এক_চিলতে_রোদ,Part_53,54

0
1185

#এক_চিলতে_রোদ,Part_53,54
#Writer_Nondini_Nila
#Part_53

চোখ বন্ধ করে একটা নিঃশ্বাস ছারলাম। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে আমাকে শক্ত করে ধরে চাচি বসে আছে। আর হাসি হাসি মুখ করে সবার সাথে কথা বলছে। তাদের মেয়ে পছন্দ হয়ছে এবার আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো, আমার ছেলে পছন্দ হয়েছে কিনা।
তারপর তারা বিয়ের কাজ শুরু করে দেবে‌। ভাইয়া আমায় সমস্ত বিপদ আপদে আগলে রেখেছে। আজ ও তিনি ঠিক আমাকে উদ্ধার করবে। সেই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু না ভাইয়া এলো না সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমি মাথা একবারের জন্য ও উঁচু করিনি। সবার জিজ্ঞেস করেছে আমার ছেলে পছন্দ হয়েছে কিনা। কিন্তু আমি উত্তরে একটা কথা ও বলিনি‌। চোখ তুলে তাকায় ও নি‌। যে ছেলেটাকে নিয়ে কথা হচ্ছে একবার ও তার দিকে তাকায় নি। আর তাকানোর ইচ্ছে ও নাই। সবাই আমার এসব দেখে অবাক হয়েছে। তা দেখে চাচি আমাকে দাঁত চেপে বলেছে,

‘ বিয়ে তো আজ দেবোই।’

তারপর সবার দিকে তাকিয়ে বলেছে,

‘ লজ্জা পাচ্ছে। খুব লাজুক আমাদের ঊষা। ওর খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু মুখে বলবে না। লজ্জায় তো তাকাতে পারছে না বলবে কি করে?’

পাশথেকে কেউ বললো, ‘ এতো লজ্জা পেলে চলবে। আমরা তো আপন মানুষ হয়ে যাচ্ছি। একদম আমাদের লজ্জা পাবে না।’

আমি ফুঁপিয়ে কাঁদছি নিরবে। ভাইয়া আসছে না। তাহলে কি আজ ভাইয়া আসবে না।আমি কিভাবে এসব আটকাবো। নিরবে সব মেনে নেবো? কিন্তু কিভাবে এই বিয়ে করাতো সম্ভব না।আমি কি করে অন্য কাউকে বিয়ে করবো। আমার জীবন তো ভাইয়ার সাথে জুড়ে গেছে। তাকে ছেড়ে অন্যত্র আমি বিয়ে করে নেবো।
ভাইয়া নেই তাহলে কে আটকাবে এসব। কে রক্ষা করবে আমাকে। কারো আশা করা উচিত না। আমার নিজেকে নিজে‌ই হেফাজত করতে হবে। করতেই হবে। আমি কি করে একজন এর স্ত্রী থাকার পর ও আবার ও বিয়ে করবো। এসব ভাইয়া আগেই বলতে চেয়েছিলো আমি বলতে দেয়নি। কিন্তু আমার এখন মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছি।
আমার উপর সব থেকে অধিকার ভাইয়ার। তার জন্য হলেও আমাকে এর প্রতিবাদ করতে হবে। মুখ খুলতেই হবে।
সব সময় সব সহ্য করলেও এটা মানা টা অন্যায় হবে। সব সময় ভাইয়াকে কেন আমার আগলাতে হবে‌ আমার ও তো কিছু দায়িত্ব থাকে।
আমি চোখ বন্ধ করে সেই দিনটা কল্পনা করলাম।

তিন্নি আপুর বিয়ের দিন রাতে।
একেতে রাতের অন্ধকার তার উপর ঝড়ের কবলে পরেছি। দমকা হাওয়া এসে যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাদের। ভাইয়ার হাত খামচে ধরে ভয়ে এদিকে ওদিকে তাকাতে তাকাতে এগিয়ে যাচ্ছে। চিকন সুরু রাস্তা দিয়ে। এই ঝড়ের মধ্যে ও আমরা থমকে দাঁড়িয়ে পরি একটা জায়গায়। হালকা আলো জ্বলছে।আর সেখানে বসে আছে পাঁচ ছয় জন মধ্য বয়স্ক লোক‌। তাদের থেকে এক বাজে গন্ধ নাকে এসে লাগল। আমি হাত বাড়িয়ে নাক মুখ চেপে ধরে ভাইয়াকে বললাম,

‘ কি বাজে গন্ধ! এটা কিসের গন্ধ ভাইয়া?’

ভাইয়া কিছু বললো না। আমার হাত শক্ত করে ধরে বললো,,’ চল এখানে থেকে।’

আমি চোখ ছোট করে ওইদিকে তাকিয়ে আছি। একপা সামনে এগুতেই তীব্র আলো এসে পরলো আমাদের দিকে।সাথে ককর্শ গলায় আওয়াজ‌।

ভাইয়া পেছনে তাকালো না। আমাকে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। আমি বললাম,

‘ আমাদের ডাকছে কেন?’

‘ জানিনা‌’

‘ কথা না বলে যাচ্ছেন কেন?’

‘ এরা ভালো লোক না।এদের সাথে কথা বলার দরকার নাই‌’

আমরা থামছি না দেখে তাদের হাঁটার আওয়াজ পেলাম আর একটা বাজে কথা যা শুনে ইহান রেগে গেলো।

পেছনে থেকে বলেছে,’ কে রে তুই মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করতে এসেছিস নাকি? ভালো আমাগো ও সাথে নে একা কেন করবি।’

ইহান রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো কিন্তু থামলো না বরং হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো। এরা মাতাল হয়ে আছে এদের সাথে টক্কর নিয়ে লাভ নেই সাথে অনেক জন এত জনের সাথে ভাইয়া পারবেও না একা‌।তাই এখানে দাঁড়িয়ে তাদের সাথে তর্ক না করে সরে পড়াটাই বেটার মনে করছে।
কিন্তু আমরা যা চাই তা কি হয় লোক গুলো এক প্রকার ছুটে এসে ঘিরে ধরলো আর টর্চ জ্বেলে আমাদের মুখে ধরলো। তারপর একজন বললো,

‘ এদের কে তো শহরের লোক মনে হচ্ছে।’

বলে সবাই কথা বলতে লাগলো। ভাইয়াকে বললো আমি ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড কিনা‌। ভাইয়া না বলে খুব ভদ্র ভাবে তাদের বললো,

‘ আমাদের যেতে দিন আমরা একটা বিপদে পড়ে এদিকে ঘুরছি। আমাদের গাড়িতে তেল শেষ হ‌ওয়ায় আমরা তার সন্ধান করছি। তার উপর ঝড়ের বেগে বেড়ে চলেছে। আপনারা আমাদের ভুল….

ভাইয়ার কথা শেষ করতে দিলো না। একজন বলে উঠল,,,

‘আমাগো এইসব বলার দরকার নাই। আমরা জানি এমন কতো দেখলাম। সবাই এইসব‌ই বলে।’

‘ কে কি বললো আই ডোন্ট কেয়ার। আমি সত্যি বলছি।আর ও আমার গার্লফ্রেন্ড না হবু বউ।’

‘ এই আরেকটা মিথ্যা কথা।’

শুরু হলো তর্কাতর্কি হঠাৎ একটা লোক আমার কাছে এসে হাত ধরতে চাইলো। আমি ভয়ে ভাইয়াকে আরেকটু শক্ত করে ধরলাম।

ভাইয়া এটা দেখে ধাক্কা দিয়ে লোকটাকে সরিয়ে দিলো। মাতাল লোকটা ভাইয়া ধাক্কা খেয়ে উল্টো হয়ে পরে গেছে। দুজন তাকে টেনে তুলতে গেলো আরেকজন ভাইয়ার সাথে লাগতে এলো। ভাইয়া নিচু হয়ে আমাকে ধরে দৌড় দিলো আমি ও দিলাম।
পেছনের লোক গুলোও আসছে। হুট করেই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। আমাদের গা ভিজিয়ে দিচ্ছে। তখন পেছনে ধপাস করে পরার আওয়াজ পেয়ে থেমে পেছনে তাকিয়ে দেখলাম। একটা লোক পরে গেছে। আমার পেট ফেটে হাসি আসছে আমি হাসছি ভাইয়া বললো,

‘ হাসা অফ করে তারাতাড়ি চল এখানে বিপদ।’

বলে এগালো। ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছি। তখন ভাইয়া একটা টিনের ছোট একটা বাসার মাটির উঠনে উঠে পরলো। অন্ধকার বাসা ঘরে থেকে একটু একটু আবসা আলো আসছে। বিদ্যুৎ নাই এই বাসায় বুঝা যাচ্ছে‌। আমাদের আওয়াজ হয়েছে সেটা শুনে ভেতরে থেকে কেউ কে কে বলে বেরিয়ে এলো। আর আমাদের অন্ধকারে ছায়ার মতো দেখে চোর বলে চিৎকার করে উঠল।
আমি আর ভাইয়া ভড়কে গেলাম। কিছু বলার আগেই পাশের বাসা থেকে দুজন পুরুষ মহিলা ছাতা হাতে লাইট নিয়ে এগিয়ে এলো। আর আমাদের দিকে ধরে বললো,

‘ আপনারা কে?’

বয়স্ক মহিলা চুপ করে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে। ভাইয়া আমার হাত ছেড়ে ওনাদের সব খুলে বলার জন্য এগিয়ে গেলো।

তখন বৃষ্টিতে ভিজে সেই ছয়জনের আগমন ঘটে ওইখানে। ভাইয়াকে কিছু বলতে না দিয়ে। তারা আজেবাজে কথা বলতে লাগে। ছিঃ কি নোংরা কথা না বলে। আর একটা লোক এগিয়ে নিজের লুঙ্গি হাঁটু তে উঠিয়ে কাটা দেখায়। ভাইয়া নাকি ধরা পরে তাদের মেরেছে। ভাইয়া আর আমার নাকি আপনারাই বুঝে নেন। একটা ছেলে মেয়েকে নিয়ে কি বাজে কথা বলতে পারে।লোক গুলোর কথায় তারাও আমাদের ভুল বুঝে।

একজন মহিলা বলে,’ তোমাদের দেখে তো ভদ্র ঘরের লাগছে তা এই সব ছিঃ। শহরের ছেলে মেয়ে গুলো এই রকম‌ই খারাপ। এই মেয়ের তোমার গার্জেন কেমন হ্যা রাতে একা ছেড়েছে।’

লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছে। শীতে কাঁপছি একেতে তার উপর এসব। ভাইয়া তাদের অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে আর এটাও বলে আমাদের ইনগেজমেন্ট হয়েছে। আমরা কাজিন সব কিন্তু তারা মানছে না। বাজে কথা বলছে আবার পুলিশের কথা বলছে ভাইয়া বলে,

‘ ডাকেন পুলিশ। আমি ওর কাজিন। ওর হবু বর। এটাই সত্যি। কিন্তু আপনারা বিলিভ করছেন না। এই মাতাল দের বাজে কথা শুনে। ও তো আমার বাড়ি থাকে চাইলে সেখানেই সব করতে পারি এখানে আসার কি দরকার।’

ভাইয়া যুক্তি কানে নিলো না তাদের কথা আমাদের বিয়ে করতে হবে। একজন বলে,,

‘ আচ্ছা ঠিক আছে। পরে যেহেতু বিয়ে হবেই। তাহলে আজকে করলে কি সমস্যা?একটা ছেলে মেয়ে রাতে একসাথে চলাফেরা করলে এমন বাজে কথা ওঠেই। আর তোমাদের মত শহরের ছেলেমেয়েরা আগে ধরা পড়েছে। তোমরা সত্যি মিথ্যা যাই বলোনা কেন বিয়ে যদি করো তাহলে এসব নিয়ে জলটা বেশি দূরে আর গড়াবে না।’

ভাইয়া বলে,,,
‘ আমি বিয়ে করতে রাজি শুধু ওর আঠারো বছর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আপনারা যদি চান আমাকে আজকে ওকে বিয়ে করতে। আমার কোন সমস্যা নাই।একবার কেন হাজার বার বিয়ে করলেও আমার সমস্যা নাই এই একজন মানুষকে আমি হাজার বার বিয়ে করতে রাজি আছি।’

ভাই এত তাড়াতাড়ি রাজি হতে দেখে মাতাল লোক গুলো ভীতু হয়ে গেলো। তারা চেয়েছিল ভাইয়াকে শাস্তি দেবে কিন্তু তা হলো না। বৃষ্টি কমে এগারোটার দিকে। তারপর আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় এক হুজুর এর মাধ্যমে। পাশের বাসার সেই মহিলাটা আমাকে তার একটা শাড়ী দিয়েছিল পড়ার জন্য কারন আমার ড্রেসটা ভিজে গিয়েছিল। সারারাত তাদের বাসায় থাকতে হয়েছে।সারারাত আমি স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই আমার মাথায় ঢুকলো না যেন। ভাইয়ের কোনো হেলদোল নেই সেই নিজের মতো আছে। পরদিন সকাল হতেই আমরা আবার নিজেদের ড্রেস পরে গাড়িতে আসি আর তারাই আমাদের গাড়ির তেল এর ব্যবস্থা করে দেয়। কিছুটা দূরে থেকে তেল সংগ্রহ করে আনে।

আমার হাত কেউ স্পর্শ করতেই চমকে ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলাম।
একটা মহিলা হাতে স্বর্নের বালা আমার হাতে পড়াতে চাইছে। আমি চমকে উঠলাম। আর কিছু না ভেবে আমি দাঁড়িয়ে পরলাম। আর চেঁচিয়ে বললাম,

‘ আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।’

আমার চেঁচিয়ে উঠা শুনে সবাই ভড়কে যায়। নতুন লোকগুলো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে এতোক্ষণ চুপ করে থাকা আমি হঠাৎ এমন বজ্র কন্ঠে চেঁচিয়ে উঠা দেখে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। চাচি চাচা দাঁড়িয়ে গেছে। চাচি আমাকে চোখ রাঙানি দিচ্ছে। ফারিয়া রেগে তাকিয়ে আছে।এখানে লতা, ভাইয়া আর দিহান নাই‌। এতো কিছু হচ্ছে ছেলেটার পাত্তা নাই‌‌। আমি চাচির চোখ রাঙানি দেখেও থামলাম না। বলেই গেলাম।

চাচি সবার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আমার কাছে এসে বললো,

‘ কি হচ্ছে এমন সিনক্রিয়েট করছিস কেন? চুপচাপ বসে পর।’

আমি জীবনের প্রথম চাচির সাথে উঁচু গলায় কথা বললাম। তার হাত আমার কব্জি থেকে ছাড়িয়ে চেঁচিয়ে বললাম,

‘ চাচীঃ আমি বিয়ে করতে পারবো না জোর করে আমাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো না প্লিজ।আমি তোমার সব কথা শুনব কিন্তু এই কথাটা আমি কিছুতেই শুনতে পারব না মরে গেলেও না।’

এবার চাচির পেছনে চাচা এস আমাকে দাঁতে দাঁত চেপে ধমকের সুরে শাসাতে লাগলো। কিন্তু আমি থেমে গেলাম না সবার মুখের উপর কড়া কড়া কথা বলতে লাগলাম। চেচাতে লাগলাম। আমি বিয়ে কিছুতেই করবো না।আমার এমন সবার সামনে চেচানো দেখে। দেখতে আসা ছেলের বাড়ির লোক গুলো নাক মুখ কুঁচকে অপমান করে বাসা ছেড়ে বেরিয়ে গেল।আমি একটা অভদ্র মেয়ে। আবার আমার অমতে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে এসব বল চাচিকে বকলো। তারপর তারা গটগট করে বাসা ছেড়ে থমথম মুখে চলে গেল। সেটা দেখেই চাচা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল সোফায়। অপমানে তার মুখটা লাল হয়ে গেছে। ফারিয়া আমাকে না না কথা বল বকতে লাগলো। চাচি রাগী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে গাল বরাবর ঠাস করে চড় মেরে বসলো।এতটাই জোরে চর দিয়েছিল যে আমি সোফার পাশে দাঁড়ানো ছিলাম বাম কাত হয়ে পড়ে সোফার হ্যান্ডেল এ বাড়ি গেলাম কপালে।

#চলবে

#এক_চিলতে_রোদ
#Writer_Nondini_Nila
#Part_54

অন্ধকার হয়ে আসছে আযান ও পরে গেছে।এতো তারাতাড়ি করেও সন্ধ্যার আগে এসে পৌঁছাতে পারলে না লতা। ওরনা গিঁট খুলে বেঁধে রাখা টাকা বের করলো। দশটাকা পাঁচ টাকা দুইটা নোট‌। ইহানদের বাসায় সামনে আসতেই অটো ড্রাইবার কে চেঁচিয়ে বললো লতা,

‘ খালুজান গাড়ি থামান।’

সাথে সাথে গাড়ির থেমে গেলো। লতা চট করে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। হাতে টাকা গুলো হাসি মুখে বাড়িয়ে দিলো আধ বয়স্ক লোকটার দিকে।তারপর আর না দাঁড়িয়ে পেছনে ঘুরে হাঁটা দিলো ভেতরে যাওয়ার জন্য।
ভয় পাচ্ছে লতা সকালে আব্বা যখন আসলো তখন কাউকে কিছু না বলেই তার সাথে চলে গেছিলো লতা‌। কি করবে মা রাতে নাকি এক্সিডেন্ট করেছে আর হাত ভেঙে গেছে। এসব শুনে লতার বুকে ভেতরটা হু হু করে ওঠে। কোন কিছু না ভেবে মায়ের কাছে ছুটে যায়। সারাদিন মায়ের কাছে থেকে এখন এসেছে। এখানে সবাই হয়তো চিন্তা করেছে। হাতে বকাও যে খেতে হবে জানে সব প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছে। চুপচাপ সব শাস্তি মেনে নেবে।ভেতরে আসতেই চোখ গেলো গেস্টরুমের বারান্দায় যে রুমটা দিহান ভাইজানের। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে দিহান‌। আর সিগারেট খাচ্ছে আঙুলের ফাঁকে নিয়ে। ওর চোখ যেতেই লক্ষ্য করলো লালসা ভরা চোখে তাকিয়ে আছি।লতা দ্রুত চলে গেছো। সদর দরজা খোলা দেখে কপাল কুঁচকে বললো,

‘ এই সময় দরজা খুললো কে?’

ভাবতে ভাবতে এগিয়ে আসতেই ককর্শ আওয়াজ গেলো ওর কানে। এটা তো ম্যাডামের আওয়াজ। এমন করে বকছে কাকে?

দৌড়ে ভেতরে আসতেই দেখতে পেলো চাচি ঊষার চুলের মুঠি ধরে বসা থেকে টেনে তুলছে। আর বলছে,

‘ তুই আমার ছেলের ঘাড় থেকে নামবি না শয়তানি। এতো কষ্ট করে এতো সুন্দর একটা প্লাণ করলাম। তোর মতো আপদকে আমার ছেলের জীবন থেকে সরাতে পারবো‌। কিন্তু তুই সব বানচাল করে দিলি। রাক্ষসি আমার ছেলের জীবন টা ধ্বংস করে ছারবি তাই না। পাত্র পক্ষকে এইভাবে অপমান করে তাড়িয়ে দিলি। তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো।’

বলেই ঊষার চুল টেনে ধরলো শক্ত করে। ঊষা ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠছে। লতা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে‌ কি হচ্ছে এসব কিছুই ও বুঝতে পারছে না। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মালতি কাকি( আরেককাছের লোককে জিজ্ঞেস করলো)

‘এসব কি হচ্ছে?’

তিনি সব বললো। সব শুনে লতার খুব কষ্ট লাগলো। সাথে রাগ ও এতো খারাপ কেন এই মহিলা অসহ্য।ইহান ভাইজান এখন এখানে থাকলে খুব ভালো হতো‌। কিছু করতে পারতো। আমরা তো কিছুই করতে পারবো না নিরবে দেখা ছাড়া।

ব্যাথায় আমার জীবন বের হয়ে যাচ্ছে যেন‌। আবার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখন।চাচি আচমকা আমার গলা চেপে ধরেছে।

‘ আজ আমি তোকে মেরে ক্ষান্ত হবো‌।’

আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পরছে। আজ কি এখানে মৃত্যু হবে। খুব ভয় করছে আমার। তখন চাচা এগিয়ে এসে চাচী কে এক প্রকার টেনে আমার কাছে থেকে ছাড়িয়ে নিলো।
আমি যেন জীবন ফিরে পেলাম। গলায় হাত দিয়ে খুকখুক করে কেশে উঠলাম।
চুল টানার জন্য মাথা ব্যাথা করছে আবার কপালে আঘাত সব মিলিয়ে আমার এখন মাথা ঘুরছে পরতে যাব ছুটে এসে লতা আগলে ধরলো।

আমি ছলছল চোখে ওর দিকে তাকালাম। ও আমাকে টেনে রুমে নিয়ে এলো। আর ওদিকে চাচি আমার যা নয় তাই বলে বকছে। চাচা তাকে বলছে,

‘ ওকে মেরে কি তুমি জেলে যেতে চাও নাকি?’

‘ছারু আমাকে আমি জেলেই যাব‌। তবুও ওকে আমি আমার ছেলের সাথে সহ্য করতে পারবো না।’

চাচা ছাড়েনি জোর করে টেনে রুমে নিয়ে গেছে।ফারিয়া ফুসফুস করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি বিছানায় শুয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছি। লতা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ফোন এগিয়ে দিয়ে বললো,

‘ভাইজানকে কল করে সব বল!’

আমি হাত সরিয়ে দিয়ে বললাম,’ সর। ‘

চোখ বন্ধ করে চোখের পানি ফেলছি। ও আমাকে জোর করে পানি এনে খাওয়ালো।

ভাইয়া এলো রাত নয়টায়। লতা গিয়ে দরজা খুলে দিলো। ভাইয়া দরজার ওপাশে লতাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো,

‘ কিরে তোকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলি কখন আর গেছিলি কোথায়।’

লতা বললো সব। আসার পরে এসবের সম্মুখিন হতে হয়নি‌। কারণ সবাই ঊষাকে নিয়ে বিজি ছিলো ওর দিকে কেউ নজর দেয়নি।

‘ তোর মা এখন ঠিক আছে তো?’

লতা বললো,’ হুম মুটামুটি।’

‘ তুই দরজা খুললি কেন? ঊষা কোথায়?’

কপাল কুঁচকে বললো ইহান। কারণ ও আসলে ঊষাকে দরজা খুলতে বলেছিলো। কারণ ও চায় সারাদিন পরিশ্রম করে এসে সবার আগে ঊষার মুখ দেখতে। যে মুখ দেখলেই ওর সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় নিমিষেই।
আজ ঊষাকে না দেখে অবাক হয়েছে।

লতা আমতা আমতা করতে লাগলো।
ইহান ওকে পাস করে ভেতরে গিয়ে দেখলো আশেপাশে আছে কিনা না। ড্রয়িং রুম জোরে ও তার ছায়া নাই‌। লতা ভাবছে কি ভাবে বলবে,

ভাইজান এসব শুনলে কুরুক্ষেত্র করে ছারবে। কিন্তু না বললেও তো ঊষাকে করা অন্যায় তার অজানা থাকবে। না বলাটাই উচিত।

ইহান আশেপাশে ঊষাকে নি দেখে ঊষার রুম যেদিকে সেদিকে রেগে তাকিয়ে আছে। সেদিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে তখন লতা দৌড়ে এসে ওর সামনে দাঁড়ালো।

‘কি হয়েছে এমন দৌড়াদৌড়ি করেছিস কেন?’

লতা একটা নিঃশ্বাস ফেলে গড়গড় করে সব বলে দিলো। সব শুনে তো ইহানের মাথা রক্ত উঠে গেল। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো। চোখ শক্ত হয়ে গেছে কপালের রগ ফুলে উঠেছে রাগে। লতা সব বলে পিছিয়ে গেলো। ভাইয়া কোন দিকে না তাকিয়ে আমার রুমে চলে এলো।
ইহান ঊষার রুমে এসে দেখতে পেল আঘাতে জর্জরিত মুখটা।ঊষা সবুজ রঙের কাতান শাড়ি পড়ে আছে এইটা ইহানের মায়ের দেখেই চিনে ফেলল ইহান। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে পিঠে ছড়িয়ে আছে। কপালের এক পাশে লাল হয়ে ফুলে আছে। চোখের কোনে জল চিকচিক করছে পুরো মুখটা লাল হয়ে আছে। শব্দবিহীন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ঊষা।

ইহান এগিয়ে এসে ওর বাম গালের দিকে তাকায়। যেখানে স্পষ্ট পাঁচ আঙুল ফুটে উঠেছে। আমি ভাইকে দেখে কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমি ফুঁপিয়ে যাচ্ছি। ভাইয়া আমার গালে আঙুল ছুঁয়ে দিলো। আমি কেঁপে উঠলাম ব্যাথা। খুব ব্যাথা করছে ভাইয়া সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিল।

আর আমার হাত শক্ত করে ধরে বিছানায় থেকে নামালো।
আর হাত টেনে বাইরে নিয়ে এলো। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু এইটুকু বুঝতে পারছি লতা সব বলে দিছে। আমার মাথা ঘুরছে। ব্যাথায় মাথা উঁচু করে রাখতে পারছি না। ভাইয়া রাগের চোটে সেদিকে খেয়াল নাই‌। আমাকে টেনে সোজা চাচা- চাচির রুমের কাছে চলে এলো।
আমার পেছনে লতাও আছে। ভাইয়া সোজা রুমে ঢুকেই চেঁচিয়ে উঠলো, ভাইয়া চেঁচামেচি শুনে চাচা চাচি দুজনেই চমকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।

‘ আম্মু তুমি ঊষার গায়ে হাত তুলেছো?’

রেগে থাকলেও খুব শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া। চাচি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে নিক্ষেপ করে রাগে গজগজ করতে করতে বললো,

‘ হুম মেরেছি। তো এখন এই মেয়ের জন্য আমার সাথে ঝগড়া করবি। কর কিন্তু আমি ওকে জীবন মানবো না। ওকে তোর লাইফ থেকে সরানোর জন্য যা করতে হয় সব করবো।’

‘ আম্মু তুমি কিন্তু সব কিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে গেছো।এসব করে একদম ঠিক করো নি। কোন সাহসে ঊষাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবলে। এ্যান্সার মি।’

ভাইয়া চিৎকার করে কথা বলছে তা শুনে ইলা আপু দিহান ফারিয়া সবাই ছুটে এসেছে চাচির রুমে।

ইলা আপু এগিয়ে এসে বললো,

‘ ইহান আম্মুর সাথে এভাবে কথা বলছিস। এই ঊষার জন্য। মা তোর ভালো চাই তাই ওকে বিদায় করে তোর যোগ্য লাইফ পার্টনার খুঁজে দিতো। ঊষা তোর জন্য পারফেক্ট না কেন বুঝিস না। আর ঝামেলা করিস।’

‘ প্লিজ আপু তোমার জীবন নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তাই আমার জীবন নিয়ে ও তুমি কথা বলতে এসো না। আর ঊষা আমার জন্য পারফেক্ট কিনা সেটা বুঝবো আমি। তোমরা না। কারণ সংসার আমি করবো। তাই আমার ভালো টা আমার দেখতে দাও‌। ঊষার সাথে আমার এনগেজমেন্ট হয়েছে। ও আমার হবু বউ ধরতে গেলে। তাও কোন সাহসে তোমরা ওকে অন্য জায়গায় বিয়ের কথা ভাবলে। আমাকে লুকিয়ে।’

‘সামান্য আংটি পড়ালেই বিয়ে হয়ে যায় না। হবু বউ, ব‌উ তো হয় নাই এখনও। তাই আমি এই আপদ টাকে তোর জীবন থেকে সরাতে চাইছিলাম। তোর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।এই রাক্ষুসী তোর জীবনে থাকলে তুই জীবনে সুখী হতে পারবি না। ওর রূপ চাকচিক্য দেখে তুই ওকে মেনে নিয়েছিস। কিন্তু একসময় তো নিজেরই মনে হবে তুই ভুল করেছিস।’

সম্পূর্ণ কথা শেষ করে চাচি থামল। এবার ভাইয়া আর নিজেকে শান্ত রাখতে পারল না বলেই ফেলল,

‘হবু বউ বলে তোমরা ওকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছো। তাই তো। ও আমার হবু বউ না হয়ে। শুধু বউ হলে এই কাজটা করতে না।’

চাচি বললো,, ‘কি বলতে চাইছি?’

‘এটাই বলতে চাইছি যে ঊষা শুধু আমার হবু বউ না। ঊষা আমারে বিয়ে করা বউ।’

এই কথাটা শুনে চাচি চোখ বড় করে ফেলল। আর এদিকে ফারিয়া চেঁচিয়ে উঠলো,,

‘বিয়ে করা বউ মানে? কি সব বলছো তুমি ইহান?’

ফারিয়ার সাথে সাথে চাচা ও এগিয়ে এসে বলল,,

‘হোয়াট তোদের বিয়ে হলো কবে আবার?’

চাচি ও এগিয়ে এসে বলল,,

‘ মিথ্যা বলছিস তুই! আমাদের মিথ্যা বলে এসব করাতে চাইছিস। যাতে তোদের আলাদা করা চেষ্টা না করি।’

‘ আম্মু আমি মিথ্যে বলি না। সেটা তুমি ভালো করেই জানো।’

‘ জানি কিন্তু এখন বলছিস। ।বলবি আর আমি তোর বানোয়াট কথা বিশ্বাস করবো অসম্ভব।’

‘এজ ইউর উইশ আম্মু। বাট আমি মিথ্যে বলছি না। আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমি আগেই এসব বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঊষা বারণ করায় আমার বলা হয়নি‌।’

‘আমি বিশ্বাস করি না।’

‘ তোমার বিশ্বাস না করায় তো সত্যি টা মিথ্যা হয়ে যাবে না তাইনা। যেটা সত্যি সেটাই সত্যি থাকবে।’
বলেই সেদিন রাতের কথা সব বললো।

চাচি হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠলো,’ এটা হতে পারেনা।’

বলেই চাচি ঠলে পরলো ইলা আপু কাছে না থাকলে ফ্রোরে পরে যেতো। আমি কপালে হাত দিয়ে সব দেখছি। চাচি জ্ঞান হারিয়েছে ইলা আপু ও ভাইয়া আম্মু বলে চিৎকার করে উঠেছে। আমি চেঁচাতে পারছি না কিন্তু ভয় পেয়ে গেছি। ভাইয়া আমার হাত ছেড়ে চাচির দিকে এগিয়ে যাবে তখন ফারিয়া ছুটে আসে চোখে পানি নিয়ে। আর সবার সামনে আচমকা ভাইয়ার কলার চেপে ধরে।

আমি চমকে তাকিয়ে আছি। ফারিয়া চেঁচিয়ে উঠে বললো,

‘ তুই ওকে বিয়ে করে ফেলেছিস। এটা হতে পারেনা‌ এটা কি করে করতে পারলি। আমি তোকে কতো ভালোবাসি জানিস। শুধু মাত্র তোর জন্য সবাইকে না জানিয়ে এই খানে এসে পরে আছি।তোকে পাবার আশায় আর তুই আমাকে ঠকিয়ে ওই মেয়েটাকে বিয়ে করে নিয়েছিস।’

‘ ফারিয়া আমাকে ছারো। কি অসভ্যতামি হচ্ছে? আর আমি তোমাকে ভালোবাসি না বলেছিলাম। তাও কেন এসেছো।এখন এসব করা মানে কি?এখানে ঠকানোর টা আছে।’

‘কেন বলবে? আর বললেই আমি মেনে নেবো তুমি ভাবলে কি করে।আমি তোমার জন্য কতোটা পাগল তুমি জানো না। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। প্লিজ আমার হয়ে যাও। ওই মেয়ে তোমার জন্য ঠিক না।’

‘ আমার লাইফের সিদ্ধান্ত আমি নেওয়ার দায়িত্ব তোমাকে দেয় নি। কলার ছার আমার মেজাজ খারাপ করবে না।’

‘ নো।’

ইহান রেগে জোর করে ছারিয়ে চাচির কাছে গেলো। চাচি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। অতি উত্তেজনায় জ্ঞান হারিয়েছে। আমি টলতে টলতে দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই লতা দৌড়ে পানি আনতে গেছে। ফারিয়া রাগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে। আমি চাচির দিকে তাকিয়ে আছি।
ফারিয়া আচমকা রেগে আমার কাছে এলো আর বললো,

‘ তোর জন্য আমার ইহান আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’

বলেই আমার চুল চেপে ধরলো আমি হাত বাড়িয়ে ছুটাতে চাইছি পারছিনা।ইহান কেবল মায়ের কাছে এসেছে সাথে সাথে ফারিয়ার কথা কানে এলো ও ঘুরে তাকানোর আগেই ফারিয়া একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেললো।

ইহান ঊষা বলে চেঁচিয়ে উঠলো।
ফারিয়া ঊষাকে ধরে দেয়ালে আঘাত করেছে জোরে মাথায়। ইহান ছুটে আসে চিৎকার করে। আর ফারিয়াকে ছিটকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফারিয়া ফ্রোরে বসে পরে।
ইহান ঊষার মুখ নিজের দুহাতে তুলে ধরে জ্ঞান হারানোর আগে আমি ভাইয়ার মুখটা দেখি‌।
ভাইয়া আমাকে ডাকছে বলছে,

‘ ঊষা, ডোন্ট ক্লোজ ইউর আইস এ্যাট অল। প্লীজ কিপ ইট ওপেন।’

ভাইয়ার কথা আমি রাখতে পারিনি। আমাকে চোখ বন্ধ করতেই হয়েছে।

ভাইয়া চোখের কোনে পানি নিয়ে ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,

‘ ঊষার যদি কিছু হয়। আই উইল কিল ইউ ফারিয়া। দিস ইস মাই প্রমিস।’

#চলবে

( ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here