প্রণয়ের_ঢেউ #Part_01

0
1560

#প্রণয়ের_ঢেউ
#Part_01
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

“পড়ালেখার বদলে যে তুই প্রেম নিবেদন করে বেরাস তা কি আঙ্কেল জানে? তাও আবার সস্তা প্রেম।”

অরণ্য ভাইয়ার কন্ঠ শোনা মাত্র পিলে চমকে উঠলো দ্যুতি। ক্ষণেই ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতেই অরণ্যের রক্তিম চোখ দু’টি চোখে পড়তেই গলা শুকিয়ে আসলো তার। সে কোন মতে অস্ফুটস্বরে বলে উঠে,

— ভাইয়া আমি..

কিন্তু কথা শুরু করার আগেই অরণ্যের রাম ধমক খেয়ে সে চুপ বনে যায়। ক্ষণেই হাতে থাকা গোলাপটি মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে থাকে। অরণ্য দ্যুতির পাশ কাটিয়ে সামনে থাকা ছেলেটির পিঠ চাপড়ে দাঁত চিবিয়ে বলে,

— নাইনে পড়ো তাই তো? ঠিক মত বয়ঃসন্ধিকালে পাও রাখলা না, আর এখনই প্রেম প্রেম পাচ্ছে? বড় বড় ভাব চলে এসেছে নাকি?

অরণ্যের কথা শুনে রিয়াদ ঘাবড়ে যায়। আমতা আমতা করে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অরণ্য এক ধমক দিয়ে বলে,

— এইসব প্রেম নিবেদন করতে তোমাকে কোচিং-এ পাঠিয়েছে তোমার আম্মু? এখনই ভিতরে চলো, স্যারকে বলে তোমার আম্মুর নাম্বার নিচ্ছি। তোমার আম্মুরও জানার অধিকার আছে তার সোনার চান্দ কোচিং-এ কি কি করে বেরাচ্ছে চলো।

এই বলে অরণ্য রিয়াদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যেতেই রিয়াদ আকুতি স্বরে বলে উঠে,

— এমন করবেন না ভাইয়া। আপনার পায়ে ধরি। আম্মু জানলে খুব মারবে। প্লিজ ভাইয়া আম্মুকে কিছু বলবেন না।

অরণ্য বাঁকা হেসে বলে,

— এই কলিজা নিয়ে প্রেম করতে আসছিলা ওর সাথে?

কথা শেষে দ্যুতিকে ইশারা করতেই দ্যুতি নড়েচড়ে উঠে। ভয়ে দুই হাত একসাথে কচলাতে থাকে। রিয়াদ পুনরায় বলে উঠে,

— ভুল হয়ে গিয়েছে ভাইয়া। প্লিজ এইবারের মত মাফ করে দেন। আমি আর জীবনেও কোন মেয়েকে প্রাপোস করবো না। প্রমিস! প্লিজ ভাইয়া এইবারের মত মাফ করে দেন। মাকে কিছু জানিয়েন না।

রিয়াদের কাছ থেকে সরে এসে অরণ্য দ্যুতির হাত চেপে ধরে রিয়াদকে উদ্দেশ্য করে বলে,

— ছোট বলে এইবারের মত ছাড় পেয়ে যাচ্ছ। কিন্তু পরের বার পাবা না। পরবর্তীতে ওর আশেপাশেও যদি তোমাকে দেখি তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না। মনে রেখো।

কথাটা বলেই অরণ্য দ্যুতিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। দ্যুতিও বিনাবাক্যে অরণ্যের সাথে পা মিলিয়ে চলতে থাকে। কেন না সে জানে, এখন তার অরণ্য ভাইকে কিছু বলা মানেই বাঘের মুখে হাত দেওয়া। তাই বুদ্ধিমানের কাজ নীরবতা পালন করা। বাইকের সামনে আসতেই অরণ্য দ্যুতির হাত ছেড়ে দেয়। অতঃপর দ্যুতির উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে,

— তোর তো দেখি ভালোই প্রেম প্রেম পাচ্ছে। রাস্তা ঘটে প্রাপোজাল পাচ্ছিস আবার তা এক্সেপ্টও করছিস? নাইনে পড়েই এই অবস্থা? বাহ! বেশ তো।

দ্যুতি মাটির দিকে দৃষ্টি নত রেখে মিনমিনে স্বরে বলে,

— আমি মোটেও সেটা এক্সেপ্ট করছিলাম না।

অরণ্য বাইকের দিকে কিছুটা হেলে দাঁড়িয়ে বুকে দুটি হাত গুঁজে শীতল কন্ঠে বলে উঠে,

— তো কি করছিলি শুনি? ডেটিং-এর প্ল্যানিং নাকি..

কথা সম্পূর্ণ করার আগেই অরণ্য চুপ হয়ে যায়। দ্যুতি এইবার মাথা তুলে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে অরণ্যের দিকে তাকাতেই অরণ্য তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,

— আমি বোধহয় এসে তোদের মোমেন্ট নষ্ট করে দিলাম তাই না?

এতক্ষণ দ্যুতি চুপ থাকলেও অরণ্যের শেষের কথাটা ওর গায়ে লেগে যায়। সে ফুঁসে উঠে বলে,

— একদম বাজে বকবেন না। না জেনে শুনে যাচ্ছে তাই বলছেন।

— তাই নাকি?

— নাহলে কি? আমি ওকে মানাই করে দিচ্ছিলাম কিন্তু তার আগেই তো আপনি এসে যা বুঝার বুঝে নিলেন। এতে আমার কি দোষ?

অরণ্য এইবার সটান হয়ে দাঁড়িয়ে দ্যুতির দিকে কিছু ঝুঁকে দাঁড়ায়। দ্যুতি একটু পিছিয়ে যেতেই অরণ্য শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,

— তাহলে তোর হাতে ওর দেওয়া ফুল কি করছিল? ফুল কেন নিয়েছিলি তুই? টাইম-পাস করতে?

দ্যুতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,

— জোর করে হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল, আমি নিতে চাইনি বলে।

অরণ্য এইবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বাইকে উঠে বসে। বাইক স্টার্ট করতে করতে স্বগতোক্তি কন্ঠে বলে উঠে,

— বাইক উঠ!

দ্যুতি ফুঁসে উঠে বলে,

— যাব না আমি আপনার সাথে। আপনি একা যান।

কথাটা বলে দ্যুতি দুই পা সামনের রাস্তার দিকে এগুতেই অরণ্য হুংকার দিয়ে উঠে বলে,

— আরেক পা যদি সামনে এগিয়েছিস তাহলে তোর ঠ্যাং ভেঙ্গে দিব আমি। বড্ড সাহস বেড়ে গিয়েছে না তোর? আমার মুখের উপর কথা বলিস।

দ্যুতি অরণ্যের কথা শুনে একমুহূর্ত থমকালেও পরমুহূর্তেই তাকে সম্পূর্ণ অনাগ্রহ করে এগিয়ে যায়। কিছুটা পথ এগিয়ে যেতেই বা হাতে তার টান পড়ে। দ্যুতি কিছু বুঝার আগেই তাকে টেনে অরণ্য বাইকের সামনে নিয়ে আসে। তেজী কন্ঠে বলে উঠে,

— উঠ বলছি। নাহলে আজ আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।

দ্যুতি কিছু বলতে নিলেও অরণ্যের রক্তিম লাল জোড়া চোখ দেখে দমে যায়। চুপচাপ উঠে পড়ে বাইকে। এইভাবেও এই লোক যেই পরিমানে ঘাড়ত্যাড়া। আমাকে না নিয়ে তো যাবেই না, সেই সাথে আলাদা কেলেংকারী করবে তা আলাদা। অরণ্য বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দিতেই দ্যুতি বিরবির করতে থাকে,

— আজ বাসায় যাই একবার। ভাইয়াকে যদি না জানিয়েছি তার গুনধর বন্ধুর কর্মকাণ্ড তাহলে আমার নামও দ্যুতি না। বাজে লোক একটা। হুহ!

সেকেন্ড দুই-একের মাঝেই অরণ্য বলে উঠে,

— তোর ভাইয়ের কাছে, বোনের চেয়ে বন্ধু বেশি প্রিয়। তাই ওকে বলেও লাভ নেই। আর আমি বাজে হই যাই হই, ঘুরে ফিরে তোর পরিধি আমাতেই সীমিত। মাইন্ড ইট!

________________

বিকেল পেরিয়ে ধরণীর বুকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। মাগরিবের আজান কুহরিত হচ্ছে চারদিকে। আজানের মিষ্টি ধ্বনি কানে এসে বারি খেতেই দ্যুতির ঘুম আলগা হয়ে আসে। আধো আধো চোখে চারপাশে একবার নজর বুলিয়ে নিয়ে উঠে বসে সে। বার কয়েক চোখ ডলে নেয়। গায়ে এখনো স্কুল ড্রেসটাই রয়েছে। বদলানো হয়নি। এলোমেলো চুলগুলো টেনে হাত খোঁপা করে নিয়ে ফ্রেশ হওয়ার জন্য উঠে পড়ে সে। দুপুরে বাসায় এসেই সে রুমে দরজা দিয়েছিল আর মাকে জানিয়ে দিয়েছিল তাকে যাতে কেউ না জ্বালায়। সে ঘুমাবে। তাই শাহিদা বেগমও আর জ্বালায়নি তাকে।
দ্যুতি একবারে মাগরিবের নামাজ আদায় করেই বের হলো রুম থেকে। রুম থেকে বের হয়ে সোজা গেলো রান্নাঘরে। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিমের বক্স বের করে একটা পাত্রে কিছুটা বেরে নিয়ে পুনরায় বক্সটা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিল। নিজের জন্য আলাদা করে রাখা আইসক্রিমটা নিয়ে চলে গেলো ড্রয়িংরুমে। সোফায় পা দু’টি ভাজ করে বসে রিমোট নিয়ে একের পর এক চ্যানেল পাল্টাতে থাকলো আর আইসক্রিম খেতে থাকলো। এরই মাঝে তার চোখে পড়লো শাহিদা বেগম হাত খোঁপা করতে করতে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছেন। হয়তো চা করবেন বলে। মাগরিবের নামাজের পর শাহিদা বেগম আবার চা ছাড়া চলে না। দ্যুতি সেদিকে এতটা গুরুত্ব না দিয়ে চ্যানেল পাল্টাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কিছুই ভালো লাগছে না তার। সবকিছুই তেতো লাগছে। সব দোষ ওই শয়তান অরণ্য ভাইয়ের।
বেশ কিছুক্ষণ পর শাহেদা বেগম এককাপ চা হাতে নিয়ে দ্যুতির পাশের সোফায় এসে বসলেন। শব্দ করে চা খেতে শুরু করলেই দ্যুতি মুখ ঘুচে বলে,

— কতবার বলেছি মা, আমার সামনে শব্দ করে চা খাবে না। অসহ্য লাগে!

শাহিদা বেগম এক ধমক দিয়ে বলেন,

— তাইলে কানে তুলা দিয়ে রাখ। আমার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চা খাব। তোর কি হ্যাঁ?

দ্যুতি একরাশ বিরক্তি নিয়ে বিরবির করে বলে,

— এই মা জাতিকে বুঝানাই বেকার। হুহ!

শাহিদা বেগম দ্যুতির দিকে মনোযোগ না দিয়ে বলেন,

— রিমোট দে, নাটক দেখব।

দ্যুতি কিছু না বলে রিমোট দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। মায়ের সাথে আপাতত কোন তর্কে যেতে চাচ্ছে না। এইভাবেই দুপুরের ঘটনা নিয়ে মন মেজাজ প্রচন্ড খারাপ। অরণ্যের আচরণগুলো এখনো মন-মস্তিকে রয়ে গিয়েছে। দ্যুতি রুমের দিকে চলেই যাচ্ছিল এমন সময় শাহিদা বলে উঠেন,

— কাল থেকে তোর আর কোন কোচিং-এ যাওয়া লাগবে না। স্কুল শেষে সোজা বাসায় এসে পড়বি।

দ্যুতি পিলে চমকে উঠে। দ্রুত ঘুরে মায়ের দিকে তাকায়। বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,

— কোচিং-এ যাব না মানে কি?

শাহিদা বেগম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে বলে,

— এখন থেকে অরণ্যই তোকে পড়াবে।

— তার কাছে আমি কি পড়বো?

শাহিদা বেগম একরাশ বিরক্তি নিয়ে দ্যুতির দিকে তাকান৷ কর্কশ কন্ঠে বলেন,

— যেগুলো এতদিন বাইরে পড়েছিস সেগুলোই এখন অরণ্যের কাছে পড়বি।

আমি মুখ-চোখ শক্ত করে বলি,

— আমি তার কাছে পড়বো না। কোনভাবেই না। মা তুমি তাকে বলে দিও আমাকে যাতে পড়াতে না আসতে।

— দিব এক থাপ্পড়। ও যে তোকে পড়াবে তাই তোর সাত কপাল। জানিস ওর কাছে নিত্যনতুন টিউশনির অফার আসতেই থাকে। বেচারা সময়ের অভাবে সবাইকেই না করে দেয়। সেখানে ও তোকে নিজ থেকে পড়াতে চাচ্ছে আর তুই মানা করছিস?

— করছি! আমি পড়বো না তার কাছে৷ আর কোচিং-এ পড়লে কি সমস্যা শুনি?

— অনেক সমস্যা। ওসব তোর বুঝতে হবে না। তুই অরণ্যের কাছেই পড়বি। ব্যস! এখন যা রুমে গিয়ে বই-খাতা গুছা। সাতটার দিকে অরণ্য তোকে পড়াতে আসবে।

দ্যুতি আর কিছু না বলে ধুপধাপ পায়ে এগিয়ে যায় রুমের দিকে। নিশ্চয়ই অরণ্য ভাইয়া তার মাকে উল্টাপাল্টা কিছু বুঝিয়েছে নাহলে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার ঠিক তিনমাস আগে কেউ কোচিং ছাড়তে বলে? বুঝি না, ভাইয়ের বন্ধুর প্রতি তার মায়ের এত কিসের দরদ। যতসব আদিখ্যেতা!

________________

দ্যুতি মুখ ঘুচে বসে আছে অরণ্যে সামনে। অরণ্য হাইয়ার ম্যাথ বইটা উল্টেপাল্টে দেখছে। অতঃপর খাতা টেনে একটা অঙ্ক তুলে দ্যুতির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

— চাঁদ এইটা কর তো। দেখি কতটুকু পারিস।

দ্যুতি একনজর অরণ্যের দিকে তাকিয়ে খাতাটি টেনে নিলো নিজের দিকে। চেষ্টা করতে থাকলো অঙ্কটার সমাধান করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলো না। তা দেখে অরণ্য বলে উঠে,

— সাধারণ একটা অঙ্কও পারিস না? এতদিন কোচিং-এ কি শিখলি তাইলে?

দ্যুতি তিক্ত কন্ঠে বলে উঠে,

— জানি না।

অরণ্য কথা না বাড়িয়ে অন্য একটু অঙ্ক দিয়ে বলে,

— এইটা কর তো দেখি।

দ্যুতি একনজরে অঙ্কের দিকে তাকিয়ে বলে,

— পারি না।

অরণ্য অন্য একটা অঙ্ক দিতেই দ্যুতি পুনরায় বলে উঠে, “পারিনা।”

অরণ্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

— তাহলে পারিসটা কি?

দ্যুতি কিছু না বলে চুপ করে থাকে। মিনিট কয়েক এইভাবে যেতেই অরণ্য বলে উঠে,

— আচ্ছা দেখ আমি করে দিচ্ছি। আর কালকে থেকে একদম নতুন করে সব শুরু করবো নে।

দ্যুতি হ্যাঁ বা না কোন উত্তর না দিয়ে নীরব বসে থাকে। অরণ্য তা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে অঙ্কগুলো বুঝিয়ে দিতে থাকে। অঙ্ক বোঝানো শেষে অরণ্য উঠে দাঁড়ায়। দ্যুতি একপলক অরণ্যের দিকে তাকিয়ে পুনরায় মাথা নিচু করে বসে থাকে। তা দেখে অরণ্য ওর দিকে দুইটা ক্যাডবেরি ডেরিমিল্ক সিল্ক এগিয়ে দেয়। চকলেট দেখামাত্র দ্যুতির ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে সরু হাসি৷ দ্যুতি অরণ্যের দিকে তাকাতেই অরণ্য শীতল কন্ঠে বলে,

— মাথা গরম ছিল তখন তাই বেশি রুড হয়ে গিয়েছিলাম। তুই তো জানিসই মাথা গরম হলে আমি বেশিরভাগ আবোল-তাবোলই বলি।

দ্যুতি একটা ভেংচি কেটে অরণ্যের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,

— আমার কোচিং নিয়ে মাকে কি বলেছেন আপনি?

অরণ্য অবাক হওয়ার ভাণ করে বলে,

— আমি কিছু বলেছি নাকি? কই জানি না তো।

দ্যুতি নাক ফুলিয়ে বলে,

— আপনি বড্ড বাজে।

— সেও তোরই জন্যে।

দ্যুতি ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই অরণ্য দরজার দিকে চলে যায়। অতঃপর দরজার পাশে দাঁড়িয়ে বলে উঠে

— যদি ভেবে থাকিস তোর জন্য চকলেট এনেছি তাহলে ভুল ভাবছিস। আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই আমি এইখানে চকলেট রেখে যাচ্ছি। এখন কারো যদি খেতে ইচ্ছে করে খেতে পারে। আমি মাইন্ড করবো না।

কথাটা বলে অরণ্য বেরিয়ে যেতেই দ্যুতি হেসে দেয়। অরণ্য যত যাই বলুক দ্যুতি জানে, সে রাগ করেছিল বিধায় তার রাগ ভাঙানোর জন্য অরণ্য চকলেটগুলো এনেছে। কিন্তু তা সে স্বীকার করবে না। মানুষটা এমনই।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here