Devil_love part_21+22

0
2463

#Devil_love part_21+22
#writer_কাব্য_মাহমুদ
#
সকালে,,,

—সকালে কাব্যর চোখ খুলতেই সে অবাক হয়ে যাই,কাব্য দেখে যে
তানিশা কাব্যর একেবারে শরীরের সাথে লেপ্টে রয়েছে,কাব্যর বুকের সাথে কাচুমাচু হয়ে একদম ঘুমন্ত পরীর মতো শুয়ে আছে,,আর তার উপরে আবার শার্ট-প্যান্ট পড়ে,যেটা না দেখে তার প্রশংসা করা যায় না,,
নিমিষেই কাব্যর রাগ দূর হয়ে গেল তানিশার ঘুমন্ত মুখটি দেখে,,,
–কাব্য তানিশাকে আরও কাছে টেনে জড়িয়ে নেই, তানিশার নড়ে উঠায় ঘুম ভেঙে যাই,ঘুম থেকে তানিশা কাব্যকে এমন করতে দেখে একদম লাফ দিয়ে উঠে পড়ে,আর এতে কাব্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই

তানিশাঃ আমি যা বলেছিলাম সেটা দেখছি এখন ঠিকই হলো(নিজেকে ঠিক করে)

কাব্যঃ মানে??(অবাক হয়ে)

তানিশাঃ মানে বুঝেননা নাকি বুঝতে চাইছেন না। আপনি আমাকে ঘুমের মধ্যে পেয়ে,ছিঃ

কাব্যঃ কী বলতে চাইছো তুমি??(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ এর পরেও জানতে চাইছেন কি বলতে চাইছি, আমার সাথে এটি কেন করলেন?

কাব্যঃ just shutup tanisha আমি তোমার মুখ থেকে আর কোন কথা শুনতে চাই না(কাব্য বিছানায় থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল)

—আর এদিকে তানিশা উঠে দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে

তানিশাঃ (যেভাবেই হোক আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে,, আর এখানে থাকা যাবে না,,এই devil নিশ্চয়ই আমাকে মেরে ফেলবে )
.
–কাব্য ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে তানিশাকে কিছু না বলেই বাইরে চলে গেল।

কাব্যঃ mr,tamim আমি বাইরে যাচ্ছি কাজ আছে আপনি ভালো করে চারপাশ খেয়াল রাখবেন,,আর ওই মেয়েটির জন্য কিছু পোশাক এর order দিয়ে দিয়েছি, বাসাই দিতে আসলে তাকে দিয়ে আসবেন ok(গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল)

তামিমঃok sir,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

—কাব্য গাড়ি নিয়ে সোজা তানিশাদের বাসাই চলে গেল।বাসাই পৌছে,টুংটুংটুং

আসমাঃ এই সুমি দেখত এখন আবার কে এলো (রান্নাররুম থেকে)

সুমিঃ হুম দেখছি,(দরজা খুলেই) দুলাভাই আপনি

কাব্যঃ হুম আমি,কেন আসতে দেবে না নাকি???

সুমিঃ কী বলেন,আসুন আসুন

–কাব্য ভিতরে প্রবেশ করে
.
কাব্যঃ আসসালামু আলাইকুম মা,ভালো আছেন??(তানিশার মাকে সালাম দিয়ে)

আসমাঃ(সালাম এর উত্তর নিয়ে) হুম বাবা ভালো,তুমি ভালো আছো,,আর দাঁড়িয়ে আছো কেন?বস।

কাব্যঃ ভালো আর থাকছি কোথাই আপনার মেয়ের জ্বালায়(বসে)

—তানিশার মা রান্না কমপ্লিট করে এসে বসল

আসমাঃ ও হ্যা, ও তো কিসব বল্ল,,,আমি কিছু মনে করি নি,আচ্ছা ও কেন ওই কথাগুলো বল্ল??

কাব্যঃ শুনলে হাসবেন না তো??

আসমাঃ আগে বলো,,হাসির কথা হলে তো হাসতে হবেই তাই না(মুচকি হেসে)

কাব্যঃ হুম,,জানেন আপনার মেয়ে কাল রান্না করেছে(মুচকি হেসে)

সুমিঃ কিহ্(ওর মার পাশে দাঁড়িয়ে)

আসমাঃ এটা কী করে করলে তুমি(অবাক হয়ে)

কাব্যঃ মানে???ও কী রান্না করেনি কোনদিন??(অবাক হয়ে)

আসমাঃ রান্না দূরে থাক,রান্না ঘরের কোথাই কী থাকে সেটাই জানেনা….

কাব্যঃ (তাহলে কালকে কী ও ইচ্ছা করে করেনি সেটা,মনে মনে)

আসমাঃ আচ্ছা রান্নাটি কেমন হয়েছিল???

কাব্যঃ হুম,,আমার তো বেশ ভালো লেগেছিল,মনে হয় মোবাইল থেকে বের করে শিখেছে!

সুমিঃ হুম,সেটাই হবে হইত,তা না হলে ও তো রান্নার রেসিপি জানেনা কেমন করে করা হয়,

কাব্যঃ হুম,,,আচ্ছা মা বাবা কোথাই??

তৌহিদঃ এই যে(সিড়ি দিয়ে নেমে) আসলে আজ ঘুমটা খুব বেশি হয়ে গিয়েছে আর কী( একটু হেসে) তা কী ব্যাপার সব কিছু ভালো আছে তো???(সামনের সোফায় বসে)

কাব্যঃ হুম বাবা সব কিছু ভালো আছে কিন্ত একটি কথা বলা দরকার তোমাদের।

তৌহিদঃ হুম বল””

কাব্যঃ আমি আমার আর তানিশার বিয়ে আগামী পরশু সেরে ফেলতে চাই।

—-কাব্যর এরকম কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যাই

আসমাঃ এতো তাড়াতাড়ি কেন বাবা?

তৌহিদঃ আসলেই তো নিজেদের মধ্যে আগে সব কিছু বুঝে নাও তারপর দিন দেখে বিয়ে দেওয়া হবে
.
কাব্যঃ না বাবা, আমি আপনার মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি পেতে চাই,ও যখন তখন কী করতে কী করে ফেলবে সেটা বলা যাই না, কারণ সে বয়স এর দিক দিয়ে বড় হলেও এখনও চঞ্চলতা ভাব কাটেনি, তাই তাকে আমি আর একদিন পরেই বিয়ে করব, আপনারা সকল ব্যাবস্থা করা শুরু করে দিন,ভালো অনুষ্ঠান করেই এই বিয়ে করা হবে,,

তৌহিদঃ আচ্ছা তুমি যা বলবে সেটাই হবে, কিন্ত তোমার বাবা মা তাদের বলেছ??

কাব্যঃ তাদের একটু জানিয়ে দিলেই তারা রাজি হয়ে যাবে, কারণ আপনার মেয়েকে তারা খুব ভালবাসে তাই তারা যেকোন সময় আপনার মেয়েকে ঘরে তুলে নিতে চাই।

তৌহিদঃ বাহ্ শুনে খুব ভালো লাগল,,আচ্ছা আমি সকল ব্যাবস্থা করে ফেলব তুমি চিন্তা কর না,
আচ্ছা গিন্নি আমার ছেলেটিকে কী শুধু কথাই বলাবে?? breakfast রেডি কর;

আসমাঃ হুম,শুধু তোমার ছেলে আমার ও ছেলে

কাব্যঃ হুম, আমি তোমাদের দুজনেরই ছেলে

—সবাই মিলে হেসেহেসে খাবার টেবিলে বসল

কাব্যঃ(এটা আমি কী করলাম!!আমি এখানে খেতে বসেছি আর আমার বউ ওইখানে না খেয়ে আছে,মনে মনে)

তৌহিদঃ কী হলো বাবা উঠলে কেন??

কাব্যঃ আমি একটু আসছি”(কাব্য একটু সরে যেয়ে,,তানিশার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এর order দেই,তারপর আবার চলে আসল)

কাব্যঃ একটু কাজ ছিল আর কী (চেয়ারে বসে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

সুমিঃ আচ্ছা ভাইয়া আপু আপনাকে কেমন জ্বালিয়েছে??

কাব্যঃ কই তেমন কিছু তো বলে নি(জ্বালিয়েছে মানে তোমার বোন তো আমাকে হেল করে দিয়েছে,মনে মনে)

আসমাঃ আসলে নতুন জাইগাতে ও ওরকমই করে,একটু শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে আর যখনই পরিচিত হয়ে যাবে তখন তাদের জান তেজপাতা করে দেবে

তৌহিদঃ হুম,আমার মেয়েটি ওরকমই, তোমরা কিছু মনে করবে না

কাব্যঃ কী যে বলেন বাবা,আমরা আপনার মেয়ের দুষ্টুমি গুলো পছন্দ করি বলেই তো তাকে বউ হিসেবে নিয়ে যাচ্ছি,,তাই সেটা নিয়ে আমরা বিরক্ত হবো কেন?

তৌহিদঃ আল্লাহর কাছে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে আল্লাহ আমাকে এমন একটা জামাই ও পরিবার দিয়েছে

আসমাঃ হুম হয়েছে এবার শুরু কর

—সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার পর, একসাথে মিলে অনেক আনন্দ ও কথা বার্তা বলে,,তানিশার ছোটবেলা কেমন ছিল তাদের পরিবার ও কাব্যর সম্পর্কে অনেক কথাই তারা জানাজানি ও হাসাহাসি করলো, আনন্দের মাঝেই দুপুর হয়ে গেল

কাব্যঃ বাবা এবার আমকে আসতে হবে

তৌহিদঃ সে কি এখন, আচ্ছা দুপুরের lunch করে যাও না

কাব্যঃ না বাবা আপনার মেয়ে বাসাই একা আছে তাকে রেখে আর থাকতে পারছি না

আসমাঃ ও তাই তো, আচ্ছা এতক্ষন মেয়েটি কী করছে,কাব্য তুমি তাড়াতাড়ি যাও ও তো কারোর সাথে কথা না বলে থাকতেই পারে না।

সুমিঃ হুম,যেয়ে দেখবে মোবাইলে গেম খেলছে

কাব্যঃ হুম, তাছাড়া আর কী, আচ্ছা আমি আসি

তৌহিদঃ হুম বাবা আসো,,,আর হ্যা ওর থেকে একটু বুঝে শুনে থাকবে একদম বুড়ি কখন কেমন দুষ্টুমি করবে বোঝা অসম্ভব।

কাব্যঃ হুম(একটু হেসেই সেখান থেকে বিদাই নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল)

—-কাব্য বাসার ভিতরে ঢুকে দেখে সকল Guard চারিপাশে ঘোরাফেরা করছে,সেদিকে কোন খেয়াল না করে, সে গাড়ি পার্ক করে, সোজা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে

কাব্যঃ কী হলো আপনারা এভাবে রুমে ছুটে বেড়াচ্ছেন কেন???(একজন Guard কে বল্ল

লোকটিঃ চুপ……
.
কাব্যঃ কথা বলছেন না কেন???(রেগে গিয়ে) mr tamim,mr tamim (জোরে চেচিয়ে)

তামিমঃ yes sir (সিড়ি দিয়ে দ্রুত নেমে)

কাব্যঃ কী হয়েছে এভাবে সবাই ছুটোছুটি করছে কেন?

তামিমঃ (মাথা নিচু করে কোন কথা নেই)

কাব্যঃ কী হলো কথা বলছেন না কেন?

তামিমঃ sorry sir(ভয় পেয়ে)

কাব্যঃ sorry কেন???(অবাক হয়ে)

তামিমঃ sir আমরা পারি নি

কাব্যঃ কী পারেননি ভালো করে বলেন(জোরে চেচিয়ে)

তামিমঃ sir আমরা চারপাশে ভালো ভাবে খেয়াল রেখেছি কিন্ত মেডাম যে কীভাবে পালিয়ে গেল আমারা বুঝতে পারি নি।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা


কাব্যঃ what ওর সাহস হয় কী করে এখান থেকে পালানোর??
(রাগে চোখ মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে কাব্যর) তোমাদের এখানে কী করতে রেখেছি,ans me (চেচিয়ে)ওইটুকু একটি মেয়েকে Guard দিতে পার না,তোমাদের সবাইকে আমি খুন করব(পাশে থাকা টেবিলে বাড়ি মেরে গ্লাস এর টেবিল ভেঙে ফেললো)
একজন গার্ড: sir,plz sir sorry sir.We locked at all sight but উনি যে এভাবে পালাবে এটা বুঝতে পারি নি(মাথা নিচু করে ভয়ে ভয়ে)

কাব্যঃ যেভাবে হোক ও কে তোমরা খুজে নিয়ে এসে দেবে আমার সামনে তাকে আমি চাই,(চিল্লিয়ে)
(পাশে থাকা সকল gourd ভয়ে চুপসে গেছে)


কাব্য সেখান থেকে সোজা রুম এ যেয়ে সব ভাংচুর করছে আর পুরো বাড়ি তার ভয়ে স্তব্ধ।

—তারপর কী হয়েছে সেটা তো জানেনই,চলুন তাহলে আবার ফিরে আসি,যেখানে কাব্য তানিশাকে ওয়াশরুমে শাওয়ার অন করে দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে।

—তানিশাকে ওয়াশরুমে দীর্ঘ ১ঘন্টা বন্ধ করে দেওয়ার পর

কাব্যঃ (নাহ আর পারছি না,, এভাবে নিজে কষ্ট পাচ্ছি আবার তানিশাকেও দিচ্ছি,মনে মনে)

–কাব্য সকল মান অভিমান কমিয়ে ওয়াশরুমের দরজা খুলে,দেখে একদম বড় ধরনের শক্ খাই
কাব্য দরজা খুলে দেখে তানিশা অজ্ঞান হওয়া অবস্থাই পড়ে রয়েছে

কাব্যঃ (তানিশা….জোরে চেচিয়ে)

–কাব্য দ্রুত তানিশার কাছে যেয়ে শাওয়ার অফ করে দিয়ে কোলে তুলে নেই,তারপর বিছানায় নিয়ে এসে শুয়ে দেই

কাব্যঃ এই তানিশা,তানিশা জান পাখি কী হলো তোমার?? (গালে হাত দিয়ে) না এভাবে আর রাখা ঠিক হবে না,সব চেঞ্চ করে দিতে হবে কিন্ত ভাবার সময় নেই আর ১দিন পর তো বউ হবে…

—কাব্য রুম আটকে দিয়ে, রুম এর লাইট বন্ধ করে দেই তারপর নিজে নিজে তার কাপড় খুলে ,শরীর ভালো ভাবে মুছে দিয়ে,,তারপর order করা কিছু পছন্দের জামা কাপড় তানিশাকে পরিয়ে দেই,, এবং দ্রুত তার পরিচিত doctor কে ফোন করে আসতে বলে।,,,কিছুক্ষণ পর doctor এসে check up করে।

doctor: এটা কেমন করে হলো mr kabbo ইনি এমন ঠান্ডায় কীভাবে শাওয়ার এর নিচে ছিল.??

কাব্যঃ আসলে সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী doctor আমার জন্যই এটি হলো,কেন যে রাগ ধরে রাখতে পারলাম না(কান্না করে)

doctor: ওহ আচ্ছা,,,,ভয়ের কোন কারণ নেই কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরবে,,আমি ওষুধ দিয়ে দিচ্ছি আর ঠান্ডা জ্বর তো হবে, ওনার সঠিকভাবে যত্ন নিবেন,যেনো কোনকিছুর কমতি না থাকে,,আর নরম জাতীয় খাবার খাওয়াবেন,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ আচ্ছা doctor thank you….
.
doctor: হুম,আর আরেকটি কথা, ওনার শরীর অনেক ঠান্ডা তাই গরম থাকাটা দরকার,,আসা করি আপনি বুঝতে পারছেন আমি কী বলতে চাইছি,,আর আপনি তো ওর husband,

কাব্যঃ হুম অবশ্যই।

doctor: আচ্ছা আমি তাহলে আসি,আর ওষুধগুলো ঠিক টাইমমত খেলেই কমে যাবে

কাব্যঃ ok doctor,, (কাব্য, doctor কে বিদায় দেই,তারপর কিছু খাবার এর order দিয়ে তানিশার কাছে দ্রুত চলে আসে)

কাব্যঃ sorry dear আমার খুব বড় ভুল হয়ে গেছে,আমি বুঝতে পারিনি যে এটা হবে,প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও(তানিশার হাত ধরে কান্না করে)

–কাব্য দেখে তানিশার শরীর একটু নড়ে উঠেছে,,এবং একটু একটু করে চোখ মেলে তাকাই,,কাব্যও বিজয়ের একটা হাসি দেই

কাব্যঃ এখন কেমন লাগছে dear(ব্যাস্ত হয়ে)

–তানিশা চোখমেলে তাকিয়ে কিছু বলবে সেই শক্তিও পাচ্ছে না,,,কাব্য দ্রুত তাকে একটু উপরে তুলে বসে দেই,

কাব্যঃ কেমন feel করছ

তানিশাঃ (একটু মাথা নেড়ে হ্যা সমন্ধন করে)

কাব্যঃ আচ্ছা একটু wait করো কিছুক্ষণপর খাবার আসবে খেয়ে ওষুধ খেয়ে নেবে,তারপর দেখবে ভালো হয়ে গেছ

—তানিশা কোন কথা বলে না,,কিন্ত কাব্য পাগল এর মতো হয়ে গেছে,,,,,কিছুক্ষণ পর খাবার দিয়ে যাওয়ার পর কাব্য সব কিছু রেডি করিয়ে তানিশাকে খেতে বলে

কাব্যঃ একটু মুখে দাও dear, না খেলে তো আরও শরীর খারাপ করবে(কাব্য তানিশার মুখের কাছে খাবার ধরলে সে খেতে চাই না)

তানিশাঃ খাব না(জোরে ঝাড়ি দিয়ে) আপনি পেয়েছেন কী আমাকে যখন ইচ্ছে আদর দেখাবেন আবার রাগ করবেন শাস্তি দেবেন,,আমি কী পুতুল আমার কোন স্বাধীনতা নেই(জোর করেই কথা গুলি বল্ল)

কাব্যঃ এসব কী বলছ তুমি

তানিশাঃ আমি বলতে চাইছি, আমি আর এসব এর ভিতরে থাকতে চাই না,আমি আপনাকে বিয়ে করব না,আপনি জোর করে আমাকে এভাবে আটকে রেখেছেন।
আর আপনি আমাকে বিয়ে করে কোনদিনও সুখী হতে পারবেন না(কথা বলে হাঁপিয়ে গেছে)

কাব্যঃ (কাব্য এতক্ষণ তানিশার কথাগুলো মন দিয়ে শুনছি,) (আসলেই তো আমি জোর করে কেন কিছু পেতে চাইছি,আর ওর ও তো একটা লাইফ আছে আমি কেন সেটা নষ্ট করব,আমার তো কোন অধিকার নেই কারোর জীবন নিয়ে খেলা খেলার,মনে মনে) তুমি আমার থেকে মুক্তি চাও তাইতো???

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ হ্যা(সরাসরি বলে দিল)

কাব্যঃ বেশ তোমাকে আমি তোমার পরিবারে দিয়ে আসব, কিন্ত তোমাকে সুস্থভাবে নিয়ে এসেছি সুস্থ করেই দিয়ে আসব,,রাজি??

তানিশাঃ হুম

কাব্যঃ আচ্ছা,,এবার খেয়ে নাও লক্ষী মেয়ের মতো(সামনে খাবার ধরে,

—তানিশা আর কোন কথা না বলে খেতে লাগল,অল্প কিছু মুখে নেওয়ার পর,

কাব্যঃ আর একটু নাও ডিয়ার

তানিশাঃ (মুখ সরিয়ে নিয়ে আর খেতে চাইল না)
।কাব্যঃ আচ্ছা আর খেতে হবে না, এবার medicine গুলো খেয়ে নাও

—কাব্য তানিশাকে medicine গুলো দিয়ে,,শুয়িয়ে দিল,তারপর কাব্যও তানিশার পাশে তানিশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল

তানিশাঃ আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেন??

চলবে,,,,,
#Devil_love
#writer_কাব্য_মাহমুদ
part-22
কাব্যঃ sorry dear শুধু মাত্র আজকের রাতটাই তোমাকে জ্বালাব, আগামীকাল তুমি ফিরে যেও

–কাব্যর কথা শুনে আর কিছু না বলেই ঘুমিয়ে পড়ল,কারণ সে অসুস্থ থাকাই বেশি কথা বলতে পারছে না।

কাব্যঃ (sorry dear বিয়ে তো আমি তোমাকেই করব তবে devil kabbo হয়ে নয় writer kabbo হয়ে )

—কাব্য তানিশাকে জড়িয়ে ধরে এক শান্তির ঘুম ঘুমালো

সকালে

তানিশা চোখ মেলে দেখে কাব্যর বুকের উপরে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে সুয়ে রয়েছে,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ (ইস্ কী লজ্জারে তানিশা এটা তুই কী করেছিস,এই ডেভিল এর বুকের উপর সুয়ে ছিলি সারারাত (জিহ্বায় কামড় দিয়ে),দেখতে পেলে তো তোর নিস্তার নেই,, আচ্ছা এতো ভালো লাগে এই জাইগাটি মনে হচ্ছে একটি শান্তি অনুভব করতে পারছি।দেখতে তো বেটা ডেভিল কিন্ত শরীরটা খুব ভালো ,কাব্যর দিকে চেয়ে,, ,মনে মনে,)

–তানিশা ধীরে ধীরে কাব্যর উপর থেকে সরে আসে,শরীর এখনও ঠিক হয়নি,,নিচে নেমে চলে যেতেই তানিশার ওড়নাই টান অনুভব করে।
তানিশা সেখানেই দাঁড়িয়ে যাই।
–তানিশা মনে করে কাব্য তার ওড়না টেনে ধরেছে, সে বিরক্তিভাব নিয়ে পেছনের দিকে তাকাতেই দেখে কাব্যর ঘড়ির সাথে তার ওড়না বেধে গেছে,
—তারপর সে ধীরে ধীরে কাব্যর কাছে যেয়ে ওড়না বের করার চেষ্টা করে

তানিশাঃ ধুর এইটা আবার এখনই হওয়ার ছিলো
–সে আস্তে আস্তে চেষ্টা করেও পারছে না
-আর এদিকে
-তানিশার খেয়াল নেই যে সে ওড়না ঠিক করতে যেয়ে তার চুল গুলো এলোমেলোভাবে কাব্যর মুখের উপর পড়ে আছে
–তানিশার চুল কাব্যর মুখের উপর পড়ে যাওয়াতে কাব্যর ঘুম ভেঙে যায়,, কিন্ত সে অনুভব করে যে তার নিস্বাসের সাথে একটি মিষ্টি ঘ্রাণ যাচ্ছে, যেটা তাকে ঘোরের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে, কাব্য হাত দিয়ে তানিশার চুল গুলো তার নাকের সাথে চেপে ধরতে চুলে টান লাগে যার কারণ তানিশাও টের পেয়ে যাই
–কাব্যকে এমন করতে দেখে তানিশা দ্রুত চুল ঠিক করে চলে যেতে চাই কিন্ত ওড়নাতে আবার টান লাগে।
–কাব্য বিষয়টি খেয়াল করে এবং সে রোমান্টিক এর ভিতর দিয়ে উঠে ওড়নাটি ছাড়িয়ে তানিশার দিকে এগিয়ে যাই,
–আর তানিশাতো পাথর এর মতো দাঁড়িয়ে পড়েছে।
–কাব্য তানিশার একদম কাছে এসে ওড়নাটি ঠিক করে দেই, আর তারপর তার পেটের উপর স্লাইড করে হাতটি রেখে গলার কাছে মুখ ডুবিয়ে দেই
–আর তানিশা কাব্যর এমন স্পর্শে কেঁপে উঠে

তানিশাঃ (এটা উনি কী করছে, আর আমি বাধা দিতে পারছি না কেন? উনার সব কিছু যেন আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে,মনে মনে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

–কাব্য তানিশার চুলের ভিতরে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নেই তারপর ধীরে ধীরে তানিশার গলার কাছে এসে একটি কিস করে আর তানিশা একদম বিদ্যুৎ চমকানোর মতো কেপে উঠে

তানিশাঃ (এটা কী হচ্ছে আমার সাথে আমি বাধা দিতে পারছি না কেন)

–কাব্য তানিশাকে একদম নিজের সাথে পেছন থেকে চেপে ধরে এক করে নেই,তারপর গলার সাথে মুখ এক করে দিয়ে কিস করতে থাকে।ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঘুরিয়ে

–তানিশা কাব্যর দিকে তাকায়, আর কাব্য নেশার চোখে তানিশার দিকে তাকাই, কাব্য তানিশার ঠোঁট এর দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাই, তানিশা কাব্যর নিস্বাস এর অনুভূতিতে চোখ বুঝে ফেলে
–কাব্য তানিশার এতোটা কাছে চলে এসেছে যে তারা একে উপরের প্রস্বাস অনুভব করতে পারছে ধীরে ধীরে তানিশার ঠোঁট এর সাথে কাব্যর ঠোঁট দুটো মিশে যাই আর সাথে সাথে তানিশা এক প্রকার অনুভূতিতে ডুবে যে তার চোখ দুটো বন্ধ হওয়ার বদলে সে তাকিয়ে যাই, কাব্য তানিশাকে একদম চেপে ধরে মিশে যাই আর তানিশা তাকিয়ে ফিল করে আর কাব্য একদম পাগলে মতো চুমু খেতে থাকে,
কাব্য তানিশাকে এতো কিস করে কিন্ত তানিশা কোনরকম কোন সারা দিচ্ছে না,কাব্য এক সময় তানিশাকে চেপে ধরে কোলের উপর তুলে নেই, আর তানিশা কাব্যকে জড়িয়ে ধরে

–কাব্য তানিশাকে কিস করতে করতে বিছানায় শুয়িয়ে দেই, তারপর এলোপাথাড়ি চুমু খেতে থাকে
আর তানিশাও নিজেকে ঠিক করতে না পেরে কাব্যর সাথে তালমিলেয়ে যাই।


কাব্য নেশার ঘোরে কিস করতে করতে তার মাথাই আসে

কাব্যঃ (এটা আমি কী করছি, কীভাব্বে এখন তানিশা, সে তো আমাকে ভুল বুঝবে,নাহ আর না)

–কাব্য সরাসরি তানিশার উপর থেকে উঠে বসে নিজেকে ঠিক করে নেই
–আর তানিশা তো হাপাচ্ছে, কিছুক্ষণ পর সেও কাব্যর পাশে বসে

কাব্যঃ যাও ফ্রেস হয়ে এসো, আর এটার জন্য স্যরি আমি আসলে বুঝতে পারিনি(মাথা নিচু করে)
–তানিশা সেখানে আর এক মুহূর্ত না থেকে সোজা ওয়াশরুমে চলে যাই তারপর

তানিশাঃ এটা কী করলি তানিশা, এবার তোর কী হবে
আমার তো সব শেষ করে দিলো
আম্মুনিইগোওও তোমার মেয়েকে এই ডেভিল শেষ করে দিল

কাব্যঃ নাহ্ এবার তো নিজের কাছেই খারাপ লাগছে.
একটা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি এসব কী করে বসলাম
(বিছানায় বারি দিয়ে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
–কাব্য ফ্রেস হয়ে বাইরে আসল এসে চুল আছড়ানো শুরু করল,আর কাব্য সেভাবেই বসে আছে।
তানিশা চুল আছড়ানোর পর মাথাই ওড়না আটতে যাবে আর তখন তার মাথাই আসে

তানিশাঃ আচ্ছা আমি তো কাল রাতে শাওয়ার এর নিচে ছিলাম,তারপর তো আর কিছু মনে ছিল না যখন জ্ঞান ফেরে দেখি খুব অসস্থ ছিলাম আর ডেভিল আমাকে খাওয়িয়ে দিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম,,সব ঠিক আছে কিন্ত কাপড় কে চেঞ্জ করল???????????(তানিশা কাব্যর দিকে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে)

–তানিশার তাকানো দেখে কাব্যরও চোখ পড়ে যাই তানিশার দিকে

কাব্যঃ কী হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন???

তানিশাঃ আপনিইইইইইইই(জোরে চেঁচিয়ে)

কাব্যঃ আমি কী??(না জেনে)

তানিশাঃ (কাব্যর কাছে দ্রুত এসে সোজা কাব্যর কলার চেপে ধরে) আপনি আমার সাথে আর কী কী করেছেন(সামনে পেছনে করতে করতে)

কাব্যঃ আমি আবার তোমার সাথে কী করলাম???

তানিশাঃ আপনি এভাবে আমার সব শেষ করে দিলেন এখন আমি কার সামনে মুখ দেখাব(বিছানায় বসে যেয়ে কপালে হাত বেচারীর)

কাব্যঃ কী করেছি সেটা বলবে তো,,আর আমি তো তোমার সাথে এমন কিছু করিনি যার জন্য তুমি সামাজে মুখ দেখাতে পারবে না,,শুধু মাত্র একটি কিস করেছি(বিছানায় থেকে উঠে ঝাড়ি দিয়ে)

তানিশাঃ (কাব্যর ঝাড়ি দেখেও ভয় না পেয়ে)।আপনি আমার সাথে কিছু করেননি মানে?? আমাকে এসব পরিয়ে দিল কে??আমি তো শাওয়ার নিয়েছিলাম তাহলে আমার কাপড় চেঞ্জ কে করল???

কাব্যঃ (এটা তো আমিই করেছি এটা বললে তো এই মেয়ে এখন ঘ্যানরঘ্যানর করবে) আয়াম্মি না মানে

তানিশাঃ কী না মানে৷ না মানে করছেন, সত্যি বলেন বলছি

কাব্যঃ আমি নিজে চেঞ্জ করেছি(একদম ফ্রেসভাবে বলে দিল)
.
#________________চলবে________________


#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here