Devil_love part:30

0
2434

#Devil_love part:30
writer-kabbo mahmud

.
–কাব্যর কথা শুনে তানিশা দাঁড়িয়ে যাই
,
তানিশা: হুম ভালো’ আপনি ভালো আছেন?
,
কাব্যঃ হুম ভালো আছি খুব ভালো,
,
তানিশাঃ হুম ভালো থাকলেই ভালো(মাথা নিচু করে)
,
কাব্যঃ তা সব কী ভুলে গেছ?
,
তানিশাঃ কী ভুলে গেছি?(বিস্মিত হয়ে)
,
কাব্য: একটুও মনে নেই আমাই? মনে পড়ে না আর আমার কথা? এতো কিছু করলাম তোমার জন্য একটু মায়াই জড়াতে পারোনি?? তোমার মাঝে আমি এতো স্মৃতি রেখেছিলাম তা সব ভুলে গেছ?
,(করুন গলাই)
তানিশাঃ সেটা আমার অতীত ছিল অতীত আর অতীতকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাই না তাই আমি এসব মনে রাখি না(চোখে চোখ রেখে)
,
কাব্যঃ(তানিশার কথাই অবাক হয়ে) বাহ্ আজ তোমার আরো একটা রুপ দেখলাম এটা অবশ্য ভালই লাগল,,, আচ্ছা যেটা অতীত, অতীত ভুলে গেছ ভালো করেছ আমিও চেষ্টা করব ভুলে যাওয়ার কিন্ত আমার পক্ষে মনে হয় একটু কষ্ট হবে,( চোখের কোণাই একটু অশ্রু ছিল যেটা মুছে ফেল্ল কিন্ত তানিশার চোখ এড়িয়ে যেতে পারল না)
আচ্ছা তোমার hhusband কোথাই??(নিজেকে সান্তনা দিয়ে)
,
তানিশাঃ –তানিশার কোন কথা নেই,
,
কাব্যঃ কী হলো??
,
তানিশাঃ অফিস এর কাজে ব্যাস্ত তাই আসতে পারে নি!
,
কাব্যঃ হুম এর শোধ আমি নেব আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি সুখে থাকবে তাইনা??,(মনে মনে) ooh
,
তানিশাঃ আর হ্যা আপনাদে তো একটি কথা বলাই হয় নি,আগামীকাল আমার বিয়ে যার সাথে বলেছিলাম তাই দুঃখিত যে আপনাকে আমার আগেই দাওয়াত দেওয়া উচিৎ ছিল কিন্ত সেটা আমার খেয়াল নেই তাই প্লিজ কিছু মনে না করেন আগামীকাল আমার বিয়ের কাছে আসবেন””
,
কাব্যঃ তুমি না বল্লেও আসতাম কারণ তোমার আগেও আমাকে একজন বলেছে,
,
তানিশাঃ কে????
,
কাব্যঃ তোমার বাবা,মানে আমার বাবার বন্ধু আমরা সবায় আসব
,
তানিশাঃ ooh আচ্ছা
,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ হুম,
,
তানিশাঃ আচ্ছা চলুন আমার পরিবার এর সবাই এতক্ষণে খুজছে মনে হয়
,
কাব্যঃ হুম চলো–
,
–কিছুক্ষণ নীরবতার পর
,
তানিশাঃ আচ্ছা এখানে কেউ নেই কেন? আজকে কী শপিং করা বন্ধ???
,
কাব্যঃ হুম আমি বন্ধ রেখেছি
,
তানিশাঃ মানে? (অবাক দৃষ্টিতে কাব্যর দিকে তাকিয়ে)
,
কাব্যঃ মানে এটা আমার শপিংমল আমি এটার মালিক তাই বাবা-মা এখানে আসবে শুনে কোন অসুবিধে যেন না হয় তাই কাউকে আসতে দিই নি আজ বন্ধ
,
তানিশাঃ বাবা-মা আসবে মানে? কোথাই আপনার বাবা-মা?
,
কাব্যঃ আমার বাবা-মা মানে তোমারই বাবা-মা একবার যখন তাদের বাবা-মা বলে ডেকেছি তখন সারাজীবন বাবা-মা ই থাকবে।
,
তানিশাঃ ooh
,
–দুজনের মাঝে আর কোন কথা নেই হেটে চলেছে
,
কাব্যঃ কী বজ্জাত মেয়ে একটুও প্রশংসা করতে পারে না,, বিড়বিড় করে
,
তানিশাঃ কিছু বললেন?
,
কাব্যঃ না বলছি যে তোমাকে আজ সুন্দর লাগছে
,
তানিশাঃ ooh,
,
কাব্যঃ একদম বজ্জাত এর হাড্ডি বিয়ের পর বোঝাব আমি কি জিনিস,,(মনে মনে)(মুচকি হেসে)
–যেতে যেতে
,
তানিশাঃ আচ্ছা আমি তো মুখ ঢেকে আছি তাহলে আপনি আমাই কীভাবে বুঝে নিলেন??
,
কাব্যঃ মনের।মানুষকে চিনতে বুঝা লাগে না তার মনটাই বলে দেই এখানে তার প্রিয় কেউ আছে আমিও বুঝে ছিলাম তাই খুজতে চলে এসে পেয়ে গেলাম,
,
–কাব্যর এমন কথা শুনে তানিশা অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকাই আর কাব্য সোজা তাকিয়ে হাটছে তানিশা কিছু না বলে সামনে তাকিয়ে হাটতে লাগল,
,
–কিছুক্ষন পর তারা দেখল তানিশাদের পরিবার ও কাব্যর পরিবার মিলে হাসাহাসি করে সব কিছু পছন্দ করছে একটু পর তারা দুজনে মিলে তাদের সামনে গেল
,
তানিশার মাঃ কীরে তানিশা কোথাই ছিলি?? (কাব্যর দিকে খেয়াল করতেই) আরে বাবা তুমি এখানে??
,
কাব্যঃ কেন? এসে অসুবিধা হলো বুঝি?? আচ্ছা চলে যাচ্ছি তাহলে,
,
তানিশার মাঃ আরে আরে কী বলো? অসুবিধা হবে কেন? এসেছ ভালো করেছ, এবার আমাদের সাথে একটু কাজ করো কেমন?
,
কাব্যঃ কী কাজ??
,
তানিশার মাঃ এইযে আমার মেয়েটির জন্য কিছু পছন্দ করে দাও তাকে কোনটি পরিধান করলে সুন্দর লাগবে আর তোমারও পছন্দ-অপছন্দ আছে তাইনা??
,
তানিশাঃ আমার পছন্দ-অপছন্দ উনি জেনে কী করবে? আর আমার ভালো লাগা সেটা আমার husband বুঝবে উনি কি আমার husband?? আমাকে কোনটি পরিধান করলে সুন্দর লাগবে সেটা আমার husband বুঝবে উনি না(রেগে যেয়ে)
,
কাব্যঃ সেটা আপনাকে বুঝতে হবে না চলুন মা(তানিশার দিকে মুচকি হাসি দিয়ে)
,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যর মাঃ হুম বাবা তুমি এসো তো এখানে তুমিই বুঝবে একটি ছেলে একটি মেয়েকে কেমন বধূ রুপে পছন্দ করবে(কাব্যর দিকে তাকিয়ে একটি চোখ মেরে দেই) ,
,
–আর তানিশা তো এক পাজরে দাঁড়িয়ে রেগে ফুঁসছে
,
–কিছুক্ষণ পর
কাব্যঃ শান তোমাকে যেটা বলেছিলাম সেটা রেখেছ?(যিনি পোশাক বের করে দিচ্ছে)
,
শানঃ জ্বী স্যার (একটু পর) এইযে নিন স্যার
,
কাব্যঃ(হাতে নিয়ে) হুম ধন্যবাদ
,
তানিশার মাঃ এটা কী বাবা??
,
কাব্যঃ এটা আপনার মেয়ে মানে আমার বউ এর জন্য একটি উপহার(কানের কাছে আস্তে আস্তে বল্ল)
,
কাব্যর মাঃ হুম ভালো করেছ কিন্ত এটার ভিতরে কী আছে?
,
কাব্যঃ ওতো কিছু খুজা লাগবে না বিয়ের বেনারসি থেকে জুয়েলারি সকল কিছু এই গিফট এর প্যাকেট এর ভিতরে আমি রেখেছি
,
কাব্যর বাবাঃ এ হে বাপকি বেটা খুব ভালো করেছ একদম আমার মতো যাও দিয়ে এসো আর মনে তো হচ্ছে তোমাই গিলে খাবে খুব দুষ্টু আমার বউমা
,
কাব্যঃ হুম জীবনটা তেজপাতা করে ছাড়বে,
–কাব্যর এমন কথাই সবাই হাসতে লেগে গেছে
,
সুমিঃ যান যান দুলাভাই বোনটিকে সামলে আসুন
,
কাব্যঃ আস্তে আস্তে শুনে ফেললে আর কারোর রেহাই নেই
,
তানিশার বাবাঃ আচ্ছা বাবা তুমি যাও মেয়েটার সাথে একটু ভাব জমিয়ে নাও দেখা যাক পরে আবার কী ঘটে
,
–কাব্য সেখান থেকে একটু দূরে তানিশার কাছে গেল
,
কাব্যঃ এইযে ভদ্র মেয়ে
,
তানিশাঃ (অন্য দিকে তাকিয়ে ছিল-কাব্যর কথাই তার দিকে তাকাই)

তানিশাঃ জ্বী বলুন
,
কাব্যঃ এটা নাও
,
তানিশাঃ কী এটা???
,
কাব্যঃ এটার ভিতরে তোমার বিয়ের সকল কিছু আছে যদি কিছু মনে না করো তুমি কি আমার এটুকু আবদার রাখবে? বিয়ের সাজে তোমাই আমি এই পোশাকে দেখতে চাই মানে হোক না অন্য জনের সাথে বিয়ে কিন্ত দূরে থেকে নাহয় একটু দেখব পারবে না আমার এটি পূরণ করতে??
,
–তানিশা কাব্যর এমন কথাই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
,
তানিশাঃ এটা কী সেই আগের কাব্য?? তা কী করে হয় কিন্ত এতো পরিবর্তন কীভাবে? এতোটা পালটে গেল কীভাবে??(মনে মনে)
,
কাব্যঃ কী হলো লাগবে না??আচ্ছা বেশ তাহলে থাক(পেছন ঘুরে চলে যেতে যাবে)

,ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ দিন আমাকে আমি এটা গ্রহন করলাম
,
–তানিশার কথাই একবিন্দু হাসির বীজ উপন্ন হলো কাব্যর মুখে
,
কাব্যঃ ধন্যবাদ তোমাই(হেসে দিয়ে)
,
কাব্যর হাসি দেখে তানিশাও হেসে দেই
,
তানিশাঃ (তানিশার হাতে দেওয়ার পর) উফফ্ এতো ভারী?? ধরুন ধরুন আমি কী আপনার মতো বডি ম্যান নাকি যে এসব এক হাত দিয়ে ধরে থাকব?? নিন আপনি ধরে থাকুন
,
-তানিশার এমন ব্যাবহার সে অনেক দিন পর আবার দেখল
,
তানিশাঃ কী হলো??
,
কাব্যঃ না কিছু না দাও(জিনিসটি নিয়ে),,,,,আর তুমি যাও তাদের সাথে একটু পছন্দ অপছন্দের জিনিস খুজে দাও
,
তানিশাঃ এতোক্ষন যখন আমিই ছাড়া সব কিনেছে এখনো পারবে””(রেগে যেয়ে)
,
কাব্যঃ হুম কিন্ত তোমার শশুর-শাশুরি আছে তাদের জন্য একটা কিছু পছন্দ করে দিন
,
তানিশাঃ –কাব্যর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে–
,
কাব্যঃ কী হলো?? মন্দ কিছু বললাম??
,
তানিশাঃ আসলেই তো আপনার বুদ্ধি আছে বটে আমি তো এটা ভেবে দেখি নি
,
কাব্যঃ কেন? এর আগে বুদ্ধি ছিল না??
,
তানিশাঃ হুম ডাইনোসর ছিলেন একটা শুধু চিল্লাতে জানতেন
,
কাব্যঃ কী?????(রেগে যেয়ে)
,
–কাব্যর আর কোন কথা না শুনে তানিশা তাদের কাছে যাই তারপর সব কিছু কাজ সম্পন্ন করে বাসাই ফেরে আর তানিশাদের পরিবার একটি গাড়িতে চলে আসে আর কাব্যর পরিবার মানে দুটি কাব্যই এক শুধু তানিশা জানেনা কাব্যকে বাসাই পৌছে দিতে বলে মানে তাদের সাথে কাব্যও চলে গেল,,
মনে যেভাবে বলছে সেভাবে লিখছি আর ভুল-ত্রুটি জানি অনেক আছে
কী করব ঠিক করতে পারি না
.
.

.
. . . . . . . . . চলবে . . . . . . . . .
.
.
.
.
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here