণকে লক্ষ্য না করলেও কিছুক্ষণ পর যখন ফ্লাইট ছাড়ে তখন ক্লান্তিতে সিটে মাথা হেলিয়ে দিয়েছিল মেঘ। সিটটাও একটু পিছনের দিকে কাত করে দিয়েছে যেন ঘুমোতে সুবিধা হয়। মিনিট খানেক পর গালে সুড়সুড়ি টের পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে পিছনে তাকিয়েই চমকে যায় মেঘ।
“তুমি! এখানে কীভাবে?”
শ্রাবণ সামান্য হেসে মুখ এগিয়ে মেঘের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“যেখানে তুমি, সেখানেই আমি। ভুলে যাও কেন, তোমার আর আমার টানটা যে হৃদয়ের। হৃদয়ের সেই টানটাকে উপেক্ষা করে সিলেট পড়ে থাকি কীভাবে বলো? ভালো করেছি না?”
মেঘ কিছু বললো না। শুধু চোখ বড়ো বড়ো করে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে যত্তসব বলে মুখ ফিরিয়ে নিল।
চলবে…
(ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।)