Devil_love part:29

0
1615

Devil_love part:29
writer-kabbo mahmud

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কাব্যর বাবা-মা চলে যাওয়ার পর তানিশার বাবা-মা রুমে এসে বসল আর সুমি+তানিশা নিজ নিজ রুমে চলে গেল,
তানিশা: আমার ডেভিল বরটা কী করছে একটু দেখি তো
-তানিশা মোবাইল নিয়ে অনলাইনে যাই তারপর সকল notify বন্ধ হওয়ার পর কাব্যর ম্যাসেজ অপশনে যাই।
,
তানিশা: লুচু বর সব সময় অনলাইন থাকে কোন শাঁকচুন্নিরর সাথে কথা বলে এতো ?
,
–hi লিখে পাঠানোর একটু পর পরেই রিপ্লাই আসল
,
কাব্য: hello…আমার হবু বউ
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

,
তানিশা: (কাব্যর এমন বউ কথা শুনে তানিশার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল) hello আমার ডেভিল বর
,
কাব্য: (অপেক্ষা করো ডিয়ার তোমাকে ডেভিল এর আসল রুপ দেখাব ) আমার বউটা দেখছি আজ রোম্যান্টিক মুড এ আছে!!
,
তানিশা: হুম,জানেন আজ আমি খুব খুব খুশী,আপনি যে আমাকে এতো সুন্দর একটি উপহার দিবেন আমি কোনদিন ভাবিনি, আমি আজ খুব খুব হ্যাপি।
,
কাব্যঃ তোমাকে আমি আরো অনেক কিছু উপহার দেব ডিয়ার,,,(একবার কাছে পাই,মনে মনে)
,
তানিশা: আমার কাছে এটাই অনেক
,
কাব্য: আচ্ছা,,,বাসার সবাই ভালো আছে? আর তুমি কি করছ?
,
তানিশা: হুম,সবাই ভালো আছে। আর আমি তোমার মানে আমার আম্মু-আব্বুকে বিদাই দিয়ে রুমে আসলাম,
,
কাব্য: ওহ্,আচ্ছা তুমিতো সেজে রয়েছ তাইনা??
,
তানিশা: হুম কেন?
,
কাব্যঃ তোমাকে ওই রুপে দেখতে ইচ্ছে করছে একটা পিক দাও
,
তানিশাঃ না দেব না,
,
কাব্যঃ কেন?
,
তানিশাঃ আপনিও দেন আপনার পিক তাহলে আমিও দেব,,আবার আজকে আসলেনও না জানেন কতো কথা ছিল আপনার সাথে
,
কাব্যঃ sorry sorry ভুল হয়ে গেছে আমি চেষ্টা করেছিলাম কিন্ত আসা হলোনা
,
তানিশাঃ থাক আর বোঝাতে হবে না,
,
কাব্যঃ আচ্ছা আচ্ছা, তুমি নাহয় একেবারে আমার সাথে বাসর ঘরেই দেখা+যত কথা মন ভরে করো কেমন?
,
তানিশাঃ ওহ্ আচ্ছা? তাহলে আপনিও সেটা করেন?
,
কাব্যঃ কোনটা?
,
তানিশাঃ ওইযে বাসর ঘরে মন ভরে দেখেন,
,
কাব্যঃ আসলেই এই মেয়ে ঘাড়ত্যাড়া(রেগে গিয়ে),
plz দাও
,
তানিশাঃ না(মুচকি হেসে)
,
কাব্য: দাও নাহলে কিন্ত এটার শোধ অন্য ভাবে তুলব
,
তানিশাঃ কিভাবে?
,
কাব্যঃ রোম্যান্স করে (কী আর করার জানুটা মানলে না যখন,,,মনে মনে)
,
তানিশাঃ ইহহহ বললেই হলো আচ্ছা দিচ্ছি,
,
কাব্যঃ এইতো আমার গালিবি
,
তানিশাঃ হুম
,
–তানিশা নিজের পিক তুলে দেওয়ার পর–
,
কাব্যঃ আমার বউটা এতো সুন্দর আমি এর আগে খেয়াল করিনি এতো সুন্দর অপ্সরী কোনদিন ভুল করেও কষ্ট দেওয়া যাই না কিন্ত তোমাকে আমি একটু কষ্ট দেব জানুটা sorry,,কিন্ত সেটা আদর দিয়ে শোধ করে দেব
,,ইসস আজ কেন যে গেলাম না! যদি আব্বু-আম্মুদের মতো সেজে যেতাম।
,
তানিশাঃ কী হলো?? দেখতে কিচ্ছু ভালো না
,
কাব্যঃ ভাবছি
,
তানিশাঃ কী??
,
কাব্যঃ ভাবছি এটা যে–আমার কী সৌভাগ্য যে মহান আল্লাহ তা-য়ালা আমার জন্য এতো সুন্দর একজনকে জীবনে রেখেছেন,
,
তানিশাঃ ওতটাও সুন্দর না যতটা আপনি বলছেন
,
কাব্যঃ কিন্ত আমার কাছে ততোটাই
,
তানিশাঃ হইছে
,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যঃ হুম,,,আচ্ছা তুমি কলেজে যাও না?
,
তানিশাঃ হুম মাঝে মাঝে যাই,আর আমার বান্ধবী আছে নীলা তার সাথে সব কিছু জেনে নিই
,
কাব্যঃ হুম,ভালোভাবে পড়বে,
,
তানিশাঃ বিয়ে হলে আবার পড়ে?
,
কাব্যঃ হুম,অবশ্যই
,
তানিশাঃ না আমি পড়ব না
,
কাব্যঃ আচ্ছা দেখা যাবে। ফেসবুক কতদিন হলো ব্যাবহার করা?
,
তানিশাঃ এইতো 1year
,
কাব্যঃ oohh,,কত ফেমাস হয়ে গেছ,
,
তানিশাঃ মোটেও না ,একবার আপনাকে কাছে পাই তখন ফেসবুক চালানো বের করব। এতো শাঁকচুন্নি ফ্রেন্ড একটাও ছেলে পাই না,
,
কাব্যঃ বাব্বাহ কতো রাগ আমার বউটার,,
,
তানিশাঃ রাগ এর কী দেখেছেন? এখনো অনেক বাকি আছে,,,সব আপনার উপরে তুলব,কিন্ত আপনি কিছুদিন থেকে গল্প দেন না কেন? নিশ্চয় ওই শাঁকচুন্নি গুলোদের সাথে সারাদিন এসএমএস করে আর সময় পান না??
,
কাব্যঃ আমি কারোর এসএমএস সিন করি না, আর এই কিছুদিন অ
অফিস এর কঠিন কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছি যেন আমার বউটাকে সময় দিতে পারি,
,
তানিশাঃ বাব্বাহ কতো চিন্তা
,
কাব্যঃ হুম খুব
,
তানিশাঃ হুম যেনো থাকে কারণ আমিতো এমনিই একজনকে চেয়েছিলাম যে সব সময় আমার ভালো মন্দ বুঝবে,
,
কাব্যঃ হুম, সব খেয়াল রাখব তোমার
,
–তানিশা মা নিচে এসে খেয়ে নাও(তানিশার আম্মু ডাকছে)
,
তানিশাঃ এই আম্মু আমাকে ডাকছে,আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন,আর বাসাই কখন যাবেন?
,
কাব্যঃ এখনো অনেক দেরী
,
তানিশাঃ lunch করেছেন?
,
কাব্যঃ হুম কিছুক্ষণ আগে হয়েছে,
,
তানিশাঃ আচ্ছা নিজের খেয়াল রাখবেন আর আমি এখপ্ন আসি? আম্মুনিই ডাকছে যেতে হবে
,
কাব্যঃ হুম যাও
,
*-তানিশা নিচে যেয়ে সবার সাথে বসে খেতে লাগল
,
তানিশাঃ আচ্ছা বাবা তুমি অফিসে যাও না কেন?

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
,
বাবাঃ ছুটি নিয়েছি মামুনিই, তোমার বিয়ের পর করব অফিস
,
তানিশাঃ ওহ আচ্ছা
,
–তারপর আর কোন কথা না বলে খাওয়া সম্পন্ন করে রুমে আসল এসে এক লম্বা ঘুম
,
–সন্ধ্যাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে যাই তারপর অনেক রকম কথা আনন্দ করার পর পাঠলদের মাঝে একটি গল্পের পর্ব লিখল কারণ গল্প না দিলে আর পাঠক গুলোদের রাতের ঘুম হয় না সবার প্রিয় লেখিকা সে,,, গল্প দেওয়ার পর ঘুমাতে চলে গেল, good night……………
আজ ৬দিন পর সকালে
এই ৬দিনে অনেক আনন্দ-সংলাপ এর মধ্য দিয়ে তাদের দুটি পরিবার এক বন্ধন সৃষ্টি করে ফেলেছে,
আজ তানিশা ও কাব্যর পরিবার মিলে তাদের পরিবার শপিং করতে যাচ্ছে সাথে তানিশা আছে কিন্ত কাব্য যাচ্ছে না
,
বাবাঃ কী রে মা হলো??
,
তানিশাঃ হুম আব্বু চলো,(নিজেকে ভালো ভাবে দেখে সবার সাথে চলে গেল)
,
-সবাই মিলে গাড়িতে উঠে গাড়ি আপন গতিতে চলছে
–আজ তানিশা কাব্যর মায়ের রিকুয়েস্ট এর জন্য সে হিজাব পরে মুখ ঢেকে যাচ্ছে চোখ দুটো বেরিয়ে আছে
,
–কিছুক্ষন পর একটি বড় শপিং এর কাছে তারা পৌছাল গাড়ি পার্কিং করে সবাই নিচে নামল
,
–তারপর সবাই মিলে প্রবেশ করল
কিন্ত সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর তানিশা চারপাশে এদিক সেদিক এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে কোন দিন এসব দেখেছি, সকলে অনেক দূর চলে গেছে আর তানিশা সবার অনেক পেছনে।
হঠাৎ করে তানিশা কিছু একটার সাথে পা বেধে পড়ে যেতে গেলে কেউ তাকে আকড়ে ধরে
,
তানিশাঃ ওওহ মামুনিই গোওও (চোখ বন্ধ করে বলে কিন্ত যখন সে অনুভব করে কেউ তাকে ধরে আছে সে চোখ খুলে তাকাই এবং যা দেখে বড় ধরনের শক্ খাই)
,
–তানিশা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে কাব্য তাকে ধরে রেখেছে যেটা ফিল্মি স্টাইলে,
,
তানিশাঃ একি আপনিই? এখানে?(নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে)
,
কাব্যঃ (ভ্যাবাচেকা খেয়ে)কেন? এখানে কী শুধু আপনি একা আসতে পারেন?
,
তানিশাঃ না মানে হ্যা আসতে পারেন। আচ্ছা by
,(চলে যেতেই)
কাব্য: কেমন আছো??
,
–কাব্যর কথা শুনে তানিশা দাঁড়িয়ে যাই।
জানি তেমন সুন্দর ভাবে লিখতে পারি না কারণ তেমন ভাবে শব্দ গোছাতে পারি না তবে আস্তে আস্তে চেষ্টা করব

.
.

.
. . . . . . . . . চলবে . . . . . . . . .
.
.
.
.
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here