প্রণয়ের_ঢেউ #Part_02

0
863

#প্রণয়ের_ঢেউ
#Part_02
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

রাতে বাড়ির পড়া শেষ করে উঠতে দ্যুতির ডাক পড়লো। শাহিদা বেগম ডাকছেন তাকে। দ্যুতি গায়ে ওড়না জড়িয়ে ড্রয়িংরুমে আসতেই তিনি বলে উঠেন,

— এই তরকারির বক্সটা অরণ্যের বাসায় দিয়ে আসতো একটু।

দ্যুতি মুখ ঘুচে বলে,

— আমাকে কেন পাঠাচ্ছো? তোমার ছেলেকে পাঠাও না। এখন সিড়ি বেয়ে উপরে যেতে ইচ্ছে করছে না।

— ওই হাদা এখনো বাসায় আসে নাই। তোকেই যেতে হবে।

দ্যুতি ফুঁসে উঠে বলে,

— রাত কয়টা বাজে দেখসো। নয়টা বাজে। এখনো আসেনি। করে কি এতক্ষণ বাইরে।

শাহিদা বেগম অন্য বক্সে তরকারি বারতে বারতে বলে,

— ভার্সিটির কোন কাজে নাকি আটকা পড়েছে।

দ্যুতি বিরবির করে বলে উঠে,

— কাজ না তো ছাই! নিশ্চয়ই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেদ্দব একটা।

শাহিদা বেগম দ্যুতির কথা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করেন,

— কিছু বললি?

দ্যুতি ক্যাবলা মার্কা হাসি দিয়ে বলে,

— না তেমন কিছু না। তা মা, ভাইয়ার দিকে একটু নজর দিও তো। আজকাল কিন্তু বেশ দেরি করেই বাসায় ফিরছে। দিনকাল কিন্তু ভালো না।

শাহিদা বেগম ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই দ্যুতি তরকারির বক্স দুটো হাতে নিয়ে বলে,

— আমি এগুলো দিয়ে আসছি।

কথাটা বলে সে কেটে পড়ে। সিড়ি ভেঙে উপরের তলায় আসতেই দেখলো অরণ্যের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। দ্যুতি তাই কলিংবেল না বাজিয়েই সোজা বাসায় ঢুকে পড়লো। ড্রয়িংরুমে কাউকে না পেয়ে বক্সটা টেবিলের উপর রেখে শাখাওয়াত সাহেবের রুমে চলে যায় সে। শাখাওয়াত সাহেবের রুমের কাছেই আসতে দ্যুতি দেখতে পেলো শাখাওয়াত সাহেব একটা ছবির উপর হাত বোলাচ্ছেন আর কি যেন বিরবির করছেন। ছবিটা যে তার প্রিয়তম স্ত্রীর তা বুঝতে দ্যুতির দেরি নেই। দ্যুতি বেশ কিছুক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলো অতঃপর গলা ঝেড়ে বলে উঠলো,

— আঙ্কেল আসবো?

দ্যুতির কন্ঠ শুনে শাখাওয়াত সাহেব দরজার দিকে তাকালেন অতঃপর দ্যুতিকে দেখতে পেয়ে স্মিত হেসে উঠেন। চোখের চশমা ঠিক করতে করতে বলেন,

— আরেহ দ্যুতি মা যে, আয় আয় ভিতরে আয়।

দ্যুতি মিষ্টি হেসে এগিয়ে যায় শাখাওয়াত সাহেবের দিকে। তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই সে বলে উঠে,

— কখন আসলি?

— এইতো দুই মিনিট আগে। মা তরকারি পাঠিয়েছে তোমাদের জন্য।

— তোর মাও না। কতবার মানা করেছি এইসব না করতে তাও শুনে না।

দ্যুতি প্রত্যুত্তরে কিছু না বলে মিষ্টি হাসলো। অতঃপর জিজ্ঞেস করে উঠলো,

— এইটা আন্টির ছবি না? আন্টিকে মিস করছিলে বুঝি?

শাখাওয়াত সাহেব একপলক তার স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কোমল কন্ঠে বলেন,

— সে তো পনেরো বছর ধরেই করছি রে মা।

দ্যুতি কিছু না বলে চুপ করে রইলো। এই কথার পৃষ্ঠে তার কি বলা উচিৎ তা তার জানা নেই। তাই কথা ঘুরানোর জন্য বলে উঠে,

— চলো এখন খেতে যাবে, তরকারি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো।

শাখাওয়াত সাহেব হেসে বলে,

— হ্যাঁ আসছি। আচ্ছা মা, একটু কষ্ট করে অরণ্যকে ডেকে আনবি। ও বোধহয় নিজের রুমেই আছে। আমি ততক্ষণে ভাত গরম করে নিচ্ছি।

— আচ্ছা আঙ্কেল।

শাখাওয়াত সাহেব রান্নাঘরে যেতেই দ্যুতি অরণ্যের রুমে চলে যায়। অরণ্যের রুমে দরজা দেওয়া বিধায় দ্যুতি বেশ কয়েকবার কড়া নাড়লো। কিন্তু ওপর পাশ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে দ্যুতি রুমে ঢুকে পড়ে। রুমের কোথাও অরণ্য নেই। ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ আসতেই সে বুঝতে পারলো অরণ্য ওয়াশরুমে৷ তাই সে অরণ্যের বুকশেলফের দিকে এগিয়ে যায়। গল্পের বইয়ে পরিপূর্ণ বুকশেলফটি। বাংলা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ সকল লেখকের বই এইখানে আছে। দ্যুতি হুমায়ুন আহমেদের একটা বই নিতে যাবে এর আগেই খট করে ওয়াশরুমের দরজা খুলে যায়। ক্ষণেই দ্যুতি কিছুটা ভড়কে গেলেও নিজেকে সামলে নেয়। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নিজের জায়গায়। অরণ্য টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছে। হয়তো গোসল করেছে মাত্র। শ্যাম বর্ণ গায়ে ব্লু টি-শার্ট আর ধূসর রঙের ট্রাউজার। অরণ্য বিছানার উপর টাওয়ালটা ছুঁড়ে মারতে তার নজর যায় দ্যুতির দিকে। দ্যুতিকে দেখার সাথে সাথে তার ভ্রু কুঁচকে আসে। সে স্বগোতক্তি কন্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠে,

— এই তুই আমার রুমে কি করছিস?

দ্যুতি কিছু বলতে যাবে তার আগেই অরণ্য বলে উঠে,

— এই তুই আবার ডাকাতি করতে আসিস নি তো আমার রুমে?

ক্ষণেই দ্যুতির ভ্রু কুটি কুঞ্চিত হয়ে আসে। সে তিক্ত কন্ঠে বলে উঠে,

— ডাকাতি করতে এসেছি মানে? আমাকে কি আপনার ডাকাত মনে হয়?

অরণ্য নিজের ভেজা চুলে হাত গলিয়ে বলে উঠে,

— না মনে হওয়ার কি আছে? আমার রুমে যে কত ইমপোর্টেন্ট ইমপোর্টেন্ট জিনিস আছে তা সবাই জানে। তো ডাকাতি করার ভাবনা আসতেই পারে।

দ্যুতি ফুঁসে উঠে বলে,

— কই আমি তো জানতাম না। আর কি এমন ইমপোর্টেন্ট জিনিসপত্র আছে শুনি?

অরণ্য ভ্রু কুঁচকে বলে,

— তুই কি এই দেশের প্রেসিডেন্টের নাতনি নাকি বারাক অবামার প্রাক্তন যে তোর কাছে আমার জবাবদিহি করতে হবে?

দ্যুতি কোন জবাব না দিয়ে ফোঁস ফোঁস করতে থাকে। এই বেদ্দবটার সাথে কখনোই কথায় পারা যায় না। সবসময় চার ডিগ্রি উপরে কথা বলবে। জাস্ট অসহ্য একটা। দ্যুতিকে আর কোন কথা বলতে না দেখে অরণ্য বলে উঠে,

— কি রে কথা বলিস না কেন? ঠোঁটে ফেবিকল লাগিয়ে রাখছিস নাকি? এইদিকে আয় তো দেখি।

দ্যুতি কোনমতে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে,

— আপনাকে আঙ্কেল খেতে ডাকছে। এইটা বলতেই এসেছিলাম।

— তাহলে এতক্ষণ বলিস নি কেন বেদ্দব? এতটুকু কথা বলতে এত সময় লাগে?

দ্যুতি ফুঁসে উঠে বলে,

— নিজেই তো বাজে বকলেন এখন আবার আমায় বলছেন এতক্ষণ বলি কেন?

অরণ্য ধমক দিয়ে বলে,

— ঠাডিয়ে দিব এক। আবার আমার মুখে মুখে কথা বলিস। বড়দের তো সম্মান করতে জানিসই না আবার বেয়াদবিও করিস।

— আচ্ছা বেশ। কথাই বলবো না আর আমি আপনার সাথে।

কথাটা বলেই দ্যুতি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে অরণ্য ওর হাত চেপে ধরে নিজের সামনে নিয়ে আসে। অতঃপর স্বগতোক্তি কন্ঠে বলে,

— আমার সাথে কথা না বলে তুই থাকতে পারবি চাঁদ?

দ্যুতি অকপট রাগ দেখিয়ে বলে,

— একশো বার পারবো।

অরণ্য দ্যুতির মুখের উপর কিছুটা ঝুঁকে আসতেই দ্যুতি ভড়কে যায়। মাথাটা কিছুটা পিছিয়ে নিতে অরণ্য শীতল কন্ঠে বলে উঠে,

— কিন্তু আমি যে পারবো না রে চাঁদ।

অরণ্যের কথায় দ্যুতির বুকটা কেমন যেন ধক করে উঠে। রাগটা যেন নিমিষেই গড়ে পড়ে। অজানা এক অনুভূতি ভর করে মনের মাঝে। কিন্তু সেটা আসলে কিসের সে জানে না। দ্যুতি বার কয়েক পলক ফেলে বলে,

— হু?

হঠাৎই অরণ্য দ্যুতিকে ছেড়ে দিয়ে বলে,

— এই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার চেহেরা কি দেখছিস? রাত কি আমার রুমেই পার করবি নাকি? যদি এই পরিকল্পনা করে থাকিস তাহলে এখনই সেটাকে লাথি মেরে বের কর। সেই সাথে নিজেও বিদায় হো।

দ্যুতি নাক ফুলিয়ে বলে,

— বয়ে গেছে আমার এই রুমে থাকতে। হুহ!

কথাটা বলেই অরণ্যের দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে রুম থেকে বেরিয়ে আসে সে। অরণ্য তা দেখে বিরবির করে বলে,

— তুই বড্ড বোকা রে চাঁদ। বড্ড বোকা!

________________

অরণ্যের সামনে হাসিমুখেই বসে আছে দ্যুতি। কেন না আজ তার বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। পুরো ক্লাসে সে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে সে। এই প্রথম প্লেজে থাকা তার। আগে প্লেজের আশে থাকলেও প্লেজে কখনো জায়গায় করতে পারেনি সে। কিন্তু এইবার অরণ্যের গাইডলাইনে থাকায় সেটা সম্ভব হয়েছে। অরণ্য সহজ নিয়মে খুব সহজেই পড়াগুলো মাথায় ঢুকিয়ে দেয় সে। কঠিন থেকে কঠিন প্রশ্নও এইভাবে বুঝায় যেন সেটা দুধভাত। তাই তো ফিক্সিজ আর হাইয়ার ম্যাথ পরীক্ষা সকলের খারাপ গেলেও ওর মোটামুটি ভালোই গিয়েছিল।

অরণ্য রেজাল্ট কার্ডের ভালো মত নজর বুলাচ্ছে। উপরে একবার তাকিয়ে দ্যুতির নাম আনমনে আওড়ালো, ‘হুমায়রা বিনতে দ্যুতি।’ অতঃপর রেজাল্ট কার্ডটা টেবিলের উপর দ্যুতির দিকে তাকিয়ে বললো,

— এই নাম্বার পেয়ে খুশি হলে চলবে না। গ্রেড আরও ভালো করতে হবে। বোর্ড এক্সামে সব সাবজেক্টে নাইন্টি প্লাস পেতে হবে তোকে।

অরণ্যের কথা শুনে দ্যুতি যেন আকাশ থেকে পড়লো। মুখ ফসকে বলে উঠলো,

— এ্যাঁহ!! নাইন্টি প্লাস?

— আজ্ঞে হ্যাঁ। এই নাম্বারে তোর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল না বরং অন্ধকারই হবে। এই নাম্বারে তো তোকে কেউ সুইপারের কাজেও রাখতে চাইবে না।

দ্যুতি ফুঁসে উঠে বলে,

— বলসে আপনাকে? নিজে ব্রাইট স্টুডেন্ট বলে সবাই কি ব্রাইট স্টুডেন্ট হবে নাকি? আমি এতটুকুতেই খুশি।

— তাহলে মেডিক্যাল, বুয়েট বা পাবলিক ভারসিটির চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল আর সংসারের কাজে মন দে। নাইলে কপালে জামাইয়ের বাড়ির ভাতও কপালে জুটবে না।

— বুয়েট তো এমনেই বাদ। আপনার মত ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মানুষের মাথা খাওয়ার কোন ইন্টারেস্ট নেই আমার। আর আমার এত চিন্তা করতে হবে না।

অরণ্য বুকে দুই হাত গুঁজে স্থির দৃষ্টিতে দ্যুতির দিকে তাকিয়ে বলে,

— তাহলে কে চিন্তা করবে শুনি?

দ্যুতি দাঁত কেলিয়ে বলে,

— আমার ফিউচার জামাই করবে।

অরণ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিরবির করে বলে,

— সেই তো করছে।

দ্যুতি কথাটা শুনতে না পেরে বললো,

— কিছু বললেন?

— বললাম, পড়ার প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে তোকে। সাইন্স নিয়ে পড়া এত সহজ না। সাইন্স নিয়ে ভালো একটা লাইনে যেতে হলে ভালো নাম্বার আবশ্যক। সেই সাথে পড়ালেখার তো বিকল্প নেই। একটা কথা মনে রাখবি চাঁদ, সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের ক্যারিয়ার। যত যাই হোক, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কখনো হেলা করবি না। বুঝেছিস?

দ্যুতি এতক্ষণ অরণ্যের কথা মন দিয়েই শুনলো৷ অরণ্যের কথা বুঝতে পেরে দ্যুতি মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বলে,

— হুম বুঝেছি

অরণ্য এইবার স্মিত হেসে বলে,

— তোর নাম্বার একবারে বাজে না। কিন্তু আরও ইম্প্রুভ করতে হবে ওকে।

দ্যুতি কিছু না বলে মাথা দুলায়। অরণ্য এইবার ফিক্সিস বইটা নিতেই দ্যুতি অস্ফুটস্বরে বলে উঠে,

— ভাইয়া একটা কথা বলার ছিল।

অরণ্যের বইয়ের পেজ উল্টাতে উল্টাতে বলে,

— বল!

— আমার কিছু ফ্রেন্ডের গার্ডিয়ান জিজ্ঞেস করছিল আমি কার কাছে পড়ি। মানে কোথাও কোচিং করি নাকি প্রাইভেট পড়ি। আমি আপনার কথা বলতে তারা আপনার নাম্বার চাইছিল আর জিজ্ঞেস করছিল, আপনি আমার ফ্রেন্ডদের পড়াবেন কি-না?

অরণ্য একপলক দ্যুতির দিকে তাকিয়ে পুনরায় বইয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে বলে,

— আমি মেয়েদের পড়াই না।

কথাটা শুনে দ্যুতির ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে আসে। সে কৌতূহলী কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,

— তাহলে আমাকে যে পড়ান?

অরণ্য পূর্ণচোখে দ্যুতির দিকে তাকিয়ে বলে,

— সবাই আর আমার চাঁদ এক নাকি?

দ্যুতি কথাটা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করে বসে,

— মানে?

অরণ্য একটা চ্যাপ্টার দ্যুতির সামনে দিয়ে বলে,

— এত মানে বুঝতে হবে না। এই চ্যাপ্টারটা রিডিং পড়। আর শুন, তোর ফ্রেন্ডের গার্ডিয়ানকে বলবি আমার টাইম নেই তাই পড়াবো না। এখন কথা না বলে পড়।

দ্যুতি আর কিছু জিজ্ঞেস করতে গিয়েও দমে গেলো। চুপচাপ মাথা নেড়ে বইটা টেনে পড়া শুরু করলো৷

_____________________

সামনেই টেস্ট এক্সাম। এক সপ্তাহও বোধহয় আর বাকি নেই। ধুমসে পড়ালেখা করছে দ্যুতি। কিন্তু তাও পড়াগুলো যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। সবই যেন নতুন লাগছে। মূলত টেস্ট পেপার সলভ করতে গিয়েই তার বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় অরণ্য ইমপোর্টেন্ট কিছু ম্যাথ সলভ করতে দিয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেগুলো কোনভাবেই সে মিলাতে পারছে না। রাতের খাবারের পর টানা দুইঘন্টা কাগজে ঘষামাজা করেও যখন উত্তর মিললো না তখন হাল ছেড়ে দিল দ্যুতি। নিস্তেজ চোখে তাকালো অঙ্কটার দিকে। শ’খানেক বকা দিয়ে ক্ষান্ত হলো সে। অতঃপর জীদ চেপে বসলো এই অঙ্কটা সে এখনোই বুঝবে। না বুঝা পর্যন্ত সে দম নিবে না। ঘড়িতে একবার নজর বুলিয়ে উঠে দাঁড়ালো৷ এগারোটা বাজলেও অরণ্য যে এখনো জাগ্রত তা দ্যুতি জানে। তাই বই-খাতা গুঁছিয়ে উঠে দাঁড়ালো সে। শাহিদা বেগমকে বলে চলে গেল অরণ্যের ফ্ল্যাটে। অরণ্যের ফ্ল্যাটে এসে জানা গেলো অরণ্য ছাদে। তাই দ্যুতি খাতা-কলম সেখানে রেখেই চলে গেলো ছাদে। কিন্তু ছাদে এসে যা দেখলো তা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here